নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার এক প্রিয় লেখকের বিদায়

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২২


র‌্যামন পাবলিশার্স এর সেলসপার্সন হিসেবে কাজ করেছিলাম এক বইমেলায়। একুশের বইমেলা ছিলো ওটা। একদিন বিকেলে আমি একাই ছিলাম স্টলে। হঠাৎ দেখি রাগী চেহারার এক ভদ্রলোক হন হন করে স্টলের দিকে আসছেন। স্টলের সামনে এসে কি একটা বইয়ের পুণঃমুদ্রণ বিষয়ে খুব বকাঝকা করলেন র‌্যামনের মালিকপক্ষকে। পরে জেনেছিলাম, উনি মেজর অব. কামরুল হাসান ভূইঁয়া। ২ নম্বর সেক্টরের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে আমি উনার নাম শুনিনি।

ভদ্রলোক চলে গেলে যে বইটা নিয়ে উনি কথা বলছিলেন, আমি তার একটা কপি তুলে নিলাম। জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা নামের এই বইটা আমার পড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলাদা। একেবারে অন্যরকম। এই বইটাতে উনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কিভাবে একদম সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ অংশগ্রহণ করেছে তার কিছু সাবলীল বর্ণনা দিয়েছেন।

আমি রীতিমত মুগ্ধ এই বই পড়ে। পরবর্তীতে অসংখ্য যায়গায় আমি এই বইয়ের উদাহরণ দিয়েছি। আজকের দিনে মতলববাজ একটা শ্রেনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে শুধুমাত্র নিজেদের অর্জন বলে কুক্ষিগত করতে চাইছে। কিন্তু মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া দেখিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথাগত যুদ্ধে এমন অনেক সৈনিক ছিলেন, যারা শুধুমাত্র দেশের ডাকে, মাতৃভূমির টানে যুদ্ধে এসেছিলেন এবং যুদ্ধ শেষে ন্যূনতম প্রতিদানের আশা ছাড়াই নিজ নিজ পেশায় ফিরে গিয়েছিলেন। এমন সব পেশা থেকে এসে তাঁরা এসেছিলেন, যে পেশাগুলোকে সভ্য সমাজে বর্বর হিসেবে গণ্য করা হয়, অচ্ছুৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অথচ তখন নিয়মিত সৈনিক, মধ্যবিত্ত-উচ্চ মধ্যবিত্তের পাশাপাশি তাঁরাও দেশের জন্য প্রাণ দিতে পিছপা হননি।

তাই উনার বর্ণনায় আখাউড়া স্টেশনের একজন পকেটমার পেশাজীবির মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার গল্প এসেছে, যে এখনও ওই একই স্টেশনে পকেটমার পেশাতেই আছে। কুড়িগ্রামের একজন অতি সাধারণ বৃদ্ধ মা’র কথা আছে, যিনি শত্রুপক্ষের ট্যাংকের আওয়াজকে উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গরম ভাত নিয়ে এসেছিলেন। আছে সুন্দরবনের শ্যালা নদীর পাশের সেই লুঙ্গি কাঁছা মারা যুবকের কথা, যে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও তার দ্বিগুণ আকৃতির এক পাঠানের সাথে মল্লযুদ্ধে চলে গিয়েছিল শুধুমাত্র বাঙালির শৌর্যবীর্যকে কটাক্ষ করার বদলা নিতে!

এ রকম আরো আরো ঘটনা কামরুল হাসান সাহেব খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। হৃদয়ছোঁয়া। আমি পরবর্তীতে উনার বিজয়ী হয়ে ফিরব নইলে ফিরবই না, একাত্তরের কন্যা-জায়া-জননীরা, মুক্তিযুদ্ধে শিশু-কিশোরদের অবদান ইত্যাদি বইগুলো পড়েছি এবং একইভাবে মুগ্ধ হয়েছি। লেখক হিসেবে উনি ভালো ছিলেন নিশ্চয়, ২০১৮ সালের বাংলা একাডেমি পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন।

