![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগে নিচের রিপোর্টটি পড়ুন
বিগত সাত বছর ধরে কলকাতার মুন্সীগঞ্জ এলাকার ফাইভস্টার কাবের দুর্গা পূজোয় প্রধান
পুরোহিতের কাজটি করেন মুসলিম যুবক শাহিদ আলি (৩৮)। ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারের সদস্য হয়েও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুজো-পাঠে শাহেদের এ অংশগ্রহণ অবাক করার মত হলেও তার কাছে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক।
ফাইভস্টার ক্লাবের পুজো মণ্ডপে ষষ্ঠির দিন গিয়ে দেখা গেল দেবীর বোধনের জন্য পূজোর উপকরণ ‘পঞ্চশস্য’ না পেয়ে বেজায় চটেছেন শাহিদ। দুর্গা মায়ের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ধর্মপ্রাণ এই মুসলিম যুবক হঠাৎই চেঁচিয়ে উঠে সঙ্গীদের বললেন, ‘খড়্গ মায়ের বাম হাতে নয়, ডান হাতে থাকে।’
দেখা গেল দশভূজা দেবী দুর্গার বাম দিকের একটি হাতে খড়্গটি রাখা আছে। সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে ডান দিকের হাতে রাখলেন একজন।
শুধু শাহেদ নন, পুজোর আয়োজনে এই ক্লাবের অন্য মুসলিম সদস্যদের তৎপরতা না দেখলে অবিশ্বাস্য বলেই মনে হবে। যেমন নিষ্ঠা নিয়ে শাহিদ রমজান মাসের তিরিশটি রোজা রাখেন, তেমনি আন্তরিকতা নিয়ে দুর্গাপুজোর প্রতিটি আচার অনুষ্ঠান হিন্দুশাস্ত্র মতে পালন করেন।
শাহিদ আলি বাংলানিউজকে জানালেন, কাবের সদস্যদের ৯০ ভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের। সকলেই খুব ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে গত ৭১ বছর ধরে পূজো করে আসছেন। কাবের পে পূজো পরিচালনা করতেন যে পুরোহিত, তিনি পুরোহিত বয়সের ভারে সাত বছর আগে অবসর নেন।
‘তখন থেকেই আমি এই কাজ শুরু করি। না হলে ক্লাবের পুজো আয়োজনের চলটা বন্ধ হয়ে যেত।’
শাহিদ আরো বলেন, আমি পেশায় ব্যবসায়ী। আমি আমার ধর্ম ইসলামকে যেমন শ্রদ্ধা করি, তেমনি হিন্দু ধর্মকেও শ্রদ্ধা করি।
মুসলিম যুবকদের পাশাপাশি এই পুজোয় যুক্ত থাকেন এ এলকার অনেক মুসলিম মহিলাও। ‘পুজোর যোগাড়, শাঁখ বাজানো, উলুধ্বনি থেকে মা’কে বরণ- সব নিয়ম নিখুঁতভাবে পালন করেন তারা। জানালেন স্থানীয় প্রতিমাশিল্পী রাম পাল।
ফাইভস্টার ক্লাবের পুজোর আয়োজনে এটা স্পষ্ট, ‘উৎসব আসলে উৎসবই। সেখানে কোনও ভেদাভেদ নেই।’
এছাড়াও Times of India -র রিপোর্টটি পড়তে পারেন এ বিষয়ে।
এ থেকে আসলে ফুটে উঠে কবির সেই কথা (কমপক্ষে আমি এতদূর বুঝি যে), "সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই"। এখন নিশ্চয়ই কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলিম বলে উঠবেন, এই শাহিদ আলী কাফের। কিংবা হিন্দু ধর্মপ্রাণ কেউবা বলে উঠবেন, ছিঃ ছিঃ, দেবীকে পূজো দিচ্ছে এই বিধর্মী মুসলিম, ধর্মশাস্ত্র এসব কি গোল্লায় গেল নাকি? আসলে এরকম যারা বলেন তারা চিরকালই তাদের নিজ নিজ কমিউনিটিতে মৌলবাদী হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেন, সে হিন্দুই হোক, মুসলিমই হোক। এদেরকে প্রকৃত ধর্মপ্রাণ হিন্দু বা মুসলিমদের সাথে এক কাতারে কখনোই দেখা যায় না। এরফলেই বোধহয় Oh My God এর মতো ছবি তৈরি হয়, এসব নকল হিন্দু-মুসলিমদের কিছু প্রকৃত শিক্ষা দিতে।
এর সাথে আরেকটা উদাহরণ দিতে চাই সাইদ ইসলামের । আমার ফেইসবুকের আরেক বন্ধুর থেকে উনার ফেইসবুকের একটি পোস্ট আমি নিচে উল্লেখ করে দিচ্ছি, পড়ে দেখুন -
