নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছা মানব, দানবদের ধ্বংস করি

পলাতক মুর্গ

পলাতক মুর্গ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই নাম্বার সেকলো নাই?

১৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৩১



আমি নিয়মিত একটা ফার্মেসী দোকানে বসি। উদ্দেশ্য ঔষধের ব্যাবসাটা ভাল মত শেখা, ইচ্ছা আছে আগামীতে নিজেই একটা দোকান দেব। কিন্তু, দোকান দেব কি এই ব্যাবসায় মানুষের কার্যক্রম দেখে আমি হতভম্ব।

একদিনের ঘটনা, এক লোক আমাদের দোকান (আমি যে দোকানে বসে শিখি) থেকে পাইকারী ঔষধ কেনে, গ্রামে তার দোকান আছে। সেই লোক দোকানের মালিককে জিজ্ঞেস করছে, "দুই নাম্বার সেকলো নাই? "

ঐদিন আমি প্রথম জানতে পারি বাজারে নকল Seclo 20 আছে। Seclo 20 হচ্ছে, স্কয়ার কোম্পানির বহুল ব্যাবহৃত গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ। যেহেতু এটার চাহিদা আকশচুম্বি, তাই এক দল অসাধু ব্যাবসায়ীর অন্যতম টার্গেট এই Seclo 20।

সে দিনের পর আমি আসল আর নকল সেকলো চেনার চেষ্টা করি। এক দিন দোকানের মালিক যখন কোন কারণে দোকানের বাইরে যান, সে দিন আমি প্রথম এই দোকানে নকল #Seclo20 আবিষ্কার করি। সৌভাগ্যবশত, সে দিন দোকানে আসল Seclo20 ঔষধ ও ছিল। অনেকক্ষণ যাচাই-বাছাই করার পর আমি আসল Seclo20 সনাক্ত করি।

এর কিছু দিন পর, আরেক কাস্টমার বলল যে, Calbo D ( ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি ট্যাবলেট) দিন, যদি আসলটা থাকে তাহলে দিবেন আর না হলে দিবেন না। দোকানী বলল নেই।

কাস্টমার চলে যাওয়ার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম, Calbo D তো ছিল, নাই বলার কারণ কি? সে তখন বলল, এটা নকল Calbo D

পরে আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম যে, পুরো দোকান নকল Calbo D দিয়ে ভর্তি।

বেশ কিছু দিন পর এই নকল ঔষধ সাপ্লাইকারীকে দেখলাম, উনি দোকানের মালিকে Zimax 500 (এন্টিবায়োটিক) কেনার অফার করছেন। আরো দেখলাম তার কাছে কয়েক বক্স নকল Zimax 500 সাথে আরো কিছু ঔষধ।
তখন আমি নিশ্চিত হলাম, শুধু মাত্র এই দোকানেই নয়, এর আশেপাশের অনেক ফার্মেসীতেই অতি গোপনে এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই নকল ঔষধ বিক্রি হচ্ছে এবং এটা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধু মাত্র স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ ই যে নকল হচ্ছে তাই নয়, বহুল ব্যাবহৃত প্রায় সব ধরণের ঔষধ ই নকল হচ্ছে।

সচরাচর এই বিষয়টি সাধারণ মানুষ জানে না আর ঔষধগুলির পার্থক্যও অত্যান্ত সূক্ষ্ম। কিছু ক্ষেত্রে আসল আর নকল ঔষধ এক সাথে পরিক্ষা না করলে নকলটা খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব। মানুষের এই অজ্ঞাতকে কাজে লাগিয়ে এক দল অসাধু ব্যাবসায়ী কিছু মুনাফার আশায় নকল ঔষধ নামক বিষ খাইয়ে যাচ্ছে। ব্যাবসার নামে প্রতারণা করে মানুষের জীবনকে নিয়ে যাচ্ছে হুমকির মুখে।

বেশ কিছু গ্রুপে আমি এই নিয়ে লেখালেখি করেছি। কেউ কেউ ভিন্ন ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করেছেন, অনেকে বিশ্বাস করে নি। তাদের জ্ঞাদার্থে জানাচ্ছি, নকল ঔষধ আছে কি নেই, এটা নিয়ে যদি সামান্য সন্দেহ থাকে তবে ১৭ ই নভেম্বর ২০১৯ সালে করা #SATV 'র "খোঁজ" প্রতিবেদনটা দেখে নিতে পারেন।

