নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ব্যাধিবৃত্ত

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৮

১.
মোশতাক আহমেদ স্বপ্ন দেখছেন।

স্বপ্নে তিনি ফিরে গেছেন সেই ছোটবেলায়। রান্নাঘর থেকে কী সুন্দর ঘ্রাণ আসছে! লোভ সামলানো যায় না, পেট চনচন করে ওঠে ছ’বছরের মোশতাকের। চুপিচুপি ঢুকে মুঠিপিঠায় হাত দিতেই আম্মা দেখে ফেলেছেন, পিছু ডাকছেন, 'মুশু, এই পাজি, থাম থাম!' আর ও খিলখিল করে হাসতে হাসতে পুরো ঘরবাড়ি মাথায় তুলে দৌড়ুচ্ছে। হাঁড়িপাতিল উল্টে পড়ছে ঝনঝন, কাঁচের গেলাস-বাটি ভাঙছে তীক্ষ্ণ শব্দ তুলে, আম্মা বকছেন – মুশুর মনে হচ্ছে সে আজীবন এরকম দৌড়ে যেতে পারবে, পায়ের নিচে বিদ্যুৎচমকের মত পার হয়ে যাবে শহর, প্রান্তর, নদী, পাহাড়।

হঠাৎ পা পিছলে যায় মুশুর। প্রচণ্ড গতির ঝোঁক সামলাতে না পেরে সে হুমড়ি খেয়ে পড়ে মাটিতে, দু'বার ডিগবাজি খাওয়ার পর সবুজ প্রান্তরের ঘাসে ঘেঁষটাতে ঘেঁষটাতে এসে অবশেষে গতি রহিত হয়। মুশু ঘাসে মুখ ডুবিয়ে পড়ে থাকে, ঘাস তার কানে ফিসফিস করে বলে - 'ওঠেন, ওষুধ খাওয়ার সময় হৈছে।' মুশু কথা বুঝতে না পেরে বলে, 'উঁ?'

ঘাসের তাতে মেজাজ আরও গরম হয়, চীৎকার করে বলে, 'উঠেন! ওষুধ খাওয়ার সময় হৈছে, বুঝেন না বাংলা কথা?”


মোশতাক আহমেদ চোখ মেলেন। নার্সিং হোমের মেয়েটা চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে তার দিকে। মোশতাক আহমেদের অসহায় লাগে। মেয়েটা জানে তার শরীরের একপাশ সম্পূর্ণ প্যারালাইজড, তিনি গত পাঁচ বছরে একবারও নিজের শক্তিতে বিছানা থেকে পিঠ তুলতে পারেন নি। তাকে ধরে ওঠাতে হবে, বালিশ গুঁজে হেলান দেওয়াতে হবে, তারপর বাকি কাজ। সবই মেয়েটা জানে। তবুও কেন এমন খারাপ আচরণ করে?

সে মোশতাক আহমেদকে ওষুধ খাওয়ায়, অন্যদিকে তাকিয়ে থেকে বিরক্ত মুখে স্টীলের গ্লাসে পানি এগিয়ে দেয়। গ্লাসের কিনারা গিয়ে উনার ঠোঁটে-মাড়িতে ঘা মারে, তিনি নিঃশব্দে সহ্য করে নেন। তারপর শুইয়ে দিতে শুরু করলে শোয়ানোর সময় বেডের ধাতব মাথার সাথে তার মাথা ঠুকে যায়, তিনি এবারে থাকতে না পেরে অজান্তেই ‘উহ!’ করে ওঠেন, মেয়েটা কোন অনুভূতি প্রদর্শন করে না। কাজ সেরে নির্বিকার মুখে ট্রলি নিয়ে পাশের বেডে চলে যায়।

মাথার ওপরে ঢিমেতালে পাখা ঘুরছে। তিনি সেদিকে অনেকক্ষণ চুপ করে চেয়ে থাকতে থাকতে আত্মহত্যার কথা ভাবেন।

মানুষ কেন বেঁচে থাকে?

কারণ জীবন মূল্যবান। একবার হারিয়ে ফেললে আর পাওয়া যায় না। তাই? নাকি জন্ম নেওয়া মানেই দুনিয়ার সাথে, খোদার সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া; মেমোরেণ্ডাম অফ আণ্ডারস্ট্যাণ্ডিং উইথ গড। এই এই দায়িত্ব, এই এই কর্তব্য এখন তোমার ঘাড়ে – যাও, মৃত্যুর আগ অবধি পালন করতে থাকো। আর যতই জীবন তোমার নরক-সম হোক, যতই ঝড়-ঝঞ্ঝা-দুঃখ-কষ্ট আসুক না কেন, নির্ধারিত সময়ের আগে যদি নিজেকে মেরে ফেলো, তাহলে কিন্তু চুক্তি ভেঙে ফেলা হলো।

আর চুক্তিভঙ্গকারীর শাস্তি হবে ভয়ানক। সুতরাং খুব সাবধান! বেঁচে থাকো মাটি কামড়ে!

মোশতাক সাহেব জীবনে বারংবার নিজের সাথে এই কথোপকথনের সম্মুখীন হয়েছেন। বারবার ভেবেছেন আত্মহত্যার কথা। সাহসে কুলায় নি।


আট বছর বয়সে আব্বা-আম্মা দুজনেই মারা গেলেন। চাচার বাড়িতে আশ্রয় মিললো। চাচাতো দু’জন বড়োভাই ছিলো, মোশতাকের চেয়ে পনেরো আর সতেরো বছরের বড়ো। এরা ওকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন খেলা খেলতো। ক্রিকেট, ফুটবল, বরফ-পানি; মাঝেমধ্যে বাড়িতে কেউ না থাকলে ঘরের মধ্যে কুস্তি। কাপড়চোপড় খুলে এমন কুস্তি খেলাটা ভালো লাগতো না মোশতাকের। সে ছোট মানুষ, শক্তিতে পারতো না। আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও কুস্তি খেলায় সবসময় হারতো। হারলে হারু পার্টির কাজ ছিল হাঁটু গেড়ে বসে চোখ বন্ধ করে জিভ বের করে থাকা, আর তাতে জিতা পার্টি তখন বাম হাতের বুড়ো আঙুল ঘষে দেবে। ওর ভাইয়েরা আদেশ করেছিল এই খেলার কথা কাউকে না বলতে। কুস্তি খেলায় অনেকে ব্যথা পায়। চাচা শুনলে নাকি মোশতাক-কেই বকবেন।

