নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান বিজয় দিবস ভাবনা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১১

আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। দেরীতে হলেও সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সেই সাথে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সেই সব বীর সেনাদের, যাদের মহান আত্মত্যাগে আমাদের আজকের স্বাধীনতা। স্মরণ করছি সকল আহত ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের তথা সেই সকল মানুষদের যাদের অবদান রয়েছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে আপনাদের অবদান চিরকাল আমাদের অনুপ্রেরণার সর্বোচ্চ উদাহরণ হিসেবেই থাকবেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দীরও বেশী সময় পেরিয়ে গেছে। বছর ঘুরে ঘুরে এই দিন অতীতেও এসেছে আর জাতি তা বরাবরই ব্যাপক উৎসাহের সাথে উৎযাপন করেছে আর আগামীতেও করবে। তবে এতগুলো বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এ জাতি যে ব্যাপক উদ্দীপনা, স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো তার সবটা আজও অর্জিত হয় নি। গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে আমরা আজও দ্বিধা-বিভক্ত। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত কারণ, যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশ ও সম-সাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে নতুন প্রজন্ম এখনো অনেকটা অন্ধাকারেই রয়ে গেছে। তা না হলে, এ মাটিতে "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" ধ্বনি শোনা কিংবা বাংলাদেশী কৃর্তক পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতো না। তাই এগুলো নিয়ে ঐতিহাসিক দালিলিক প্রমাণ সহ তরুণদের সাথে খোলা-মেলা আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে যাতে তারা সুর্নিদিষ্ট কোন রাজনৈতিক দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি এড়িয়ে প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে।

বহু বছর আগে, বেশ ছোট বেলায় কেউ একজন প্রথম বলেছিলো, "স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা বেশী কঠিন"। ছোট বেলায় তা বোধগম্য না হলেও স্বল্প জ্ঞাণে তা এখন দিবালোকের মতোই পরিস্কার। এ দেশের মানচিত্র, ভূ-খন্ড, স্বাধীনতা তথা সার্বভৌমত্ব যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র কর্তৃক হুমকির মুখে সেটা অনেকেই বুঝতে অপারগ। আর যারা বুঝতে পারেন, তারা অন্যদের সচতেনতায় কতটুকু কি করতে পারছেন জানি না তবে এ সে চেষ্টা অব্যাহত রাখার কোন বিকল্প নেই। আমি অতীতেও বলেছি, রাশিয়া-ইউক্রেন কিংবা ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন ইস্যু থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার মতো অনেক বিষয় রয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের অবস্থা এড়াতে, সম্ভাব্য সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক তথা জীবন-মান উন্নয়ন, আইনের সুশাসন ও সর্বোপরি গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা। তবে এ সবের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্বাধীনতার প্রশ্নে জাতিগত ও রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে আমাদের সামগ্রিক ঐক্যবদ্ধতা।

যে শক্তি এক সময় এ দেশকে স্বাধীন করার গৌরব আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বিশ্ব দরবারে ফেরি করে ফিরেছে, তারাই আজ অবিভক্ত ভারতের মানচিত্র আঁকছে। মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র-নীতিতে "বন্ধু" বলে কিছু নেই। প্রতিটি দেশ তার নিজ নিজ স্বার্থ সবার আগে দেখবে আর এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশকেও তার নিজস্ব গতিপথ নির্ধারণ করতে হবে। কারো আজ্ঞাবহ হয়ে, নতজানু পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে কিছুদিন তো চলা যায়ই, তবে স্বাধীনভাবে আর বেঁচে থাকা হয় না। প্রকৃত স্বাধীনতা আর অর্জণ হয়ে ওঠে না।

এদেশের মানুষগুলো পোড়া। এরা ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, বন্যা-খরা, জীবন-মৃত্যু, দু:খ-দারিদ্রতা, স্বৈরাচার-দুরাচার আর ফ্যসিস্ট ক্ষমতার শাসন দেখেছে তবুও দিন শেষে তার নিজ স্বাধীনতার পথ ঠিকই খুঁজে নিয়ে। আমাদের মনে থাকতে হবে, এ মাটিতে মীর-জাফর আগেও ছিলো আর আজও আছে। এরা দেশকে বিক্রি করে দিতে দ্বিধা করে না, এরা নেতা-নেত্রীর পূজো করে। এরা এ দেশের খেয়ে-পড়ে অন্যদেশের গুণগান করে, দেশের স্বার্থের আগে তারা তাদের প্রভু রাষ্ট্রের স্বার্থ দেখে। এদের চিনে রাখুন, দৃষ্টি রাখুন আর সচেতন থাকুন। বিজয় দিবসের এই লগ্নে আমাদের দিপ্ত শপথ হোক, আমরা যেন আমাদের আত্ম-পরিচয় আর সম্মান বিকিয়ে না দেই। জাতি হিসেবে যেন আমরা বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি। তবেই, ৭১ এর সেই সব শহীদের আত্ম-ত্যাগ সফল হবে, পূর্ণতা পাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস।
..........................................................................
৫৪ বৎসর যাবত শ্রদ্ধা জানাচ্ছি
কিন্ত আমাদের অর্জন কি ?
কেন আমরা জাতি হিসাবে একতাবদ্ধ হতে পারছিনা ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.