নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প ঃ পুলিশের মেয়ে (শেষ পর্ব)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

দশটার দিকে সাদিয়া রাসেদকে কয়েকবার মোবাইল করেও পেল না। মোবাইল বন্ধ। রাসেদের মোবাইল ছিনতাই হয়েছে। রাসেদ জানে সাদিয়া সকাল থেকেই বার বার ফোন দিবে কিন্তু সাদিয়ার বাবার ব্যাবহারের কারণে সাদিয়ার সাথে আর কথা বলার ইচ্ছে হলো না। সাদিয়ার বাবা যে আচরণ করেছে তাতে লুচ্চামী না করেও লুচ্চার মুখ নিয়ে তার সামনে যাওয়া আর সম্ভব নয়।
পতিতাগুলো পকেট থেকে টাকা পয়সা বের করে নেয়ার পরেও রাসেদের প্যান্টের ব্যাক পকেটে একটি পাঁচ শত টাকার নোট থেকে গিয়েছিল। রাসেদ পকেট হাতিয়ে সেই টাকা পেয়ে যেন প্রাণ ফিরে পেল। মাহিলাদের টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়া আর পুলিশের আচরণে তিক্ত অভিজ্ঞতা হওয়ার পর আর এক মূহুর্তও যশোরে থাকতে ইচ্ছে হলো না। বার বার মায়ের কথা মনে পড়ছিল। মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করার চেষ্টা করাটা মনে হয় ঠিক হয়নি। একটা পর্যায়ে সাদিয়ার উপর খুব রাগ হলো। সাদিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী তার বাপকে যা কল্পনা করেছিল তা পেল না। মায়ের কথাই ঠিক হলো।
রাসেদ মায়ের সাথে চলেঞ্চ নিয়েই এসেছিল। সব পুলিশের আচরণ যে খারাপ হয় না এটা সাদিয়ার বাপকে দিয়েই দেখিয়ে দিবে। কিন্তু সে চ্যালেঞ্চ আর থাকল না। সাদিয়ার বাবার সাথে পরিচয় হওয়ার আগেই সেই চ্যালেঞ্চ নষ্ট হয়ে গেল। এখন মাকে গিয়ে সে কি বলবে? রাগে দুঃখে অভিমানে সাদিয়ার বাবার সাথে আর দেখা করল না। সকালের ফাষ্ট টিপেই বাস ধরে ঢাকায় ফিরে এলো।
বাসায় ফিরে মাকে নিজের থেকে কিছুই বলল না। কিন্তু মা সাদিয়ার বাবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য বার বার জিজ্ঞেস করতে লাগল। মায়ের প্রশ্নের জবাবে রাসেদ বলল, সব পুলিশ সমান নয় মা, পুলিশের মধ্যেও ভাল-মন্দ আছে।
সাদিয়ার মা বলল, পুলিশের মধ্যে ভাল-মন্দ আছে সে তো আমিও জানি। তুই সাদিয়ার বাবাকে কেমন দেখলি সেইটা বল?
-- পুলিশ হিসাবে সাদিয়ার বাবা মন্দ নয় মা। তবে চিন্তা করে দেখলাম, তোমার মতের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না মা। তুমি যা ভাল মনে করবে তাই করবো।
ছেলের এমন কথায় রাসেদের মা কিছুই বুঝতে পারল না। কিছুটা বিস্মিত হলো। যে ছেলে সাদিয়ার জন্য পাগল, সাদিয়ার বাবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, সে ছেলে হঠাৎ করে ঘুরে গেল কেন? তাহলে কি রাস্তায় গিয়ে ও মায়ের কথা ভেবেছে? রাসেদের কথা শুনে অনেকক্ষণ রাসেদের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, সাদিয়ার বাপের সাথে তোর দেখা হয় নাই?
-- হয়েছে।
-- কথা হয় নাই?
-- হয়েছে
-- কেমন লোক?
-- ভাল
-- রাসেদের মা শুধু বলল, ভাল হলেই ভাল।
রাসেদ মায়ের কাছে ছিনতাই থেকে সাদিয়ার বাবার সাথে দেখা হওয়ার সমস্ত ঘটনা চেপে গেল। এরকম অনাকাংখিত লজ্জাজনক ঘটনা মায়ের কাছে বলাও সম্ভব নয়। তবে যশোর থেকে ফিরে রাসেদ একদম চুপ হয়ে গেল। মায়ের সাথে আগে যেমন সাদিয়াকে নিয়ে প্রশংসামূলক কথা বলতো এখন সে সাদিয়া সম্পর্কে কিছুই বলে না। মন মরা হয়ে এক সপ্তাহ বাসায় কাটিয়ে দিল।
হঠাৎ রাসেদের এই পরিবর্তন দেখে রাসেদের মা কিছু বুঝতে না পারলেও তার পরিবর্তনটা ঠিকই লক্ষ্য করল। সে মনে মনে ভাবল, পুলিশের মেয়ে বিয়ে করতে নিষেধ করেছি এটা হয়তো তার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। মেনে নিতে গিয়ে হয়তো ভেবে পাচ্ছে না এখন কি করা উচিৎ। সাদিয়ার ভাবনা চিন্তার কারণেই হয়তো রাসেদ চুপ হয়ে গেছে, বিনা করণে কোন কথা বলছে না।
যশোর থেকে ফিরে পুরো এক সপ্তাহ রাসেদ ইউনিভার্সিটিতে গেল না। সাদিয়া প্রত্যেক দিন এসে রাসেদকে খুঁজে বেড়ায় কিন্তু রাসেদের দেখা পায় না। এক সপ্তাহ পড়ে রাসেদ ইউনিভার্সিটিতে গেলেও ক্লাসে না গিয়ে লাইব্রেরীর উত্তর পার্শ্বে গাছতলায় বসে থাকল। রাসেদ ক্লাসে না গিয়ে গাছ তলায় লুকিযে থাকলে কি হবে সাদিয়া ঠিকই খবর পেয়ে যায়। ক্লাস থেকে বের হয়ে সোজা রাসেদের সামনে এসে দাঁড়ায়। সাথে ক্লাসের অন্য বান্ধবীরাও আছে। এসেই সাদিয়া রাসেদকে জিজ্ঞেস করল, তুমি যশোরে গেলে না কেন?
রাসেদ কোন কথা বলল না।
সাদিয়া আবার জিজ্ঞেস করল, ফোন বন্ধ রেখেছ কেন?
রাসেদ সাদিয়ার এ কথারও কোন জাবাব না দিয়ে চুপচাপ নিচের দিকে মুখ করে বসে থাকল।
রাসেদ কথা না বলায় সাদিয়া উত্তেজিত হয়ে আবার জিজ্ঞেস করল, কি হলো, কথা বলছো না কেন?
