নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি, সমালোচনা এবং জীবনানন্দ

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

কবিদের প্রতি আমাদের অনেকের একটা অদ্ভুত রকম বিতৃষ্ণা আছে। আমরা সুযোগ পেলেই কবিদের হেয় করতে পছন্দ করি, এবং 'কি চমৎকার রাতি-আকাশে উড়িতেছে হাতি' টাইপের দুলাইনের কবিতা মুখে মুখে বানিয়ে তাঁদেরকে জানিয়ে দেই যে আমাদেরও কবিত্বশক্তি আছে- খালি প্রকাশ করি না বলে! এটা তো গেল সাধারণ মানুষের কথা। যারা প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক বা সাহিত্য-সমালোচক, তারাও গঠনমূলক সমালোচনা না করে সাধারণত নতুন কবিদের ওপর হামলে পড়তে ভালবাসেন। এর পিছনে কি কারণ কে জানে! তবে এই ধরণের স্বভাবের কারণে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল কবি ঝরে গেছেন, এবং ভুলভাল সমালোচনার কারণে অনেক নিম্নমানের কবিও সাময়িক খ্যাতি অর্জন করেছেন।



যেমন ধরা যাক জীবনানন্দের কথা। বাংলা সাহিত্যে পরাবাস্তবতার অন্যতম প্রবর্তক, শ্রেষ্ঠ আধুনিক কবিদের মাঝে একজন - আমরা এখন কথায় কথায় তাঁর কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে থাকি। কিন্তু এই ব্যক্তি জীবদ্দশায় যতটা না খ্যাতি পেয়েছেন, তাঁর চেয়ে অনেক বেশি শিকার হয়েছেন অযথা অর্বাচীন সমালোচনার। তৎকালীন সমালোচকদের মাঝে 'জীবনানন্দ হেইট-ক্লাব' জাতীয় সংঘ তৈরি হয়ে গেছিল, তারা কারণে অকারণে জীবনানন্দের কবিতা নিয়ে ব্যঙ্গ করতেন, তাকে নানাভাবে আক্রমণ করতেন। অনেকে বলেন জীবনানন্দ এতোটা উপেক্ষা সহ্য না করতে পেরেই ট্রামের নিচে প্রাণ দেন, আত্মহত্যা করেন (যদিও এ বিষয় নিয়ে মতভেদ আছে)। এতোটা প্রতিভা নিয়েও তিনি যে পরিমাণ সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন, তাতেই বোঝা যায় নতুন কিছু নিয়ে এগোনো কতটা কঠিন।



জীবনানন্দ একজন নতুন কবি হিসেবে কিরকম প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন, এবং কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার পর তাঁর বিরুদ্ধে কি ধরণের সমালোচনা করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু তথ্য নিয়েই এই পোস্ট। প্রথমেই আসবেন-



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



ধারণা করা হয়, কবি তেরো থেকে ষোলো বছর বয়সের মাঝে অনেক কবিতা রচনা করেছিলেন, বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই। সেগুলোর অপরিপক্বতা অনুভব করে পরবর্তীতে তিনি নিজে বাল্যকালের সৃষ্টিগুলো ধ্বংস করে ফেলেন। কিন্তু তার এই লুপ্ত কবিতার প্রথম (এবং সম্ভবতঃ একমাত্র) পাঠক একজন মহীরুহ, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। তিনিই জীবনানন্দের কবিতা নিয়ে সর্বপ্রথম মন্তব্য করেন। ১৯১৫ সালে জীবনানন্দ কবিগুরুর কাছে কিছু কবিতা পাঠান। তখন তার বয়স ষোলো। কবিগুরু জবাব দেন,



'তোমার কবিত্বশক্তি আছে তাতে সন্দেহমাত্র নাই। কিন্তু ভাষা প্রভৃতি নিয়ে এত জবরদস্তি কর কেন বুঝতে পারিনে। কাব্যের মুদ্রাদোষটা ওস্তাদিকে পরিহাসিত করে। বড়ো জাতের রচনার মাঝে একটা শান্তি আছে, যেখানে তার ব্যাঘাত দেখি সেখানে স্থায়িত্ব সম্বন্ধে সন্দেহ জন্মে। জোর দেখানো যে জোরের প্রমাণ তা নয় বরঞ্চ উল্টো।'



মন্তব্যটি রূঢ়, সন্দেহ নেই। কিন্তু মন্তব্য পড়ে এটুকু বোঝা যায় যে কবিতাগুলোয় নতুন কিছু ছিল, রবীন্দ্র-ছায়ার বাইরের কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল। আর রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে 'তোমার কবিত্বশক্তি আছে তাতে সন্দেহমাত্র নাই' এই স্বীকৃতি পেয়ে জীবনানন্দ অনেকটাই উদ্দীপ্ত হন।



রবীন্দ্রনাথ এরপরে আরও তিনবার মন্তব্য করেছেন জীবনানন্দের কবিতা নিয়ে। দ্বিতীয় মন্তব্যটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ঝরা পালক' সম্পর্কে, যার উল্লেখ কয়েকবার করা হলেও সম্পূর্ণ অংশ কখনো পাওয়া যায়নি- তবে বলা হয় এই মন্তব্যটি মিশ্র প্রকৃতির ছিল। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত 'কবিতা' পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় (আশ্বিন ১৩৪২) জীবনানন্দের 'মৃত্যুর আগে' কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকা পড়ে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধদেবকে একটি চিঠি লেখেন, যেখানে একটি অংশে তিনি বলেন, 'জীবনানন্দ দাশের চিত্ররূপময় কবিতাটি আমাকে আনন্দ দিয়েছে'।



সর্বশেষ মন্তব্যটি ১৯৩৭ সালে, 'ধূসর পাণ্ডুলিপি' সম্পর্কে -



'তোমার কবিতাগুলি পড়ে খুশি হয়েছি। তোমার লেখায় রস আছে, স্বকীয়তা আছে, এবং তাকিয়ে দেখার আনন্দ আছে।'



এভাবে প্রথমদিকে না হলেও, শেষ পর্যন্ত জীবনানন্দ কবিগুরুর অনুমোদন ঠিকই পেয়েছিলেন। আর রবীন্দ্রনাথ অন্ততঃ একটি বিষয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন যথাযথভাবে- জীবনানন্দের কবিতারা 'চিত্ররূপময়' এবং এদের মাঝে 'তাকিয়ে দেখার আনন্দ' আছে।



বুদ্ধদেব বসু



কোন মাসিক পত্রিকায় সর্বপ্রথম জীবনানন্দকে নিয়ে আলোচনা করেন বুদ্ধদেব বসু। তিনি পরবর্তীতে জীবনানন্দের একজন বন্ধুপ্রতিম ও ভক্ত পাঠক হয়ে উঠেছিলেন। 'প্রগতি' পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষসংখ্যায় তিনি লেখেন,



'জীবনানন্দবাবু বাঙলা কাব্যসাহিত্যে একটি অজ্ঞাতপূর্ব ধারা আবিষ্কার করেছেন বলে আমার মনে হয়। তিনি এ পর্যন্ত মোটেই popularity অর্জন করতে পারেননি, বরঞ্চ তার রচনার প্রতি অনেকেই বোধ হয় বিমুখ; -অচিন্ত্যবাবুর মতো তাঁর এরই মাঝে অসংখ্য imitator জোটেনি। তার কারণ বোধ হয় এই যে জীবনানন্দবাবুর কাব্যরসের যথার্থ উপলব্ধি একটু সময়সাপেক্ষ;...তার কবিতা একটু ধীরেসুস্থে পড়তে হয়, আস্তে আস্তে বুঝতে হয়।'

['প্রগতি', আশ্বিন ১৩৩৫]



বুদ্ধদেব এরপর প্রবন্ধের পর প্রবন্ধ জীবনানন্দের ভূয়সী প্রশংসা করে যেতে লাগলেন, তাঁর কবিতার সমালোচকদেরও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না। যেমন 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'র সমালোচনায় বুদ্ধদেব শেষ অনুচ্ছেদে বললেন-



'এই আলোচনা দীর্ঘ করলুম, কেননা জীবনানন্দ দাশকে আমি আধুনিক যুগের একজন প্রধান কবি ব'লে মনে করি, এবং 'ধূসর পাণ্ডুলিপি' তাঁর প্রথম পরিণত গ্রন্থ। আমাদের দেশে সাহিত্য সমালোচনার আদর্শ এখনো অত্যন্ত শিথিল, প্রতিভা হয় অবজ্ঞাত, তৃতীয় শ্রেণীর কবি অভিনন্দিত হয় অ-সাহিত্যিক কারণে; আমাদের মূল্যজ্ঞানহীন মূঢ়তাকে মাঝে মাঝে প্রবলভাবেই নাড়া দেয়া দরকার। আমাদের মাতৃভাষার সাহিত্যকে যারা শ্রদ্ধা ক'রে ভালবাসেন (আশা করি তেমন লোকের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে), তারা 'ধূসর পাণ্ডুলিপি' নিজের গরজেই পড়বেন, কারণ এই বইয়ের পাতা খুললে তারা এমন একজনের দেখা পাবেন যিনি প্রকৃতই কবি, এবং প্রকৃত অর্থে নতুন।'

['কবিতা', চৈত্র ১৩৪৩]



বস্তুতঃ জীবনানন্দ শুরুতেই যেসব প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকদের সমর্থন পেয়েছিলেন বুদ্ধদেব তাদের মাঝে অন্যতম। কিন্তু জীবনানন্দকে নিয়ে মধ্য-চল্লিশের দশকে বিতর্ক শুরু হলে এহেন বুদ্ধদেবও আস্থা হারিয়ে ফেলে তার সমালোচনা করেন। তিনি লিখলেন,



