নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির বিবেক ড. জাফর ইকবাল আজ এত নিশ্চুপ কেন?

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪১


কাওসার ভাই যেদিন ঢাকা থেকে সুন্দর একটা প্যাকেটে ‘হাত কাটা রবিন’ পাঠালেন, তখন আমি ক্লাস সেভেন বা এইটে পড়ি। ওটা পেয়েছিলাম বাই পোস্টে, তিরানব্বুই বা চুরানব্বুইয়ে। ড. জাফর ইকবালের সাথে আমার পরিচয় তখন থেকে। আমার মুগ্ধতা আরো বাড়িয়ে এরপর আমি হাতে পেলাম দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, দুষ্টু ছেলের দল, টুকুনজিল, টি রেক্সের সন্ধানে, জারুল চৌধুরীর মানিকজোড়, বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার, আরো পরে এসে পড়লাম কপোট্রনিক সুখ-দুঃখ, নিঃসঙ্গ গ্রহচারী, পৃ, ওমিক্রমনিক রুপান্তর, অবনীল, যারা বায়োবট এবং এই মুহুর্তে নাম মনে না পড়া আরো অনেক বই।

এই বইগুলোকে ভালোবাসেনি এমন কিশোর কিশোরীর সংখ্যা আমার প্রজন্মে খুবই কম হবে বলেই আমার ধারণা।

বই পড়ার নেশা বরাবরই ছিলো। বই পড়ার ক্ষেত্রে ওই বয়সে ভালোলাগার বাইরে আর কোন বিষয় বিবেচ্য থাকতো না। জাফর ইকবালের বইও গিলে গেছি গোগ্রাসে। তারপর বয়স বাড়তে থাকে, বই পড়ার ক্ষেত্রে কিছু চিন্তার, কিছু পছন্দের বিষয়ও চলে আসে স্বাভাবিকভাবেই। আর এ দিকে ড. জাফর ইকবালও তখন তাঁর ট্রেডমার্ক শিশু সাহিত্য বা সায়েন্স ফিকশন থেকে বের হয়ে জাতির বিবেক হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার লক্ষে লম্ফ ঝম্প শুরু করে দিয়েছেন। হয়তো সাহিত্যকর্ম দিয়ে অগ্রজের জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তিরোহিত হওয়াতেই তিনি লক্ষ্য বদলে ফেললেন!

এবং একদা তিনি জাতির বিবেক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেন ঠিকই, কিন্তু আমরা হারিয়ে ফেললাম কৈশোরের সেই প্রিয় লেখককে। উনার লেখায় এখন স্বতঃস্ফূর্ততার পরিবর্তে সব কিছুতেই কেমন যেন আরোপিত একটা ছায়া এসে যায়। আগাগোড়া ধর্মীয় অনুশাসনে বেড়ে ওঠা মানুষ আমি। তাই ধর্মাচারণে অভ্যস্ত ব্যক্তিই যখন ড. জাফর ইকবালের গল্পে বারে বারে খল চরিত্রে উপস্থিত হতে লাগলো, সে গল্পও তখন ক্লীশে হয়ে গেলো। আমিও আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম।

তা, আমার মত দু’ একজন অধম পাঠক কমলেও উনার কিছু আসে যায় না। এই দেশে উনি এখন নতুন ধর্মগুরু। অসংখ্য ডিসাইপলস উনার রয়েছে। তারা জাফর ইকবালের বিপক্ষে ন্যূনতম বিরুদ্ধকথা শুনতেও প্রস্তুত নয়। এই ব্লগেই প্রথম দিকে আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট নামে এক ব্লগার জাফর ইকবালের বিপক্ষে এক পোস্ট দিয়ে সেই সময়েই রেকর্ড পরিমাণ মাইনাস পেয়ে গিনেজ বুকে নাম উঠিয়ে ফেলেছিলেন।