রাসেদ কথা বলতেই এসেছিল কিন্তু সাদিয়াকে দেখেই তার বাবার আচরণ চোখে ভাসতে লাগল। তার বাবার আচরণে ক্ষিপ্ত হয়েই রাসেদ জেদের বসে সাদিয়ার সাথে কথা না বলে চুপ করে বসে আছে।
এদিকে সাদিয়া মনে মনে ভাবতে লাগল, হয়তো রাসেদ মায়ের কথামতো যশোর না গিয়ে তাকে এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। মায়ের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে ডুব মেরেছে। সেই জন্য হয়তো বার বার প্রশ্ন করলেও রাসেদ কোন কথার জবাব দিচ্ছে না। বার বার প্রশ্ন করে প্রশ্নের কোন উত্তর না দেয়ায় সাদিয়া আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল। উত্তেজিত হয়ে বলল, বুঝতে পেরেছি-- মায়ের কথায় পিছুটান মেরেছো, মায়ের কথামতই যদি চলবে তাহলে আমাকে ভালবাসতে গেলে কেন? ভালবাসার পর যদি বিয়ে করার সাহস না থাকে সেটা আমাকে বললেই হতো। কিন্তু বিয়ে করার কথা বলে এর মধ্যে আমার বাবাকে জড়ালে কেন? জড়ালেই যদি বাবার সাথে দেখা করতে চেয়ে দেখা করলে না কেন?
সাদিয়ার এতগুলি প্রশ্নমূলক কথা বলার পরও রাসেদ কোন কথা না বলে চুপ করে থাকল। রাসেদের কাছ থেকে প্রশ্নের জবাব না পেয়ে সাদিয়া আরো ক্ষেপে গেল। ক্ষিপ্ত হয়ে উত্তেজিত গলায় বলল, এই হারিমীর বাচ্চা, কথা বলছিস না কেন? তোর মায়ের দাম আছে আমার বাবার দাম নেই? তুই আমার বাবার কাছে আমাকে ছোট করলি কেন?
রাসেদ ভেবেছিল সাদিয়া যদি সামনে এসে কথা না বলায় কান্নাকাটি করে তবে তার বাবার প্রতি নাখোশ হলেও তাকে সে গ্রহণ করবে। সাদিয়ার বাবার আচরণের কারণে দীর্ঘ দিনের প্রেমকে নষ্ট করবে না। কিন্তু তার এই ভাবনার বিপরীত ঘটে গেল। রাসেদের মাকে তুলে গালাগালি করায় রাসেদ ভিতরে ভিতরে ফুসতে লাগল। যাও একটু কথা বলার ইচ্ছা ছিলা সেটাও আর বলার ইচছা হলো না।
সাদিয়ার গালাগালিতে রাসেদ আরো কঠিন হয়ে গেল। কথা তো বললই না এমন কি মাথা তুলে সাদিয়ার দিকে একবার তাকালও না। রাসেদের এরকম মাথা নিচু করে বসে থাকার কারণে সাদিয়ার মেজাজ আরো চড়ে গেল। রাগ সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে রাসেদের গালে ঠাস করে চড় মেরে বসল। চড় খাওয়ার পরও রাসেদ কোন কথার জবাব না দিয়ে চুপ করে বসেই রইল।
সাদিয়ার হাতে চড় খাওয়ার পরও রাসেদ চুপচাপ বসে থাকায় বান্ধবীরাও আশ্চার্য হয়ে গেল। তারাও ভেবে পাচ্ছে না রাসেদ হঠাৎ এরকম হয়ে গেল কেন। একটা পুরুষ মানুষ তো এত চুপ করে থাকার কথা না। সে কি পাগল টাগল হয়ে গেল নাকি?
সাদিয়া বাস্টার্ড মাস্টার্ডসহ রাসেদের মাকে তুলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে রাগে দুঃখে উত্তেজনায় কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
সাদিয়া চলে যাওয়ার পর বান্ধবী আকিফা রাসেদের এমন ভূমিকার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য থুতনি ধরে মুখটা উপর দিকে তুলে ধরল। চেয়ে দেখে রাসেদের চোখ দিয়ে জল টপ টপ করে পড়ছে।
রাসেদের চোখে জল দেখে আকিফা কিছু বলার সাহস পেল না। অনেকক্ষণ পর কাছে বসে আদরের সুরে বলল, রাসেদ, ভাই আমার, তুই খুলে বল তো তোর কি হয়েছে? তুই সাদিয়ার চড় খাওয়ার পরও কথা বললি না কেন?
রাসেদ আকিফার কথায় চোখ মুছতে মুছতে শুধু বলল, পরে একদিন বলবো রে। এখন মেজাজ ঠিক নেই, এখন বলতে পারবো না।
আকিফা একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, তোর মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছি, তোর এখন এখানে থাকা ঠিক নয়, তুই তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যা।
রাসেদ আর একমুহুর্ত দেড়ি না করে বাসায় চলে গেল।
তিন দিন পরে রাসেদ ইউনিভার্সিটিতে এলো। আজকেও ক্লাসে না গিয়ে লাইব্রেরীর পাশের সেই কাঁঠাল গাছ তলায় বসে থাকল। ক্লাস শেষে ক্লাসের আর কারো চোখে না পড়লেও আকিফার চোখে পড়ল। আকিফা কাউকে সাথে না নিয়ে একা একা রাসেদের কাছে এসে বসল। রাসেদ আকিফাকে দেখে মুখ তুলে একটা হাসি দিয়ে আবার মুখ নিচের দিকে দিল।
আকিফা দু’একটি অন্য কথা বলে জিজ্ঞেস করল, তুই সাদিয়ার ব্যাপারে নিরব হয়ে গেলি কেন রে? একটু খুলে বলতো?
রাসেদ মাথা নিচু করেই বলল, না শুনলে হয় না।
-- না শুনলেও হয়, তবে সেদিনের সাদিয়ার আচরণটা আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে, আর তোর নিরব ভূমিকাটাও আমার কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে। তুই খুলে না বললে নানা ধরনের প্রশ্ন মনের মধ্যে জেগে উঠছে।
-- সাদিয়া এভাবে চড়াও হবে আমি বুঝতে পারি নি রে। বুঝলে ইউনিভার্সিটিতেই আসতাম না।
