নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি ও কবিতা - ১

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৪১

আলিএঁ কালিএঁ বাট রুন্ধেলা

(কাহ্নপাদানাম্)



আলিএঁ কালিএঁ বাট রুন্ধেলা।

তা দেখি কাহ্ন বিমণা ভইলা।।

কাহ্ন কহিঁ গই করিব নিবাস।

জো মণ গোঅর সো উআস।।

তে তীনি তে তীনি তীনি হো ভিন্না।

তণই কাহ্ন ভব পরিচ্ছিন্না।।

জে জে আইলা তে তে গেলা।

অবণাগবণে কাহ্ন বিমণা ভইলা।।

হোরি সে কাহ্নি নিঅড়ি জিনউর বট্টই।

ভণই কাহ্ন মো হিঅহি ন পইসই।।





কবি পরিচিতিঃ

নামঃ কাহ্নপা।

জন্মঃ ৬৭৫ খ্রীষ্টাব্দ (আনুমানিক)।

মৃত্যুঃ ৭৭৫ খ্রীষ্টাব্দ (আনুমানিক)।

বাঙলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের অন্যতম কবি। ১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে -চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়- নামে যে পদ-সঙ্কলন আবিষ্কার করেন, তা-ই চর্যাপদ নামে পরিচিত। এই সঙ্গলনের মোট ৫১টি পদের মধ্যে সাঁড়ে ছেচল্লিশটি পদ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া একটি পদ-সহ মোট ১৩টি পদই রচনা করেন কাহ্নপা। তিনি বাঙালী ছিলেন, তবে উড়িষ্যাবাসী বলেও অনেকে দাবি করেন। মোটা ২২জন কবির এই পদগুলো বাংলা, হিন্দী, মৈথিলী, উড়িয়া বা অসমীয়া ভাষার আদি নিদর্শন বলে দাবি উঠেছে। অনুমান করা হয় যে, চর্যাপদের রচনা-কালে এই সমস্ত অঞ্চলে একটি সাধারণ ভাষা ছিলো। মোটামুটিভাবে ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে চর্যাপদগুলো রচিত হয়েছে বলে পন্ডিতদের ধারণা। চর্যাপদে রহস্যময় ভাষায় বৌদ্ধ সহজিয়া সিদ্ধাদের গুহ্য সাধনতত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। সেই সঙ্গে এগুলোতে বিধৃত হয়েছে সে সময়কার সমাজের নানা চিত্র এবং জীবনের নানা পরিচয়। চর্যাপদের সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিও একালের পন্ডিত ও সাহিত্যি-রসিকদের কৌতূহল জেগেছে। -আলিএঁ কালিএঁ বাট রুন্ধেলা-(তার কবিতা)-র সূত্র: Buddhist Mystic Songs. সম্পাদনা: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।



সহায়ক গ্রন্থঃ হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী; বাংলা সাহিত্যের কথা (১ম খন্ড) : মুহম্মদ শহীদুল্লাহ; চর্যাগীতিপদাবলী : সম্পাদনা- সুকুমার সেন; চর্যাগীতিকা : সম্পাদনা- মুহম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-১

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫৮

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: মোটামুটি একটা শিক্ষাসফর হলো সাত সকালে। ধন্যবাদ ভাই শেকড়ের গন্ধ শুকানোর জন্য।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৩৫

স্বাক্ষর শতাব্দ বলেছেন: +++++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.