এ কারণে ড. জাফর ইকবাল নিয়ে কিছু লেখাটা একটা ভয়ের বিষয়। কিন্তু তবুও লিখতে হবে, যেহেতু উনি জাতির বিবেক। দেশের ক্রান্তিকালে সবসময় বুক চিতিয়ে কলম ধরেছেন। উনার কলম তখন হয়ে উঠেছে ধারালো তলোয়ার। যদিও সেই তলোয়ার কখনো কোনভাবেই এই সরকারের বিপক্ষে যায় এমন কিছুই করেনি।

না ভুল বললাম, যখন এই সরকার প্রথম টার্মে পশ্চিমা দেশগুলোর অনুকরণে সময় একঘন্টা এগিয়ে দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার শ্রাদ্ধ করেছিল, ড. জাফর ইকবাল তখন বিজ্ঞানের দোহায় দিয়ে খুব কষে গাল দিয়েছিলেন সরকারকে। তবে সে গালও ছিল খুব পরিশীলিত। যেমনটা উনি এককালে প্রথম আলোতে পরিশীলিত সাদাসিধে কথায় ইনিয়ে বিনিয়ে বিপক্ষকে ‘ডলা’ দিয়ে যেতেন।


জাতির বিবেক হিসেবে উনিই লিখেছিলেন সেই অমর কাব্য ‘তোমরা যারা শিবির কর’। জামাত শিবিরের সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে একজন বুদ্ধিজীবি লেখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবেন, এটাই স্বাভাবিক, এবং সেটাই তিনি করেছেন। অস্বাভাবিকতাটা হলো, যখন একই মাত্রার বা তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মাত্রার ভয়াবহ সন্ত্রাস, জঙ্গীপনা করেও ছাত্রলীগ সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারেন না। কলম দিয়ে কিছুই বের হয় না। এক্ষেত্রেতো উনার মৌনতা গৌতম বুদ্ধকেও হার মানিয়েছে। প্রবাদ আছে মৌনতা সম্মতির লক্ষণ

অতি মূল্যায়িত হয়েই হোক বা প্রকৃতি ‘শুন্যস্থান পছন্দ করে না’ সেই সূত্রে শুন্যস্থান পুরণের খাতিরেই হোক, কিশোর-যুব সমাজে ড. জাফর ইকবালের একটা অবস্থান আছে, সেটা আমি পছন্দ করি বা না করি। তাঁর বিভিন্ন ধরণের লেখা, বক্তব্যের মাধ্যমেই এই অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাই দেশের যুব সমাজের যে কোন দুর্যোগে মানুষ তাঁর ইতিবাচক ভূমিকা আশা করে।

তাছাড়া বুদ্ধিজীবির সংগা ও দায়িত্ব হিসেবে নোয়াম চামস্কির যে ভাষ্য আমরা তৌফিক জোয়ার্দারের পোস্টমারফত জানতে পেরেছি “যাদেরকে বুদ্ধিজীবি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে, তারা সমাজের একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত গোষ্ঠী, কারণ, তা না হলে তারা বুদ্ধিজীবির তকমায় অভিষিক্ত হতেই পারতেন না। তাদের কিছু মাত্রার কর্তৃত্ব ও মর্যাদা রয়েছে, তা যথার্থ হোক বা না হোক। তো এ বৈশিষ্ট্যগুলোর ভিত্তিতে তাদের উপর কিছু দায় দায়িত্বও বর্তায়। এগুলো তাদের ব্যাপারে মানুষের মনে বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার জন্ম দেয়। যার বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা যত বেশি, তার দায় দায়িত্বও তত বেশি” সেই ভিত্তিতেও মেয়েদের হলে গিয়ে নর্তন কুর্দন করা ছাড়াও কিছু দায়িত্ব ড. জাফর ইকবালের উপর বর্তায়।

