নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ আকাশে আঁকা প্লাগ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

রশিদ সাহেব মাজায় হাত দিয়ে মুখ বিকৃত করে একটা গালি দিলেন।



বউয়ের সাথে বসে টিভি দেখছেন বলে, বা পাশে ছেলেটা কম্পিউটারে গেম খেলছে বলেই কি না- তাঁর গালিটা তেমন যুৎসই হল না। ঠোঁট সূচালো করে গালি দেওয়ার আনন্দ পাওয়া গেল না, কারো বাপ-মাকে জড়ান গেল না; কেবল একটা ভদ্রমতন 'শালা' দিয়ে কাজ সারতে হল। গালিটা দিয়ে তিনি কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করলেন, কেউ কিছু জিজ্ঞেস করে কিনা। উঁহু, দুজনের কারোরই কোন ভ্রূক্ষেপ নেই, আগের মতই স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে।



রশিদ সাহেব আবার চেষ্টা করলেন, 'উফ, মাঞ্জার ব্যথাটা শেষ কৈরা ফালাইল। সিফাতের মা, কি করি কও তো?'

'সিফাতের মা' টিভির স্ক্রিন থেকে চোখ না সরিয়েই উত্তর দিলেন, 'মাঞ্জা তো ব্যথা করবই- সকালে উইঠা এট্টু হাঁটাহাঁটি-দৌড়াদৌড়ি করতে পারেন না? সারাদিন এম্নে শুইয়া-বয়া থাকলে একদিন হাড্ডিতে জং ধইরা যাব নি।'



রশিদ সাহেব প্রতিবাদ করতে গিয়েও থেমে গেলেন। তিনি মোটেও সারাদিন শুয়ে বসে থাকেন না। প্রতিদিন সকালে তিনি আটটায় ওঠেন, দশটায় বন্ধু মিজানের সাথে পার্টনারশিপ করে গড়া মিল-টায় যান। যুবক বয়সে মাত্র কয়েক লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ন্যাংটোকালের বন্ধুর সাথে ব্যবসায় নেমেছিলেন, এই মিল দিয়েছিলেন- ঝুঁকি কম ছিল না। কিন্তু সেই ঝুঁকির বদৌলতে আজ তিনি আর তাঁর বন্ধু- দুজনেই আর্থিক দিক থেকে প্রতিষ্ঠিত। তাঁদের মিল-টা একটা তেলের মিল, সবকিছু মিলিয়ে ভালই বেচাকেনা হয়। রশিদ সাহেব মিজানের সাথে কথাবার্তা বলেন, একাউন্টের খাতাপত্র চেক করেন। কর্মচারী সবার সাথে কুশল বিনিময় শেষ করে একটার দিকে তিনি বাড়িতে এসে পড়েন। এগুলো কি কাজ না? তাঁর কেন হাঁটাহাঁটি-দৌড়াদৌড়ি করতে হবে? কিন্তু মূর্খ মহিলা এসব কি বুঝবে, এদের কিছু বলাই বৃথা।



ছেলেটাও যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে। ছোটকালে বাপের কি ভক্ত ছিল, এখন খুব একটা কথা বলে না। মায়ের সাথে মাঝেমাঝে কথা কাটাকাটি করে, কিন্তু এমনিতে চুপচাপ। সারাদিন স্কুল-প্রাইভেটে দৌড়াদৌড়ি আর বাড়িতে এসে গেম খেলা। আগে তো ওর ঘরেই কম্পিউটার ছিল, রাত একটা-দুটো পর্যন্ত বসে বসে গেম খেলত। একদিন মিজান বাসায় এসে ঘরের ভেতরে কম্পিউটার দেখে কেমন গম্ভীর হয়ে গেল- রশিদ সাহেবকে ডেকে বলল, 'পুলাপানের ঘরে যন্ত্রপাতি দিছস ক্যা? আজাইরা রাইত জাগব, পড়ালেখার ক্ষতি হইব- বুঝস না? জিনিসটা বাইরে টিভির কাছে বসাইয়া দে, ভালো হইবো।' ব্যস, তারপরেই কম্পিউটারের স্থানান্তর ঘটানো হল, ছেলের গেমের নেশাও কমল অনেকটাই। আচ্ছা, এতো আগ্রহ নিয়ে কি গেম খেলে? কি আছে জিনিসটায়? দেখার জন্য রশিদ সাহেবের কৌতূহল জাগে, তিনি সোফা থেকে উঠে ছেলের পিছে গিয়ে দাঁড়ান। উঠতে গিয়ে ব্যথায় তাঁর মুখ দিয়ে আরেকটা গালি বেরিয়ে যাচ্ছিল প্রায়, কোনোমতে আটকে ফেলেন সেটা।



-'বাপ, কি কর?'

ছেলে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকায়, তারপর আবার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে উত্তর দেয়, 'গেম খেলি আব্বা।'

-'কি গেম?'

'অ্যাডভেঞ্চার গেম। তোমারে ধর একটা ম্যাপ দিব, দুই একটা ওয়েপন দিব, তারপর কইব যে অমুক অমুক জিনিস খুইজা বের কর। মাঝে মাঝে দুই একটা বস থাকে, অইগুলা মারতে পারলে পয়েন্ট আছে। এইটুকুই।'



জিনিসটা রশিদ সাহেবের কাছে ভীষণ ইন্টারেস্টিং লাগে। তিনি একটা চেয়ার টেনে নিয়ে আসেন, গেম খেলা দেখতে থাকেন। স্ক্রিনে একটা পুরানো হ্যাট পড়া যুবক লাফিয়ে লাফিয়ে বিশাল বিশাল খানাখন্দ পার হয়ে যাচ্ছে, পেছন থেকে শত্রুর গলা ছুরি দিয়ে ফাঁক করে দিচ্ছে, টারজানের মত দড়ি ঝুলে ঝুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে- এসব জিনিস তাঁর কাছে খুব আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে। তিনি মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। হঠাৎ ছেলে টাকরায় জিভ লাগিয়ে টকটক শব্দ করে ওঠে। হ্যাট পড়া যুবক অনেকগুলো শত্রুর সামনে পড়ে গেছে। হাতে ছুরি বাদে কোন অস্ত্র নেই। যেকোন সময়ে শত্রুর বিষাক্ত তীর ছুটে আসবে। মৃত্যু নিশ্চিত! রশিদ সাহেব টেনশনে পড়ে যান।



হঠাৎ হ্যাট পড়া যুবক সামনে এক লাথি ছোঁড়ে, অদৃশ্য কাউকে তিন-চারবার ঘুষি মারে, তারপর ক্যামেরা ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেল। ক্যামেরা স্থির হতেই রশিদ সাহেব অবাক হয়ে দেখলেন, যুবকের একহাতে তলোয়ার, আরেক হাতে একটা চারকোণা শিল্ড। শত্রুর তীরগুলো সে শিল্ড দিয়ে প্রতিহত করে, তারপর তলোয়ার দিয়ে তাঁদের কচুকাটা করতে থাকে। একটা সময় সবগুলো শত্রুকে শেষ করে ফেলে যুবক টকাটক পিরামিড বেয়ে উঠে প্রাইজ ছিনিয়ে নেয়। স্ক্রিনে লেখা ভেসে ওঠে, লেভেল ক্লিয়ার!



রশিদ সাহেব অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন ছেলেকে, 'কি করলি বাপ?'

-'কি আব্বা?'

'ঐ যে, তর হাতে তো কিছু ছিল না, হঠাৎ অস্ত্রপাতি পাইলি কোথায়?'

ছেলে বাপের অজ্ঞতায় হাসে, 'ও, অইটা? চিটকোড ইউজ করসি আব্বা। আপ-আপ-আপ, ডাবল স্পেস, তারপরে ডাউন-আপ-ডাউন - এইটা দিলে তোমার শিল্ড আর সর্ড আসে। আরও চিটকোড আছে; লাইফ বাড়ান যায়, লম্বা লম্বা লাফ দেওয়া যায়- দেখবা?'

রশিদ সাহেব মাথা নাড়েন। ছেলে আবার গেম স্টার্ট করে তাকে দেখাতে থাকে বিভিন্ন খুঁটিনাটি। 'এই যে, দেখছ আব্বা, কত্ত বড় লাফ দিল? সেইরকম না? আবার পয়েন্ট বাড়ানোর একটা চিটকোড আছে। একটানে থাউজেন্ড পয়েন্ট আইসা পড়ে। অবশ্য এই চিটকোডে একটু সমস্যা আছে, পাঁচ-ছয়বারের বেশি ইউজ করলে গেমস আটকায়া আটকায়া যায়। তখন পুরা গেম ডিলিট কইরা আবার ইন্সটল দেওয়া লাগে। তাই এইটা কম ইউজ করি....'



সামান্য একটা গেমকে কেন্দ্র করে বাপ ছেলের দূরত্ব অদ্ভুতভাবে কমে যেতে থাকে। ছেলে মন খুলে চোখেমুখে কথা বলে, রশিদ সাহেব আগ্রহ নিয়ে শোনেন। বেশ কিছুক্ষণ পর খাবার জন্য ডাক এল। অনিচ্ছাসত্ত্বেও দুজনে উঠে পড়লেন। সেদিন ঘুমোতে যাবার আগে, কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই রশিদ সাহেব মনস্থির করে ফেলেন। কাল থেকে ব্যায়াম-জগিং শুরু করতে হবে।



পরের দিন বন্ধু মিজানের সাথে রশিদ সাহেব পরামর্শ করলেন। মিজান পান চাবাতে চাবাতে বলল, 'ব্যায়াম করবি? আইচ্ছা, আমি সিস্টেম কৈরা দিমুনে। আমার ভাইগ্নার একটা জিম আছে, ওইটায় ভরতি হইয়া যা। আর প্রত্যেকদিন সকালে উইঠা পার্কে দৌড় পারবি। হেহেহে।' জগিংরত রশিদ সাহেবের থলথলে ভুঁড়ির কাপাকাপি কল্পনা করে মিজানের হঠাৎ হাসি পেয়ে যায়। রশিদ সাহেব মিজানের মুখনিঃসৃত উড়ন্ত পানের পিককে গুরুত্ব না দিয়ে মাথা চুলকান, 'দূরো! এতকিছু করতে পারুম না, আইলসামি লাগে। বাড়ির ভিতরে সিস্টেম করন যাব না?' মিজান হাসতে হাসতেই তাকে আশ্বাস দেয়, 'যাঃ, কৈরা দিমুনে। তুই শালা আসলেও আইলসা।'