এই বইগুলোই ভদ্রলোকের সাথে আমার সম্পর্কের সেতু। এ ছাড়া এই মুগ্ধ পাঠকের সাথে উনার কোনো সম্পর্ক তৈরী হয়নি কোনোদিন। গত সপ্তাহে অফিসের এক সহকর্মী জানালো যে মেজর অব. কামরুল হাসান অসুস্থ, সিএমএইচ-এ আছেন। তাঁকে রক্ত দিতে যাবে। আমার আবার মনে পড়লো সেই বইমেলার রাগীরাগী লোকটাকে।

আজ দুপুরে হান্নান বললো, মেজর কামরুল হাসান মারা গেছেন। যদিও কোনোদিন কথা হয়নি, খুব যে পরিচিত লেখক উনি, তাও না। তবুও আমার প্রিয় লেখক ছিলেন। তাঁর বিদায়ে হঠাৎ করেই বুকটা কেমন খালি খালি হয়ে উঠলো। প্রার্থনা করি, আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করুন। আমিন।

ছবি কৃতজ্ঞতা: আশরাফুল আলম হান্নান

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কিছু বই পড়বার ইচ্ছে আছে। পোস্ট সংরক্ষণে রাখলাম।

আল্লাহতালা যেনো উনাকে ওপারে ভালো রাখেন - এই কামনা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: উনার লেখা মুক্তিযুদ্ধের বইগুলো পড়তে পারেন।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আশাকরি, উনার সৈনিকেরা উনাকে মনে রেখেছেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: সেটাতো বলতে পারবো না স্যার। আপনি কি উনাকে জানতেন?

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: স্যালুট কামরুল ইসলাম ভূইঁয়া সাহেবকে। এমন রাগী চেহারার টাইগারদের আমি পছন্দ করি।


@মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথাগত যুদ্ধে এমন অনেক সৈনিক ছিলেন, যারা শুধুমাত্র দেশের ডাকে, মাতৃভূমির টানে যুদ্ধে এসেছিলেন এবং যুদ্ধ শেষে ন্যূনতম প্রতিদানের আশা ছাড়াই নিজ নিজ পেশায় ফিরে গিয়েছিলেন।
.... সহমত। এরাই আসল হিরো। আমি তো এদের সেনাবাহিনীর উপর স্থান দেই।


পুনশ্চঃ
লেখার বর্ণনাটা প্রাণবন্ত ছিল। পড়ে খুব ভালোলাগল।:)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

কামরুল ইসলাম ভূঁইয়ার উপস্থাপনা এবং সমাজের এড়িয়ে যাওয়া নায়কদেরকে আলোয় আনার চেষ্টাকে ভালো লেগেছিলো। সাধারাণত সব সময়ে এই আসল হিরোদেরকে ইগনোর করা হয়। উনি সেটা করেননি।

ভালো থাকবেন।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা!
আল্লাহ উনার বেহেশত নসীব করুন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা।
কিন্তু 'চমৎকার লেখা' এর পর একটা ! ব্যবহার করেছেন। সাহিত্যে এই চিহ্নের কিন্তু উল্টো অর্থ করে..... =p~

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩০

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার গল্প শুনানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। প্রিয়তে রাখলাম, বইগুলো সংগ্রহ করার ইচ্ছে আছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: নারে ভাই, আমি উনাকে চিনিই না। একদিন মাত্র দেখেছিলাম। গল্প কি শুনাবো। উনার বই পড়ে ভালো লেগেছিল। হ্যা আপনিও উনার বইগুলো পড়তে পারেন। ভালো লাগবে।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩১

রাকু হাসান বলেছেন:



