নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাইমারী স্কুলের বিবাহযোগ্য ছাত্র ছাত্রী এবং কিছু ঘটনা (২)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জিন্নতের সমবয়সী আরেক জন ছিলেন আবুবকর। আবুবকরও জিন্নতের মতই কিছুটা অনিয়মিত ছিল। ক্লাস ফোরে হাফ এয়ারলি পরীক্ষা দেয়ার পর আর স্কুলে আসে নাই। সেও বিয়ে করে ঐ বয়সেই সংসারী হয়েছিল। আট দশ বছর আগে বাজারে দেখা। তার মেয়ের ঘরের নাতি সাথে ছিল। নাতি ক্লাস সেভেনে পড়ে। তার নাতির চেহারা দেখে লজ্জাই পেলাম। এক সাথে ক্লাস টুতে পড়লাম অথচ ওর নাতির বয়সি ছেলেও আমার নাই। ওর নাতির চেয়ে আমার ছেলের বয়স কম।

এর পরের বয়স্ক ছাত্রের নাম হাফিজ। এই ছাত্রের বয়স ঐ দুইজনের মত অত না হলেও বারো তেরো বছরের কম নয়। টেনে টুনে ক্লাস ফোরে উঠার পরেই বিয়ে করে সংসারী হলো। বিয়ে করার পর এই ছাত্র আর স্কুলে আসে নাই।

ক্লাস ফোরে থাকতে আলতাফ নামের আরেকজনের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে গেল। আলতাফ আমাদের চেয়ে বয়সে বড় ছিল তবে আবুবকর জিন্নতদের মত অত বয়স্ক ছিল না। এই ছাত্রটির মেধা ভালো ছিল কিন্তু অর্থিক অভাবের কারণেই পড়া বন্ধ করতে বাধ্য হলো। অভাবের একটি বর্ণনা না দিয়ে পারছি না। সেই সময়ে যে সব পরিবার খাদ্য অভাবে না খেয়ে থাকতো তাদের কষ্টের বর্ণনা দেওয়া কঠিন, তারপরেও একটি ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করছি--

আলতাফ, রশীদুন্নবী আর গোলাম কিবরীয়া একই গ্রাম থেকে আসতো এবং এক সাথেই আসতো। সেদিনও ক্লাসে ওরা একসাথেই এসেছিল। তখন ছিল চৈত্র মাস। হেড স্যার বাংলা ক্লাস নিতেছিলেন। এক এক করে সবাইকে বাংলা রিডিং পড়তে হচ্ছে। আলতাফ আমার পাশের বেঞ্চিতে ছিল। রিডিং পড়ায় আলতাফের উচ্চারণ স্পষ্ট হচ্ছিল না। উচ্চারণ স্পষ্ট না হওয়ায় হেড স্যার গালের মধ্যে ঠাস করে থাপ্পর দিতেই আলতাফ দাঁড়ানো থেকে টলকে বেঞ্চের উপর পড়ে যায়। গোলাম কিবরীয়া পাশেই বসা ছিল। সে তাড়াতাড়ি আলতাফকে জড়িয়ে ধরে স্যারকে উদ্দেশ্য করে বলল, স্যার, ও তো কাল থেকে না খাওয়া।
স্যার যেন লজ্জায় পড়ে গেলেন। পাল্টা প্রশ্ন করলেন, কেন-- না খাওয়া কেন?
গোলাম কিবরীয়া স্যারের দিকে তাকিয়ে বলল, স্যার, ওদের ঘরে দু’দিন হলো ভাত নাই। গত কাল দুপুরে ওর মা একটু খুদ ভেজে দিয়েছিল তাই খেয়ে ও দু’দিন হলো আছে।
স্যার থ হয়ে গেলেন। না খাওয়ার কারণে আলতাফের উচ্চারণ স্পষ্ট হচ্ছে না এটা স্যার বুঝতে পারেন নাই। যদি বুঝতে পারতেন আলতাফ না খাওয়া তাহলে কখনই তাকে ঠাস করে থাপ্পর মারতেন না। নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়েই স্যার তাড়াতাড়ি পাঞ্জাবীর পকেট হাতাতে লাগলেন। স্যারের পকেটেও তেমন পয়সা ছিল না। পাঞ্জাবীর উপর নিচের সবগুলো পকেট হাতিয়ে সর্ব সাকুল্যে ছয় আনা পয়সা পেলেন। এই ছয়আনা পয়সা গোলাম কিবরীয়ার হাতে দিয়ে বললেন, তাড়াতাড়ি দোকান থেকে এক প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে আয়।
স্কুলের দক্ষিণ পাশেই বাজার ছিল। গোলাম কিবরীয়া দৌড়ে বাজারে গিয়ে ছয় আনা দিয়ে একটি সলটেস বিস্কুটের প্যাকেট কিনে আনল। সেই বিস্কুট খাওয়া পর্যন্ত স্যার কাছেই বসে থাকলেন। বিস্কুট খাওয়া শেষ হলে স্যার নিজ হাতেই আলতাফকে গ্লাসে করে পানি খাওয়ালেন। এরপর বই খাতা আলতাফের হাতে দিয়ে বাড়ি যেতে বললেন। আলতাফকে বিদায় দিয়ে স্যার আর ক্লাস নিলেন না।

