নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
ঘোড়াকে ভূত মনে করে যে ভয় পেয়েছিলাম, তা বাস্তব ঘোড়া হওয়ায় মনের সাহস আবারো বেড়ে গেল। দ্রুত হাঁটতে লাগলাম। কালী মন্দীর, কদমতলা নির্ভয়ে পার হয়ে পূর্ব দিকে চলে এলাম। ফাঁকা মাঠ। চারদিকে শুধু ফাঁকা। কোন গাছ গাছালি বা জঙ্গল নেই। কাজেই খুব একটা ভয়ভীতি করছে না। ফাঁকা মাঠ পেরিয়ে মুচী বাড়ির কাছে আসতেই আর একটি কঠিন বিপদে পরে গেলাম। মুচি বাড়ির কয়েকটি কুকুর হঠাৎ ঘেঁউ ঘেঁউ করে এসে পথ রোধ করে সামনে পিছনে ডাইনে বামে দাঁড়িয়ে গেল। এমন অবস্থা পা উঠানোর ক্ষমতা নেই। ধমক দিলেও কামড়াতে আসে, পা উঠালেও কামড়াতে আসে, নড়াচড়া করলেও কামড়াতে আসে। ভুতের ভয়ে যত না ভীত হয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি ভীত হলাম। কোন ভাবেই কুকুরের হাত থেকে ছুটতে পারছি না। উপায়ান্তর না দেখে বীরবল মুচীর নাম ধরে ডাক দিলাম, ‘ও বীরবল কাকা, ও বীরবল কাকা, দু’তিনবার ডাক দিতেই বীরবল কাকা ঘর থেকে জবাব দিল, কেটা গো?
আমি জবাব দিলাম, আমি কাকা?
-- কি হয়েছে?
-- কাকা, কুত্তাগুলা আমাকে আটকে রেখেছে। তাড়াতাড়ি উঠেন নইলে আমাকে কামড়াবে।
বীরবল ঘর থেকে কুকুর দু’টাকে ডাক দিলো, ‘এই লালু ভুলু ইধার আও’।
কিন্তু কুকুরগুলা প্রভুর ডাকে সারা দিল বটে কিন্তু আমাকে ছেড়ে গেল না, বরঞ্চ লেজ নেড়ে নেড়ে আরো জোরে জোরে ঘেঁউ ঘেঁউ করতে লাগল। বীরবল মুচি যতই ডাকাডাকি করে ততই তারা আমার চারদিকে ঘুরে ঘুরে ভুগতে থাকে। কোন মতেই আমাকে তারা ছেড়ে দিচ্ছে না। আমি আবার বীরবল মুচিকে ডাক দিলাম, কাকা ওরা আমাকে ছাড়ছে না তো? আপনি একটু কষ্ট করে উঠে আসেন। নইলে কামড়াবে তো?
অগত্যা বীরবল কাকা উঠে এসে লাঠি দিয়ে কুকুর তাড়িয়ে দিল। কুকুরগুলো প্রভুর লাঠির ভয়ে বাড়ির দিকে চলে গেল। আমাকে একা দেখে বীরবল কাকা জিজ্ঞেস করল, আরে বাবু, তুমি কি একা?
আমি বললাম, হ কাকা, আমি একা।
-- কোথা থেকে আসছো?
-- শহর থেকে।
বীরবল মাথা এদিক ওদিক নেড়ে নেড়ে বলল, না না বাবু, এতো রাতে তোমার একা একা আসা ঠিক হয় নাই। তুমি ভুল করেছো বাবু ভুল করেছো। তোমার মোটেই একা আসা ঠিক হয় নাই।
আমি বললাম, কাকা সন্ধ্যায় ট্রেন ফেল করেছি। এই জন্যে এতো রাত হয়েছে।
-- রাত হয়েছে তো স্টেশনে থেকে যেতে। এতো রাতে একা আসা ঠিক নয় বাবু। যে কোন সময় বিপদ-আপদ হতে পারে।
-- কাকা, স্টেশনে একা একা বসে থাকতে মন চাইলো না, তাই চলে এলাম।
-- নিষেধ করি বাবু আর কখনও এভাবে আসবে না।
-- ঠিক আছে কাকা, আর কখনও আসবো না।
-- একা যেতে পারবে তো?