'জীবনানন্দ দাশ আমাদের নির্জনতম স্বভাবের কবি। এই নির্জনতার বিশিষ্টতাই তাঁর প্রাক্তন রচনাকে দীপ্যমান করেছিল। মনে মনে এখনো তিনি নির্জনের নির্ঝর, তাঁর চিরতন্ত্রী এখনো স্বপ্নের অনুকম্পায়ী। কিন্তু পাছে কেউ বলে তিনি এস্কেপিস্ট, কুখ্যাত আইভরি টাওআরের নির্লজ্জ অধিবাসী, সেই জন্য ইতিহাসের চেতনাকে তাঁর সাম্প্রতিক রচনার বিষয়ীভূত ক'রে তিনি এইটেই প্রমাণ করবার প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন যে তিনি 'পেছিয়ে' পড়েন নি। করুণ দৃশ্য, এবং শোচনীয়। এর ফলে তাঁর প্রতিশ্রুত ভক্তের চক্ষেও তাঁর কবিতার সম্মুখীন হওয়া সহজ আর নেই। দুর্বোধ বলে আপত্তি নয়; নিঃসুর বলে আপত্তি, নিঃস্বাদ বলে।'



অবশ্য এর কিছুদিন পরেই বুদ্ধদেব জীবনানন্দের ওপর আস্থা ফিরে পেয়েছিলেন।



বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থের সমালোচনা



জীবনানন্দের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'ঝরা পালক'-এর একটা আলোচনা কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল, তখন জীবনানন্দ লিখতেন 'দাশগুপ্ত' উপাধি নিয়ে -



'ঝরা পালক' কবিতার বই, শ্রী জীবনানন্দ দাশগুপ্ত প্রণীত। মূল্য এক টাকা। কয়েক বৎসরের মাঝেই শ্রী জীবনানন্দ দাশগুপ্ত কাব্যসাহিত্যে আপনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। তরুণ কবির সমস্ত কবিতাতেই তারুণ্যের উল্লাস ধ্বনিত। তাঁর ছন্দ ভাষা ভাব সবেতেই বেশ বেগ আছে। ক্রটি যা কিছু আছে তা কখনো কখনো সেই বেগের অযথা আতিশয্য। নজরুল, মোহিতলালের প্রভাব তিনি এড়াতে পারেননি বটে কিন্তু সে প্রভাবকে নিজের বৈশিষ্ট্যের পথে ফেরাতে পেরেছেন বলে মনে হয়।' [অগ্রহায়ণ, ১৩৩৪]



গিরিজাপতি ভট্টাচার্য 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'র আলোচনায় লিখলেন,



'এই গ্রন্থে স্থানে স্থানে কাঁচা হাতের ছাপ চোখে পড়ে, সুন্দর ও সার্থক পঙক্তির প্রাচুর্য থাকলেও সমগ্র কবিতা মাঝে মাঝে নিষ্প্রভ ও অস্পষ্ট মনে হয়। কতকগুলি ভাব, উপমা ও বাক্যের পুনঃ পুনঃ সমাবেশ কবিতাগুলোর দৌর্বল্য প্রকাশ করে, তথাপি এই বইয়ে এমন সৌন্দর্যস্বাতন্ত্র্য ও কবিত্ব-বিকাশ আছে যা কবির অনন্যসাধারণ দক্ষতার পরিচায়ক। অন্ততঃ বইটির কতগুলো কবিতা জীবনানন্দের জন্য আধুনিক কবিদের প্রথম শ্রেণীতে স্থান নির্দেশ করবে।'



এভাবে প্রগতি-কল্লোল-পূর্বাশা ইত্যাদি সাহিত্য পত্রিকা সহৃদয় সমালোচনা দিয়ে বুঝে নিতে চাইছিল জীবনানন্দের নতুনত্বকে। জীবনানন্দ নতুন কবি হিসেবে মোটামুটি পরিচিতি পেয়ে গেলেন। কিন্তু এরপরই শুরু হল অন্ধ সমালোচনা। 'ক্যাম্পে', 'আট বছর আগের একদিন', 'বনলতা সেন', 'অন্ধকার', 'হাঁস' ইত্যাদি কবিতা নিয়ে সরাসরি ব্যঙ্গ শুরু হল। জীবনানন্দকে ‘রক্ষণাত্মক’ ও তথাকথিত ‘প্রগতিশীল’- এই নির্দিষ্ট দুইটি শ্রেণী বা তাদের মুখপাত্ররা প্রবলভাবে সমালোচনা করেছিল। তাদের কাছে জীবনানন্দ যেমন ছিলেন উপেক্ষিত ও অবহেলিত, তেমনি আক্রমণের লক্ষ্যও বটে। এদের মাঝে ‘শনিবারের চিঠি’, ‘পরিচয়’, ‘নতুন সাহিত্য’ ইত্যাদি পত্রিকা অন্যতম।



শনিবারের চিঠি



শনিবারের চিঠি ছিল আজন্ম আধুনিক সাহিত্যের বিরোধী। এর সম্পাদক সজনীকান্ত দাস (১৯০০-১৯৬২) এই কাজকে সত্যব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ‘কল্লোল’, ‘কালি-কলম’, ‘প্রগতি’, ‘কবিতা’ প্রভৃতি কাগজ যারা নতুন এবং আধুনিক ধারার লেখা ছাপাত, তাদেরও হাস্যরস দিয়ে নিয়মিত আক্রমণ করা ছিল শনিবারের চিঠির বৈশিষ্ট্য। জীবনানন্দের অজস্র কবিতাকে সজনীকান্ত ব্যঙ্গ করেছেন। তাদের মাঝে ‘পাখিরা’, ‘ক্যাম্প’, ‘বনলতা সেন’, ‘বিড়াল’, ‘মনোবীজ’, 'বোধ' ‘ফিরে এসো’, ‘শকুন’, ‘ঘোড়া’ ইত্যাদি কবিতা অন্যতম। কিছু উদাহরণ-



১. ‘এই প্রতিভাবান কবিদের আর একটি কৌশল- কবিতা লিখিতে লিখিতে অকস্মাৎ অকারণে এক-একজন ভদ্রলোকের মেয়ের নাম করিয়া আমাদিগকে উৎসুক ও উৎসাহিত করিয়া তোলেন। ‘ইকনমিক্স’ লিখিতে লিখিতে শ্রীযুক্ত বুদ্ধদেব বসু অকারণে অবলা ‘রানি’কে টানিয়া আনিয়াছেন। ‘জাতক’ এ শ্রী জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র ‘সুরমা’ নামীয়া একটি ভদ্রমহিলাকে অত্যন্ত লজ্জা দিয়াছেন; এবং ‘বসন্তের গান’ এ শ্রীসমর সেন ‘মালতী রায়’ নামক কোন কামিনীর ‘নরম শরীর’ লইয়া যাহা করিবার নয় তাহাই করিয়াছেন। ইহার সূত্রপাত হইয়াছে নাটোরের ‘বনলতা সেন’কে লইয়া।



এই সকল বাদে তাহাদের প্রতিভার পরিচয় আছে বুদ্ধদেবের বৌদ্ধ কল্পনায়, খৃস্টীয় ছন্দপতনে এবং গণ্ডার-কবি জীবনানন্দ (জীবানন্দ নহে) এর সম্পাদক-ঠকানো প্রলাপে, যথা



সারাদিন একটা বেড়ালের সাথে ঘুরে ফিরে কেবলি আমার দেখা হয়:

গাছের ছায়ায়, রোদের ভিতরে, বাদামী পাতার ভিড়ে;

কোথাও কয়েক টুকরো মাছের কাঁটার সফলতার পর

তারপর শাদা মাটির কংকালের ভিতর

নিজের হৃদয়কে নিয়ে মৌমাছির মতো নিমগ্ন হয়ে আছে দেখি:

কিন্তু তবুও তারপর কৃষ্ণচূড়ার গায়ে নখ আঁচড়াচ্ছে,

সারাদিন সূর্যের পিছনে পিছনে চলছে সে।

একবার তাকে দেখা যায়,

একবার হারিয়ে যায় কোথায়।

হেমন্তের সন্ধ্যায় জাফরান-রঙের সূর্যের নরম শরীরে

শাদা থাবা বুলিয়ে বুলিয়ে খেলা করতে দেখলাম তাকে;

তারপর অন্ধকারকে ছোটো ছোটো বলের মত থাবা দিয়ে লুফে আনল সে,.....




তবুও যে cat out of bag হইতেছে না ইহাই আশ্চর্য। এবং ইহাই আধুনিক কবিতা।

[বৈশাখ ১৩৪৪]



২. মারি তো গণ্ডার, লুটি তো ভাণ্ডার। কবি জীবনানন্দ দাশগুপ্ত এইবার দুটি গণ্ডারমারী কবিতা লিখিয়াছেন। একটি ‘ধূপ-ছায়া’য়, আরেকটি ‘প্রগতি’তে। কবিতা দুইটি ভাবে ভাষায় ভঙ্গিতে দৈর্ঘ্যে অনবদ্য। প্রথমটি ‘ধূপছায়া’র পাঁচ পাতাব্যাপী, মোট ৩০ লাইন।...তাঁহার মতন, মানুষের মতো, নক্ষত্রের মতো, মৃত্যুর মতো, যোদ্ধার মতো, সেনাপতির মতো, সিন্ধুর মতো, বীণার মতো, পাখির মতো, পাতার মতো, শাখার মতো, বাতাসের মতো, অঙ্গারের মতো- এইরূপ সমগ্র কবিতাটিতে ৫৭টি ‘মতো’ আছে। ‘প্রগতি’রটিতে ‘মতো’ আছে ২০টি। ‘হাঁদার মতো’ এই উপমাটি কিন্তু দুটি কবিতার কোনটিতেই নাই।

[ভাদ্র ১৩৩৫]



৩. শ্রাবণের ‘প্রগতি’র মাসিকীতে কবি জীবনানন্দ (জীবানন্দ নয়) দাশ সম্পর্কে লিখিত হইয়াছে- ‘ভাষার দিক দিয়ে জীবনানন্দ অনেক নূতনত্বের আমদানি করেছেন,- ‘ঠাণ্ডা’, ‘শাদা’, ‘ডিম’, ‘মাইল’ প্রভৃতি দেশি শব্দ serious কবিতায় তিনিই প্রথম চালান।’ মাইল শব্দের ন্যায় জীবনানন্দের কবিতাগুলিও যে দেশজ, সে বিষয়ে আমাদের সন্দেহ নাই।



অন্যত্র, ‘পৃথিবী-পলাতক জীবনানন্দ দাশ আছেন। যিনি নিজেকে স্বপ্নের হাতে তুলে দিয়েছেন।’ পৃথিবী-পলাতক! তবে কি আর জীবনানন্দবাবু আর নাই! আহা!



