নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের দুয়ার আজি দিলাম খুলে...!

...চলে এসো সব সপ্নচারীরা...!

কতবতবকতকত

Well, I am NOT what you see, I am not what they say but if I turned out to be, could you love me anyway. Maybe someday you will ask for me by name, just not today...

কতবতবকতকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আম্মু, অবুঝ মেয়ে আমার!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৬

আমাকে নিয়ে অনেক টেনশন আমার বুড়ি মেয়েটার। আমার কাছে একদম বাচ্চা মেয়েদের মত বায়না ধরে। প্রতিদিন তাকে ফোন করতে হবে, প্রতিদিন ই-মেইল করতে হবে আর প্রতিদিন এস এম এস করতে হবে। আমার সবকিছু তাকে জানানো চাই ই চাই। আমি খানিকটা বিরক্ত হয়ে বলি, 'তুমি যে কি বল না আম্মু! এত সময় কোথায় আমার? আর তা ছাড়া, যে কোন একটা করলেই তো হয়। সব একদিনে করতে হবে কেন?' কিন্তু কে শোনে কার কথা?

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে চলে যাই। ট্রেনের দুলুনিতে বসে বসে আম্মুর মোবাইলে sms পাঠাই। বাংলাদেশে তখন ভোর ৪ টা।

ammu, ami ekhon class a jacchi. accha, tumi to onjon dotter oi gaanta sunso tai na? oi je 'bosey achi station a tey'? otar ekta line chilo, ‘trainer dolate roj dupurey, mayer koler sei dolata jai mone porey jai amar.’ Jano, amaro ekhon tomar koler dulunir kotha mone porse. sorry mamoni, tomakey ghum theke jagabar jonno. nao, abar protidin sms pabar thela samlao. Lol. tumi ghumao.

প্রায় সাথে সাথেই রিপ্লাই আসে।

'sabdhaney thakis kintu, toder train to khub jorey chole, seater sathey valokore setey bosbi. hatol ba lohar rod thakle valo kore chepe dhore rakbi. mone jeno thake. onjoner oi gaanta to sunsi, amar tokhon tor nanur kotha money porto, lol, assa, oi gaanta ekhon koi re? amito sedin onek khujeo pelam na. amakey janash.'

এই হল আমার আম্মু। মনে মনে আমি হাসি। আমি স্বান্তনার স্বরে লিখি,

tumi ekdom chinta korona mamoni, ami handle khub sokto kore dhore bose achi. train er babaro saddho nei amakey seat theke ek chul norai. gaanta niye chinta koro na, ami mail a attach kore pathaboni tomakey.

ক্লাসের পর ক্যাম্পাসে বসে ল্যাপটপ থেকে আম্মুকে মেইল করি। hi mam, i'm in campus now, just class have been finished and going to work now, talk to u later on at tonight.bye. অন্জনের গানটা হার্ডডিস্কে না থাকায় সেদিন আর এ্যাটাচ্ করা হয়নি। পরে তাঁকে ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়েছিলাম। আমার গানের নেশার পুরোটাই আম্মুর কাছ থেকে পাওয়া।



প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে প্রতি রাতে বাসায় ফিরে দেশে ফোন দিতে হয়। সারাদিন কি করলাম সেগুলোর খুটিনাটি বর্ননা দিতে হয়। প্রতিবারই ফোন রাখার আগে কড়া করে ধমক খাই 'খবরদার একদম রাত জাগবি না, নিশাচর কোথাকার।'

এস এস সি পরীক্ষার জন্য রাত জাগার বদ্যাভাস হয়েছিলো। সেই তখন থেকে আমাকে মাঝে মাঝে 'নিশাচর' বলে ডাকা হয়। আম্মু, তুমি তো জাননা, পড়ার চাপে আর তোমার দেয়া নামের অবদানে তোমার নিশাচরকে এখন সারারাত অনলাইনে থাকতে হয়।



অস্ট্রেলিয়ান এ্যামবাসি যখন আমার আবেদন নাকোচ করে দিলো, বাসায় এসে তখন মামনিকে ধরে সে কি কান্না আমার! বল্ল, 'ধুর পাগল, এত ছোট একটা কারনে এভাবে কাঁদতে হয় নাকি?' দ্বিতীয়বারে যখন ভিসা পেয়ে গেলাম, সেদিন মামনি আমাকে জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না। বল্লাম, 'ধুর পাগলী, এত ছোট একটা কারনে এভাবে কাঁদতে হয় নাকি?' মামনি কান্না মাখা হেসে বল্ল, 'আমার কথা আমাকে এভাবে ফিরিয়ে দিলি?'

