নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবুমশায়, জিন্দেগী বড়ি হোনে চাহিয়ে, লম্বি নেহি

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৫


বাসার গলিতে ভয়ালদর্শন দুটো কুকুর দেখছি এ পাড়ায় আসার পর থেকেই। গলিতে ঢুকতে গেলে আক্রমণাত্মকভাবে ছুটে এসে প্রায়ই ভয় পাইয়ে দিতো। করোনাকালের প্রথম দিকে সবাই যখন বাসায় আটকা, রাস্তার বেওয়ারিশ প্রাণীকুলের খাবারের ঘাটতি দেখা দেয়। এই কুকুর দুটি তখন করুণভাবে চিৎকার করতো, কান্নার মত, দিনে রাতের বিভিন্ন সময়ে। তারপর একসময় সে কান্না থেমে গেলো; যেনো বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছে কুকুর দুটি। যেনো বুঝে গেছে যে মনুষ্য প্রজাতির কেউ এখন আর খাবার দেবে না...

কিন্তু মানুষতো শুধু নিজের আকৃতির জন্য মানুষ নয়, বরং পৃথিবীর সকল প্রাণীর জন্য মায়া আর দায়িত্ববোধ নিয়েই সে মানুষ। আমার ব্যালকনি থেকে একদিন দেখি অবিন্যস্ত চুলের এক ছেলে পাত্রে খাবার নিয়ে ওই কুকুরগুলোকে দিচ্ছে। এরপরও দেখেছি অনেকদিন। কুকুরগুলোর সাথে তার একধরনের বন্ধুত্বও হয়েছে। যেহেতু ওই যুবক, জয়া আহসান বা সেলিব্রেটি কিসিমের কেউ নয়, সুতরাং কোনো ফটো সাংবাদিক তার ছবি তোলেনি, তার এই মমত্ববোধের সংবাদ ছাঁপা হয়নি কোনো পত্রিকায়। তার ছবি বা খবর আসুক পত্রিকায়, সেরকম সে চায় বলেও হাবভাবে মনে হয়নি।

আমি মনে মনে এক ধরনের শ্রদ্ধা বোধ করতে শুরু করলাম চেহারায় বিশেষত্বহীন এই ছেলেটির প্রতি।

হুমায়ূনের কোনো একটা গল্পে শফিক নামের একটি চরিত্র আছে। (গল্পের নামটা মনে আসছে না, সম্ভবত রাজীব নুর বলতে পারবেন, উনি প্রচুর পড়েন)। এই শফিক সাহেব প্রতিমাসে বেতনের সব টাকা খরচ করে গরীব দুঃখীদের চিকিৎসা করান। কর্মজীবনের শুরুর দিকে এ রকম এক বাচ্চার চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাচ্চাটি মারা যায়। তারপর থেকে তাঁর মধ্যে এক ধরনের জেদ চেপে যায় এবং তিনি খুঁজে খুঁজে দরিদ্র, অসহায় মানুষের উপকার করার জন্য ছুটে বেড়ান। এদিকে নিজের পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা!!

মধ্যবিত্ত বাঙালিমানস হুমায়ূন যত ভালোভাবে বুঝেছিলেন এবং আঁকতে পেরেছিলেন, নিঃসন্দেহে অন্য কেউ তা পারেনি। তেমনি, এই শফিক নামের চরিত্রের মত ঘরের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানোর নেশা আমাদের অনেকের মধ্যেই আছে। হ্যাঁ, এটা এক ধরনের নেশাই বটে! এ এমনই এক নেশা, যেখানে ফটো তুলে বিখ্যাত হওয়ার কোনো বিষয় নেই, নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই, নেই নিজের ফ্যামিলির দিকে নজর দেয়ার সময়টুকুও। এখানে শুধু পরোপোকারটুকুই মূখ্য।

