নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে হচ্ছে করোনা ভাইরাসের জন্য আওয়ামীলীগকে ভুগতে হবে

২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৪


গতকাল বিবিসি'র এক ক্লিপিংসে দেখলাম ভারতের সেন্টার ফর ডিজিজ ডায়নামিকস, ইকোনোমিক্স অ্যান্ড পলিসি-এর পরিচালক ড. রামানান লক্ষীনারায়ণ বলছেন- যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সংক্রমনের আশংকা করা হচ্ছে, ভারতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ ধরলে সংক্রমনের পরিমাণ হবে প্রায় ৩০ কোটি।

বাংলাদেশের জনঘনত্ব ক্ষেত্রবিশেষে ভারতের চেয়েও বেশি। তাই গরমকে মাথায় রেখেও এখানেও যদি ওই ২০ শতাংশ ধরা হয়, তাহলে আক্রান্তের পরিমাণ ৩ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ড. রামানান ভারতের ব্যাপারে বলছিলেন, মনে হচ্ছে আমরা এখনও সারা বিশ্ব থেকে কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে আছি। অন্যদিকে, বাস্তবতা বলছে বাংলাদেশে আমরা তার চেয়েও বেশি সময় পিছিয়ে আছি।

যেহেতু আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থায় খামতি রয়েছে এবং টোলারবাগের দুটি মৃত্যুর ঘটনাতেই রোগীকে চিকিৎসাসেবা পেতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে, এ অবস্থায় বাংলাদেশে আক্রান্তের পরিমাণ ব্যাপক হলে মৃত্যুর হারও ব্যাপক হবে বলেই আশংকা করা যায়।

চায়নায় করোনা সংক্রমনের পর প্রায় আড়াই মাস সময় পেলেও আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশ কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেয়নি। বরং রাষ্ট্রের অদক্ষ মন্ত্রী ও নির্বাহীরা বেআক্কেলের মত বক্তব্য দিয়ে গেছে। খুব সম্ভবত দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত মুজিববর্ষ 'উদযাপনের ক্ষণ' কাছে চলে আসার আবেগে-উত্তেজনায় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে গেছে। সে কারণে শতকোটি টাকা দিয়ে আতশবাজি কিনতে পারলেও তার চেয়েও কম টাকা খরচ করে করোনা প্রস্তুতি নিতে পারেনি।

গতকাল রাতে মিথিলা ফারজানার উপস্থাপনায় এক টকশোতে গত ১৮ তারিখে দেশের সকল ব্যাংকারকে রাস্তায় নামিয়ে মিছিল করানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করলে পরিকল্পনামন্ত্রী সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারলেন না।

সেই একই আবেগ এবং মুজিববর্ষ না করতে পারার বিহ্বলতায় সরকার এখনও কোনো সলিড ডিসিশন নিতে পারছে না বলেই মনে হচ্ছে, যদিও ব্লগার সায়েমুজ্জামান দক্ষিণ কোরিয়ায় বসে এদেশের প্রশাসনের অনেক কর্মদক্ষতা দেখছেন!

এ অবস্থায় যে ভয়ানক পরিস্থিতি আসতে যাচ্ছে, পরিবার প্রতি যদি এক/দুজন করে মারা যায়, স্বাভাবিকভাবে সে আক্রোশ এসে পড়বে চলতি সরকার হিসেবে আওয়ামীলীগের উপরে। আমলারা ঠিকই থেকে যাবে, কিন্তু এই আক্রোশে দীর্ঘমেয়াদে আওয়ামীলীগকে ভুগতে হতে পারে। আওয়ামীলীগ কি প্রস্তুত?


মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

কূকরা বলেছেন: সরকারের অধিকাংশ মাথাভারি বড়কর্তা এবং মন্ত্রিরা, অযোগ্য হওয়ার পরেও যাদেরকে প্রোমোশন দিতে দিতে একেকটা ধাড়ি জোকারে পরিনত করা হয়েছে..........আপনি যদি মনে করেন এরা আপনাকে কোন সমাধান দিবে, তাইলে আপনি সঠিক লাইনে চিন্তা করতেছেন না।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: এখন আমাদেরতো উপায় নেই, সমাধানের জন্য উনাদের দিকেই তো তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে আমাদের চেয়ে কম আক্রান্ত হওয়ার পরও আজ থেকে সেখানে লকড ডাউন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সেই ডিসিশনটাও নিতে পারছে না। এখন আমি বা আপনি বললেতো কেউ শুনবে না, উনাদেরকেই বলতে হবে। এবং ডিসিশন না নিতে পারার জন্য ভুগতেও হবে।

যাকগে, অনেকদিন পর ব্লগে দেখছি আপনাকে, কোথায় ছিলেন?

২| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

কূকরা বলেছেন: ব্যস্ততার জন্য লেখালেখি কম করি।

বাংলাদেশের বাস্তবতায় worst case scenario বিবেচনায় (যখন সরকার যথারীতি ফাত্রামি করতে থাকবে এবং নিজেদের পাছা বাঁচানো ছাড়া তেমন কোন সিরিয়াস কিছু করবে না তখন) ব্যক্তিগত লেভেলে আমাদের কি কি করা উচিত, তা এখনই জানা দরকার। মনে হচ্ছে খুব বেশি সময় হাতে নাই।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১০

পদ্মপুকুর বলেছেন: অবশ্য আমরা পাব্লিকও সুবিধার না। দেখেন না কোয়ারেন্টাইনে থেকে সমানে বিয়ে/ঘোরাঘুরি/ইতরামি/ফাত্রামি করে যাচ্ছি...
ব্যক্তিগত লেভেলে যা করা দরকার সেগুলো করছি কই?

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

কূকরা বলেছেন: সাবধানতার কোন বিকল্প নাই। এর পরে সরকার যা করবে তা বোনাস ধরতে হবে। আমার কথা হল, সরকারের উপরে ভরসা করা বোকামি হবে।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১১

পদ্মপুকুর বলেছেন: সরকারের উপরেই তো ভরসা করতে হবে। আপনি আমি বললে তো কেউ শুনবে না।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুজিববর্ষ নিয়ে অনেকের এলার্জি দেখা যাচ্ছে।
অতচ মুজিববর্ষের ৯৫% প্রোগ্রাম কাট করা হয়েছে দু সপ্তাহ আগেই।
কথায় কথায় শতকটি! আতশবাজি কিনতে শতোকটি টাকা লাগে না। কিছুদিন আগে 'ঘুড়ি দিবসে' রাত ব্যাপি পুরান ঢাকার ছাদে একজন মধ্যবিত্ত মানুষ এরচেয়ে বেশি আতশবাজি ফুটিয়েছিল।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: মুজিববর্ষ নিয়ে অ্যালার্জি তো থাকবেই স্যার, কারণ সাধারণ দৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে যে মুজিববর্ষের কারণেই করোনাকে গুরুত্ব দেয়নি সরকার। এটা আমাকে আলাদা করে বলতে হবে না, আপনি সমাজে কান পাতলেই শুনতে পাবেন। আর আমার পূর্ববর্তী পোস্ট পোস্ট এবং তার প্রতিমন্তব্যগুলো পারবেন।পড়লেই মুজিববর্ষ নিয়ে আমার অবস্থান বুঝতে পারবেন।

আমি এখনও আমার মতেই আছি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। সরকার সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

কথায় কথায় 'শতকোটি' ঠিকই আছে। আপনি ভেরিভাই করে দেখতে পারেন।

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১১

রাশিয়া বলেছেন: আমাদের একটাই কাজ করার আছে - সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স তৈরি করা। প্রত্যেকে অপরের কাছ থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন এবং কথা বলার সময়ে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘরের জানালা বন্ধ রাখুন, আল্লাহ আল্লাহ করুন।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঢাকা শহরে ৬ ফিট দূরত্ব বজায় রাখা যথেষ্ঠই কঠিন, অসম্ভব বলা চলে। দেখেছেন তো, বাস ট্রাকের পেছনে আগে লেখা থাকতো- ১০০ হাত দূরে থাকুন। এখন আর ওই লেখা দেখা যায় না, কারণ ওটা ঢাকায় সম্ভব না..