বিকালেই জিনিসপাতি পৌঁছে যায় রশিদ সাহেবের বাড়িতে। আলাদা একটা রুমে সবকিছু সেট করে দেওয়া হয়। তিনি রুমে ঢুকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। কতকিছু পাঠিয়েছে মিজান! সবুজ রঙের ডাম্বেল, সাইকেলের মত একটা যন্ত্র, একটা নীল ম্যাট, হ্যান্ডেল ধরে দৌড়ান যায় এমন একটা যন্ত্র - উফ! দেখেই তাঁর কেমন ক্লান্তি লাগতে থাকে। সবুজ ম্যাটের ওপরে অনেকগুলো বই রাখা। তিনি উপর থেকে চারটে বই খাবলা দিয়ে ধরে শোয়ার ঘরে নিয়ে আসেন। তারপর বিছানায় চিৎ হয়ে বইয়ের নাম দেখতে থাকেন, 'যোগব্যায়ামের ১০১টি আসন', 'হাউ টু কিপ ফিট'- দূরো! ইংলিশ বই ক্যান- 'ব্যায়ামের বিভিন্ন প্রণালী', 'প্রাচীন ভারতীয় নৃত্যকলার বিবর্তন'। শেষের বিসদৃশ বইটাতে ঘাগরি পড়া এক মহিলার ছবি দেখে রশিদ সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। তিনি বইটা নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখেন কিছুক্ষণ। মোটা আছে। শেষ পৃষ্ঠা ১৪৭। একটা বিশাল হাই তুলে তিনি বইয়ের প্রথম চ্যাপ্টার খোলেন। শিরোনাম - 'পাথরযুগঃ নাচের সূত্রপাত?'।



রশিদ সাহেব ধারণা করেছিলেন আট-নয় পৃষ্ঠা পড়েই তিনি ক্ষান্ত দেবেন। তা ক্ষান্ত তিনি দিলেনও, কিন্তু ঝাড়া সাড়ে তিন ঘণ্টা পর। ছাত্রজীবন তো দূর, জীবনে কখনো এতোটা একাগ্রতা নিয়ে তিনি কোন কিছু পড়েছেন বলে মনে হয় না। তাঁর চোখ টিপটিপ করছে, ঘাড় নড়াতে পারছেন না- কিন্তু তাঁর বুকের মাঝে অস্থির একটা আনন্দ অনুভূত হচ্ছে। সম্পূর্ণ অচেনা একটা অনুভূতি। মনে হচ্ছে বইয়ের শব্দগুলো সারা শরীরে ভাগবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে, সাথে সাথে ছড়িয়ে দিচ্ছে ছোট ছোট আনন্দ-কণা। একটা কিছুকে জাগিয়ে তুলছে। রশিদ সাহেব কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকেন বিছানায়। তাঁর মাথার ভেতরে সদ্যসংগৃহীত তথ্যগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে।

হৃদপিণ্ডের ধুকপুক কিছুটা স্থিরগতির হলে তিনি ব্যায়ামের রুমটায় আরেকবার যান। সবুজ ম্যাটের ওপর রাখা বাকি বইগুলো ঘেঁটে দেখেন। উঁহু, নাচের ওপর আর কোন বই নেই। সব অমুক ব্যায়াম তমুক ব্যায়াম নিয়ে। ধুরো! রশিদ সাহেবের মেজাজ মাটি থেকে হঠাৎ করেই টঙে উঠে যায়। ঘরের মাঝে অস্থির হয়ে কিছুক্ষণ পায়চারি করেন তিনি। তারপর অস্থির হয়ে কল দেন মিজানকে, 'মিজান, ঐ বইগুলা কিনছস কই থিকা?'

মিজান সম্ভবতঃ ভাত খাচ্ছিল। সে গাঁউগাঁউ করে জবাব দেয়, 'কুন বই?'

-'অই যে, আইজকা আমায় বাসায় পাঠাইসস যেগুলা।'

'ও, ওইগুলা তো আমি কিনি নাই, নতুন ক্যাশিয়াররে দিয়া কিনাইছি। ওই যে, আসাদ নাম।'

রশিদ সাহেবের কণ্ঠে অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়, 'অর নাম্বার দে।'

মিজান হাসে, 'হে হে। নাইক্কা! কইলাম না, নতুন ক্যাশিয়ার? কাইলকা মিলে আয়, তখন যা কওয়ার কইবি, ঠিকাছে? আর হালার পো, ভাত খাওয়ার সময় কল দেস ক্যা? তর ভা...'

রশিদ সাহেব লাইন কেটে দেন। রাতের খাবারের জন্য স্ত্রীর ডাক শুনতে পান তিনি, 'সিফাতের বাপ--- খাইতে আসেন', কিন্তু জবাব না দিয়ে গম্ভীর মুখে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন আবার। প্রচণ্ড রাগে তাঁর সারা শরীর জ্বালা করে উঠছে।



পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে রশিদ সাহেব আরও বদমেজাজি হয়ে উঠতে থাকেন, পাল্টে যেতে থাকেন। প্রথমে ঐ ক্যাশিয়ারকে দিয়ে নাচের ওপরে অনেকগুলো বই আনান তিনি, কিন্তু পছন্দমত বই না পেয়ে হঠাৎ করেই রেগে যান।। মেজাজ খারাপ করে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছেন ছোকরাকে। তারপর নিজেই বইয়ের দোকানে দোকানে ঘুরে বই সংগ্রহ করা শুরু করেছেন। মিলে যাওয়া-টাওয়া সব বাদ। সারাদিন বাইরে বাইরে ঘোরেন, তারপর বাড়িতে এসে ব্যায়ামের ঘরটায় ঢুকে আটকে দেন দরজা। এই সময়ে তিনি পারতপক্ষে কারো সাথে কথা বলেন না। রাতে মাঝে মাঝে তাঁর ঘর থেকে দুপদুপ আওয়াজ পাওয়া যায়। আবার সকালে উঠে চলে যান বাইরে। সাথে সাথে নতুন এক স্বভাব হয়েছে- নাচের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন পুতুল সংগ্রহ করা। ঘরের অর্ধেকটা বই, আর বাকি অর্ধেকটা তিনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুতুলে ভরে ফেলেছেন।



এরকম পরিবর্তন মিজান বা রশিদ সাহেবের স্ত্রী- কারুরই নজর এড়ায় না। দুজনেই তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু রশিদ সাহেবের সাথে কথা বলে তেমন লাভ হল না। তাঁকে জোর করে বসিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি চেঁচিয়ে ওঠেন, রাগ দেখান। আবার শান্তভাবে কিছু বললে মোটেই মনোযোগ দেন না, কিংবা ভুরূ কুঁচকে তাকিয়ে থাকেন। তাঁকে দেখে মনে হয় তিনি মানবজাতির এই সদস্যটির ভাষা বুঝতেই পারছেন না।



অগত্যা একদিন সকালে বাড়ির বাইরে মিজান চেপে ধরে তাকে, 'অই শালা, কি হইসে তর? এইরকম করতাসস ক্যান? ক আমারে। ঝগড়া হইছে ভাবির লগে?'

বরাবরের মতই রশিদ সাহেব উদাস মুখে তাকিয়ে থাকেন, জবাব দেন না কোন।

এবারে মিজান সত্যিই রেগে যায়, রশিদ সাহেবের কলার ঝাঁকিয়ে বলে, 'ক'বি না আমারে? হালার পো, আমি কি মজা করতাসি তর লগে? ভাবির সাথে কথা কস না, বাড়িতে খাস না- আবার মিলেও আহস না। কি করস তুই? ভাবির সাথে ঝগড়া কৈরা এখন বইপত্র পড়ো- বৈরাগি হয়া গেছ? বৈরাগি? আমি জীবনে তরে আউটবই পড়তে দেখলাম না আর তুই বৈরাগি ভাব ধরস আমার সাথে, অ্যাঁ? ক, কই থাকোস সারাদিন- নটিবাড়ি যাস?'

রশিদ সাহেব বিরক্ত হয়ে কলার ছাড়িয়ে নেন, 'তর ভাবির সাথে কোন ঝগড়া হয় নাই। নটিবাড়িও যাই না।'

-'কই যাস তাইলে? আইজকা আমিও যামু তর সাথে। মানা করলে ঠ্যাং ভাইঙ্গা দিমু একেবারে।'



মিজানের বিধ্বংসী আচরণে বাধ্য হয়ে রশিদ সাহেব তাঁকে নিয়েই একটা বইয়ের দোকানে ঢোকেন। দোকানি নিয়মিত ক্রেতাকে দেখে খুশি হয়ে ওঠে। রশিদ সাহেব ঘুরে ঘুরে বই দেখতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তিনি ব্যালে ড্যান্সের ওপরে একটা বই নিয়ে বেরিয়ে আসেন। তারপর যান আরেক দোকানে। এভাবে এক-দু' ঘণ্টা কাটার পরে মিজান ক্লান্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে, 'তুই সারাদিন এম্নে কৈরা দোকানে দোকানে ঘুরবি?'

-'হ!', রশিদ সাহেবকে আশ্চর্য দেখায়, 'তাই তো করি প্রত্যেকদিন। ক্যান?'

মিজান মাথার কাছে আঙ্গুল নিয়ে ঘোরানোর ভঙ্গি করে, 'তর মাথার স্ক্রু ঢিলা হইয়া গেছে।'



ঘুরতে ঘুরতে একসময় তারা একটা ছোটখাটো দোকানে ঢোকেন। অন্ধকার একটা খুপরি। এইটুকু জায়গায় এতগুলো বই এবং দোকানদারটি কিভাবে এঁটে গেছে সেটা একটা বিস্ময়। রশিদ সাহেবের ফরমায়েশে লোকটা একটা ছোট্ট বই বের করে দেয়। মিজান উঁকি মেরে দেখে, বইটার নাম- 'কন্দ্যন নৃত্যের অবতারেরা'। এরকম আরও বই আছে কি না, প্রশ্ন করলে লোকটা তরল কণ্ঠে জবাব দেয়, 'আমার কাছে আর নাই। পাগল বুইড়ার কাছে থাকবার পারে।'



পাগলা বুইড়া! এই ব্যক্তিটি কে এই প্রশ্নের উত্তরে দোকানদার জবাব দেয়, 'এক বুইড়া ব্যাটা, অইমুড়া কলেজ রোডে লাল রঙের বাড়িডায় থাকে। মাথায় মনে অয় ডিস্টাব আছে, একা একা থাকে, আর খালি বই পড়ে। এম্নে বই হ্যাঁর বাসায় শ'য়ে শ'য়ে পইড়া রইছে।'



কিছুক্ষণ পর রশিদ সাহেবকে দেখা যায় লাল বাড়িটার দরজায় নক করতে, মিজান তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে বিরক্তমুখে মাথা নাড়ছে। ময়লা স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে, চুলে-দাড়িতে মেহেদি মাখানো শীর্ণ একজন বৃদ্ধ দরজা অর্ধেক খুলে মাথা বের করলেন, 'কি চাই?'