শীর্ষেন্দুর ‘যাও পাখি'তে এরকম একজন মানুষ, সোমেনের বাবা সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘ঘর জ্বালানী কিন্তু পর ভুলানি’। এই লাইনটা পড়ার পর আমি তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমি এই ভদ্রলোককে প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি আমার নিজেরই বাবা। যাও পাখিতে সোমেনের বাবার চরিত্র আর আমার বাবার চরিত্র হুবহু এক। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কিভাবে আমার বাবার চরিত্রকেই খুঁজে পেলেন সেটা ভেবে বেশ অবাক হয়েছিলাম! একজন বড় লেখকের এটাই তো কৃতিত্ব যে তিনি সমাজের সব ধরনের চরিত্রকেই খুঁজে পান এবং লেখায় তুলে আনেন।

পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা সবসময় একটা অন্তর্জ্বালার মধ্যে থাকতাম বাবাকে নিয়ে। অন্যদিকে আমাদের এলাকার, গ্রামের সবার কাছে বাবা হলেন আপনের চেয়েও আপন। সবার বিপদে-অবিপদে তিনি পাশে থাকেন। অবশ্য জীবনের মধ্যাহ্নে এসে বাবার সে চরিত্রের জন্য এখন গর্বিত হই। মনে হয়, ওটাই তো ঠিক। এই নশ্বর পৃথিবীতে মানুষের জীবনের দৈর্ঘ্য আর কতটুকুই বা লম্বা! জীবনকে পৃথিবীর সময়ের চেয়ে লম্বা করতে গেলে ‘ঘর জ্বালানী কিন্তু পর ভুলানি’ হওয়া ছাড়া উপায় তো নেই। এই তাড়না থেকেই তো ‘নীরজা’ মুভিতে নীরজারুপী সোনম কাপুর বলেছিলেন- বাবুমশায়, জিন্দেগী বড়ি হোনে চাহিয়ে, লম্বি নেহি।

এই করোনায় আমি এ রকম অনেককেই দেখলাম যারা জিন্দেগীকে বড় করতে চেয়েছে। আবার অনেককেই পাওয়া গেলো জিন্দেগী লম্বা করতে যেয়ে যারা আদতে নিজেকেসহ পরিচিতজনদেরকে ছোট করে ফেলেছে। একটা দুর্যোগকাল আমাদের চরিত্রকে কতোভাবেই না দেখিয়ে দিলো!

এখনকার সময়ে গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উছলে পড়া রোশনাইয়ে আলোকিত হওয়ার সুপ্ত আকাঙ্খা চাপা দিয়ে রাখা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই যাদের ‘হাই বন্ধুরা, শুভ সকাল’ বলে নিজেকে জাহির করার অভ্যাস, তাদের কাছে করোনা একটা মহাসুযোগ হয়েই এসেছিলো। ত্রাণ বা খাবারের প্যাকেট দিয়ে তারাও মহান হওয়ার দৌঁড়ে শামিল হতে চেয়েছে। কিন্তু এই উদ্যোগের ছবি তোলা এবং ফেসবুকে আপলোড দিয়ে সাধুবাদ পাওয়ার আকাঙ্খাযজ্ঞে পড়ে বিষয়টা অনেকাংশেই ভেস্তে গিয়েছে।

এই নার্সিসিজম সুনামির মধ্যেও নিরবে নিভৃতে গলির ওই কুকুরকে খাওয়ানো ছেলেটার মত মানুষদেরকে আমি তাই শ্রদ্ধা জানাই। ‘যাও পাখি’র সোমেনের বাবার মতই জামশেদ নামে নোয়াখালীর এক অদম্য যুবককে আমি চিনি। আমারই বয়সী। কিছু বছর আগে কি এক খেয়ালে চাকরিবাকরি ছেড়ে দিয়ে বনের মোষ তাড়াতে লেগে গেলেন এবং অদ্যাবধি সেটাই করে চলেছেন। নিজের মত আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সম্পূর্ণ’ ব্যক্তি উদ্যোগে নোয়াখালী, ঢাকা, বগুড়া, পাবনাসহ আরও বিভিন্ন যায়গায় দুঃস্থ অসহায় মানুষের সাহায্য করে বেড়ান।