-- সাদিয়া এমন করবে এটা তো আমরাও বুঝতে পারি নি। বুঝতে পারলে তো তোকে এসেই ভাগিয়ে দিতাম। তবে কথা হলো-- রহস্যটা কি বলতো? কি হয়েছে তোর? তিন বছর প্রেম করে হঠাৎ করে পিছুটান দিলি কেন?
-- সে অনেক কথা রে।
-- যত কথাই হোক, না বললে বুঝবো কি করে?
রাসেদ যশোর যাওয়ার সমস্ত ঘটনা আকিফার কাছে খুলে বলল। আকিফা তার ঘটনা শুনে হতভম্ব হয়ে গেল। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, রাসেদ, এত কিছু ঘটনা ঘটল তারপরেও তুই নিরব থাকলি কেন? তুই তো সাদিয়াকে সব কিছু খুলে বলতে পারতিস?
-- ওর বাবার আচরণে যতোটা না ক্ষুব্ধ ছিলাম, সেদিনের আচরণে তার চেয়েও বেশি ঘৃণা এসে গেছে রে। এই জন্য ওর সাথে আর কথাই বলতে ইচ্ছা করছে না।
-- তাই বলে তুই সাদিয়ার চড় খেয়েও নিরব থাকবি?
-- নিরব না থেকে কি করবো। ও তো ওর বাবার প্রতি খুব দুর্বল। এসব ঘটনা বললে হয়তো ও বিশ্বাস করবে না।
-- ওকে না জানালে ও কি করে বিশ্বাস করবে?
-- আমি আর ওর সাথে কথাই বলবো না। পারলে তুই জানিয়ে দিস।
দুই দিন পরে আকিফা সাদিয়াকে একা পেয়ে জিজ্ঞেস করল, তুই রাসেদ কে চড় মারলি কেন রে?
সাদিয়া উত্তেজিত ভাবে জবাবে বলল, মারবো না, হারামাজাদা যশোর যাওয়ার কথা বলে যায় নাই। আমার বাবার কাছে আমাকে ছোট করেছে। দেখা করতে চেয়ে দেখা করে নাই। বাবার কাছে খুব বড় মুখ করে ওর যাওয়ার কথা বলেছিলাম। অথচ সে তার মায়ের কথায় আমার সাথে বেঈমানী করেছে।
আকিফা বলল, রাসেদ যে যশোরে যায় নাই এটা তুই কি করে বুঝলি?
-- গেলে তো বাবার সাথে দেখাই করতো?
-- আমি জানি ও যশোর গিয়েছিল।
-- না-- হারামজাদা যশোরে যায় নাই।
-- সে যশোর গিয়েছিল এবং তোর বাবার সাথে দেখাও করেছিল।
-- প্রশ্নই আসে না। কুত্তার বাচ্চা যশোর যায় নাই। গেলে বাবা কখনই আমাকে মিথ্যা বলবে না।
আকিফা খুব বিশ্বস্ততার সাথে বলল, রাসেদ যশোর গিয়েছিল এবং তোর বাবার সাথে দেখাও করেছিল। কিন্তু একটা দুর্ঘটনা ঘটায় পরিচয় দিতে পারে নাই।
কি বলিস তুই, দুর্ঘটনা ঘটলে বাবা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে ওকে রক্ষা করার চেষ্টা করতো। ওই কুত্তা তোকে মিথ্যা বলেছে। ও আসলে যায় নাই।
আকিফা সাদিয়ার মত উত্তেজিত না হয়ে আস্তে আস্তে বলল, রাসেদ গিয়েছিল এবং তোর বাবার সাথে দেখাও হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এমন একটা অঘটন ঘটে যার কারণে সে তোর বাবার কাছে পরিচয় দিতে পারে নাই।
-- কি এমন আশ্চার্য ঘটনা ঘটে যে বাবার কাছে পরিচয় দিতে পারে নাই?
-- তোর বাবার সাথে এমন একটা লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে যার ফলে লজ্জায় সে আর তোর বাবার সামনে দ্বিতীয়বার যায় নাই।
-- কি এমন ঘটনা খুলে বল তো?
আকিফার কথায় সাদিয়া কিছুটা নরম হলে আকিফা রাসেদের যশোর যাওয়ার পর থেকে ছিনতাই হওয়া এবং তার বাবার সাথে লজ্জাজনক বাতচিতের ঘটনার সমস্ত কাহিনী খুলে বলল। আকিফার কাছে রাসেদের দুর্ঘটনা এবং বাবার দুর্ব্যাবহারের কথা শুনে সাদিয়া লজ্জায় চুপসে গেল। রাসেদের মত সাদিয়ারও বাবার প্রতি ঘৃণা এসে গেল। সাদিয়া বিগত তিন বছর হলো রাসেদকে চেনে। সে খারাপ ছেলে নয়। কিন্তু তার বাবা তাকে জঘন্য ভাষায় কথা বলাতে বেদিক হয়ে গেল। রাসেদ নির্দোষ হওয়া সত্বেও তাকে চড় মেরেছে। এই ভুলের জন্য মনে মনে অনুশোচনা করতে লাগল। মনের অজান্তেই চোখের জল গড়িয়ে পড়তে লাগল। একটা পর্যায়ে সে হু হু করে কেঁদে উঠল।
তার কান্না দেখে আকিফা শান্ত হতে বললেও শান্ত হতে পারল না। কাঁদো কাঁদো অবস্থায় ভেজা ভেজা চোখ নিয়ে নিথর হয়ে বসে ভাবতে লাগল, একি করল সে, না জেনে না শুনে তাকে কেন চড় মারল। চড় মারা হাত এই মুহুর্তে ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে করছে। বাম হাত দিয়ে ডান হাত মোচড়াতে লাগল।
আকিফার কাছে ঘটনা শুনে বাবার উপর প্রচন্ড রাগ হলো। অনেক বড় মুখ করেই রাসেদকে বাবার কাছে পাঠিয়েছিল। রাসেদও মায়ের সাথে চ্যালেঞ্চ করেই গিয়েছিল। কিন্তু এরকম একটা ঘটনা ঘটবে এটা সাদিয়া কল্পনাও করে নাই। রাসেদের মা কি কারণে পুলিশের উপর নাখোশ সেটা সে জানে না। তবে তার নাখোশ হওয়ার বিষয়টি এই ঘটনায় আরো জোড়ালো হলো। বিনা করণেই রাসেদের মাকে গালিগালাজ করেছে। অথচ সে নির্দোষ। রাসেদকে চড় মারা থেকে রাসেদের মাকে গালি দেওয়ার সব ঘটনা তার মনে পড়তে লাগল। নিজেকে খুব অপরাধি মনে হতে লাগল।
কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে আকিফার কাছে আস্তে আস্তে বলল, এখন আমার কি হবে রে আকিফা? আমার কি সব শেষ হয়ে গেল রে? আমি এখন কি করবো রে?
আকিফা আশ্বাস দিয়ে বলল, এত ভেঙে পরছিস কেন? ধৈর্য ধর না, একটা সমাধান অবশ্যই হবে।
