নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভগবান শিব সাধনা

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৯

নারীর গর্তে যাদের বসবাস
তাদের মুখে সর্বক্ষণ ফোঁসফাঁস।
যাদের কোন গর্ত নাই
তাদের মুখে কোন ফোঁসফাঁস নাই।
মাটির গর্তে সাপের বাস
বিষের থলি সঙ্গে থাক্‌।
গর্তে যাদের বাস
তারাই মুখে দংশায়।
বাঘ ভালুকের গর্ত নাই
ওদের মুখে বিষ নাই।
ডাঙায় যাদের বাস
তারাই ছিঁড়ে খায়।
বাঘ সিংহের কথা
ছিঁড়তে জানে তারা।
দন্তে বিষের থলি
তাদের আমরা সর্প বলি।
গর্তে যাদের বাস
তাদের হাজতবাস।
নারীর গর্তে যাদের বাস
তারা নাকি বিষধর সাপ।
আর যেখানে যাও না রে ভাই
যেয়ো না সাপের গর্তে আর।
গর্ত জুড়ে সাপের বাসা
ছোবল মারতে ওস্তাদ ওরা।
গর্তে যদি দাও গো আঘাত
ছোবল মারতে সাপই ওস্তাদ।
যতই চলুক এঁকেবেঁকে সাপের আছে ফণা
আঘাত পেলে ছোবল মারতে দ্বিধা করে না।
কথায় কথায় কেতাব দেখায়, কেতাব ফণার সমান
একটুখানি আঘাত পেলেই দংশন করে যায়।
সর্প যারা
কথায় কথায় ফণা তোলে তারা।

যারা সর্প হয়
তাদের মাথায় ফণা হয়।
মুখে থাকে বিষ, মাথাখানা ফণা
মাটির গর্তে বাস করে হয়েছে সর্প এরা।
গর্তে এদের বাসাবাঁধা
গর্ত এদের জগৎজোড়া।
আর যেখানে যাও না রে ভাই
যেয়ো না তোমরা সাপের বাসায়।
যৌন ক্ষুধায় জ্বলে এরা
গর্তে জুড়ায় এদের প্রাণটা।

সর্প হয়ে চলে যারা
মাথায় নিয়ে চলে তারা ফণা।
কুলোপানা ফণা রে তোর, মুখ ভর্তি বিষ
ফণায় যদি কাজ না হয়, তখন দংশন করিস।
সাপের মাথায় বড় একটা ফণা
তোদের মাথায় পবিত্র ওই কেতাবখানা।
সাপ আর মানুষের মধ্যে তফাৎ কোথায়
মাটির গর্তে সাপের বাস,
নারীর গর্তে তোদের বাস।
ওরে তোদের সাথে সাপের তফাৎ কোথাও নাই
সাপের ভরসা মাথা, হাতপায়ের ওপর নাই।
সবার থাকে হাতপা
সাপের বেলায় না।
সাপের ভরসা মাথা
ফণা সমান কেতাবখানা।
মুখ ভর্তি বিষ
গর্তে কাটে দিন।
হাতপা থাকলে কি করতে হয়
তখন ফণা হারিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়।

সবার আছে হাতপা
একমাত্র সাপের আছে ফণা।
সাপ কথায় কথায় দেখায় তার মস্ত বড় ফণাটা
কেতাবখানা তুলে বলে ওরে দেখ্‌ না তোরা কেতাবখানা।
কেতাব সমান ফণা
তাই হয়েছি সর্প আমরা।
ইসলাম ধর্ম বানায় সাপের বাসা
নারীর গর্ত ছাড়া এক পা চলতে পারে না।
কার ঘরেতে রাখা আছে কয়টা কোরাণ শরিফ
খুঁজে কি পেলি তোরা তার কি কভু হদিস?
তার হিসাবনিকাশ নয় যতটা বেশী
তার চেয়ে নারীর গর্ত এদের ঘরে তত নাকি বেশী।
গর্তে এরা করে বাস,
মাথার ফণা তুলে কয় ফণী হয়েছি আজ।

