নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথিক ছেলে

পথিক ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপকথার গল্প ৫: ওজের জাদুকর

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৩২

(ইন্টারনেট থেকে)

ওজের জাদুকর

বিশ্বসেরা ক্লাসিক

মূল : এল ফ্রাঙ্ক বাম; রূপান্তর : সাবিরা সুলতানা




অনেক দিন আগের কথা। আমেরিকার ক্যানসাসে বাস করত এক ছোট্ট মেয়ে। তার নাম ছিল ডরোথি। তার বাবা-মা ছিল না। সে তার খালা অ্যান ও খালু হেনরির সাথে বাস করত। টোটো নামে তার একটা কুকুরও ছিল।

একদিন কি হলো, ডরোথি আর টোটো ছাড়া সেদিন বাসায় কেউ ছিল না। এমন সময় প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় এল। সেই ঝড়ে তাদের বাড়িটাকে কোথায় উড়িয়ে নিল তারা কিছুই বুঝতে পারল না। ঝড় থামার পর তারা বাসা থেকে বেরিয়ে দেখল একটা অদ্ভুত দেশে দাঁড়িয়ে আছে।

চারপাশ দেখে ডরোথি খুব অবাক হয়ে গেল। সে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করল, আমি কোথায়? সে দেখল তার চারপাশে অনেক ছোট ছোট মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। বামন মানুষদের মধ্য থেকে সাদা চুলের এক বৃদ্ধা এগিয়ে এসে বলল, ’তুমি ওজ নামের এক দেশের পূর্ব অংশে দাঁড়িয়ে আছো। এটা মাঞ্চকিনদের বাসস্থান। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তুমি এখানকার দুষ্ট জাদুকরকে মেরে আমাদের রক্ষা করেছ। সেজন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।

এ কথা শুনে ডরোথি খুবই অবাক হয়ে গেল। কারণ সে তো কাউকে মারেনি। সে জিজ্ঞাসা করল, কিভাবে ডাইনি মারা গেল।

বৃদ্ধা মহিলা ডরোথিকে দুটো পা দেখাল। রুপার জুতা পরা দুটো পা ডরোথির ভেঙে পড়া বাড়ির তলা দিয়ে বেরিয়ে আছে। ডরোথি বুঝতে পারল তাদের বাড়িটার তলায় চাপা পড়ে ডাইনিটার মৃত্যু হয়েছে।

ওই জুতো দুটো জাদুর জুতো। আর এখন থেকে এগুলো তোমার। সেই বৃদ্ধা ডরোথিকে ডেকে বুঝিয়ে দিল।

এবার ডরোথি নিজের পরিচয় দিল। আমার নাম ডরোথি। আপনি কে? বৃদ্ধা বলল, আমি উত্তরের ভালো জাদুকর আর আমার বোন হচ্ছে দক্ষিণের ভালো জাদুকর। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকি। পূর্ব আর পশ্চিমে যে জাদুকররা আছে তারা হচ্ছে আমাদের শত্রু। কারণ তারা মানুষের ক্ষতি করে থাকে। তোমার জন্যই তাদের একজনের হাত থেকে বাঁচা গেল সেজন্য তোমাকে ধন্যবাদ।

কারোর উপকার করতে পেরেছে ভেবে ডরোথি খুব খুশি হলো। কিন্তু এবার তার বাড়ি ফেরার কথা মনে পড়ে গেল। সে জাদুকরকে জিজ্ঞাসা করল, আমি কিভাবে ক্যানসাসে ফিরে যাব?

ওজের জাদুকরের কাছে চলে যাও সে এমেরাল্ড শহরে বাস করে। এই মেঠোপথ ধরে এগিয়ে গেলেই তুমি তার কাছে পৌঁছতে পারবে। এ কথা বলেই বৃদ্ধ মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিল যেন ডরোথি নিরাপদ থাকে। তারপর অদৃশ্য হয়ে গেল।

ডরোথি তাদের ভাঙ্গা বাড়ির ভেতরে গিয়ে পরিষকার জামাকাপড় বের করে পরল। তারপর টোটোকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। কিছুদূর যাওয়ার পরই তার দেখা হলো এক কাকতাড়ুয়ার সাথে। সে জিজ্ঞাসা করল কোথায় যাচ্ছ? ওজের জাদুকরের কথা শুনে সাথে সাথে সেও বায়না ধরল ডরোথির সাথে যাওয়ার জন্য। সে বলল, আমাকেও তোমার সাথে নিয়ে যাও। আমার মাথায় শুধু খড় ভরা। জাদুকরকে বলব আমার মাথায় যেন একটু বুদ্ধি দিয়ে দেয়।