বর্তমানে দেশের যুবসমাজ একটা ক্রান্তিকাল পার করছে। নব্বুইয়ের গণআন্দোলনের পর নিকট অতীতে ছাত্র-যুবকদের মধ্যে এমন নিরংকুশ ঐক্য আর দেখা যায় নি। কিন্তু হতাশার কথা এই যে, এ রকম একটা প্রয়োজনীয় মুহুর্তে তিনি, জাতির বিবেক, ড. জাফর ইকবাল আশ্চর্যরকমভাবে নিশ্চুপ হয়ে রয়েছেন। এ পর্যন্ত কোটা সংস্কারের পক্ষে একটা কথাও তিনি বলেননি।

আমাদের বুদ্ধিজীবিদের পরাজয়টা এখানেই। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক বুদ্ধিজীবির ছাঁপমুক্ত হওয়া সম্ভব হয় না কারো পক্ষেই, সে তিনি যতবড় বিবেক হিসেবেই নিজেকে দেখেন না কেন।

টম অ্যান্ড জেরি কার্টুনের টম মাঝে মধ্যে বাড়িওয়ালির কুত্তাটাকে ভয় দেখানোর জন্যে বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সাজসজ্জা নিয়ে নিজের আকৃতি বড় করে ফেলে। এভাবে করতে করতে যখন টম প্রায় সফল হয়ে যায়, নিজেকে বিশাল হিসেবে বিশ্বাস করতে শুরু করে, ঠিক তখনই জেরির বুদ্ধিমত্তায় বিশাল খোলস থেকে বের হয়ে আসে সেই ক্ষুদ্রাকৃতির ধড়িবাঁজ বিড়ালটাই।

ডক্টর সাহেবের ক্ষেত্রেও একই বিষয় ঘটেছে। কিছু মৌলিক লেখার সাথে বিদেশী লেখার টুকলিফাইং করে জনপ্রিয় হওয়া, স্বর্গের দ্বাররক্ষকের চাকরি ফেলে এই পোড়া দেশ উদ্ধার করতে ছুটে আসা তার সাথে চেতনার ফেরি করতে করতে যখন উনি নিজের আকৃতির বিরাটত্ব বাংলার আকাশটা পুরো ঢেকে দিয়েছে বলে মনে করতে শুরু করেছেন, ঠিক তখনই কোটা সংস্কার আন্দোলন নামের জেরি এসে সেটাকে ফুটো করে দিচ্ছে। বিশাল এক আকৃতি নিয়েও তিনি আদতে সেই টমই রয়ে গেছেন। তাই একদম ডিসাইসিভ মোমেন্টে এসে মৌনব্রত পালন করছেন।

ছবি কৃতজ্ঞতা: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঘটনা ঘটে আসলে উল্টা দিক থেকে। জন্ম প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর বীজ। আর মৃত্যু, জন্মের।

মৃত্যুর পর যদি আপনি আপনার পরিবারে, সমাজে, জগতে জেগে উঠেন- তবেই আপনি প্রকৃতপক্ষে বেঁচে ছিলেন, বেঁচে থাকবেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাপ্রে! যে দর্শন দিলেন! আমি বাপু সাদাসিধে কথা বলতে পছন্দ করি।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: জাফর ইকবাল শাহজালাল ইউনিতে বহুবার ছাত্রলীগের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে বুঝতে পেরেছেন যে এই দেশে যদি উনাকে থাকতে হয় তবে উনাকে স্বৈরশাষকের গোলামি করেই থাকতে হবে। উনি স্বেচ্ছায় কেন এই গোলামি মেনে নিলেন তা এক রহস্য বটে। একদা হাত কাটা রবিন, দীপু নাম্বার টু এর সেই লেখকের বর্তমান কথা বার্তা , লেখার প্রতি পরতে পরতে কেবল গোলামির ছাপ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: স্বৈরশাসকের গোলামীই যদি করবেন, তাহলে আর মিছিমিছি গ্যালিভার সাজা কেন? লিলিপুট থাকলেই তো হয়।

