নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরমাণু বোমার নাম শুনলেই আমাদের পিলে চমকে যায়। বুক ধড়ফড় করে। কিন্তু, হাইড্রোজেন বোমা তার চেয়েও অনেক অনেক গুণ শক্তিশালী। তার তাণ্ডব সৃষ্টির ক্ষমতা অনেক বেশি ভয়াবহ।
আজ থেকে সত্তর বছর আগে ১৯৪৫ সালের ৬ এবং ৯ অগস্টে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ‘লিটল বয় ’ আর ‘ফ্যাট ম্যান’ নামে দু’টি পরমাণু বোমা ফেলেছিল আমেরিকা। যে প্রকল্পে ওই পরমাণু বোমার জন্ম হয়েছিল, তার নাম ছিল ‘ম্যানহাটন প্রোজেক্ট।’ যার নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী রবার্ট ওপেনহাইমার। সেই পরমাণু বোমার জেরে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে এখনও বংশানুক্রমে অন্ধত্ব, বধিরতা ও পঙ্গুত্বের মতো নানা ধরনের জটিল অসুখ হয়ে চলেছে।
হাইড্রোজেন বোমা তার চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। একটা বিস্ফোরণে একটা ছোট হাইড্রোজেন বোমা একটা বড় শহরকে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে একেবারে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে পারে। করে দিতে পারে ধু ধু মরুভূমি।
পরমাণু বোমা আর হাইড্রোজেন বোমা- এই দু’টি শক্তিশালী বোমা বানানো হয় একেবারেই আলাদা দু’টি উপায়ে।
একটির নাম- ‘নিউক্লিয়ার ফিশন’। যে উপায়ে বানানো হয় তুলনায় কম শক্তিশালী পরমাণু বোমা। এই পদ্ধতিতে একটা ক্ষুদ্র পরমাণুকে দুই বা ততোধিক ক্ষুদ্রতর ও হাল্কা পরমাণুতে ভাঙা হয়। তার ফলে বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে শক্তি।
আরেকটি পদ্ধতির নাম- ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’। যে উপায়ে বানানো হয় অনেক বেশি শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। এই পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক ক্ষুদ্র পরমাণুকে জুড়ে অনেক বড় ও ভারী পরমাণু বানানো হয়। এতে বেরিয়ে আসে আরও অনেক বেশি শক্তি। তাই হাইড্রোজেন বোমা হয় অনেক বেশি শক্তিশালী। যে হেতু এই পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক হাইড্রোজেন পরমাণুকে জোড়া হয়, তাই এর নাম- ‘হাইড্রোজেন বোমা’।
কোনটা বানানো বেশি কঠিন- পরমাণু বোমা নাকি হাইড্রোজেন বোমা?
এর উত্তরটা হল- হাইড্রোজেন বোমা। কেন কঠিন? কারণ, ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’-এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণ তাপমাত্রা। দশ লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। গবেষণাগারেও চট করে যে তাপমাত্রায় পৌঁছতে পারা যায় না। কঠিন জিনিসই তো বেশি কাজের হয়!
তবে ‘ফিশন’ ছাড়া ‘ফিউশন’ হয় না। এর মানে, ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’ পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন বোমা বানানোর জন্য যে বিপুল তাপমাত্রার প্রয়োজন, তা ‘নিউক্লিয়ার ফিশন’-এর মাধ্যমে পরমাণু বোমা বানিয়েই জোগাড় করা হয়।
আবার খুব ছোট্ট হাইড্রোজেন বোমাও বানানো যায় বলে হাইড্রোজেন বোমাকে ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যেও পুরে ফেলা যায়। এর ফলে, কোনো এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েও হাইড্রোজেন বোমা সেখানে ফেলে দেয়া যায়। এখন পর্যন্ত কোনো দেশই যুদ্ধে হাইড্রোজেন বোমা ব্যবহার করেনি। হিরোশিমা, নাগাসাকি দেখেছিল অনেক কম ভয়াবহতা, পরমাণু বোমা পড়ার ফলে।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে স্বাগতম
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বোমা কি আপনাদের এলাকায় পড়েছে?
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনার অন্যান্য কয়েকটা পোষ্ট দেখলাম, সবই দেখি দানবীয় কারবার।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
আবু তালেব শেখ বলেছেন: বাংলাদেশের ও দু চারটে দরকার হাইড্রজেন বোমা, গরীব মানুষ ধরে এনে একটা এলাকায় জমা করে ওদের উপর বর্ষন করতে হবে। আস্তে আস্তে না মেরে একবারে মেরে ফেলা উত্তম
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
বিজন রয় বলেছেন: অটঃ.........
পলাতক মুর্গ বলেছেন: বিজন রয় বলেছেন: পলাতক মূর্খ............ আপনি ব্লগে নতুন, তাই আমার সম্পর্কে আপনার জানা নেই। আর যদি পুরাতন কেউ হন তো জানার কথা। এই ব্লগে এই প্রথম অকারণে আমাকে কেউ বাজে কথা বলল।
জ্বি ভাই, আমি মূর্খই, আপনার কথাই ঠিক। তবে আমার নিকের বানান কিন্তু পলাতক মুর্গ, "পলাতক মূর্খ" না।
একটা প্রশ্ন: অকারনে মূর্খকেও মূর্খ বলতে হয় না, এইটা আপনাকে পরিবার থেকে শিখায় নাই?
...................................................................................
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
আপনার নিকটি যেদিন থেকে দেখছি, আমি পলাতক মূর্খ ভেবেই উচ্চারণ করেছি। সেই ভুলটা আজকেও করে ফেলেছি, এটা সম্পূর্ণই আমার অনিচ্ছাকৃত। অনেক সময় অনেকে আমাকে বিজন এর পরিবর্তে বিজয় বলে!
এই ব্লগে এই প্রথম অকারণে আমাকে কেউ বাজে কথা বলল।
.......... এই কথাটি কিন্তু আপনাকে বলিনি।
এইটা আপনাকে পরিবার থেকে শিখায় নাই?
.......... এই কথাটি বলার আগে আমার ওই ভুল সম্পর্কে একটু জিজ্ঞেস করতে পারতেন। ব্লগে যদি আমাকে ফলো করেন, যদি আমার লেখা, মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য এগুলো খেয়াল করেন তো একদিন উত্তর পেয়ে যাবেন।
আশাকরি আমাকে আর ভুল বুঝবেন না।
আমি আবারো দুঃখপ্রকাশ করছি।