ডরোথি বলল, ঠিক আছে। এই বলে কাকতাড়ুয়াকে সাথে নিয়ে নিল। কিছুদূর যাওয়ার পর তার দেখা হলো এক মজার কাঠুরের সাথে। সেই কাঠুরের পুরো শরীর টিন দিয়ে তৈরি। টিনের কাঠুরে ওদের কাছে জানতে চাইল ওরা কোথায় যাচ্ছে। জাদুকরের কথা শুনে সেও বলল, আমাকে তোমার সাথে নিয়ে চল। আমি আমার জন্য একটা হৃদয় চাইব। পূর্বের জাদুকর আমাকে জাদু করে টিন বানিয়ে ফেলেছে আমার হৃৎপিণ্ডটা নিয়ে চলে গেছে।

এমন সময় বিশাল এক সিংহ হালুম করে ওদের সামনে এসে পড়ল। সবাই সিংহকে দেখে ভয় পেয়ে গেল। কিন্তু ডরোথি একটুও ভয় পেল না বরং সে চিৎকার করে বলল, সিংহ এ ধরনের হিংস্র আচরণ ব করে চুপচাপ থাক।

সাথে সাথে সিংহ চুপ হয়ে গেল। বলল, দুঃখিত। আমি তোমাদের ভয় দেখানোর অভিনয় করছিলাম আসলে আমি খুব ভিতু। যদি ওজের জাদুকরকে পেতাম তাহলে তার কাছে একটু সাহস চাইতাম। ওরা জাদুকরের কাছে যাচ্ছে শুনে সিংহও ওদের সঙ্গী হতে চাইল। তারপর চার বু মিলে চলল জাদুকরের খোঁজে। চলতে চলতে অবশেষে ওরা অ্যামরাল্ড শহরে এসে পৌঁছল। একটা ছোট লোক তাদের অভ্যর্থনা জানালো। সেই লোকটির গায়ের রঙ সবুজ, দাড়ি সবুজ, পোশাকও সবুজ। শুধু লোকটি নয়, চারপাশের বাড়িঘর, গাছপালা এমনকি আকাশটাও সবুজ। এসব দেখে ডরোথি খুব অবাক হয়ে গেল। বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে ডরোথি সেই বামনকে বলল, আমরা ওজের জাদুকরের সাথে দেখা করতে এসেছি।

লোকটি তখন ওদের প্রত্যেককে এক জোড়া করে সবুজ চশমা দিল আর ডরোথিকে একটা সবুজ রঙের পোশাক দিয়ে বলল, তোমরা এগুলো পরে তৈরি হয়ে নাও। ওরা তৈরি হওয়ার পর লোকটি জাদুকরের প্রাসাদের দরজা খুলে দিল আর বলল ’জাদুকর মাত্র একবারই তোমাদের সাথে দেখা করবেন। অতএব তাড়াতাড়ি কর।’

ওরা দ্রুত যেতে শুরু করল। তবে ডরোথি সবার আগে পৌঁছে গেল জাদুকরের ঘরের কাছে কারণ ওর পায়ে ছিল সেই জাদুর জুতো।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তাকে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেয়া হলো। ভেতরে ঢুকে বিস্ময়ে হতবাক ডরোথির চোখের পলক আর পড়ে না। সে দেখল ঘরের ভেতর যেন হাজারো নক্ষত্র জ্বলছে আর তার মাঝে বিশাল সবুজ সিংহাসনে বসে আছে ওজের জাদুকর। তার মাথা আছে কিন্তু শরীর নেই। হাত-পা কিছুই নেই। একটা ভরাট কণ্ঠে বলল, ’আমি সেই বিখ্যাত জাদুকর। তুমি কে?’

’আমার নাম ডরোথি। আমি আমার দেশ ক্যানসাসে ফিরে যেতে চাই।’

জাদুকর আবার প্রশ্ন করল, তুমি ওই রূপালী জুতো কোথায় পেয়েছো?