জীবনানন্দের স্বপ্নের স্বরূপ জীবনানন্দ স্বয়ং ভাদ্রের ‘প্রগতি’তে নির্দেশ করিয়াছেন,



‘সকল লোকের মাঝে বসে

আমার নিজের মুদ্রাদোষে

আমি একা হতেছি আলাদা?’




মুদ্রাদোষটি কিরূপ?



‘জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে

সন্তানের মত হয়ে,-

সন্তানের জন্ম দিতে

যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়

কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়

যাহাদের; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজক্ষেতে আসিতেছে চলে

জন্ম দেবে- জন্ম দেবে বলে

তাদের হৃদয় আর মাথার মতন

আমার হৃদয় নাকি?

হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল?’




মাথার মত হৃদয়? হৃদয়ের সাথে গোবরের তুলনা এই প্রথম। কবিতা যেমনই হউক মুদ্রাদোষটি কিন্তু ভালো নয়। তারপর-



ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,

অবহেলা করে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,

ঘৃণা করে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;




কবি সব করিয়াই দেখিয়াছেন। শুধু বিবাহ করিয়া ‘মেয়েমানুষেরে’ দেখেন নাই। দেখিলে ভাল হইত, গরীব পাঠকেরা বাঁচিত।

[শ্রাবণ ১৩৩৬]



প্রগতিশীল সমালোচক



প্রগতিশীলদের মাঝে ননী ভৌমিক, মৃগাঙ্ক, সুভাষ এরা জীবনানন্দকে আক্রমণ করেছিলেন। 'বাঙলা সাহিত্যে বাস্তববাদের সমস্যা' প্রবন্ধে ননী ভৌমিক লেখেন-



'...সাম্প্রতিক কবিতার ক্ষেত্রে জীবনানন্দ দাশ অস্বীকৃতিরই একটি আধুনিক মুখোশ মাত্র। আপন অবচেতনার রঙে স্বাধীন বাস্তব জগতকে, মানুষ এবং তাঁর ভূত-ভবিষ্যতকে এমন করে রাঙিয়ে দেওয়ার দুর্লক্ষণ আতঙ্কের কথা; অথচ বিস্ময়ের কথা এই যে এমন সমালোচক আছেন যারা এই ছিন্নবিচ্ছিন্ন, চিন্তাহীন, উদ্ভট অনুভূতিস্রোতকে আখ্যা দেন 'ঐতিহাসিক বোধ' বলে।'

['পরিচয়', অগ্রহায়ণ ১৩৫৯]



মৃগাঙ্ক রায় 'আধুনিক বাঙলা কবিতার জনপ্রিয়তার সমস্যা' প্রবন্ধে বলেন,



'আধুনিক কবিতার চেহারায় রবীন্দ্রবিরোধিতার কয়েকটি স্পষ্ট ধারা খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন শব্দ-বাছাই, চিত্রকল্প, অতিবাস্তবতা ইত্যাদি। আধুনিক কবিতার সঙ্গে রবীন্দ্রকাব্যের তফাৎ এই তিন দিক থেকেই সর্বপ্রথম চোখে পড়ে। এই তফাৎ ও বিরোধিতাই আধুনিক কবিতার বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকৃত হল। কিন্তু রবীন্দ্রপ্রভাব মুক্তির সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হল না। শব্দ-বাছাইয়ের একটি নমুনা দিচ্ছি-



'হাইড্র্যান্ট খুলে কুষ্ঠরোগী চেটে নেয় জল;

অথবা সে হাইড্র্যান্ট হয়তো বা গিয়েছিল ফেঁসে।

এখন দুপুর রাত নগরীতে দল বেঁধে নামে।

একটি মোটরকার গাড়লের মতো গেল কেশে

অস্থির পেট্রল ঝেড়ে;─'


['রাত্রি', জীবনানন্দ দাশ]



এই রবীন্দ্রসংস্কারের যুগের পাঠক এর প্রতিটি শব্দে হোঁচট খেতে বাধ্য। চেটে নেয় জল, ফেঁসে, গাড়ল, পেট্রল ঝেড়ে ইত্যাদি শব্দের সাথে কোন কাব্য পরিমণ্ডল আজও এদেশে গড়ে ওঠেনি। জীবনের কোন মূল আবেগের সাথে এসব শব্দ যুক্ত হতে পারেনি।' ['নতুন সাহিত্য', ভাদ্র ১৩৬০]



সব মিলিয়ে বলা যায়, জীবনানন্দ উপেক্ষা-অবহেলা-ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ-আক্রমণ থেকে শুরু করে বিবেচনা-স্বীকৃতি-গুণালোচনা সবই পেয়েছেন, তবে মূলতঃ 'বিবেচনা-স্বীকৃতি-গুণালোচনা' অংশটুকু পেয়েছেন মৃত্যুর পরে। কবির মৃত্যুর পর আনন্দবাজার পত্রিকার শিরোনাম ছিল- 'রবীন্দ্রোত্তর যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশ'। যাযাবর বলেছিলেন, 'আমরা জ্যান্ত যোগী চাই না, মাটির দেবতা চাই। যোগীর পা ধরে মাফ চাইতে গেলে লাথি মারতে পারে, কিন্তু মাটির দেবতার ওপর যতই দুধ ঢাল না কেন, ও বেটা কখনো দম আটকে মরবে না।' জীবনানন্দের ক্ষেত্রেও ঠিক তা-ই ঘটেছে।



#পোস্টের প্রথমে বলেছিলাম জীবনানন্দ কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন ইংরেজিতে। কবিভ্রাতা অশোকানন্দ দাশ লিখেছেন, 'তাঁর ছাত্রজীবনের লেখা আর কিছুই নেই, ইংরেজিতে লেখা কয়েকটি সনেট এবং কবিতা ছাড়া।' কীটদষ্ট সে-সব খাতা থেকে গৃহীত একটি সম্পূর্ণ কবিতা হচ্ছে-



I HAVE FELT THE BREATH



I have felt the breath of autumn wind,

With the fragrance of spring still in my heart;

I have touched, shiveringly, the skirt

of autumn - her treasures nervously gleaned;

She laughed not like summer, nor grinned

Like the wind-weary phantom-girt;

Nights that out of winter dart

To her own winning sadness she is pinned.



With a flower, or two - a vanishing scent,

A flash of smile on her demure face,

She walks with a light half-spent

By life and half in death's embrace;

She looks like a lady that is gracefully bent

To track the lost lover's fading trace.



আর কিছু অসম্পূর্ণ লাইন-



With a devotion deeper than the saints

I feel the throbs of morn and eve

As children to mother's bosom cleave

Hushed in blissful sleep, without complaints

I cling to this earth that hourly paints

A new panorama winding on the sleeve-'

--

'Like the robin I would chirrup and out-pour

The delight of a crimson dewy drought.'

--

'Why with blubbering eyes we painfully look

At the noose of darkness on the crown of life,

Why can't we scathelessly brook

the buffet of the ever-wheeling strife

the life that hurls on us - so that we may fain

A deeper wisdom - a profound strain.

We are built with clay - but there is a lamp

Which burns bright and steady though

fed with no oil

Of earthly days and bones of common foil

which waters cannot quench

nor mists can damp

'Its our birthright - it is the stamp

With which was pressed this mortal coil

The spirit of man which time cannot spoil

which cannot be spanned or cabinned

In a camp.'

--

'He spun moonbeam

He sent sun

He has filled us

with least and fun

and fin and bearth

in His realm

there is no dearth'

---------------------------------



কয়েকটা লিংক



১. অন্ধকার --- জীবনানন্দ দাশ - কালের সাক্ষী

Click This Link



২. 'আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার' - আহমাদ মোস্তফা কামাল

Click This Link



৩. জীবনানন্দের ক্যাম্পে: রবীন্দ্রোত্তর আধুনিকতা, অশ্লীলতা এবং নেতিবাচক সমালোচনা - রেজওয়ান মাহবুব তানিম

Click This Link



৪. অনলাইনে পাওয়া জীবনানন্দ দাশের সব কবিতা - র হাসান

Click This Link



৫. জীবনানন্দ দাশ : 'বনলতা সেন' কাব্যগ্রন্থ - একরামুল হক শামীম

Click This Link



৬. মৃত্যুর কয়েকমাস আগে হুমায়ূন কবিরের কাছে লেখা জীবনানন্দ দাশের ৩টি চিঠি - নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২

Click This Link



৭. মহাকালের মহাপথিক : জীবনানন্দ - চতুষ্কোণ

Click This Link



৮. জীবনানন্দ : যিনি জোনাকির ভাষা ও গল্প জানবার জন্য সমস্ত জীবন উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন ... - ইমন জুবায়ের

Click This Link



৯. জীবনানন্দ দাশ: ঘোড়া - নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২

Click This Link



১০. জীবনানন্দ দাশের মায়াবতী' অথবা 'বনলতা সেন' - নীড়হারা পাখী (রাসেল)

Click This Link



১১. চিত্তে রেখে গেছো ভালোবাসা কবি, তবু আজও ভালোবাসতে পারিনি... - একজন আরমান

Click This Link



১২. জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি: জীবনানন্দ দাশ - ইমন জুবায়ের

Click This Link



১৩. একদিন, জীবনানন্দ দাশ - ইমন জুবায়ের

Click This Link

মন্তব্য ১৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (১৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আরও কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু আলসেমি ধরে গেল, কম কম লিখে পোস্ট করে দিলাম!

