![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার তেমন কিছুই জানা নেই। তাই 'তথ্য' বলতে কিছু নেই এখানে। বানানে সমস্যা তাই সহজ বাংলা লিখি। পড়তে দিয়ে পয়সা চাইনা তাই জবাবদিহিতার দায় নেই। যেদিন লিখে আর আনন্দ হবেনা লেখা বন্ধ করে দিবো।
রিকোয়েস্ট উঁনাদের প্রতি যাহাদের ঢেঁরশসম রমনীর আঙ্গুলীকেও মাদার গাছের ডাল মনে হয়, সকল স্বাদ মিটিয়ে নারীকুল আজ ‘তিতো’ হয়ে গেছে যাদের গদ্য কাব্যে, প্রচন্ড শীতের একাকিত্বের অসহায়ত্বে যারা দুবাইয়ের কম্বলের বিকল্প খুঁজেন না, দোহাই তাদের..... এই কলামে উঁনাদর প্রবেশ সংরক্ষিত!
আমি বোধহয় তখনও ৫৫ পেরুতে পারি নাই। কুমারীর সীথিতে সিধুর তোলার অযোগ্যতায় নিজেকে ক্ষণেক্ষণে অপমান করিতাম, বলিতাম- ভাগ শুয়োর, গঙ্গায় পূজোর বাদে মেয়ে লোকের ঘাটের জল চেখে সাধ মিটা! মনের বাক্য মুখে না আসায় লোকে আমায় অমন দূর্নাম দেয়নি কখনো। ভাবেওনি এ চোখে কিসের খোয়াব ও যুবকের। নিয়তির নিয়মের মুখে থুথু ছিটায়ে থে থে করে দেশ মাড়িয়ে আজ দুবাই! চোক্ষে আমার সিধুর তোলার খোয়াব!
নেই মাতা যে শিশুর সে শিশুর ঘরও বা কি বণও বা কী! ৭০ দশকের বাংলা সিনেমার সব হিরোইনের বুক চাপা কস্টের দিগুন চেপে দিন কাটাইতেছিলাম এ বালূময় প্রান্তরে! কী দিন কী রাত; অন্ধের কী আসে যায়। মোঁচয়ালা ক্যারেলা বাইনচো....গো ফ্যাতরা মার্কা সালুনে দম বন্ধে দুমুঠ ভাত আঙ্গুল চিপি দিয়ে ঢুকাইয়া যার রাত যায়- দিন যায়- সকাল আসে, তার আবার আশা কিসের! এ ব্লগ সুধীজনের তাই জানাই আছে ‘গায়ে যা সয় মনে তা সব লয় না’। ‘‘কান্না নারীর ছামান’’ তাই তাহা এড়িয়ে গিয়ে বেদম কস্টে আশা বাচাইয়া রাখিয়া গত কাইল মেস হল হইতে বাহির হইয়া তিন ব্লক বিশিস্ট হুন্দাই অফিসের পাইপিং- বি ব্লকে নিজের আসনে বসিয়া ঝিম মারিয়া ভাবিতে ছিলাম, ‘‘মরুভুমিতে বুঝি ম্যাডামদের চাকুরী করার কানুন নাই’’! মুলত এই অধমের যতখানি কাম তাহা বি ও সি ব্লকেই সীমিত। অনার্স এর দ্বিতীয় বর্সে বিজনেস ম্যাথ এ ৪ পাইলেও ম্যাথ সম্পর্কে যে কোনই জ্ঞান ছিলনা তাহা কিন্তু নয়। যেহেতু লোকে বলে মেইন অফিসে ৩ ব্লক সেহেতু পাইপিং সেকশন ও এ্যাডমিন সেকশন মিলে ২ ব্লক হইলে নিশ্চয়ই ১ ব্লক অবশিস্ট থাকে! অটোমেটিক হিসেব! জ্ঞান সীমিত হইলেও সি ব্লকের নামও জানা ছিল-‘ সি ব্লক, উহাকে সিএম সেকশন’’ বলিয়া জানে লোকে। হেড অফিসের ক্ষুদ্র লাল টিপ সমেত ক্ষুদ্র কাজ গুলো সারিয়া ফের সাইট অফিসে ফেরার প্রত্যয়ে বাহিরে সাটেল ট্রিপের অপেক্ষায় ছিলাম। যান্ত্রিক এ যুগে প্রকৃতিকে না ডাকলেও প্রকৃতি মোদের ভোলেনা। হঠাৎ আন্ধারমে নাম্বারও ওয়ান এর কল অনুভব করিলাম। সি ব্লক সামনে