নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ জুঁড়ে আছে আমাদের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনেরা। নিতান্তই ভুল জেনে না থাকলে, খুব সম্ভবত এদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায় অন্যতম সংখ্যাগরিষ্ঠ, অন্তত সংখ্যার দিক থেকে।
ছোট বেলা থেকে আজ পর্যন্ত আমার অনেক হিন্দু বন্ধ-বান্ধব থাকলেও ধর্ম নিয়ে কখনো ওদের সাথে খোলামেলা আলোচনা হয়নি। অবশ্য বয়স অল্প থাকায় ঐ বিষয়টা কখনো মাথায়ই আসেনি। কিন্তু বাংলাদেশ তথা পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর বসবাস। খুব পাশাপাশি থাকার পরেও কেন যেন ধর্মের ব্যাপারে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ব্যাপারে একটু নিরব শীতলতা বরাবরই আমার চোখে পড়েছে। ব্যাপারটা নিতান্তই ব্যক্তিগত, সেটা বুঝতে পারি।
অথচ বাংলাদেশেই, আমাদের আশে পাশে তাকালেই অনেক কিছুতেই হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত অনেক বিষয় চলে আসে। যেমন বিভিন্ন জায়গার নাম, ধরুন লক্ষীপুর, নারায়ণগঞ্জ, জয়দেবপুর, কালীগঞ্জ ইত্যাদি। আবার ছোটবেলা থেকেই গ্রামের বাড়িতে শিববাড়ির মেলা, শিব মন্দির এমন কত কিছু দেখেছি। যতদূর জানি, অনেক আগে (উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের আগে) এই উপমহাদেশে হিন্দু ধর্মটাই প্রধান ধর্ম ছিলো। ভুল জেনে না থাকলে, এমনকি আমাদের অনেক আগের পূর্ব পুরুষরাও সম্ভবত হিন্দু ছিলো। সবকিছু মিলিয়ে হিন্দু ধর্মের / ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমাদের একটা দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, অথচ হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে আমারা খুব বেশী জানি বলে মনে হয়না। কিন্তু জানার কৌতূহলটা আমি কখনোই দমে রাখতে পারিনি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি বিগত ৪/৫ বছর ধরে বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছি, জানার জন্য। না, আমি আমার বিশ্বাস নিয়ে দ্বিধান্বিত নই। কেবলই জানার কৌতূহল।
যাইহোক, এই লিখাটার কারণটা একটু ভিন্ন। অতি সম্প্রতি অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে আমি হিন্দু ধর্মের "ত্রিদেব" ধারণাটা সম্পর্কে জানতে পারি। যার মূল সারাংশ এমন, তিনজন প্রধান ভগবান আছেন, ব্রহ্মদেব, বিষ্ঞু এবং মহেশ বা শিভা। তাদের দায়িত্বও ভিন্ন। শুধুমাত্র ব্রহ্মদেব ছাড়া বাকি দু'জনের বেশ বড়সড় সংখ্যার অনুসারী আছেন। যে যার পছন্দমতো ভগবানকে পুজো করেন।
মজার বিষয় হলো, অনেকে আবার পৃথকভাবে রাম বা কৃষ্ঞ (দু'জনেই বিষ্ঞুদেবের অবতার) -র পুজো করেন। অন্যদিকে হনুমান বা শিভের অবতারকে পুজো করেন। পাশাপাশি মহাদেব বা শিভের ছেলে গণেশ বা কার্তিকের পুজো করেন। ব্যাপারগুলো অামার কাছে একটু কনফিউসিং মনে হয়েছে।
তাই, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোন যারা বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে জানেন কেবল তাদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। পুরোপুরি পরিষ্কার না জেনে ভুল মন্তব্য না করার অনুরোধ রইল।
১। অনেকে বলেন, বিষ্ঞু এবং শিভের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তাহলে দু'টি সুর্নিদিষ্ট অনুসারীর গ্রুপ কেন হলো? উনাদের পুজোর নিয়মও ভিন্ন এটা আমি জানি। অাসলেই কি তারা ভিন্ন?
২। বাসুকি কে কেন্দ্র করে, শিভ একবার বিষ্ঞুদেবকে ত্রিশুল ছুঁড়ে মৃতপ্রায় করে ফেলেছিলেন। যদিও মহাদেব পরে নিজেই তা ত্রিশুল ফিরিয়ে নেন। আবার মহাদেব ব্রহ্মদেবেরও একটা মাথা কর্তন করেছিলেন তা ত্রিশুল দিয়ে। কারণগুলো আমি ভালো করেই জানি কেন সেটা হয়েছিলো। প্রশ্ন হলো, মহাদেবকে প্রায় সবা্র চেয়েই শাক্তিশালী মনে হয়েছে আমার। এ কারণেই কি তাকে "দেবতাদের দেবতা" বলা হয়? নাকি অন্য কোন কারণ আছে?
৩। ত্রিদেব ধারণাটা সত্যি হলে ত্রিদেব কে বাদ দিয়ে অন্যান্য দেবতাদের পুজো কেন করা হয়? কোন একক দেবতাই কি তার ভক্তকে সবকিছু (পরকালের স্বর্গের নিশ্চয়তা/ পৃথিবীতে শান্তি, সমৃদ্ধি ইত্যাদি) প্রদান করতে সক্ষম? যদি সক্ষম হয় তাহলে ত্রিদেব এর মূল প্রয়োজনীয়তা কোথায়?
৪। স্বর্গ এবং নরকের উপর আধিপত্য কার উপর অর্পিত? মোকস প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তির ব্যারটা কার হাতে ন্যাস্ত?