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ক্যাম্পে কবিতাটা অশ্লীল বলে রব উঠেছিলো। হাস্যকর।

জীবনবাবুর কবিতা পড়ার সময় মনে হয় সেই প্রায় একশ বছর আগে কি লিখে গেছেন আর আমরা কি লিখি, ছাইপাশ :|

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জীবনবাবুর সমালোচকদের দেখেই বোঝা যায়- সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা একজন মানুষকে বুঝতে তারা কতটা ব্যর্থ হয়েছেন।

আমাদের কবিরাও ভাল লেখেন, কিন্তু মাঝে মাঝে 'নতুন' কিছুর অভাব বোধ হয়। জীবনানন্দ রবীন্দ্রনাথের প্রভাবমুক্ত ছিলেন, কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ জীবনানন্দের প্রভাবমুক্ত এখনো হতে পারিনি!

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

সুমন কর বলেছেন: ভালো পোস্ট। অনেক কষ্ট করেছেন। ধন্যবাদ।
প্রিয়তে নিলাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃতজ্ঞ হলাম:)

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: যে কোনও নতুন ধারার প্রতিষ্ঠা কড়া পূর্বেও , এখনো যে খুব একটা সহজ নয় সেটা খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার এই পোস্ট টা খুব চমৎকার একটা বিষয়ের উপর। জীবনানন্দ দাশ আরও কয়েকশো বছর পরেও পঠিত হবে বলে বিশ্বাস।

শনিবারের চিঠির অংশটা খুব ইন্টারেস্টিং।
প্রত্যেকটা লেখকেরই বোধ করি কিছু শব্দের ব্যবহারের প্রতি দুর্বলতা আছে যা লেখক/ কবিদের অজান্তেই হয়ে যায়।

প্রিয়তে নিলাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, জীবনানন্দকে মনে রাখবে মানুষ- কিন্তু ভুলে যাবে সমালোচকদের। তাঁদের জন্য এটাই আয়রনি। আর লেখক/কবিদের হয়তো কিছু প্রিয় শব্দ থাকে- বারবার না চাইলেও লেখাতে চলে আসে। পরবর্তীতে হয়তো এটাকেই ধরে নেওয়া হবে তাঁর ট্রেডমার্ক হিসেবে।

অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় অপর্ণা। শুভকামনা রইল।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: জীবনানন্দ একজন সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা ধারার জনক ছিলেন , এই ধরনের ব্যক্তিরা তাদের জীবনে সর্বদায় আক্রমনের শিকার হয়েছেন । তারা যে যুগে এসে স্বীকৃতি পেয়েছেন আফসোসের বিষয় সেটা দেখে যাওয়ার সৌভাগ্য তাদের হয়নি !

চমৎকার এবং তথ্যবহুল একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ , বিশেষ করে লিঙ্কগুলোর জন্য । শুভেচ্ছা জানবেন ! :) :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও, আদনান।

শুভেচ্ছা।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
অসাম ওয়ার্ক ব্রো।

প্রিয় পোষ্ট।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুশি হইলাম:)

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট! কোনো রকম প্রভাবমুক্ত থেকে শিল্পের সমালোচনা করা খুব কঠিন ব্যাপার, আমরা প্রভাবিত থাকি প্রতিষ্ঠিত, সংখ্যাগরিষ্ঠ এক সুন্দর, অসুন্দরের ধারণায়। শনিবারের চিঠির সম্পাদকটাকে এখন হাঁদারাম মনে হচ্ছে, তখন থাকলে হয়ত আমরা অনেকেই তাকে তালি দিতাম!

অনেক ভাবনা, অনেক ভালোলাগা নিয়ে আপনার পোস্ট পড়লাম প্রোফেসর!
উপরে প্লিওসিন বলেছেন-

জীবনবাবুর কবিতা পড়ার সময় মনে হয় সেই প্রায় একশ বছর আগে কি লিখে গেছেন আর আমরা কি লিখি, ছাইপাশ :|


কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ জীবনানন্দের প্রভাবমুক্ত এখনো হতে পারিনি!


আপনার দেওয়া লিঙ্কগুলোতেও ঢু মেরে দেখতে হবে!

শুভকামনা!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো বলেছেন। নিজস্ব ভাললাগাকে ক'জন আমরা তুলে ধরি? বাঁধাধরা কয়েকটা বিষয়কে দশজন ভালবাসে, তাই বলে আরেকজন কি অন্য কিছু ভালবাসতে পারবে না? তাই শিল্পের সমালোচনা যারা করেন, তাঁদের সচেতন থাকা উচিত।

লিঙ্কগুলো পড়ে দেখবেন কবি, ভালো লেখা আছে অনেকগুলো।

শুভকামনা।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার হৈসে পোস্টটা।
ভেরী ওয়েল ডান ||

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকস মুন।

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
একটা অসাধারণ পোস্ট।

জীবদ্দশায় জীবনানন্দ ‘নিগ্রহের’ শিকার হয়েছিলেন, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। তাঁর কবিতাগুলো অপরাপর কবিগণ পছন্দ করতেন না, আমার কাছে তা মনে হয় না; আমার মনে হয় জীবনবাবুর কবিতা ও কবিত্বশক্তিতে তাঁরা সন্ত্রস্ত ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাঁকে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করে আসছিলেন, যাতে প্রথাবিরোধী এই কবি শির উন্নত করে দাঁড়াতে না পারেন। কিন্তু নীরবতাপ্রিয় এই প্রতিভাধর কবিকে কেউ রুখে দিতে পারেন নি।

তবে তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘ঝরা পালক’ পড়লে এটি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা বলে ভ্রম হতে পারে। তিনি দ্রুত এ নজরুল-প্রভাব কাটিয়ে ওঠেন, যা ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’তেই প্রমাণিত।

কবি নিজেই তাঁর কিছু কবিতার ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন, যেমন- বনলতা সেন, বেড়াল, অন্ধকার, মনোসরণি ও নাবিক। পিপাসু পাঠকদের উদ্দেশে বনলতা সেন-এর কবিকৃত অনুবাদটি এখানে তুলে দিলাম (এটি ইন্টারনেটে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না মনে হয়):

Long I have been a wanderer of this world,
Many a night,
My route lay across the sea of Ceylon somewhat winding to
The seas of Malaya.
I was in the dim world of Bimbisar and Asok, and further off
In the mistiness of Vidarbha.
At moment where life was too much a sea of sounds,
I had Banalata Sen of Natore and her wisdom.

I remember her hair dark as night at Vidisha,
Her face as an image of Sravesti as the pilot,
Undone in the blue milieu of the sea,
Never twice saw the earth of grass before him,
I have seen her, Banalata Sen of Natore.

When day is done, no fall somewhere but of dews
Dips into the dusk; the smell of the sun is gone
Off the Kestrel’s wings. Light is your wit now,
Fanning fireflies that itch the wide things around
For Banalata Sen of Natore.

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জীবনানন্দ সময়ের সাথে সাথে আরও পরিণত কবি হয়ে উঠছিলেন, তাঁর স্বাতন্ত্র্য অনুভব করা যাচ্ছিল। এরকম 'নিগ্রহের' শিকার না হলে তিনি হয়তো আমাদের আরও কিছু দিতে পারতেন।

প্রিয় সোনাবীজ, আপনার মন্তব্য এই পোস্টকে আরও সমৃদ্ধ করল। কবিতাটার ইংরেজি অনুবাদ দেওয়ায় অনেক কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা রইল।

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব চমৎকার পোষ্ট !
কথা খুবই সত্য নতুন কিছু নিয়ে আগাতে গেলে সমালোচিত হতে হয় !
পরবর্তী কোন প্রজন্ম বুকে আগলে রাখে !

শ্বাসত প্রেমের কবি জীবনানন্দ দাসের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে ! অপর্ণা আপুর সাথে সহমত আরো কয়েক প্রজন্ম জীবনানন্দ পড়বে !

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ। আরও কয়েক প্রজন্মকে টেনে রাখার ক্ষমতা জীবনানন্দের অবশ্যই আছে। বাংলা ভাষা যতদিন আছে, ততদিন জীবনানন্দ অমর।

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সায়েম মুন বলেছেন:
নতুন কিছু গ্রহণ করার মানসিকতা অনেক উদার মনের পরিচায়ক। সেটা সবার থাকে না। বেশীরভাগ সাহিত্য সমালোচককে দেখলাম মশকরা করতে। তারা কেউ বেঁচে নেই। কিন্তু জীবনানন্দ বেঁচে আছেন আমাদের হৃদয়ে।

চমৎকার একটা পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

ধন্যবাদ, মুন।

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯

সোমহেপি বলেছেন: জীবনানন্দ শুধু কেনো যারাই নতুন কিছু করতে চান তাদেরকেই এমন কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমার মনে হয় রবীন্দ্রাসক্ত সমাজ এবং স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ চান নি তার বলয়ের বাইরে নতুন কিছু হোক। মেধাবীরা একটা সময় মৌলবাদী হয়ে উঠেন। সময়টাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য।দখল করার জন্য।নিজস্ব বলয় এর জন্য ।

যাই হোক শনিবারের চিঠি তো মনে হয় নজরুলকেও যা তা লিখত তাই না?

আরেকবারচোখ বুলাতে হবে।

ইংরেজিগুলোতে মনোযোগ দিতে পারিনি।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আসলে একটা বলয়ের মাঝে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে যারা আউট অফ দ্য বক্স ভাবছেন তাদেরকে অস্বাভাবিক মনে হয়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ প্রথম দিকে তাঁর কিছু কবিতার জন্য ব্যঙ্গের শিকার হয়েছিলেন। জীবনানন্দও তেমনি অবস্থার শিকার।

শনিবারের চিঠি একবার নজরুলকে 'পাগলা মোল্লা' উপাধি দিয়েছিল!

ইংরেজি কবিতাগুলো পড়ে দেখতে পারেন, সামান্য হলেও জীবনানন্দের প্রভাব বোঝা যায়।

শুভকামনা, সোমহেপি।

১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: বাহ, চমৎকার পোস্ট। পড়তে ভাল লাগছে। পুরোটা শেষ করতে পারি নি।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্যাপার না। আস্তে-ধীরেই পড়ুন।

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
অসাধারণ পোষ্টটি প্রিয়তে নিলাম........

