নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ প্রথম প্রেম দ্বিতীয় জন্মের আগে

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

১.

ক্যাম্পাসের সামনে এসে দেখি ভিড় জমে আছে এককোণে। আসাদ, জনি, মাহি, বিপুল সহ সব পোলাপান একটা কিছুকে ঘিরে জটলা পাকিয়েছে, উৎসাহী চোখে কথা বলছে নিচুস্বরে। আমি কৌতূহলী হয়ে ওদের দিকে এগিয়ে গেলাম, দেখি তো কাহিনি কি!

কাছাকাছি পৌঁছুতে একটা কণ্ঠ শুনতে পেলাম। ওটাকে কি কণ্ঠ বলা যায়? ঘ্যাড়ঘ্যাড়ে, কর্কশ, মনে হচ্ছে প্রতিটা শব্দ পাথর আর ধাতুর সংঘর্ষে পয়দা হয়ে গলা ফেটে বেরুচ্ছে, 'ওর চুল অন্ধকারে নদীর স্রোতের মতন। নাকের পাশে স্বপ্নের মতো একটা তিল আছে। এখানে পড়ে। তোমরা কেউ চেনো?' আশেপাশে প্রতিধ্বনি হবার উপযুক্ত পরিবেশ বা জায়গা নেই, তবু শেষের 'চেনো?' প্রশ্নটা দু তিন বার প্রতিধ্বনিত হোল গুমগুম করে।

আমি ভিড়ের ভেতরে ঢুকে চমকে গেলাম। যে বস্তুটা কথা বলছে, তাকে দেখে। জিনিসটা দৈর্ঘ্যে স্বাভাবিক, আমাদের মতই লম্বা, কিন্তু প্রস্থে প্রায় তিন মানুষের সমান। কালো কাঁচের গুঁড়ো আর লাল জেলির সংমিশ্রণ ঘটালে যেমন দ্যাখাবে, তেমন থকথকে একটা কিছু দিয়ে সারা শরীর তৈরি; দেহের বিভিন্ন জায়গায় শিরা উপশিরার বদলে অসংখ্য ফাটল দ্যাখা যাচ্ছে। প্রত্যেকটা ফাটল থেকে ধীরে ধীরে হলুদ দুর্গন্ধময় একটা কিছুর ক্ষরণ ঘটছে, সেগুলো আবার বাতাসের সংস্পর্শে আসতেই শুকিয়ে মিশেও যাচ্ছে শরীরের সাথে। আশ্চর্য ব্যাপার, এতকিছু সত্ত্বেও জিনিসটার আকার মানুষের মতো; চারকোণা শরীরের নিচে দুটো থামের মত পা, শরীরের ওপরে একটা আনারসের মতোন মাথাটা বসানো। নাক কান নেই, চোখ বলতে সাদা একটা টেনিস বলের মাঝে আঁকা কালো ফুটকি, সেটা আবার নড়ছে অবিরত এদিক ওদিক।

-'কিরে,' আমি নিজের অজান্তেই এক পা পিছিয়ে আসাদের পেটে খোঁচা দেই। 'এইটা কি?'

'জানি না', আসাদ জবাব দেয়, 'একটু আগে ক্যাম্পাসে ঢুকেছে। সবাই তো প্রথমে ভয় পেয়ে গেছিলাম, পরে দেখি কিছু কয় না, শান্তশিষ্টের মতো চুপচাপ দাঁড়িয়ে এদিক ঐদিক তাকায়, আমরা একজন একজন করে কাছে ঘেঁষতেই এক মেয়ের বর্ণনা দেওয়া শুরু করল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম পরিচয়, কাকে খুঁজছে; বলে নিজের নাম নাকি দানো।'

জিনিসটা সম্মতিতে আনারস নাড়ায়, 'আমি দানো। ওর হাতদুটো আগুনের মতো, স্পর্শ করলে ফিনিক্স পাখির মতো পুনর্জন্ম হয়। ওর ভুরূতে সাতটি তারার তিমির। চেনো ওকে?'

আমরা একজন আরেকজনের মুখে তাকাই, তারপর মাহি দীর্ঘশ্বাস ফেলে একটা, 'এসেছে আরেক পাগল। নিশ্চিত মীরাকে খুঁজে। ওরে কল দে তো কেউ।'

দানো হাসি দেয় কথা শুনে, হাসি বলতে আনারসের ওপরে আনুভূমিক একটা ফাটল চড়চড়িয়ে প্রসারিত হয়, ভক করে তার ভেতর থেকে হলুদ চটচটে তরল বেরোয় খানিকটা, তারপর চামড়ায় মিশে যায় হিসস শব্দ তুলে, 'মীরা? ওর নাম মীরা? কি সুন্দর!'

আমার কৌতূহল জাগে। মীরার সাথে এখনো পরিচয় ঘটে নি আমার, কোন ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী কে জানে! আমি জিজ্ঞেস করি, 'মীরাকে খুঁজছ কেন? কি করেছে ও তোমার?'

-'কি করেছে?', দানোর কণ্ঠে বিস্ময় জাগে খানিকটা, 'না, কিছু করে নি। ওর সাথে কথা হয়েছিল আমার, অনেক আগে; এখানে আসতে বলেছিল। আমি বোধ হয় ওর প্রেমে পড়ে গেছি।'

'কেন?'

-'কেন মানে?', দানো এমনভাবে আমার দিকে তাকায় যেন অবুঝ শিশু আমি, বেফাঁস কথা বলে ফেলেছি, 'মীরার চোখ দেখেছ তোমরা? স্মৃতির চোরাবালি! ওর সাথে সময় কাটালে মনে হয় যেন মেঘের অপার সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে সৃষ্টির প্রাচীন নাদে ফিরে যাচ্ছি; ওর ঠোঁটে উপত্যকার লিলির মতো, আমার প্রথম স্বেচ্ছা-পাপের মতো রোমাঞ্চকর গোপন স্বাদ। ওকে না ভালবেসে কেউ বাঁচে কিভাবে?'

আমার কৌতূহল আরো বাড়ে। মাহি আমার ক্লাসমেট, পুরান বান্ধবী, ওকেই চেপে ধরি এবার, 'মীরা কে রে? ভার্সিটিতে আজ পর্যন্ত দেখলাম না, এখন দেওদানো এসে প্রশংসা করে আর আমি শুনি, শরমের ব্যাপার। পরিচয় করিয়ে দিবি?'

মাহি মুখ বাঁকায়, 'দরকার নাই ভাই। মীরা যে জিনিস, তোর দূরে থাকাই ভালো। মাথা ঘুরে যাবে।'
-'কি জিনিস ও? বল না!'