রাতে তিন ভাই একসাথে ঘুমাতো ওরা। মোশতাক একপাশে কাত হয়ে শুয়ে পড়তো, মাঝেমধ্যে গভীর রাতে দেখতো তার শরীর পেছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরেছে ভাইদের কেউ, ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে তারা নিচুস্বরে প্রশংসা করতো - মোশতাকের শরীর কতো নরোম, দেখলেই হাতে চটকে দিতে ইচ্ছে করে। মোশতাকের ঠোঁট নাকি ঠিক মেয়েদের মতন। মোশতাক কি জানে একটা ছেলে একটা মেয়েকে বিয়ে করলে তারা কিভাবে চুমু খায়? তারপর কি করে?

মোশতাকের অনেকগুলো সকাল শুরু হতো ফুলে যাওয়া ঠোঁট আর শরীরের এখানে ওখানে কামড় নিয়ে। এমন দিনগুলোতে অসুখের ভান করে চাচা-চাচির কাছ থেকে লুকিয়ে থাকতো ও। ভাইয়েরা মিষ্টি এনে দিতো, মোশতাক-কে মেলায় নিয়ে যেত। তখন আর কান্না পেতো না ওর।

ইস্কুল জীবনে ভালো কোন বন্ধু হয় নি ওর। ভাইয়েরাই বেস্ট ফ্রেণ্ড ছিলো। তাদের বাইকের পেছনে বসে এলাকা ঘুরেছে, তারা প্রেম করলে ডাক-হরকরার দায়িত্ব পালন করেছে, তাদের কাছে লুকিয়ে লুকিয়ে বিড়ি টানা শিখেছে। ইস্কুলের গণ্ডি পার করে ভিন্ন শহরের কলেজে উঠে যখন মোশতাক অন্য মানুষের সাথে মিশলো, আস্তে আস্তে বুঝতে শিখলো তার সাথে কি ঘটতো, তখন ছেলেটা কাউকে কিছু বলতে না পেরে বাথরুমের দরজা আটকে ডুকরে ডুকরে কেঁদেছিলো, মরে যেতে চেয়েছিলো। আত্মঘৃণার, আত্মহত্যার এহেন বিষাক্ত ঘোর থেকে বেরুতে অনেকদিন সময় লেগেছিল ওর; কিন্তু ততোদিনে ক্ষতি যা হবার, হয়ে গেছে। ভেতরে একটা কিছু ভেঙে গেছে মোশতাকের, চোখে সেই দ্যুতিটা নেই, হাসিতে সেই প্রাণ নেই।

চাচা-চাচী বারবার আফসোস করতেন, ভাস্তে দূরে সরে যাচ্ছে; বাড়িতে আসে না, কথা বলে না। মোশতাক যখন টিউশনি করিয়ে নিজের খরচ নিজেই চালাবে বলে সিদ্ধান্ত নিলো, চাচীকে জানালো, চাচী অভিমান করেছিলেন ভীষণ। ওকে অকৃতজ্ঞও ভেবেছিলেন হয়তো মনে মনে। ও কিছু ব্যাখ্যা করে বলতে পারে নি। কি বলবে?

এরপরে ঈদে ও মাঝেমধ্যে যেতো চাচার বাসায়। ততদিনে ভাইদের বিয়ে হয়ে গেছে, বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ঘোরে। মোশতাক তাদের দিকে তাকালে তারা চোখে চোখে রাখতে পারে না, থতমত খেয়ে চোখ নামিয়ে নেয়, অন্যদিকে চলে যায়।”



মোশতাক সাহেবের ঘোর ভাঙে। ব্লাডারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই বহুদিন, এখন পেটের অবস্থাও ভালো যাচ্ছে না। ঘন ঘন কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, তাই নার্সেরা এডাল্ট ডায়াপার পরিয়ে রাখে। সেটা পাল্টাতেও দেরি করে আবার। এমন অপরিষ্কার রাখার কারণে তলপেটের নিচে হলুদ পুঁজভরা ফোঁড়ায় ভরে গেছে তার, আর... এখন একটা মাংসপচা বাজে গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে কেমন যেন, তাই না?

মোশতাক সাহেব ভাবেন কাউকে ডাকবেন, ডায়াপারটা পালটে দিক, সুগন্ধী স্প্রে ছড়িয়ে যাক অন্ততঃ। তিনি ক্ষীণস্বরে একটু ডাকেন, ‘নার্স, এই নার্স!’

কেউ আসে না।

তিনি ভাবেন, তিশাম এলে বলতে হবে নার্সিং হোমটা ভালো না। অন্য কোথাও যেন উনাকে রেখে আসে। অবশ্য ছেলেটা দেশেই আসতে চায় না, কবে যে আসবে! ছেলের অপেক্ষা করতে করতে মোশতাক সাহেব আরেকবার নিজের ভেতরে ডুবে যান।

ভার্সিটিতে ওঠার পরেও মোশতাকের তেমন পরিবর্তন ঘটলো না। ক্লোজ বন্ধু বানানোর ক্ষমতা নেই তার, যতটা পারে সবার সাথে মিল দিয়ে চলতো। অনার্স, মাস্টার্স আস্তে আস্তে পার হয়ে গেল, একটা বিদেশি কম্পানিতে জয়েনও করে ফেলল ও কিভাবে কিভাবে যেন – সেখানেই বীথির সাথে ওর প্রথম কথা।