নকল Calbo D এর একটা পিক দিলাম, জাস্ট Calcium বানানটা দেখুন।

©Copy_post
#পাঠিয়েছেন - কামাল হোসেন

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি চিকেন ব্যবসা করলে ভালো করবেন।

২| ১৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি দুইটা পোষ্ট দিয়েছেন এখন । একটা সিজার নিয়ে একটা ঔষধের দোকান নিয়ে ।

৩| ১৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:৪২

আধাপাগল বলেছেন: ফখরুদ্দিন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যখন ভেজাল বিরোধী ধরাধরী চলে, তখন আমি এক সাধারণ পাবলিককে (বিদেশে) জিজ্ঞেস করলাম, মনে করুন ১ লিটার সয়াবিন তেল। খাটিটার লিটার ২০০ টাকা। ভেজাল মিক্স করাটার লিটার ১০০ টাকা। তত্ববধায়ক ফখরুদ্দিন সরকার যে ভেজালওয়ালা ১০০ টাকারটা বন্ধ করে ২০০ টাকা দামের খাটিটা চালু রাখতেছে, এই ২০০ টাকা দিয়ে কেনার ক্ষমতা অনেক মানুষেরই নেই। তো, সরকার কি কাজটা ঠিক করতেছে? আপনার কি মনে হয়? সে উত্তর দিল : হ্যা। সরকার কাজটা ঠিক করতেছে না। ...... যাক, আরো লম্বা কাহিনী।

২০০ টাকা দিয়ে খাটি জিনিস অনেকে হাতও দিতে পারবে না। পক্ষান্তরে ১০০ টাকা দামে ভেজাল হলেও খাওয়া তো যাবে। এই হচ্ছে আমাদের দেশ ও দেশের পাবলিকের পরিস্থিতি।

আপনি যদি খাটি জিনিসের দোকান খুলেন আপনার দোকানে উচ্চ মূল্যের কারণে কাষ্টমারই আসবে না। আপনার পাশেরটাতে কম দামে ভেজাল জিনিস হওয়াতে দেখবেন কাষ্টমার উপচে পড়া ভিড়।

আমি আপনার ফিলিংস বুঝতে পারতেছি। কিন্তু করবো বা করা যাবে টা কি? যে বা যারা নোংরা মশা মাছির আড্ডায় বস্তিতে বাস করে দিন যাপন করছে তার কি খাটি তেল বা খাটি ওষুধ বা খাটি জিনিস খাওয়া সাজে? কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে বা যারা খাটি জিনিস খেতে চায়, ভেজালের ভিড়ে তারাও খাটি জিনিস পেতে পারে না।

আবার ইউরোপ আমেরিকায় জান। ১ চুল যদি ভেজাল পান, সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানীসহ বন্ধ তো হবেই কোম্পানীর মালিককেও ১৪ বছরের জন্য ১৪ শিকে ঢুকায়া দিবে।

আপনি যেটা লিখছেন, এটার কোনো সমাধান নাই। আপনার চোখের সামনেই সব ঘটবে, আপনি শুধু চোখ বন্ধ করে চেয়ে চেয়ে দেখে যাবেন।

১৬ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

পলাতক মুর্গ বলেছেন: তেল আর ওষুধ এক হইল?

৪| ১৬ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশে সব ঔষধ এর ই দুই নম্বর ভার্শন পাওয়া যায়। এটা বিক্রি করলে লাভ ও বেশী থাকে।

৫| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: একটা ফার্মেসীর দেওয়ার ইচ্ছা আছে আমার।
নকল ওষুধের বিরুদ্ধে সরকার কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছে?

৬| ১৭ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



অতি কষ্টে, অতি সঙ্গোপনে, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা সহ্য করে জাতির কল্যানে(!) নকল ওষুধ যারা বানান সেই মহান উৎপাদনকারী দেশবন্ধুগণকে(!) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত। এমন দু'একটাকে দেখে যেন বাদবাকিগুলো হেদায়েত হয়ে যেতে পারে এরকম প্রকাশ্যে এদের দন্ড প্রদান করা উচিত। কিন্তু কার গোয়াল কে দেয় ধুয়ো অবস্থা যে আমাদের। দুঃখ কাকে বলবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.