এ সংখ্যা নিতান্তই কম নয় এবং বলা ভালো, সাময়িক বিচ্যুতির মধ্যেও প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশের পরিচয় এটাই। আমার খুব আবেগের সাথে মনে পড়ে ‘জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা’য় মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার বলা এক ক্ষীণকায়া বৃদ্ধার কথা। লেখকের কুমিল্লায় ফিল্ড অপারেশনে শত্রুযান অ্যামবুশের জটিল মুহুর্তে এই বৃদ্ধা মা পরম মমতায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রান্না করা খাবার নিয়ে ট্রেঞ্চে চলে এসেছিলেন ভয়ডরহীনভাবে।

ওই নাম না জানা ছেলেটি, জামশেদ বা ওই বৃদ্ধার মত আলোকিত মানুষগুলো কখনওই প্রচারের আলোয় আসবেন না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্পোরেট সিএসআর এর যুগে ‘টক অব দ্য টাউন’ হবেন না কোনদিনও। অবশ্য এ নিয়ে তাঁদের কোনো আক্ষেপও নেই, চিন্তাও হয়নি কোনোদিন; বরং অবচেতন মনেই তারা চেয়েছেন তাঁদের জীন্দেগী যেন বড়ই হয়, লম্বা নয়।

ছবি: ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: প্রচারণার জন্য এ ধরণের মানুষ বা সংগঠণের আক্ষেপ চিন্তা থাকে না।ঠিকই বলেছেন।অনেকের ক্ষেত্রে প্রচারণা তাদের কাজের সুবিধা করে দেয়।অনেক মানুষ তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।অনেক সময় প্রচারণাই তাদের কাল হয়ে দাঁড়ায়।প্রভাবশালীদের মনে ঈর্ষা জাগিয়ে তোলে।তারপর শুরু হয় বিরোধিতা।

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: এ ধরনের কাজে প্রচারের মাধ্যমে কাজের সুবিধা হয়। আরও অনেক সহযোগী পাওয়া যায়। একদম খাাঁটি কথা। কিন্তু আরও সহযোগী পাওয়া, আরও বেশি কাজ করার চেষ্টার মধ্যে খিড়কি দরজা দিয়ে কখন যেনো 'বড় কিছু করে ফেললাম' ভাব এসে পড়ে এবং আদতে বড় কিছুর সমাপ্তি হয়ে যায় ওখানেই। এরপর যা হয়, সেটা প্রফেশনালিজম। ওই যে বললাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্পোরেট সিএসআর।

সম্প্রতি প্রথম আলোতে একটা সংবাদ দেখলাম 'ফটো না তুলে সাহায্য দিলো ----- সংস্থা'। যেখান ফটো না তোলাটাাকে বিশাল বড় একটা কাজ হিসেবে প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রতিবেদক, যেনো সাহায্য করতে গেলে ফটো তোলাটাই আবশ্যকীয় একটা বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

হ্যাঁ, এর কিছু ভালো দিকও আছে, হয়তো আরও অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে। কিন্তু এই মতবাদ পছন্দ করি না। আমি আমার ছোট্ট জীবনে এমন অনেককেই দেখেছি, যারা নিজের সাধ্যকে ছাড়িয়ে গিয়ে পরোপোকার করে গিয়েছেন এবং কখনওই সেটাকে বড় কাজ হিসেবে দেখেননি। আমার সত্যিকারের 'বড়' তারাই।

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

২| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ভালোমানুষেরা নিভৃতেই কাজ করতে পছন্দ করে নামের জন্য নয়! স্যালুট সেই সকল যোদ্ধাদের !

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই আমি কুকুর ভয় পাই। স্কুলে যাওয়ার পথে একবার কুকুর তাড়া করেছিলো। কিন্তু এই প্রানীটার জন্য আমার ভীষন মায়া। একটা চায়ের দোকানে আড্ডা দেই- সেখানে কয়েকটা কুকুর আছে। ওরা আমাকে খুব ভালো চিনে। আমি ওদের বিস্কুট খাওয়াই।

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: বিষয়টা একটা প্যারাডক্স হয়ে গেলো যে খান স্যার! ভয়ও পাচ্ছেন আবার মায়াও লাগছে। জেনারেল হইছেন নি?