বীথি চঞ্চল, হাসিখুশি একটা মানুষ। মন যা চায় সেটাই করে ফ্যালে। মোশতাক রাশভারি, গম্ভীর, একটা কিছু করার আগে দশবার ভেবে নেয়। বিপরীত বিপরীতকে টানে – কথাটা হয়তো সত্যি। ওদের কাজের আলাপ গড়িয়ে গড়িয়ে হয়ে যেতো সাঁঝের আলাপ, তারপর একসাথে কোথাও চা খেতে যাওয়া। একত্র সময় কাটাতে অজুহাত খোঁজা, কাজের ফাঁকে লাঞ্চ। বাড়ি ফিরে অফিসের ফাইলের কারণ দর্শিয়ে ফোনকল [যদিও তারা ভিন্ন ডিপার্টমেণ্টের], সেটা ফুরোতে ফুরোতে মধ্যরাত। নিয়মিত কাজ শেষে একসাথে আড্ডা, ডিনার। সিদ্ধান্তে আসতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না দু’জনের। ছোট্ট করেই বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে ফেলে ওরা।

একদিন ভালোবাসাবাসির পর দূর্বল মুহূর্তে মোশতাক বীথির চুলে আঙুল চালাতে চালাতে নরম গলায় বলে, ‘তোমাকে একটা কথা কখনো বলা হয়নি। সাহস পাই নি আসলে। শুনবে?’

বীথি কি যেন বলতে যাচ্ছিল, স্বামীর কথায় থেমে গিয়ে তার চোখে কৌতূহল চিকচিক করে ওঠে, ‘তাই?’ সে আগ্রহ নিয়ে উঠে বসে, ‘কী এমন কথা এতোদিন লুকিয়ে রেখেছো? বলো না শুনি?’

মোশতাক বলে। কাহিনীর এক পর্যায়ে পুরনো ক্ষত খুঁড়ে দুঃস্বপ্নগুলো জাগাতে জাগাতে ওর চোখ বেয়ে দরদর করে পানি পড়তে থাকে, মোশতাক অনেকক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকে। অপেক্ষা করতে থাকে, বীথির হাত কখন এসে ওকে জড়িয়ে ধরবে, ওর চোখের পানি মুছে দেবে।

কিন্তু অপেক্ষা শেষ হয় না। মোশতাক চোখ খুলে দেখে বীথি ওর দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে আছে, সেই চোখে একপ্রকার করুণা, একপ্রকার... ঘৃণা? মোশতাকের মনে হতে থাকে কোথাও বড় ভুল হয়ে গেছে একটা। ও অসহায় হয়ে বীথিকে জিজ্ঞেস করে, ‘কিছু তো বলো!’
বীথি বলে, ‘এই কথা এর আগে কাউকে বলেছো?’
মোশতাক বিহ্বল হয়ে মাথা নাড়ে, ‘উহুঁ।’
বীথির কণ্ঠ তীব্র হয়ে ওঠে, ‘তাহলে আমাকে বলার কি দরকার ছিলো?’ ও থতমত খেয়ে মাফ চাইতে গেলে বীথি ওকে প্রায় চিৎকার করে থামিয়ে দেয়, ‘আমি প্রেগনেণ্ট, মোশতাক! প্রেগনেণ্ট! ভেবেছিলাম তোমাকে সারপ্রাইজ দেবো, কিন্তু তার মধ্যে এইটা তুমি কি বললে?’

মোশতাক মরিয়া হয়ে আত্মসমর্থন করতে গেলে বীথির গলায় যেন হিস্টিরিয়া চলে আসে, ‘দাঁড়া, কথা বলবি না! আমাকে বলতে দে! আমি একটা আনন্দের খবর দিতে যাচ্ছিলাম, সেইটার মাঝখানে সে বলে তার চাচতো ভাইয়েরা নাকি তার গোয়া মারতো! ছিঃ! তুই প্রতিবাদ করেছিস কখনো?’

মোশতাক মাথা নিচু করে থাকে।

‘কোনদিন মানা করিস নাই। বুঝ আসার পরেও কিছু বলিস নাই। আজকে কেন বললি? আজকে, আমার পেটে যখন তোর বাচ্চা, তখন কেন এই কথা বললি? এই মাদারচোদ, উত্তর দে। তুই কি গে? আরেকটা নাগর আছে তোর, সেইটার কাছে মারা খাইতে যাস, এইটাই এখন বলতে চাইছিলি তো?’

বলতে বলতে কেঁদে ফেলে বীথি। মুখের থুতু নাকের শ্লেষ্মা এক হয়ে বুদবুদ ফুটে ওঠে নাকের কাছে, বীথি সেগুলো হাতের উলটো পিঠ দিয়ে ডলতে ডলতে মোশতাক-কে সর্বশক্তি দিয়ে লাত্থি মারতে থাকে, ‘বেরো তুই, বের হ! আমার সাথে এক ঘরে থাকবি না খবরদার!’ মোশতাক বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ না করে অবশ শরীরে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পেছনে দড়াম করে দরজা আটকে দেয় বীথি, তারপর বিছানায় মুখ গুঁজে ফুলে ফুলে কাঁদতে শুরু করে।

মোশতাক সেদিন ছাদে এসে সিগারেট টানতে টানতে ভাবছিলো লাফ দেবে কি দেবে না। নিজের সাথে আত্মহত্যা নিয়ে সেই পরিচিত কথোপকথন। সিগারেট শেষ করে লাফ দিতে যাওয়া সময় মনে হল, বীথি প্রেগনেণ্ট। ওহ খোদা! বীথি প্রেগনেণ্ট! আমাদের একটা বাচ্চা হবে! আমি না থাকলে কি হবে বাচ্চাটার?