পড়ায় দৌড় দিয়া ১ম বারের মত সি ব্লকের টয়লেট খুজিতে ব্যস্ত হইয়া ডাইরেক স্টপ খাইয়া গেলাম! আজ ১ বছরের চাকুরীতে এ প্লান্টের ছোট খাটো সব অফিসই কামে-বেকামে ঘোরাঘুরি ফিনিসি। অফিসে গেছি টয়লেটে যাই-নাই এমন ঘটনা ঘটার নয় বলিয়া ঘটেও নাই কখনো। জাপানীগোর ন্যায় (নোয়াখালী ভাইবেন না আবার) বাইঙ্গ মাছ মার্কা আমার চউক দুটো আশচোরযে তাউল্লায় ঠেকিবার পালা! যেন ৪ সন্তানসহ পুরনো প্রেমিকায় আমার বেডরুমের আশ্রয় চায়! অসুখীর সুখ মনেও সয় না; চোখেও না। আমার কান্না আসি যায়; ক্ষণেক্ষণে! কারে বুঝাই সে সুখের কথা! আমার সম্মুখে যে টয়লেট উহার দরজায় দিব্যি চকচকা টাইমস নিউ রোমান ফন্টে লেখা- টয়লেট মেন! উইমেন না থাকিলে মেন লেখার প্রশ্নই আসেনা! এক ঝটকা মারিয়া বলিলাম, ‘‘ ছোড়দো ও সাইট আফিস!’’ খুশিকে অস্তমিত করিয়া সি ব্লক তল্লাশিতে বেদম ব্যস্ত হইয়া উঠিলাম। যতখানি অভদ্রতায় আমার দেশের বদনাম হয় ঠিক ততটুকু ঢাকিয়া রাখিয়া তলপিতলপায় ব্যস্ত হইয়া পড়িলাম। প্রথমে ইকুয়েপমেন্ট টেবিল, বিজনেস টেবিল, ইন্স্ট্রুমেন্টাল, মেকানিক্যাল....! আশা ছাড়িনাই! ৩০মিনিট অবধি তল্লাশিতে ব্যর্থ হইয়া ভাবিলাম উনারা বোধহয় বাহিরে ‘‘বাতাশ খায়’’। একখানা টেবিলের চেয়ারে গোলাপি রংয়ের সুয়েটার দেখিয়া ভাবিলাম ‘‘পুরুষে এই রং পড়লেতো বলদে লড়ায়’’- নিশ্চয়ই এইখানেই বিদেশি আপা হইবে। কারণ বলদের কালার রিএ্যাকশান সম্পর্কে আপারা ধারণা রাখেননা। (ছোট্ট নোট: আমার এক বন্ধু জাহাঙ্গীরনগরের ক্যাম্পাসে গার্ল ফ্রেন্ট লইয়া ডেট দিবার কালে এক বলদের কাছে হাতে-নাতে লড়ান খায়। ফের জাহাঙ্গীরনগরের নাম শুনলে ঐ লাল স্যালোয়ারওয়ালী আপা নাকি রাগে বন্ধুরে এক সপ্তাহেও আর ধরতে দিতেন না।)
কোমলা কালারের সুয়েটার দেখিয়া দীর্ঘক্ষণ ওয়েট করিয়া যাহা দেখিলাম তাহাকে দৃশ্য বলেনা। আমরা চার ভাই ও আব্বা মিলিয়ে মোট ওজনের চেয়ে দুইগুন বেশি ওজনওয়ালী এক অশ্লীল চেহারার মহিলা নিজ রংয়ের বিকিরণ দ্বারা তাহার নিকটবর্তী দুই মিটার পর্যন্ত অন্ধকার করিয়া সিএম সেকশনের ম্যানেজারের সাথে হাসিতে হাসিতে আসিতেছেন। এমন মর্মস্পশী দৃশ্যে আমি ব্যথিত হইলাম এবং পরক্ষলেই ম্যাডাম ও ম্যানেজারকে দেখিয়া ‘‘সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার’’ টাইপের একখানা বিষয় মাথায় আসিল। যদি করিয়ানরা রিসাইকেলিং এ বিশ্বাস করে তবে নিশ্চয় হাবসান এর প্রজেক্ট শেষে ঐ ম্যাডামের ইউসকৃত লয়লেট প্যান খানা সিএম ম্যানেজারে বাথট্যাব হিসেবে ইউস করিবেন যেখানে হাত-পা ছড়াইয়া গড়াগড়ির পরও কিছু খালি জায়গা থাকিবে এবং সেখানে তিনি ইচ্ছা করিলে আদরের নাতনীরেও গোসলে নামাইতে পারিবেন!