'তুই জানিস না, ওর প্রব্লেম আছে। বেচারি ভালমত কারো সাথে কথা বললে বা হাসলে, এমন কি তাকালেও বিপদ, সাথে সাথে অন্য মানুষটা ওর প্রেমে পড়ে যায়। আমি সেই স্কুল লাইফ থেকে ওর ফ্রেন্ড, আজ পর্যন্ত এর কোন ব্যতিক্রম দেখলাম না। ও তো মাঝখানে অন্য জিনিস নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করে দেখেছে, সেম অবস্থা। দেখিস না, এই কোথাকার কোন 'দানো' পর্যন্ত দিওয়ানা হয়ে পিছু ধরেছে!

মাহির পাশে আরেকটা মেয়ে, একেও চিনি না, সম্মতিতে মাথা নাড়ে, 'আসলেই, মীরা মেয়েটা বেশি সুন্দরী। কারো সাথে ওর ম্যাচিং হয় না। আর দোষই বা দেই কিভাবে, মীরাকে যারা পছন্দ করে এরা তো মীরা ছাড়া কিছু দেখে না, ওর বাহ্যিক অস্তিত্ব দেখেই পাগল হয়ে যায়। এভাবে রিলেশন হয়? সম্পর্কে তো একটা ভারসাম্য লাগে! এটা প্রেম না পাগলামি?'

মাহি যোগ করে, 'পাগলামি ছাড়া কিছু না। ওইদিন দেখি মীরা ব্যাবিলনের সাথে বসে আসলাম মামার দোকানে ফুচকা খাচ্ছিল, পরের দিনই শুনলাম সে প্রপোজ করেছে, ওকে রাণী বানাতে চায়। মীরা মানা করল, আর বেচারা ব্যাবিলন দুঃখে ওইদিনই বিলুপ্ত হয়ে গেল।'

-'ব্যাবিলন বলতে, প্রাচীন শহর ব্যাবিলন?!' আমি নিশ্চিত হবার জন্যে সাবধানে জিজ্ঞেস করি।

'হুঁ। তার আগে মালয়, বালি, শ্যাম, ইন্দোচীনের সাথে কয়েকদিন ঘুরতে দেখেছিলাম। কেউই ওর সৌন্দর্য সহ্য করতে পারে নি। আমাজনের সাথে সম্পর্ক টিকেছিল সপ্তাখানেক, তারপর যে কে সেই। এরা তো সাধারণ ব্যাপার, গত বছর আকাশ থেকে এক ফেরেশতা নেমে এসেছিল ওর টানে, ও এখন মানুষ হয়ে গেছে, এই ভার্সিটিতেই কেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ছে। মীরা তাকে পাত্তাও দেয় না।'

মাহি আর কিছু বলছিল, কিন্তু আমি তা শুনতে পাইনি, কারণ পৃথিবীর সব আলো আর শব্দ তখন কেন্দ্রীভূত হয়ে একটু দূরে এক ঈশ্বরীর ওপরে পড়েছে যার নাম নিশ্চয়ই, আমি নিজের প্রাণ বাজি রেখে বলতে পারি, মীরা। মীরার চলনে ভল্গা-মিসিসিপির ছন্দ, মীরার শরীরে নীহারিকা শিখার গন্ধ, মীরার মুখ মেঘের মত আলোর পিছে লুকিয়ে থেকে বিদ্যুৎ জ্বালছিল, আমি সমস্ত শরীর-মন-দেহ সমর্পণ করতে পারি, না, সমর্পণ করতে বাধ্য এই নারীর কাছে; আমি এখনি যাব, গিয়ে মনের কথাটা বলব ওকে এই-

চটাস শব্দে আমার মাথার পেছনে ব্যথা জ্বলে উঠলে আমি সম্বিৎ ফিরে পাই। প্রথমে বুঝতে একটু সময় লাগে কি ঘটল, তারপর দেখি মাহি বিরক্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, ওর হাত বিপদজনকভাবে তখনও ওপরে ওঠানো, 'সেন্স ফিরে পাইছিস, নাকি দিব আরেকটা?'
আমি মাথা হাতাই, 'না না, একটাই যথেষ্ট!'
-'বুঝলি আগে কেন মীরার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই নাই?'

'এখন বুঝলাম। আসলেই ডেঞ্জারাস রে! আমি তো চিন্তাই করতে পারি নি এতোটা অপার্থিব আকর্ষণশক্তি মেয়েটার! থ্যাঙ্কিউ দোস্ত', আমি মীরার থেকে দৃষ্টি এড়িয়ে (আসাদ আর বিপুল তখনও ওর দিকে তাকিয়ে খাবি খাচ্ছে) দানোর দিকে তাকাই। কথা বলছে মীরা ওর সাথে। দানো প্রথমে স্থির চোখে কিছুক্ষণ শুনল মীরার কথা, মীরা নিশ্চয়ই ওকে প্রত্যাখ্যান করছে, কারণ তারপর ভগ্নমনোরথ হয়ে ভেঙে পড়ল বেচারা, একেবারে আক্ষরিক অর্থেই। মাত্র কয়েক মুহূর্তের মাঝে মাটিতে গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে পড়ল দানোর বিচ্ছিরি শরীর, তারপর হিসস শব্দ তুলে মিলিয়ে গেল বাতাসে।

আহা, বেচারা বিচ্ছেদের জ্বালা সহ্য করতে পারল না।

জটলা ভেঙে গেল ক্ষণিক পরে। যে কয়জন ছেলে মীরাকে দেখেছে তারা সবাই একেক জন একেক দিকে ছোটা শুরু করল। কেউ মীরাকে নিয়ে সাহিত্য লিখতে, কেউ ফুল কিনতে, কেউ তার ছবি আঁকতে। জিনিসটা দেখে আমার মাথায় তখনি বুদ্ধি খেলল একটা। মোবাইল বের করে কল দিলাম একটা নাম্বারে, তারপর বললাম ক্যাম্পাসে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আসতে।
-'কাকে কল দিস?', জিজ্ঞেস করল মাহি।

আমি জবাব না দিয়ে হাসলাম, তারপর বললাম, 'মীরাকে বল এক ঘণ্টা পর লাইব্রেরিতে বসতে। আমি একটা জিনিস পরীক্ষা করে দেখতে চাই।'

মাহি সন্দেহের চোখে তাকালেও, আপত্তি করল না। আমার মাথায় আরেকটা চাঁটি মেরে মীরাকে ডাকতে সামনে চলে গেল।


২.