তবে ওনার প্রথম দিক্কার শিশু সাহিত্য, এমনকি সায়েন্স ফিকশনগুলোও অনবদ্য ছিলো, কিন্তু এখনকারগুলোর পরতে পরতে কেবল গোলামীর ছাাঁপ, ঠিকই বলেছেন।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

কানিজ রিনা বলেছেন: জাফর ইকবাল যখন চাপাতীর তলে গিয়েও
বেঁচে গেলেন তখন তিনি সেই চাপাতী সন্ত্রাসী
কে না মাড়ার আহব্বান জানালেন। হয়ত উনি
বুঝতে পেরেছিলেন ও এখনও বুঝে চুপ হয়ে
গেছেন যাহাই চাপাতী তাহাই হাতুরী। জানের
ভয় সবারই আছে। ন্যারা বেলতলা যায়না।
সময়উপযোগী পোষ্ট ধন্যবাদ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: যাহাই চাপাতি, তাহাই হাতুরি.... =p~

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

ফেনা বলেছেন: চিন্তার বিষয় বটে। অতি জ্ঞানী মানুষগুলির মাথায় কিছু বিকৃতি থাকতেই পারে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, দেশে এমন মস্তিস্কবিকৃত অনেকেই আছে

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাফর ইকবাল কোনদিন জাতির কেহ ছিলেন না, এখনো উনি জাতির কেহ নন; উনি আমেরিকায় ছিলেন বলে, অন্য শিক্ষকদের চেয়ে একটু ভালো পজিশনে আছেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপ্নেও আম্রিকায় আছেন, আইসা পড়েন, ডক্টর সাহেবের মত ভালা অবস্থায় থাক্তে পার্বেন।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১১

ক্স বলেছেন: ডঃ জাফর ইকবার হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির অর্জিত সম্পত্তি। তাঁর কোন কথা বা কাজের কোন সুযোগ যাতে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি নিতে না পারে - সেজন্য ছাত্রলীগ সদা সতর্ক প্রহরীর ভূমিকায় আছে। নিজেকে হুমায়ূন আজাদের মত ফালা ফালা হতে দেখতে চাননা বলেই তিনি আপাতত অফ আছেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: সিলেকটিভ প্রতিবাদ কখনোই সার্বজীনন বুদ্ধিজিবীতা তৈরী করে না।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

কাইকর বলেছেন: সুযোগ সন্ধানী

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: কিন্তু তাঁরাই জাতির বিবেক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে!!!

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



চাঁদগাজী ভাইয়ের মন্তব্যে সহমত।

পোস্ট শিরোনামে কিছুটা ভিন্নমত পোষন করায় দু:খিত! জাতির বিবেক এরা কখন ছিলেন? কোন্ কালে? কোনোকালেই ছিলেন না হয়তো। এই জাতি, এই দেশের জন্য এরা এমন কি করেছেন, যাতে করে ইহাদের 'জাতির বিবেক' বলা যেতে পারে? লবিং করে, দলীয় লেজুরবৃত্তির কারনে তার মত কিছু শিক্ষকের হয়তো প্রদীপের পাদপীঠে অবস্থান আজ। কিন্তু তার চেয়ে মেধাবী শিক্ষক, যাদের অবদান দেশ এবং জাতির জন্য ইহাদের চেয়ে অনেক বেশি তারা পড়ে রয়েছেন সেই অন্ধকারেই। কেউ তাদের তুলে ধরেনি। জাতির বিবেক যদি বলতে হয়, সেটা প্রচারবিমুখ নিরলস কর্মবীর যশ-খ্যাতির লোভ-লালসাহীন সেই তাদেরই প্রাপ্য।

পোস্টে ধন্যবাদ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: নকিব ভাই, আমি উনাকে জাতির বিবেক বলিনি। অনেকে মনে করে। তাদের মনে করাটা যদি ঠিক থাকতো, তাহলে তিনি এখন নিশ্চুপ থাকতে পারতেন না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হাহা

ভাল বলেছেন!
সিজনাল চেতনা ব্যবসায়ীরা নিজের লাভ ছাড়া কি কিছু করে?
দেশ জনতাতো বাত কি বাত!
দেশ জনতার প্রকৃত বিপদে তারা এমনই!

