![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিন্স ঠাকুর
হে আমার বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা
আমি তোমাদের বলি, কান পেতে মন দিয়ে শোনো।
তোমরা কী আজ অলস-বলহীন-ভীরু-কাপুরুষ-
তোমাদের রক্ত কী আজ গতিহীন শীতল?
যদি নাইবা হবে তবে বাংলার কেন এমন দশা?
যে বাংলা রক্তের বণ্যা আর হাজার মা বোনের
ইজ্জ্বতের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছিল-
সে বাংলা জুড়ে বিরাজ করছে রক্তচুষা শকুন আর
লুটেরা। তোমাদের চোখে কী রঙ্গিন কালো চশমা?
দেখতে কী পাওনা বাংলা মায়ের শরীর রক্তে রক্তে
ভিজে লাল। শুনতে কি পাওনা কারো বুক ফাঁটা
আর্তনাদ। ভুলে গেছ কী সেই ৫২'র ভাষা আন্দোলন,
শরীরের বাধ ভাঙ্গা জোয়ার আর বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।
হাত থেকে খোশে পড়েছে কী সমস্ত হাতিয়ার?
তোমরা কী হয়েছ অচল-অসাঢ়-প্রানহীন-জড়বস্তু;
নবীনের সজিবতা কী শরীর থেকে নিয়েছে বিদায়?
তোমরা নেশাখোর-মাতাল, এক একজন ব্যবিচারী।
মনুষত্ব হারিয়ে হয়েছ বিবেকহীন উন্মত্ব পশু।
ভিড়েছ ঐ শকুনের কাতারে। নির্লজ্ব বেহায়া তোমরা।
যদি তা নাইবা হবে তবে কেন ভাইয়ের বুকে ছুরিকাঘাত।
তার খুনে হাত কেন রক্তে রঞ্জিত, বলতে পারো? পারবেনা।
তোমাদের মেরুদন্ড আজ নড়বড়ে, তোমরা পুরুষত্বহীন।
উদ্বত শীর হয়েছে নত ঐ পাপাচারীর পায়ের জুতার তলায়।
তোমরা হাড় ছাড়া একদলা মাংসপিন্ড; খেলছে যে যার মতো
যখন যেখানে। তোমাদের শ্বাসরূদ্ধ অত্যাচারীর
কালো হাতে। তাদের খেলার পুতুল, বন্ধি খাঁচার পাখি।
খাঁচার ভেতর ডানা ঝাপটিয়ে মরবে তবু অগ্নিগিরির
অগ্নুতপাতের মতো ঝলসে উঠবে না তোমাদের শরীর।
অন্যায় অত্যাচার মুখ বুজে সইবে তবু প্রতিবাদী হবে না।
তোমরা কেমন পুরুষ: কেমন জাতি? তোমরা কি মানুষ?
আমি তোমাদের বলছি, তোমরা জেগে ওঠো
রনাঙ্গনে যাবার সময় এসেছে, অনেক কাজ অনেক দায়িত্ব
আর ঘুমিয়ে থেকো না অন্ধ কুঠিরে মুখ লুকিয়ে।
নিজের ন্যায্য অধিকার বুঝে নেবার সুযোগ এসেছে,
বেরিয়ে পড়ো যে যেখানে আছো; কাতারে; কাতারে।
ঝেড়ে ফেলো শরীর থেকে সব নেশার জাল। সবাই
মিলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হও সুন্দর একটি দেশ ও জাতি গড়ার।
আমি আর কিছু চাই না-
শুধু চাই, বাংলার আকাশে মেঘ মুক্ত
এক চিলতে রোদ্দুর।।
এই কবিতা বাংলার সকল গণমানুষের প্রতি উৎসর্গীত।
"রাজাকারের ফাসিঁ চাই
নির্ভেজাল জাতি চাই।"
©somewhere in net ltd.