এই ঘটনার পরেও আলতাফ আরো কিছুদিন স্কুলে এসেছিল কিন্তু একটা পর্যায়ে অভাবের তাড়নায় আর পড়তে পারে নাই। প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় স্কুল জীবনের বর্ণনা করতে গিয়ে কত কথাই না মনে পড়ছে। অনেকেই হয়তো মনে করবেন আমি বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখছি। না ভাই, বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখছি না, সেই সময়ে স্কুল জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা থেকেই কিছু ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। (উপরের ঘটনাটি ১৯৬৯ সালের)

(ক্রমশ)

আগের পোষ্ট পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন ঃ
প্রাইমারী স্কুলের বিবাহযোগ্য সহপাটিগণ এবং কিছু ঘটনা

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: এখোন এমন ঘটনা আছে। দেশের সবার হাতে কাচা টাকা নাই। পড়াশেোনা করার মতো অবস্থা অনেকেরই হয়নি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

প্রামানিক বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, সেই সময়ে পেটের ভাত যোগাড় করার জন্য ছোট ছোট ছেলেরা গেরস্থবাড়ি ক্ষেত নিড়ানী কামলা দিত। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ২য় হইছি, কিছু একটা দেন :D

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

প্রামানিক বলেছেন:
ভাত দিতে চাইছিলাম কিন্তু ঘড়িতে দেহি ১২টা বাজে নাই, তাই আপাতত চা খান।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আইচ্ছা আগে আপ্নে কনত এমন সব বুড়া মানুষদের সাথে গিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন ক্যান??

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

প্রামানিক বলেছেন: দুঃখের কথা কি কমু, ওরা যে ক্লাস টুতেই বুড়া হইয়া গেছে এইডা ভর্তি হওয়ার আগে জানি নাই, ভর্তি হওয়ার পর যখন স্বচক্ষে বুড়াদের চেহারা দেখলাম তখন আর শরমে আগের স্কুলে ফেরত যাইতে পারি নাই। ধন্যবাদ রসালো মন্তব্য করার জন্য।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চায়ের সাথে মাংসের মসলা ক্যান? চায়ের ভেতর কি মাংস দেওয়া আছে?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

প্রামানিক বলেছেন: এই মশলা দেয়া চা খাইছিলাম ইন্ডিয়াতে। ইন্ডিয়াতে চায়ে মশলা পাতি দিয়ে তেলানী দেয়া হয়, এই চা খাইলে শীতের দিনে শরীর গরম হয় এবং শীত কম লাগে। এখন তো শীতকাল তাই মশলা চা দিলাম।

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১ম পর্বের মতোই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভালো লেগেছে গল্পটি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

প্রামানিক বলেছেন: বোন কামরুননাহার কলি, এটা গল্প নয়, এটা আমার জীবনে স্বচক্ষে দেখা স্মৃতিচারণ। ধন্যবাদ

৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। খুবই টাচি কাহিনী!

এমন আলতাফেদর সংখ্যা কম ছিল না এখনো কম নয়!

ইসলামিক ব্যাংক ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পাওয়া ছাত্রীর বর্ণনা এমনি হৃদয় বিদারক ছিল। এইতো গত বছর! ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছিল! আমাদের শেকড় থেকে সঠিক উন্নয়ন না করে- উপরে উপরে কথা আর পরিসংর্খ্যানের মারপ‌্যাচে যতই মধ্যম আয়ের দেশ বলি-এসব ঘটনাগুলো বাস্তবের আঙুল চোখে বিঁধিয়ে দেয়!