মোশতাক আর লাফ দিলো না। পিছু হটে এসে আকাশের দিকে একটা নিস্ফল চীৎকার ছুঁড়ে দিলো ভীষণ, যেন তাতে অসহায় একটা আত্মার জমে থাকা সব আক্রোশ মিটে যাবে, ক্রুর বিধাতার প্রতি বঞ্চিতের সব ক্রোধ পানি হয়ে যাবে। চীৎকারের প্রতিধ্বনি মিলিয়ে যাওয়ার পর, নিঃশব্দে যে লোকটা ঘরে ফিরে গেলো, সে একটা আকণ্ঠ পরাজিত মানুষ।

তারপর কেটে যেতে থাকে সময়। ওদের ফুটফুটে একটা ছেলে হয়, নাম রাখা হয় তিশাম। বীথি ওই সময়টায় মোশতাক বা তিশাম কাউকেই কেন যেন সহ্য করতে পারতো না। তার দৃঢ় বিশ্বাস – মোশতাক সমকামি, এখনো কেউ প্রস্তাব দিলে সে কাপড় খুলে পশ্চাৎদেশ এগিয়ে দেবে। মোশতাক সমাজ-স্বীকৃত জীবনের লোভে বিয়ের নাম করে বীথিকে ধোঁকা দিয়েছে, যাতে তলে তলে বিকৃত কামনা ঠিকই চরিতার্থ করতে পারে। বীথির জীবনটা ইচ্ছে করে নষ্ট করে দিয়েছে সে। এইসব অভিযোগ-অনুযোগ বহুদিন ধরে সকল আত্মীয়-স্বজনের মাঝে ঢালাও করে প্রচারের পর বীথি যেদিন আসলেই ডিভোর্স-পেপার পাঠালো, মোশতাক সত্যি বলতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল মনে মনে। তবু জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তিশামের কথা ভাবো। তুমি ওকেও একা ফেলে যাবে?’

বীথি মুখ শক্ত করে উত্তর দিয়েছিল, ‘আমি দেশে থাকবো না। বাইরে যাচ্ছি, সেখানে সব ঠিকঠাক করে তিশামকে নিয়ে যাবো। ততদিন যদি তিশামের কিছু হয়, খবরদার। চাইলেই জেলের ভাত খাওয়াতে পারি তোমাকে, মনে রেখো।”



মোশতাক সাহেব আর মনে করতে চান না। তিনি বাস্তবে ফিরে আসতে চান, কিন্তু বাস্তব দুনিয়ায় তার চারিপাশে মৃত্যুর দুর্গন্ধ আর অচল শরীর – অতীতে ফেরা ছাড়া আর কি করার আছে?


তিশামকে মোশতাক ভালোবাসতো বলা ভুল হবে। মানুষ কি অক্সিজেনকে ভালোবাসে? তিশামের জীবনকে পরিপূর্ণ করার জন্য যত যা করা সম্ভব মোশতাক করতো, ছেলেও এদিকে বাপের ভক্ত। কিন্তু আস্তে আস্তে ছেলে বড়ো হতে লাগল, মোশতাক অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো ছেলে বাপকে গণ্য করছে কাজের লোকের মতন। কেমন যেন একটা চাপা তাচ্ছিল্য। এই লোকটা আমাকে প্রতিপালন করে, করবেই তো, বাপেদের এটাই তো কাজ। এই কাজে কোন গ্ল্যামার নেই।

কিন্তু গ্ল্যামার আছে মায়ের জীবনে। মায়ের প্রতি ছেলের ফ্যাসিনেশন বাড়তে থাকে। মা তো শাসন করে না, না চাইতেই দামি ব্র্যাণ্ডের গিফট পাঠায়, ছেলের মন বোঝে। মোশতাক অফিস থেকে ফিরে এসে দেখে – ছেলে অনলাইনে কথা বলছে মায়ের সাথে, নাক কুঁচকে বলছে – এই দেশের অবস্থা তো জঘন্য, বুঝলে মা? তোমাদের ওখানকার সিস্টেম সুন্দর! তারা একমত হয়ে এমন বিবিধ গল্প করতে করতে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে, দু’জন কি উচ্ছ্বল! ছেলে বাপকে ছবি দেখায় – দেখো ওই দেশ কত সুন্দর, মা কত স্মার্ট, দেখেছো? মোশতাক কথা খুঁজে পায় না। চোখের সামনে সে অসহায় হয়ে দেখে নিজের ছেলে অন্যের হয়ে যাচ্ছে।

ক’দিন পর কলেজ পাস করার পর ছেলে আবদার করে, ‘বাবা আমি বাইরে গ্র্যাজুয়েশন করি?’
মোশতাক এতোদিন এটার ভয়-ই পাচ্ছিল, ‘কোথায় যেতে চাও?’
ছেলে উৎসাহে ডগমগিয়ে বলে, ’মা-র কাছে! মা বলেছে এপ্লাই করলেই হবে, আর সব ব্যবস্থা ওখান থেকে হয়ে যাবে। আমার বিদেশ খুব ভালো লাগে বাবা, আর বাইরের ডিগ্রি থাকলে ক্যারিয়ারে অনেক সুবিধা, বলো? যাই প্লিজ?’

মোশতাক বুকে পাথর বেঁধে ছেলের বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি খুঁটিনাটি সব গুছিয়ে দেয়। কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে বিদায়ের ঠিক আগ মুহূর্তে নিজেকে সামলাতে পারে না, ছেলের হাত ধরে আকুল হয়ে বলে, ‘বাবা, ফিরে আসবি তো? আমি যে একা হয়ে গেলাম!’

