![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইংরেজী ট্রানস্লেশন শেখা ছিল অনেক টা বিভীষিকার মত। অদ্ভুত অদ্ভুত সব বাক্যের ট্রানস্লেশন করতে গিয়ে কতবার যে চোখের জল, নাকের জল এক হয়ে গিয়েছিল তার হিসাব নেই।
ইংরেজী ক্লাস চলছে। স্যার এসে বুঝাচ্ছেন পাস্ট পারফেট টেন্স। অতি জটিল একটা ব্যাপার। অতীত কালে দুটি ঘটনা যদি এক সাথে ঘটে তবে আগে যে ঘটনা ঘটবে তা পাস্ট পারফেক্ট, পরে যেটি ঘটবে সেটা পাস্ট ইন্ডেফিনিট।
একটা বাক্য শুনে অনেকক্ষণ ধরে মাথা চুলকানো লাগতো। "মুরগি টি একটি ডিম পাড়িল' শুনে ভাবতাম, ডিম আগে না মুরগী আগে। আমি আবার ক্লাসে বিশেষ জ্ঞানী বলে পরিচিত ছিলাম। এর জন্য স্যারের হাতে দু চারটে ঘা প্রায়ই খাওয়া লাগত। তারপরও দমে যেতাম না।
তো, সেদিন স্যার পাস্ট পারফেট টেন্স বোঝানোর পর জিজ্ঞাসা করলেন, সবাই বুঝেছি কি না। সবাই তাদের ঘাড় ৪৫ ডিগ্রী বাঁকা করল, আমি করলাম প্রায় ৯০ ডিগ্রী। স্যার ধরে নিলেন আমিই সবচেয়ে ভাল বুঝেছি।
আমাকেই তাই প্রথমে বলতে বললেন, "ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগিটি মারা গেল" এর ট্রানস্লেশন। আমি নিতান্ত তাচ্ছিল্যের ভঙ্গীতে হাসলাম। ভাবটা এমন, এরকম সহজ ট্রানস্লেশন ধরাতে আমি খুবই অপমানিত বোধ করেছি। কি উত্তর দিয়েছিলাম একেবারে সঠিক টা মনে নেই। তবে উত্তর দিয়েছিলাম প্রায় সাথে সাথে, অনেক টা এরকম--"দি ডক্টর কামস বিফোর দি পেশেন্ট হ্যাড ডাই"।
উত্তর শুনে স্যার কিছুক্ষণের জন্য নির্বাক হয়ে গেলেন। সম্বিত ফিরে পেতে যতটুকু সময় লাগল আমি ততক্ষণে বিজয়ীর বেশে আশেপাশের সবার দিকে আরেকবার তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি দিয়ে, বসে পড়লাম আমার বেঞ্চে।
বসতে না বসতেই স্যারের হুঙ্কার শুনতে পেলাম। "এই হতচ্ছাড়া, বসলি ক্যান, বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থাক। যতক্ষণ ক্লাস শেষ না হবে, ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবি"।
ক্লাসশুদ্ধ প্রায় সবাই হো হো করে হেসে উঠল। স্যার ওদের দিকে আবারো অগ্নিদৃষ্টি দিলেন। যাদের যাদের হাসি দেখতে পেয়েছিলেন, এবার সবাইকেই ধরলেন ঐ একই ট্রান্সলেশন। সবারই আমার মত অবস্থা হল। ক্লাসশুদ্ধ বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে
। কেউ বাইরে থেকে দেখলে, নির্ঘাত ভাবত জাতিয় সঙ্গীতের ক্লাস চলছে। বেশী বেশী সম্মান দেখানোর জন্য, মেঝে বাদ দিয়ে সবাই বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
ঐদিনই বুঝলাম পাস্ট পারফেক্ট টেন্স কি জিনিষ।
সব রাগ গিয়ে পড়ল ঐ ডাক্তারের প্রতি। শালার ডাক্তার রা সবসময় রোগী মারা যাবার পরেই আসে কেন?
আমার ধারণা, ছোট বেলায় পাস্ট পারফেক্ট টেন্সের এই ট্রানস্লেশন টা করতে গিয়ে, সবারই কম-বেশি এরকম অভিজ্ঞতা আছে।
সেই থেকে আমরা ডাক্তার দের দু'চক্ষে দেখতে পারি না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:২৯
পড়শী বলেছেন: আমিও ভুই পাই।
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৩৮
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ভালো লিখেছেন । ট্রান্সলেশন আমিও ভুই পাই।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৭
পড়শী বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়!
