নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাগড়া শাকের ছালুন (রম্য গল্প)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৯


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

ঢাকার চার দেয়ালে আটকে থাকা এক ঘেয়েমি জীবন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ১৮ বছর পর ঢাকার অদূরে এক ছাত্রের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। প্রথম দেখায় ছাত্রের বাবার চিনতে দেরি হলো। না চেনার কারণও আছে। ষাটের কাছাকাছি বয়স। চুল, দাড়ি পেকে চোখের পাওয়ার কমে বুড়োর খাতায় নাম দিয়েছেন। এদিকে আমিও বয়সের কারণে চুল পেকে আধা বয়সি হয়েছি। এতদিন পর দেখা করতে আসবো এটা তার চিন্তায় ছিল না। কিন্তু ছাত্রের বাবার চিনতে দেরি হলেও ছাত্রের মায়ের চিনতে দেরি হলো না। প্রথম দেখাতেই চিনতে পেরে চিল্লিয়ে উঠলেন, আরে স্যার আপনি!! আপনি কোইত্থিকা আইলেন?

তারা যখন ঢাকায় ছিল তখন তাদের বড় ছেলেকে তিন বছর পড়িয়েছি। একটা পর্যায়ে তারা শহর ছেড়ে গ্রামে চলে আসে। আমার সেই ছাত্র এখন ঢাকায় চাকরী করে। বিয়ে শাদী করেছে। দীর্ঘদিন তাদের সাথে যোগাযোগ ছিল না। এতদিন পর দেখা করতে এসে দ্বিধা দ্বন্দে ছিলাম। যদি চিনতে না পারে তবে আহাম্মক হবো। কিন্তু ছেলের শিক্ষক হিসাবে এখনও যে আমাকে মনে রেখেছে সেইটা ভেবেই আমি খুব খুশি হলাম। হাসি হাসি মুখে বললাম, ঢাকা থেকে এসেছি।

ছাত্রের মায়ের কথায় ছাত্রের বাবার হুশ হলো। এবার তিনি চিনতে পেরে বারান্দার চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠলেন। উঠানে এসে আমার ডান হাত চেপে ধরে ঘন ঘন ঝাঁকিয়ে প্রথমে না চিনতে পারাটা যেন তার অপরাধ হয়েছে এমনই ভাব প্রকাশ করতে লাগলেন। ছাত্রের বাবার মনে অপরাধবোধ হওয়ার কারণও আছে। এই গ্রামে কিছু জমি কেনার সময় আমি তার সাথে ছিলাম। তিনি অল্প লেখাপড়া জানলেও জমি সংক্রান্ত মুহুরীদের হাতে লেখা দলিল পড়তে পারতেন না। তার এই বিষয়গুলো নিয়ে কাচারী পর্যন্ত গিয়েছিলাম। আমার এই অবদানের জন্য তিনি আমাকে নিজের ছোট ভাইয়ের মত আদর করতেন।

ছাত্রের বাবা আমাকে উঠান থেকে এক টানে ঘরে নিয়ে বসতে দিলেন। ঘরে চোকির উপর বসতে না বসতেই ছাত্রের মা চিড়া, মুড়ি, গুড় খেতে দিলেন। সদ্য গাই দোয়ানো এক বাটি গরম দুধও পাতে ঢেলে দিলেন। গ্রামের সহজ সরল মানুষের এরকম আতিথেয়তার তুলনা হয় না। তারা সাধ্য অনুযায়ী যা খাওয়ায় তা অন্তর থেকেই খাওয়ায়। শহরের দামী খাবারের চেয়ে গ্রামের এইসব খাবারের স্বাদের তুলনা হয় না।

আমার সাথে ছাত্রের বাবাও খেতে বসলেন। চিড়া মুড়ি খেয়েই পেট ভরে গেল। এর পরে দুপুরে খাবারের প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু খাওয়া শেষে অনেক আলাপ আলোচনার পর ঢাকায় ফেরার জন্য বিদায় নেয়ার কথা বলতেই ছাত্রের বাবা ধমক দিয়ে উঠলেন, অনেক দিন পর আইছেন, ভাত না খায়া ক্যামতে যাইবেন?

