![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
→হে ভগবান! যাঁর নাম শ্রবণ, অনুকীর্তন, প্রণাম ও স্মরণ করা মাত্র চণ্ডাল ও যবন কুলোদ্ভূত ব্যক্তিও তৎক্ষণাৎ বৈদিক যজ্ঞ অনুষ্ঠানের যোগ্য হয়ে উঠে, এমন যে প্রভু তুমি, তোমার দর্শনের প্রভাবে কি না হয়? (ভগবান কপিলদেবের প্রতি দেবহূতি, শ্রীমদ্ভাগবত, ৩.৩৩.৬)
→হে ভগবান! যাঁদের জিহ্বায় আপনার নাম বিরাজ করে, তাঁরা যদি অত্যন্ত নীচকুলেও জন্মগ্রহণ করেন, তাহলেও তাঁরা শ্রেষ্ঠ। যাঁরা আপনার নাম কীর্তন করেন, তাঁরা সবরকম তপস্যা করেছেন, সমস্ত যজ্ঞ করেছেন, সর্বতীর্থে স্নান করেছেন এবং সমস্ত বেদপাঠ করেছেন, সুতরাং তাঁরা আর্য বলে পরিগণিত। (ভগবান কপিলদেবের প্রতি দেবহূতি, শ্রীমদ্ভাগবত, ৩.৩৩.৭)
→জন্মমৃত্যুর ভয়ঙ্কর আবর্তে আবদ্ধ মানুষ বিবশ হয়েও পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দিব্যনাম উচ্চারণ করতে করতে অচিরেই সেই সংসারচক্র থেকে মুক্ত হয়, সেই নামে স্বয়ং মহাকালও ভীত হন।(সূত গোস্বামীর প্রতি মুনিঋষিগণ, শ্রীমদ্ভাগবত, ১.১.১৪)
→শ্রীকৃষ্ণের নাম চিন্ময় চিন্তামণি বিশেষ, তা চৈতন্যরসের বিগ্রহস্বরূপ। তা পূর্ণ অর্থাৎ মায়িক বস্তুর মতো আবদ্ধ ও খণ্ড নয়; তা শুদ্ধ, অর্থাৎ মায়া-মিশ্র নয়; তা নিত্য-মুক্ত অর্থাৎ সর্বদা চিন্ময়, কখনও জড় সম্বন্ধে আবদ্ধ হয় না, যেহেতু নাম ও নামীর স্বরূপে কোনো ভেদ নাই।(পদ্মপুরাণ)
→হে শ্রীকৃষ্ণ! যাঁরা তোমার অপ্রাকৃত চরিতকথা নিরন্তর শ্রবণ, কীর্তন, স্মরণ করেন এবং অবিরাম উচ্চারণ করেন, অথবা অন্যে তা করলে আনন্দিত হন, তাঁরা অবশ্যই তোমার শ্রীপাদপদ্ম অচিরেই দর্শন করতে পারেন, যা একমাত্র জন্ম-মৃত্যুর প্রবাহকে নিবৃত্ত করতে পারে।(শ্রীমদ্ভাগবত, ১.৮.৩৬)
→হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের ষোলটি নাম বিশেষত কলিযুগের পাপ নাশের জন্যই উদ্দিষ্ট। নিজেকে কলিযুগের কলুষ থেকে মুক্ত রাখতে হলে এই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।যুগধর্ম হিসেবে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করার মতো অন্য কোনো মহান পন্থা সমস্ত বৈদিক গ্রন্থে অনুসন্ধান করেও খুঁজে পাওয়া যায় না।(প্রজাপতি ব্রহ্মা, কলিসন্তরণ উপনিষদ)
→শুধুমাত্র হরিনাম কীর্তন বা জপ করার ফলে একজন পাতকী যত পাপ দূর করতে পারে, তত পাপ করার সামর্থ্যও তার নেই।(বৃহদ্ বিষ্ণুপুরাণ)
→হে কুরুরাজ, হরিনাম সংকীর্তন এমনকি মহাপাপের ফলকেও নির্মূল করতে পারে।তাই হরিনাম সংকীর্তনই হচ্ছে জগতের সবচেয়ে মঙ্গলময় অনুষ্ঠান। অনুগ্রহ করে তা হৃদয়ঙ্গম করুন, যাতে অন্যেরাও তা নিষ্ঠাভরে গ্রহণ করে।(শ্রীল শুকদেব গোস্বামী, শ্রীমদ্ভাগবত, ৬.৩.৩১)
→এই কলিযুগে ভগবানের দিব্য নাম কীর্তন করা ছাড়া আর অন্য কোনো গতি নেই,আর অন্য কোনো গতি নেই,আর অন্য কোনো গতি নেই।(বৃহন্নারদীয় পুরাণ, ৩.৮.১২৬)
→হে পরমেশ্বর ভগবান! তোমার নামই জীবের সর্বমঙ্গল বিধান করেন, এই জন্য তোমার 'কৃষ্ণ', 'গোবিন্দ' আদি বহুবিদ নাম তুমি বিস্তার করেছ।সেই নামে তুমি তোমার সর্বশক্তি অর্পণ করেছ এবং সেই নাম স্মরণের স্থান-কাল-পাত্র আদির কোনো রকম বিধি বা বিচার করনি।হে প্রভু! জীবের প্রতি এভাবেই কৃপা করে তুমি তোমার নামকে সুলভ করেছ,তবুও আমার নামাপরাধ এমনই দুর্দৈব যে,তোমার সুলভ নামেও আমার অনুরাগ জন্মায় না।(শিক্ষাষ্টক-২)
→হরিনামের প্রতি যারা অপরাধ করে, তাদেরও হরেকৃষ্ণ নাম জপের বিধান দেওয়া হয়েছে, কারণ তারা যদি জপ করে চলে, ক্রমে ক্রমে তারা নিরপরাধে জপ করতে পারবে। শুরুতে যদিও বা অপরাধ হয়, তবুও পুনঃপুনঃ জপের ফলে সেই সব অপরাধ থেকে মুক্ত হওয়া যায়।(পদ্মপুরাণ)
→চিত্তরূপ দর্পণের মার্জনকারী,ভবরূপ মহাদাবাগ্নি নির্বাপণকারী, জীবের মঙ্গলরূপ কৈরবচন্দ্রিকা বিতরণকারী, বিদ্যাবধূর জীবনস্বরূপ, আনন্দ-সমুদ্রের বর্ধনকারী, পদে পদে পূর্ণ অমৃত আস্বাদন-স্বরূপ এবং সর্ব স্বরূপের শীতলকারী শ্রীকৃষ্ণসংকীর্তন বিশেষভাবে জয়যুক্ত হোন।(শিক্ষাষ্টক-১)
©somewhere in net ltd.