-- হ কাকা যেতে পারবো। বলেই কুকুরের কথা মনে পড়ে গেল। বললাম, কাকা একটু দাঁড়ান, আমি চলে গেলে আপনি চলে যাবেন। নইলে কুকুরগুলো আবার ধরবে।
-- ঠিক আছে বাবু, আমি দাঁড়ালাম তুমি চলে যাও।
আমি পা তুলতেই কুকুরগুলো আবার তেড়ে এলো। বীরবল হাতের লাঠি দিয়ে কুকুরগুলো তাড়িয়ে নিয়ে গেল। আমি কুকুর থেকে মুক্ত হয়ে দ্রুত পা চালিয়ে সামনে আগাতে লাগলাম।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু। ঐ রাতে বিপদেই পড়েছিলাম। মন্তব্যর জন্য শুভেচ্ছা রইল।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এরপর আবার কোন বিপদ তার অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকবেন জনাব।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: বড় বিপদটা সামনে আছে। ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন। শুভ্চেছা রইল।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই !
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ফেদৌস প্রামানিক। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫
উল্টা দূরবীন বলেছেন: ভালো লাগলো।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই উল্টা দূরবীন। শুভ্চেছা রইল।
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২
সুমন কর বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালোই লাগল।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২
নীলপরি বলেছেন: ভয়ংকর অবস্থা। পড়তে পড়তে ব্যপারটা দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার ও খুব কুকুরে ভয়।
আপনার লেখা পড়তে সবসময় ভালো লাগে। আত এটাও ভালো লাগলো।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন নীলপরি। আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম। শুভ্চেছা রইল।
৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এর আগের কোন পর্ব আছে নাকি?
ভাল লেগেছে।
অবশ্য বার্কিং ডগ সেলডম বাইটস। কুত্তাকে ভয় পাই না। একটু সাহস থাকলে, ওদের দেখে ভীত না হলে, ওরা নিজেরাই কেটে পড়ে। ভয় পেলেই সমস্যা!
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
প্রামানিক বলেছেন: জী ভাই, এটার আগের পর্ব আছে আজ রাতেই সব পর্বের লিঙ্ক দিয়ে দিব। ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৪
জুন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাটি ভয়ানক। অচেনা কুকুর দেখলে আতংকিত হয়ে পড়ি আমি।।
আমার ছোটবেলার একটি ঘটনা মনে পড়লো প্রামানিক ভাই। এক রাতে আমাদের বিশাল এলসেশিয়ান কুকুর টাইগার এক লাফে গেট পেরিয়ে এক নাইটগার্ডের কাধে সামনের দু পা দিয়ে দাঁড়িয়ে পরে। কিন্ত কামড়ায় না। ওই লোকের চিতকারে ঘুম ভেংগে গেলে আব্বার ডাকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসে। এত যে আমাদের ভক্ত সেই খাবারের সময় উকি দিলে প্রচন্ড হিংস্র হয়ে যেত।
+
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১১
প্রামানিক বলেছেন: আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাবা একটা কুকুর পুষতেন। রাতের বেলা কুকুরটি খাবারের জন্য বাবার পিছে পিছে ঘুরতো। খাবারের বিনিময়ে কুকুরটি সারারাত বাড়ি পাহারা দিত। কিন্তু যেদিন আমাদের বাড়ি চুরি হলো সেদিন থেকে কুকুরটি আর ভুগল না। কিছুদিন পড়ে মারা গেল। আপানার মন্তব্য পড়ে সেই কুকুরের চেহারা চোখে ভেসে উঠল।
৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
বিজন রয় বলেছেন: চ্যাম্পিয়ন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২১
প্রামানিক বলেছেন: চ্যাম্পিয়ন।
ধন্যবাদ বিজন রয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভালই বিপদে পড়েছিলেন- ঘোড়া গেল তো আবার কুকুর!