![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছুটিতে আছি।
বাঁকা কথাঃ “বাপের জন্মের আগে ছেলের বউ কীভাবে তালাক হয়??” এ মহান জ্ঞানময় প্রশ্নটি করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী মাফা সাকা চৌধুরী। ১২-০৩-১৩ খ্রিষ্টাব্দে সাকা চৌধুরী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকদের কাছে এ মহান জ্ঞানময় প্রশ্নটি উত্থাপন করেন। প্রশ্ন শুনে বিচারকেরা বাপের বিয়ের আগে ছেলের বউ তালাক বলতে কী বুঝিয়েছেন জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে রাষ্ট্রের নিয়োগ করা আইনজীবী সালমা হাই টুনি তার টুনটুনে মিষ্টি গলায় হাই তুলে বলেন, ‘তিনি এ কথার দ্বারা পার্লামেন্টকে বুঝিয়েছেন। তাতে সাকা বলতে চাচ্ছেন যে, সংসদের আগেতো ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়নি। তাহলে একজন এমপিকে কেন সংসদে যোগ দিতে দেয়া হচ্ছে না। সংসদের অনেক পরে ট্রাইব্যুনালকে গঠন করা হলেও কেন ট্রাইব্যুনালকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তান পার্লামেন্ট মেম্বার অব প্রিবিলাইজড অ্যাক্ট ১৯৬৫ অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের সুযোগ সুবিধাসংক্রান্ত বিধি বিধান বর্তমান ট্রাইব্যুনাল আইনে কার্যকর করতে আবেদন জানান।’আবেদনে বলা হয়, সংসদ শুরুর আগে ৭ এবং শেষে ৭ দিন কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম চলবে না।
এ সময় সাকাচৌ তার আইনি জ্ঞানের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করে বলেন, ‘ওই আইন এখনো বলবৎ আছে। সুতরাং সংসদে যোগ দেয়ার সুযোগ না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিচার চলতে পারে না।’
সোজা জবাবঃ আইনের নীতি হচ্ছে, সাধারণ আইন (যেমনঃ দণ্ডবিধি ১৮৬০) এবং বিশেষ আইনের ( যেমনঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩) মধ্যে, বিশেষ আইন প্রাধান্য পাবে। আবার দুটি বিশেষ আইনের মধ্যে, সময়ের দিক থেকে যে আইনটি নতুন সেটি প্রাধান্য পাবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ একটি বিশেষ আইন এবং এটি সংবিধানের ৪৭(৩), ৪৭ক অনুচ্ছেদ দ্বারা সংরক্ষিত। এই আইনের ২৬ ধারায় বলা হয়েছে, ‘আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷’ অর্থাৎ অন্যকোন আইনের তুলনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এর বিধানসমূহ প্রাধান্য পাবে। কাজেই Bangladesh Assembly Members’ Privileges Act 1965 এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই সাকার বিচার অব্যাহত রাখতে কোন আইনি বাধা নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১০
আলাপচারী বলেছেন: সোজা জবাব