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: অথচ কি আনন্দ নিয়েই না এই ভদ্রলোকের লেখা পড়তাম....
জানি লেখা আর লেখার পেছনের মানুষের চরিত্র একইসাথে বিচার্য হওয়া উচিৎ না, কিন্তু এই দেশে আমরা কর্মর চেয়ে কর্মকারের চরিত্র বেশি বিচার করি, এটাই আমাদের কাস্টম।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

এ.এস বাশার বলেছেন: অতি জ্ঞান মূর্খতার লক্ষণও বটে!!!!

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

নাহিদ০৯ বলেছেন: এন্টারটেইনার এন্টারটেইনার এবং এন্টারটেইনার। জাতি’র বিবেক কখনোই নন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: হুম। দুঃখজনক এন্টারটেইন করেও যদি উনি ছেলেগুলোর পাশে দাড়াতেন...

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



উনারা জাতির বিবেক; শিক্ষার কাবারী; চেতনার বর্গাচাষী। রাজনীতিবিদদের মতো উনারা সুবিধাভোগী। আদর্শ আর নীতির কথা বলে দেশকে বিভক্ত করেন। ছাত্রদের ন্যায্য আন্দোলনেও রাজাকারের গন্ধ পান। যদিও মুক্তিযুদ্ধের সময় টগবগে যুবক হয়েও যুদ্ধ করতে যান নাই তিনি।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: উনারা জাতির বিবেক; শিক্ষার কাবারী; চেতনার বর্গাচাষী। রাজনীতিবিদদের মতো উনারা সুবিধাভোগী। আদর্শ আর নীতির কথা বলে দেশকে বিভক্ত করেন। ছাত্রদের ন্যায্য আন্দোলনেও রাজাকারের গন্ধ পান। যদিও মুক্তিযুদ্ধের সময় টগবগে যুবক হয়েও যুদ্ধ করতে যান নাই তিনি।

আামার আর কিছু বলার নেই।

১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২২

কল্পদ্রুম বলেছেন: যে কোন জাতির বিবেক দেশের সর্বোচ্চবিদ্যাপীঠ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।আর সেখানকার শিক্ষকেরা এই বিবেক তৈরীর কারিগর।

এ পর্যন্ত কোটা সংস্কারের পক্ষে একটা কথাও তিনি বলেননি।

আমার মন্তব্যের ধরণ অন্য কোন ইঙ্গিত দিলে সেটা অনিচ্ছাকৃত।আমি নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বলছি।

https://www.jugantor.com/campus/36782/কোটা-সংস্কার-আন্দোলন-যৌক্তিক-জাফর-ইকবাল

এ খবর সম্পর্কে আপনার কি অভিমত?

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এই নিউজটা নজরে আনার জন্য। আমি এটা আগে দেখিনি।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকেও ধন্যবাদ কোটা সংস্কারের পক্ষে স্টেটমেন্ট দেওয়ার জন্য।

তবে আমি আমার স্ট্যান্ড পয়েন্ট থেকে সরছি না। খেয়াল করুন, উনি এই স্টেটমেন্ট দিয়েছেন ৯ এপ্রিল সোমবার। তখন অলরেডি একটা আবহ বয়ে যাচ্ছিল যে সরকার কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে ইতবিাচক কিছু্ একটা করবে। আপনি নিশ্চয় মনে করতে পারছেন যে সমসাময়িক কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমেরুদণ্ডী ভিসি এবং শিক্ষক সমিতিও তখন কোটা সংস্কারের পক্ষেই কথা বলছিলেন এবং এর পরপরই ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন, যেটা তিনি এখন অস্বীকার করছেন।
ড. জাফর ইকবাল গংদের এই যে হাওয়া বুঝে পাল তোলা চরিত্র, সেটাই ধ্রুব সত্য। কিন্তু উনারা সবসময় সেই সত্যকে এড়িয়ে একটা মহান ভাব ধরে থাকেন আর পাব্লিককে সেই মহান ভাবটা খাওয়াতে চেষ্টা করেন।