গত ২৪ তারিখে শারদীয় দুর্গা পুজা উৎসবের ভাগীদার হিসেবে প্রোফাইল ফটোতে "দেবী দুর্গার" ছবি দিয়েছিলাম। তার কিছুক্ষন পর থেকেই কিছু সংখ্যক ফেইসবুক বন্ধুরা ছি ছি করে ম্যাসেজ দিতে থাকলো, কেউ কেউ ছবি পরিবর্তন করতে অনুরোধও করলো (যদিও আমি তাতে সাড়া দেইনি)। ব্যাপারটি আমার মনকে বেশ খারাপ করে রেখেছিল ঈদের পরের দিন পর্যন্ত। বিদেশ জীবনের প্রথম ঈদে কিছু আমেরিকান সাদা বুন্ধু এসেছিল আমাদের দাওয়াতে, প্রথম দর্শনেই "সালামালাকুম, ঈড মুবারাক" বলে কোলাকুলি করেছিল ঈদের সকালে। একজন বাদে সবার গায়ে ছিল নতুন কাপড় আর একটি মেয়ের পরনে ছিল অনভিজ্ঞ বাঙালি সাজে শাড়ী। মুহূর্তটি আমাকে অদ্ভুত আনন্দ দিয়েছিল যা এখনো মনে পরে। "উদারতা" শব্দটির সাথে নতুন করে পরিচিত সেদিন এবং সেখান থেকে আমার প্রথম শেখা "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার"।
আপনাদের মতামত কি এ বিষয়ে? আপনিও কি মানেন "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার", নাকি প্রত্যের ধর্ম-উৎসব প্রত্যেকের নিজের কাছে?
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৩
পাপ্রদজ বলেছেন: আমাদের প্রত্যেকেরই এমন মনোভাব হওয়া উচিত অন্যধর্ম সম্পর্কে।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৭
কলাবাগান১ বলেছেন: এখন নিশ্চয়ই কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলিম বলে উঠবেন, এই শাহিদ আলী কাফের। কিংবা হিন্দু ধর্মপ্রাণ কেউবা বলে উঠবেন, ছিঃ ছিঃ, দেবীকে পূজো দিচ্ছে এই বিধর্মী মুসলিম, ধর্মশাস্ত্র এসব কি গোল্লায় গেল নাকি? আসলে এরকম যারা বলেন তারা চিরকালই তাদের নিজ নিজ কমিউনিটিতে মৌলবাদী হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেন, সে হিন্দুই হোক, মুসলিমই হোক।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০৫
পাপ্রদজ বলেছেন: ???
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩২
C/O D!pu... বলেছেন: ধর্ম যার যার, উৎসব সবার
সহমত
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৪০
পাপ্রদজ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১৯
আফজালনবীনগর বলেছেন: View this link
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:১৭
পাপ্রদজ বলেছেন: এখানে উপাসনা বিষয়ে কোরআনে যা আছে, তার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না।
একজন মুসলিম যদি সরস্বতী পূজায় অঞ্জলি দিয়ে মায়ের কাছে ভালো রেজাল্টের জন্য প্রার্থনা করে এবং সেইমত ফলাফল করে, তাহলে আমি মনে করি না সেই মুসলিম ছেলের ধর্ম চলে গেছে। তেমনিভাবে একজন হিন্দু যদি নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে তার বাবার রোগমুক্তির প্রার্থনা করে তার সুফল পায়, তাহলে সেই ব্যক্তিও হিন্দু থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় না। বরং অপর ধর্ম সম্পর্কে দুইজনেই আরো বেশী জানতে পারল। এক মুসলিম যেমন গীতায় বিদ্বান হতে পারেন, এক হিন্দুও কোরআনে পন্ডিত হতে পারেন। আর উৎসবের সময় তো ধর্ম-বর্ণ সেসব দেখার প্রশ্ন আরো আগে আসে না। উল্টো সার্বজনীনভাবে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে আনন্দোৎসব পালন করতে হয়। পূজোর প্রসাদ যেমন মুসলিম খেতে পারে, তেমনি ঈদের সেমাইও হিন্দু গ্রহণ করতে পারে - আমার নিজস্ব মতামত এমন।
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৩৭
বিবিবাঁধন বলেছেন: ধর্ম সেনসিটিভ ও ব্যক্তিগত ব্যাপার, এটা নিয়ে বেশি বলা অশোভন, সব ধর্ম কে শ্রদ্ধা আর নিজ ধর্মে বিশ্বাস করা ভাল একটা ব্যাপার।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:১০
পাপ্রদজ বলেছেন: সেটাই আমারও কথা।
৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৩৫
শার্ক বলেছেন: if anyone follows Islam he cant follow Hindu bcoz this is a funny religion just worshipping some images. Allah promised they will be kept with their followers in the day of judgement. Read Quran and u will find no other religion is necesary. this is only the religion for humanity.