৪| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রচার বিমুখ, নাম না জানা সকল মহৎ হৃদয় মানুষের জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা।

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: অবশ্যই তাঁরা শ্রদ্ধা ও সত্যিকার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য।
মহাত্মা আহমদ ছফা প্রচার বিমুখ কিন্তু মেধাবী মানুষদের এগিয়ে আনতে খুব উৎসাহী ছিলেন। অনেককেই এনেছেনও। আবার হানিফ সংকেত ইত্যাদিতে এ রকম ভালো মানুষদের উপস্থাপন করেন। এটা খুবই ভালো।


ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ কুকুরের প্রতি অনেক ভালোবাসা আছে। ছোটবেলা হুমায়ূন আহমেদ একটা কুকুর পালতেন। কুকুর টাম নাম ছিলো পলা। সে বারবার পালিয়ে যেত- তাই নাম ছিলো পলা। অবশ্য পড়ে এই পলা সাপের কামড়ে মারা যায়।

বেশ কিছু গল্প লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ কুকুর নিয়ে। এর মধ্যে একটা আছে ''পারুল ও তিনটি কুকুর'' নামে।
লক্ষ্য করলে দেখা যায় হুমায়ূন আহমেদের বেশির ভাগ উপন্যাসেই কুকুর থাকেই। এমন কি হিমুর বই গুলোতেও কুকুর থাকতো। হিমু যখন রাতে বে রহয় তখন কোথা থেকে যেন একটা কুকুর এসে যেত।

০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: হিজ মাস্টার্স ভয়েজ এর কুকুরটার বিষয়ে উনার মুগ্ধতা ছিলো এবং সেটা বোধহয় ভালোই ঢুকে গিয়েছিলো মাথার ভেতরে। কুকুর ছাড়াও বিভিন্ন পোকামাকড় নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই আছে। পিপলি বেগম নামে একটা বই উইপোকাকে নিয়ে লেখা হয়েছে, একি কাণ্ডতে একটা কাকের কথা বলা হয়েছে। বিড়াল নামেই একটা বই আছে। আসলে আমাদের মধ্যবিত্ত সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে তিনি লেখায় টাচ করেননি, তা খুঁজে পাওয়াই মুশকিল!।

৬| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুলিখিত সুবচন ।

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের একজন বন্ধু আছেন সে ঢাকা শহরের অসুস্থ মানুষ এবং পথের কুকুর বিড়ালদের খাওয়াতেন এবং অসুস্থ হলে চিকিতসা করাতেন। এরকম ঘটনা নিয়ে হুমায়ুন আহমেদ দুটা গল্পও লিখেছেন। হুমায়ূন আহমেদের গল্প সমগ্র বইয়ে দু'টা গল্পই আছে।

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: ইদানিং কেনো যেনো বইয়ের নাম মনে থাকছে না। বয়স হচ্ছে তো!
হুমায়ূন আহমেদ নিজেও নিঃসন্দেহে কুকুর বিড়াল পাখি পছন্দ করতেন। এজন্যই তার বইয়ে এসব উঠে এসেছে।

৮| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। মালয়েশিয়ার আজকের খবর কি? আপনি যেভাবে নিরলসভাবে মালয়েশিয়ার সংবাদ দেন, প্রবাসজীবন শেষে 'মালয়েশিয়ার দিনপঞ্জী' নামে একটা বই করে ফেলতে পারবেন আশা করি।

৯| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা । কেমন আছেন পদ্ম?

০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: আলহামদুল্লিাহ। ভালো আছি। ভেবেছিলাম যে লকড ডাউন/সাধারণ ছুটিতে বাসাতেই থেকে প্রচুর লিখে একটু লেখার সংখ্যা বাড়াবো। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো ওই সময়ে রুমীকে এতটাই সাহায্য করতে হয়েছে যে এখন সে সার্টিিফিকেট দিচ্ছে- ভাবছি আর বুয়া রাখবো না, তোমার হাতের কাজ বুয়ার চেয়ে ভালো.... অগত্যা লেখা আর বাড়াবো কি, ব্লগেই আসতে পারলাম না গত দুই মাস!

তবে করোনাদুর্যোদের একটা ইতিবাচক দিক হচ্ছে- অফিসে কাজ করি বলে 'হাউজওয়াইফ- এর সামনে যাদের পা মাটিতে পড়তো না আর মটকা সবসময় গরম থাকতো, তারা অন্তত এটা বুঝতে পারছে যে হাউজওয়াইফগীরিতেও সম্যক কাজ আছে বৈকি!