রশিদ সাহেব হাতের বইটা তুলে দেখালেন, 'জি, আমার নাম আব্দুর রশিদ। মানে...আমরা এইরকম কয়েকটা বই খুঁজতাছিলাম, নাচের ওপরে আরকি। একজন লাইব্রেরিয়ানের কাছে আপনের কথা শুনলাম...তাই ...' রশিদ সাহেব বাক্য শেষ না করেই থেমে গেলেন।

বইটা দেখে বৃদ্ধের চোখেমুখে তাচ্ছিল্য ফুটল, 'কি, নৃত্যশাস্ত্র পড়ান নাকি কলেজ-টলেজে? কিছু নতুন ফ্যাক্ট শুনিয়ে অবাক করিয়ে দেবেন ছাত্রদের, এই ইচ্ছা?'

- 'না, মানে...'

'তাহলে, নাচের টিচার নিশ্চয়ই? বা উদয়শঙ্কর-শিবলীর ভক্ত, হ্যাঁ? ওসব নিয়ে আমি কিছু জানি না। অন্য কোথাও খুঁজে দেখেন।', এই বলে বৃদ্ধ দরজা লাগিয়ে দিতে উদ্যত হলেন। রশিদ সাহেব এবারে মরিয়া হয়ে বলে উঠলেন, 'ওইসব কিছু না...আমি আসলে নাচ সম্পর্কে জানবার চাই। মানুষ ক্যান নাচে? আনন্দ পায় ক্যান? নাচ শুরু হইল কিভাবে- এইসব।'

বৃদ্ধ থেমে গিয়ে প্রশ্ন করেন, 'কেন জানতে চান? কি হবে জেনে?'

-'কি জানি! আমার এই সম্পর্কে ক্যান জানি পড়তে ভালো লাগে। মনে হয় শব্দগুলা রক্তের মধ্যে যায়া একটা কিছু করতাসে, খুব আনন্দ লাগে।'



এবারে বৃদ্ধ অবাক হয়ে তাকান রশিদ সাহেবের দিকে, এই প্রথম ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেন তাঁকে। তারপর পিছু হটে দরজা খুলে দেন, 'আচ্ছা, আপনি ভেতরে আসুন। পিছনেরটি কে, আপনার বন্ধু? আচ্ছা, উনাকেও আসতে বলুন।' রশিদ সাহেব আর মিজান ঢুকে পড়েন ভিতরে। দোকানি ঠিকই বলেছিল, চারপাশে খালি বই আর বই। ঘরের কোণায় একটা খাট, পাশে একটা চেয়ার- এই দুটো বাদে আর কোন ফার্নিচার নেই বললেই চলে। দেয়াল জুড়ে কাঠের শেলফে থরে থরে বই সাজানো, আরেক কোণায় বিশাল বিশাল তিনটে বুকশেলফ- বইয়ে ভর্তি, এমনকি খাটের মাথার কাছেও সারি করে বই রাখা। দুজনে খাটের ওপরে বসেন। বৃদ্ধ বুকশেলফ থেকে হাতে একটা বই নিয়ে চেয়ারে বসে জেরা করতে শুরু করেন রশিদ সাহেবকে, 'আপনি কখনো নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন?'

-'না।'

'টিভিতে নাচ দেখেছেন কখনো? ভালো লেগেছে ওসব?'

-'দেখছি মাঝে মধ্যে, কিন্তু ভাল লাগে নাই খুব একটা।'

'তাহলে নাচ নিয়ে এতোটা আগ্রহের কারণ কি?'

রশিদ সাহেব এবার কিছুটা বিরক্ত হন, 'আমি জানি না তো! এর আগে আমি এইসব বিষয়ে কিছুই জানতাম না। কয় সপ্তা আগে আমার বন্ধু- এই যে মিজান- ও কয়টা বই পাঠাইছিল। তাঁর মধ্যে একটা আছিল 'প্রাচীন ভারতীয় নৃত্যকলার বিবর্তন'। এই বইটা পইড়া আমার সারা শরীরে একটা ঝাঁকির মত লাগল, মনে হইল অন্যরকম একটা আনন্দ পাইতাছি...'

-'অনেকটা যৌনমিলনের মত?' প্রশ্নটা শুনে মিজান হাসি চাপার চেষ্টা করে, রশিদ সাহেব তাঁর দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, তারপর ইতস্ততঃ ভঙ্গিতে উত্তর দেন, 'হ...ওইরকম অনেকটা। কিন্তু আরও...মানে...গভীর একটা কিছু...'

এবারে বৃদ্ধ হাতের বইটার একটা জায়গা বের করে এগিয়ে দেন রশিদ সাহেবের কাছে, ' বামপাশে নিচের প্যারাটা পড়ে দেখুন।'

রশিদ সাহেব হাতে নিয়ে চোখ বোলান। ওখানে লেখা-



'যাহারা মুক্ত, এবং যুক্ত,

ময়ূখ খুঁজিয়া ফিরে

নকুল কহিছে, উহারা পাহিছে

পূর্ণ মিলনানন্দ ধীরে।'



তিনি কিছু বুঝতে পারলেন না। চোখে প্রশ্ন নিয়ে তাকাতেই বৃদ্ধ বলতে শুরু করলেন, 'এই অংশটুকুতে নাচের অবতারদের কথা বলা হয়েছে। মিল দেখুন- আপনি সকল নাচসংক্রান্ত বিষয় থেকে মুক্ত, কিন্তু বই পড়ে এরকম আনন্দ পাচ্ছেন- সুতরাং অন্য কোন ভাবে যুক্ত। ময়ূখ খুঁজিয়া ফেরে- এটা একটা মেটাফর- মানে নিজেকে খুঁজে ফেরে। আপনি এই আনন্দের কারণ খুঁজে ফিরছেন, স্থূলভাবে কি একে বলা যায় না যে নিজেকে খুঁজে ফিরছেন? নকুল হচ্ছে শিবের আরেকটা নাম- তিনি বলছেন এসব গুণসম্পন্ন ব্যক্তিরা নাচের সংস্পর্শে মিলনের মত আনন্দ পাবেন। ধরতে পেরেছেন ব্যাপারটা?'



রশিদ সাহেব একটু বিহ্বলভাবে প্রশ্ন করলেন, 'বইটা কিসের? এই নাচের অবতার কি জিনিস?'



-'এটা 'নাট্যশাস্ত্র' এর বাংলা অনুবাদ। খুবই দুর্লভ বই। বলা হয় আসল নাট্যশাস্ত্র স্বয়ং মহাদেব শিব দ্বারা ত্রেতা যুগে রচিত হয়। পরবর্তীতে তিনি নারদ মুনিকে দিয়ে এই বিদ্যা পৃথিবীতে প্রেরণ করেন, এর পর থেকেই পৃথিবীতে নাচের আবির্ভাব। কথা সেটা না, এর মানে হচ্ছে আপনি নাচের অবতারদের মাঝে..'



এবারে মিজান বাধা দিয়ে বলে, 'তাইলে এইটাই কাহিনি? রশিদ, শুনছস তো? এইটাই কাহিনি। ওকে, আপনেরে ধন্যবাদ, এইবার আমরা উঠি।' এমন কথায় বৃদ্ধ এবং রশিদ সাহেব দুজনেই চোখ গরম করে তাকিয়ে থাকে তাঁর দিকে। মিজান কোন কথা না বলে উসখুস করে আবার বসে পড়ে। বৃদ্ধ বলতে থাকেন, 'প্লিজ কথা বলার সময় ইন্টারফিয়ার করবেন না। যা বলছিলাম, নাট্যশাস্ত্র বলছে আপনি নাচের অবতারদের মাঝে একজন। বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন?'



-'তাতে লাভ কি? অবতার হলে কি হয়?'



বৃদ্ধের চোখ চকচক করতে থাকে, 'ইউ ডোন্ট নো হাও লাকি ইউ আর! আচ্ছা, শুরু থেকে বুঝিয়ে দিচ্ছি ব্যাপারটা। দেখুন, আমরা সৃষ্টিজগতে স্পেশাল কেন? কারণ অন্য প্রাণীদের একটা জিনিস নেই যা আমাদের আছে। জিনিসটা হচ্ছে আত্মা, সোল বা রূহ- যাই বলেন। চীনারা একে বলে চি, অর্থাৎ পার্টস অফ গড। চিন্তা করতে পারেন বিষয়টা? আমরা, নিতান্তই মাটির মানুষেরা নিজেদের মাঝে স্রষ্টার অংশ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি! সবকিছু ধ্বংস করা সম্ভব, কিন্তু এই আত্মা এতোটা শক্তিশালী যে কখনো ধ্বংস হয় না। এখন চিন্তা করুন কোনোভাবে যদি এই আত্মার শক্তিকে কাজে লাগানো যেত। ইউ কুড ডু এনিথিং অ্যান্ড এভরিথিং! ইউ কুড ইজিলি বেন্ড দ্য রুলস অফ দিস ইউনিভার্স! কিন্তু একটা কথা আছে। সবাই এটা পারে না।'



রশিদ সাহেব এবারে বুঝতে পারেন, 'শুধুমাত্র নাচের অবতারেরা পারে, ঠিক?'



বৃদ্ধ হাসেন, 'ঠিক। যারা এটা পারে, তাদেরই নাট্যশাস্ত্র বইয়ে নাচের অবতার বলা হয়েছে। কিন্তু এর একটা ক্ষতিকর দিকও আছে। সব ধর্মই বলছে আত্মাটা হচ্ছে স্রষ্টার উপহার, একটা ডিভাইন গিফট, রাইট? কিন্তু কোন লৌকিক উদ্দেশ্যে এই গিফটকে ইউজ করা মানে কি? মানে হচ্ছে আপনি উপহারের অপব্যবহার করলেন, চিট করলেন। সোজা কথায়, মানুষের আত্মার দুটো অপশন থাকে, স্বর্গ বা নরক - কিন্তু আত্মাকে যদি আপনি ব্যবহার করেন দুনিয়াবি কাজে, তাহলে না নরক না স্বর্গ- কোনটাতেই আপনার জায়গা হবে না। ইউ উইল ট্রুলি বি ড্যামড। আবার জাপানি মিথলজি বলছে- আত্মার এমন ব্যবহার বাটারফ্লাই ইফেক্টের মত একটা কোন অভাবনীয় দুর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে। অবশ্য এসব মিথলজি যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে অন্য কথা'



মিজান এতক্ষণ চুপ করে ছিল, এবারে প্রশ্ন করল, 'তাইলে ধরলাম রশিদ একটা 'অবতার', কিন্তু ও ক্ষমতা কাজে লাগাইব কেম্নে? নাইচা নাইচা? ও তো জানেই না কিছু।'

-'গুড কোয়েশ্চেন। দেখুন, নাচের অবতার একটা উপাধি মাত্র। এর মানে এই নয় যে ক্ষমতা কাজে লাগাতে গেলে নাচতে হবে বা তেমন কিছু। নির্দিষ্ট কিছু শব্দ উচ্চারণ করা, বা হাত বা পায়ের বিশেষ কোন ভঙ্গি এই ক্ষমতার ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে। আমি এসব নিয়েই জীবন-যৌবনের প্রায় পুরোটা কাটিয়ে দিয়েছি। অভিয়াসলি এই বিষয়ে আমার দুই একটা থিউরি আছে। যেমন এটা ধরুন', বৃদ্ধ একটা গোল করে পাকানো কাগজ তুলে দেন রশিদের হাতে, 'এখানে নর্স মিথলজি থেকে এক্সট্রাক্ট করা কিছু বিশেষ শব্দ আছে, প্রথমে সেগুলো উচ্চারণ করতে হবে। সমস্যা হবে না, বাংলায় উচ্চারণ লেখা আছে। তারপর গৌতম বুদ্ধ যে ভঙ্গিমায় বসে বোধি লাভ করেছিলেন সেই ভঙ্গিমায় বসতে হবে। সেটাও আঁকা আছে এখানে। এই দুটো কাজ করলেই অস্বাভাবিক একটা কিছু হবার কথা।'



মিজান আবারো জিজ্ঞেস করে, 'অস্বাভাবিক মানে?'