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ...

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: কেউ যদি জিজ্ঞাস করে, জীবনানন্দের মূল বৈশিষ্ট্য কি?

এক কথায় তার উত্তর হলো, 'তার কবিতায় তিনি আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের সংযোগ ঘটিয়েছেন। চোখ, কান, নাক, ত্বক আর জিহ্ববা। এই সব গুলো ইন্দ্রিয়কে কাজে লাগিয়ে এক একটা কবিতাকে করে তুলেছেন অতি মানবীয়।'

অবশ্য এটা আমার মত। কবিতা কিভাবে মানবীয় হয়, কেন বায়বীয় হয়না সেই সমালোচনা কেউ করলে কিছু বলার নেই। এর সাথে আরো মিশিয়েছেন সময়কে। ফলে এমন একটা মিক্সচার হয়েছে যে সেই সময়ের অনেকেই এই মিক্সচারের স্বাদ বুঝতে পারেন নি আর অনেকে হজম করতে না পেরে সমালোচনার বমি করেছেন।

ভালো লাগলো। আর ভালো থাকবেন, সব সময়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুন্দরভাবে প্রকাশ করলেন নিজের ধারণা। আমি আপনার সাথে একমত। জীবনানন্দের কবিতা না বুঝে সমালোচনা করায় এরকমটা হয়েছে।

ভালো থাকুন আপনিও।

১৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো। প্রিয়তে নিলাম ভাই।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

জুন বলেছেন: সব শিল্পী সাহিত্যিকদের জীবনেই প্রাথমিক অবস্থায় এমনটি লক্ষ্য করা যায়। খুব কমই সোনার চামিচ মুখে দিয়ে এ পথে এসে মসৃন বাধানো রাস্তার সাক্ষাত পেয়েছেন। মৃত্যুর পর তাদের কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন কেউ কেউ । অনেকে তাও পাননি, চরম দারিদ্র আর অপমানের মধ্যে দিয়ে তাদের ভালোলাগার কাজটুকু আকড়ে ধরে পরেছিলেন। কেউ বা হয়তো জীবনানন্দ দাশের মতই ট্রামের নীচে ঝাপিয়ে পড়েছেন ।
সুন্দর লেখায় প্লাস প্রফেসর শঙ্কু।
+

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: '...চরম দারিদ্র আর অপমানের মধ্যে দিয়ে তাদের ভালোলাগার কাজটুকু আকড়ে ধরে পরেছিলেন।'

বিখ্যাত শিল্পী সাহিত্যিকদের মাঝে এই এক মিল। তারা কখনো ভালো লাগার কাজটি ছাড়েন নি, মানুষ যা-ই বলুক না কেন।

প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, জুন।

১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭

মামুন রশিদ বলেছেন: জীবনানন্দ নিয়ে ক্লাসিক পোস্ট । অসাধারণ বললে কম বলা হবে । সেই চল্লিশের দশকে কবির কবিতার শিরোনাম ছিল Darkness of stars (সাতটি তারার তিমির), ভাবা যায় !!


ভাললাগা+++++++++++++++++++++++++++++

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তিনি জন্মেছিলেন অন্যদের সময়ে, কিন্তু এমনভাবে সেটা কাজে লাগিয়েছেন যে আমরা এতদিন পর তাঁর জন্যই সেই সময়ের গল্প পড়ছি।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় মামুন রশিদ। শুভেচ্ছা।

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!!!!!!

প্রিয়তে নিতেই হয়...........

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয়তে নেওয়ায় কৃতজ্ঞ, বর্ষণ।

২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সংগ্রহে রেখে দিলাম। চমৎকার চমৎকার একটি পোস্ট।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, কাণ্ডারি।

২১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

এহসান সাবির বলেছেন: সেই রকম পোস্ট। অনেক ভালো লাগা ++++++++++++++++++++++++

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

২২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আরও একবার মন্তব্য করতে আসলাম শুধু মাত্র আমার প্রিয় কবিকে নিয়ে লেখা পোস্ট বলে আমার প্রিয় ব্লগারের ব্লগে।

কবিকে বুঝতে হলে উনার ক্যাম্পে কবিতা আর আট বছর আগের একদিন কবিতাটি পড়তে হবে। এমন সৃষ্টিশীল কবিতা খুব সম্ভবত সাহিত্যে খুব কমই পাওয়া যাবে।

অথবা বনলতা সেন কিংবা আবার আসিব ফিরে কিংবা ঘাস অথবা বোধ অদ্ভুত সব কবিতা কবি লিখে গেছেন। জনান্তি আর পিরামিড অবশ্যই এক অনন্য সৃষ্টি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, অনেক আনন্দিত হলাম কাণ্ডারি!

জীবনানন্দের সৃষ্টিশীল কবিতার অভাব নেই। কত ছোট ছোট বিষয় অদ্ভুত শব্দে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি, সেটা বিস্ময়ের ব্যাপার। কিন্তু এই ক্যাম্পে কবিতাকে বলা হয়েছিল অশ্লীল, আট বছর আগের একদিন সম্পর্কে বলা হয়েছিল কবি গুলিয়ে ফেলেছেন দৃশ্যকল্প!

তাঁর কবিতায় কিছু শব্দচয়ন দেখলে আজও মুগ্ধ হয়ে যাই। একজন অনন্য সাহিত্যস্রষ্টা।

২৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: সরাসরি শোকেসে :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আনন্দিত:)

২৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০

গোর্কি বলেছেন:
বাংলাদেশের পাড়াগাঁর গা থেকে যেমন তিনি পান ‘রূপশালী ধানভানা রূপসীর শরীরের ঘ্রাণ’ তেমনই হেমন্তের কার্তিক, অগ্রহায়ন আর জীবনানন্দ দাশ যেন একই সুত্রে গাঁথা।

কালহীন কালের প্রতীক হিসেবে তিনি নিয়েছেন প্রান্তরকে প্রধানত হেমন্তের প্রান্তরকে। কার্তিকের মৃদু কুয়াশা মাখা জ্যোৎস্না ভরা মাঠ তার এই দূরাস্তীর্ণ কল্পনাকে চঞ্চল করে তুলেছে সবচেয়ে বেশি। যখন ‘হেমন্ত ফুরায়ে গেছে, পৃথিবীর ভাঁড়ারের থেকে’, তখন অপেক্ষাতুর হৃদয় ভেবেছে, ‘হে নাবিক, হে নাবিক, জীবন অপরিমেয় বাকী।’ কার্তিকের জ্যোৎস্নায় কয়েকটি মাঠে চরা ঘোড়া কবির মনকে আশ্চর্যভাবে সঞ্চারিত করেছে সময়হীন সময়ের প্রান্তরে:

মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায়
কার্তিকে জ্যোৎস্নার প্রান্তরে,

প্রস্তর যুগের সব ঘোড়া যেন এখনও ঘাসের লোভে চরে পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর পরে। এই সব ঘোড়াদের নিওলিথ স্তব্ধতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে জীবনানন্দের মানসিক মুক্তি। রবীন্দ্রনাথকে যদি বর্ষা আর নদীর কবি বলা যায়, তাহলে জীবনানন্দ হেমন্ত আর প্রান্তবেরর কবি। মৃদু ধূমল জ্যোৎস্না­ দিকচিহ্নহীন মাঠ এক অপূর্ব জাগর স্বপ্ন সৃষ্টি করে তার মনে­ এক বিচিত্র সুর রিয়্যালিজমের মধ্যে তার কল্পনাকে মগ্ন করে। এই কল্পনার অনুষঙ্গী ‘বাঁশপাতা-মরা ঘাস-আকাশের তারা।’ ‘কার্তিক কি অঘ্রাণের রাত্রির দুপুরে’ ‘হলুদ পাতার ভিড়ে বসে’ ‘মেঠো চাঁদ আর মেঠো তারাদের সাথে’ প্রহর জাগে পাখি। এই হেমন্ত জ্যোৎস্নাতেই বিমর্ষ পাখির রঙে ভরা শঙ্খমালার আবির্ভাব।


হেমন্ত আমার প্রিয় ঋতু। প্রিয় কবিকে নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে উত্তম ঝাঁঝা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার হেমন্ত এবং জীবনানন্দ প্রেম দেখে খুবই আনন্দিত হলাম, গোর্কি। কমেন্টে যা লিখেছেন, মুগ্ধ করল। একে আরেকটু বাড়িয়ে খুঁটিনাটি স্বাচ্ছন্দ্যে লিখে একটা পোস্ট দিয়ে দিতে পারেন- হেমন্ত ও জীবনানন্দ- প্রিয়তে রাখার মতো দারুণ একটা পোস্ট হবে!

সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ঝাঝা গৃহীত।

২৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

টুম্পা মনি বলেছেন: আপনার পোষ্টটা দেবার পর পরই পড়েছি। এখন প্রিয়তে নিলাম। ভেরি গুড জব প্রফেসর। একদম প্রফেসর স্টাইলে পোষ্ট দিয়েছেন। জাস্ট অসাম! দুর্দান্ত। অনেক অনেক ভালো লাগা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, টুম্পা মনি!

২৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশ সংকলিত স্বরচিত কবিতার একটি সংকলন। কবির মৃত্যুর কয়েকমাস পূর্বে ১৯৫৪ সালের মে মাসে এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়।


জীবনানন্দ দাশ এই গ্রন্থটির ভূমিকায় লিখেছিলেন,


ভালো কবিতা যাচাই করবার বিশেষ শক্তি সংকলকের থাকলেও আদি নির্বাচন অনেক সময়ই কবির মৃত্যুর পরে খাঁটি সংকলনে গিয়া দাঁড়াবার সুযোগ পায়। কিন্তু কোনো-কোনো সংকলনে প্রথম থেকেই যথেষ্ট নির্ভুল চেতনার প্রয়োগ দেখা যায়। পাঠকের সঙ্গে বিশেষভাবে যোগ-স্থাপনের দিক দিয়ে এ-ধরনের প্রাথমিক সংকলনের মূল্য আমাদের দেশেও লেখক পাঠক ও প্রকাশকদের কাছে ক্রমেই বেশি স্বীকৃত হচ্ছে হয়তো। যিনি কবিতা লেখা ছেড়ে দেননি তাঁর কবিতার এ-রকম সংগ্রহ থেকে পাঠক ও সমালোচক এ-কাব্যের যথেষ্ট সংগত পরিচয় পেতে পারেন ; যদিও শেষ পরিচয়লাভ সমসাময়িকদের পক্ষে নানা কারণেই দুঃসাধ্য।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: 'যিনি কবিতা লেখা ছেড়ে দেননি তাঁর কবিতার এ-রকম সংগ্রহ থেকে পাঠক ও সমালোচক এ-কাব্যের যথেষ্ট সংগত পরিচয় পেতে পারেন ; যদিও শেষ পরিচয়লাভ সমসাময়িকদের পক্ষে নানা কারণেই দুঃসাধ্য।'

খাঁটি কথা।

মন্তব্যে মন্তব্যে পোস্ট সমৃদ্ধ হচ্ছে - ভীষণ আনন্দিত!

২৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০

ডি মুন বলেছেন: কবিকে কতো বিড়ম্বনাই না সহ্য করতে হয়েছিলো । হায় রে মানুষ !!!!

অনেক সুন্দর পোস্ট , প্রিয়তে নিলাম
অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, মুন। (আপনাকে দিয়ে মুন নামে ৩জন পেলাম পোস্টে:) )

২৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল পোস্ট। অনেক মাল মশলা আছে দেখা যাচ্ছে।

জীবনানন্দের বিষয়ে কি আর বলব, ক্রমশ গ্রাস করে নিচ্ছেন সবাইকে বিষাদ সুন্দরের গান দিয়ে।

তবে জীবাননন্দকে যে বিরূপ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তার পিছনে কিছু স্বভাবগত দোষও দায়ী ছিল। নিজেকে লুকিয়ে রাখতেন, কাজে কর্মে মন নেই, সংসারে থেকে বিবাগী। এমন মানুষকে মানুষ ভুল বোঝাটা কিছু হলেও স্বাভাবিক।

এ নিয়ে লেখবার ইচ্ছে আছে কিন্তু সময় হবে কি ...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোস্টে আপনাকে পেয়ে খুশি হলাম। আরও কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু আলসেমি লিখতে দিল না।

প্রতিভাবান কবিদের প্রায় সবারই এরকম দোষ সামান্য হলেও আছে। কাকতালীয় কিনা কে জানে!

আশা করি সময় পাবেন এ নিয়ে লেখা দিতে। অপেক্ষায় রইলাম।

২৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অচম একটা পোষ্ট। প্রিয়তে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মাসুম। ভালো থাকুন।

৩০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২০

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
১৮৮ বার পঠিত

৫৬টি মন্তব্য

১৩ জনে প্রিয়তে।

সাহিত্য মানুষ এখনও পড়ে বোঝা গেলো।

ভালো লাগলো দেখে। :)

============================

আমার প্রিয় লেখক এস.এম জাকির হোসেন এর লেখা জীবনানন্দ দাশ উপর বইটা/গুলো বের হলে পড়বো ঠিক করেছি। তাহলেই জীবনানন্দকে সঠিকভাবে বুঝতে পারবো। বাংলাদেশে উনিই সবচাইতে মেধাবী একজন লেখক।

===========================

কবিতা গল্প উপন্যাস আমি পড়ি না। ছেড়েছি ১০ বছর। এখন পড়লে পড়ি লেখক/কবির ব্যক্তি মানস নিয়ে কোন প্রবন্ধ/আর্টিক্যাল। পৃথিবীতে জ্ঞান/তথ্য এত বেশী বেড়ে গেছে যে পড়াশুনা সংক্ষিপ্ত করে ফেললাম।

মুখে গোসতের স্বাদ নিই না। গোসত থেকে প্রোটিনের নির্যাসটুকু নিংড়ে নিয়ে ইনজেকশানের সিরিঞ্জ দিয়ে মনের শরীরে ঢুকিয়ে দেই। B-)

===========================

সাহিত্য নিয়ে বেশ আগে যা' কিছু পড়াশুনা ছিলো তা' দিয়ে পড়ে বুঝলাম এটি একটি ভালো লেখা। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। তা-ও তথ্য সংকলন। তা-ও সেরা সেরা লেখকদের। তাই এই পোষ্টের লেখা অনেককেই জীবনানন্দের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলবে।

==========================

সাহিত্য রচনা ও এর পঠন পাঠন এর ব্যাপারে আমি শংকিত। ভবিষ্যত নেই। সস্তা স্থুল বিনোদন সামগ্রীর বিস্তার ধ্বংস করে দিচ্ছে সবকিছু। এখন মানুষের মানস গঠন করছে "সাহিত্য" নয়, করছে মিডিয়া ও বিনোদন। সাহিত্য ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হচ্ছে। টি.ভি, চলচ্চিত্র, সেক্স, ড্রাগ ও রক মিউজিক ইত্যাদি গ্রাস করে নিচ্ছে ক্রমশই। তার প্রভাব সমাজে অনুভূত হচ্ছে। :#)

==========================

এই পোষ্টে প্রিয়তে নেয়ার উপযুক্ত। তাই নিলাম। এপ্রিশিয়েশানের জন্য এটিই যথেষ্ট মনে করি।

ধন্যবাদ।


===========================



১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার মনে হয় সাহিত্য নিয়ে আগ্রহ সবারই আছে। কারো কম, কারো বেশি। এধরণের পোস্টে মানুষের আনাগোনায় তাঁর প্রমাণ মেলে:)

=====================

'এস.এম জাকির হোসেন' নামটা পরিচিত লাগছে না। খুঁজে দেখব তাঁর বই।

=====================

প্রোটিনের নির্যাস নিয়ে নিলেও সেই গোশতের স্বাদটা কি মিস করেন না?

=====================

ধন্যবাদ। আমাদের সাহিত্য নিয়ে আমি আশাবাদী। অনেক ভাল লেখক উঠে আসছেন, হয়তো একটা সময় প্রজন্মের কণ্ঠস্বর তারা হয়ে উঠতে পারবেন। সময় লাগবে অবশ্যই, কিন্তু বিশ্বাস করি তারা পারবেন।

=====================

ভীষণভাবে এপ্রিশিয়েটেড হলাম:) অনেক ধন্যবাদ জানবেন মুন্না, শুভকামনা রইল।

৩১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কবি সমালোচনায় জীবনানন্দ কে নিয়ে, সাহিত্য মূল্য সমৃদ্ধ পোস্টের দুঃসাহস প্রোফেসর সাহেবকেই মানায় ।
দুর্দান্ত পোস্টে প্লাস ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা! ধন্যবাদ, গিয়াসলিটন।

শুভেচ্ছা।

৩২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গত রাতে প্রায় দু ঘন্টা মন্তব্য আর প্রিয়তে নেবার ব্যর্থ চেষ্টার পর এইমাত্র প্রিয়তে নেয়া গেল।
দারুন পোস্ট, প্রোফেসর।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যাক, পেরেছেন অবশেষে!

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

ডি মুন বলেছেন: :) :) :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) :) :)

৩৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অতি মূল্যবান একটা লেখা। আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।

কিন্তু প্রফেসর, আপনি তো আসল লোকের সমালোচনাই দেন নাই। সুলতা কাব্যের লেখক কবি শফিকুল Click This Link :-/ :|

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় হামা।

হুম, উনার পোস্টে গেলাম- সত্যিই বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাসে এমন নিখুঁত, গুণমানসম্পন্ন এবং প্রভাবমুক্ত সমালোচনার আর নজির সম্ভবতঃ নেই। উনার লিংক না দিয়ে বিশাল ভুল হয়ে গেছে, কবি শফিকুলের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

আর লিংক দেওয়ার জন্য আপনাকে দ্বিতীয়বার ধন্যবাদ:)

শুভ বিকেল।

৩৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

অদৃশ্য বলেছেন:




কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না... মনে হচ্ছে যেন বুকের ভেতরে কোথাও ব্যথা হচ্ছে...


শুভকামনা...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বুঝে নিলাম প্রিয় অদৃশ্য....

ভালো থাকুন।

৩৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

একজন আরমান বলেছেন:

কবি সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রিয়তে।

'কি চমৎকার রাতি-আকাশে উড়িতেছে হাতি' টাইপের দুলাইনের কবিতা মুখে মুখে বানিয়ে তাঁদেরকে জানিয়ে দেই যে আমাদেরও কবিত্বশক্তি আছে- খালি প্রকাশ করি না বলে!

আসলেই আমরা যারা লিখতে পারি না তাদের মনোভাবটা এমন ই !

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জীবনানন্দকে নিয়ে আপনার পোস্টটা মুগ্ধ করার মত ছিল, অনেক তথ্য একত্রে পেয়েছিলাম সেখানে। এখানেও আপনাকে পেয়ে ভালো লাগল।

কবিতা লেখা যে কতটা কঠিন, তা কবিরাই জানেন। আর আমরা শুধু বিদ্রূপ করতে জানি!

৩৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

বোকামন বলেছেন:





কবি, সমালোচনা এবং জীবনানন্দ
কবিতা কোথায় ! হা হা :-)

প্রচলিত ফর্মকে যুগে যুগে যারাই ভেঙ্গেছেন তারা সমালোচিত হয়েছেন, বিতর্কিত হয়েছেন। আর এটা হয়তো স্বাভাবিক। বিশ্ব সাহিত্যে চোখ রাখলে একই ট্রেনের দেখা পাওয়া যায়। একমুখী সমালোচনা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। কবি এবং সমালোচনা নিয়ে বলতে গেলে অনেক কথা এসে যাবে। তাই ঔ দিকে নাই-বা গেলাম। জীবনানন্দ আমার প্রিয় কবি। তার কবিতা মনেই থাকে আর কবিকেও হরহামেশাই মনে পড়ে। তাকে নিয়ে সমালোচকদের সমালোচনাও পড়েছি .. তবে সে সমালোচনাগুলো কী আর মনে থাকে ?!