ডরোথি তাকে পুরো ঘটনা খুলে বলল। সব শুনে জাদুকর বলল, নিজের দেশে ফিরতে হলে তোমাকে অবশ্যই পশ্চিমের দুষ্ট জাদুকরী ডাইনিকেও মারতে হবে। এমন সময় অন্যরাও হুড়মুড় করে এসে পড়ল। জাদুকর সবার কথা শুনল এবং একই উত্তর দিল পশ্চিমের ডাইনিকে মারতে হবে।

এরপর আর কী করা, কোথায় পাওয়া যাবে পশ্চিমের ডাইনিকে সেই খোঁজ নিয়ে ওরা বেরিয়ে পড়ল। যেতে যেতে সামনে পড়ল একটা ঘন বন। তারা সেই বনে ঢুকল। এদিকে হয়েছে কি, ডাইনি তো জেনে গেছে তাকে মারার জন্য ডরোথি আসছে। তাই সে তার হায়েনা বাহিনীকে পাঠিয়ে দিল ওদের ধরতে। হায়েনারা ছুটল। হায়েনাদের শব্দ পেয়ে ডরোথি আর তার বুরাও ছুটল। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই ডরোথি ধরা পড়ে গেল। হায়েনারা তাকে জাদুকরের কাছে নিয়ে এল। জাদুকর তাকে দেখে খুব রেগে গেল। বলল, তোমার এত সাহস, আমাকে মারতে চাও! তুমি আমার বোনকেও মেরেছো। এর শাস্তি তুমি অবশ্যই পাবে। এখন থেকে সারাজীবন তুমি আমার চাকর হয়ে থাকবে। একজন এসে একটা বড় ব্রাশ আর বালতি দিয়ে গেল ডরোথির হাতে। এদিকে ডরোথি দেখল সে আর বাড়ি ফিরতে পারবে না। তার খুব মন খারাপ হয়ে গেল। সেই সাথে সে জাদুকরের ওপর ভীষণ রেগে গেল। রেগে গিয়ে বালতিটা পানিসহ ছুড়ে দিল জাদুকরের দিকে। সাথে সাথে অবাক করা এক কাণ্ড হলো। পানি গায়ে পড়ার পর জাদুকর আস্তে আস্তে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। আসলে পানি লাগলেই সে মারা যাবে সে রকমই তার মৃত্যু লেখা ছিল।

জাদুকর এত সহজে মরে যাবে এ কথা ডরোথি ভাবতেও পারেনি। তাই তার সবকিছু বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। এরপরই সে টোটোকে নিয়ে ছুটল জাদুকরের কাছে। সে জাদুকরের প্রাসাদে এসে দেখল সেখানে সাধারণ একটা প্রাসাদ দাঁড়িয়ে আছে। আর যে ঘরে জাদুকর ছিল সে ঘরটা একেবারে ফাঁকা। শুধু ঘরের মাঝে বড় একটা পর্দা ঝোলানো রয়েছে। সে জাদুকরকে ডাকল, ’আমি ডাইনিকে মেরেছি, এবার আমায় বাড়ি ফেরার পথটা বলে দিন।’ ওপাশ থেকে গমগমে গলা ভেসে এল, কাল এসো। কাল বলব।

এর মধ্যে ডরোথির অন্য বুরাও এসে পড়েছে। তারাও তাদের দাবি পূরণ করার আরজি জানাচ্ছে। কিন্তু জাদুকর সবাইকে একই কথা বলল, কাল এসো। এতে ডরোথির খুব মন খারাপ হয়ে গেল। এমন সময় তার কুকুর টোটো পর্দার ওপর দিল এক লাফ। পর্দা ছিড়ে খুলে পড়ল। আর সবাই অবাক হয়ে দেখল ওজের জাদুকর নয় বরং সেখানে দাঁড়িয়ে আছে এক বামন আকৃতির মানুষ। তাই দেখে সিংহ রেগে গিয়ে দিল এক হুঙ্কার। আর তাতে বামন ভীষণ ভয় পেয়ে গেল। বলল, দাঁড়াও, দাঁড়াও বলছি। সিংহ, আর কাকতাড়ুয়া তোমরা যা চাও তা তোমাদের আছে। এর জন্য তোমাদের অন্যের কাছে যেতে হবে না। তোমরা মনে মনে বলবে আমার আছে তাহলেই হবে। আর পশ্চিমের ডাইনি যেহেতু মরে গেছে তাই তার জাদুও শেষ হয়ে যাবে শিগগিরই। তখন টিনের কাঠুরে আবার মানুষ হয়ে যাবে। ডরোথি, তোমার পায়ে যে জাদুর জুতো আছে তাই তোমাকে পৌঁছে দেবে তোমার দেশে। এই বলে সেই বামন লোকটা দৌড়ে পালিয়ে গেল। এবার ফেরার পালা। বুদের বিদায় জানিয়ে টোটোকে নিয়ে ডরোথি জুতোকে বলল, আমাকে বাড়ি নিয়ে চল। সাথে সাথে একটা ঝড়ো ঘূর্ণি উঠল আর যখন থামল, ডরোথি দেখল সে বাড়ির সামনের মাঠে দাঁড়িয়ে আছে। তার খালা আর খালু তাকে দেখে ছুটে এল। এরপর ডরোথি তার খালা আর খালুর সাথে আনন্দে দিন কাটাতে লাগল আর দুষ্ট জাদুকররা মরে যাওয়ায় পৃথিবীতে শান্তি ফিরে এল।