১০| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হুয়ায়ূন আহমেদ প্রচন্ড দরিদ্র ছিলেন বলেই দরিদ্র চরিত্র ভালো বুঝতেন।

যাও পাখি পড়েছি। অনেক বছর আগে পড়েছি। কাহিনি ভালো মনে করতে পারছি না। আবার পড়বো।

কোনো মানূষ যদি সত্যিকারের আনন্দ পেতে চায় তাহলে তার অন্য মানূষের জন্য করতে ভালো। পশু্র জন্য করতে হবে। কারো জন্য কিছু-- এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই।

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার মনে হয় উনি সবচেয়ে ভালো বুঝতে পেরেছিলেন মধ্যবিত্ত মানসিকতা। এমনিতে আমাদের সাহিত্য-সিনেমা-নাটকে মধ্যবিত্ত বেশ অবহেলিত। দেখবেন নাটকগুলোতে হয় অতি উচ্চবিত্ত অথবা একেবারে গ্রামীন নিম্নবিত্ত দেখানো হয়, আর সিনেমায় উচ্চবিত্তের সাথে নিম্নবিত্তের মিলন দেখানো হয়। মধ্যবিত্ত এখানে সচারচর আসে না। এর কারণ হয়তো আমাদের গল্পকাররা আসেন মধ্যবিত্ত সমাজ থেকে এবং তারা সবসময় উচ্চবিত্তের গণ্ডীতে পা রাখার স্বপ্নে নিজের অস্তিত্বকেই ভুলে যান.... হতে পারে।

যাওপাখি পড়তে পারেন, রিখিয়া নামে একটা চরিত্র আছে, বেশ ইন্টারেস্টিং। আমিও অনেক আগে পড়েছি। কিন্তু ওই যে বললাম, সোমেনের বাবা আর আমার বাবা একই চরিত্র, সে কারণে এই বই নাম, পৃষ্ঠা, চরিত্রগুলো ভালো মনে আছে।

অনেকগুলো মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনা পাওনা।

১১| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হানিফ সংকেত ইত্যাদিতে এ রকম ভালো মানুষদের উপস্থাপন করেন। এটা শুরু করেছিলেন মরহুম ফজলে লোহানী, উনার ''যদি কিছু মনে না করেন'' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। হানিফ সংকেতের টিভিতে পদচারনাও শুরু হয় ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই। এটা ভালো যে, হানিফ সংকেত উনার গুরুকে ভোলেন নাই, আজও উনার পদাঙ্ক অনুসরন করছেন।

০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন, ফজলে লোহানী তাঁর ''যদি কিছু মনে না করেন'' অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই এটা শুরু করেছিলেন। বয়স অনুযায়ী আপনার সময়ের হানিফ সংকেত ছিলেন- ফজলে লোহানী, আমার সময়ের ফজলে লোহানী হলেন- হানিফ সংকেত.... এ কারণেই আমার উনাকে মনে আসেনি প্রথমে।

আমাদের দেশে পূর্বসূরীকে কৃতিত্ব না দেয়ার সংস্কৃতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে হানিফ সংকেত যেভাবে প্রায় প্রতিটি পর্বেই ফজলে লোহানীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, সেটা অতুলনীয়। এখানেই হানিফ সংকেত এর বিশিষ্টতা।

১২| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

ওমেরা বলেছেন: আমি এরকম একজন মানুষের গল্প শুনেছি। যদিও আমাদের আত্বীয় কিন্ত আমি তাকে দেখিনি কখনো। সে সামান্য একজন স্কুল শিক্ষক ছিল। উনার বাড়ি থেকে দুরে একটা স্কুলে শিক্ষকতা করতেন ওখানেই থাকতেন , যেদিন স্যালারি পেতেন সেদিন বাড়ি আসতেন কিন্ত রাস্তাই সব টাকা মানুষকে দিয়ে দিতেন এমন কি সাথে যে কাপড় থাকত সেগুলোও দিয়ে দিতেন বাড়ি ফিরে দেখতেন তার ঘরেই কোন খাবার নেই সবাই অপেক্ষা করে আছে উনি এসে বাজার করবেন !