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:১৯
পাপ্রদজ বলেছেন: বোবা বা অন্ধের মতো কথা বলবেন না ভাই। যেমনভাবে কোরআন আপনাকে পথ দেখায়, তেমনিভাবে হিন্দুদের গীতা/বেদ পথ দেখায়। জানার কৌতুহলে যেমন হিন্দু কোরআন পড়তে পারে, তেমনি মুসলিমও গীতা পড়ে দেখতে পারে। বরং এতে জানার বিস্তৃতি বর্ধিত হয়।
৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৪৫
চঞ্চল ছেলে বলেছেন: যার যার ধর্ম ঠিক আছে। কিস্তু উৎসব সবার নয়!!! তাহলে যার যার ধর্ম কোথায় থাকলো???
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫৩
পাপ্রদজ বলেছেন: ধর্ম মানেই কি শুধু উৎসব? ধর্মের ভিতর তো ধর্মীয় প্রথা, অনুশাসন, রীতি-নীতি, নিয়ম-নিষ্ঠা পড়ে। কিন্তু তাহলে উৎসবের স্থাণ কোথায়?
পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ হিসেবে যেটি অধিক পরিচিত, সেটি তো হিন্দু ক্যালেন্ডার থেকে এসেছে। কিন্তু আজ তো সেটি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই পালন করে বাঙালী হিসেবে। তাহলে উৎসবের ক্ষেত্রে ধর্ম কি আগে আসে, নাকি জাতি হিসেবে আমাদের বাঙালীয়ানা?
৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫৩
চ।ন্দু বলেছেন: একজন মুসলিম হিসেবে যে কেউ হিন্দুদের পূজার উৎসবে সাহায্য সহযোগীতা করতে পারেন, যা তার পূজায় অংশগ্রহণের সাসিল হবে না বরং তা হবে প্রয়োজনে তাদের দিকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেবার সামিল। কিন্তু মুসলিম হয়ে কোনভাবেই তিনি পূজার পৌরহিত্য করতে পারেন না, এটা শুধু হিন্দুদের সাথে নয় বরং মুসলিমদের সাথেও প্রতারণা বলে আমার মনে হয়।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫৮
পাপ্রদজ বলেছেন: আপনার মতামত সেরকম হতে পারে। কিন্তু দেখবেন কতটা উদার হলে একজন মুসলিম হিন্দুদের পূজায় পৌরহিত্যের ভূমিকা নেয়। তেমনিভাবে কোনো হিন্দু যদি ঈদের দিন ঈদের নামাজ পড়ায়, তাহলে সে কি হিন্দুদের সাথে বা মুসলিমদের সাথে প্রতারণা করছে, নাকি ধর্ম বর্ণের ঊর্ধে উঠে নিজেকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে? শাহিদ আলী যদি পৌরহিত্যের দায়িত্ত্ব নিজ হাতে তুলে না নিত, তাহলে সেই এলাকার ৭০ বছরেরও পুরোনো দুর্গাপূজার আচার বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু তিনি দায়িত্ত্ব নিয়ে সেটি হতে দেননি। একজন হিন্দু হিসেবে এমনটিই করা উচিত এক এলাকার ঈদের আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও।
৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১৪
masanam91 বলেছেন: إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ ۚ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا [٤:٤٨]
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।
সুরা আন নিসা । অধ্যায় ৪ । আয়াত ৪৮ ।
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ ۚ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا [٤:١١٦]
নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়।
সুরা আন নিসা । অধ্যায় ৪ । আয়াত ১১৬ ।
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُمْ بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا [٤:٥٦]
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী।
সুরা আন নিসা । অধ্যায় ৪ । আয়াত ৫৬ ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৫
পাপ্রদজ বলেছেন: কিন্তু ভাইজান, আল্লাহই তো শাহিদ আলীর ভিতর এমন শক্তি, সাহস, প্রেরণা দিয়েছেন যাতে তিনি দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান করতে পারেন। আল্লাহ, ঈশ্বর - এরা সর্বশক্তিমান। তাঁরাই যদি আমাদের চালান, তাহলে তাঁদের কারণেই তো আমরা যা কিছু করি। আর যদি তা না হয়, তাহলে কিভাবে তিনি সর্বশক্তিমান? আমাদের কর্মকে থামাতে পারেন না?