পুনশ্চঃ জাহাঙ্গীরনগরের প্যারার শেষ লাইনে ‘‘ ধরতে দিতেন না’’ এর আগের একটি শব্দ বাদ পড়িয়া গিয়াছে। আমার হিসেবেতো শব্দটা ‘‘হাত’’ হইবার কথা! যদি কেউ ভুল পড়িয়া থাকেন শুধরাইয়া লইয়েন প্লিজ!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
অনির্বান বলেছেন: সে সুযোগ আর দিলেম কই দাদা!
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
রাইসুল সাগর বলেছেন: বুঝিলাম না আমি কিছুতেই রম্য বলিলেই কি এহন শব্দ ব্যাবহার করা যায় যাহা পড়িবার তরে কিছুটা কামর দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এহা একান্ত আমার ব্যাক্তিগত অভিমত । কিছু মনে না করিলে খুশি হইবো। এবং আমার চাচা চিয়ারমেন এর মত বলতে হয়ঃ
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: শেষের সংশোধনী না থাকিলে তো অন্য কিছু ঠাওরিয়ে বসেছিলুম গো দাদা
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানিবেন নিরন্ত। ভালো থাকুন সব সময়.
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
অনির্বান বলেছেন: বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যের ঘাটতির কারণে আমার ''বোঝন'' ক্ষমতা কম তাই আপনার '' কামর'' শব্দটার আসল অর্থ বুঝিলাম না সত্যই।
ধন্যবাদ সাগর ভাই।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
রাইসুল সাগর বলেছেন: @ লেখকঃ মানে জিহ্বা কামর ।
আছেন কেমুন হেইডা কন ?
আর ফরমালিন যুক্ত দ্রব্য মূল্যের উদ্ধ গতি চাঁদ প্লোটো ছাড়িয়া এখন ইউরেনাস নেপচুন পাড়ি দিতেছে এইডা চরম সত্য।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৭
অনির্বান বলেছেন: আছি ভাই!
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
মাক্স বলেছেন: চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: শেষের সংশোধনী না থাকিলে তো অন্য কিছু ঠাওরিয়ে বসেছিলুম গো দাদা
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৭
অনির্বান বলেছেন: সেই সুযোগ আর দিলুম কই দাদা!
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
চ।ন্দু বলেছেন: নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় ফ্রান্সিস কাফকার কয়েকটা বই আমার হাতে এল। তো শুরু করলাম ’দ্যা ট্রায়াল’ দিয়ে। পুরো বইটি পড়ার পরে অবাক, না কিছুই তো বুঝলাম না। ফলে ২য় বার পড়তে হল, নাহ! তখন ধারণা করলাম আমার ব্রেণ বোধহয় ডাল হয়ে গেছে। একই রকম হয়েছিল আবার এটা দশম শ্রেণীতে পড়া কালীন সময়, এ বইটা কিন্তু বাংলায় লেখা, ’ভবঘুরে শাস্ত্র’- রাহুলের। ও মা, এতো দেখি মহা জ্বালা। আবার শুরু করলাম। নাহ, বইটার আগা মাথা কিছুই তো বুঝলাম না। তখন থেকে আমার নিজের উপর আস্থা অনেক কমে গেল আর তা এখনও আছে, কারণ আপনার লেখা ২য়বার পড়েও এর ভাবার্থ বের করতে পারলাম না।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২১
অনির্বান বলেছেন: প্রথম বেয়াক্কেল ছেলো ফ্রান্সিস, পরেরটা রাহুল আর পরেরটা.....
নতুন লেখিতো, শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবানি!
না বুঝেও পড়ছেন, তারও ২ বার। তাই ধন্যবাদ।
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩
সাক্ষিগোপাল বলেছেন: গপ্প দুই লাইন পইড়ে কমেন্ট গুল পড়লাম।
একন তো আর গপ্প পড়তি সাহস পাচ্ছিনে!
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৯
অনির্বান বলেছেন: সাহসে ঘাটতি এলো ক্যান ভাইজান?
শাহবাগ জান নাই? গেলে আমার নামে দুইটা স্লোগান দিয়েন!
শুদ্ধ মোদের রাজনীতি
কোন ভয়ে তোর রাজাকারপ্রীতি!
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: শেষের সংশোধনী না থাকিলে তো অন্য কিছু ঠাওরিয়ে বসেছিলুম গো দাদা