এরকম মানব দরদী আমাদের সমাজে অনেকই আছে। তারা নিরবে নিভৃতে তাদের কাজ করে যাচ্ছে।
সুন্দর লিখায় অনেক ভালোলাগা ।

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: সেটাই বলতে চাইছি। এই যে এ সময় চালচুরি/তেলচুরির খবর, মানুষের ব্যক্তিকেন্দ্রিক নির্দয়তার খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো পাশে রেখেও আমদের আরও কিছু মানুষ আছেন, সত্যিকার হিরো আছেন সারা দেশ জুড়েই। আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে সবারই ব্যক্তিগতভাবে সাহায্যকারী হওয়া উচিৎ। দিনশেষে ওই ভালোলাগাটুকুই একান্তই নিজের হিসেবে থাকবে।

ভালো থকবেন।

১৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



পোষ্টটা আমার জন্য একটু কঠিন হয়ে গেছে

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: কেনো লজ্জা দিচ্ছেন?

১৪| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
করনা কালে কেউ নীরবে কাজ করে যাচ্ছে আর কেউ নিজেকে জাহির করার সুযোগ খুঁজছে।

++++।

ঘর জ্বালানী পর ভোলানী উপমাটা বেশ মনে ধরেছে।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: উপমাটা আমার নয়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের। সোমেনের বাবার চরিত্রটা পড়লে আপনারও এ কথাটাই মনে হবে।

১৫| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৫

মা.হাসান বলেছেন: জীবন জায়ান্ট কচ্ছপদের মতো দীর্ঘ হউক, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মতো কর্মময় হউক, এরশাদের মতো প্রিয়জনদের সানিধ্যপূর্ণ হউক।

০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: এক তরুণীর হঠাৎ দাতে ব্যথা শুরু হলো। ব্যথার তীব্রতায় গাল টাল ফুলে একাকার। কিন্তু গাল ফুলে যাওয়াতে তাকে দেখতে আগের চেয়ে সুন্দর লাগছিলো। সে তখন ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললো- ডাক্তার সাহেব, আমাকে এমন ওষুধ দেন যেন ফোলাটা থাকে কিন্তু ব্যথা চলে যায়.... :D

১৬| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শুভেচ্ছা রইলো।
চমৎকার একটি লেখা। দ্বিতীয় প্যারাটি হৃদয়কে নাড়া দিল। "মানুষ শুধু নিজের আকৃতির জন্য মানুষ নয়, বরং পৃথিবীর সকল প্রাণীর জন্য মায়া আর দায়িত্ববোধের জন্য মানুষ।" কুকুরগুলোকে খাওয়াতে ছেলেটির মায়া কাজ করলেও এতে চমৎকার দায়িত্ববোধ ছিলো। সে জানে কুকুরগুলোকে সে না খাওয়ালে হয়তো আর কেউ তা করবে না, এরা না খেয়ে দিন পার করবে। এটা দায়িত্ববোধ। ভালোবাসা, কেয়ার আর মায়ার সাথে দায়িত্ববোধ জড়িত। যদিও এটা আলাদা করে অনুভব করা যায় না।

এদেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত আর বিত্তহীন মানুষের মাঝে এই 'মায়া' কাজ করে সবচেয়ে বেশি। এসব মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা আর জীবনবোধ থেকে এগুলো আয়ত্ত করে। আপনার আব্বার মহানুভবতা শুনে ভালো লাগলো। উনার জন্য শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রইলো। আমার তো মনে হয় এই গুণ আপনার মধ্যেও আছে। জীবনে কখনো সামনা সামনি দেখা হলে হয়তো জানার সুযোগ পাবো।

ভালো থাকুন।

০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: তার আগে বলেন অ্যাদ্দিন কোথায় ডুব মেরেছিলেন?