ছেলে হাসিমুখে আশ্বাস দেয়, তারপর উড়োজাহাজ তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায় মোশতাকের বুক থেকে দূরে, অনেক দূরে।

এরপরে মোশতাক খুব দ্রুত বুড়ো হতে শুরু করে।
ছেলে তার ফেরে না। বিভিন্ন অজুহাত। কাজ। পড়ালেখা। মাস্টার্সের পর পিএইচডি। ডিগ্রির পর ডিগ্রি নিতে হবে, দেশে ফেরার সময় কোথায়? মোশতাক এইভাবে ধীরে ধীরে মোশতাক আহমেদ হয়ে যান। অবসর নিয়ে নেন। বীথির মৃত্যুখবর পান ছেলের কাছে। ছেলে কাঁদে, তিনি সাতসমুদ্র তেরো নদী দূর থেকে সান্ত্বনা দেন। ছেলে বিয়ে করে, নাতিনাতনি হয়, তাদের কথা আর ছবি অনলাইনে দেখে দেখে তিনি সাধ মেটান। ছেলে একদিন প্রস্তাব করে, বাপকে নিজের কাছে নিয়ে আসার। শুনে মোশতাক আহমেদের বুকে যেন পদ্মার ঢেউ জাগে। তিনি ভেতরের রোমাঞ্চ চেপে রেখে লজ্জা লজ্জা মুখে জিজ্ঞেস করেন, ‘সত্যি? তোদের কষ্ট হবে না?’ ছেলে বলে, ‘কি যে বলো বাবা! তুমি কাগজ রেডি করো।’ তিনি দুরুদুরু বুকে সবকিছুর তৈয়ারি করতে শুরু করেন। ওই দেশে গিয়ে কি কি করবেন, নাতিনাতনিদের সাথে কিভাবে আনন্দ করবেন – এসব ভেবে উত্তেজনায় রাতে তার ঘুম আসে না।

এবং বিধাতার পরিহাস - তার দু’দিন পরেই, মোশতাক আহমেদ স্ট্রোক করলেন।

খবর পেয়ে অবশেষে, অবশেষে তিশাম বাপকে দেখতে আসে। স্ট্রোকের কারণে মোশতাক আহমেদের একপাশ সম্পূর্ণ অবশ হয়ে গেছে, তিনি তবুও একটা হাতে ছেলেকে আঁকড়ে ধরার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। ছেলে বিষণ্ণ মুখে জানায়, ‘এমন অবস্থায় কিভাবে তোমায় নেবো বাবা? তুমি সুস্থ হলে, তারপর...’

মোশতাক আহমেদ জিজ্ঞেস করেন, ‘এই রোগ কী ভালো হয় রে?’
ছেলে চুপ করে থাকে।
ক’দিন সঙ্গ দেয়।

তারপর হাসপাতাল থেকে বাপকে সরিয়ে এই নার্সিং হোমে রেখে আবার উড়াল দেয় বিদেশে।

মোশতাক তারপর বারবার আত্মহত্যার কথা ভাবতেন। নরক আর কতই খারাপ হবে? এই দুনিয়ায় বেঁচে থাকার কোন মানে নেই আর। তার কোন দায়িত্ব নেই, কোন কর্তব্য নেই, কারুর সাথে কোন চুক্তি নেই।

কিন্তু একটা ক্ষুদ্র আশাবাদ তাকে বাঁচিয়ে রাখে।
মোশতাক আহমেদ নিজেও এর ব্যাখ্যা জানেন না।
তবুও তো পেঁচা জাগে,
গলিত স্থবির ব্যাং আরও দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
আরেকটি প্রভাতের ইশারায় ---”



তীব্র দুর্গন্ধে মোশতাক আহমেদের স্বপ্নঘোর টুটে যায়। তিনি তার সচল হাতটা বহুকষ্টে নাড়িয়ে দেখেন, ডায়াপার ফেটে গেছে, দুই দিনের জমা মলমূত্র আর পুঁজের মাঝে তিনি চলৎশক্তিহীন পড়ে আছেন। মোশতাক আহমেদ শ্বাস নিতে চেষ্টা করেন, কাউকে ডাকার চেষ্টা করেন, কিন্তু পারেন না। জিভ উলটে গলার ভেতরে চলে গেছে। দম আটকে আসে তার, তড়পাতে তড়পাতে অসহায় মানুষটার মুখ নীলচে রঙ ধারণ করে।

তারপর একেবারে নিথর হয়ে যায়।




২.
ম্যাজিস্ট্রেট বসে বসে টেকনিশিয়ানের সাথে আলাপ করছেন, ‘এইটা কয় নম্বর গেলো যেন?’
-‘চার নম্বর, সার।’
‘কেবল? তারমানে আরও একুশটা আছে!?’
-‘জি সার।’
‘আসামী কি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো এবারো?’
-‘না সার। অটো-সাজেশন দেওয়া আছে। এখন চাইলেও আত্মহত্যা করতে পারবে না, মনের ভেতর থেকে সায় পাবে না।’
‘প্রতিবার কি ট্রমার পরিমাণ বাড়াচ্ছো? নাকি একেক জীবনে একেক রকম ট্রমা ফেস করবে?’
-‘চেষ্টা করছি সার ভ্যারাইটি রাখার। নিয়ম হচ্ছে ওর একজন ভিকটিম যা অনুভব করেছিলো, সেটায় ফোকাস করা। ট্রমাগুলা ক্রমান্বয়ে একটা জীবন কিভাবে ধ্বংস করে দেয় সেইটা ক্রমশঃ জ্যামিতিক হারে বিবর্ধিত করে করে অনুভব করাতে হয়। যদিও মাঝে মাঝে দুই একটা সুখস্মৃতি মিশিয়ে দিতে হয়, নইলে মস্তিষ্ক বাস্তব বলে মেনে নিতে চায় না। সার, দেখেন, মনে হয় জ্ঞান ফিরেছে আসামীর...’