--তুই কি রাসেদ কে ডেকে আনতে পারবি?
-- কেন?
-- আমি ওর পা ধরে মাফ চেয়ে নিব।
-- কোন হাত দিয়ে পা ধরবি?
-- কেন?
-- ডান হাত দিয়ে তো চড় মেরেছিস, শুধু বাম হাত দিয়ে ধরলে তো অপমান করা হবে-- -
-- তাই তো! বলেই সে আকিফার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আকিফার কাছ থেকে একটু দূরে সরে গিয়ে বাবাকে ফোন করেই ইচ্ছে মত গালাগালি করতে লাগল। হঠাৎ মেয়ে ক্ষেপে গেল কেন বাবা বুঝতে পারছে না? কান্নারত মেয়ের গালাগালির ধরন দেখে বলল, আরে পাগলী কি হয়েছে খুলে বল না?
-- রাসেদ দেখা করার পরও তুমি মিথ্যা বললে কেন? বলেই কাঁদতে লাগল।
-- আরে পাগলী সে ছেলে তো আসেই নাই, আমার সাথে দেখা করলো কখন?
-- যাওয়ার কথা ছিল সকাল দশটায়, বাস থেকে নেমে রিক্সায় যাওয়ার পথে ছিনতাই হওয়ায় সে ভোর পাঁচটায় থানায় গিয়েছিল, আর তুমি তাকে পুলিশী কায়দায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছো। যে কারণে সে আর নিজের পরিচয় দিতে পারে নাই।
মেয়ের কথা শুনে ছালাম দারোগার সম্বিৎ ফিরে এলো। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে গেল। ওইটাই যে সেই ছেলে সেটা সে ঘুণক্ষরেও বুঝতে পারে নাই। নিজের কৃত কর্মের জন্য নিজেই আফসোস করতে লাগল। কিন্তু এই মূহুর্তে মেয়েকে তো শান্ত করা দরকার। তা না হলে বাপের উপর মেয়ের ভুল বোঝাবুঝি চরম আকার ধারণ করবে। বাপ মেয়ের সম্পর্কের মাঝেও ফাটল ধরতে পারে। ছেলের সাথে সম্পর্ক থাক বা না থাক তাতে কিছু যায় আসে না। মেয়েকে বোঝাতে হবে। নইলে যে কোন অঘটন ঘটতে পারে। এমন কি মেয়ে আত্মহত্যাও করতে পারে। সেই চিন্তা করেই মেয়ের কথার জবাবে চটপট বুদ্ধি খাটিয়ে বলল, মা, ছেলেটা ভাল নয় মা, ওটা একটা লুচ্চা। ওকে তুই ভুলে যা। ও তোর কাছে ভাল হওয়ার জন্য ছিনতাইকারীর কথা বলেছে ও আসলে খারাপ জায়গায় গিয়েছিল মা। বাবা হয়ে তোকে আর কিছু বলতে পারছি না। তুই আমার কথা বিশ্বাস কর।
বাবার কথা বিশ্বাস না করে সাদিয়া বাবাকে আরো গালাগালি করতে লাগল।
মেয়ের গালাগালি শুনে ছালাম দারোগা বলল, মা, তুই ওই ছেলেকেই জিজ্ঞেস কর ও কোথায় গিয়েছিল এবং ওর কাপড়ে লিপিস্টিকের দাগ এলো কোথা থেকে? ছেলেটার কাছ থেকে প্রশ্নগুলোর জবাব নিয়ে তারপর আমাকে যত পারিস গালি দে।
-- বাবা, আমি ওকে ভাল করেই চিনি। নিজের দোষ চেপে যাওয়ার জন্য তুমি আমার কাছে মিথ্যা বলছো। এটা তোমার পুলিশী কায়দা।
-- যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয়, যারা ওই সময় থানায় ডিউটিতে ছিল তাদের তুই জিজ্ঞাসা করে দেখ না? ও যে লুচ্চামী করেছে এবং তার চিহ্ন যে ওর শরীরে ছিল সেটা ওরাই বর্ণনা দেরে।
-- থানায় যারা ডিউটি করে তারা তো তোমার কথা মতই কথা বলবে বাবা। তারা কি সত্যি কথা বলবে?
-- এর পরেও যদি তোর বিশ্বাস না হয় ছেলেটাকে সাথে নিয়ে আমার সামনে আয়। আমি ছেলেটার কুকীর্তি সামনাসামনি প্রমাণ করে দেব।
রাসেদের লুচ্চামী সম্পর্কে বাবার কনফিডেন্স নিয়ে কথা বলা দেখে সাদিয়াও কিছুটা নরম হয়ে গেল। মনে মনে ভাবতে লাগল নিশ্চয় রাসেদ খারাপ কিছু করেছে। তা না হলে যশোর গিয়ে ফোন বন্ধ রাখল কেন। যশোরে যদি ফোন ছিনতাই হয়ে থাকে ঢাকায় এসেও তো ঘটনাটা আমাকে বলতে পারতো। তা না বলে সে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে। লুচ্চামী করেছে বলেই হয়তো আমার কাছে বলার সাহস পায় নি।
রাসেদের ব্যাপারে সাদিয়ার মনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিল। খারাপ কিছু যদি নাই দেখবে তবে বাবা কেন তার প্রতি নোংরা ভাষা ব্যাবহার করবে? কোন বাবাই চায় না তার মেয়ের খারাপ কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক হোক। নিশ্চয় বাবা প্রমাণাদি পাওয়ার পরেই এমন আচরণ করেছে। ছেলেদের মন তো বলা যায় না, সুযোগ পেয়ে রাতের অন্ধকারে খারাপ জায়গায় যেতেও পারে। বাবার কথায় রাসেদের প্রতি সাদিয়ার অবিশ্বাস এসে গেল।
কিন্তু রাসেদের উপর সাদিয়ার অবিশ্বাস বা ঘৃণা যত না কাজ করছিল তার চেয়ে বেশি দ্বিধা দ্বন্দে¦ পড়ে গেল চড় মারা নিয়ে। যত খারাপই হোক, দীর্ঘ দিন প্রেম করে তার গালে চড় মারাটা বোধ হয় ঠিক হয় নি। চড় মারার পর তার সামনে কি আর যাওয়া সম্ভব? সাদিয়া এই চিন্তা করেই চুপ হয়ে গেল।
পরক্ষণেই আবার মনে মনে ভাবতে লাগল পুলিশের ঘরে জন্ম নিয়ে ভালই হয়েছে, তা না হলে রাসেদের এমন চরিত্র কোন দিনই জানা সম্ভব হতো না। বাবা যখন তাকে লুচ্চা হিসাবে আবিষ্কার করেছে তখন ওকে আর বিয়ে করা উচিৎ হবে না। ওর পিছন ছেড়ে দেয়াই ভাল। মরে গেলেও আর ওর কাছে যাওয়া ঠিক হবে না।