ছোট বেলায় ইংরেজী টেক্সট বইয়ে একটা গল্প ছিলো- ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করার পর একটি কাচের পাত্র থেকে বিভিন্ন গুণাবলী নিয়ে মানুষের মধ্যে দিচ্ছেন- মহানুভবতা, সততা, দায়িত্ববোধ, মানবিকতা ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো অন্য কোনো প্রাণীকে দেয়া হয়নি আর এ জন্যই তো মানুষ আলাদা। সব প্রাণীর প্রতিই তাঁর দায়িত্ব আছে। হযরত ওমর রা. বলেছিলেন- আমার সাম্রাজ্যে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তার জন্য দায়ী আমি ওমর!

অনেকের সাথেই সামনাসামনি দেখা করার প্রেক্ষাপট তৈরী হচ্ছে। হয়তো একদিন দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।

সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পারুল ও তিনটি কুকুর - হুমায়ূন আহমেদ
দেয়াল - হুমায়ূন আহমেদ
আমার ছেলেবেলা - হুমায়ূন আহমেদ
হিমু - হুমায়ূন আহমেদ

এছাড়া আরো উপন্যাসে কুকুরের কথা আছে। উল্লেখিত শফিক চা এর দোকানের সামনে কুকুরটিকে পায় “দেয়াল” উপন্যাসে। ১৫ই আগষ্ট নিয়ে লেখা উপন্যাস দেয়াল। মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ স্যারের সাথে শফিকের পরিচয় ছিলো। - ঘটনা সত্য। দেয়াল উপন্যাস নিয়ে ঢাকা সিএমএম কোর্টে মামলা চলেছে।


০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: এই বইগুলো আমি পড়েছি। দেয়াল এর সাথে তো আপনার পারিবারিক যোগ থাকার কথা। তবে আমার বর্ণিত শফিক দেয়ালের শফিক নন।

বাই দ্য ওয়ে, এখন তো ইলেকটিসিটির অবস্থা বেশ ভালো, এখনও হ্যারিকেন জ্বালিয়ে রেখেছেন যে! :-B

১৮| ০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৬

সোহানাজোহা বলেছেন: মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা মমতাবোধ চলে যাওয়ার কারণ হতে পারে পশুর প্রতি মানুষের হিংস্রতা। পশুপাখিকে যারা ভালোবাসেন তারাই প্রকৃত মানুষ।

০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ছোটবেলায় একটা স্টিকার দেখতাম- 'যে ফুল ছিড়তে পারে সে মানুষ খুন করতে পারে'। মোট মিলিয়ে ঘটনাটা ওখানেই যে সমগ্র পৃথিবীর যেকোনো কিছুর উপরেই নির্দয় হওয়ার অর্থই মানুষের নিজের উপর নির্দয় হওয়া।

১৯| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব এখনো আমি বন্ধী। সেফ কবে হবো জানি না। কিভাবে হবো তাও জানি না। তবে আমি আগে যেভাবে লিখতাম লিখে যাচ্ছি। যদিও পোষ্ট প্রথম পাতায় আসছে না। আগের মতো মন্তব্যও করে যাচ্ছি।

০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: কি আর বলবো! যদিও আপনাকে মন্তব্যে পাওয়া যাচ্ছে, তবুও আপনাকে ছাড়া ব্লগটা অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে। এই ব্লগে বিরামহীনভাবে দীর্ঘসময় বিরাজমান থাকা ব্লগার বোধহয় আপনিই। কামনা করি, দ্রুত ফিরে আসুন।

২০| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমে্দ বিড়াল নিয়ে লিখেছেন- বিপদ আর নি। আরো একটা আছে পুফি।

০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: স্যরি, আমি বিপদ বইটাকেই বিড়াল বলেছি। নি এবং পুফিও পড়েছি। আরেকটা বইয়ের একটা গল্প আছে- একজন মধ্যবিত্ত পিতা মেয়ের জন্য কাটাবন থেকে একটা কাক কিনে আনেন... ওইটারও নাম মনে নেই।

২১| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শিরোনামে প্রবলভাবে সহমত। সুন্দর পদ্মপুকুর।

০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার।

২২| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন, দ্রুত ফিরে আসুন।

২৩| ০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: কুকুর সব সময়ই মানুষের বন্ধু ছিলো, বন্ধু আছে - বন্ধু থাকবে। শুধু মানুষ কখনো চিরোকালের বন্ধু হতে পারে না।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: কথা ঠিকই বলেছেন।