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: কল্পদ্রুম, আপনি যে সময়ের লিংক দিয়েছেন , সে সময়ে ঢাবির ভিসিও বলেছে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন বৈধ। আর এখন বলছে ছাত্ররা জঙ্গী!! এইসব দলীয় শিক্ষক নামধারী ভন্ডরা মালিকের নির্দেশ মাফিক স্টেট্মেন্ট দেয়।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিও কল্পদ্রুমকে সে কথাই বলেছি।

১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

মোগল সম্রাট বলেছেন: জাতির শৌচাগারে এরা সব এখন টয়লেট পেপার!

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: খিকজ!

১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইতিমধ্যেই এদের কে সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাছাড়া ছাত্রলীগ এদের কে কানসা বরাবর থাপ্পড় দিয়ে প্রমান করেছে হ্যাতারা দলীয় দয়ায় পালিত শ্রেণি বিশেষ ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

পদ্মপুকুর বলেছেন: দলীয় দয়ায় পালিত হোক আপত্তি নেই, কিন্তু কাক হয়ে ময়ুর সাজতে যায় বলেই তো রাগ লাগে।

১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

ব্লু হোয়েল বলেছেন: চেতনা বিরোধী গোষ্ঠি ক্ষমতায় থাকলে বলার অপেক্ষা রাখত না।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: সে তো বলাই বাহুল্য

১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

বাবিতো বলেছেন: দেশে যে কোন দাবী যদি সরকারের গুটি কয়েক জন ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক না হয় তা হলে তা হবে, চেতনা বিরোধী, অথবা রাজাকারদরে দাবী।

আমার কাছে খুব ভাল লাগছে, বর্তমান কোটা বিরোধী আন্দলনে রাজাকারের বাচচাদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবী করছে। যৌক্তিক একটা দাবীকে কিভাবে নষ্ট করা যায় তার একটা প্রমাণ। রাজাকারের বাচচারা তো একটা ভাল কাজ করতে পারছে? না কি?
কোটা বিরোধী আন্দলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্যসহ জাতীর বহু বিবেক সমর্থন দিয়েছেন। আশা করি তাঁরা তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করবেন।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ন্যূজ্জ্ব ভিসি অলরেডি সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন যথারীতি।

১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উনার রঙ তো সবাই জানে। উনি বিশেষ বিশেষ সময়ে কথা বলে উঠেন...

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: এই চরিত্রটাই তো খারাপ চরিত্র।

২০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: তিনি কি বলবেন সেইটাই এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: কিছু সনেট পাঠিয়ে হেল্প করবেন না কি? :P

২১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ডক্টর জাফর ইকবাল সহ সুলতানা কামাল ও আনিসুল হক সবাই টিভি ব্যাক্তিত্ব - তাদের হারানো বিজ্ঞপ্তি সম্ভবত আপনার নেক নজরে আসে নি ? তাদের হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তাদের ঢাকা শহরে একটি আন্তর্জাতিক কলেরা হাসপাতালে শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন ভাড়া করে কলেরা রোগে ভুগছেন বলে যানা গেছে - তারা দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী ।।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: নজরে এসেছিল। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম আপনার বিজ্ঞাপ্তির পর দ্রুত সুস্থ হয়ে ফেরত আসবেন স্বমূর্তিতে....

২২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০৫

অক্পটে বলেছেন: আপনি ওনাকে জাতির বিবেক বলাতে আমার দুঃখবোধ বাড়ছে। উনি স্বেরাচারের হাতকে শক্তিশালি করার কাজে নিয়োজিত। একজন ঠগ হলেন জাফর ইকবাল। মেয়েটির নাম নারিনা ওনার লেখা বই। ওই বইটা লেখার উদ্দেশ্য কি? আজকের শাসনামলে কেন তিনি এমন একটি বই লিখতে পারছেন না ??