ছেলেটিকে তিন বছর পড়িয়েছি। তখনও তারা আমাকে যথেষ্ঠ আদর করতো। মাঝে মাঝেই দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতো। সেই বাড়িতে এতদিন পর এসেছি-- আমাকে কি তারা ভাত না খাইয়ে বিদায় দিতে পারে? বিদায় নিতে চাইলেও উভয়ের চোখ রাঙানির চোটে বিদায় নেয়া সম্ভব হলো না। বুঝতে পেলাম ক্ষুধা লাগুক আর না লাগুক ভাত খেয়েই যেতে হবে।

মুরগী ধরার জন্য চেষ্টা করতে লাগল। নিজেদের খোয়াড়ের মুরগী। মেহমান আসার অগ্রীম আভাস না থাকায় সকাল বেলা সব ছেড়ে দিয়েছে। ছেড়ে দেয়া মুরগী ধরা কষ্ট। সেই দিকে চিন্তা করে ছাত্রের মাকে লক্ষ্য করে বললাম, ভাবি-- মুরগী ধরা বন্ধ করেন, মুরগীর মাংসে আমার রুচি নাই, ঢাকা শহরে প্রতি সপ্তাহেই মুরগী খাই, যেই খাবার ঢাকা শহরে পাওয়া যায় না সেই সব খাবার খাওয়ান।
ছাত্রের মা চোখ কপালে তুলে বললেন, ঢাকা শহরে কি খাইতে পান না?
বললাম, টাটকা শাক-সব্জি পাই না, গাছ থেকে তুলে আনা টাটকা শাক-সব্জি রান্না করেন।
আমার বলার পরও অনেকক্ষণ মুরগী ধরার চেষ্টা করল কিন্তু ধরতে পারল না। অবশেষে আমার কথামত শাক সব্জিই রান্না করলো।
খাওয়ার সময় ছাত্রের বাবাও আমার সাথে খেতে বসলেন। ছাত্রের মা বলল, স্যার আপনার জন্যে দুগ্গা হাগড়া শাকের ছালুন রানছি। টাকি মাছ দিয়া রানছি, খায়া দ্যাহেন মজা পাইবেন।

জীবনে অনেক শাক খেয়েছি কিন্তু গ্রামের আগাছা এই হাগড়া শাক কোনদিন খাইনি। খুশি হয়েই বললাম, দেন।
আমার খুশি খুশি ভাব দেখে ছাত্রের মা পুরো দুই চামচ টাকি মাছের টুকরাসহ হাগড়া শাক আমার পাতে তুলে দিলেন। ভাতের সাথে হাগড়া শাক মিলিয়ে এক লোকমা মুখে দিতেই নাড়ি ভুড়ি উল্টে আসার অবস্থা। চোখ বন্ধ করে চিবিয়ে গিলে ফেললাম।

হাগড়া গাছকে আমি ছোট থেকেই চিনি। এটি একটি আগাছা। গ্রামের বাড়ির আশেপাশে বা খেত খামারে বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে অযত্ন অবহেলায় এমনিতেই হয়। গাছটি বড়া হলে কাঁটাযুক্ত ফল ধরে। এই গাছের একটা বিদঘুটে গন্ধ আছে। সম্ভাবত গন্ধের কারণে গরু ছাগলেও এই গাছ খায় না। ভেবেছিলাম রান্নার পর হয়তো এর গন্ধ থাকে না। কিন্তু টাকি মাছ দিয়ে রান্নার পরও যে এটার বিদঘুটে গন্ধ থেকে যায় এটা আমার জানা ছিল না। যদি জানতাম তাহলে কি আর ছাত্রের মাকে খুশি হয়ে এই শাক দিতে বলি?

অর্ধেক শাক খাওয়ার পরে ছাত্রের মা আমাকে বলল, স্যার হাগড়া ছালুন কেমুন হইছে?
মনে মনে ভাবলাম-- যত বিদঘুটই লাগুক না কেন, ছাত্রের মায়ের সামনে এই শাকের বদনাম করা যাবে না। যেহেতু আমার জন্য তিনি স্পেশাল রান্না করেছেন, বদনাম করলে মনে কষ্ট পাবেন এবং তার পরিশ্রমটাই বৃথা মনে করবেন। তাই তাকে খুশি করার জন্য অন্তরের কথা অন্তরে চাপা রেখে মুখে খুশি খুশি ভাব এনে প্রশংসার সুরেই বললাম, খুব ভালো হয়েছে।
খুব ভালো হয়েছে কথাটি বলতে না বলতেই আরো দুই চামচ পাতে তুলে দিলেন। আমি এখন খাবো না কাঁদবো ভেবে পাচ্ছি না। যেটুকু খেয়েছি তাতেই আমার নাড়ি ভুড়ি উল্টে বমি আসার অবস্থা তারোপর আরো দুই চামচ। মনে মনে বললাম, বেক্কেলের মত কেন যে প্রশংসা করতে গেলাম।