যে নম্বরে কল দিয়েছিলাম, ওটা আমার কলেজ জীবনের এক বন্ধুর নম্বর। নাম মাসুদ।

এই প্রিয় শ্যালকটির জ্বালায় দুটো বছর সমস্ত কলেজের একটা ছেলেও আমরা প্রেম করতে পারি নি। অবশ্য সরাসরি দোষ হয়তো বা ওর নয়। এমনিতে ও চুপচাপ, মেধাবি একটা ছেলে। কিন্তু সমস্যা একটাই- কোন মেয়ে ওকে দেখলে ঠিক থাকতে পারত না। প্রেমিকের আসনে বসিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ওর অজান্তেই প্রেম করা শুরু করে দিত। ওর কাছে নাকি অ্যাপোলো-অ্যাডোনিস কেউ কিছু না, ও যেখানে যায় 'বসন্তের হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে', ও হাসলে 'সমস্ত পৃথিবীটা আলো হয়ে ওঠে', কোন মেয়ের দিকে তাকালে 'হৃদয়ের ভেতরটা পর্যন্ত যেন উন্মুক্ত করে দেখতে পায়'!

খালি সাধারণ মেয়েরা না, মাসুদের প্রেমে অন্যরাও পড়ত ধুপধাপ। ক্লিওপেট্রা আপা ওর সাথে কথা বলার জন্যে প্রতিদিন কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন, আমাদেরকে চকলেট ঘুষ দিতেন যেন মাসুদকে তাঁর কথা বলি। তিন জন স্বর্গের অপ্সরা ওকে দেখবে বলে কলেজে নতুন কোর্সে ভর্তি হয়েছিল। সরস্বতী দেবী ওকে প্রত্যেক পরীক্ষায় নম্বর বেশি দিতেন, একবার যদি মাসুদ তাঁর দিকে ফিরে তাকায়! শালার এমনও রেকর্ড আছে যে শাদা খাতা জমা দেওয়া সত্ত্বেও সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে ফার্স্ট হয়েছে পরীক্ষায়। এই রকম একটা গ্রিক গডের সাথে কম্পিটিশনে আমাদের মতো নিতান্ত সাধারণ অসুন্দর মনুষ্য জাতির সদস্যরা কি ভাত পাবে?

পেতামও না। এবং বর্তমানে ওর ভার্সিটির ছেলেদের কাছে যা শুনি, এখন তারাও পায় না। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, মাসুদ কখনো এই প্রেমপ্রার্থিনীদের প্রেমে পড়ে নি। হয়তো দুএকবার কথা বলত, তারপর যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতো। আমরা জিজ্ঞেস করলে হাসতো, বলতো ওর নাকি অস্বস্তি লাগে!

মীরাকে দেখে তাই কৌতূহল জেগেছিল আমার, আকর্ষণ ক্ষমতা কার বেশি? কে কার প্রেমে পড়বে? মীরা মাসুদের, না মাসুদ মীরার? তখন প্রেমে পড়া মানুষটার কি কি পরিবর্তন হবে? নাকি কিছুই হবে না, দুজন স্বাভাবিক মানুষের মতো একে অপরের সাথে পরিচিত হবে, তারপর ফিরে যাবে নিজেদের জগতে?

এইসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই কল দিয়েছিলাম ওকে। মাঠে বসে ছিলাম ওর অপেক্ষায়, আমার চারপাশে পোলাপান সব গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে। হঠাৎ মাঠটা নিশ্চুপ হয়ে গেলে বুঝতে পারলাম, হ্যাঁ, মাসুদ এসে পৌঁছেছে। পিছনে তাকিয়ে দেখলাম ও হেঁটে আসছে এদিকে, আর সবগুলো মেয়ে হা করে করে তাকিয়ে যেন গিলছে ওকে। আমি তাড়াতাড়ি করে ওকে লাইব্রেরির দিকে টেনে নিয়ে এলাম।

'কিরে ব্যাটা, হঠাৎ কল দিয়ে আসতে বললি, ঘটনা কি?', ও অবাক মুখে জিজ্ঞেস করল।
-'আছে। আয় লাইব্রেরিতে আয়। তোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই একজনের।'

লাইব্রেরির সামনেই মাহি দাঁড়িয়ে ছিল। ও আমাকে কিছু বলতে গিয়ে থমকে গেল, তারপর দেখল মাসুদকে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'ওই, মীরা কই? ভিতরে?'

প্রশ্নটা ওর কানে গেল বলে মনে হয় না। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার বন্ধুর দিকে। মাসুদ ওর দিকে তাকিয়ে ভদ্রতাসূচক ছোট্ট একটা হাসি দিল, তাতেই যেন ওর পুরো শরীর কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেল। আমার মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় ওর দুই চোখে দুটো 'লাভ' সাইন ফুটে উঠবে, আর ও গায়ে ভেজা শাড়ি জড়িয়ে মাসুদকে ঘিরে পুরনো বাংলা ছবির মতো চমৎকার কোরিওগ্রাফিতে নাচানাচি শুরু করে দেবে।

আমি হাসলাম মনে মনে। এবার আমার পালা।

পিঠে বিশাল এক গাট্টা খেয়ে হিচকি উঠে গিয়ে মাহির প্রেমপূর্ণ দৃষ্টিতে ছেদ পড়ল, আমি সেই সুযোগে মাসুদকে লাইব্রেরির ভেতরে ঢুকিয়ে দিলাম। মুখ বিকৃত করে পিঠ ডলতে ডলতে মাহি তাকাল আমার দিকে, 'বজ্জাত কত জোরে কিল দিছিস! একেই কল দিলি তখন, না? এটা কি মীরার পুং সংস্করণ ছিল?'
-'বলতে পারিস।'
'তোর বন্ধু মানুষ তাহলে। পরিচয় করিয়ে দিবি?', দুষ্টুমিমাখা মুখে জিজ্ঞেস করে ও। আমি আরেকবার কিল দেখাই। মাহি এবারে লাইব্রেরির ভেতরে উঁকি দেয়, 'তোর কি মনে হয়, কি হবে এখন?'
-'আয় আগে ভেতরে যাই। ওরা তো একজন আরেকজনকে চেনে না। কথা বলিয়ে দেই চল', আমি বলি।

'আমম, আমার মনে হয় না তার কোন দরকার আছে', মাহি লাইব্রেরির এক কোণায় ইঙ্গিত করে বলল, 'দ্যাখ।'

আমি দেখলাম, লাইব্রেরিতে আর কেউ নেই, শুধুমাত্র মীরা পৃথিবীর সমস্ত রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে বসে আছে একটা চেয়ারে। তার পাশেই কৌতূহলী চোখে বসেছে মাসুদ, মুখে বন্ধুত্বপূর্ণ হাসি। দুজনে কথা বলছে একটা কিছু নিয়ে। কথা বলতে বলতে মীরা মাসুদের চোখে তাকাল, মাসুদ-ও চোখ না নামিয়ে দৃষ্টি ধরে রাখল একটানা।