তাহলে কেন ওনাকে ঠগ বলবোনা?

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভাইরে অকপটে সরল কথা বলে দিয়েছেন। কিন্তু আমি তো উনাকে জাতির বিবেক বলিনি। অনেকে উনারে পীর মানে, জাতির বিবেক মনে করে। উনার ভূলচুক হতে পারে এইটাই মানতে পারে না।

উপ্রে একজন ব্লগারের নাম বলেছি দেখেছেন হয়তো, এই জাতির বিবেকের উপর কিছু প্রশ্ন করে উনি নিজের ব্লগিং ক্যারিয়াই শেষ করে ফেলেছেন। আমার অত সাহস নাই। মৃদু আওয়াজ তুলেছি মাত্র।

ভালো থাকবেন।

২৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৪১

নিভৃতেনৈঃশব্দে বলেছেন: আপনার পদ্মপুকেরে কি পানি কম পড়েছে যে সাঁতার কাটতে না পেরে ডাঙায় এসে ঝামেলা করছেন ? জাতির বিবেক দেখে কি ডঃ জাফর ইকবালের একটু ঘুম টুম বা রেস্ট ফাস্ট নিতে হবে না ? কিছুদিন আগেই হয়ে যাওয়া এতবড় একটা এটাক থেকে সবে সেরে উঠেছেন ! উনাকে ক্ষ্যামা দেননা ভাই একটু !!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: বছর পনেরো আগে একটা সংকলন পড়েছিলাম, কানসাট আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রকাশিত, নাম ছিল 'জ্বলি ন উধিম কিত্তে?

সার্কাজম সম্ভবত, তবুও জবাবে বলছি, জ্বলি ন উধিম কিত্তে?

ভালো থাকবেন।

২৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাপ্রে! যে দর্শন দিলেন! আমি বাপু সাদাসিধে কথা বলতে পছন্দ করি।

ভালো থাকুন।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন, সবাই ভালো থাকুক

ভালো থাক ফুল, সোনালী বকুল...

২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: হায়রে সাধের দুনিয়ায়, মানুষ পাওয়া বড় দায়, মানুষ দেখতে চল এবার যাদুঘরে যাই সবাই।
চেহারাটা দেখতে সুন্দর, পোষাকটাও চমৎকার, অন্তরেতে কালি ভরা মনটা ভীষণ কদাকার,
তোমরা একেও যদি মানুষ বল আমার কিছু বলার নাই,
মানুষ দেখতে চল এবার যাদুঘরে যাই সবাই।

[সংগৃহীত- আইনউদ্দিন আল আজাদ (রহ) এর সঙ্গীতের কিয়দাংশ ]

২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: এই মানুষটা কেমন যেন পরগাছা গোছের।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: সাধারণত দেখা যায়, নিজের মধ্যে পাপবোধ থাকলে মানুষ হীনমন্যতায় ভোগে, সেই হীনমন্যতা থেকে বাঁচতে মানুষ নানারকম কাজকর্ম করতে থাকে।

২৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনার ব্লগে একটা মেসেজ দেখলাম৷ প্রবেশ করতেই।।

এই ব্লগটি স্থগিত অথবা বাতিল করা হয়েছে।।
এটা কোন কারনে ?? এটা কি
লেখার অনুমতি নাই৷ এমন কিছু???

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না আপনার কথা। কোথায় এই মেসেজ পেলেন? আমি তো অফলাইনে গিয়ে নিজের ব্লগে ঢুকলাম, কিছুই দেখলাম না। প্রযুক্তিগত ত্রুটি হতে পারে, আরেকবার আগের মত ট্রাই করে দেখে জানাবেন প্লিজ?