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১২

খাঁজা বাবা বলেছেন: অকর্মার ঢেঁকি

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রব্লেম হলো, এই ঢেঁকি খুব শব্দ করে...

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

কূকরা বলেছেন: লকডাউনে গেলে যা করবে
===========================================
ডা. কবীর উদ্দীন
ফেসবুক ডায়েরি ২৩ মার্চ ২০২০, সোমবার | সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০

চীন ফেরত চিকিৎসক ডা. কবীর উদ্দীন। যিনি ভারতে কোয়ারেন্টিন শেষে বাংলাদেশের এসেছেন। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে লকডাউন হলে করণীয় সম্বন্ধে লিখেছেন ফেসবুকে।

তিনি লেখেন,

-জ্বর আসলেই এন্টিবায়োটিক চালু করে দিবেন না এসময়। ভাইরাল ফিভার হলে এন্টিবায়োটিক চালু করলে হিতে বিপরীত হবে। জ্বরের সাথে গায়ে ব্যথা হলে বুঝবেন আপনি সিজনাল ফ্লুতে আক্রান্ত, সেক্ষেত্রে ২/৩ বেলা প্যারাসিটামল খেলেই হবে। * কিন্তু এসব উপসর্গের সাথে শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং নিকটবর্তী হাসপাতাল কিংবা সম্ভব হলে IEDCR যোগাযোগ করতে হবে।***

ব্যকটেরিয়া ঘটিত জ্বর যেমন টাইফয়েড হলে জ্বর শুরুতেই অনেক বেশী হবে, সেইসাথে পেট ব্যথা হতে পারে। টাইফয়েডে অবশ্য হাসপাতালে ভর্তি হলে ভাল হয়।

অল্প জ্বরে নিকটবর্তী হাসপাতালে CBC করিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিবেন আপনার জ্বরটি ভাইরাল না ব্যাকটেরিয়া জনিত, এরপর এন্টিবায়োটিক চালু করবেন।

তবে হাল্কা জ্বরের সাথে গা ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ৩ দিন খেয়ে বাসায় অবস্থান করলে সবচেয়ে ভাল।

-করোনা মহামারী খুব বেড়ে গেলে মুরগীর মাংস কিনবেন না, কারণ মনে রাখবেন করোনা ভাইরাসটি কিন্তু পাখী জাতীয় প্রানী যেমন হাঁস, মুরগী, কোয়েল ইত্যাদি প্রানীকেও আক্রমণ করে। হাঁস, মুরগী, কোয়েল এর মাংস ও ডিম- দুটোই এড়িয়ে চলা ভাল। এসব খাওয়ার ইচ্ছে বেশী থাকলে এখনই কিনুন ও খান বেশী করে। মহামারী শুরু হলে হাঁস, মুরগী, কোয়েলের মাংস খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। তখন খাসী ও গরু মাংস খাওয়া যেতে পারে।
- লকডাউনের শাকসবজী ও গরম স্যুপ বেশী করে খাওয়া ভাল। ঠান্ডা যে কিছু খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

- টক জাতীয় ফল খান বেশী করে।

- বাইরের মানুষ আনাগোনা এখনই কমিয়ে দিন। মেনমানদারী করা বাঙালীদের ঐতিহ্য, তবে এই ঐতিহ্য এখন বিসর্জন দেওয়া অবশ্যক। ভাড়াটিয়াদের বলেন, বাইরের মেহমান না আনতে। আর আপনি নিজেই ভাড়াটিয়ে হলে বাড়িওলাকে অনুরোধ করবেন, বাইরের মানুষ যতদূর সম্ভব কম যেন ঢোকানো হয়ে এপার্টমেন্টে।

- নিতান্তই দরকার না হলে বাজারে যাবেন না কারণ বাজার থেকে করোনা বেশী ছড়াবে। আর গেলে ভীড়ের সময় যাবেন না, ভীড় কম থাকলেই বাজারে প্রবেশ করবেন।