(শেষ)



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: এই গল্পটা নিয়ে কিন্তু একটা কালজয়ী ছবি হয়েছে,
"The Wizard of Oz "
১৯৪০ দিকে (আনুমানিক) ৪ টা অস্কার পাওয়া। :)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৬

পথিক ছেলে বলেছেন: Information এর জন্য ধন্যবাদ। তবে দেখা হ্য়নি।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৮

মুকুল বলেছেন: ছোটবেলায় পড়েছিলাম। যদ্দুর মনে পড়ে সেবা প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছিলো পুরো গল্পটা। খুব ভালো লেগেছিলো তখন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:০১

মাজুল হাসান বলেছেন: প্রথমে বলে নেই, প্লিজ আমার কথাগুলোকে পন্ডিতি মনে করবেন না। অনুবাদ খুবই কঠিন জিনিস। মূলের দাবি রাখতে গেলে অনুবাদের ভাষা দূর্বল হয়ে পড়ে। আবার অনুবাদে মনের মাধুরী বেশি মেশাতে গেলে মূল পড়ে যেতে পারে ফাপরে। তাই এর মাঝামাঝি থাকা বুদ্ধিমানের কাজ। পড়তে গিয়ে প্রথমেই আক্ষরিক অনুবাদের কুটগন্ধ পেলাম। অনুবাদকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, শুরুটা হতে পারতো এভাবে... (অথবা আরো ভালো ভাবে)

অনেক দিন আগের কথা। আমেরিকার ক্যানসাস। সেখানে একটা ছোট্ট মেয়ে ছিল; নাম ডরোথি। বাবা-মা ছিল না। তাই তাকে থাকতে হতো খালা অ্যান ও খালু হেনরির সাথে। থাকার মধ্যে টোটো নামে একটা কুকুরই ছিল তার সম্বল।

প্লিজ ভুল বুঝবেন না। রুপকথায় প্রথমেই একটা জাদুবাস্তব ঘোর তৈরী করতে হয়। সেখানে থাকতে হবে ফেন্টাসি, একটা এডভেঞ্চারাস, মিস্ট্রিয়াস ফ্লেবার। আর তার জন্য ভাষায় একটু স্বাধীনতা নেয়া যেতে পারে। কারণ রুপকথা থেকে রূপ ঠিকরে না বেরুলে চলবে কেনো?

এত কিছু বলার মানে নসিহত দেয়া নয়। জানিনা, অনুবাদক কে-- আপনি নাকি অন্য কেউ। তারপরেও বলছি, কারণ আমাদের দেশে অনুবাদকের সংখ্যা নগন্য। তাই কাউকে অনুবাদ করতে দেখলে ভাল লাগে। তাই বলছি। আর রুপকথা তো শিশুদের জন্য (প্রধানতঃ)। শিশুরা কিন্তু দারুণ ইমাজিনেটিভ। তারা কিন্তু ঠিক জাদু-ঘোর বুঝতে পারে।

আবারো বলি, প্লিজ, আমার এসব কথাকে পন্ডিতি মনে করবেন না। ভালো থাকবেন। আর অনুবাদটা চালিয়ে যাবেন।

০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪১

পথিক ছেলে বলেছেন: ধন্যবাদ। নিজে অনুবাদ করার সময় আপনার উপদেশ গুলো মেনে চলবো ।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৬

নাজিম উদদীন বলেছেন: ভলা লাগল।

মাজুল হাসানের উপদেশ খুবই কাজে দিবে।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:৪১

রাশেদ বলেছেন: ++

০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪১

পথিক ছেলে বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.