এরপর চোখ বুঁজে অনুরোধে নয় অতি আদরে ঢেঁকি গেলার মত গিলতে লাগলাম। বহু কষ্টে ভাত খাওয়া শেষ করে বাইরে গিয়ে দাঁড়ালাম। পেটের ভিতর মোচর দিয়ে উঠল, গলা দিয়ে বমি ঠেলে আসতে লাগল। দৌড়ে বাড়ির দক্ষিণ পাশে তাল গাছের নিচে দাঁড়াতেই ওয়াক্ ওয়াক্ করে পুরো বমি করে দিলাম। ছাত্রের বাবা মা দৌড়ে এলো। কি হলো -- কি হলো- - ?
আমি নিজেকে সামাল দিয়ে বললাম, কিছু না। রৌদ্রের মধ্যে হেঁটে এসেছি তো এইজন্য পেটে মোচর দিয়েছে।
আমি যত খুশিভাব নিয়েই বলি না কেন তাদের মুখটা কালো হয়ে গেলো। আমাকে স্পেশাল রান্না করা খাবার খাওয়ায়ে খুশি করতে গিয়ে তারা যেন উল্টো বিপদেই পড়েছেন।

আরো কিছুক্ষণ বসে থেকে বিদায় নিলাম। বিদায় নেয়ার সময় ছাত্রের মা বিষন্ন বদনে ঘরের বারান্দা থেকেই বিদায় দিলেন, বাড়ির বাইরে এলেন না, কিন্তু ছাত্রের বাবা রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলেন।

ঢাকায় ফেরার সময় বার বার ছাত্রের মায়ের বিষন্ন বদনের ছবি চোখে ভাসতে লাগল। আহা! বেচারী আমাকে ভালো কিছু খাইয়ে খুশি করতে চেয়েছিল কিন্তু হাগড়া শাক খাওয়ার অনাভ্যাসের কারণে পেটে সহ্য হলো না। ছাত্রের বাবা তো ঠিকই হাপুরহুপুর করে খেল।
মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগলাম, কেন যে বমি করতে গেলাম, বমিটা একটু কন্ট্রোল করতে পারলেই তো এই অবস্থা হতো না।

০০০ সমাপ্ত ০০০
(ছবি ইন্টারনেট)

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হয়, ছাত্রের বাবাও চিনতে পেরেছিলেন, উনি না চেনার ভান করেছেন; মনে হয়, মনে কিছু ছিলো!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: না ভাই উনি চিনতে পারেন নাই, অনেক দিন পর গিয়েছিলাম তো, আমার আধা বয়সি চেহারাটা পূর্বের তরুণ চেহারার সাথে মিলাতে পারেন নাই।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঢাকায় ফেরার সময় বার বার ছাত্রের মায়ের বিষন্ন বদনের ছবি চোখে ভাসতে লাগল। আহা! বেচারী আমাকে ভালো কিছু খাইয়ে খুশি করতে চেয়েছিল কিন্তু হাগড়া শাক খাওয়ার অনাভ্যাসের কারণে পেটে সহ্য হলো না। ছাত্রের বাবা তো ঠিকই হাপুরহুপুর করে খেল।

বিষয়টি সন্দেহ জনক, মুজিবুর চাচা এবং এরশাদ চাচাকে নিয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হউক। (ফান) B-)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: সন্দেহের কিছু নাই দীর্ঘ দিন দেখা সাক্ষাৎ না হলে যা হয় তাই হয়েছে। ধন্যবাদ

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

হাগড়া শাকের শালুন এর থেকে তেলাপোকা ভর্তা ভাল খেতে।
ছোট বেলায় গ্রামের বাড়িতে হাটার সময় পাজামার পায়ের কাছে হাগড়ার বিচি লেগে থাকত। বিচ্ছিরি ছিল।