- কাগুজে টাকা ধরার পর অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন।

- কিছু ওষুধ আগাম কিনে রাখেন, যেমন খাবার স্যালাইন, গ্যাসের ওষুধ (anti ulcerant), পেট ব্যথার ওষুধ, ঘুম ও মাথা ব্যথা এবং অবশ্যই প্যারাসিটামল

- বাসার কল, গ্যাসের চুলা কিংবা অন্যান্য জিনিস নষ্ট থাকলে এখনই সারিয়ে নিন। লকডাউনে সারাতে ঝামেলা হবে।
- মোবাইলে বেশী টাকা রিজার্চ করে রাখুন

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ ডা. কবীর উদ্দীনকে।

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০১

ইফতি সৌরভ বলেছেন: পত্রিকা অনুযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যে ০২ + ০৩ = ০৫ (২২/০৩/২০; মধ্যরাত)। সরকারি হিসাব মতে, মৃত্যু 02। আক্রান্ত যতই হোক সে পর্যন্ত কাউকে "করোনা আক্রান্ত" বলা হবে না যতক্ষণ না উনি টেস্টে পজিটিভ হন আর দেশে টেস্ট কিট এর সংকট। সুতরাং সর্বোচ্চ সংখ্যা দশ হাজারের বেশি হতেই পারবে না।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভাইরে, মৃত্যুর লাইন যদি শুরু হয়ে যায়, তখন করোনা কি আর নিউমোনিয়া কি আর সিজনাল ফ্লু কি? সব মৃত্যুই মৃত্যু, সরকার ডিক্লেয়ার না দিলেই তো আর মৃত্যু থেমে থাকবে না। আপনার আমার যাওয়ার যায়গাও নেই।

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্যক্তিগত লেভেলে একত্রিত হয়ে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। সারা বিশ্ব আজ এক কঠিন সময়ের সম্মুখীন। সব দেশের সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এই লড়াই এ জয়ী হতে। আর আমাদের দেশের মন্ত্রীরা এখনও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আবোল তাবোল বকেই যাচ্ছে। নিল্লজ্জের মত এখনও যারা এই দেশের অযোগ্য অপদার্থ সরকারের চাটুকারিতা করছে খুব সম্ভবত তাদের কাছের কেউ বাংলাদেশে থাকে না। তাদের কোন ডাক্তার , নার্স বা স্বাস্থকর্মী আত্মীয়র বসবাস হয়ত বাংলাদেশে নাই, তাই তারা জানে না যে কতটা অসহায় অবস্থায় বিনা পিপিই নিয়ে এরা স্রেফ পেটের দায়ে হাসপাতালে কাজ করতে যাচ্ছে। এই]ভিআইপিদের হয়ত জানা নেই যে দিন আনে দিন খাওয়া মানুষগুলোর আজ কি করুন দশা। ১ হাজার কোটি টাকার গার্মেন্টস এর অর্ডার বাতিল হয়ে প্রচুর গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবার পথে আছে। এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর সামনে কি দিন অপেক্ষা করছে কেউ জানে না। যেই রেমিটেন্সের ওপড় নির্ভর করে আছে এদেশের অর্থনীতি সেই রেমিটেন্স প্রবাসীদের বিড়াট একটা অংশ চাকুরি হারিয়ে এখন স্বদেশে। বেসরকারী কোম্পানীতে (যে কোম্পানি আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ক্লায়েন্টের অভাবে) কাজ করা এক বন্ধুকে ফোন করে করোনার কথা জিজ্ঞাসা করায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলল '' আরে বাদ দাও করোনা, যেই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে করোনায় না মরে খাদ্যের অভাবে প্রচুর মরার অবস্থা হয়েছে।'' ভয়াবহ এক অনিশ্চিত অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র। কিন্ত সরকারের তরফ থেকো কোন আশার বানী শোনা যাচ্ছে না যাতে মানুষ নিশ্চিত বোধ করতে পারে। তারপরেও কিছু মানুষ সরকারের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেবার অভিপ্রায়ে সদা তৎপর।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার পরিচিত/আত্মীয় এক মাল্টি বিলিওনিয়র ছেলে-মেয়ে-বউ বাচ্চাসহ দুবাইয়ে গিয়ে আস্তানা গেড়েছে সপ্তাহ তিনেক আগেই! আপনি যথার্থই বলেছেন যে এখনও যারা এই দেশের অযোগ্য অপদার্থ সরকারের চাটুকারিতা করছে খুব সম্ভবত তাদের কাছের কেউ বাংলাদেশে থাকে না