তারপর। তারপর যেন সময় থেমে গেল মুহূর্তের জন্যে। লাইব্রেরির মধ্যে লু হাওয়া আর জলোচ্ছ্বাসের পাগলা নাচন আর শোঁ শোঁ শব্দের এক মিলিত সিম্ফনি শুরু হয়ে গেল যেন। মাটি কাঁপতে লাগল, তাকের ওপর থেকে বইগুলো সটাক সটাক করে ছিটকে পড়ে হাওয়ায় উড়াউড়ি করা শুরু করল, আর বাতাসের প্রতিটি ছোট্ট কণায় দ্রিম দ্রাম করে কম্পন হতে লাগল, যেন সৃষ্টির আদিম সত্ত্বায় ফিরে যাচ্ছে সবকিছু আবার। আমি আর মাহি মিলে খুব কষ্ট করে লাইব্রেরির দরজাটা চাপালাম, তারপর হাঁপাতে হাঁপাতে দরজায় পিঠ দিয়ে বসে পড়লাম মাটিতে। ভেতর থেকে তখনো ধুমধাম বিস্ফোরণ, আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণের চাপা শব্দ ভেসে আসছে। আমাদের দুজনকে এ অবস্থায় দেখে একটা সুদর্শন ছেলে এগিয়ে আসে, 'কি হোলো? কোন সমস্যা হয়েছে?'

আমি সজোরে মাথা নাড়ি। মাহি অবশ্য কি ভেবে সংক্ষেপে খুলে বলে মীরা আর মাসুদের কথা। ছেলেটা বিস্ময়ভরা চোখে কিছুক্ষণ শোনে, তারপর দরজার দিকে তাকিয়ে বলে, 'শব্দ তো থেমে গেছে মনে হয়। চলো ভেতরে গিয়ে দেখা যাক।'

আমরা সতর্ক পায়ে দরজা খুলি, তারপর তাকাই এদিক ওদিক। বইগুলো সব এলোমেলো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, চেয়ার টেবিল উল্টে গেছে, আর এক কোণে একটা অপরিচিত কাপল নির্লিপ্ত বসে গল্প করছে। অন্য কোন দিকে খেয়াল নেই। এরা কোত্থেকে এলো? আমি চোখ সরিয়ে মাসুদকে খুঁজতে যাব এমন সময় ছেলেটাকে আমার পরিচিত লাগতে থাকে।

আরে ওটাই তো মাসুদ!

কিন্তু ও মাসুদ কি করে হয়? মাসুদের সেই আগের অপার্থিব সৌন্দর্যের জেল্লার বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নেই, ওকে এখন খুব শান্ত, নিরীহ লাগছে; কিসের গ্রিক গড, মনে হচ্ছে স্রেফ আরেকটা সাধারণ ছেলে। আমি ওর পাশের মেয়েটার দিকে তাকাই। তার মানে এই নাকের পাশে তিলওলা সাধারণ দেখতে মেয়েটাই মীরা? মেয়েটা কিউট আছে, অস্বীকার করব না, কিন্তু দেখেই পাগল হবার মত সুন্দরী তো না। কোথায় গেল আমার দেখা সেই ঈশ্বরী মীরা এবং তার অলৌকিক আকর্ষণ? আমি মাহির মুখের ভাব দেখে বুঝলাম ও-ও আমার মত বোকা হয়ে গেছে সম্পূর্ণ ব্যাপারটায়, ওর মাথায়ও একই প্রশ্ন ঘুরছে।

কি ঘটেছে এখানে?

আমরা ওদেরকে বিরক্ত না করে এলোমেলো পায়ে বাইরে চলে আসি। সিঁড়িতে বসে পড়ি। আমাদের সাথের সুদর্শন ছেলেটা তেমন অবাক হয় নি, সে শান্ত কণ্ঠে ব্যাখ্যা করে-

'বুঝলাম। জিনিসটা ঠিক কেমিস্ট্রির নিয়মের মতন। কিছু মৌল থাকে, তুমুলভাবে সক্রিয়; বিস্ফোরক প্রকৃতির। এরা কারও সাথে বন্ধন গড়লে তা টেকে না। ভেঙে যায়। কিন্তু একটা সক্রিয় মৌল যদি আরেকটার মুখোমুখি হয়, তখন তাদের মাঝে একটা বিক্রিয়া ঘটে, বিস্ফোরণের মাধ্যমে একটা বন্ড তৈরি হয় দুজনের মাঝে। আর কাউকে তারা আকর্ষণ করে না। কিংবা আকর্ষিত হয়-ও না। তখন তারা নিজেদের পূর্বেকার সেই বিস্ফোরক প্রকৃতি হারিয়ে ফেলে স্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

আর তাদের মধ্যকার যে বন্ধন, সেটা খুব শক্ত হয় তখন। সহজে ভাঙা যায় না। মীরা-মাসুদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে মনে হয়। অদ্ভুত সুন্দর পুরো ব্যাপারটা, তাই না?'

বলে ছেলেটা সিঁড়ি বেয়ে আস্তে আস্তে নিচে নেমে যায়। আমার হঠাৎ সন্দেহ হয়, বলি,
'কেমিস্ট্রির পাঠ দিয়ে গেল...মীরাকেও মনে হোল চেনে...এটা কি সেই প্রাক্তন ফেরেশতা ছিল?'

-'হুঁ', মাহি অন্যমনস্কভাবে জবাব দেয়। ও ভাবছে একটা কিছু। 'আচ্ছা, তাহলে সব টেকসই বন্ধন, বা রিলেশন যাই বলিস, সব কি ধুপ করে হঠাৎ একটা বিস্ফোরণের মাঝ দিয়ে তৈরি হয়?'

আমি কলেজের ভুলে যাওয়া কেমিস্ট্রি ক্লাসের লেকচার স্মরণ করার চেষ্টা করি, 'নাহ। বন্ধন তৈরির আরও নিয়ম পড়েছিলাম। অনেক মৌল আছে যেগুলি বিক্রিয়ায় বিস্ফোরণের ধারকাছ দিয়ে যায় না। বহুদিন আরেকটা মৌলের সংস্পর্শে কাছাকাছি থাকতে থাকতে একসময় দুজনে প্রচন্ড শক্তিশালি বন্ধন তৈরি করে ফেলে। একটু সময় লাগে, এই আর কি।'

মাহি বড় বড় চোখে কথাটা শোনে। 'স্রেফ একটু সময়?', শুনে ও হাঁফ ছেড়ে নার্ভাস হাসি দেয় একটা, 'তাহলে তো আমাদের মতো নরমাল পাব্লিকের আশা আছে এখনো, কি বলিস?'

