![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন পৃথিবীর সব জুই ভালোবাসা নিয়ে
সুবাস ছড়াও আমার এ বাউল বাতাসে,
তখন বাতাসেরা নেচে যায়, আর আমাকে-
কবিতা লিখতে বলে।
বিধাতার অপূর্ব সৃষ্টি তোমার ওই
লাবণ্যে অনন্যা প্রেমময় রূপ আর
তার যৌবন নদীর উত্তাল তরঙ্গ আমাকে-
কবিতা লিখতে বলে।
মায়াবী চোখে আমার দিকে চেয়ে
তুমি যখন মনের কথা বলো,
বাতাসে গাছেরা দোল খায়, আর আমাকে-
কবিতা লিখতে বলে।
কাঠফাটা দুপুরে ক্লান্ত দেহে
তুমি যখন একাকী বাড়ি ফেরো,
খোলা নীল আকাশ আমাকে ডাকে, আর-
কবিতা লিখতে বলে।
খোলা ছাদে চুপচাপ বিকেলে
তুমি যখন একান্তে ঘুরে বেড়াও,
সূর্যটা ডুবে যায়, আর আমাকে-
কবিতা লিখতে বলে।
ক্যানভাসে রং তুলি দিয়ে
যখন আমি তোমার ছবি আঁকি,
ছবিটি হাসতে থাকে, আর আমাকে-
কবিতা লিখতে বলে।
আনন্দহারা তোমার ওই
বিরহিনী মন আর তার স্বপ্নময় আশা,
আমাকে ভাবায় আর বারবার-
কবিতা লিখতে বলে।
ফুলের বনে ভোরে তুমি যখন এলে
আচমকা বৃষ্টিরা এসে তোমাকে
ভিজিয়ে দিয়ে যায়, আর আমাকে-
কবিতা লিখতে বলে।
গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথে বিকেলে
তুমি যখন নূপুর পায়ে হেঁটে যাও,
ফুলের পাপড়িরা ঝরে পড়ে, আর আমাকে-
কবিতা লিখতে বলে।
নদীর পাড়ে শালের বনে চঞ্চলা
হরিণীর মতো তুমি যখন ঘুরে বেড়াও,
বাতাসে শাড়ির আঁচল উড়ে যায়, আর-
কবিতা লিখতে বলে।
পূর্ণিমা রাত একাকী ঘরে শুয়ে ঘুম
দুষ্টু আলো উঁকি মারে জানালায়; তখন,
তোমার স্নিগ্ধ শরীর আমাকে ডাকে, আর-
কবিতা লিখতে বলে।
নীরবে নিভৃতে পাশাপাশি দুজন
ঠোঁটে ঠোঁট, যখন আলিঙ্গনে সমস্ত শরীর,
তখন সমুদ্রে ঢেউ তোলে, আর আমাকে-
কবিতা লিখতে বলে।
তাং : ২৬.০৯.১৯৯৭ইং বাপের ভিটে, রুন্দিয়া, নড়াইল।
©somewhere in net ltd.