আপনি হাগড়ার শালুন খেয়ে বেয়ার গ্রিলসকে হার মানিয়ে দিলেন।
হাগড়ার স্বাদ নিয়ে একটা ছড়া হয়ে যাক প্রিয় ছড়াকার

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনি সেই ছোট কালের কথা মনে করিয়ে দিলেন, ছোট কালে সমবয়সি কারো লম্বা চুল দেখলেই তাদের মাথায় হাগড়ার গোটা পেচিয়ে দিয়ে মজা নিতাম, এই গোটা একবার চুলে পেচিয়ে গেলে সহজে খোলা যেত না।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: ভাতের সাথে হাগড়া শাক মিলিয়ে এক লোকমা মুখে দিতেই নাড়ি ভুড়ি উল্টে আসার অবস্থা। চোখ বন্ধ করে চিবিয়ে গিলে ফেললাম। চিবিয়ে গিলে খাওয়ার চিত্রটি মনে হচ্ছে চোখের সামনে ভাসতেছে =p~ =p~ =p~ ভাগ্যিস হাসড়া ছিলনা, থাকলে গিলে খাওয়ার ফল বুঝতে পারতেন ;) ;) ;)

আপনার বমি হয়ে পেট খালি হয়ে যাওয়ার পর ছাত্রের মা আর এক দফা হাগড়ার সালুন খাইয়ে দিলে একদম মন্দ হতো না =p~ =p~ =p~

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: কিন্তু বমি করাতে তিনি খুব মনক্ষুন্ন হয়েছিলেন। আমি বমি করবো এটা বুঝতে পারলে তিনি কখনই আমাকে হাগড়া শাক খাওয়াতেন না।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হয়, ছাত্রের বাবাও চিনতে পেরেছিলেন, উনি না চেনার ভান করেছেন; মনে হয়, মনে কিছু ছিলো!


=p~ =p~

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই সবসময় খোঁচা দিয়ে মন্তব্য করে তো এটাও তাই করেছে।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ে মজা পেলাম এবং সাথে কিছু মেসেজ পেলাম।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক বড় পোষ্ট চা নয় কফি চাই....

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: চলে আসেন কফি রেডি আছে। ধন্যবাদ

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পোষ্ট খানি পড়ে ভালো লাগলো! তবে শেষের দিকে কথা গুলো খুবই আবেগ প্রবনতা ছিলো, কথা গুলোর মাধ্যমে কিছু শেখা গেলো।
শুভ কামনা রইলো ভাই, ভালো থাকবেন

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আবারো মন্তব্য করায় খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: একবার ইন্ডিয়া ট্যুরে থাকাকালিন সময়ে পরিচিত একজন দাওয়াত দিলে গেলাম তার বাসায় খেতে। তো অনেক গুলো আইটেমের সাথে তারা সুক্তও রান্না করছিল! কিন্তু আমি জীবনেও ঐ জিনিসটা খায়নি! প্রথমে ভাবছিলাম বুঝি ডাউল-টাউল হবে!

তো মাংশ দিয়ে খাওয়ার সময় ভাবলাম সাথে একটু ডাল নিই, তাইলে একটু ঝোল ঝোল হবে! আমি আবার শুকনা ভাত একদমই খেতে পারি না! তো এই মনে করে দুই তিন চামচ সেই সুক্ত পাতে নিয়ে ভাতের সাথে মাখিয়ে গালে তুলতেই সে এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা! =p~ আমার আজীবন মনে থাকবে সেই ঘটনা!

আপনার কাহিনীটাও ভাল লাগলো! শুভ কামনা প্রামানিক ভাই!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩০

প্রামানিক বলেছেন: আপনার কাহিনী পড়েও হাসলাম। ধন্যবাদ

১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

ভারসাম্য বলেছেন: হাগড়া শাক আবার কেমন! নাম দেখে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম গন্ধভাদুলী মনে হয়। পড়ে ছবি দেখে ভুল ভাঙলো।

যাই হোক, শাক যেমনই হোক, লেখা কিন্তু অনেক উপাদেয় হয়েছে খেতে। +++

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অভ্যাস না থাকলে যা হয়, খেয়ে বিপদে পড়েছিলাম।

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

আমিই মিসির আলী বলেছেন: মনে হয় মনে কিছু ছিলো ;) !

মনের ভিতর মনের ভাবনা!