যে ভয়াবহ দুর্যোগ সুনামীর মত এগিয়ে আসছে, তা নির্বিকারভাবে উপেক্ষা করে এই সরকার এদেশের মানুষের সাথে মস্করা করছে বলে মনে হচ্ছে।

১০| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রায় ১৪৫০ বছর ধরেই মুসলিমেরা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: বলেন কি!

১১| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার থেকে ঘোষণা আসতে পারে--২৫ থেকে ৩০শে মার্চ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক 'গৃহ অন্তরীণ'

২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিতো গতকাল শুনেছিলাম যে আজ থেকে লকড ডাউন!

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমি যেটা বলেছি, ইটালিতে দেখবেন, পুলিশ পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে গান বাজনা করছে। মানুষকে আনন্দ দিচ্ছে। আকাশে ইটালির পতাকা নিয়ে ডাইভ দিচ্ছে। দুর্যোগের সময় নাগরিকদের চাঙ্গা রাখতে আকাশে বাজি অনেক দেশেই ফুটানো হয়েছে। কোন দেশের সরকার এমন কোন বক্তব্য দেয়না, যাতে নাগরিকরা ভেঙ্গে পড়ে। ইটালির প্রধানমন্ত্রীর যে বক্তব্য এসেছে আকাশের ফয়সালা- তা ভুয়া। বানানো টুইট। কোন সরকার এরকমের বলতে পারেনা। এটার ভালো দিকটা চিন্তা করেন। আমাদের দেশের মতো একটি গরীব দেশে মানুষ আশাহত হলে তার একটা সাইড অ্যাফেক্ট আছে। তা হলো- মানুষ আতংকিত হয়ে বাজারে ঝাপিয়ে পড়বে। আমার যেটুকু মনে হয়েছে, মানুষ এখনো আতংকিত হয়নি। এর একটা সুফল পাওয়া যাচ্ছে। সেটা হলো বাজারটা এখনো নিয়ন্ত্রণে। মানে বাজারে এখনো সরবরাহ আছে। মাজিস্ট্রেট গেলেই একশ টাকার জিনিস পঞ্চাশ টাকা হয়ে যায়।

এবার খারাপ দিকটা বলি। মানুষ এরকম লাগামছাড়া হলে সংক্রমণ মারত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তবে সরকার বা বাংলাদেশে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন তারা কেউই মনে করছেন না এটা এদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাদের ধারণা সর্বোচ্চ ডেঙ্গুর আকার নিতে পারে। যদি কোরিয়ার মতো হয়, তাহলে তার ভয়াবহতা চিন্তাও করা যায়না। সব গবেষণার ফলাফল বা মানুষের ধারণা মুহূর্তেই অতিক্রম করবে।

এবার আসি, কেন মনে হয়না বহুল সংক্রামিত দেশের মতো বাংলাদেশ হবেনা। ভারত পাকিস্তানে বাংলাদেশের বহু আগেই করোনা এসেছে। তবে এখনো মহামারি আকারে কিছু হয়নি। কোরিয়াসহ যেসব দেশে সংক্রামিত হয়েছে সেখানে শীতের এই সময়টায় নানা ধরণের ফ্লুতে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যার মানুষ মারা যায়। যেটা আমাদের দেশে দেখা যায়না।

আরেকটা বিষয় নিয়ে কথা বলি। আমার অবাক লাগে, ডাক্তারদের কেন পিপিই থাকবেনা। যেখানে অনেক হাসপাতালে দেখছি দামি মেশিন পড়ে আছে, চালানোর লোক নেই। অথবা সে ধরণের রোগীও নেই। অথচ এ ধরণের প্রটেকটিভ জিনিসগুলো কেনাকাটা হয়না। এটা আমাদের কমন রোগ। আমরা রোগ জীবানুর বিষয়ে সতর্ক নই। নয়তো এমনিতেই তো ডাক্তারদের এসব থাকার কথা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কোন একদিন কাজে যাবেন। বুঝতে পারবেন। তারা কী জিনিস! এদের এ রকম সেবা পেয়ে ডাক্তাররা যে রোগী দেখেন সেটাইতো সাত জনমের ভাগ্য।