২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জাফর ইকবালের সমালোচনা।

অনেকটা এমন যে এস আলম স্যার ছিলেন আমাদের ইএমই এর প্রফেসর। তো ১৩ সাইকেল ক্লাসের মধ্যে ৮ সাইকেল আমাদের শেখালেন কিভাবে স্বপ্ন দেখতে হয়। সিলেবাসের কিছুই শুরু করলেন না। এদিকে পড়ে আছে বিশাল একটা সিলেবাস। ক্লাশের টপ ছাত্ররা বুদ্ধি করে গেলো হেডের কাছে নালিশ। হেড নালিশ শুনলেন। উনি তার পরের দিন ক্লাসে এসে তেমন কিছুই বললেন না শুরু করলেন আবার সে স্বপ্ন দেখানো। তো ক্লাস যখন শেষের দিকে তখন একজন সহ্য করতে না পেরে বলে বসলেন এভাবে চললে কেমনে হবে? পরীক্ষায় তো ফেল করবে সবাই।

উনি হেলে বললেন পড়াচ্ছেন উনি, প্রশ্ন করবেন উনি, এমনকি খাতাও উনি দেখবেন। সিলেবাস না শেষ হলে সাদা খাতা জমা দিনেও সবাই পাশ করবে। স্বপ্ন কিভাবে দেখতে হয় এটা যখন শেষ হলো তখন উনি শেখ ওয়াজেদ মিতার একটা বই দিলেন। বইটা আমার দেখা একটা সেরা বই ইএমই এর ওপর। তারপর ঐ ৫ সপ্তাহ কিভাবে কি হলে জানি না, উনি যতক্ষন ক্লাস নিতেন সবাই চুম্বকের মতো বসেছিলো। সিলেবাস শেষ হলো, পরীক্ষা দিলাম আমার মতো লাস্ট বেঞ্চার পর্যন্ত বি +!

ওনার জন্য আমরা বেশীর ভাগ ছাত্র টেলিকমে মেজর করি। বেশীর ভাগ পোলাপান জিপিতে ঢোকে।

তখন মনে হলো এসব মানুষের সমালোচনা করতেও যোগ্যতা লাগে

এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত

২৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: উনি এই স্টেটমেন্ট দিয়েছেন ৯ এপ্রিল সোমবার। তখন অলরেডি একটা আবহ বয়ে যাচ্ছিল যে সরকার কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে ইতবিাচক কিছু্ একটা করবে। আপনি নিশ্চয় মনে করতে পারছেন যে সমসাময়িক কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমেরুদণ্ডী ভিসি এবং শিক্ষক সমিতিও তখন কোটা সংস্কারের পক্ষেই কথা বলছিলেন এবং এর পরপরই ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন, যেটা তিনি এখন অস্বীকার করছেন।

প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কেবল ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।আদালতের একটা রায়ের প্রেক্ষিতে।কোটা সংস্কার বিষয়ে সরকারী কমিটির কোন প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ পায়নি।ড: জাফর ইকবাল এবং ওনার মত আরো যাঁরা এর পক্ষে মন্তব্য দিয়েছিলেন তাঁদের কথা বলার সময় তো এখনো শেষ হয়নি।এখনি এনাদের অন্তত এই ইস্যুতে বিচার করতে বসা কি ঠিক হচ্ছে?
আর ঢাবির ভিসির ব্যাপারে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

আপনার থেকে আমি বয়সে একটু ছোট হবো।কিন্তু আমাদের জেনারেশনটাও,অন্তত ব্যক্তিগতভাবে আমি যাদের বই পড়ে শৈশব কৈশর কাটিয়েছি তার ভিতর উনি অন্যতম।আপনি যে বইগুলোর নাম বললেন ওগুলো পড়ে আমরাও বড় হয়েছি।ওনার ক্যাম্প,আমার বন্ধু রাশেদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছি।এজন্য বোধহয় এনাদের উপর থেকে আশা হারাতে মায়া লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.