ভালোই মজা পাইলাম পইড়া।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫০

প্রামানিক বলেছেন: হা হা হা-- - বুঝলেন না, বয়স হইলে অনেক সময় মনের অজান্তেই এরকম হয়। ধন্যবাদ

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মজা পাইলাম ভাই!:)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২১

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: অাপনার ছাত্রের কথা তো কিছু বললেন না, ভাই।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

প্রামানিক বলেছেন: দ্বিতীয় প্যারায় ছাত্রের সামন্য বর্ননা দিয়েছি। ছাত্র বিয়ে পাশ করে চাকরী করছে। ছাত্রের দুই ছেলে সন্তান আছে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: মজা পেলাম ভাই। মেসেজটা ভালো ছিল।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই হাগড়া শাকের নাম প্রথম শুনলাম। আমিও খাইনি কোনদিন। আর আপনার এই স্মৃতিচারণ পড়ে খাওয়ার ইচ্ছাও উবে গেল। হাঃ হাঃ হাঃ।

রম্য খুব ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

প্রামানিক বলেছেন: হাগড়া গাছ ছোট থেকেই চিনি কিন্তু এটা শাক হিসাবে খায় এটা জানা ছিল না। আমি জানি এর বিদঘুটে গন্ধ থাকায় গরু ছাগলেও খায় না। অনেক এলাকায় এটা মজা করে খায় কিন্তু অভ্যাস না থাকার কারণে আমি খেতে পারি নাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিন্তু ছাত্রের বাবার চিনতে দেরি হলেও ছাত্রের মায়ের চিনতে দেরি হলো না।.......এই বিষয়টায় কিন্তু হেনা ভাই খুব চিন্তায় পইড়া গেছে ;)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

প্রামানিক বলেছেন: এত বছর পর হঠাৎ করে আমি যে তার বাড়িতে যাবো এটা সে চিন্তা করতে পারে নাই। তাছাড়া আগের সে চেহারাও নেই মোটাসোটা দেহ, আধাপাকা চুলের কারণে চেনা চেনা হলেও চিনতে কষ্ট হচ্ছিল। এই কারণেই সে দ্বিধাদ্বন্দে পড়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঘরে চোকির উপর বসতে না বসতেই ছাত্রের মা চিড়া, মুড়ি, গুড় খেতে দিলেন। সদ্য গাই দোয়ানো এক বাটি গরম দুধও পাতে ঢেলে দিলেন। গ্রামের সহজ সরল মানুষের এরকম আতিথেয়তার তুলনা হয় না। ........গ্রামের এমন মানুষগুলোকে দেখলে চক্ষু পবিত্র হয়।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

প্রামানিক বলেছেন: গ্রামের মানুষজন তাদের সাধ্য অনুযায়ী যা খাওয়ায় তাতে আন্তরিকতার অভাব থাকে না। এ বিষয়ে আপনাকে আর কি বলবো আপনি নিজেই তো এর উদাহারণ। ধন্যবাদ

১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

জুন বলেছেন: ছোটবেলায় বাবার চাকরীর কারনে সীতাকুন্ডের অসাধারন এক প্রকৃতির কোলে কয়েক বছর থাকতে হয়েছিল। যার জন্য অনেক অপিরিচিত গাছ গাছড়ার সাথেই পরিচিত প্রামানিক ভাই । তার মধ্যে এই হাগড়া অর্থাৎ খাগড়া গাছও আছে । এর বদখত গন্ধের জন্য কখনো একে মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলাতেও খাদ্য হিসেবে গ্রহন করিনি । আপনার অভিজ্ঞতার গল্প পড়ে খারাপও লাগলো আবার মজাও পেলাম । খুব সামান্য বিষয়ই আপনার উপস্থাপনার গুনে ।
+

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

প্রামানিক বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ জুন আপা।

১৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২

সুমন কর বলেছেন: খাওয়া হয়নি, কোন দিন। গল্পে হালকা রম্য ছিল।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

প্রামানিক বলেছেন: রম্য আরেকটু বেশি ছিল কেউ কেউ রম্য নিয়ে খোঁচাখুচি করায় পরিবর্তন করতে করতে হালকা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,



ঘটনাটি যতোই অপ্রীতিকর মনে হোক না কেন , আসল মেসেজটি মনে হয় এখানেই ----
..গ্রামের সহজ সরল মানুষের এরকম আতিথেয়তার তুলনা হয় না। তারা সাধ্য অনুযায়ী যা খাওয়ায় তা অন্তর থেকেই খাওয়ায়.......