(সমাপ্ত)
গল্প ঃ পুলিশের মেয়ে প্রথম পর্ব

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এখন ভাললাগা রেখে গেলাম।
পরে এসে পুরাটা পড়ব ।
শুভেচ্ছা রইল

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভ্চেছা রইল।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবা ডঃ আলী ভাই।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো করেছেন এই জুটি ভেঙ্গে দিয়ে, নইলে রাশেদের কপালে খারাবী ছিলো।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৮

প্রামানিক বলেছেন: হেইডা চিন্তা কইরাই তো জুটি ভাইঙ্গা দিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুলিশের মেয়ে হওয়াতেই সাদিয়া অপ্রিয় সত্যটা জানতে পেরেছে।

দুই পর্ব মিলিয়ে গল্পটা ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি কিন্তু ভাবছিলাম জুটিটা শেষ পর্যন্ত গড়েই দিবেন? তবে ভেঙে দিয়ে বোধ হয় ভাল হইছে!

শুভ কামনা প্রামানিক ভাই!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: রাশেদকে চড় মারার পর জুটি আর গড়া গেল না। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৪

সোহানী বলেছেন: আহারে কঠিন প্রেমের এতো সহজ পরিসমাপ্তি!!!! গল্পে +++++

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: কঠিন প্রেমের এতো সহজ পরিসমাপ্তি!!! মন্তব্যে খুব সুন্দর কথা বলেছেন। ধন্যবাদ বোন সোহানী। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

হাবিব বলেছেন: আসলেই মেয়েদের মন বুঝা বড় কঠিন। তারা কোন সময় যে তাদের মন পরিবর্তন করে তারা নিজেরাই ঠিক করে বলতে পারে না।একটা কথা বলি কেও মনে কিছু নিয়েন না।মেয়েদের মন হাঁসের ধন,একবার বার করে আবার ঢুকাই
ত same same মেয়ে রা একবার হা আবার না।আসলেই সত্তিকারের ভালবাসা মনে হয় একটু pain.অনেক কিছু লিখতে মন চাইতে ছে কিন্ত লেখার এত সময় পাইতে ছি না।ভাই।প্রবাসে থাকি ত তাই।তবে মাঝেমধ্যে ব্লগ এর গল্প গলো পরে নিজের কাছে ভালই লাগে আবার খারাপ ও লাগে।আমার জিবনে এমন অনেক গল্প ই রয়েছে কিন্ত তা বলতে পারি না।।যাই হওক লেখক ভাই চালিয়ে যান। আর একজন লেখক এর কাজ ই লেখালেখি।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: আপনিও আপনার জমে থাকা গল্প লিখে ফেলেন। ধন্যবাদ

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫২

প্রবাসী দেশী বলেছেন: গল্পটি ভালো হয়েছে। তবে তৃতীয় কিস্তী করতে পারতেন .. ...

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৬

প্রামানিক বলেছেন: তৃতীয় কিস্তী করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু অনেকের অনুরোধে দুই কিস্তীতে দিতে বাধ্য হয়েছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

হাবিব বলেছেন: গল্প লিখেছি ভাই কিন্ত কেও পরে না।তাই আর গল্প পোস্ট করি না।শুধ পড়ি।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৫

প্রামানিক বলেছেন: আপনি নিয়মিত পোষ্ট করেন আর মন্তব্য করতে থাকেন এক সময় দেখবেন আপনার প্রচুর পাঠক সৃষ্টি হবে। ধন্যবাদ

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: গল্প ভালই হয়েছে, তবে আগের পর্বগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার সুষ্পষ্ট মতামত আমার জন্য অনেক শিক্ষণীয়।

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২১

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: এটাকে আরো টেনে নিতে পারতেন। ভালো লেগেছে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

প্রামানিক বলেছেন: টেনে নেয়ার ইচছা ছিল, কিন্তু ইচ্ছা হলো না তাই এখানেই শেষ করেছি। ধন্যবাদ বোন।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

আলোরিকা বলেছেন: সমাপ্তিটা ভালই হয়েছে ------- আমিতো ভেবেছিলাম এই সুযোগে রাসেদের জীবনে আকিফা ইন করবে :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

প্রামানিক বলেছেন: অনেক সময় অনাকাঙ্খিতভাবে কিছু প্রেম এভাবেই সমাপ্তি হয়। ধন্যবাদ বোন আলোরিকা।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

ওয়াছেকুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন: হয়তোবা আপনার জেদের কারনেই আমরা একটা সুন্দর গল্প উপহার পেলাম। খুব সুন্দর হয়েছে। আরও সুন্দর সুন্দর গল্প লেখার আমন্ত্রণ রইল। ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, চেষ্টা করবো।

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: তৃতীয় কিস্তি করলে ভালই হত মনে হয়। আরো পড়তে পারতুম।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বড় ভাই, সামনে চেষ্টা করবো। শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

নীলপরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো গল্পের মোড়গুলো ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: সমস্যা কী আপনার? আমার কমেন্ট মুছতাসেন কেন? সমালোচনা সহ্য করার মুরোদ নাই? আইচ্ছা আর কমেন্ট করুম না আপ্নার ব্লগে। টা টা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব হাসান মাহবুব, আপনি ঠিকই বলেছেন ক্যাচাল জাতিয় সমালোচনা সহ্য করার মুরোদ আমার নাই। কারণ আমি ক্যাচাল পছন্দ করি না। মোটেই গল্প হয় নাই এমন মন্তব্য করার আগে কি কারণে গল্প হয় নাই সেটা ব্যাখ্যা করে বলা উচিৎ ছিল। তাহলে আমিও কিছু শিখতে পারতাম ব্লগাররাও এখান থেকে কিছু শিখতে পারতো আর আপনার পান্ডিত্যের ফলাফলটাও আমাদের কাজে লাগতো। তা না লিখে আপনি এরকম মন্তব্য লেখায় সেখানে গঠনমূলক কোন কিছু মনে হলো না বিধায় মুছে দিয়েছি। আপনি এখনও কারণ এবং তার ব্যাখ্যা দিয়ে আমার লেখা গল্পের মন্তব্য করেন আমি আপনার মন্তব্য মাথা পেতে নিব। আশা করি আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগে আলোচনা সমালোচনা থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে কারো সমালোচনামুলক মন্তব্য মুছে দেয়া অগ্রহনযোগ্য ব্লগীয় আচরন। যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্লগিং করছেন, তাদের এই ধরনের আচরন নিন্দনীয়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই, মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে কথা হলো-- দীর্ঘ দিন হলো আমি এই ব্লগে ব্লগিং করি আপনারাও হয়তো খেয়াল করেছেন আমি কোন ক্যাচাল পছন্দ করি না। আমি কখনও কারো লেখায় আপত্তিজনক কোন মন্তব্য করি না এবং আমার লেখায় অন্যের দেয়া আপত্তিমূলক মন্তব্যও পছন্দ করি না। আমার কোন পোষ্টে আপত্তিজনক কোন লেখা নজরে পড়লে বা কেউ দেখিয়ে দিলে আমি সেই লেখা সাথে সাথেই মুছে দেই অথবা সংশোধন করি। কাজেই কোন মন্তব্যের কারণে ক্যাচাল হোক এটা আমি চাই না।
তাছাড়া এই ব্লগে অনেক ব্লগার আমার পরিচিত, প্রায়ই তাদের সাথে আমার দেখা সাক্ষাত হয়, ছোটরা আমাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে আর বড়রা আমেকে স্নেহের চোখে দেখে, সবার সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলি, কাজেই ক্যাচাল করা আমার শোভা পায় না।
ব্লগার পরিচিত হোক আর অপরিচিত হোক তার চেয়েও বড় ব্যপার হলো ব্লগের শালীনতা বজায় রাখা। ব্লগের শালীনতা বজায় রাখার কারণেও ক্যাচাল লাগার আগেই আমি আপত্তিজনক মন্তব্য মুছে দেই।

এখন আপনিই বলেন-- ক্যাচাল লাগানোটা নিন্দনীয় না মন্তব্য মুছে দিয়ে ক্যাচাল না লাগানোটা নিন্দনীয়?

১৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রাসঙ্গিকভাবে আরো বলতে চাই যে, আপনার লেখা ছড়া আমি সহ আরো অনেকেই ভালো লাগে। কিন্তু আপনার এই লেখাটি বা গল্পটি আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ততটা আকর্ষনীয় মনে হচ্ছে না। পাঠক হিসেবে এটা আমার মতামত প্রামানিক ভাই। এটার অর্থ এই নয় যে আপনি খারাপ লিখেন বা আপনি ভালো ব্লগার নন। এখানে যারা লিখেন তারা অধিকাংশই শখের বলে লেখা শুরু করে এখন পেশাদার লেখক পর্যন্ত হয়েছেন, বিভিন্ন সংস্থায় কপিরাইটারের কাজও করছেন। তাদের এই সাফল্যের পেছনে আছে সাধারন পাঠকদের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক পাঠ প্রতিক্রিয়া। তারা সকল ধরনের নেতিবাচক সমালোচনা, আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন, সেই দিকগুলো সংশোধন করে আরো ভালো লেখার চেষ্টা করেছেন এবং তারা সফলও হয়েছেন।

আমি নিশ্চয় আশা করতে পারি, আপনি আমার এই সমালোচনা মুলক মন্তব্যটি মুছে দিবেন না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, কাল্পনিক ভালোবাসা। আপনার মন্তব্য আমি পড়লাম। আপনি আমার গল্প সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন সেটা যদি হাসান মাহবুব মন্তব্য করার আগে করতেন তাহলে খুশি হতাম, তা না করে তার পক্ষে কথা বলতে গিয়ে মন্তব্য করায় এটা হাসান মাহবুবের অনুকরণই বলা যায়। তবে এটুকু বলে রাখি আমার সব লেখা আপনাদের ভালো লাগবে এটা আমিও কল্পনা করি না। কারণ অনেক বড় বড় লেখকেরও সব লেখা পাঠক জনপ্রিয়তা পায় নাই। অনেক লেখক আছেন তার সারা জীবনের যত লেখা আছে তার মধ্যে একটি দু'টি লেখার জন্য তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন।
হাসান মাহবুবের কাঠ খোট্টা মন্তব্যে কোন গঠণমূলক কথা না থাকায় মুছতে হয়েছে। এরকম মন্তব্য করার আগে গল্পের ভুল ত্রুটিগুলো তুলে ধরে ব্যাখ্যা করা উচিৎ ছিল। গঠনমূলক মন্তব্য করলে আমি তার কাছ থেকে গল্প লেখা সম্পর্কে কিছু শিখতে পারতাম এবং সবার জন্য মন্তব্যটি শিক্ষনীয় হতো। কিন্তু তিনি তা করেন নাই।
তবে যাক, আপনি আমাকে যে সব কথা মন্তব্যে উপদেশ দিয়েছেন সে সম্পর্কে বলি-- যারা ব্লগে লিখতে লিখতে লেখক হয়েছেন তাদের অনেকেই আমার পরিচিত এবং খুব ঘনিষ্ট। তাদের অনেকের সাথেই আমার সুসম্পর্ক আছে।
শেষ লাইনে আপনি যা লিখেছেন তাতে না বলে পারছি না- - -- আপনার সমালোচনা মূলক মন্তব্যটি মুছে দিব এত খারাপ আপনি আমাকে কি করে ভাবলেন এটা তো আমার মাথায় আসে না?

১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪২

ইফতি সৌরভ বলেছেন: বাবা যখন তাকে লুচ্চা হিসাবে আবিষ্কার করেছে তখন ওকে আর বিয়ে করা উচিৎ হবে না।" - মহাসত্য কে সহজ ভাবে বুঝানোর জন্য ধন্যবাদ (মেয়েরা মা-বাবার কথা ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না। প্রেমের প্রস্তাবে তাদের উওর: মা এসব পছন্দ করেন না / মা রাজি হবে না। আরে, মা এর সাথে কি প্রেম করব না কি? তারপর, বিয়ের আগে শেষ দাবি (!!!) মা-বাবাকে রাজি করাতে হবে কিন্তু! .... blablabla. .....)

রাসেদের পরিচয় DU হওয়া সত্বেও প্রথম পর্বে বারবার মনে হয়েছে, গ্রাম থেকে এই প্রথম শহরে আসা কেউ!

তবে শেষ পর্বে যথাযথ, আদর্শ প্রেমিক।

আপনি শেষ করে দিলেও পাঠকের মাথায় কিন্তু "আকিফা" নায়িকা হয়ে উঠছে। সুতরাং তাড়াতাড়ি এদের বিয়ে দিয়ে সুখী সংসার গড়ে তুলুন আর প্রেমিক জাতির মান রক্ষার্থে "সাদিয়া"র সংসারে ভরাডুবি ঘটানো হোক - এ সবার কামনা, যেন না হয় কোন ছলনা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার গঠণমূলক মন্তব্য আমার খুব ভালো লেগেছে। চেষ্টা করবো গল্পটি পরবর্তীতে আপনাদের কাঙ্খিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে।

২০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গঠন মূলক সমালোচনা আর ক্যাচাল লাগানো মন্তব্য দুটো ভিন্ন জিনিস। তাই আমি লেখক এবং পাঠক দুই জনকেই বলতে চাই, কারো পোষ্ট ভালো না হলেও গঠন মূলক সমালোচনা করে ব্লগারদের উৎসাহিত করে ভালো লেখা বের করা যায়, তেমনি মন্তব্য মুছে না দিয়ে ক্যাচালের যেমন ভদ্র ভাষায় জবাবও আছে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

প্রামানিক বলেছেন: কিছু মন্তব্য আছে যা খুবই অশালীন এবং আপত্তিকর সেগুলো ব্লগে রেখে জবাব দেয়া মোটেই ঠিক নয়। এতে লেখকের প্রতি পাঠকের খারাপ ধারনা জন্মে। তখন সেগুলো মুছে দেয়াই ভালো।