মোশতাক তীব্র আলোর নিচে ঘোলাটে চোখে মিট মিট করে তাকায়। ওর পেছনে দাঁড়িয়ে একজন একঘেয়ে গলায় বলে যায়, ‘আসামী - মোশতাক আহমেদ, বয়স - একচল্লিশ বছর। অপরাধ – আট ও দশ বছরের দুইটি শিশুকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করতে করতে খুন করা। আদালত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি – ২৫ বার জীবনদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এই মুহূর্তে চার নম্বর জীবন সমাপ্ত হলো। পরবর্তী জীবন শুরু করার জন্যে উপস্থিত কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রার্থনা করা যাচ্ছে।’

ম্যাজিস্ট্রেট আসামীর দিকে একবার তাকিয়ে দেখেন। পুরো মুখ ঢাকা, কিন্তু চোখ দুটো দেখা যাচ্ছে, দরদর করে চোখের পানি ঝরছে। মোশতাক তার দিকে তাকিয়ে চীৎকার করে কি যেন বলতে থাকে, ক্রোধ নাকি জিঘাংসা নাকি ক্ষমাভিক্ষা - মুখোশের আড়ালের কারণে কিছু বোঝা যায় না। ম্যাজিস্ট্রেটের শরীর ঘিনঘিন করে ওঠে। তিনি গলা খাঁকারি দিয়ে বলেন, ‘অনুমতি প্রদান করা হলো।’ তারপর নিচু গলায় যোগ করেন, ‘ট্রমা-টা বাড়ায়া দিও হারামজাদার।’

শুনে মোশতাকের চোখ বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে আতঙ্কে।

টেকনিশিয়ান মাথা নেড়ে একটা বাটন টিপে দেয়।

বিপ!



মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫০

পদ্মপুকুর বলেছেন: বেশ কঠিন প্লট। আচ্ছা, নামটা কি অটোচয়েস নাকি ইচ্ছেকৃত?

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কঠিন হয়ে গেছে কি বেশী?
নামটা ভেবেই দেওয়া, প্লটের সাথে মিল রেখে।

ধন্যবাদ প্রথম পাঠের জন্য, পদ্মপুকুর!

২| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: বাপরে! কি হল শেষে এসে !! :||

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠকের এমন এক্সপ্রেশন দেখলে ভালো লাগে B-))

৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: না কঠিন হয়ে যায়নি। আমি বলতে চাইছি যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে তাকে আনা হয়েছে, সেই গল্পটা বেশ কঠিনভাবে আপনি এঁকেছেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এবার বুঝতে পেরেছি! কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উপভোগ্য লেখা।  সুখময় হোক সাহিত্যে বিচরণ ।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ গল্প।
ভাষা সুন্দর।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব!

৬| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৫

বিজন রয় বলেছেন: গল্প পড়তে এসেছিলাম, কিন্তু না পড়ে চলে গেলাম। সময় হলে পরে পড়বো।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক আছে বিজন। অপেক্ষায় রইলাম।

৭| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হোয়াট এ সারপ্রাইজ! আপনার মেইল পেয়ে অবশ্য রিপ্লাই দেয়ার আগেই আপনাকে লগ ইন হতে দেখলাম তাই আর রিপ্লাই করা হয় নি! বহু দিন পেলাম আপনাকে। এসেই বুঝিয়ে দিলেন - কেন আপনার অভাব আমরা অনুভব করি।

আসলে গল্পটা যেভাবে দৃশ্যায়ন করেছেন চমৎকার বলব না ভয়াবহ বলব তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছি। প্রথমে দ্বিধায় ছিলাম, পরে বুঝলাম আমরাও আসামীর সাথে চার নাম্বার ট্রমা অনুভব করেছি। মুল গল্পটা তো শ্রেফ দুই লাইনের।

যদি বুঝতে ভুল করি, তাহলে অবশ্যই জানাবেন।

ওয়েলকাম ব্যাক!!!

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আরে, কাভা! ভাল আছেন নিশ্চয়ই!

মেইল পাঠিয়েছিলাম ইমেইল বিভ্রাটে পড়ে, সলভ হয়েছে; আপনাকে ধন্যবাদ জিনিসটা দেখার জন্যে।

'মূল গল্পটা স্রেফ দুই লাইনের' - আসলেই তাই। পাঠক চার নম্বর জীবন-টা যাপন করতে দেখেছেন মোশতাককে। আপনার ধারণা সঠিক :)

নিয়মিত লিখতে চাই, কাভা। পাশে থাকার জন্যে বরাবরের মতই কৃতজ্ঞতা।

৮| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলাগা +++

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা!

৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৭

নতুন বলেছেন: অনেক দিন পরে গল্প পড়ে মনে ধরলো। কাহিনি নিয়ে ছবি বানানো যাবে ভাই। +++

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হা হা, তাই নাকি? প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, নতুন।

১০| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩১

মা.হাসান বলেছেন: প্রথম পর্বে মোস্তাকের ব্যপারে কিছুটা মন খারাপ লাগছিলো, নামকরণটাও কাকতালীয় ভেবেছিলাম। ২য় পর্বে অসাধারণ টুইস্ট রেখেছেন। হ্যাটস অফ।

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এরকম juxtaposition দেখানোর চেষ্টাই ছিল। ধন্যবাদ পাঠক।

১১| ১৪ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:০৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: দারুন গল্প। প্রথম অংশে মোশতাকের জন্য খুব খারাপ লাগছিলো। কিন্তু শেষে বুঝলাম। শিশু ধর্ষণকারীর এই জাতীয় শাস্তিই পারফেক্ট। ৪ নম্বর ট্রমাতেই এই রকম নরকের মত লাগলে বাকী একুশটা কতটুকু মর্মান্তিক হবে কে জানে!

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আরও কুটিল, আরও নরকোজনিত!