দেখুন, আমার কথাগুলো পড়ে আমাকে নাস্তিক ভাবতে পারেন। কিন্তু আমি পুরোপুরি আস্তিক। কিন্তু আমি মনে করি, ঈশ্বর, আল্লাহ - এদের বোঝার জন্য আমাদের বুদ্ধি দেয়া হয়েছে। বুদ্ধির ব্যবহার করে এদের বুঝতে হবে। এদের বাণী (গীতা বা কোরআন) এতে লেখা আছে। কে জানে, হয়তবা উনারা পরীক্ষা করছেন কয়জন উনাদের বোঝার চেষ্টা করে। উনাদেরকে পুস্তক, মন্দির-মসজিদে সীমাবদ্ধ না রেখে উনাদেরকে আরো বড় পরিসরে বোঝার চেষ্টা কয়জন করে - সেটাই হয়তবা উনারা চান। [এ কিন্তু সম্পূর্ণই আমার অভিমত]
১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০৭
কনিফউজড_েনিটেজন বলেছেন: “Religion is an insult to human dignity. With or without it, you would have good people doing good things and evil people doing evil things. But for good people to do evil things, that takes religion.”
– by Nobel Laureate physicist Steven Weinberg
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৬
পাপ্রদজ বলেছেন: কথাটা interesting
১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫১
এরিস আফ্রোদিতি বলেছেন: বোগাস...
কারা পূজোয় পুরোহিত হতে পারেন ?
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৯
পাপ্রদজ বলেছেন: কেন জ্ঞানের অধিকারী হলে শুধু যে ব্রাহ্মণই পুরোহিত হতে পারেন তা নয়, একজন শূদ্র বা ভিন্নধর্মীও [এটি আমি মনে করি] পূজোর কর্ম করতে পারেন। গীতায়ও বলেছে জাত-পাত জন্মের দ্বারা নয়, জ্ঞান ও কর্মের দ্বারা নির্ণয়িত হয়।
১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫৫
শোকার্ত উপকূল বলেছেন: ধর্ম যার যার, উৎসব সবার
সহমত
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৯
পাপ্রদজ বলেছেন: ধন্যবাদ
১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১৬
নিকষ বলেছেন: অংশীবাদ, মূর্তিপূজা - এগুলি ইসলাম ধর্মে চির নিষিদ্ধ। আজীবন থাকবে। যে এগুলি পালন করবে সে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত।
শাহিদ আলী, নাম মুসলিম হলেও সে আপনার মত মূর্তিপূজারী, অংশীবাদীদের গোত্রভুক্ত। তারপরও যদি মুসলমান দেবীর পূজা করে, এই চিন্তা নিয়ে সুখ নিতে চান - তাহলে নিতে পারেন।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫০
পাপ্রদজ বলেছেন: ভুল বুঝলেন।
শাহিদ আলীর উদাহরণ দেবার কারণ এই যে, উনি যেমনটি শ্রদ্ধার সহিত দুর্গাপূজা পালন করেন, তেমনি নিয়ম-নিষ্ঠার সাথে ঈদের নিয়মাদি পালন করেন। এমন উদার, এমন পরধর্মে শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি কয়টা পাওয়া যায় আজকের দিনে? হিন্দুদের মাঝেই বা ক'জন আছেন যে মুসলিমদের রীতি-নীতি পালন করেন ততটাই ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে যতটা সনাতনী উৎসবের ক্ষেত্রে করেন?