বরাবরের মতোই ভাল লাগা স্মৃতিকথায়

++++

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

প্রামানিক বলেছেন: সে সময় অভাবের কারণে কত ছাত্র যে ক্লাস ওয়ানেই ঝরে যেত তার হিসাব দেয়া মুশকিল। এখনও সেসব দৃশ্য চোখে চোখে ভাসে। অনেক ছাত্রকেই ছেঁড়া সার্ট আর ছেঁড়া হাফ প্যান্ট পড়ে আসতে দেখেছি। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

বিষাদ সময় বলেছেন: ছাত্রদের দারিদ্রতা আর ছাত্র শিক্ষকের মহৎ সম্পর্কের কথা জানতে পেরে কষ্ট-সুখের যুগপৎ অনুভুতিতে মনটা ভরে গেল।
অনেক অনেক ভাললাগা প্রামানিক ভাই................

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: জী ভাই ঠিকই বলেছেন, সে সময় শিক্ষকগণ ছাত্রদের প্রতি খুবই আন্তরিক ছিল। ধন্যবাদ

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে ভাই,নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: গল্প নয় ভাই স্মৃতি চারণ। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

আটলান্টিক বলেছেন: পরে আলতাফের সাথে আপনার দেখা হয়েছিল???এখন সে কেমন আছে?আসলে আলতাফের বিষয়টা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেছে।আপনি চরমভাবে সেই সময়কার চিত্রকে তুলে ধরেছে।এক কথায় অসাধারণ

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

প্রামানিক বলেছেন: পাঁচ ছয় বছর আগে একবার দেখা হয়েছিল, এখন সে ভালো আছে এবং অভাব নাই, তার ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে লেখাপড়া করে। ধন্যবাদ

১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



এরকম অনেক স্মৃতি রয়েছে আমাদের।

ধন্যবাদ সুন্দর লেখনিতে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, অনেকের জীবনেই এরকম অনেক স্মৃতি আছে। ধন্যবাদ

১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

আরাফআহনাফ বলেছেন: গোলাম কিবরিয়া স্যারের মমতামাখানো এমন শিক্ষকতা কজন শিক্ষক এখন করতে পারেন?
সেই শিক্ষকও নেই - সেই ছাত্রও নেই।
দিন দিন সব চলে যাচ্ছে নস্টদের দখলে!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, আগের শিক্ষকদের মাঝে ছাত্রদের প্রতি মমতামাখানো আদর ছিল এখনও আছে তবে সেইরকম নেই। ধন্যবাদ

১৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আলতাফের ঘটনাটা বেশ করুণ।
না খেয়ে থেকেও সে স্কুলে এসেছিল, যা এখনকার বাচ্চারা ভাবতেই পারবে না

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

প্রামানিক বলেছেন: শুধু আলতাফ নয় সেই সময় অনেকেই এরকম না খেয়ে স্কুলে আসতে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার ঘটনা থেকেই জানা গেল কত অভাবইনা সয়ে গেছে বাংলার মানুষ।

আগে এত ভবাব থাকলেও লেখা-পড়ার মান ছিল।

এখন অভাব তেমন নাই কিন্তু লেখা-পড়ার মানও নাই।


ঘটনা পড়ে বেদনা ভারাক্রান্ত হলাম।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

প্রামানিক বলেছেন: সে সময় শিক্ষকরা একজন ছাত্রকে শেখানোর জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করতো এবং বিনিময়ে কখনও স্বার্থ খুঁজতো না।

১৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এখন হয়তো আগের মত ভাতের অভাব নেই।তবু অনেক রকমের অভাব মানুষকে নিত্যদিন আকড়ে ধরছে।
লেখাটি পড়ে আমারও অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

প্রামানিক বলেছেন: এখন সেইরকম ভাতের অভাব নেই তবে জীবন যাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ

১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম বুজতে পেরেছি। এটা স্মৃতিচারণ, তবে মুখের কথা গল্প বলে ফেলেছি ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন স্মৃতিচারণ হলেও গল্পের মতই। পুণঃরায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

১৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

বিজন রয় বলেছেন: বিদায় ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮,......... নতুনের শুভেচ্ছা রইল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২০

প্রামানিক বলেছেন: আপনাকেও আগামী বছরের শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

বেয়াদপ কাক বলেছেন: আলতাফ ভাইয়ের ঘটনা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই ঘটনাটি দুঃখজনক ছিল। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অনেকেই হয়তো মনে করবেন আমি হয়তো বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখছি।

-এমন অনেকেই অভাবের তাড়নায় বা সংসারি হয়ে বা কাজ করবার কারণে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
আমি যখন ফাইভে পড়ি (১৯৭৮) তখন আমাদের ক্লাসের ভালো ছাত্রী স্বপ্না (খাতার নামটা দিলাম না) ডাক্তারের মেয়ে। তারপরও তার বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো। কয়েক বছর পর তাকে রিকশায় দেখলাম, পাশে ছোট একটা ছেলে বসা। বললাম, সঙ্গে কে?
-আমার ছেলে।
চান্দের মতন হাসতে হাসতে সে বলেছিল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