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

নীল অজানা বলেছেন: পাতাটি চিনতে পারিনী। এর অন্য কোন নাম আছে কি না। থাকলে একশ হাত দুরে থাকব।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

প্রামানিক বলেছেন: এর অন্য কোন নাম আছে কিনা জানি না তবে অনেক জেলাতেই এটাকে হাগড়া বা আগড়া গাছ বলে। গাছের ছবি দেখে চিনে রাখেন তাহলে দেখলেই বুঝতে পারবেন।

২২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

জিপ্রাইম বলেছেন: তারা সাধ্য অনুযায়ী যা খাওয়ায় তা অন্তর থেকেই খাওয়ায়। শহরের দামী খাবারের চেয়ে গ্রামের এইসব খাবারের স্বাদের তুলনা হয় না। আসলেই সত্য কথা

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুঝতে পেলাম ক্ষুধা লাগুক আর না লাগুক ভাত খেয়েই যেতে হবে ........এখান থেকেই মনে হয় কবি ধার করেছিলে "ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত" :D

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

প্রামানিক বলেছেন: হে হে হে আপনারে কি দিয়ে যে ধন্যবাদ জানাই- - -- -

২৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই গাছকে আমরা বলি ঘাঘরা, লুকিয়ে লুকিয়ে ঘাঘরা ফল অন্যের চুলে ছেড়ে দিতাম, বিশেষ করে মেয়েদের বড় চুলে ঘাঘরা ফল একবার ঠিক মতো লেগে গেলে খোলাটা বেশ মুশকিল। চুলের সাথে ঘাগরা ফলের বেশ ভাব ভালোবাসা রয়েছে। কিন্তু ঘাঘরা পাতাদের যে টাকি মাছের সাথেও ভাব ভালোবাসা আছে সেটা আমার আগে জানা ছিলনা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

প্রামানিক বলেছেন: আপনে এক্কেবারে ছোডু কালের কথা মনে কইরা দিলেন। হাগড়া পাতা আর টাকি মাছের ছালুন আমিও নতুন খাইতে গিয়াই এই দশা। ধন্যবাদ

২৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: মজা পেলাম ভাইয়া
ধন্যবাদ ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

জহিরুল ইসলাম কক্স বলেছেন: আনন্দ পেলাম আবার ছাত্রের মায়ের মন মরা চেহারা দেখে কষ্টও পেলাম

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, অনেক সময় জীবনে এরকম ঘটনা অপ্রাত্যাশিতভাবে ঘটে। মানুষকে অতি ভালো কিছু খাওয়াতে গিয়ে প্রশাংসার পরিবর্তে লজ্জা পেতে হয়। ধন্যবাদ

২৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । আপনি গাছ থেকে ছিঁড়ে শাক খাওয়াইতে বলছেন তাই খাওয়াইছে !!!

গ্রামের মানুষগুলোর বাড়িতে মেহমান আসা মানে তাদের কাছে আলাদা একটা আনন্দ । তাই তাদের আতেথিয়তাও থাকে অকৃত্তিম ।

অভিজ্ঞতাটূকু বেশ জীবন্তভাবে ফুটে উঠেছে । ভাল লেগেছে ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

প্রামানিক বলেছেন: ছাত্রের মায়ের দোষ নাই, আমাকে নতুন স্বাদের তরকারী খাওয়াতে গিয়েই এই বিপত্তিটা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।

২৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: আমার তো রক্তশুন্যতা নাই আমারে হলুদের রস দিলেন ক্যান। এর বদলে গরম গরম চা দেন।

২৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মেজদা কইল আপ্নি নাকি রক্তশুন্যতায় ভুগছেন, তাই দিছিলাম :-B