শেষে আক্রোশের কথা লিখেছেন। এদশে কিছু হবেনা। কেন হবেনা বলছি। দেখবেন নেতারা রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। নিশ্চয়ই এর কারণ আছে। এ ধরণের বক্তব্য মানুষকে ভাগ করে দেয়। সবাই দল হিসেবে ঘটনাকে বিচার করবে। একত্রিত হওয়ার সুযোগ দেবেনা। বাংলাদেশের মানুষের সাইকোলজি এরকমেরই। উনারা এটা ভালো জানেন ও বুঝেন।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে আমি পোস্টে আশা করেছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর এবং গোছানো বক্তব্যর জন্য।
আপনি সুন্দর লিখেছেন কিন্তু গত ৪৯ বছরে আমাদের জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে সরকারগুলোর ভূমিকা দেখেই মানুষ এখন ইতিবাচক ভাবনা চিন্তা ভূলে গেছে। যার ফলে নেতিবাচক বিষয়গুলোই আগে সামনে আসে।

দিনশেষে মানুষ দেখতে চায় যে সরকার আন্তরিকতার সাথে কিছু করছে। কেনো যেনো মনে হচ্ছে এই যায়গাটাতেই ঘাটতি রয়ে গেছে। সরকার সব পদক্ষেপই নিচ্ছে, কিন্তু বড্ড দেরী হয়ে যাচ্ছে। আমার বক্তব্য হলো শেষ বিচারে সরকার হিসেবে এর দায় নিতে হবে আওয়ামীলীগকেই।

ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর সমাবেশ!

১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা প্রসংগ বারবার বলেছি গরীবের জন্য এগিয়ে আসুন। বের হতে না পারলে হোমহীনরা খাদ্য পাবে কই? কে পৌছাবে তাদের হাতে।
চাল, ডাল, নুন, তেল, চিনি প্রদান প্রশাসনিক ব্যবস্থায় হতে পারতো সাথে সামর্থ্যবানদের সহায়তায়।
কিন্তু ভরসা কম, দেশে বিশাল পরিমাণ লোভীর লোভ করোনা থেকে ভয়ংকর।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যক্তিগত/সামষ্টিক সাহায্য সংগ্রহ করা যায়, দেশে লোভী মানুষ যেমন আছে, দাতা মানুষও আছে, কিন্তু উদ্যোগটা নিতে হবে সরকারকে।

১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: করুণাময় আল্লাহ আমাদের সকলকে বিপদ থেকে মুক্ত করে দিক, ভালো রাখুক, সুস্থ রাখুক....

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিন।

১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
করোনা পুরো বাংলাদেশকে ভোগাবে।

২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: সেটাতো অবশ্যই ভোগাবে স্যার! সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই মুহূর্তে 24 ঘন্টা মাথায় একটাই চিন্তা, করোনা।‌
সরকারকে অবশ্যই সদর্থক হতে হবে। তবে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও মিলিতভাবে উদ্যোগি হয়ে এই যুদ্ধকে প্রতিহত করা দরকার। ইতালিতে শুরুতে যার অভাব ছিল।
ভারতে মহারাষ্ট্র সরকার প্রথমে অতটা গুরুত্ব না দেয়ায় ফল পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য প্রথম থেকেই খুব সিরিয়াস ছিলেন। বিষয়টি রাজ্যবাসীর পক্ষে ভালো। তবে লকডাউন ঘোষণা করে তার মধ্যে রাজ্যের স্কুলে মিড-ডে মিলের ছাত্র পিছু দুকেজি চাল ও দু কেজি আলু দিতে বাধ্য করায় পরোক্ষভাবে সেল্প আইসোলেশন থেকে প্রকাশ্যে জমায়েতকে মদত দিয়ে বিগত দিনে ওনার যাবতীয় সতর্কতাকে যেন জল ঢেলে দিলেন। আগামীকাল সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী পাঁচদিন কলকাতায় লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। আইন ব্রেক করলে একহাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই এক-দুদিনের মধ্যে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন আশাকরি।