আমার মাথার ভেতরে কিছু একটা ক্লিক করে ওঠে তখন। কি বোকা, কি বোকা আমি! অন্ধ হয়ে ছিলাম, এতদিনে জিনিসটা ধরতে পারলাম!

আমি জবাব দেই না। অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি, যেন জীবনে এই প্রথমবার দেখছি মাহি নামের মেয়েটাকে।

মন্তব্য ৯০ টি রেটিং +২৭/-০

মন্তব্য (৯০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

বৃতি বলেছেন: ভাগ্যিস মীরা আর মাসুদের দেখা করিয়ে দিয়েছেন :P পৃথিবী অবশেষে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচল।
অন্যরকম গল্প। ভালো লেগেছে বেশ :)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা! হাল্কা মেজাজের গল্প, বিষাদ এড়িয়ে লিখতে চাইছিলাম তো!

ধন্যবাদ বৃতি!

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পার্থিব জগতের সাথে অলৌকিকতার সংমিশ্রণে চমৎকার গল্প।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

প্রথম অংশে খালী মন গাইছিল
ঝাকা নাকা ঝাকা নাকা দেহ দোলানা
মীরা বাঈ
হেইলা দুইলা দরবার নাচায়

পুরোটা শেষ করে টাসকিত!

অসাধারন খেলা খেলেছেন গল্পে। ইতিহাস, কোরান,পুরান, মিথ, প্রেম,বিজ্ঞান সব মিশিয়ে অসাধারন এক অভূতপূর্ব ককটেল:)

++++++++++++++++++++++++

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নামকরণের সময় এই গান টাই বাজছিল আমার মোবাইলে, বিশ্বাস করুন আর না করুন!

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

সুমন কর বলেছেন: জিনিসটা ঠিক কেমিস্ট্রির নিয়মের মতন। কিছু মৌল থাকে, তুমুলভাবে সক্রিয়; বিস্ফোরক প্রকৃতির। এরা কারও সাথে বন্ধন গড়লে তা টেকে না। ভেঙে যায়। কিন্তু একটা সক্রিয় মৌল যদি আরেকটার মুখোমুখি হয়, তখন তাদের মাঝে একটা বিক্রিয়া ঘটে, বিস্ফোরণের মাধ্যমে একটা বন্ড তৈরি হয় দুজনের মাঝে। আর কাউকে তারা আকর্ষণ করে না। কিংবা আকর্ষিত হয়-ও না। তখন তারা নিজেদের পূর্বেকার সেই বিস্ফোরক প্রকৃতি হারিয়ে ফেলে স্থিতিশীল হয়ে পড়ে। -- আপনার বর্ণনা মানে পরিপূর্ণ লেখা। পড়ে আরাম পাওয়া যায়। এ গল্পটিও সুন্দর হয়েছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কেমিস্ট্রির ব্যাপারটা সহজ করে লিখতে পেরেছি কিনা সন্দেহে ভুগছিলাম। ধন্যবাদ সুমন মন্তব্যের জন্যে।

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ম তে মীরা, ম তে মাসুদ। অসাধারণ লেগেছে গল্পটা। খুব গোছালো বিবরণ, ঝরঝরে ভাষার অলংকরণ। কিছু কিছু উপমা ভয়ঙ্কর সুন্দর। আর শেষের বিক্রিয়াটা একেবারে অপ্রত্যাশিত এবং যোজন।

খুব ভালো লেগেছে। রম্য আর রোমান্টিকতার জমকালো মিশ্রণ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কয়েকটা উপমার জন্যে জীবনবাবুর কাছে ঋণী হয়ে আছি। আসলে এমন এক যন্ত্রণা হয়েছে যে উপমায় গেলেই ভদ্রলোক পিছু ধরেন, নিজের ভান্ডার থেকে কিছু না কিছু গছিয়ে দেন।

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে সুপ্রিয়।

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: গল্পটা একটু বড় হলেও এক নিঃশ্বাসে পড়তে কোন সমস্যাই হয় নি। চমৎকার ঝরঝরে বর্ননার গুণে গল্পটা বেশ প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। সেই সাথে পড়তেও ভাল লাগছিল!

শুভ কামনা জানবেন!

অঃ টঃ- প্রথম প্যারায় "দেখিতো কাহিনী কি?" বলার পরে একটা (?) জিজ্ঞাসার চিহ্ন দিলে ভাল হয়!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুশি হলাম।

প্রথম প্যারায় প্রশ্নের চেয়ে কৌতূহলটা প্রকাশ করতে চেয়েছি, তাই বিস্ময়বোধক চিহ্ন দিয়ে দিলাম। ধরিয়ে দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই গল্পে এক ধরণের মাদকতা আছে। একটানা পড়ে যেতে ক্লান্তি লাগে না। পার্থিব ও অপার্থিব জগতের সংমিশ্রণে চমৎকার গল্প।

ধন্যবাদ প্রফেসর শঙ্কু।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে আশরাফুল।

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: অপার্থিবতার গিজগিজানী থাকলেও গল্পটি বেশ সুন্দর হয়েছে। ভাললাগা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গিজগিজানি এড়িয়ে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ জানাই :)

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: আফনে প্রেমের গফও লিখেন প্রোফেসর সাব !!?? :D
অনবদ্য ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ফেরেশতার ভূমিকা পালটে শয়তান ঢুকানোর প্লান ছিল শুরুতে, সেটা বজায় থাকলে এইটা মার্ডার থ্রিলার হয়ে যেত হা হা!

ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার গল্প। খুব ভাল লেগেছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল।

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গড, গডেস থেকে শুরু করে কাকে আনেন নাই! কিছু কিছু অংশ পড়ে খুব মজা পাচ্ছিলাম --

আমার মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় ওর দুই চোখে দুটো 'লাভ' সাইন ফুটে উঠবে, আর ও গায়ে ভেজা শাড়ি জড়িয়ে মাসুদকে ঘিরে পুরনো বাংলা ছবির মতো চমৎকার কোরিওগ্রাফিতে নাচানাচি শুরু করে দেবে।

দানোর বর্ণনাটা সুন্দর হইছে। মীরাকে দেখলে কী রকম প্রেমের ঝড় বয় সেটাও। কিছু কিছু বর্ণনা খুব সুন্দর।
যাই হোক আমি ঠিক মত এক্সপ্রেস করতে পারলাম না লেইখা। তবে অনেকদিন পর আপনার গল্প তাও আবার " পেমের গপ" পড়ে ভালো লাগলো। কানে তো মীরা বাই গানটা বাজতেছে।

লাইক এবং প্রিয়তে নিলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখায় একটা হাল্কা মেজাজের কমেডি ভাব আনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কাগযে নেমে গল্প অন্য দিকে দৌড় দেওয়ায় সেটা সম্পূর্ণ হয়নি।

প্রিয়তে এবং লাইক দেবার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ অপর্ণা।

১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

পার্থিবতার সাথে অলৌকিকতার অপূর্ব সংমিশ্রণ।

অসাধারণ। মুগ্ধপাঠ!!!!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠক!