-'বুঝতে পারছেন না? আপনি আত্মার শক্তি ব্যবহার করছেন, কে জানে কি হবে? এন্ডলেস পসিবিলিটিস। হয়তো প্রকৃতির উপাদানগুলো কন্ট্রোল করতে পারবেন, কিং সলেমনের মত পশু-পাখি-গাছপালার সাথে কথা বলতে পারবেন। কিংবা অতিমানবীয় কোন ক্ষমতা পাবেন, হয়তো অমর হয়ে যাবেন। হয়তো নতুন কোন বিশ্বই সৃষ্টি করে ফেলবেন- কে জানে? জানতেই তো আনন্দ, তাই না? প্লিজ, এটা করে দেখবেন। তারপর যোগাযোগ করবেন আমার সাথে। ঠিক আছে?'



এতক্ষণ রশিদ সাহেব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন কথা, প্রশ্ন করছিলেন, এখন তাঁরও মনে সন্দেহ জাগতে থাকে। লোকটা আসলেই পাগল না তো! প্রায় অপরিচিত একটা লোকের সাথে এখান ওখান থেকে অনবরত রেফারেন্স টেনে বকে যাচ্ছে, এর মাঝে সুস্থ মানুষের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কি? তিনি কোনোমতে হু হু করে সায় দিয়ে বেরিয়ে আসেন বাইরে। মিজান অনেকক্ষণ ধরে কথা চেপে রেখেছিল, বাড়ির বাইরে আসতেই তাঁর মুখ দিয়ে হড়বড়িয়ে গালাগাল বেরিয়ে আসে, 'কি বালছালের পাল্লায় পড়ছিলাম বাবা রে! কি দিয়া কি কইল অর্ধেকই বুঝলাম না, তার মধ্যে হালায় নাচুইনা দেবতা লইয়া আইছে। আবার কিছু কইলেই খেইপা যায়! সুজা পাবনায় পাঠানের কাম বুইড়ারে।' এরপর সে রশিদ সাহেবকে নিয়ে পড়ে, 'হুন হালার পো, এইসব নিয়া যদি আরও টাইম নষ্ট করস আল্লার কসম তরে আমি দাও দিয়া কুবামু। কাইলকা থিকা ভদ্রলোকের পুলার মত মিলে আইবি, এইসব বালছাল বাদ দিবি- ঠিকাছে?'



রশিদ সাহেব সায় দেন। হুম, লোকটা যে পাগলাটে তাতে কোন সন্দেহ নেই, কি না কি দেখিয়ে হুড়মুড়িয়ে তাঁকে অবতার পর্যন্ত বানিয়ে ফেলল! সত্যিই এই ক'দিনে অযথা একটা বিষয় নিয়ে পড়ে ছিলেন তিনি। নিজের ওপরেই রাগ হতে থাকে তাঁর। ইস, পাগলের মত এত দৌড়াদৌড়ি, ঘোরাঘুরি- সব বিনা কারণে। রশিদ সাহেব মনে মনে নিজেকে শাপশাপান্ত করতে করতে বাড়িমুখো হন।



*

সেদিন রাতে প্রায় চার সপ্তাহ পর রশিদ সাহেব বাড়িতে রাতের খাবার খেলেন।



তাঁর স্ত্রী স্বামীকে স্বাভাবিক হতে দেখে বেজায় খুশি, লাইট নিভিয়ে শোয়ার আগে তিনি ইংগিতপূর্ণ চোখে রশিদ সাহেবের দিকে তাকালেন। অন্য কোন দিন হলে রশিদ সাহেব এমন সুযোগ লুফে নিতেন, কিন্তু আজকে এই প্রস্তাবে তাঁর ভেতরে কি যেন নিভে গেল। তিনি না দেখার ভান করে স্ত্রীর দিকে পিঠ দিয়ে শুয়ে পড়লেন। তাঁর মাথার ভেতরে চারটে লাইন ঘুরে বেড়াচ্ছে বারবার- 'যাহারা মুক্ত, এবং যুক্ত/ ময়ূখ খুঁজিয়া ফিরে/ নকুল কহিছে, উহারা পাহিছে/ পূর্ণ মিলনানন্দ ধীরে....পূর্ণ মিলনানন্দ ধীরে....'



প্রায় ঘণ্টাখানেক পর, স্ত্রীর নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসার আওয়াজ পেয়ে রশিদ সাহেব চোখ খুললেন। মানবজাতির সবচে প্রাচীন সঙ্গী- কৌতূহল- তাকে পাগল করে দিচ্ছে। বুড়ো হয়তো পাগল, কিন্তু তাঁর থিউরি টেস্ট করে দেখলে দোষ কি? বুড়োর যুক্তি যতই অসংলগ্ন হোক, তবু তো একটা 'যদি' থেকে যায়। যদি বুড়ো ঠিক হয়ে থাকে? রশিদ সাহেব একমুহূর্ত ভাবলেন, তারপর ঠিক করলেন কাজটা ছাদে করলেই ভালো হয়। ঘরের ভেতরে যদি ধরা পড়ে যান, তাহলে 'বিশেষ ভঙ্গিমায় বসে জোরে জোরে ভিনদেশি শব্দ উচ্চারণ করা'র কারণ ব্যাখ্যা করা খুব একটা সহজ হবে না। তিনি ব্যায়ামের ঘর থেকে চুপিচুপি একটা টর্চ, সবুজ ম্যাট আর বুড়োর দেওয়া কাগজটা নেন, তারপর নিঃশব্দে ছাদে উঠে আসেন।



বাইরে ধবধবে জ্যোৎস্না, বিশাল একটা চাঁদ ঝুলছে আকাশে। ম্যাট-টা বিছিয়ে রশিদ সাহেব কাগজটা পড়া শুরু করেন। লেখা আছে দুই হাঁটু, দুই কনুই আর থুতনি- এই পাঁচটি বিন্দু মাটিতে ঠেকাতে হবে, কিন্তু অন্য কোন অঙ্গ মাটিতে রাখা যাবে না। তারপর পাঁচবার জোরে জোরে বলতে হবে- 'দল বটাক এমিআ'। রশিদ সাহেবের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। এই ভঙ্গিতে বসে কেউ বোধিপ্রাপ্ত হয় কিভাবে? আর ভাষাটাও কি বিটকেল! তিনি দুতিন বার চেষ্টা করে নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে বসলেন। তারপর বলতে লাগলেন,



দল বটাক এমিআ

দল ব...দল বটাক এমিআ

দল বটাক এমিআ

দল বটাক এমিআ

দল বটাক এমিআ--আউ!



পাঁচবারের বার রশিদ সাহেবের হাঁটু দুটো পিছলে গেল, তিনি শক্ত মেঝের ওপরে বুক দিয়ে ধুপ করে পড়ে গেলেন। আশ্চর্যভাবে, 'আউ'-এর পরপরই তাঁর মাথার কাছে একটা পুরনো মাটির পাতিলের আবির্ভাব ঘটল। রশিদ সাহেব চোখ মিট মিট করে আরেকবার তাকালেন। হ্যাঁ, ঠিকই তো, আসলেই একটা পাতিল দেখা যাচ্ছে। রশিদ সাহেব কিরা কেটে বলতে পারেন একটু আগেও এখানে কিছু ছিল না, কিন্তু এখন আছে- এটা। জিনিসটা কিভাবে এলো এখানে? কিছুক্ষণ ভাবতেই রশিদ সাহেবের দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইল- এটা কি এই বিটকেল মন্ত্র আর আসনের ফলাফল?



রশিদ সাহেব ভয়ে ভয়ে মাটির পাতিলটা হাতে নিলেন, নেড়েচেড়ে দেখলেন। তারপর কি ভেবে ওটাকে উল্টো করে মাটিতে রাখলেন। সাথে সাথে ঝনঝন শব্দ হতে লাগল। ভীষণ চমকে গিয়ে তিনি ওই অবস্থাতেই তুলে নিলেন পাতিলটাকে। যা দেখলেন, নিজের চোখকে তাঁর বিশ্বাস করতে কষ্ট হল। সোনার মোহর! পাতিল থেকে ঝর্ণার মত সোনার মোহর গড়িয়ে পড়ছে মেঝেতে! ইতিমধ্যেই ছোটখাটো একটা স্তুপ হয়ে গেছে। রশিদ সাহেব পাতিলটা সোজা করে মেঝেতে রাখলেন, তারপর ভেতরে টর্চ মেরে দেখলেন। মোহরের স্রোত বন্ধ হয়ে গেছে, ভেতরটা খালি! এবারে আবার উল্টে দেখলেন তিনি, আবারো মোহর পড়তে লাগল ঝরঝরিয়ে। ব্যাপারটা এবার বুঝতে পারলেন তিনি। পাতিলটা উল্টে দিলে মোহর বেরোয়, আর সোজা করলে মোহরের স্রোত বন্ধ হয়ে যায়। একটা আনন্দের হুংকার দিয়ে তিনি মোহরে হাত বুলোতে লাগলেন। বুড়ো তাহলে ঠিক ছিল! আত্মার বিনিময়ে রশিদ সাহেব একটা অফুরন্ত সোনার খনি পেয়ে গেছেন!



