নাস্তিক নজরুল বনাম আস্তিক বাংলা সাহিত্য!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

__________
আমি নাস্তিক কারন আমি বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয়
বর্ষের ছাত্র। তাহলে নজুরুল কি আস্তিক?
" এই সুন্দর ফুল,সুন্দর ফল,মিঠা নদীর পানি,
খোদা তোমার মেহেরবানী। "
" ত্রিভূবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়,
আয়রে সাগর,আকাশ বাতাস দেখিনি যদি আয়।"
" এই প্র্থিবীতে যা কিছু সৃষ্টি চির কল্যাণ কর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার বর।"
এই রকম অসং্খ হামদ - নাত ও কবিতা লিখেছেন
আমাদের জাতীয়/বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
যেগুলোর মুল সুর ছিল এক আল্লাহর অস্তিত্ব
স্বীকার করে নিজেকে শ্রেষ্ট নবীর উম্মত হিসেবে তুলে
ধরা এবং মানুষের মধ্যে সাম্য প্রিতিষ্ঠা করে সমাজে
অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। তিনি "বিদ্রোহী " নামে সহ
অসং্খ কবিতা রচনা করেছেন কিন্তু পরিতাপের বিষয়
আমি বাংলা সাহিত্যের ছাত্র হলে কোনদিন তার
কবিতায় নাস্তিকতাবাদ খুজিনি। সেদিন এক বড় ভাই
কথার ফাকে হঠাত করে কাজী নজরুল সহ যারা বাংলা
সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করে সবাই কে নাস্তিক বলে
সম্বোধন করে। তিনি বেশ সুন্দর একটি যুক্তি ও
দেখালেন তা হল-
" বল বীর চির উন্নত মম শির,
শির নেহারি আমারি নত শির
ঐ শিখব হিমাদ্রীর।"
এখানেই নাকি কবি নজরুল নাস্তিকতার পরিচয়
দিয়েছেন! আমার ভাইয়ের মতামত ছিল,, যারা বাংলা
সাহিত্যে পড়াশুনা করা তারা সবাই নাস্তিক! আমি
"সাহিত্য খেলা" নামে প্রমথ চৌধুরীর একটা প্রবন্ধে
পড়েছি, ' সাহিত্য মামার হাতের মোয়া নয়।' আরে ভাই
আমি সেদিন কিছু বলিনি আপনাকে,কারন জানতে
চাইবেন না। তবে আপনাদের প্রতি অনুরোধ যারা
সাহিত্য বুঝেন না তারা এই বিষয়ে মন্তব্য না করা ভাল।
হা আমি এটা ও মানি কিছু লেখক-লেখিকা
নাস্তিকবাদি,তাই বলে আমি আপনি সবাই কে নাস্তিক
বলতে পারি না। গতকাল কবি নজুরুলের মৃত্যু বার্ষিকী
ছিল,সময়ের অভাবে তেমন কিছু লিখতে পারিনি। তাই
আজ কবির সম্মানে অল্প কিছু লিখলাম,,, রচনার
শিল্পগুন প্রবন্ধে পড়েছিলাম একটি লাইন,আর তা দিয়ে
শেষ করব-' অল্প কথায় কাজ হলে বেশি কথা বলার
দরকার কি!'

২ টি +২/-০