১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

তার আর পর নেই… বলেছেন: দানো, গ্রীক দেবতা, ব্যবিলন, সাধারণ মানুষ, কেমিষ্ট্রি ক্লাস …… সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে - একটার সাথে আরেকটার যোগাযোগটা ঠিক ভাবে হয়নি।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, অনেক গুলো উপাদান একসাথে এসেছে তো, হয়তো ঠিকভাবে যুক্ত করতে পারিনি। পরের গল্পে দেখা যাক। পড়ে মন্তব্য জানিয়েছেন এতে কৃতজ্ঞ হলাম।

১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রোফেসরকে নিয়ে আর পারা গেলো না! স্বর্গীয় জিনিসকেও মাটিতে নামিয়ে এনেছেন, আর কাদামাটির মানুষদের মাঝে স্বর্গের রোশনাই বুনেছেন। বলি এমন হলে ফেরেশতা, দেব-দেবী, নানারকম মিথেরা বেঁচে থাকবে কীভাবে? আচ্ছা, মাসুদ আর মীরা কি কোন বিশেষরকম নিষিদ্ধ 'সেই' ফল খেয়েছিলো? তার উল্লেখ থাকলে গল্পটি আরো বিশেষ মর্যাদা পেত বলে মনে হয়! শুরুটা যেমন জমজমাট আর আগ্রহ জাগানিয়া ছিলো শেষে তেমন পাই নি অবশ্য। কিছুটা চটুল, তবে আপনার লেখার স্বকীয়তা বজায় থেকেছে যথারীতি।

শুভেচ্ছা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অরিজিনাল এন্ডিংটা আসলে 'হ্যাপি এন্ডিং' ছিল না। ঠিক ধরেছেন, নিষিদ্ধ ফল, আদি পাপ এবং মিথ্যে স্বর্গের কিছু কনসেপ্ট আসার কথা। কিন্তু অনেক দিন ধরে দেখলাম খালি দুঃখের গল্প লিখে যাচ্ছি, নিজের কম্ফোর্ট জোনের বাইরে এসে কিছু করা দরকার। সেই ভেবে শেষটায় কিঞ্চিৎ চটুলতা এবং রোমান্টিকতা। গল্প হিসেবে দুর্বল হয়ে গেছে, কিন্তু লিখে ভালই লাগল :)

এই কমেন্টগুলো টনিকের মতো কাছ করে। গল্পের প্রতি ভালবাসা আর বাড়িয়ে দেয়। ধন্যবাদ জানবেন হাসান।

শুভ বিকেল।

১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

শায়মা বলেছেন: শঙ্কুভাইয়া প্রেম, মীরা আবার দানো!!!!!!!!
দানোর প্রেমে পড়াটাটাই বেশি মজার লেগেছে।:)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: রূপকথার আধুনিক ভার্সন।
চমৎকার লিখছেন ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় পাঠক।

১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

ডি মুন বলেছেন: 'আচ্ছা, তাহলে সব টেকসই বন্ধন, বা রিলেশন যাই বলিস, সব কি ধুপ করে হঠাৎ একটা বিস্ফোরণের মাঝ দিয়ে তৈরি হয়?'

হুম, সেটাই হয়তো হয়। প্রবল উত্তেজনা, আগ্রহ, অনুসন্ধিৎসা, পাবার তীব্র আকুতি মানুষকে মানুষের থেকে বেশি কিছু করে তোলে। মাটির মানুষকে মনে হয় স্বর্গের মনোহরিনী। ' অর্ধেক মানবী তুমি অর্ধেক কল্পনা' । তবে বন্ধন তৈরির পর আবার তারা মাটিতে ফিরে এসে মাটির মানুষ হয়।

প্রথমে পড়তে পড়তে হাসান ভাইয়ের মত আমিও ভেবেছিলাম জমজমাট কিছু একটা বোধহয় আসছে। সে আশাভঙ্গ হলেও গল্প পাঠে ভালো লাগল।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একটা সম্পর্ক অনেক কিছুকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। কিন্তু তবু, সেখানে হঠাৎ পরিবর্তনে একটা প্রভাবকই যথেষ্ট। সকল আগুনই পোড়ে, গড়তে সাহায্য করে কতিপয়।

হা হা, আশাভঙ্গ করায় দুঃখিত, দেখা যাক সামনে বিশাল গল্প দিলে সেটা ভালো হয় কি না! এইভাবেই গল্পের শর্টকামিংসগুলো ধরিয়ে দিয়ে সাহায্য করে যাবেন আশা করি।

শুভেচ্ছা মুন।

১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: উপমাগুলো অনেক দীর্ঘকায়।। ভাল লেগেছে।।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মৌল নিয়ে কেমিস্ট্রির রুলগুলোকে নিয়ে ভালোই গল্পের বুনন করেছেন। ব্যাপারটার সাথে একেবারে অপরিচিত নই বলে হয়তো অতোটা পাঞ্চলাইন পাইনি। তবে আপনি ইশ্বর, স্বর্গ, মর্ত্য, অপ্সরা, নারী, ফেরেশতা, ইউনিভার্সিটি, দেও-দানু। হাঃ হাঃ হাঃ :)

তবে বস্তুর সাথে মীরা'র যেভাবে তূলনা করেছেন সেটার মানানসই হতে গিয়ে একটু ঘাপলা ছিল এই যাঃ। সবমিলিয়ে ভালই লেগেছে। :)

শুভেচ্ছা রইল।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কেমিস্ট্রির ব্যাপারটা আকাদেমিক অভিজ্ঞতা থেকে চুইয়ে গল্পে এসে পড়েছে, জিনিসটা কার কেমন লাগছে তা দেখছি। পজিটিভ হলে পরবর্তী কোন হার্ড ফিকশনে বিজ্ঞান আনতেও পারি!

মীরার সাথে তুলনাটা অবশ্যম্ভাবি ছিল, এড়ান যেত না। কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে গেমচেঞ্জার :)

২০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আবু শাকিল বলেছেন: গল্পের মাসুদ ত পুরাই আগুনের গোলা!