১২| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:২৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: What goes around comes around.
একেবারে অন্য লেভেলে নিয়ে গেছেন।

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা :)

১৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:২১

জাফরুল মবীন বলেছেন: মনোজগত নিয়ে আগ্রহ ও অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার কারণে এ গল্পের প্লট খুবই ভালো লেগেছে।আমি আপনার প্রফেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড জানি না।কিন্তু পেডোফিলিয়ায় ভিকটিম ও প্যারাফিলিকের মনোজাগতিক অনুভূতি এত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে সেটা আমার কাছে বিষ্ময়কর মনে হয়েছে।

আমি দীর্ঘ ৫বছর পর ব্লগে ফিরেছি করোনা বিষয়ক কিছু সচেতনতামূলক পোস্ট উপস্থাপনের জন্য।অনুসরণে থাকায় গল্পটা নজরে আসল।হয়ত অনেকদিন এ গল্পটি মাথায় গেঁথে থাকবে।

আপনার লেখনিতে সামু আলোকিত হউক।আপনার গল্প পাঠ করে সামুর পাঠকরা সিক্ত হোক আনন্দ পাঠে ও জ্ঞানে।

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শাহাদুজ্জামানের একটা ছোট গল্প আছে হুইলচেয়ারে বন্দী মানুষকে নিয়ে, নাম ভুলে গেছি। কিন্তু অনেকদিন সেটা মাথার ভেতরে ঘুরেছিল আমার। এই বিষয়গুলো আমাকে দারুণ ফ্যাসিনেট করে।

আপনার তথ্যবহুল পোস্টগুলো মূল্যবান। আরও লিখুন। সমৃদ্ধ হোক সামু।

শুভকামনা জানবেন।

১৪| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমি ব্লগিংয়ে অ্যাকটিভ থাকাকালীন সামুতে কোন গল্প স্টিকি হতে দেখিনি।কখনও হয়েছিলো কিনা তাও জানার চেষ্টা করিনি।বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ পেডোফিলিক আছে এবং তাদের রয়েছে অগণিত ভিক্টিম।যাদের বেশিরভাগই থেকেছে এবং থাকছে নীরব কিন্তু চাইল্ডহুড ট্রমা তাদেরকে পরবর্তী জীবনে স্বাভাবিক থাকতে দেয়নি।প্রাপ্তবয়স্ক অনেক মনোরোগির রোগের গোড়া কিন্তু চাইলহুড সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট।বাংলাদেশে এ সমস্যাটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে সচেতনতার অভাবে।এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে আপনার গল্পটি একটা চমৎকার টুল হিসাবে কাজ করবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।আর তাই....

এ গল্পটিকে স্টিকি করার জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ রইলো।

১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্টীকির জন্যে আপনি যে সুপারিশ করেছেন - এইটেই আমার কাছে বিশাল কিছু। আবারো মন থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে, জাফরুল মবীন।

১৫| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গতকাল কাভার কাছে শুনলাম আপনি ব্লগে গল্প দিয়েছেন , তাই আজ পড়তে এলাম।
১ নাম্বার পার্ট পড়তে পড়তে ভাবতাছিলাম এমন ম্যাড়ম্যাড়ে লাগে কেন , ২ নাম্বার পার্টে এসে নতুনত্ব পাওয়া গেলো।
বীথির আচরণটা অমানবিক মনে হচ্ছিলো মোশতাকের প্রতি কারণ সে ভিক্টিম ছিল। ২ নাম্বারে এসে তাঁর অপরাধের ফিরিস্তি পাওয়া গেলো।
একটা নক দিয়েন, আইডি খুঁজে পাচ্ছি না মেইলে।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কতদিন পর আপনার খোঁজ পাওয়া গেল বলতে পারেন? খুব খুশি হয়েছি দেখে।

ভাল আছেন আশা করি।

১৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৩

বিজন রয় বলেছেন: প্রায় ২ বছর পর এসে পোস্ট দেওয়া শুরু করেছেন।
এখন থেকে নিয়মিত পাবো আশা করি।

গল্পটা এখন সময় নিয়ে পড়লাম।

প্লট ব্যতিক্রম কিন্ত বর্ণনা ও উপস্থাপনা আরো সাবলিল ও ঝরঝরে হতে পারতো।

শুভকামনা রইল।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেষ্টা থাকবে, বিজন। গঠনমূলক সমালোচনার জন্যে ধন্যবাদ। অনেক দিন না লিখে হাতে মর্চে ধরে গেছে তো, ঠিক হবে আস্তে আস্তে :)

ভাল থাকবেন।

১৭| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনার গল্পের টুইস্টগুলো দারণ লাগে!

নিয়মিত লেখা পাবার আশায় রইলাম .....

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেষ্টা করবো সুপ্রিয়। ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

১৮| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


ওহ মাই গড! কী দেখলাম একে আর কী দেখলাম দুইয়ে!
আপনার গল্পে আর থামবো না। ফিরে গিয়ে আবার পড়বো না!
ট্রমাচ্ছন্ন হয়ে গেলাম!

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ট্রমার জগতে স্বাগতম B-) আপনার রিয়্যাকশন দেখে ভাল লাগছে ভীষণ!।

১৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৩

শের শায়রী বলেছেন: কি অসাধারন প্লট। আপনি আমাকে মুগ্ধ করে গেলেন। পেডোফিলিক দের নিয়ে এত অসাধারন গল্প লেখা যায় জানা ছিল না।

আবারো মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম ভাই।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মুগ্ধতা সাদরে গৃহীত হলো! আপনাদের কথাগুলো কলমে কালি জোগায়।

২০| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

শায়মা বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়েছে এটা একটা এমনই সায়েন্স ফিকশন যেখানে বিজ্ঞানী মুশুকে নিয়ে নানাবার নানা ট্মমার মাঝে দিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এমন শাস্তি ব্যাবস্থা আদালতে থাকলেই হয়েছিলো আর কি!!

মানুষ জীবনেও অপরাধের নাম করতো না ! হা হা হা

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সায়েন্স ফিকশন বলাই যায় এটাকে। মৃত্যুদণ্ড সরিয়ে এমন কিছু হলে কেমন হতো?