খুব ভালো একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য প্রিয় প্রোফেসর সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকা হোক, কবিতার সাথে, কবিদের সাথে।।
[“কবি” কখনো নতুন কিংবা পুরাতন হোন না, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নতুন কিছু দেখে অথবা কখনো বলে উঠি পুরাতন]

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: 'জীবনানন্দ আমার প্রিয় কবি। তার কবিতা মনেই থাকে আর কবিকেও হরহামেশাই মনে পড়ে। তাকে নিয়ে সমালোচকদের সমালোচনাও পড়েছি .. তবে সে সমালোচনাগুলো কী আর মনে থাকে ?!'

আসল কথাটা বলে দিলেন প্রিয় বোকামন।

সমালোচনা কবির জন্য , লেখকের জন্য সবসময় উপকারি। কিন্তু কখনো কখনো সমালোচনা গঠনমূলক না হয়ে অযথা কবি/লেখকের বুকে চেপে বসে। তাঁর মনোভাবের অনেক ক্ষতি করে ফেলে। তাই হয়তো সাহিত্যে উপযুক্ত সমালোচকদের দায়িত্ব অনেক বেশি।

ধন্যবাদ আনন্দের সাথে গৃহীত হল বোকামন:) ভালো থাকুন সতত।



৩৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

বোকামন বলেছেন:
* ঔ > ঐ

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কমেন্ট এডিটের ব্যাপারটা থাকলে অনেক সুবিধা হত!

৩৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

রাজসোহান বলেছেন: আমি জীবনে ৭/৮ টা কবিতা লিখেছি, সবই জীবন বাবু প্রভাবিত। রাতের নিরবতার সবচেয়ে নির্ভরতার কবি জীবনানন্দ দাশ!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইহা সত্য! ইহা সত্য!!

জীবনানন্দের প্রভাব অনেক বেশি আমাদের ওপরে।

৪০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

রাজসোহান বলেছেন: কেউ জানেনি, আমি শুধু জানি। জীবনানন্দের জন্য লিখেছিলাম হিম শূণ্যতার গান, করেছিলাম নিজের সাথে আঁধারালাপন!

আপনিতো আজকে আমার পিনিক উঠায় দিছেন :(

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা!

এই পিনিকের সমন্বয়ে একটা কবিতা হয়ে যাক? লিখে ফেলুন।

৪১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫

রাজসোহান বলেছেন: কবিতা লিখতে লজ্জা করে এখন, আগের মতো আসে না আর, এখন তেমন বেদনা ফেদনা নাইতো! :(

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তাহলে আনন্দের কবিতাই হোক:)

৪২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

ভিয়েনাস বলেছেন: এটা বাস্তব কথা যে কোন প্রতিষ্ঠায় প্রাথমিক পর্যায়ে কঠিনভাবে সমালোচনার মুখোমুখী হতে হয়। তবে আমার মনে হয় জীবনবাবুর মতো এতো কম বয়সে এতো ভালো লিখেও এতো সমালোচনার মুখোমুখী হয়তো আর অন্য কোন লেখক কে হতে হয়নি ।

এমন কোন কবিতা প্রেমি মানুষ নেই যে জীবনানন্দের ভক্ত নয়, জীবন বাবুর কবিতা পড়েন নাই। বর্তমানেও যারা নতুন কবিতা রচনার চেষ্টা করে তাদের বেশিরভাগ কবিতায় জীবন বাবুর কবিতার প্রভাব দেখা যায়। উনি এখনও কয়েকশ বছর বেঁচে রবেন তাঁর কবিতার মাঝে।

চমৎকার পোস্ট। সোজা প্রিয়তে :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিংবা আরও বেশি দিন!

ধন্যবাদ, ভিয়েনাস। ভালো থাকুন।

৪৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে।
দিনের বেলা সময় করে এসে পড়ব। :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক আছে:)

৪৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৩

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: মাঝে মাঝে কবিতা পড়ার চেষ্টা করি। ঘুরে ফিরে একজনের কবিতাই পড়া হয়। জীবনানন্দ দাশ যেটুকু লিখে গেছেন তা দিয়েই একটা জীবন পার করে দেয়া যাবে।
প্রায়ই অবাক হয়ে ভাবী এতো বছর আগে একজন কিভাবে এইসব লিখে গেছেন!
প্রিয় কবির প্রতি ভালোবাসা
পোস্ট সাথে করে ঘরে নিয়ে গেলাম :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্বপ্নবাজ, ধন্যবাদ জানবেন অনেক।

খুশি হলাম:)

৪৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে কিছু করতে গেলে প্রথমে বাধা আসেই, এসেছে যুগে যুগে। জীবনানন্দ সবকিছু উপেক্ষা করে নিজের মত ঘোরগ্রস্ত জীবন কাটিয়েছেন এবং করে গেছেন সব অসামান্য সৃষ্টি।

চমৎকার একটি পোস্ট প্রফেসর সাহেব।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, 'ঘোরগ্রস্ত' শব্দটাই হয়তো নিখুঁত কবির জন্য।

ধন্যবাদ সমুদ্রকন্যা।

৪৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: শঙ্কু মিয়া, ভাষা হারিয়ে ফেললাম।

জীবনানন্দকে আমি বুঝি না, এজন্যে কবিতাগুলো ঠিক মনের মধ্যে গেঁথে নিয়ে উপভোগ করতে পারি না।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবিতা পড়তে পড়তে একদিন হয়তো পাঠক দেখেন, তাঁর গোপনতম অনুভূতির কথাটাই কবি বলে গেছেন- আর তাতেই তা উপভোগ্য লাগে, বাড়ে মুগ্ধতা।

দেখবেন পড়তে পড়তে একদিন হঠাৎ করেই উপভোগ করতে পারবেন, মনে গেঁথে যাবে শব্দাবলী, না বুঝেই।

শুভকামনা রইল।

৪৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রচুর পরিশ্রমসাধ্য পোস্ট, ভাল লাগল্ ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

৪৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পুরাই গবেষনামূলক পোস্ট

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা! কমেন্টে পুরাই আনন্দিত।

৪৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! এত কিছু একসাথে পাওয়ায সত্যিই সত্যিই খুব ভাল লাগছে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেষ্টা এটাই ছিল, একটা সম্পূর্ণ ধারণা দেবার। ধন্যবাদ কবি।

৫০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

দীপান্বিতা বলেছেন: আমিও কবিদের খুব একটা বুঝতে পারি-তেমন নয়...আধুনিক কবিতা তো মাথায়ই ঢোকেনা...তবু, জীবনানন্দের কিছু কবিতা মন ছুঁয়ে যায়......আমার মনে হয় কবিরা আমাদের সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল হন...

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জীবনানন্দের কবিতা আমার ভালো লাগে, কারণ হয়তো তাকেই একমাত্র ঠিকমত বুঝতে পারি...ছুঁয়ে যান...আর কবিরা অনেক সচেতন হন- একটা জিনিসকে ভিন্নভাবে দেখতে পারেন...তাই হয়তো তারা কবি।

শুভকামনা দীপান্বিতা।

৫১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেদিন এসে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কমেন্ট করার আগেই কেন যেন ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। অসাধারন একটা পোষ্ট! দূর্দান্ত হয়েছে। প্রিয়তে নিলাম প্রিয় ব্লগার।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্যাপার না:)

ভালো থাকুন, প্রিয় কা_ভা। শুভেচ্ছা।

৫২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

এই কয়দিনে অনেকবার এই পোস্টে আসলাম।
কিন্তু মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই যে করে ফেললেন!

অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৫৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: বেশ কিছুদিন হল জীবন বাবু আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছেন; আপনার পোস্ট টি তাই অসম্ভব ভালো লাগলো। প্রিয়তে নিলাম :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) জীবনবাবু এটা পারেন- কাউকে ভাবতে বাধ্য করা!

৫৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২২

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: কে আমাদের চোখের সামনে এঁকেছেন চিলের ডানায় রৌদ্রের গন্ধের ছবি?
এই প্রশ্নের উত্তর কবিতাপাঠকমাত্রই এক সেকেন্ডে দিতে পারে।

কিন্তু যদি বলা হয়, এই চিত্রনির্মাতার সমালোচক কারা, তবে ইন্টারনেট কানেকশান লাগে, গুগলে গিয়ে 'জীবনানন্দের সমালোচকেরা' লিখেই সার্চ দিতে হয় মেগাবাইট খরচ করে।

জীবনানন্দের সাফল্য এখানেই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো বলেছেন। সমালোচকরা বিলুপ্ত, কিন্তু জীবনানন্দ সদর্পে বিদ্যমান।

৫৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

আহসান জামান বলেছেন:
চমৎকার কাজ, ধন্যবাদ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৫৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

সাদাত হোসাইন বলেছেন: আপনি ফেসবুকে আছেন?
একটু জানাবেন প্লিজ.।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপাতত সবটুকু সময় ব্লগেই কেটে যাচ্ছে, ফেসবুকে নাম লেখান হয় নি এখনো।

ভালো থাকুন প্রিয় সাদাত।

৫৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

অর্ধ বলেছেন:
প্রিয়তম এবং নিশ্চিতভাবেই 'শুদ্ধতম' কবি জীবনানন্দ কে নিয়ে যে কোন লেখাই আমার প্রিয় হয়ে যায়। যে কোন লেখকই আমার পছন্দের হয়ে যান!

ভাল থাকুন!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে বোধহয় আমার ব্লগবাড়িতে প্রথম পেলাম। স্বাগতম, অর্ধ!