২১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার মন্তব্য অশালীন এবং আপত্তিকর ছিলো? মিথ্যে ব্লেম করছেন কেন? আপনার এই মন্তব্য আমার কাছে অশালীন এবং আপত্তিকর মনে হচ্ছে। কারণ আপনি পাঠকদের কী লিখেছিলাম তা জানার সুযোগ না দিয়ে মিথ্যে বিষোধার করছেন। আমার মন্তব্য রেখে দিয়ে মডারেটর এবং ব্লগারদের মতামত নিলে বুঝতেন যে ভুলটা আপনারই। সেই সুযোগ না রাইখা আমার নামে কুৎসা রটাচ্ছেন। আপনার এমন আচরণ ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়ার জন্যে হুমকি স্বরূপ। এই কমেন্টের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখলাম। মুইছা লাভ নাই B-))

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: যখন দেখলেন আমি মন্তব্য মুছে দিয়েছি তখন আপনি কেন বার বার মন্তব্য করতে আসেন এটা তো আমার মাথায় আসে না। আপনি স্বেচ্ছোয় বার বার মন্তব্য করতে আসাটাই উচিৎ হয় না। আমি তো আপনার লেখায় কোন নেগেটিভ মন্তব্য করি না, আপনি কেন করেন?

২২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: নেগেটিভ কমেন্ট করতে আপনারে মানা করসি? আমার ব্লগে অনেকেই নেগেটিভ কমেন্ট করে। চাইলে আপনিও করতে পারেন। সময়ের অভাবে সবসময় গঠনমূলক মন্তব্য করা সম্ভব হয় না। ব্যস্ততা ঠেঙিয়ে সবার ব্লগে কমেন্ট করাটা যথেষ্ঠ সময় নেয়। তাই আমি ছোট্ট করেই ভালো লাগা বা মন্দ লাগা জানাই। ভালো লাগে নাই, এই মন্তব্য বহুজনরেই করছি, কেউ আপনার মত মন্তব্য মোছে নাই। আপনার লেখা ভালো লাগলে উদার ভাবে প্রশংসা করেছি। আপনার একটি লেখা আমার প্রিয়তেও রয়েছে। সবাই যখন তোতাপাখির মত সাবাশ সাবাশ বলে, তা কতটা গঠনমূলক? সমালোচনা মানেই অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ নয়। দুটো শব্দে আমি আমার মন্দ লাগা জানাইতেই পারি। সেটাকে যদি আপনি ক্যাচালের অভিপ্রায়, এবং কুরূচিপূর্ণ বলে অবিহিত করেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

২৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মাহবুব ভাই এবং প্রামানিক ভাই, আপনারা দুইজনই এই ব্লগে সিনিয়র ব্লগার এবং স্বনামধন্য। যা হওয়ার হয়ে গেছে, এখন আর পিছনে ফিরে না তাকিয়ে সামনের সময়গুলো আমাদের সুন্দর কাটুক এটাই চাওয়া। আপনাদের মধ্যে বা ব্লগে কোন সমস্যা হলে আমরা অস্বস্তিতে ভুগী। তাই আশা করছি এই পোষ্টে আপনারা আর কোন মন্তব্য না করে এখানেই ইতি টানবেন। শুভ ব্লগিং

২৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দেখুন প্রামানিক ভাই, আপনার পোস্টে আমি মন্তব্য করতে আসি নি, বাধ্য হয়ে মন্তব্য করেছি মাত্র। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের মানদন্ডের কারনে আমি সবার পোস্টে গিয়ে মন্তব্য করি না। আপনার পোস্টে আমি মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছি কারন একজন ব্লগার অভিযোগ করেছেন তার সমালোচনামুলক একটি মন্তব্য আপনি মুছে দিয়েছেন। নিজ পোস্টে প্রাপ্ত অশ্লীল শব্দচয়ন বা অশ্লীলতা বহন করে এমন কোন মন্তব্য সেলফ সেন্সরশীপ দ্বারা আপনি অবশ্যই মুছে দিতে পারেন। তবে যখন কেউ কোন সৃজনশীল লেখার ব্যাপারে সমালোচনা করেন, সেটাকে অশ্লীল বা ক্যাচাল লাগানোর জন্য বলা যায় কিনা আমার সঠিক জানা নেই ভাই।

আপনি বলেছেন, আপনি কোন ক্যাচাল পছন্দ করেন না। ক্যাচাল আমরা কেউই পছন্দ করি না। এটাই স্বাভাবিক। তবে মাঝে মাঝে অনভিপ্রেতভাবে আমরা নিজেরা ক্যাচালে প্রবেশ করি। আপনি আরো বলেছেন, আমি কখনও কারো লেখায় আপত্তিজনক কোন মন্তব্য করি না এবং আমার লেখায় অন্যের দেয়া আপত্তিমূলক মন্তব্যও পছন্দ করি না। আমার কোন পোষ্টে আপত্তিজনক কোন লেখা নজরে পড়লে বা কেউ দেখিয়ে দিলে আমি সেই লেখা সাথে সাথেই মুছে দেই অথবা সংশোধন করি। কাজেই কোন মন্তব্যের কারণে ক্যাচাল হোক এটা আমি চাই না।
- আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, এই সামগ্রিক কর্মকান্ডকে ক্যাচাল বলে না প্রামাণিক ভাই। কমিউনিটি ব্লগে নানা ধরনের পাঠকের বিচরন হয়। সবাই আপনাকে তথাকথিত গঠনমুলক বা নরমভাবে সমালোচনা করবে না, কেউ কেউ আপনার লেখাকে তীর্যকভাবেও সমালোচনা করবে। সেই সময়টাই কঠিন এবং নিজেকে প্রমান করার আদর্শ সময়।

কিন্তু আপনি যদি শুধু মাত্র প্রশংসাকে গ্রহন করেন আর বাকিদের মন্তব্য মুছে দেন, সেটা গ্রহনযোগ্য হয় না বরং এতে আরো নেতিবাচক মনভাব তৈরী হয়।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