" ট্রান্সলেশন আমিও ভুই পাই।"
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে ও জনগন ভয় পায়।
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪০
মনে নাই বলেছেন: ছোট্রবেলায় আমাদেরকে যতসব আজগুবি ট্রান্সলেশন শিখানো হয়েছিল যেগুলার বাস্তবজীবনে কোন ব্যাবহার নাই। যেমন ডাক্তার আসার আগে বা পরে রোগী মারা যাবে, চকচক করলেই সোনা হয় না (মূল বিষয় glitters এর পর is বসবে , মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে (cats and dogs)।
বর্তমানে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে নিশ্চয় এইসব নাই, থাকলে দূর্ভাগ্য আমাদের।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৫
পড়শী বলেছেন: "বর্তমানে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে নিশ্চয় এইসব নাই"-- আপনি নিশ্চিত? তাহলে তো অনেক উন্নতি হয়েছে বলতে হবে।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৬
হাসি .. বলেছেন: হা হা একেবারে মনের কথা, সেইম দশা আমাদেরও
তবে বিষয়টা মজা করে লিখেছেন আপনি।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৮
পড়শী বলেছেন: ধন্যবাদ হাসি আপনাকে।
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪৫
বিডি আমিনুর বলেছেন: ইন্নালি.............. রাজেউন
০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪৭
পড়শী বলেছেন: ব্যাপার বুঝলাম না রে ভাই।
"এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে মন যেতে নাহি চায়"
৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৬
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: ট্রান্সল্যাশন করেন, "রোগী মারা যাবার পর পরই ডাক্তার উপস্থিত হইল।"
পারলে প্লাস একটা বেশি দিমু। এখন শুধু একটাই।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৩
পড়শী বলেছেন: আগে আপনি করেন এইটা----"সকালে উঠিয়া দেখিলাম হু হু করিয়া বেলা হইয়া গিয়াছে"-----
তারপর আমি আপনার টা চেষ্টা করে দেখতে পারি।
৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২৫
টিনটিন` বলেছেন: টেন্স তো এখন ভয় পাই। টেন্স দেখলেই মাতা আউলাইয়া যায়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৪
পড়শী বলেছেন: হা হা হা--- ভাষা শিক্ষা আসলে অনেক কঠিন। বাংলা ভাষাই ঠিক মত পারি না।
৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২৭
কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: শুধু ট্রানস্লেশান না...ইংরেজী জিনিসটাকেই ভয় পাই
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৫
পড়শী বলেছেন: ভাষা শিক্ষা আসলে অনেক কঠিন। বাংলা ভাষাই ঠিক মত পারি না।
৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:০১
ভিয়েনাস বলেছেন: আবার মনে করায়ে দিলেন ভাইডি
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৫৪
পড়শী বলেছেন: কি আর করা। মাঝে মাঝে মনে করা দরকার অতীতের কথা।
১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:২৮
বাগসবানি বলেছেন: ইংরেজী ট্রান্সশ্লেসন পারি না । তবে আমি আরবীটা জানি
'ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন'
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৫৪
পড়শী বলেছেন:
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩৬
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: After getting up the morning, i saw that the morning had become a "bela" by doing "hu" repeatedly.
এইবার আপনের পালা।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:০৯
পড়শী বলেছেন: আপনার ট্রান্সলেশন খুব কাছাকাছি গেছে।
আমি তো ইংরেজী তে টাইপ করতে পারছি না। ইংরেজী তে টাইপ করে কেম্নে?
পেশেন্ট ডায়েড আফটার আফটার দি ডক্টর কেম এ্যাজ ইউজুয়াল।
১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:৩০
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
মজাই তো!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:১১
পড়শী বলেছেন: হুম....তাই তো!
১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:১৬
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা
দারুন লেখা !!
ছাত্রজীবনে টেন্স বুঝি নাই, শেষ বয়সে পুলাপান পড়াইতে আইসা বুঝসি !!
হাহাহাহা
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২০
পড়শী বলেছেন: "ছাত্রজীবনে টেন্স বুঝি নাই, শেষ বয়সে পুলাপান পড়াইতে আইসা বুঝসি"---আমারও প্রায় একই অবস্থা।
ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থা কি? তারা কি বুঝতে পারে?
১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২৬
সায়েম মুন বলেছেন: এই এক টেন্স পড়তে গিয়া ইংলিশ গ্রামারের পাতা ঝিড়ে যায় যায় অবস্থা
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২০
পড়শী বলেছেন:
১৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৯
সায়েম মুন বলেছেন: *ছিঁড়ে
১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:০৬
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: পুলাপান তো বুঝানোর পর গম্ভীর ভাবে মাথা নাড়ায়, ভাব দেইখ্যা মনে হয় বুইঝ্যা টেন্সের হাফেজ !!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪০
পড়শী বলেছেন: আমি ও এমন ই টেন্সের বিশেষজ্ঞ (!) ছিলাম।
১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪১
আল ইফরান বলেছেন: এইটা যে কি এক পেইন ছিল
ছোট থাকতে অনেক "ডাক্তারই মইরা গেছে রুগী আসিবার পুর্বে" আমার হাতে এই ট্রান্সলেশান করতে গিয়া
যাই হোক, এই জামানার ট্রান্সলেশানের নমুনা
,
"রুগী হাসপাতালে আসিবার পুর্বে ডাক্তার তার প্রাইভেট চেম্বার এর দিকে দৌড়াইয়া চলিয়া গেলেন "
০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২৮
পড়শী বলেছেন: " এই জামানার ট্রান্সলেশানের নমুনা
,
"রুগী হাসপাতালে আসিবার পুর্বে ডাক্তার তার প্রাইভেট চেম্বার এর দিকে দৌড়াইয়া চলিয়া গেলেন "---- হা হা হা
তবে তরুণ ডাক্তার-ডাক্তারনী রা কিন্তু এখনো অনেক ভাল। সমস্যা হলো বিশেষজ্ঞ দের নিয়া।
১৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৩৯
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: “লেখা পড়া করে যে অনাহারে মরে সে” হীরক রাজার সেই দেশও নাই আমাদের বলার লোকও নাই।
লেখাটি অনেক মজার হয়েছে।এর মধ্যে থেকেও অনেকে অনেক কিছু শিখতে পারছে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৮
পড়শী বলেছেন: ধন্যবাদ লুবনা আপনাকে।
১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:৪৬
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: পড়শীর বাড়ীতে এসে অনেকদিন পরে ঐতিহাসিক ট্রানস্লেশন আর টেন্স দেখে খুব ভালো লাগলো।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:২১
পড়শী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:২৮
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
ট্রান্সলেশান ভুই পাই