প্রামানিক বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন নব্বইয়ের আগ পর্যন্ত বাল্যবিবাহ অহরহ ছিল। নব্বইয়ের পরে বাল্যবিবাহ আস্তে আস্তে কমতে থাকে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

২০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারন। মুগ্ধ হলাম বর্ণনায়।

হাফিজের বয়স বলছেন বার তের; আবার ফোরে উঠে বিয়ে করল। তাহলে কি ১৫/১৬বছর বয়সেই বিয়ে করেছিল?

আলতাফের ঘটনা পড়ে খুব দুঃখ পেলাম। আমার ধারনা ছিল গ্রামের ছেলেরা অনায়াসে নানা রকম খাবার জোগাড় করতে পারে।
পল্লীকবি জসিমউদ্দীনের কবিতা নিমন্ত্রণ পড়ে আমার এ ধারনা হয়েছিল; কবিতাটা স্কুলে আমাদের পাঠ্য ছিল।

তুমি যদি যাও- দেখিবে সেখানে মটর লতার সনে
সীম আর সীম, হাত বাড়াইলে মুঠি ভরে সেইখানে
তুমি যদি যাও সে-সব কুড়ায়ে
নাড়ার আগুনে পুড়ায়ে পুড়ায়ে
খাব আর যত গেঁয়ো চাষিদের ডাকিয়া নিমন্ত্রনে
হাসিয়া হাসিয়া মুঠি মুঠি তাহা বিলাইব দুইজনে।


এছাড়াও খাদের থেকে মাছ ধরার কথা আছে। তাহলে এগুলো গ্রামের সত্যিকার ছবি না! আমি এতদিন ভাবতাম পথের পাঁচালীতে সত্যজিৎ রায় গ্রামবাংলার অভাবের যে ছবি এঁকেছেন তা বাড়িয়ে বলা।

অনেক ধন্যবাদ স্মৃতিচারনের মাধ্যমে আলতাফের কথা বলায়। ভাল থাকুন, নতুন বছর শান্তিময় হোক।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০৭

প্রামানিক বলেছেন: কবি জসীম উদ্দিন কবিতায় গ্রামের যে রুপ-রস তুলে ধরেছেন তাও ঠিক আবার আসমানীদের ভেন্না পাতায় ছাউনি দেয়া যে কুড়ে ঘরের বর্ননা করেছেন এটাও ঠিক। গ্রামে যেমন আনন্দ ছিল তেমনি দুঃখ কষ্টও ছিল। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চমৎকার বাস্তবভিত্তিক গল্প । বৈচিত্রময় লেখা, পাঠে ভাল লাগল
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই, নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

২২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আলতাফের ঘটনাটা মোটামুটি কোন সালের, কোন এলাকার?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১১

প্রামানিক বলেছেন: আপনি যে বছর মেট্রিক পাশ করেছেন সেই সালের, রংপুর এলাকার।

২৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫০

সোহানী বলেছেন: ধুর মনটাই খারাপ করে দিলেন। এখনো অসংখ্য আলতাফ আছে গ্রামে কিংবা শহরে। কিন্তু কেউই কখনই ওদেরকে নিয়ে ভাবেনি। আগে কিছু এনজিও ওদের নিয়ে কাজ করতো। মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষনা, পলিটিকেল টানা হ্যাচরা, একটি অতি লোভী দেশের চাটুকারিতার কারনে বিদেশী ডোনেশান বলতে গেলে বন্ধ। আমি একটি খাতে ২ বছরের জন্য ১৪৪ মিলিয়ন ডলার এনেছিলাম। তারপর কিছু দেশীয় চোর বাটপার লোভী এক ইন্ডিয়ানকে ও পরে এক ভুটানীকে কনসালটেন্ট হিসেবে মাসে ১০ লাখ টাকা বেতনে আনলো। ৫ বছরের জন্য ২৮ মিলিয়ন ডলার তারা সর্বসাকুল্যে আনতে পেরেছিল......... তারপর ও তা ও বন্ধ। এই হলো গিয়ে দেশ.......