শুভেচ্ছা রইল।

৫৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: জীবনানন্দ তুমি তো জীবনের আনন্দ। এমন কিছু না রেখে গেলে কি হত জীবনের সঙ্গী। জীবনানন্দে থিতু হয়ে আছে আমার কাব্য প্রেম।

প্রিয় কবিকে নিয়ে লিখায় প্রফেসর সাহেব আপনাকে ধন্যবাদ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নেক্সাস, পড়ার জন্য।

ভালো থাকুন।

৫৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

অচিন্ত্য বলেছেন: মাই গড। এত দুর্লভ সব তথ্য জোগাড় করা তো এক বিষয় ! অনেক পরিশ্রমের পোস্ট। আমার এই প্রাণের কবিকে নিয়ে যারা নিন্দা করেছে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু পংক্তি উদ্ধৃত করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোতে চারণ কবির মত মুখে মুখে এগুলো বলতাম আমরাঃ

ছাগল চলে যায়
রেখে যায় ল্যাদা
দেখে বড় কষ্ট হয় কষ্ট হয় কষ্ট হয়
তারপরও রোদ ওঠে বৃষ্টি নামে
সময় শুধু নষ্ট হয় নষ্ট হয় নষ্ট হয়
এটা সৃষ্টি না অনাসৃষ্টি
বিষয়টি স্পষ্ট নয় স্পষ্ট নয় স্পষ্ট নয়

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, চমৎকার কবিতা:)

ভালো কাটুক সময়, অচিন্ত্য।

৬০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

তওসীফ সাদাত বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। অবশ্যই প্রিয় তে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, তওসীফ। পোস্ট ধরে ধরে কেউ পড়লে আমার খুব আনন্দ হয়। আবারো ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

শুভেচ্ছা।

৬১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫

আদনান০৫০৫ বলেছেন: জীবনানন্দের একটা কাহিনী কোথায় যেন পড়ছিলাম - কলেজের সাহিত্যসভা বা সেরকম কোনো অনুষ্ঠানে পোলাপান তাঁকে কিছু বলার জন্যে আমন্ত্রণ জানালে কলেজের বাকি অধ্যাপকরা এটা নিয়ে হাসিমস্করা করে তিরষ্কার করেছিলেন। তেনারে তাঁকে কিছুতেই কবি বা সাহিত্যবোদ্ধা বলতে বা মানতে রাজি নন।

এটাই বোধহয় আমাদের স্বভাব - ভালোকে ভালো বললে নিজে ছোট হয়ে যাবো - এরকম একয়াট বোধ কাজ করে আমার যা মনে হয়।

প্রিয়তে রাখলাম। ভালো থাকবেন।

(আপনার অনেকগুলো লেখাই পড়েছি, কিন্তু কোনোদিনও মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি। এর কারণ বেশিরভাগ বাস-ট্রেনে চলাচল করতে করতে বা ল্যাবে কেউ যখন না থাকে তখন চুরি করে পড়ি বলে। আমার এ অক্ষমতাকে ক্ষমা করবেন আশা করি - আর জেনে রাখবেন আমি আপনার লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হই।)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জীবনানন্দকে তিরস্কারে তৎকালীন জ্ঞানী ব্যক্তিরা যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন। আমরা ভালকে ভালো বলতে সত্যিই হয়তো কুণ্ঠা বোধ করি।

(প্রথমেই বলি, আমার কাছে মন্তব্য করাটা কথা নয়, কথা হচ্ছে লেখাটা পড়ার পেছনে সময় দেওয়া। ব্যস্ত সময়ের মাঝেও সময় বের করে লেখা পড়েছেন, এজন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আদনান। আমি কৃতজ্ঞ।

আপনার মন্তব্যে আমিও অনুপ্রাণিত হলাম। শুভেচ্ছা রইল।)

৬২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

শাহেদ খান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট প্রোফেসর ! লিঙ্ক সংযোজনের সমৃদ্ধ করলেন !

রবি'ঠাকুরের সমালোচনা খুব একটা কড়া মনে হল না। তিনি যদি ১৯১৫'র কবিতা পড়ে একথা বলে থাকেন, তার মানে জীবনানন্দের ১৬-বছর বয়সের আগে লেখা কবিতা সেসব। আর সেই কবিতাগুলো যে অপরিপক্ক ছিল - এই উপলব্ধি জীবনানন্দের নিজেরই এসেছিল (আপনার পোস্ট থেকেই বলছি)। তাই রবি'ঠাকুরের কথা'টাকে ঠিক সমালোচনা না, বরং পরামর্শের মতই মনে হল।

'শনিবারের চিঠি'র ভাষা-ভঙ্গিমা দেখছি পুরোপুরি অশ্লীল ! এমন একটা কাগজ সাহিত্যের জগতে টিকে ছিল কিভাবে? তারা সম্ভবত নজরুলকে নিয়েও এমন সমালোচনামুখর ছিল। আমি বিস্তারিত জানি না, তবে ক্ষ্যাপাটে নজরুলের স্বভাবসুলভ বিদ্রুপাত্মক কথাগুলো পেয়েছিলাম একটা কবিতায়:

''প্রতি শনিবার চিঠি লিখে প্রিয়া গাল দেন মোরে হাঁড়ি-চাচা
...
আমি বলি, 'প্রিয়া, হাঁটে ভাঙ্গি হাঁড়ি?'
অমনি বন্ধ চিঠি তাড়াতাড়ি !'' :P

[১ম লাইন'টার পর মাঝে আরেকটা লাইন ছিল; মনে পড়ছে না। কবিতা'র নামটাও মনে পড়ছে না। বেশ বড় একটা কবিতা ছিল]

তবে সবার কথাগুলো পড়ে যা বোঝা গেল, তখনকার সাহিত্যে বেশ স্পষ্ট একটা ভাব ছিল। কেউ নতুন কিছু করলে বেশ চোখে পড়ত, সনাতন কিছু নাড়লে কানে বাজত। এখনকার সময়ে সমস্তটা নিয়ে কেমন ভীষণ গন্ডগোল মনে হয় !

অনেক অনেক শুভকামনা, প্রোফেসর। ভাল থাকবেন। :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা জীবনানন্দকে উৎসাহিত করেছিল, তাই একে পরামর্শ বলাই উচিত।

শনিবারের চিঠির মূল অস্ত্র ছিল এই অথর্ব আক্রমণ। তারা এই প্রতিভা যথাযথ সঠিক কাজে লাগাতে পারলে বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় একটা জায়গায় উঠতে পারত। নষ্ট প্রতিভা।

এটা আমার প্রিয় একটা কবিতা:), নামটা মনে করিয়ে দেই- ''আমার কৈফিয়ৎ''। লাইনটা এরকম,

গুরু ক'ন, তুই করেছিস তলোয়ার দিয়ে দাড়ি চাঁচা।
প্রতি শনিবারই চিঠিতে প্রেয়সী গালি দেন, 'তুমি হাঁড়িচাচা!'
আমি বলি, 'প্রিয়ে, হাটে ভাঙি হাঁড়ি-'
অমনি বন্ধ চিঠি তাড়াতাড়ি।

সেসময়ে সাহিত্যে রক্ষণশীলতা যেমন প্রবল হয়ে উঠেছিল, তেমনি বিপরীত স্রোতের বেগও বাড়ছিল। আর এখন তেমন আবেগের স্রোত কোথায়?

ধন্যবাদ, শাহেদ। শুভরাত্রি।

৬৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

সাদরিল বলেছেন: সাহিত্যের বিষয় নিয়ে এত সুন্দর পোস্ট শেষ কবে ব্লগে পড়েছি মনে নেই।জীবনানন্দের সমালোচনা হতো এটা শুনেছি, আজ পড়ে গেলাম।ধন্যবাদ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও, সাদরিল।

শুভ বিকেল।

৬৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সুন্দর কাজ আর ভাল কাজ বলতেই পারি, যেহেতু জীবনানন্দ দাশ এখনো সর্বাধিক পঠিত কবিদের মাঝে অন্যতম।

ধন্যবাদ শঙ্কু আপনাকে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় জুলিয়ান, কৃতজ্ঞ হলাম।

ভালো থাকুন।

৬৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

বৃতি বলেছেন: অনেক আগে পড়েছিলাম, ভাবছি প্রিয় কবিকে নিয়ে এই সুন্দর লিখাটা শো-কেসে রেখে দেই ।

শুভকামনা রইল ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন, বৃতি। শুভেচ্ছা।

৬৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৮

প্রিন্স মাহমু দ বলেছেন: কবি আমার খুবই প্রিয় । তাঁর কবিতা দিয়েই আমার কবিতা পড়ার শুরু । চমৎকার লাগলো ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমারও প্রিয় কবি ইনি। ধন্যবাদ।

৬৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। এখানে একটা মানবিক দিকের কথা উল্লেখ করা যেতে পারেঃ জীবনানন্দ ট্রাম দুর্ঘটনার পরে যখন হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছিলেন তখন এই দুর্মুখ সজনী কান্ত দাস কবির সেবায় উপস্থিত হয়েছিলেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, সমালোচনা করলেও সজনীকান্ত অনেক সময় শিল্পীদের বিপদে এগিয়ে যেতেন- এটা তার চরিত্রের চমৎকার একটি দিক।

৬৮| ২৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

লিরিকস বলেছেন: প্রিয়তে চলে গেল।

২৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৬৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

একজন সৈকত বলেছেন:
সবচেয়ে প্রিয় কবির উপরে অসাধারন পোস্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানা হলো বাংলাভাষার এই আধুনিকতম কবির সম্বন্ধে। প্রিয়তে রাখলাম।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয়তে রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ একজন সৈকত। শুভেচ্ছা।

৭০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট।প্রিয়তে রাখলাম...

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ রুদ্র!

৭১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়ের লিংক ধরে এসে দেখি এই লেখাটা তো আমি আগেই পড়েছিলাম মন্তব্যও করেছিলাম। তবুও আবার একবার পড়লাম। আবারও ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।

আপনার গল্প কিন্তু খুব মিস করি।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ জানাই।

গল্প লেখার চেষ্টা করছি। হয়ে উঠছে না। লিখলেই পোস্ট করব, বলে রাখলুম :)

৭২| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

রাকু হাসান বলেছেন:

একদম নতুন কিছু জানালেন । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । প্রিয়তে রাখলাম আপনার পোস্ট।

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ রাকু হাসান!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.