২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে যে ইটালি প্রথমে ক্যাজুয়ালি নেওয়াতে উন্নত দেশ হয়েও তারা এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। আপনার মিড-ডে মিলের বিষয়টা জানিনা, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুতই লকডাউন ঘোষণা করায় পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেছেন বলেই দৃশ্যত মনে হচ্ছে। কিন্তু আমরা এখনও সেই সিদ্ধান্তটাই নিতে পারিনি। হাস্যকরভাবে পাড়া/মহল্লা/বিল্ডিংভিত্তিক লকডাউন চলছে।

প্রথমে একটা বিল্ডিং, তারপর একটা কলোনী, এরপর একটা মহল্লা.... সংক্রমণ তো বেড়েই চলেছে, এলাকাভিত্তিক লকডাউন ফলপ্রসু হচ্ছে না, তাহলে সর্বাত্মক লকডাউন করার ডিসিশন নিতে এত দেরি কেনো হচ্ছে বুঝতে পারছি না।

একটা অফিসে কাজ করি। বাস্তবতার নীরিখে দেখছি যে লকডাউন ছাড়া কোনোভাবেই সংক্রমণ সম্ভব না। একজন কর্মী গণপরিবহণে করে অফিসে এসে সারাদিন একই পোশাকে থেকে সে কিভাবে ডিসইনফেকটেড থাকবে? দেরী হয়ে যাচ্ছে সবকিছুতে।

অনেকদিন আপনাকে দেখিনি, আশা করি ভালো আছেন। কলকাতার একজন ট্রাভেল ব্লগার আছেন ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম ১০০ অ্যান্ড অ্যাবাভ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন মৈত্রী ট্রেনে করে। ভালো লাগে তাঁর ট্রাভেল ব্লগ।

১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আল্লাহু আাদের ওপর রহমত করো ।

২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিন।

১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১৬

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমাদের দোষ কি? আমরা তো সাধারন জনগন আওয়ামীলীগ বিএনপি না তবে কেন আমাদের ভুগতে হচ্ছে!

২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে-উলুখাগড়ার বিপদ বাড়ে....

২০| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:১৯

ইমরান আশফাক বলেছেন:

২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: সবাই হলদে ক্যান?

২১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: Banker রা কি মানুষ না?
তাদের জীবনে কি নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই ?

২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: কারোর জীবনেই নিরাপত্তা নেই। করোনায় মারা না গেলেও একদিন নিশ্চয় মারা যেতে হবে সবাইকে। কুল্লু নাফসিন জায়িকাতুল মাউত।

২২| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩১

কূকরা বলেছেন: রাজিব নুর সাইকো-টা কি ব্যাংকার নাকি? খেঁক খেঁক, হালায় তো ভয়েই মইরা যাইতেছে, করোনা ভাইরাস আইসা দেখবো রাজিব নূর হার্ট এটাক হইয়া আগেই মইরা গেছে।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: 'অফেন্স ইজ নট দ্য বেস্ট ডিফেন্স নাও' স্যার। প্লিজ বি হাম্বল।

২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

জুন বলেছেন: না তারা ভুগবে না পদ্মপুকুর। কারন তাদের প্রচারণার সিষ্টেম অনেক অনেক হাই লেভেলের। তার উপর তারা বিরোধী নেত্রীকে ছয়মাসের ছুটি দিয়েছে যেমন করে বাংলাদেশের বাসিন্দারা তাদের গৃহে সাহায্যকারী ও গাড়ি চালকদের সবেতন অনিদৃষ্ট কালের জন্য ছুটি দিয়েছে তেমনি।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাংলাদেশ লেভেলে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক পলিসি অন্য সবার চেয়ে উপরে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবুও আমি সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রীকে বাইরে আনার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.