ভালো থাকেন। হ্যাপি নিউ ইয়ার।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন চোর বাটপারের কারণে এদেশে উন্নয়ন করা মুশকিল। আমি বর্ননা করছি পাকিস্তান আমলের, সে সময় এনজিও চোখে পড়ে নাই।

২৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫১

ওমেরা বলেছেন: আগে মনে হ্য় দেশে অনেক অভাব ছিল ।ঠিক আলতাফের মত আমাদের এক আত্বী্যের কাহিনী আমি আম্মুর মুখে শুনেছি - উনি অবশ্য অনেক কষ্ট করে ও লিখা পড়া শেষ চালিয়ে নিযেছেন ।

ভাল লাগল খুব তবে আলতাফের কষ্ট না ভাইয়া আপনার লিখা । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।


০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৩

প্রামানিক বলেছেন: পাকিস্তান আমলে যাদের অভাব ছিল তারা অমানুষিক কষ্ট করতো। কামলা বেচা লোকের বউঝিরা কখনই পেট ভরে ভাত পেত না। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন:

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

প্রামানিক বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

২৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মনটা চলে গেল পিছনে।। বন্ধুদের মাঝে।। কারো কারো সাথে আর দেখাই হবে না।।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৬

প্রামানিক বলেছেন: পুরানো বন্ধুদের দু'একজন ছাড়া বেশির ভাগের সাথে আমারো দেখা হয় না। ধন্যবাদ

২৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




শুভ ভোর ২০১৮ ।

জীবনের গতিপথের সকল সংকীর্ণতা দূর হয়ে যাক....

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৭

প্রামানিক বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

২৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

আটলান্টিক বলেছেন: শুভ নববর্ষ প্রামাণিক সাহেব.....
আপনার মন কি আজ ভাল নেই নাকি????

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

প্রামানিক বলেছেন: না ভাই খারাপ নাই তবে ব্যস্ত আছি। ধন্যবাদ

২৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রামানিক ভাই,,

আমি একবারের জন্য ভাবিনি যে আপনি বানিয়ে লিখেছেন। আত্মজীবনী মূলক লেখা গুলো আমার খুবই ভালো লাগে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: আপনি না ভাবলেও অনেকে ভাবতে পারে সে জন্যই কথাটি বলা। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৩০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রামানিক ভাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ

৩১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আহা জীবন ! আহারে জীবন !!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: কষ্টের জীবনই বটে। ধন্যবাদ

৩২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

সুমন কর বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ ভালো লাগছে।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা......

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

৩৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রামানিক ভাই, সুন্দর হয়েছে এই পর্বের লেখা | আমি বিশ্বাস করেছি আপনার লেখা | আমি স্কুল কলেজে আমার সহপাঠীদের দেখেছি এমন ঝরে যেতে | প্রাইমারি স্কুলের আলিমের কথাতো আপনার গত পর্বের লেখার মন্তব্যে বললাম | ঢাকা কলেজে পড়ার সময় দেখেছি বাবা মারা যাবার কারণে পড়ার পাঠ চুকিয়ে সহপাঠীদের চাকুরীতে ঢুকতে | জীবনের ঘটনায় বলেছেন আপনি, আমি বুজেছি | নতুন বছরের শুভেচ্ছা নেবেন |

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৩৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৩

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: প্রামানিক ভাইয়ের লেখা মানেই সেরা কিছু,আমি প্রথম হতেই তার ভক্ত। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম। শুভ্চেছা রইল।

৩৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

লিসানুল হাঁসান বলেছেন: আমার অনেক ক্লাসমেটের বিয়ে হয়ে গেছে

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২০

প্রামানিক বলেছেন: আফসোস করার কিছু নাই, কারণ অনেকে বয়েসের কারণে বিয়ে করে অনেকেই পরিস্থিতির কারণে বিয়ে করে। আপনি হয়তো দুইটার একটার মধ্যেও পড়েন নাই যে কারণে আপনি এখনও কুমার। ধন্যবাদ আপনার স্মৃতিচারণের জন্য।

৩৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: কাচা পয়সা বিলুপ্তির পথে, কিন্তু ঐ রূপ এখনো বিলুপ্ত হয় নি!
সরকারকে ধন্যবাদ প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি মানুষকে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য। কিন্তু এখন প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে গ্রামের শিক্ষার্থীরা অনেকে ছিটকে পড়ছে!

শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, এখনও গ্রামের ছেলে মেয়েরা হাইস্কুলে পড়ার সুযোগ পায় না। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

আটলান্টিক বলেছেন: পরের পর্ব দিচ্ছেন না কেন?নাকি সিরিজ সমাপ্ত??? :( :( :(

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২১

প্রামানিক বলেছেন: না ভাই সমাপ্ত হয় নাই লিখলে অনেক পর্ব হবে। লেখার তাগাদা দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.