ব্যাপক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন । আমি একদম সাধারণ মানুষের যুদ্ধ অংশগ্রহণের ইতিহাস নিয়ে খুব আগ্রহী অনেক দিন ধরে । কিন্তু এমন বই খুঁজে পায়নি । জনপ্রিয় মুক্তিযোদ্ধ এর বইগুলোতে আপামর সাধারণ কে বৃহৎ পরিসরে তুলে ধরতে দেখিনি। বইটি নাম জানতে পেরে খুব ভাল লাগছে ।আমার উপকার করলেন । কৃতজ্ঞ আমি । প্রিয়তে নিলাম । খারাপ লাগছে কোন শোক প্রকাশ বা আলোচনা হয়নি । আমি মাত্র শুনলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে । উনার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার উপকারে আসতে পেরে ভালো লাগছে। আর আজকের প্রথম আলোয় নিউজটা এসেছে।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনাকে ধন্যবাদ, গুণী এ মানুষটিকে আমাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি সত্যিকারের একজন দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন; এরা কিছু পাওয়ার আশায় মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। এদের যুদ্ধ ছিল দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার চৌধুরী। আমিও মনে করি, জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা'য় উনি যে সব প্রতিদান প্রত্যাশাবিহীন যে সকল নায়কদের বর্ণনা দিয়েছেন, তিনি নিজেও তেমনই একজন। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: তাঁর বই পড়ার ইচ্ছে থাকল।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মোহ বই লেখা হয়েছে খুব কম। কিছু লেখকের বই পড়লে মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান এত বেশি যে, তিনি না থাকলে দেশটাই স্বাধীন হত না!
নির্মোহ কিছু বইয়ের সন্ধান দিলেন।
মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকবেন, মানুষের মনে, আমাদের ইতিহাসে। কোন একদিন, হাজার বছর পর, তার লেখা বই পড়ে হয়ত কোন এক কিশোর কিংবা কিশোরী মুগ্ধ হবেন আপনার মতই। এঁদের মৃত্যু নেই।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: তাঁর বই পড়ার ইচ্ছে থাকল।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মোহ বই লেখা হয়েছে খুব কম। কিছু লেখকের বই পড়লে মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান এত বেশি যে, তিনি না থাকলে দেশটাই স্বাধীন হত না!
নির্মোহ কিছু বইয়ের সন্ধান দিলেন।
মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকবেন, মানুষের মনে, আমাদের ইতিহাসে। কোন একদিন, হাজার বছর পর, তার লেখা বই পড়ে হয়ত কোন এক কিশোর কিংবা কিশোরী মুগ্ধ হবেন আপনার মতই। এঁদের মৃত্যু নেই।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালো বলেছেন, কিছু লেখকের বই পড়লে মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান এত বেশি যে, তিনি না থাকলে দেশটাই স্বাধীন হত না! হয়তো খুঁজতে গেলে দেখা যাবে যে আদতে যুদ্ধের সময় তিনি নিরাপদে কোনো এক পাকিস্তানির বাড়িতে নিরাপদে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছিলেন....

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


@আরণ্যক রাখাল,
আপনি বলেছেন, " কিছু লেখকের বই পড়লে মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান এত বেশি যে, তিনি না থাকলে দেশটাই স্বাধীন হত না! "

-এরা শুনে শুনে, অনুমানে লিখেছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: হু, সুর্যের চেয়ে বালি গরম অবস্থা..

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

খাঁজা বাবা বলেছেন: ওনার বেশ কিছু ইন্টারভিউ দেখেছি, সোজা সাপ্টা সহজ ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত কথা বলেন

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: নিজের ভেতরটা পরিষ্কার থাকলে সোজাভাষায় কথা বলা যায়।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট মানুষ ছিলেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: অবশ্যই। অন্যের অবদানের স্বীকৃতি দিতে পারা মহত্বেরই পরিচয়।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই মহান মুক্তিযোদ্ধার সাথে ২০১৩ সালের একুশের বইমেলায় আমার দেখা হয়েছিল। আমার একটি উপন্যাসের বিক্রি তদারকির জন্য ঢাকায় ছিলাম। সেই সময় মেজর (অবঃ) কামরুল ইসলাম ভুঁইয়া শুধু মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রকাশিত কিছু বই নিয়ে একা একটি স্টলে বসে পাঠকদের সাথে কথা বলছিলেন। তাঁর কথা কিছুক্ষণ শোনার পর আমি মুগ্ধ হয়ে যাই এবং তাঁকে কিছু প্রশ্ন করার অনুমতি চাইলে তিনি হাসিমুখে আমাকে অনুমতি দেন। দশ পনের মিনিট কথা হবে বলে অনুমান করেছিলাম। কিন্তু কথায় কথায় প্রায় দেড় ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে যায়।

একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মেজর (অবঃ) কামরুল ইসলাম ভুঁইয়ার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। আল্লাহ তাঁকে বেহেশতে নসীব করুন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার সাথে আলাপ হয়নি কোনোদিন। তবে আমার সাম্প্রতিককালের সহকর্মী হান্নানের সাথে খুব যোগাযোগ ছিলো। শুনেছি উনি খুবই ইজিগোয়িং ছিলেন। ইচ্ছে ছিলো যে হাসপাতালে একদিন দেখতে যাবো, হয়ে উঠেনি।

ভালো কথা, আপনার নামের সাথে আমার মাতৃপ্রদত্ত নামের বৃহদংশ মিল আছে। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

বিজন রয় বলেছেন: হারালাম!!

শ্রদ্ধা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

গরল বলেছেন: শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা উনার প্রতি আর আপনাকেও ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ অনুরোধ করবো, ওনার নামটি ভুল লিখেছেন, নামটি সংশোধন/সম্পাদনা করে নেবেন প্লীজ। ওনার সঠিক নাম কামরুল হাসান ভূঁইয়া, 'ইসলাম' নয়।
তারপরেই, একজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে এ পোস্ট লেখার জন্য আপনাকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাচ্ছি।
উনি এ বছরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা সাহিত্যের জন্য বাঙলা একাডেমী পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। তবে, সম্প্রতি ওনার কিছু কথাবার্তা এবং ফেইসবুক পোস্টের কারণে উনি সরকারের কিছুটা বিরাগভাজন হয়েছিলেন বলে শোনা যায়।
সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি অত্যন্ত লজ্জিত নামটা ভূল লেখা হয়েছে। এই ভূলটার সাথে ওই বইটা 'জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা' নাকি 'গণযুদ্ধের জনযোদ্ধা' এইটাও আমার মনে থাকে না এবং যখনই রেফারেন্স দিই, বলি যে উনার একটা বই আছে, জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা অথবা গণযুদ্ধের জনযোদ্ধা....

যাই হোক, আমি আপনাকে মিস করছিলাম স্যার। আর ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা। আর এখন তো গ্রহণকাল চলছে, কে কখন কার বিরাগভাজন হবেন, বলা মুশকিল।

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অথেনটিক সোর্স হিসেবে ওনার বই বেশি আসে । উনি অনেক কিছুই তুলে এনেছেন যা অন্য কেউ তুলে আনতে পারেননি ।

তবে হ্যা আমি @চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে একমত

অনেকে শুনে মুসলমান টাইপের লোক । যা শুনছে তাই লিখেছে ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অথেনটিক সোর্স হিসেবে ওনার বই বেশি আসে ।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করছেন না কি? এই খাতে নিরপেক্ষ গবেষণা হওয়া দরকার প্রচুর পরিমাণে।

১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রায় আড়াই বছর আগে অসুস্থ ওনাকে ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখে এসে আমি একটা কবিতা লিখেছিলাম, ইচ্ছে হলে সেটা এখানে পড়তে পারেনঃ চারতলার চারশ’ চৌদ্দ....
আজ বিকেলে বাদ 'আসর ওনার কুলখানি থেকে ফিরে এসে আমি আমার এ কবিতাটি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে পুনরায় পড়লাম এবং তার সাথে আমার আলাপচারিতাটুকু পুনরায় স্মরণ করলাম।
আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিন এবং জান্নাত নসীব করুন!

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২

রাকু হাসান বলেছেন: একাত্তরের কন্যা-জায়া জননীরা পড়ছি । অনেক ইমোশনাল গল্প । আবেগ কনট্রোল করা অনেক কঠিন ব্যাপার এ বই পড়ে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.