ঠিক তখনি যদি তিনি আকাশে তাকাতেন, তবে রশিদ সাহেব দেখতে পেতেন চাঁদের অর্ধেকটা হাওয়া হয়ে গেছে, আর তার ঠিক নিচ দিয়ে একদল মুণ্ডহীন হাতি স্বচ্ছন্দে উড়ে যাচ্ছে।



*

সিফাত বজ্রাহত হয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে।



আজকে সারাদিন অনেক চেষ্টা করে সে গেমটার লাস্ট লেভেলে উঠেছিল। কিন্তু শেষ করতে পারেনি। রাতে শুয়ে পড়ার পর তাঁর ঘুম হচ্ছিল না, বারবার এপাশ ওপাশ করছিল। তখনি সে দরজা খোলার শব্দ পায়। নিজের রুম থেকে সে উঁকি মেরে দেখে আব্বা হাতে অনেক কিছু নিয়ে বাইরে যাচ্ছে। এই সুযোগ! চুপিচুপি ঘর থেকে বেরিয়ে ড্রয়িংরুমে এসে কম্পিউটারে গেম স্টার্ট করে সিফাত, লাস্ট লেভেলটা খেলা শুরু করে। খুব কঠিন বলে মাঝে মাঝে তাকে চিটকোড ইউজ করতে হচ্ছিল। কিন্তু খেলায় সে এতোটা মত্ত হয়ে গেছিল যে খেয়ালই করেনি- পয়েন্ট বাড়ানোর কোডটা সে সাতবারের মত ব্যবহার করে ফেলেছে। বেশি চিটকোড ইউজ করায় কিছুক্ষণ পরেই গেমসে গ্লিচ দেখা দিতে থাকে, অদ্ভুত-অসম্ভব সব কাণ্ড ঘটা শুরু করে। তারপর তো পুরো স্ক্রিনটাই কালো হয়ে গেল। ধুত! এখন এই করাপ্টেড গেম ডিলিট কর, তারপর আবার ইন্সটল কর- কত্ত ঝামেলা! সিফাত আরও কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে কালো স্ক্রিনের দিকে, তারপর ঠিক করে এসব এখন করে লাভ নেই, কাল সকালে করা যাবে। একটা হতাশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে উঠে পড়ে।



তারপর একটানে পাওয়ার প্লাগ খুলে নিভিয়ে দেয় লাইটটা ।

মন্তব্য ১২১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মোটামুটি বিশাল এই গল্পটা লিখেছিলাম মনে হয় ২০০৯ এর দিকে, কিন্তু তখন শেষ করতে পারিনি। আজ হঠাৎ করেই গল্পের প্রথম আর মাঝের কিছু অংশ খুঁজে পেলাম। সেগুলো জোড় লাগিয়ে ঘষামাজা করে একটা এন্ডিংও দিয়ে দিলাম! দেখা যাক, কেমন লাগে পাঠকের।

শুভপাঠ!

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: সেইরকম উদ্ভট ! :|
+

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, উদ্ভট গল্পে প্লাস পেয়ে আনন্দ পেলাম অনেক:)

শুভরাত।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম পুরোটা! আগ্রহের এতটুকুও কমতি হয়নি কোথাও! আকর্ষণ ধরে রাখার এক সম্মোহনী শক্তি আছে আপনার লেখনীর। দারুণ লাগলো। প্লাস বাটন টা কাজ করছে না এটা খুব বেশী অনুভব করছি এই লেখা পড়ে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি তো ভাবছিলাম এই গল্পটা একটু বোরিং হয়ে গেল কিনা! আপনার কথায় খুশি হয়ে গেলাম।

সামু ঠিক না হওয়া পর্যন্ত মনে মনে দেওয়া প্লাস সমান কৃতজ্ঞতার সাথে গৃহীত হইবে!

ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ছিলাম গল্পে, সোনার মোহর পর্যন্ত মোহাবিষ্ট হয়েই পড়েছি । অপ্রাকৃত কিছু দেখার আশায় যখন গল্পে পুরো মগ্ন, তখনই সিফাতের কম্পিউটার গেমসে এরর । দুটোর যোগসূত্র মিলাতে পারি নি :(

তবে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছি । গল্পের ডিটেইলিংয়ে হারিয়ে গিয়েছি ।

ভাললাগা++

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যোগসূত্রটা আছে চিটকোডে। সিফাতের চিটকোড ব্যবহারে গেমসে এরর দেখা দেয়, তেমনি রশিদ সাহেব আত্মার ব্যবহার করে চিট করছেন- তাঁর ফলাফল হিসেবে হয়তো পুরো বিশ্বেই 'গ্লিচ' দেখা দিতে থাকে- অর্থাৎ উড়ন্ত হাতি বা আধখানা চাঁদ। আর শেষের প্লাগ টেনে খোলাটা হয়তো ক্রুটিযুক্ত একটা বিশ্বের সমাপ্তি টেনে দেবার ইংগিত? এই বিষয়গুলো সরাসরি না বলে পাঠককে অনুভব করাতে চাইছিলাম।

গল্পটা পড়লেন, দারুণ একটা মন্তব্য করলেন- এতেই আমি খুশি, প্রিয় মামুন রশিদ। শুভেচ্ছা।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

নেক্সাস বলেছেন: বাহ বেশ সুন্দর একটা গল্প। পড়ে মুগ্ধ হলাম। কালকে এসে ারো মনযোগ দিয়ে পড়ে সমালোচনা করবো।

ভাল থাকবেন

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সমালোচনার অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন নেক্সাস।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!!!

দল বটাক এমিআ ;)


অসংখ্য ++++++++++++++++

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের ইস্টার এগটা ধরে ফেলেছেন তাহলে;) তুখোড় মনোযোগ!

ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

িনদাল বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। বেশ ঝরঝরে লেখা।

ফিনিশিংটা বুঝি নাই

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ফিনিশিংটা মনে হয় পরিষ্কার রাখতে পারিনি! ব্যাপার না, ওপরে মামুন রশিদকে দেয়া ব্যাখ্যাটা পড়ে ফেলেন!

ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: গল্পটা পড়ে ফিনিশিংটা ধরার চেষ্টা করছিলাম....কিন্তু খটকা লাগছিলো.....এখন মামুন ভাইয়ার কমেন্টের রিপ্লাই দেখে ক্লিয়ার হলো

দারুণ গল্প :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ফিনিশিংটা একটু অন্যরকম রাখার ইচ্ছা নিয়ে লিখেছিলাম, সম্ভবত ভালমত লিখতে পারিনি। যাইহোক, রিপ্লাই দেখে যে ক্লিয়ার হয়েছে তাতেই খুশি।

অনেক ধন্যবাদ:)

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

আলোর পরী বলেছেন: গল্পটা অসাধারণ , কিন্তু শেষটা কেমন ধোঁয়াশা । ঝর ঝরে লেখা পড়ে খুব ভাল লেগেছে ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শেষটা পরিষ্কার না হলে সুপ্রিয় মামুন রশিদের কমেন্টের রিপ্লাই দ্রষ্টব্য:)

এবং শুভেচ্ছা রইল।

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২

িনদাল বলেছেন: বুঝতে পেরেছি। অনলাইনে তো, মন দিয়ে পড়ি নাই....

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শেষটা একটু মনোযোগ দাবি করে বৈকি...ব্যাপার না:)

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মোহাবিষ্ট হয়ে গল্পটা পড়লাম। আর মামুন ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে গল্পের যে ব্যাখ্যা দিলেন তাতে একটা কথাই মনে এল, ছোট গল্পেও কাব্যধর্মী দুর্বোধ্যতা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শেষে দৃশ্যকল্পের পরিবর্তন একটু দুর্বোধ্যতা এনেছে। সেটা আপনার ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত।

ভালো থাকুন।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০

ঢাকাবাসী বলেছেন: বৃহৎ গল্প পড়লুম, ভাল লেগেছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো লাগাতে পেরে খুশি। ধন্যবাদ।

১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
উদ্ভট গল্পই কিন্তু অনেক বেশি কাব্যিক লাগলো।
মুগ্ধ পাঠ, গল্প নিয়ে এমনিতে বলার সাহস রাখি না।
আর আপনার লেখা এমনই দারুন, শুধুই পড়ায় আনন্দ।

শুভকামনা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সাহস-টাহস কথা না, গল্প পড়ে যা মনে হবে তা-ই বলে যাবেন। কোন সমস্যা নেই। পড়ে কৃতজ্ঞতা আদায় করে নিলেন, অনেক শুভকামনা রইল।

১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সোজা মুগ্ধ ! দারুণ একটা গল্প , বলতে গেলে গল্পের ভিতর হারিয়ে
গিয়েছিলাম । কি যে বলব আমি !
আপনার গল্পে পুরাই আমি ফিদা । একেকবার ভাবছি একেকদিকে
মোড় নিবে , শেষটা দারুণ ।

প্লট টা দারুণ ! দু বন্ধুর কথোপকথন বিশেষ করে মিজান সাহেবের বলাটা ভাল লেগেছে ।

অনেক অনেক ভাল লাগা নিয়ে গেলাম ।

ভাল থাকুন ভাই ।
শুভকামনা রইল । :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার আনন্দে আমি দ্বিগুণ আনন্দিত!

গল্পে দুই বন্ধুর ঘনিষ্ঠতা, রশিদ সাহেবের আলসেমি - এরকম ছোট ছোট বিষয়ও দেখাতে চেয়েছিলাম। সেটা আপনার চোখে পড়েছে দেখে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ, মাহমুদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: কমেন্ট পড়ে পুরোটা বুঝলাম।


বরাবরের মতোই চমৎকার!!!!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, বর্ষণ!

১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: +++++++++++ দারুন লেগেছে প্রফেসর সাহেব ++++++++++ শেষটা তুখোড় !!!!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, আপনার ভালো লাগাতেই আমার ভালো লাগা!

অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখনী আবার বরাবরই দূর্দান্ত লাগে। এই লেখাটাও ভালো লেগেছে। তবে মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে ফেলছিলাম। কিছু জিনিস বুঝতে পারছিলাম না, পরে আবার পড়ে বুঝলাম বাকিটা তো মামুন ভাই এর কমেন্টের ব্যাখ্যা করেছেন।

চমৎকার একটা প্লট! আসলে এই গল্পটা আবার পড়লে ভালো লাগবে। আবার ফিরে আসার ইচ্ছা পোষন করি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা একটু বড়, তাছাড়া সংস্কারের মধ্য দিয়ে গেছে:), তাই হয়তো এই খেই হারিয়ে ফেলা।

ঠিক বলেছেন, গল্প আরেকবার পড়লে হয়তো পরিষ্কার লাগবে। ফিরে আসার কথায় আনন্দিত হলাম।

ভালো থাকুন, কা_ভা।

১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার প্রাঞ্জল একটা গল্প।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, টুম্পা মনি।

১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

খাটাস বলেছেন: শেষ টা মামুন ভাই কে দেয়া মন্তব্য দেখে বুঝেছি। মানুষের সবচেয়ে পুরাতন সঙ্গি কৌতূহল, সবাই সৃষ্টি করতে পারে না। আপনি বিভিন্ন ধরনের গল্পে ও পাঠক কে সেই সঙ্গি জুটিয়ে দেন। অসাধারণ গল্প, অসাধারণ দক্ষতা আপনার। আপনার আত্মহত্যা নিয়ে গল্পটা পড়েই যদি ও আপনার ফ্যান হয়ে গেছি আগেই।
আপনার এই গল্প পড়ে একটা প্লাস বাটন পছন্দ হচ্ছে না, তাও আবার নষ্ট ।
তাই +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অনেক শুভ কামনা শঙ্কু সাহেব। আপনার নাম টা খুব ভাল লাগে। :)


( ফাউ প্যাঁচাল ঃ প্রথমেই শ্রদ্ধেয় ব্লগার মামুন রশিদ ভাই এর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। :#> এই গল্প পড়ার সময় রশিদের বর্ণনা তে কেন যেন মামুন ভাই কে মনে হচ্ছিল, মানে ব্লগে তাঁর বিচরণ যত টুকু দেখেছি আর কি! :!> :D :D পরে আব্দুর রশিদ নাম দেখে চিন্তা টা মাথা থেকে গেছে। :D :D
সরি মামুন ভাই :#> :) )

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার কমেন্টে আকাশে উঠে গেলাম, প্রিয় ব্লগার:) প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

আমার নামটা ভালো লাগাই স্বাভাবিক- এই নাম স্বয়ং সত্যজিৎ রায় রেখেছেন যে!:)

গল্পের রশিদের বর্ণনা আপনাকে ব্লগার মামুন রশিদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে? ইন্টারেস্টিং তো:)

২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার গল্প পেলাম অনেক দিন পর, খুব আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করলাম। সিফাতের গেমসে এরর এর আগ পর্যন্ত চমৎকার গতিতে এগিয়ে গেছি। খুব ভালো লাগছিলো পড়তে। রশিদ সাহেবের বন্ধু মিজানকে খুব বেশি ভালো লাগছে, তার ভাষার স্বাভাবিক প্রাঞ্জলতার কারণে। চমৎকার হয়েছে।

আর বুড়ো যে লোকটা, বই পাগলা বুড়ো, তার বলা যেসব থিউরি, নাচের অবতারদের নিয়ে তার বলা কথাগুলোকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো খুব, বিশেষ করে এই ব্যাপারটা বাটারফ্লাই ইফেক্ট কিংবা উই কুড ইজিলি বেন্ড দ্য রুলস অফ ইউনিভার্স ! তবে নাচের মুদ্রা বা নাচের সংস্পর্শে মিলনের মত আনন্দ সেটা হয়তো শিল্পী মাত্রই ভালো বুঝতে পারবেন। বুড়ো লোকটার ডিটেলসে নিজের অনুভবের শেয়ার, মন্ত্র " দল বটাক এমিআ " এর আসনটা এসব বেশ জটিল মনে হলো।

এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি -- সিফাতের গেমসে এরর ঘটাবার আগের অংশ টুকু পড়ে অর্থাৎ রশিদ সাহেবের সোনার মোহর প্রাপ্তি পরজন্ত পড়ে মনে হয়েছিলো ওখানেই গল্পটা শেষ করা যেতো। পরে ভাবলাম শুরুতেই গেমস নিয়ে বা সিফাতের বলা চিট কোড নিয়ে তার বাবার সাথে একটা আলোচনা আসাতে হয়তো শেষে এটা নিয়ে গল্পের শেষাংশে কোনও কাজ করবেন বলে রেখে দিয়েছেন।

মামুন ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে যা যা বোঝাতে চেয়েছেন, বুঝেছি ।তবুও মনে হচ্ছ এয়ামি যেন কোন একটা জায়গা এড়িয়ে গেছি, কানেক্ট হতে পারিনি।

বিশাল মন্তব্যে আশা করি বিরক্ত হন নি। শুভ রাত্রি শঙ্কু ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, সত্যি বলতে এই বিশাল মন্তব্যগুলোই আমার ব্লগিং করার পেছনে অন্যতম প্রেরণা, প্রিয় অপর্ণা, এবং এজন্যে নিঃসন্দেহে বলতে পারি- কোনোভাবেই বিরক্ত হইনি:)

গল্পটা 'এমন হলে কেমন হত' এই ধারায় এগোতে পারত, আবার কন্সপিরেসি ফ্যান্টাসির রাস্তায়ও নেওয়া যেত- আমি চেষ্টা করেছি দুটোই বজায় রাখতে। হয়তবা একারণে অগোছালো মনে হতে পারে, এবং গল্পের সাথে 'কানেক্ট' হতে কষ্ট হতে পারে।

শুভ রাত্রি অপর্ণা।

২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

এহসান সাবির বলেছেন: লেখক বলেছেন: যোগসূত্রটা আছে চিটকোডে। সিফাতের চিটকোড ব্যবহারে গেমসে এরর দেখা দেয়, তেমনি রশিদ সাহেব আত্মার ব্যবহার করে চিট করছেন- তাঁর ফলাফল হিসেবে হয়তো পুরো বিশ্বেই 'গ্লিচ' দেখা দিতে থাকে- অর্থাৎ উড়ন্ত হাতি বা আধখানা চাঁদ। আর শেষের প্লাগ টেনে খোলাটা হয়তো ক্রুটিযুক্ত একটা বিশ্বের সমাপ্তি টেনে দেবার ইংগিত? এই বিষয়গুলো সরাসরি না বলে পাঠককে অনুভব করাতে চাইছিলাম।

রিপ্লাই টা পড়ে খুব ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছি। অনেক সুন্দর।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, এহসান। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু, অসাধারণ লেখনী... গল্পের শেষটা কমেন্টের ব্যাখ্যা পড়ে তবেই বুঝলাম।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, রমাকান্ত। ভালো থাকুন।

২৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

সুমন কর বলেছেন: গল্পের প্রয়োজনে আপনি বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন, তাই ভালো লাগল।
গল্পটা সুন্দরভাবেই শেষ হয়েছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এইবার বর্ণনা আপনার ভালো লাগায় খুশি হলাম।

শুভরাত্রি।

২৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: একটানে পড়লাম
অসাধারণ লেখনি আপনার
তবে কমেন্টে ব্যাখ্যাটা না দেখলে ঠিক বুঝতে পারতাম না

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তাহলে ব্যাখ্যাটা দিয়ে ভালই হয়েছে দেখা যায়!

অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

ভিয়েনাস বলেছেন: দল বটাক এমিআ
দল ব...দল বটাক এমিআ
দল বটাক এমিআ
দল বটাক এমিআ
দল বটাক এমিআ--আউ!
:D আমার কিছু মোহর চাই।

একটানে গল্প পড়লাম। ব্যায়াম নাচ শেষে রশীদ সাহেব মোহরে ক্ষান্ত হলেন। শেষটা এসে বুঝতে কঠিন হলেও মামুন ভাইয়ের কমেন্ট রেপ্লায় পড়ে বুঝলাম।

ভালো লাগলো গল্প।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রশিদ সাহেব মোহর পেলেন ঠিকই, কিন্তু বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের তো বারটা বাজিয়ে দিলেন:)

ধন্যবাদ, ভিয়েনাস। শুভ রাত।

২৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: একটানে পড়লাম
অসাধারণ লেখনি আপনার
তবে কমেন্টে ব্যাখ্যাটা না দেখলে ঠিক বুঝতে পারতাম না

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কমেন্ট দুইবার আসিয়া আনন্দিত করিল!

২৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনেক দিন পর মনে হয় আপনার গল্প পড়লাম !
বিডিও গেম থেকে হুট করেই নাচের ফ্যান্টাসিতে প্রবেশ করাটা কেমন জানি লেগেছে !
তারপর থেকে একটানে পড়তে বাধ্য হয়েছি !
চমৎকার !

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, বেশ ক'দিন পর গল্প পোস্ট করলাম।

গল্পের ক্যামেরাটা তো রশিদ সাহেবের ওপরে স্থির, তিনি অস্থিরতা অনুভব করলে, বা হুট করে কিছু করলে সেই হুটহাট প্রবণতা গল্পেও চলে আসে:)

শুভরাত্রি, স্বপ্নবাজ।

২৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

গোর্কি বলেছেন:
-জটিল! ভীষণ জটিল হয়েছে গল্প!!
-প্রোফেসর শঙ্কু নামকরণের সার্থকতা গল্পে নিহিত।
-মন্তব্য এবং প্রতিউত্তরগুলো পড়ে গল্পের বিষয়বস্তু পরিষ্কার হলো।
-এমন একটি সুন্দর গল্প উপহার দেবার জন্য সাধুবাদ প্রিয় ভাইটি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় গোর্কি, এমন কমেন্ট পেয়ে কিইবা বলব? আমি শুধু কৃতজ্ঞতা জানাতে পারি।

আর কামনা করি সুন্দর কাটুক সময়।

২৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছেন। পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারাটা লেখকের ক্রেডিট !

সো গপ লেখক হিসাবে আপনে সাকসেস :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) ধন্যবাদ! নিজেকে গপ লেখক বলে মনে হচ্ছে অনেকটাই!

৩০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: হুম, ভাল লাগল। প্রথমে মনে করেছিলাম অসম্পূর্ণ, তবে মন্তব্যের প্রতি উত্তর পড়ে ক্লিয়ার হলাম। প্রেডিক্ট করতে পারি নি এরকম কিছু হবে। লেখা বরাবরের মতই ভাল।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠককে চমকে দিতে পারলে আমার ভালো লাগে। ধন্যবাদ, সপ্নাতুর।

৩১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অদ্ভুত ! একেবারে টেনে ধরে রেখেছিলেন গল্পে। পরে পড়ব বলে ঠিক করেছিলাম, কিন্তু ঢুকার পর থামতে পারিনি। প্রতিটি লাইন পড়েই পরবর্তী লাইন কি হবে মনের অজান্তেই সেটা নিয়ে কৌতুহল হচ্ছিল।

জাদুকরী লেখা! দ্বিতীয় কমেন্টেই পুরা গুমোড় ফাস করে দিলেন! একটু অপেক্ষা করলে হতো না ;)

যাহারা মুক্ত, এবং যুক্ত,
ময়ূখ খুঁজিয়া ফিরে
নকুল কহিছে, উহারা পাহিছে
পূর্ণ মিলনানন্দ ধীরে।'
---- এত চমৎকার অভিনব আইডিয়া! এত চমৎকার মন্ত্রছন্দ, শুধু একটা খটকা, "দল বটাক এমিআ" এই জিনিসটা পুরা গল্পটাকে হালকা করে দিয়েছে! যাই হোক এগুলো পুরাই লেখকের এখতিয়ার ভুক্ত।

টুপি বিসর্জন দিয়ে গেলাম।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দেখলাম শেষটুকু হয়তো অনেক পাঠককেই বিভ্রান্ত করে দেবে, তাই আগেভাগেই গুমোর ফাঁস করে দিলাম:)