ওরে ও সাপ, আর তুলিস না ফণা
ফণা তুলে তোর দিন রাত আর যাবে না।
তোর ওই মাথায় যতই থাকুক ফণা
হোক না সমান কেতাবখানা।
গর্ত ছাড়া তুই বাঁধবি কোথায় এমন সুন্দর বাসা
যে গর্তে জন্ম রে তোর, সেই গর্তে মৃত্যু রে তোর বাঁধা।
নারীর গর্ত তোর যে এতই প্রিয়, মুখ ফুটে তুই একটুখানি বল্‌ না
তোর গর্তের কথা কেউ না যাতে জানতে পারে তাইতো দেখাস ফণা।
ও সাপ, তুই যতই দেখাস ফণা
গর্তে বাস করা তোর আর চলবে না।
হাতপা নাই বলে কথায় কথায় দেখাস তুলে মস্ত একটা ফণা
হাতপা পেলে থাকবি কোথায়, থাকবে না তখন তোর ঐ ফণা।
হাতপা নাই বলে, সাপ যখন যে গর্ত পায়
সেই গর্তে সাপ তার বাসা বেঁধে যায়।
একের অধিক গর্তে সাপের বসবাস হয়
সাপ নিজের প্রজাতিকে পর্যন্ত গিলে খায়।
হাতপা নাই বলে সাপের মাথায় একটা বড় ফণা
কথায় কথায় ফণা তুলে বলে থাকে তারা,
দেখ্‌ তোরা আমার এই পবিত্র কেতাবখানা।

হাতপা যাদের আছে, তাদের আর নাইকো কোনো মস্ত ফণা
তাইতো এখন কথায় কথায় তাদের মুখে নাইকো গীতার কথা।

হাতপা যাদের নাই
তাদের কোরাণ শরিফ হয়।
সাপের মাথায় কোরাণ শরিফ, তাইতো হলো সাপের মাথার ফণা
যাদের মাথায় নাইকো কেতাব, তাদের নাইকো সাপের মস্ত ফণা।
যাদের মাথায় মস্ত বড় ফণা
কোরাণ শরিফ তাদের মাথায় তুলে রাখা।
কথায় কথায় ফণা
তুলে ধরে কোরাণ শরিফটা।
নইলে ছোবল মারবো
দন্তের সব বিষ তোর দেহেতে ঢালবো।
গর্ত পেলে খুশী যারা
কেতাব কেতাব করে মরলো তারা।

এই পৃথিবীটা আদৌ বিষাক্ত সাপের বসবাসযোগ্য ভূমি নয়
এ পৃথিবীটা আজ হিংস্র বাঘ সিংহের বসবাসযোগ্য ভূমি হয়।

যাদের আছে হাতপা
তাদের সবার জন্য গীতা।
যুদ্ধ করো
প্রয়োজনে নিহত করো।
শত্রুকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না
সেই কথা বলে গীতা।
বাঘ সিংহের মতোন গর্জন করো
যতই হোক আত্মীয়স্বজন, শত্রুকে নিহত করো।
গীতায় ওঠে গর্জন, গর্জন করে গীতা
গীতা কখনো বিষাক্ত সাপের ছোবল না।
এ বাঘ সিংহের গর্জন নয়
এ মেঘের গর্জন নয়
এ সমুদ্রের গর্জন নয়
এ গর্জন মানুষের হয়।

গীতা মানুষকে গর্জন করতে শেখায়
সাপের মতোন ফোঁসফোঁসানি নয়।
সামনা সামনি উপস্থিত থেকে যুদ্ধ করতে শেখায়
হঠাৎ করে পেছন থেকে সাপের মতোন ছোবল মারা নয়।

তাই কোরাণ শরিফ নয়
গীতা মহাবিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হয়।

আমি জাতিস্মর প্রদীপ জ্বলছি
সব ধর্মকে এই মহাযুদ্ধে আহবান করছি।
কার কত ক্ষমতা
তুলে ধর্‌ কলমে তোর লেখা।
আমি মহাবিশ্বের স্বয়ং প্রদীপ জ্বলছি
কার কত ক্ষমতা, সবাইকে লড়তে আহবান করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.