২৪| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আত্মকথন অনেক ভালো লাগলো। কুকুর আমার প্রিয় প্রাণীদের একটি। এদের সাথে সাথে কথা বলতে ভালো লাগে। আমার অফিসে একটি কুকুর পরিবার বাস করে এবং আমি তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

কুকুর ভালোবাসেন এমন মানুষগুলো অধিকাংশই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে ওস্তাদ। এটিই আমার মতে মানুষ নামের প্রাণীটিকে কুকুর বা সকল ইতর প্রাণী থেকে আলাদা করে রাখে। এখন এই সময়ে ওই মানুষগুলো বেশ কাজে আসছে।

আপনার বাবার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার সব সময় নীরবে কাজ করা মানুষজনকে ভালো লাগে। জামশেদ নামের যে ছেলেটির কথা উপরে বলেছি, আজ জানলাম সাতক্ষীরার আশাশুনিতে গিয়েছে। স্থানীয়দের সাথে নিয়ে একটা বাঁধ নির্মানে সহযোগিতা করছে। আপনি যথার্থই বলেছেন এই মানুষগুলোই প্রকৃত প্রয়োজনের সময় কাজে আসে।

ধন্যবাদ স্যার, অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখছি।

২৫| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,




আসলেই -" জিন্দেগী বড়ি হোনে চাহিয়ে, লম্বি নেহি"

সব উদাহরণ সহ অনন্য - অনুপম একটি লেখা হয়েছে। লাইকড।

১০ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার মত সত্যিকার লেখকদের প্রশংসা পেলে বড়ই পুলকিত হই। ধন্যবাদ স্যার।

২৬| ১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:


বাবুমশায়, জিন্দেগী বড়ি হোনে চাহিয়ে, লম্বি নেহি
আনন্দ চরিত্রে নায়ক রাজেশ খান্না
নায়ক অমিতাভ বচ্চনকে উল্লেখ করে উক্তিটি করেন।
ছবি: - “আনন্দ” (১৯৭১)

*দেয়াল উপন্যাসের সাথে আমাদের পারিবারিক যোগ আছে। পদ্ম পুকুর ভাই লেখক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে বাংলাদেশের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা আর কখনো পূরণযোগ্য নয়। ব্লগে কেউ যখন হুমায়ুন আহমেদ নিয়ে প্রশংসা করেন তখন ভালো লাগে, আবার ব্লগে যখন কেউ কেউ হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে অপকথা বলেন তখন খুবই কষ্ট লাগে।

১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি অবশ্য ভালো সিনেমা দর্শক নই। বছর দেড়েক আগে নিজের জীবন উৎসর্গ করা ভারতীয় বিমানবালা নীরজা ভানোতকে নিয়ে একটা লেখার প্রয়োজনে নীরজা মুভিটা দেখতে হয়েছিলো। এই ডায়ালগটা আমি ওখানেই শুনেছি।

এ দেশে আমার বয়সের আর সবার মত আমিও হুমায়ুন আহমেদকে সঙ্গে নিয়েই বড় হয়েছি। তাঁকে নিয়ে আমার আবেগ-প্রেরণা অপরিসীম। সে যায়গা থেকেই প্রায় ১১ বছর আগে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে একটা অপকথা লিখেছিলাম, দেখতে পারেন। যদিও এটা আমিই লিখেছিলাম কিন্তু যখন উনি সত্যিকারার্থেই থেমে গেলেন, ভালো লাগেনি একদমই।

দ্বিতীয়বার আসার জন্য ধন্যবাদ।

২৭| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৬

শরতের শুভ্র আকাশ বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।

২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২৮| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার দাদার ভাই নাকি গ্রামে প্রতিদিন শুধু পাখি, কবুতর এদেরকে খাওয়াতেন। উনি একটু বেশী সহজ সরল ও বোকা প্রকৃতির ছিলেন। উনি মারা যাওয়ার পরও কিছুদিন পাখিগুলি আসত খাবারের জন্য।

২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: পশুপাখি মানুষের ভালোবাসা বুঝতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.