১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০২
বিয়ে পাগলা দুলাভাই বলেছেন: *মুসলিম যুবকদের পাশাপাশি এই পুজোয় যুক্ত থাকেন এ এলকার অনেক মুসলিম মহিলাও।...
*... ... ... না হলে ক্লাবের পুজো আয়োজনের চলটা বন্ধ হয়ে যেত।’
তো সব যদি মুসলমানরাই করলো, তবে পূজায় হিন্দুদের ভূমিকা কি?
নিচে কমেন্ট দেখলাম বলেছেনঃ
*... ... কতটা উদার
হলে একজন মুসলিম হিন্দুদের পূজায় পৌরহিত্যের
ভূমিকা নেয়।... ...
এটা এভাবে বলে আর ভন্ডামী না করে সোজা সাপ্টা ও স্পষ্ট করে স্বীকার করলেই পারেন... যে
#[u]হিন্দু ধর্ম কতটা দেউলিয়াত্বের শিকার হলে একজন মুসলিম হিন্দুদের পূজায় পৌরহিত্যের
ভূমিকা নেয়।[/u]
পোষ্টে সাঈদের যে উদাহরণ আনলেন এরকম আরেকটা উদাহরণ দেন যেখানে কোনো হিন্দু মুসলিমদের সাথে নামাজে অংশগ্রহণ করেছে বা (শাহিদের পুরোহিতগীরির মত) নামাজে ইমাম হয়েছে।
ওঁওঁওঁ আচ্ছা এটা এমন নয়তো যে, ধর্ম যার যার উত্সব সবার করে গলা ফাটিয়ে অবশেষে নিজেদের পূজাটাও অন্য ধর্মের লোকদের উপর চাপিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচতে চাইছেন? মধু মধু, বলি হিন্দু ধর্মটা যদি আপনার কাছে এতই বোগাস আর ফালতু আচারসর্বস্ব মনে হয়। তাহলে এথেকে দূরে থাকলেই পারেন শুধু শুধু ধর্ম যার যার উত্সব সবার করে এনার্জি লস করছেন। এসবের চেয়ে ঢের ভালো হয়ঃ ব্লগিং এ সময় নষ্ট না করে, দশহাত যুক্ত মাটির পুতুল বানিয়ে আরেকটি শাহিদ খুঁজে নিয়ে ঢাক-ঢোল বাজানো। তাতে যদি আপনার দেবী আপনাকে কিছু কৃপা করেন।
পরিশেষে বলি আপনার ধর্ম আপনার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। যদি পারেন তবে এসব উদ্ভট চিন্তাগুলো মন্দিরে ছুঁড়ে ফেলে ব্লগে আসবেন। নয়তো নয়।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৮
পাপ্রদজ বলেছেন: আমার এই লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল সকলকে দেখানো যে, ধর্ম প্রত্যেকের এক এক হলেও আমরা সকলেই ভিন্ন ধর্মের উৎসবটিকে নিজের মতো করে পালন করতে পারি। সাইদ ইসলামের উদাহরণটি টানার উদ্দেশ্য ছিল এই দেখানো যে, ইসলামে যেমন হিন্দুদের পুজোয় শুভকামনা করে উইশ করার লোক আছে, তেমনি অনেক আমার হিন্দু বন্ধুও ঈদে "ঈদ মোবারক" জানিয়ে মুসলিম বন্ধুদের শুভকামনা জানায়। সচরাচর দেখি হিন্দুরাই বেশী "ঈদ মোবারক" বলে হিন্দুরা বলে বেড়ায়, মুসলিমদের ক্ষেত্রেও যে শুভানুধ্যায়ী/শুভকামনাকারী আছে এবং পাবলিকলী বলে, তারই একটা উদাহরণ দেখালাম।
আর না ভাই, কেন হিন্দুদের পূজোর ভার মুসলিমের উপর পড়তে যাবে। ওই অঞ্চলে খুব সম্ভবত এখন মুসলিমদের সংখ্যাই বেশী। ফলে ৭০ বছরেরও বেশী সময় ধরে চলে আসা দুর্গাপূজার রীতি সেইসব মুসলিম ভাইদের ভেঙ্গে ফেলার মনমানসিকতা জন্মায়নি। ফলে দায়িত্ত্ব নিয়ে ওরাই চাঁদা তুলে শঙ্খ, উলুধ্বনি দিয়ে, মন্ত্র জপে পূজো দিচ্ছে। এতে তো বরং আমাদের বাহবা জানানো উচিত। ক'জন এমন লোক আছে অপরের ধর্মকে শ্রদ্ধা করে এমন কাজ করতে পারে। এটি হিন্দুদের জন্যও উদাহরণ কারণ এতে তারা এটি দেখে উদ্ধুদ্ধ হবে যে, কোনো এলাকায় যদি জাকাত দেবার রীতি থাকে ঈদের সময়, তা যদি সেই এলাকার ধনকুব মুসলিমের অনুপস্থিতিতে করা না সম্ভব হয়, তাহলে স্থাণীয় বিত্তশালী হিন্দুও সেটি করতে পারেন। ফলে এলাকার রীতিও রক্ষা পায়। মানুষেরও উপকার হয়।
মূলকথা মনে রাখবেন, "সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই"। এর সাথে আমি আরেকটু যোগ করব, ধর্ম-বর্ণ-জাতি এসবের ঊর্ধে উঠে চিন্তা করুন। মানুষ তথা জীবজগতের কল্যাণের চিন্তা করুন, দেখবেন মন, দেহ, আত্মায় শান্তি পাচ্ছেন।
১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১২
মোঃ মহিউদ্দিন বলেছেন: "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার",
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ !
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৯
পাপ্রদজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০২
নিকষ বলেছেন: ভুল বুঝি নাই, সিমপ্লি দৃষ্টিভঙ্গিজনিত ফারাক আছে আমার আর আপনার বুঝায়।
যেই জিনিষটা আপনি ডিফাইন করছেন শ্রদ্ধা হিসেবে, আমি ঐটাকে ডিফাইন করছি কপটতা হিসেবে। আপনার চোখে শাহিদ আলী, একজন মুসলিম (!) যে মূর্তিপূজায় অংশ নেয়, আবার নামাজ-কালামও পড়ে – পরমত, পরধর্মে শ্রদ্ধাশীল একজন মহান ব্যক্তি। আর আমার দৃষ্টিতে (ইসলামিক আইন অথবা শরিয়াহ’র দৃষ্টিতেও বলতে পারেন) সে “মুসলিম” দাবীকৃত একজন মুশরিক (যে শিরক করে, অথবা অংশীবাদী, মূর্তিপূজারী), একজন মুনাফিক (ভন্ড, কপট) – কেননা ইসলাম ধর্মে অংশীবাদ, মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ – আল্লাহর নামে অপবাদ দেবার শামিল, এমন এক অপরাধ যেটা আল্লাহ কখনোই ক্ষমা করবেন না। সে যদি নামাজ-কালাম পইড়া ভরাইয়াও ফেলে, রোজা রাইখাও যদি মারাও যায় – তার ঐ ইবাদতের কোন মূল্য আছে বলে মনে হয় না, সে মুশরিকই থাকবে।
পরমত, পরধর্ম বিষয়ে ইসলামী লাইন খুব সিম্পল – তোমার পথ তোমার, আমার পথ আমার। তুমি মূর্তিপূজা কর, ব্যক্তিপূজা কর, প্রকৃতিপূজা কর ...... তোমার বিষয়, আমার দায়িত্ব জানানোর, আমি জানাইছি (যাতে তুমি বলতে না পার, তুমি জানতে না), এবং আমি আল্লাহ’র পথই বেছে নিলাম। এর বাইরে যে যা করবে, কোনটাই একসেপ্ট হবে না।
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৫
পাপ্রদজ বলেছেন: হুমম.......বুঝলাম। মতপার্থক্য থাকতেই পারে। এটা থাকাটা স্বাভাবিকই। সবাই তো একটা বিষয়কে একভাবে দেখবে এমন কথা নেই।
১৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৯
বিয়ে পাগলা দুলাভাই বলেছেন: *ধর্ম-বর্ণ-জাতি এসবের ঊর্ধে উঠে চিন্তা করুন।.... ...