ক্লিওপেট্রা আপা ওর সাথে কথা বলার জন্যে প্রতিদিন কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন।
তিন জন স্বর্গের অপ্সরা ওকে দেখবে বলে কলেজে নতুন কোর্সে ভর্তি হয়েছিল।
সরস্বতী দেবী ওকে প্রত্যেক পরীক্ষায় নম্বর বেশি দিতেন, একবার যদি মাসুদ তাঁর দিকে ফিরে তাকায়!
---
শেষ মেষ মাসুদ মীরার সাথেই ঝুলে পড়ল।
আপনার গল্প বুনন ভাল লেগেছে।গল্পে স্বর্গের মিশেল টা আমার কাছে ঠিক যায়নি।
ধন্যবাদ প্রফেসর সাব।আমি আপ্নেরে ভারি ভারি লেখার লোক ভাবছিলাম।আপনি আসলেই ঠান্ডা মাথার মানুষ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মাসুদ ছেলেটা আসলেই ভালো। কপালও ভালো, মীরাকে পেয়েছে!

গল্পে স্বর্গের মিশেল আসলে আনিনি, ওটা প্রথমে ভেবেছিলাম ঢোকাব, কিন্তু পরে গল্প অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। সুতরাং ঠিক আছে আপনার চিন্তার পথ।

শুভরাত্রি শাকিল।

২১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: সুখপাঠ্য। :)

লেখায় একইসাথে অনেকগুলো দিক ছুঁয়ে গেছেন।

অসামান্য ভাল থাকবেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ। অসামান্য ভালো থাকুন আপনিও।

২২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮

জেন রসি বলেছেন: ভালোবাসাও একটা বিক্রিয়া বটে! প্রকৃতির পরিকল্পনার অংশ হতে পারে। তবে এটা যদি সুপারিয়র কারো পরিকল্পনা হয় তবে মানুষের হাতে তার নিয়ন্ত্রন থাকবে না। আবার কিছুটা নিয়ন্ত্রন থাকবেও। যেমন ধর্মীয় মিথ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মের ফল কি হবে তার স্বাধীনতা দেওয়া হয় নাই। তেমনি এই ধরাতেও নর নারী একে অপরের প্রেমে পড়ে। তারপর আবার অনেক কিছুর নিয়ন্ত্রনই তাদের হাতে থাকে না। মিথের জন্ম বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই হয়েছে।

আমার কাছে গল্পের ফিনিশিংটা ভালোই লাগছে। একটা অপ্রত্যাশিত ব্যাপার ছিল। অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়ে আনন্দিত হলাম। :)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। মিথ আসে আনন্দময় মিথ্যের আড়ালে, যার বীজ বাস্তবে।

গল্পের ফিনিশিং ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ রসি।

২৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: কেমিস্ট্রি ভাল বুঝিনি।
ফেরেশতাও নেমে এসে ভার্সিটিতে পড়তেছে। হা হা।
প্রথমটা ভাল লেগেছে। উত্তেজনা কাজ করছিল কি হয় কি হয়।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সৌন্দর্য সবাইকে টানে, কি করা যাবে আর! ধন্যবাদ।

২৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,




শরীরি অশরীরী নিয়ে বেশ অবাস্তব রসায়ন কষে গেছেন । তবে মানব সম্পর্কের রসায়ন বিষয়ে দুটো বাস্তব কথা কিন্তু বলে গেছেন -
এক - অনেক বন্ধনই ধুপ করে হঠাৎ একটা বিস্ফোরণের মাঝ দিয়ে তৈরি হয় ।
দুই - বহুদিন একটা সম্পর্ক আলগোছে নাড়াচাড়া করতে করতে একসময় অজান্তেই প্রচন্ড শক্তিশালি একটা যৌগ তৈরি করে ফেলে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক তাই। বাস্তব অবাস্তবের শুরু কোথায় শেষ কোথায় তার একটা নিশ্চিত সমাধান দরকার।

২৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

সায়ান তানভি বলেছেন: আপনার আগের গল্পগুলো থেকে আলাদা ।আমি কিন্তু ঐ গল্পগুলোই বেশি পছন্দ করি ।তবে আপনি যাই লিখবেন খারাপ বলার উপায় নাই :) ।আপনি খুবই কম লিখেন ,এটা গুরুতর অভিযোগ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্বাদ চেঞ্জ আর কি! বেশি বেশি লিখব, সামনে সময় পেলেই। ধন্যবাদ সায়ান।

২৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
purai epic TamiL movier moto hoise, jompesh!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এখন পিছু ফিরে তাকিয়ে মনে হচ্ছে আসলেই তামিল ছবির কিয়দংশ মনে হচ্ছে অনেক জায়গায় হাহ হা!

২৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কি অবস্থা!
গল্পটা পড়ার পড় কী কমেন্ট করবো ভাবছি।
প্রেমের গল্প বলব? তাই তা কীভাবে বলি! আমি তো থ্রিলারের স্বাদ পেলাম।
অনন্য এককথায়। মন কিছুটা খারাপ ছিল। এতোই খারাপ ছিল যে, হুহাহুদি দুই একজনের চমৎকার কবিতায় "বাজে" ট্যাগ দিয়ে এসেছি। এখন পুরোপুরি ভালো হয়ে গেছে।
থ্যাংকিউ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার কথা শুনে আমারও মন ভালো হয়ে গেল। এই গল্প লেখা সার্থক :)

২৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ভাগ্য ভালো মিরা আর মাসুদের দেখা হয়েছিল!

বরাবরের মতোই দারুণ লিখেছে শঙ্কু দা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই প্রবাসী।

২৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এ তো দেখছি ভয়াবহ অবস্থা! অামার এক বন্ধু অাছে, নাম রাতুল (ছদ্মনাম); তাকে দেখলেও...! ভাল্লাগসে!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বলেন কি! বাস্তবেও?!

ধন্যবাদ জানবেন।

৩০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১১

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: মীরা-মাসুদকে এক করে হাজার হাজার মানব-মানবী, দানব-দানবী, দেব-দেবীদেরকে ক্রাশের করাল গ্রাস থেকে উদ্ধার করার জন্য একটি ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। ;)
মিথ, প্রেম, বিজ্ঞানের মিশেলে অসাধারণ এক গল্প। ভাল না লেগে উপায় আছে!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ক্রাশ শব্দটা হঠাৎ করে এত জনপ্রিয় হবার কারণ কি? শুনলেই মনে হয় বিমান ক্রাশের কথা। অবশ্য মীরার টানে বিমান ক্রাশ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার :)

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ জনৈক ভূত!