২১| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কে বলে, আমাদের ব্লগে ভালো ব্লাগর নেই - ভালো গল্প নেই! গল্প পড়ার মতো পাঠক প্রয়োজন। আপনার গল্প খুবই ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ, এমন গল্প আরো চাই। অবসরে লিখুন আমাদের সাথেেই থাকুন।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিখতে সুবিধা হচ্ছে, এমন অবসর তো সহজে মেলে না! আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই পড়ার জন্যে।

ব্লগে ভালো লেখক অসংখ্য, শুধু একটিভ বিভিন্ন সময়ে হন বলে চোখে পড়ে কম। আমি সবার লেখা পড়ছি ক'দিন ধরে, বেশ মানসম্পন্ন লেখা আসছে। আমি আশাবাদি।

২২| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
অসাধারণ!!!!!

শেষে এসে আকাশ থেকে মাটিতে পড়লাম।

হ্যাপি ব্লগিং। :)

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আকাশ থেকে মাটিতে ফেলতে পেরে আনন্দিত :)

হ্যাপি ব্লগিং, প্রিয়।

২৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভিন্ন রকম একটা গল্প , চমৎকার ভাষা শৈলী । আমার অবাক লাগে বিষয়টি পাপের বিবেচনায় অনেক বড় পাপ এ অপরাধের কঠিন শাস্তি বিধান আবশ্যক ।


দারুন লিখেছেন প্রফেসর ।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবিসাহেব, আপনার পাঠপ্রতিক্রিয়া পেয়ে আনন্দিত হলাম। শুভকামনা।

২৪| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

শায়মা বলেছেন: এক্কেবারে যাকে বলে মরার উপর খাড়ার ঘা তাই হত!!!!

মানুষ মৃত্যুর পরেও মৃত্যুর কথা আর মুখেও আনতো না!!! :P

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাঃ হাঃ, বেশ ভালোই হতো তাহলে :D

২৫| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধ পাঠ!

গল্প হো তো এয়ছি ;)
হা হা হা

নদী শুকাইলে দাগ যায না, আদা শুকাইলে ঝাঝ যায় না
পুরান ব্লগারের লেখনির মজা যায় না :)

+++

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: 'নদী শুকাইলে দাগ যায না, আদা শুকাইলে ঝাঝ যায় না'

কথাটা দারুণ তো! মাথার ভেতর নিয়ে নিলাম :)

আপনাকে দেখে, আপনি নিয়মিত এখনো লিখছেন, এটা দেখে - ভালো লাগছে। ব্লগের পুরনো মানুষগুলো পরিবারের মতন হয়ে যায় আসলে। ভালোবাসা নেবেন ভৃগু!

২৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ব্লগে এর আগে কয়েকবার অসাধারণ শব্দটি ব্যবহার করেছি। কিন্তু আজ নিজেই এযাবৎ কালের ব্যবহৃত শব্দের ওভারট্রাম্প করলাম। পাওয়ারফুল 'অসাধারণ'। ++

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৪ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাস ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, সুপ্রিয়।

২৭| ১৪ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো সিস্টেম বের করেছেন। যুগান্তকারী আবিষ্কার। আমাদের কলকাঠি নাড়ছে যারা তাদের কাছে এগুলি পৌঁছোনো উচিত। সাংঘাতিক অবস্থা!

১৪ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যারা বলেন - মৃত্যুদণ্ড উঠিয়ে দেওয়া উচিত, তাদের সাথে আমি সহমত হবো - যদি এইরকম কিছু করা হয়!

২৮| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১১

রাকু হাসান বলেছেন:


বাহ চমৎকার ! বেশ ভালো র্টান করলো গল্পটি ২য় পর্বে। কিছু সত্য কথা বলেছেন । যা অনেকেই বলতে চায় না । মনে হচ্ছে পাঠকদের ভালো ঘুরাতে পারবেন । আপনার গল্প খুব একটা পড়া হয় নি । তবে অবশ্যই পড়ার আশা রাখি। প্রত্যাশা নিয়মিত গল্প পাব । আজ সন্ধায় তিনটি গল্প পড়লাম । এটা একদম ভিন্নধাচের । তিশাম আলোর সন্ধানি দিতে পারতো । তিশামের ব্যাপারটা সামাজিক প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিক বটে। তবে শেষটায় এসে দারুণ ভাবে শেষ করেছেন । :)

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এক নম্বরে সিন সেটিং করা, দুই নম্বরে সেটা উল্টে দেওয়া - এরকম প্লান ছিলো একটা। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম :)

২৯| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার গল্প। আমি অভিভূত, আনন্দিত।

শেষের দিকের টুইষ্টটা মনে রাখার মত। আপনি সেই ডাইনোসর আমলের ব্লগার, গল্পেও নিজের জাত চিনিয়েছেন।

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ২:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দেখুন তো, চোখের পলকে জীবন্ত জীবাশ্ম হয়ে গেছি। কপালে সামনে যে কি রেখেছেন ভগবান :) :)

কমেন্টে মন খুশি হয়ে গেল, প্রিয় পাঠক। ভাল কাটুক আপনার রাত্রি, দিন।

৩০| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩০

ডি মুন বলেছেন: ইন্টারেস্টিং।
সুন্দর প্লটের গল্প।


ব্ল্যাক মিরর সিরিজের 'হোয়াইট বেয়ার' নামে একটা এপিসোড দেখলাম কিছুদিন আগে। সেখানেও অনেকটা এরকমভাবে জীবনদন্ড দেয়ার মাধ্যমে একজন অপরাধীর শাস্তি দেয়া হয়। ঘুম থেকে উঠে কিছু মনে করতে পারে না, তাকে বন্দুক হাতে তাড়া করে কিছু মানুষ। কেউ তাকে সাহায্য করে না। বরং মোবাইলে ভিডিও করতে থাকে। প্রচণ্ড আতংক আর মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে ছোটাছুটি করে সে। এভাবেই বারবার তার শাস্তি হয়।


০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হোয়াইট বেয়ার জিনিসটা দেখলাম। অ্যান্থলজি পুরোটাই অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে, এত সুচিন্তিত একটা সিরিজ!

আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল মুন। শুভকামনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.