দেখুন উপরে আপনি যা বললেন, আপনার ধর্মমত কিন্তু সেটা সমর্থন করেনা। যেমন হিন্দুধর্মমতে ব্রাক্ষণ ছাড়া অন্য কেউ কিন্তু পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করতে পারেনা। এখানে কমেন্টের স্বার্থে এটাও কি অস্বীকার করবেন? তাহলে? এরকম দ্বিধাবিভক্ত ও নিজ ধর্মমতের সাথে সাংঘর্ষিক বক্তব্য দিয়ে আর কত নিজের ধর্মকে হেয় করবেন।
আর (শাহিদের মতো) কোনো নামসর্বস্ব মুসলমান কর্তৃক হিন্দুদের পুরোহিতগীরি করাটা প্রকৃতপক্ষে হিন্দুদের জন্য কোন গর্বের বিষয় না যে ব্লগে তা প্রচার করে বেড়াতে হবে। আপনি যদি সত্যিই নিজেকে একজন খাঁটি হিন্দু হিসেবে বিশ্বাস করে থাকেন তবে অনুরোধ, আপনি ঠান্ডা মাথায় আপনার থার্ড আই (বিবেক) দিয়ে শাহিদের পুরোহিত কর্মের ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখলে যা পাবেন তা হলোঃ শাহিদকর্তৃক পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করাটা পক্ষান্তরে এক প্রকার হিন্দুধর্মকে অপমান করারই শামিল। কেননা ঐ শাহিদের চেয়ে সে এলাকার হিন্দুরা বা একজন হিন্দু হিসেবে আপনিই পুরোহিত হবার সবচেয়ে যোগ্য দাবীদার। তাই নয় কি? বলুন এটাও অযৌক্তিক? সুতরাং কেন আপনি আপনার ধর্মের অপমানগাঁথা ব্লগে ছড়িয়ে বেড়াবেন? যেখানে ঐ এলাকায় হিন্দু থাকা সত্বেও পূজায় পুরোহিত হতে হয় একজন মুসলমানকে। এর পরও যদি আপনি "ধর্ম যার যার উত্সব সবার" বলে মহানুভবতা দেখানোর কপট চেষ্টা করেন, তাহলে ভাই আর কিছু বলার নেই। প্রার্থনা করি ভালো থাকুন সবসময়।
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩০
পাপ্রদজ বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে কট্টরভাবে হিন্দুধর্মের শাস্ত্রীয় রীতি-নীতিতে বিশ্বাস করি না। বরং মনে করি যুগের সাথে সাথে এসবের নতুনভাবে সময়োপোযুগী ব্যাখ্যার প্রয়োজন। গীতা যতদূর পড়েছি, বুঝেছি, তাতে জেনেছি, একজন শূদ্রও ব্রাহ্মণ হতে পারেন। এটি তার জন্মের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং সে কি কর্ম করে, কতটুকু জ্ঞান অর্জন করে, সেটার উপর নির্ভর করে।
শাহিদ আলীর সম্পর্কে বলব, আমি নিজে হিন্দু হিসেবে গর্বিত। আমাদের দুর্গাপূজা যে সার্বজনীন সেটা প্রকৃতই সার্বজনীনতার প্রমাণ দিল। হ্যাঁ, এটা নিশ্চয়ই চাইব কোনো হিন্দুই যদি পুরোহিতের কাজ করত, তাহলে ভালোই হতো। কিন্তু একজন মুসলিমের দ্বারা পূজার কাজ হওয়াতে কোনো অপমানবোধ তো নয়, বরং শ্রদ্ধা জন্মাচ্ছে শাহিদ আলীর প্রতি ও স্থাণীয় মুসলিম লোকজনের প্রতি যারা পূজার কাজে সহায়তা করেন। তাছাড়া শ্রদ্ধা হয় সেসব স্থাণীয় হিন্দু সমাজের প্রতিও যারা এই কাজে বাধা না দিয়ে তাদের মহানুভবতার প্রমাণ রাখছে। আর হ্যাঁ, আমি বিবেক দিয়ে যাচাই করেই এ কথা বলছি।
আসলে এটা আমি মনে করি কিভাবে আমরা বেড়ে উঠি সেটার উপরে নির্ভর করে আমাদের চিন্তা-ভাবনা, ধ্যান-ধারণা গড়ে উঠে। আমি এক উদারপন্থী হিন্দু পরিবারে জন্ম নিয়ে সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা ও ঈদ, পূজায় একে অপরের সাথে আনন্দ, উৎসব ভাগাভাগি করে নিতে শিখেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫২
আমি তুমি সে বলেছেন: আমি আমার ধর্ম ইসলামকে যেমন শ্রদ্ধা করি, তেমনি হিন্দু ধর্মকেও শ্রদ্ধা করি। +++++++++++++++++++++++++++++++++