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

প্রামানিক বলেছেন: মেজদা নিজেই তো কাঁপা রোগে ভুগছে হলুদের রস মেজদারে দেন।

৩০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: প্রামানিক দা আপনার গল্পটি আমার শিশুকাল মনে করিয়ে দিল।আমারও নানুর হাতের এই হাগরা সব্জীর সাতে দেওয়া হাগরা সব্জী খেয়ে বারটা বেজে গেছিল। সারারাত স্লোমুশন আর বমি। বাড়ীতে ফিরে দাদুর কাছে নালিশ করে দিলাম যে নানুত আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল , দাদু বলে বলস কি কেমনে কি তার পুরো ঘটনা বললাম ।দাদু বলে ঠিক আছে আর যাবি না ঐ ডাইনীর বাড়ী।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: আপনার কাহিনী পড়ে আমার কলিগরা হাসতে হাসতে শেষ।
তাইলে বুঝতে পেলাম হাগড়া ছালুনের ভুক্তভুগি শুধু আমি একা নই আপনারাও আছেন। ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

৩১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মেজদার জন্য হেনা ভাই শুকনো মরিচের জুসের অর্ডার দিছে

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার জুস পারলে আপনেও একগ্লাস খায়া নিয়েন। ধন্যবাদ

৩২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৯

আশফাক ওশান বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতা ভাই!!! :D :D ।গাছটাকে চিনি অনেক জায়গায় দেখছি।কিন্তু এটার নাম যে হাগ্রা আবার এটা যে একটা শাক তা আজ প্রথম জানলাম

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, এটা যে শক হিসাবে খায় এটা আমারো ধারনা ছিল না। ধন্যবাদ

৩৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

সোহানী বলেছেন: হায় হায় এইটা আবার কি শাক.... নাম ও তো শুনি নাই। দাড়ান গুগুল মামারে জিগাই....

তবে আপনার অভিজ্ঞতার তুলনা নাই।

জাহিদ অনিক বলেছেন: হাগড়ার স্বাদ নিয়ে একটা ছড়া হয়ে যাক প্রিয় ছড়াকার।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, এটার বৈজ্ঞানিক নাম জানি না, হাগড়া, আগড়া বা ঘাগড়া গাছ হলো আঞ্চলিক নাম। অবশ্যই চেষ্টা করবো ছড়া লিখতে। শুভেচ্ছা রইল।

৩৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এখন পর্যন্ত ভাল আছেনতো, নাকি বদনা বাবার স্মরনাপন্য হতে হয়েছে? ;)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

প্রামানিক বলেছেন: বমি করায় বদনার স্মরণাপন্ন হতে হয় নাই। ধন্যবাদ আপা। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

৩৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একসময় ভোরে হাঁটতে গেলে এই গাছের কিছু বিচি সংগ্রহ করে নিতাম , বাসায় এসে বউএর চুলে লাগিয়ে দিয়ে মজা করতাম ।
এটা হেয়ার ব্যান্ডের মত চুলে আটকে যায় , খুলতে বেশ কষ্ট ।
তবে নাম যে হাগড়া এটা জানতাম না ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৫

প্রামানিক বলেছেন: এটা ভাই আঞ্চলিক নাম আসল নাম কি আমিও জানি না। ধন্যবাদ রসালো মন্তব্য করার জন্য।

৩৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৯

আহা রুবন বলেছেন: আমরাও এটাকে হাগড়া বলি। কিন্তু কেউ খায় না। আমারা দুষ্টুমি করে চুলে হাগড়া বিচি লাগিয়ে দিতাম। তবে সিলেটের এক গ্রাম্য বাজারে এর শাক বিক্রি করতে দেখেছিলাম। তখন জানলাম এটা খাওয়া যায়। ওরা বলে ঘাগড়া শাক। ভাই ভালয় ভালয় বেঁচে গিয়েছেন। পটকা মাছ যেমন সব সময় নয়, মাঝে মাঝে বিষক্রিয়া ঘটায়; এ শাকও তেমনি। বিশেষ করে শিশুরা বমি করে, ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয় এই শাক খেয়ে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: ঠিক কথাই বলেছেন, এটা মোটেই সুখাদ্য নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

নতুন নকিব বলেছেন: প্রামানিক ভাই,

বিচিত্র সব বিষয় নিয়ে আপনার কলমের পথচলা। ভালোই লাগে বেশ।

ভালো থাকবেন অহর্নিশ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

৩৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

আনু মোল্লাহ বলেছেন: আমরা এই আগাছাটিকে বলি গাগরা গাছ। অনেকে বেলাজা কাঁটা / বেলাজা গোটাও বলে। ( বেশরমের মত মানুষের কাপড়ে আঁটকে যায়, সেজন্য)।

লিখা পড়ে মজা পাইছি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.