'দল বটাক এমিআ' গল্পের ইস্টার এগ ছিল। এটা দেওয়ার আরেকটা উদ্দেশ্য্- বুড়োর দেওয়া মন্ত্রটা আসলে নির্ভরযোগ্য কিনা- এই বিষয়ে পাঠকের সন্দেহ জাগিয়ে তোলা।

আনন্দের সাথে টুপি জমা নেওয়া হল:)

৩২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
অনেক বড় গল্প। সময় করে পড়তে বসবো। শরীরটা ভাল নেই। /:)

পর্যবেক্ষণে নিলাম।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুস্থ হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি। গল্পটল্প পরেও পড়া যাবে।

৩৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

বোকামন বলেছেন:





সোল রিলেটেড ফিকশন/সাডেন ফিকশন !!
গল্পের সামগ্রিক পরিস্থিতি/আবহ কে লেখক নিজেই উদ্ভট বলছেন ! হোয়াই ?
রশিদ সাহেবের হাইপারফিজিক্যাল সম্পূর্ণ অচেনা একটা অনুভূতির বর্ণনা অত্যন্ত চমৎকারভাবে গল্পকার করেছেন।
“কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই রশিদ সাহেব মনস্থির করে ফেলেন। কাল থেকে ব্যায়াম-জগিং শুরু করতে হবে।”
গল্পের এই টার্নিং পয়েন্টখানাই বেশ দুর্বল লাগলো ! অথবা অতি সাধারণ পাঠক বোকামন ঠিক কানেক্ট হতে পারলো না ...
জগিংরত রশিদ সাহেব জগিং ফেলে যখন বলে চলছেন- দল বটাক এমিআ
পিথাগোরাসের একখানা উক্তি মনে পড়ে গেলো-
“Choose rather to be strong of soul than strong of body.”

বিশুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া ছাড়াই ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার ঠিক চিটকোড ব্যবহার করার মতই ! একদল মুণ্ডহীন হাতি স্বচ্ছন্দে উড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে তবে বিশ্বাস/আত্মার সাথে চিট করার ফলাফল হিসেবে ধরে নিলাম। যেহেতু আপনি সীমানা বেধে দেন নাই তাই আরো অনেক কিছুই ভাবা যেতে পারে ....

প্রিয় লেখক,
নগণ্য পাঠক বোকামনের অনেক ভালোলেগেছে গল্পটি :-)
শুভেচ্ছা।। :-) :-)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় বোকামন,

গল্পটার অসম্পূর্ণ অংশটা যখন খুঁজে পেয়েছিলাম- তখন পড়ে এই শব্দটাই মনে হয়েছিল- থিমটা উদ্ভট! তাই ট্যাগে এই কথাটা লেখা আরকি!

গল্পের টার্নিং পয়েন্টের পেছনে দুএকটা কারণ আছে। রশিদ সাহেবের স্ত্রীর কথাটা। কিংবা রশিদ সাহেব ঘরকুনো, দৌড়ঝাঁপ করতে তাঁর ভাল লাগে না, কিন্তু তাঁর ছেলের পছন্দ ওই লাফিয়ে বেড়ানো যুবক। তাই ছেলের সাথে দূরত্ব কমাতে গিয়ে তিনি নিজের অজান্তেই যুবকের সাথে নিজের তুলনা করা শুরু করেন। ফলাফল- এই ব্যায়াম জগিংয়ের সিদ্ধান্ত।

আপনাকে পেয়ে ভালো লাগল অনেক, প্রিয় বোকামন। শুভেচ্ছা আপনার জন্যও:)

৩৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

নেক্সাস বলেছেন: গল্পটা পড়লাম। বেশ আগ্রহ জন্ম নিয়েছিল। পুরো বিষয়টা যদিও নৃত্যকলা নিয়ে তবুও একটা চমৎকার এন্ডিং-এর আশায় লাইন বাই লাইন গোগ্রাসে গিলে ফেল্লাম। কিন্তু অনেষ্টলি এন্ডিং টা উপভোগ করতে পারিনি। অতি প্রাকৃত মোহর প্রাপ্তি কি কোন মেটাফরিক ইংগিত কিনা সে ম্যাসেজ ক্লিয়ার হয়নি। তাছাড়া হঠাৎ করে সিফাতের আগমন এবং তার কম্পিউটার এরর এটার সাথে পূর্বের ঘটনার কোন মেলবন্ধন খুঁজে পেলাম না।


আখ্যানভাগের শুরু এবং মধ্যভাগে বর্ণনার সাবলীলতা মন কেড়েছে। পাঠক কে ধরে রাখার মুন্সিয়ানা ছিল সুন্দর।

শুভকামনা প্রিয় ব্লগার

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এন্ডিংটা আপনার ভালো লাগেনি, সেটা সম্পূর্ণই লেখকের অক্ষমতা, প্রিয় নেক্সাস। মামুন রশিদকে দেওয়া ব্যাখ্যাটাই আরেকবার দেই, যোগসূত্রটা আছে চিটকোডে। সিফাতের চিটকোড ব্যবহারে গেমসে এরর দেখা দেয়, তেমনি রশিদ সাহেব আত্মার ব্যবহার করে চিট করছেন- তাঁর ফলাফল হিসেবে হয়তো পুরো বিশ্বেই 'গ্লিচ' দেখা দিতে থাকে- অর্থাৎ উড়ন্ত হাতি বা আধখানা চাঁদ। আর শেষের প্লাগ টেনে খোলাটা হয়তো ক্রুটিযুক্ত একটা বিশ্বের সমাপ্তি টেনে দেবার ইংগিত? এই বিষয়গুলো সরাসরি না বলে পাঠককে অনুভব করাতে চাইছিলাম।

পড়ার জন্য এবং মুক্ত মতামত প্রদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

৩৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

শূন্য পথিক বলেছেন: পড়লাম, সব ভালো লাগলো কিন্তু শেষটা জানি কেমন কেমন... #:-S #:-S শুভ কামনা।।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হু, একটু জটিল হয়েছে মনে হয়...শুভ কামনা আপনার জন্যও!

৩৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

অদৃশ্য বলেছেন:





প্রোফেসর

লিখাটি শুরুর দিকে বেশ মজাই পাচ্ছিলাম... রশিদ সাহেবের কার্যকলাপ বেশ ভালোই লাগছিলো বইগুলো পাঠের সময় পর্যন্ত... কিন্তু ওই বুড়োর ওখানে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললাম... লিখাটি সিম্পল একটি জায়গা থেকে অতি উচ্চমার্গীয় ভাবনায় চলে গ্যাছে...

যা হোক সব মিলিয়ে লিখাটি ভালোই লেগেছে... ফিনিশিংটাও সুন্দর হয়েছে...

শুভকামনা...

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অদৃশ্য,

মনোযোগী পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা।

শুভেচ্ছা।

৩৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন প্রোফেসর! মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়লাম! আপনার লেখনী খুব চমৎকার, পাঠককে গল্পের সাথে আটকে রাখে!

ইদানীং একটা জিনিস মনে হইতেসে গল্প কবিতার ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত না, প্রথমত রহস্য নষ্ট হয়, দ্বিতীয়ত অর্থ নষ্ট হয়। আপনি যা বলতে চান তা ছাড়াও হয়ত গল্পের কিছু বলার থাকে, কিছু অর্থের জন্ম হয়, লেখক বা কবি যখন তার ব্যাখ্যা দিয়ে ফেলেন, আর সব সম্ভাবনাগুলো মৃত্যুবরণ করে!
এই জিনিসটা অবশ্য কবিতার সাথেই হয় বেশী, তবে কিছু গল্পেও সেটা হতে পারে!

শুভকামনা রইলো প্রোফেসর!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, কবি!

'আপনি যা বলতে চান তা ছাড়াও হয়ত গল্পের কিছু বলার থাকে, কিছু অর্থের জন্ম হয়, লেখক বা কবি যখন তার ব্যাখ্যা দিয়ে ফেলেন, আর সব সম্ভাবনাগুলো মৃত্যুবরণ করে! '

ভালো বলেছেন। পাঠক নিজে গল্প বা কবিতাটা কিভাবে দেখছেন সেটা মূল ব্যাপার। তবে সাহিত্য-স্রষ্টারও তো নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার!

ভালো থাকুন কবি। শুভেচ্ছা।

৩৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

সোমহেপি বলেছেন: very nice. i can't write in bangla.

laguage of the story u used i liked and the story too.

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, সোমহেপি। কষ্ট করে যে মন্তব্য করেছেন তাঁর জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৩৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

একজন আরমান বলেছেন:
মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। অনেকটা মাথার উপর দিয়েই গিয়েছিল ! মামুন ভাইকে দেওয়া জবাবটা পড়ে পুরো বুঝতে পারলাম।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মন্ত্রে মুগ্ধ হওয়া ভালো!

শুভদুপুর, প্রিয় আরমান।

৪০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: যাহারা মুক্ত, এবং যুক্ত/ ময়ূখ খুঁজিয়া ফিরে/ নকুল কহিছে, উহারা পাহিছে/ পূর্ণ মিলনানন্দ ধীরে....পূর্ণ মিলনানন্দ ধীরে....'

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যাহারা মুক্ত, এবং যুক্ত/ ময়ূখ খুঁজিয়া ফিরে/ নকুল কহিছে, উহারা পাহিছে/ পূর্ণ মিলনানন্দ ধীরে....পূর্ণ মিলনানন্দ ধীরে....'

কমেন্ট বুঝিয়া লইলাম।

৪১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মনোযোগ দিয়ে আরও একবার পড়তে হবে। একটানে পড়ে গেছি তাই হয়ত কিছুটা ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আবার পড়ার আমন্ত্রণ রইল কাণ্ডারি। ভালো থাকুন।

৪২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কাহিনীর নিপুন বুনোনে হারিয়ে গিয়েছিলাম, তাই এন্ডিংটা আচমকা মনে হলো। পরে মামুন ভাইকে দেয়া উত্তরটা সন্তুষ্ট করলো। চমৎকার একটা ফ্যান্টাসি গল্প।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিছু কিছু জায়গায় অনেকের খটকা লেগেছে, তাই কমেন্টে কমেন্টে পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। আপনার ভালো লাগা মানে তো দারুণ ব্যাপার! খুশি হয়ে গেলাম।

শুভ দুপুর কিংবা বিকেল (এবং শুভ ভ্যাপসা গরম), প্রিয় হাসান:)

৪৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

শীলা শিপা বলেছেন: আমি আসলেই বোকা :( কমেন্ট দেখে শেষ অংশটা ক্লিয়ার হল। এর আগে বুঝতে পারি নি। বরাবরের মতই খুব সুন্দর লেখা। :)

প্লাস দিতে চাচ্ছি কিন্তু দিতে পারছি না :(

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: না না, বোকা হবেন কেন, এম্নিতেই শেষটা একটু কঠিন হয়ে গেছে মনে হয়!