পবন সরকার বলেছেন: ক্যাচাল তো ভালই লাগছে। হাসান মাহবুবের ক্যাচালে আবার মডারেটর ভাইদের আগমন দেখে ভালই লাগল। আমার এখানে জড়ানো ঠিক হবে না তারপরেও দু'টি কথা বলে যাই। তবে কথা হলো কি, নেগেটিভ মন্তব্য বা আক্রমনাত্মক মন্তব্য কেউ পছন্দ করে না, এটা যেমন প্রামানিক ভাই পছন্দ করে না তেমনি হাসান মাহবুবও পছন্দ করে না। তার প্রমাণ আমি নিজে পবন সরকার। আমি পবন সরকার হাসান মাহবুবের গল্প পোষ্টে একটি উপদেশমূলক মন্তব্য করেছিলাম। হাসান মাহবুবের সেটা পছন্দ না হওয়ায় মুছে দিয়েছে। আমি কিন্তু এটা নিয়ে কোন ক্যাচাল করি নি। কিন্তু প্রামানিক ভাইয়ের পোষ্টে হাসান মাহবুবের ক্যাচাল করাটা আমার কাছে ভালো লাগল না।
আমার যতদূর মনে পড়ে প্রামানিক ভাইকে কারো লেখাতে নেগেটিভ মন্তব্য করতে দেখি নাই কিন্তু হাসান মাহবুবকে নেগেটিভ মন্তব্য করতে দেখেছি। যেমন একটি উদাহারণ দেই-- এই ব্লগে যে যত গল্পই লিখুক না কেন আবুহেনা মোহাম্মদ আশরাফুল ভাইয়ের লেখা পড়ে সব চেয়ে বেশি মজা পাওয়া যায়, তার লেখা গল্পতেও হাসান মাহবুবের নেগেটিভ মন্তব্য দেখেছি। মন্তব্যটি লেখার সাথে কোন মিলই ছিল না খামাখা তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন। অথচ এই আবুহেনা ভাই শুধু ব্লগে নন বিভিন্ন পত্রিকায় তার লেখা গল্প ছাপা হয়। তিনি একজন অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বয়স্ক মানুষ। তার লেখায় গঠনমূলক নেগেটিভ মন্তব্য করলে ঠিক ছিল কিন্তু অযাথা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা ঠিক হয় নি। শুধু আবুহেনা ভাই বা প্রামানিক ভাই নন আরো অনেকের লেখায়ও তার এরকম মন্তব্য দেখেছি।
কাজেই মডারেটর ভাইদের অনুরোধ করবো, যারা ব্লগের শৃঙ্খলা রক্ষা করে সুষ্ঠু ব্লগিং করে তাদেরকে হেয় যাতে কেউ না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।
হাসান মাহবুব এই গল্পে কি মন্তব্য করেছিল জানিনা তবে এত মন্তব্যর ভিতর আর কারোটা মুছল না তারটা মুছলো কেন সেটা বুঝতে পারছি না। নিশ্চয় এমন কিছু লিখেছিলেন যা প্রামানিক ভাই মুছতে বাধ্য হয়েছেন।

২৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রমানিক ভাই অভিমান করে ব্লগিং ছেড়ে দিলো কিনা বুঝতাছি না! এত সুন্দর চমৎকার একজন মজার মানুষের হঠাৎ করে চলে যাওয়াটা ঠিক মেনে নেওয়া যায় না! আশা করবো সকল রাগ অভিমানকে পিছনে ফেলে প্রামানিক ভাই আবারও আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন!

প্রামানিক ভাই মুরুব্বি মানুষ! আশাকরি তিনি এটা বুঝবেন যে, একসাথে থাকতে গেলে এমন অনেক কিছুই ঘটতে পারে। কিন্তু তাই বলে অভিমান করে চলে যাওয়াটা ঠিক ভাল দেখায় না।

ভাল/মন্দ যাই হোক না কেন, আমরা সবাই একসাথেই ব্লগিং করতে চাই!

২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: @পবন সরকার, ফাউল ব্লেম করবেন না। আপনি কোন মন্তব্য করেন নাই আমার পোস্টে। সামুর বাগে কমেন্ট খায়া ফালাইসে, আর দোষ দিতাছেন আমার। আমি কমেন্ট মডারেশনে গিয়ে "মুছে ফেলা মন্তব্য সমূহ" তেও আপনার মন্তব্য পাই নাই। আপনার সমালোচনামূলক মন্তব্যটা আবার করতে কৈছি করেন নাই, হুদাই এইখানে আইসা কাহিনী করতাছেন। হেনা ভাইয়ের লেখা খুবই ভালো। তার লাস্ট লেখায় আমার কমেন্ট দেইখেন। একজন মানুষ যতই ভালো লেখুক, সব লেখা সবার ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। আপনেরা থাকেন পিঠ চুলকা চুলকি নিয়া। এইবার আমার পুস্টে একটা কমেন্টের উদাহরণ দেখাই, তাইলে বুঝবেন আমি সমালোচনা নিতে পারি কি, না।

এইবার বলেন আপনার মতামত। এবং আপনাকে আবারও আহবান জানাচ্ছি, আপনার যে কমেন্টটি মুছে দেয়া হয়েছে বলে দাবী করছেন, সেইটা আবার করেন। স্বাগতম সবসময়।

২৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

পবন সরকার বলেছেন: হাসান মাহবুব আমিও ক্যাচাল পছন্দ করি না, আবুহেনা ভাইয়ের পোষ্টে কি লিখেছিলেন প্রমাণ আছে। আপনি কামরুন্নাহার আপার ব্লগেও এক মন্তব্য করে আউলা লাগিয়েছিলেন। তবে কথা হলো অতীতে যা হবার হয়েছে এখন আর বাড়াবাড়ি না করে আপনি, আমিসহ সবাই মিলেমিশে ব্লগিং করি এটাই যেন আমাদের কাম্য হয়। এখন আসেন আমরা সবাই ক্যাচাল থেকে দূরে সরে যাই। ব্লগার হিসাবে শৃঙ্খলা বজায় রেখে ব্লগের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখি। এরপরে আর কোন মন্তব্য না করার অনুরোধ করছি।

২৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার অনুরোধ রাখতে আমি বাধ্য না। আবু হেনা ভাইয়ের সাথে চমৎকার সম্পর্ক আমার। আজকেও তিনি আমার পোস্টে মন্তব্য করেছেন। তার নিজের কোন অভিযোগ নাই, আপনি আইছেন ফাঁপড় লইতে। কামরুন নাহার আপার ব্লগে যৌক্তিক মন্তব্যই করেছিলাম একটি ছবির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে। তার ভুল বুঝতে পেরে তিনি ছবিটা সরিয়ে নেন। কী আজব, যেটা আমার ভালো লাগবে না, সঠিক মনে হবে না, সেখানেও আমি ভালো কথা কমু? সুষ্ঠু ব্লগিং মিথস্ক্রিয়াকে আপনারাই ক্যাচালে টাইয়া নিসেন।

বাই দ্যা ওয়ে, আমি যে সমালোচনামূলক মন্তব্য ডিলিট করি না তার উদাহরণ দেখাইছি একটা। আরো লাগলে কইয়েন। তবুও মিথ্যা ব্লেইম করবেন না।আমি মেনে নেবো না সেটা।

৩০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

পবন সরকার বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই, আপনি প্রামানিক ভাইয়ের সাথে মিল হয়েছেন দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি। আশা করি ক্যাচাল না করে আমরা সবাই মিলেমিশেই যেন ব্লগে থাকতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.