৩১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার আরও একটি অসাধারণ গল্প পড়লাম। যাদুবাস্তবতার চমৎকার নিদর্শন এই গল্প। বিচিত্র বিষয়ে গল্প লেখার অফুরন্ত মশলা রয়েছে আপনার ভাণ্ডারে। হে শঙ্কু ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন। ;)

আর মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের সাথে মৌলের রসায়ন ধর্মের উপমা অনবদ্য হয়েছে। এখন মনেহচ্ছে একজন লেখকের বিজ্ঞানটাও ভালকরে জানা থাকা দরকার।

এখন থেকে আশা করি আবার নিয়মিত হবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখকদের আসলেই সকল কাজের পাজি হওয়া প্রয়োজন হয়। আমি তো তা পারিনে, নিজের পরিচিত ক্ষেত্রগুলি থেকে শস্য তুলে এনে কোনোমতে মাড়াই করি। সেটা আপনাকে সন্তুষ্ট করেছে দেখে আমি খুশি হয়েছি ভীষণ।

আমি তো নিয়মিত হতেই চাই, খুব করে চেষ্টা করব। শুভেচ্ছা রইল সুপ্রিয়।

৩২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: প্রথম দিক থেকে রহস্যটা যেভাবে ঘনীভূত হয়ে আসছিলো সেটা শেষের দিকে সাধারণভাবেই শেষ হয়ে গেল । ভেবেছিলাম আরো বেশি কিছু পাবো !

তবে গল্পের বুনন আর আকর্ষণ শক্তি দারুণ ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথন।

৩৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

পুলহ বলেছেন: গল্পে চরিত্রের আপস এন্ড ডাউনস [সামান্য মানুষ-< গ্রিক গড, এবং এর মাঝখানে আরো যা যা সম্ভব] এতো বেশি ছিলো যে পড়ার সময় আক্ষরিক অর্থেই ধুপ-ধাপ শব্দ শোনার একটা অনুভূতি পাচ্ছিলাম... লেখক চিন্তায় এতোটাই আলোড়ন তুলতে পেরেছেন যে পড়ার পর একটু ক্লান্ত ক্লান্তও লাগছে মনে হয়... /:)
নিঃসন্দেহে অন্যরকম গল্প। বিষয়বস্তু হয়তো ঘুরে ফিরে সেই 'চিরায়ত প্রেম', কিন্তু প্রকাশভঙ্গি, আঙ্গিক এবং বর্ণনা পাঠককে পড়ে যেতে বাধ্য করে...
গঠনশৈলী অনন্য বলেই হয়তো বা!
শুভকামনা আপনার জন্য :)
[অট.ঃ ইন্টারে অর্গানিক কেমিস্ট্রি (কেমিস্ট্রি-২) আমার অন্যতম প্রিয় বিষয় ছিলো। বিশাল বিশাল বিক্রিয়া খাতায় লেখাটা আমি বিচিত্র কারণে খুব এনজয় করতাম :) ]

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হা হা, আপনার কমেন্টটা ভালো লাগল আমার। অরগানিক কেমিস্ট্রি দেখে ভয় পেতাম একসময়, এখন সৌভাগ্যক্রমে সেটা নেই!

ধন্যবাদ পুলহ

৩৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

বিজন রয় বলেছেন: +++++

পরে কথা বলবো।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ। অপেক্ষায় রইলাম।

৩৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

শূন্যের পথিক বলেছেন: গল্পে গল্পে কেমেস্ট্রি। দারুন

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ শূন্যের পথিক।

৩৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার প্রতিটা বাক্যেই ভাবের স্ফূটন এবং গঠনের বৈচিত্র্য পাঠককে এক লহমায় পুরোটা পড়ে ফেলতে আকৃষ্ট করে!

আপনি লিখতে পারেন বটে!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিঞ্চিৎ লজ্জিত হলাম :) বিজ্ঞান নিয়ে ঘন ঘন পোস্ট দেবেন, আপনার পোস্টগুলো গুঁতিয়ে মজা আছে।

৩৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার গল্প, দুবার পড়লুম।

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

৩৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: স্বাদের ভিন্নতায় ভিন্নরকম ভালো লাগা!

শুভকামনা জানবেন প্রোফেসর। অনেক।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন দীপঙ্কর। শুভেচ্ছা রইল।

৩৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

কালীদাস বলেছেন: লেখাটা ভাল হৈছে যথারীতি, রীতিমত আকশির মত আটকায়া রাখছিল পুরাটা টাইম। সুন্দর, খুবই সুন্দর :)

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) দেরিতে উত্তর দিলাম, কিছু মনে কৈরেন না!

৪০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: দারুণ লাগলো গল্পটা, উচ্চ মাধ্যমিক রসায়নে পড়া বন্ধনগুলো কি চমৎকার মিলে গেলো জীবনের সাথে। পোস্টে ভালো লাগা জানবেন।

'তাহলে তো আমাদের মতো নরমাল পাব্লিকের আশা আছে এখনো........

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কেমন আছেন মহামহোপাধ্যায়? আশা করি ভাল!

৪১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

এহসান সাবির বলেছেন: জিনিসটা ঠিক কেমিস্ট্রির নিয়মের মতন। কিছু মৌল থাকে, তুমুলভাবে সক্রিয়; বিস্ফোরক প্রকৃতির। এরা কারও সাথে বন্ধন গড়লে তা টেকে না। ভেঙে যায়। কিন্তু একটা সক্রিয় মৌল যদি আরেকটার মুখোমুখি হয়, তখন তাদের মাঝে একটা বিক্রিয়া ঘটে, বিস্ফোরণের মাধ্যমে একটা বন্ড তৈরি হয় দুজনের মাঝে। আর কাউকে তারা আকর্ষণ করে না। কিংবা আকর্ষিত হয়-ও না। তখন তারা নিজেদের পূর্বেকার সেই বিস্ফোরক প্রকৃতি হারিয়ে ফেলে স্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

বেশ গল্প।

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান!

৪২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০০

এহসান সাবির বলেছেন: দেরিতে হলেও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। :)

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি আরও দেরিতে প্রতি শুভেচ্ছা জানাই :)

৪৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: খুবই সুন্দর লিখেছেন প্রিয় প্রফেসর। গল্পের প্লট এক্সিকিউশান, ন্যারেশন, ডিকশন থেকে নিয়ে মূল যে ম্যাসেজটা দিতে চেয়েছেন, খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে, যদিও অপার্থিব সুন্দর দুজন মানুষ একে অপরের প্রেমে পড়লে তারা আর কাউকে আকর্ষণ করে না, এটা মানতে আমার আপত্তি আছে। শেষ দৃশ্যে দুজন মানব মানবীর একে অপরের প্রেমে পড়ার ব্যাপারটি ভালো লেগেছে। শুভকামনা। :)

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার লেখালেখি আশা করি ভালই চলছে সাজিদ। অনেক শুভকামনা রইল।

৪৪| ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: শেষ পর্যন্ত মীরা আর মাসুদও সাধারণ মানুষে পরিণত হল?

অন্যরকম গল্প। ভাল লেগেছে প্রিয় প্রফেসর :)

০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, ধন্যবাদ!

৪৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: চমৎকার বর্ণনার ধরণ।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.