প্লাস নিয়ে নিলাম মনে মনে:)

৪৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

অচিন্ত্য বলেছেন: আহা ! খুব অসহায় বোধ করছি। গল্পখানা পড়ে এতই অদ্ভুত ভাল লেগেছে, ভাল লাগার ধরণটা ঠিক প্রকাশ করতে পারছি না। শুধু মনে হচ্ছে এমন যাঁর অনুভব, এমন যাঁর প্রকাশ তাকে ঈর্ষা করতে ইচ্ছা করে; তার আইডিয়ার কিয়দাংশ চুরি করে কিয়দাংশ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এরকম আরেকটা লেখা লিখে নিজের বলে চালিয়ে দিতে ইচ্ছা করে; আমিও কি ইচ্ছা করলে এরকম লিখতে পারবনা- এমন ভেবে ঈর্ষাটাকে আরো চাঙ্গা করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু নাহ, এসব ক্ষুদ্র ইচ্ছা বাতিল করে এই সুমহান অপূর্ব সৃষ্টির স্রষ্টাকে খাস দিলে শুধু তারিফ করার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ। গড ব্লেজ ইউ ডিয়ার প্রফেসর।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ক্ষুদ্র একজন লেখককে অনেক সম্মান দিলেন অচিন্ত্য। আমি অভিভূত। উত্তর দেবার উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না।

শুধু কামনা করি- ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

অনেক শুভেচ্ছা।

৪৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

আফসিন তৃষা বলেছেন: গল্পের মাঝখানে পড়া থামিয়ে 'বাহ' বলতে হয়েছে। দারুণ গল্প লেখার জন্য আপনাকে অভিনন্দন এবং কিঞ্চিৎ হিংসা দিলাম। ভালো থাকবেন শঙ্কু :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অভিনন্দন ও হিংসা আনন্দের সাথে গৃহীত হল:)

আপনিও ভালো থাকুন, আফসিন তৃষা।

৪৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

দারুণ।
গল্পের সবকিছু বুঝতে শেষ পর্যন্ত কমেন্টে আসতে হল। এখন মোটামুটি ক্লিয়ার।
নেক্সট টাইম আবার পড়বো।


ভাললাগা রেখে গেলাম ভ্রাতা। :)

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প ক্লিয়ার হওয়ার কথায় আনন্দ পেলাম।

ভালো থাকুন:)

৪৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২১

সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটা কালকে পড়েছি। আপনার লেখনীগুণে দ্রুত পড়তে পেরেছি। খুব ভাল লেগেছে। ফিনিশিং এ কিছুটা গড়বড় মনে হয়েছি। আদারওয়াইজ, পুরা গল্প ওয়েল টিউনড।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আচ্ছা, পরের গল্পে ফিনিশিং যেন গড়বড় মনে না হয় সেই চেষ্টা থাকবে:)

ধন্যবাদ, মুন।

৪৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

আম্মানসুরা বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার লেখনী! মুগ্ধ পাঠ!!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোস্টে পেয়ে বরাবরের মতই কৃতজ্ঞ হলাম!

শুভরাত্রি।

৪৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নাচ আমার কাছেও একটা দারুণ নেশাধরানো ব্যাপার মনে হয়। আমিও মুগ্ধ হয়ে নাচ দেখি। যদিও কখনো নাচ শেখা হয় নি। গল্পটা পড়ে ভাল লাগল খুব।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ সমুদ্রকন্যা।

নাচ জিনিসটা প্রাচীন এবং ইন্টারেস্টিং। আমার ভালই লাগে।

৫০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৫

তওসীফ সাদাত বলেছেন: গল্পের শেষ বুঝলাম না !! তবে গল্পটা বেশ ভাল লেগেছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, তওসীফ!

৫১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

কালীদাস বলেছেন: ফিনিশিংটা পুরো গল্পের সাবলীলতাটা ধরে রাখতে পারেনি, প্রফেসর। এবং কিছুটা হেজ হয়ে গেছে আমার কাছে।

আছেন কেমন? :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দেখা যাক পরের গল্প আপনার ভালো লাগে কিনা!

আছি ভালই:) অনেক দিন পরে পানির নিচ থেকে উঠলেন, একটা পোস্ট দিয়ে ফেলেন তাড়াতাড়ি!

৫২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু , ব্যাতিক্রমি বিষয় , কিছু জায়গায় টুইস্ট ছিল

আমার ভালো লেগেছে ।

আর ভালো লেগেছে নিজের নামের ব্যাবহার দেখে ;)



০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, সিফাত!

গল্পের তিনটে নামের দুটো তো দুই ব্লগারের সাথে মিলে গেল, এখন মিজান নামের কোন ব্লগারকে পেলেই ষোলআনা পূর্ণ হয়:)

৫৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

জুন বলেছেন:
আমিও মামুন রশিদের মত ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ছিলাম গল্পে, সোনার মোহর পর্যন্ত মোহাবিষ্ট হয়েই পড়েছি । অপ্রাকৃত কিছু দেখার আশায় যখন গল্পে পুরো মগ্ন, তখনই সিফাতের কম্পিউটার গেমসে এরর ।আমিও এ দুটোর যোগসূত্র মিলাতে পারি নি সেই মন্তব্যের উত্তরে আপনার ব্যাখ্যা দেখার পরও :(

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা! গল্পে ধাক্কাটা হঠাৎ এসে পড়ায় হয়তো যোগসূত্র মেলাতে কষ্ট হয়েছে। ব্যাপার না:)

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, জুন! ভালো থাকুন।

৫৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

আমি ইহতিব বলেছেন: আপনার বর্ণনা ভালো হয়েছে বলে একটা চাপা উত্তেজনা নিয়ে শেষ পর্যন্ত একটানে পড়ে গিয়েছি। এটাও একটা সাইফআই ভেবে মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ে গেলাম, কিন্তু শেষটা বুঝতে পারলামনা। পরে ট্যাগ পড়ে মনে হোল ওটাই মনে হয় সত্য ;)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সাইফাইয়ের চেয়ে ফ্যান্টাসির অংশটাই প্রাধান্য পেয়েছে গল্পে। একটু অন্যরকম দেখানোর চেষ্টা ছিল। ট্যাগটা দিয়ে উপকার হয়েছে দেখা যায়!

শুভরাত্রি, ইহতিব।

৫৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

ইনকগনিটো বলেছেন: গল্পটা চমৎকার ভাবে শুরু হয়েছিলো, অন্তত এতোটুকু বলবো- সেটা ছিল আনপ্রেডিক্টেবল। কিছুটা হতাশ হতে হয়েছে, বুড়োর অংশে, কারন তার বলা কথাগুলির মাঝে ঠিক বৃদ্ধ, বৃদ্ধ ভাবটা ছিলো না। আমি ঠিক কল্পনার বৃদ্ধের সাথে কথাগুলি মানিয়ে নিতে পারি নি। এমনটাও হতে পারে, ওটা ইমাজিনেশন এরর।

যাই হোক, পরিবর্তিতে মোহর, আরেকটু আশাহত করলো। অন্য কিছুও দেখাতে পারতেন। তবে আমার কাছে কো- রিলেশনটা খুব ভালো লেগেছে। এটা নিঃসন্দেহেই বলা যায়, গল্পটা খুবই এক্সেপশনাল একটা গল্প।

বেশি বলে ফেললে সরি। অনেস্টলি আমার কাছে গল্পটা খুবই ভালো লেগেছে। অল্প দুইটা জায়গা নিয়ে একটু বললাম, কারন আমি আরও বেশি কিছু আসলে আশা করে ফেলেছিলাম বোধ হয়। কিছু মনে করবেন না।


ভালো আছেন? :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বৃদ্ধ সারা জীবন যে বিষয়ের পেছনে লেগে ছিল, চোখের সামনে তাঁর (সম্ভাব্য) চাক্ষুষ প্রমাণ দেখে সে উত্তেজিত হয়ে পড়েছে- একারণেই কথাবার্তায় যুবকের মত উদ্দীপনা প্রকাশ পাচ্ছে। এজন্যে হয়তো ঠিক বৃদ্ধসুলভ বলে হয়নি। আর মোহরটার ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আরও ইন্টারেস্টিং কিছু আনা যেত।

কো-রিলেশনটা আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুবই আনন্দ পেলাম। এই বিষয়টাই গল্পের উপস্থাপনার মূল অংশ।

আরও কিছু বললে আরও ভালো লাগত:) ব্লগে গল্প দেবার সুবিধাই এই- অনেস্ট পরামর্শ পাওয়া যায়, ক্রুটিগুলো সহজে বের হয়ে আসে। ভালো বা খারাপ লাগার পয়েন্টগুলো বলার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ভালো আছি ইনকগনিটো:) শুভেচ্ছা রইল।

৫৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

একজন বোকা মানুষ বলেছেন: ভালো লাগলো :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

৫৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

আরজু পনি বলেছেন:

সোনার মোহর আর সিফাতের শেষটা ছাড়া পুরো গল্পটা রিতিমতো গিলেছি গোগ্রাসে ।

দারুণ লেগেছে...পড়তে পড়তে যেন রশিদ সাহেবের সব কাজ দেখতে পাচ্ছিলাম ।

অনেক ভালোলাগা রইল প্রোফেসর সাব ।।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প পড়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি!

ধন্যবাদ আরজুপনি।

৫৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, বড়ই হাস্যকর। নাচ নিয়াতো আপনি তো ভালোই নাম জানছেন!


বড়ই হাস্যকর আর মজা পাইছি

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাস্যকর গল্পে মজা পেয়েছেন শুনে আনন্দিত হলাম!

পড়ার জন্য ধন্যবাদ, উদাসী স্বপ্ন।

৫৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নতুন পোস্ট চাই। :P

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একটু দৌড়ের ওপরে আছি, তবু দশ বারো দিনের মধ্যে একটা পোস্ট দেবার ইচ্ছা রাখি:)

৬০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

লেখোয়াড় বলেছেন:
প্রফেসর আপনিও গল্পবাজ নাকি?
আপনার এখানে এই প্রথম আসলাম।
তাই আপনার সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই।
এখন থেকে আপনার সংস্পর্শে থাকতে হবে,
আপনাকে আর আপনার লেখাকে জানবার জন্য।

এখানে সবাই তো ভাল বলল, তাহলে আমি খারাপ বলি কি করে।
দেখা হবে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্বাগতম, প্রিয় লেখোয়াড়! আপনাকে পোস্টে পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি।

মাঝে মাঝে দুই একটা গল্প লিখি, সে হিসেবে গল্পবাজ বলা যেতেই পারে!

দেখা হবে নিশ্চয়ই। শুভেচ্ছা।

৬১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

আমি সাজিদ বলেছেন: এক্সসেপশনাল প্লট, গাঁথুনি আর টুইস্ট।


আনেক ভালো লাগা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সাজিদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.