বিঃদ্রঃ প্রশ্নগুলো শুধুমাত্র জানার জন্যই জিজ্ঞেস করা। সুর্নিদিষ্ট কাউকে কোনভাবে মর্মাহত করার অভিপ্রায়ে প্রশ্নগুলো করা হয়নি। তার পরেও আমার অজ্ঞানতার কারনে কেউ কোনভাবে আমার অজান্তে মর্মাহত হয়ে থাকলে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ধন্যবাদ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: "ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয় এবং সকল সৃষ্টি এবং স্রস্টার মালিক। যার
রুপ নেই আকার নেই।" - ব্যাপারটা আমার কাছে একেশ্বরবাদের মূল ধারনার কথা মনে করিয়ে দিলো। তাহলে কি বলা যায় যে, হিন্দু একশ্বেরবাদের ধর্ম?
"বৈদিক ও সনাতন ধর্ম অনুসারে এটাতে পুজা নেই" - এই ব্যাপারে আমি অবগত। তদুপরি ধর্মানুসারীরা কেন পুজো করেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়।
আপনার তথ্যবহুল সংক্ষিপ্ত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ দীপঙ্কর ভাই।
স্কাইপ: ib.nadim
ইয়াহু: [email protected]
এ্যাড করলে খুশি হবো, সময় করে একদিন কথা বলা যেত, ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
টুন্টু কুমার নাথ বলেছেন: এঁরা দেবতা কিন্তু ভগবান না। ''ঈশ্বর পরম কৃষ্ঞ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ অনাদি রাধি গোবিন্দ সর্ব কারণ কারণম।'' পরমেশ্বর ভগবান স্বয়ং শ্রীকৃষ্ঞ। ইনারা তো এক একজন এক একটি দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রীকৃষ্ঞ'র প্রতিনিধি।
আর আপনি যাহা শুনেছেন তাহা সব সত্যি।আর প্রতিজন দেবতা তাহাদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার জন্য আমাদের মর্ত্যলোকে বিভিন্ন লীলা করে থাকেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কি বলেন?! এটাতো জানা ছিলোনা! ত্রিদেব-কে তো "ভগবান" বলেই সবাই সম্বোধন করেন?! আর আমিতো জানতাম শ্রীকৃষ্ঞ, বিষ্ঞু-রই অবতার। তাহলে বিষ্ঞু-কে বাদ দিয়ে শ্রীকৃষ্ঞ কি করে "পরমেশ্বর" হলেন?
ভাই আরো কনফিউস করে দিলেন
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: উপরে দুজন তো বলেই দিলেন। আসলে সনাতন ধর্মের বিবর্তন ঘটার সাথে সাথে ঈশ্বরের বিভিন্ন দিকের ওপর আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য আরোপ করা হয়। ফলে শাখা-বিভক্তি বেড়ে গেছে অনেকটাই। তবে মূলতঃ ব্রহ্মাশিববিষ্ণু-ই প্রধান।
দেবতাদের মানুষের মতই ভাল মন্দ গুন আছে। তাদের ইচ্ছাস্বাধীন কাজ করার কারণেই পৃথিবীতে অদ্ভুত অলৌকিক অনেক ঘটনা ঘটে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: শঙ্কু ভাই, "ধর্মের বিবর্তন" ব্যাপারটার সাথে আমি পরিচিত নই, এবং ব্যাপারটা আমার যৌক্তিক কারনেই ঠিক ততটা গ্রহণযোগ্য মনে হয় না। ধর্ম তার নিজ মৌলিক রুপে থাকবে এটাই কি প্রত্যাশিত নয়?
কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ শঙ্কু ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
দীপঙ্কর_আলোসন্দিপ বলেছেন: আপনার সব প্রশ্নের উত্তর , একটাই
ঈশ্বর তত্ত এবং সৃষ্টি উপাখ্যান আপনাকে বুঝতে হবে সংক্ষেপে
ঈশ্বর তত্ত তে
১। ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয় এবং সকল সৃষ্টি এবং স্রস্টার মালিক। যার
রুপ নেই আকার নেই।
২।সকল সৃষ্টি এবং সকল মুল উৎস ঈশ্বর ,
মনে রাখবেন , এখানে কোন দেব দেবী বা পুজা অর্চনা করা নেই,
বৈদিক ও সনাতন ধর্ম অনুসারে এটাতে পুজা নেই , আছে সমাগান, শ্লোক ,
ঈশ্বর স্তুতি,
সৃষ্টি উপাখ্যান তত্ত তে,
ঈশ্বর কে তিন রুপে স্তুতি সাধন করা হয় যার মুল রুপ বলা হয়
ত্রিদেব , অনেকটা স্ব বিভাজন এর মত
যার তিন রুপ , শিব (বৈদিক এর মতে রুদ্র), বিষ্ণু , এবং ব্রক্ষ্মা
এখন এই ত্রিদেব ঈশ্বর এর রুপ, যার মধ্যে সৃষ্টি হেতু ইনারা দেবতা
কারন ঈশ্বর এর রুপ দেবতা যারা বিশেষায়িত ক্ষমতার অধিকারি
দেবতারা সবাই ঈশ্বর এর স্ব বিভাজনে সৃষ্টি ,
প্রাচীন যুগে দেবতাদের নয় ঈশ্বর কে আরাধনা করা হত
বৈদিক মতানুসার.।.।
আরও অনেক কিছু বোঝার আছে , যেটা সব লিখতে গেলে
বই লিখতে হবে
কিছু জানার থাকলে মেইল দিন , জানাব