তুমি নিজের হাতে আমার ব্যাগ গুছিয়ে দিলে। তুমি জানতে যে মাথার বালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারি কিন্তু কোলবালিশ ছাড়া কখনই আমার ঘুম হয় না। তাই আমার সু্টকেসে আমার কোলবালিশটা ভরে দিলে। কেউ কোনদিন কোলবালিশ সাথে নিয়ে বিদেশে গিয়েছে কিনা জানিনা তবে সিডনি এয়ারপোর্টের কাস্টমস অফিসার যখন আমার ব্যাগ চেক করছিল, আমার কোলবালিশটা দেখে সে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো। তখন তাকে বলেছিলাম 'this is my lap pillow, i cant sleep without it, that's why my mom gave it along with me, u can check it out.' মহিলাটার মুখ দেখে মনে হল জীবনে এর আগে কোনদিন তিনি এমন অভিæতার মুখোমুখি হননি। পরে মামনিকে এই ঘটনা বল্লে মামনি তো হাসতে হাসতে শেষ।



যেদিন দেশ ছেড়ে আসি, দেখলাম আমার মেয়েটার লাল মুখ কাঁদতে কাঁদতে আরো লাল হয়ে গেছে। আমিও যে সেদিন কাঁদব তা আমি সপ্নেও ভাবিনি।

জানতেন, একটা চশমা আমার কয়েকমাসের বেশী যায় না। ভেঙে ফেলি। তাই আম্মু বুদ্ধি করে আমার ব্যাগের ভেতর কয়েকটি চশমা দিয়ে দিয়েছিলেন। এখন বুঝি, মাম আমার কত্ত বড় উপকার করে ছিলেন। এখানে চশমার যা দাম, চশমা কিনতেই আমার সেমিস্টার ফি'র অর্ধেক চলে যেত। আম্মু প্রায়ই মজা করে বলতেন, তোর চোখ আর চশমার পেছনে যতটাকা খরচ করেছি, সেই টাকা দিয়ে আমি তোর মত আরেকটা ছেলে পালতে পারতাম।



অথচ আমার চোখের এই দুরবস্থার জন্য কিন্তু মামনিই দায়ী ছিলেন। সেই ক্লাস টু তে তিনি আমার হাতে সত্যজিৎ রায় তুলে দিয়েছিলেন। সেই যে শুরু হল। তারপর একে একে তাঁর সবগুলো প্রিয় লেখকের প্রায় সবগুলো বই আমাকে দিয়ে গলাধঃকরন করানো হল। সেই সাথে তারঁ ব্যাক্তিগত লাইব্রেরির সব বই! উফ! যেন আমাকে সাহিত্য বিশারদ বানাতে চেয়েছিলে আম্মু! মানুষের মারা তাদের ছেলেদেরকে কতকিছু উপহার দেয়। সে শুধু দিতো বই। কোন জন্মদিন বা কোন অকেশনে আমার মনে পড়ে না আম্মুর কাছ থেকে আমি বই ছাড়া অন্যকিছু পেয়েছি। শেষে আমার বইয়ের এমন নেশা হল যে আব্বুর ভয়ে কতদিন কম্বলের নীচে র্টচ লাইট জালিয়ে বই পড়েছি! এর পরও চোখ বাবাজি যে এখনও সাথে আছে এই তো বেশী। তবে আম্মুর প্রচেষ্টা হয়ত কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছিলো। তাইতো, মিঠু আন্টি একদিন বল্ল-' আপা, আপনার ছেলেটি তো বই ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না।' আম্মু মুচকি হেসে বল্লে, 'হুমম, পরে 'ই' এর জাগায় 'উ' না হলেই হয়।' আমি তো প্রথমে বুঝতেই পারিনি, পরে যখন বুঝলাম, তখন খুবই মজা পেয়েছিলাম আম্মুর কথায়।



মামনির রসবোধ আমাকে সবসময়ই মুগ্ধ করেছে।



সেদিন আম্মুকে ফোনে লরেলের কথা বলতেই আমাকে বলে, 'দেখিস, বিদেশী মেয়েদের সাথে আবার কোন সর্ম্পকে জড়াস না যেন। ওদের চরিত্রে বিশাল বিশাল সমস্যা থাকে।' আমি তো হাসতে হাসতে শেষ।

মামনি তোমার সেই দিনটির কথা মনে আছে, চশমার দোকানের ওয়েটিং রুমে হঠাৎ লিনুর সাথে দেখা হবার পর যেদিন তুমি আমাকে বলেছিলে,' তুই কি সাইকেল নিয়ে এদিকেই আসিস নাকি?' আমি সেদিনও হাসতে হাসতে কুটিকুটি হয়েছিলাম। কারন তুমি হয়ত ভেবেছিলে, আমি প্রতিদিন বিকালে ওর সাথে ডেট করতেই সাইকেল নিয়ে বের হই। আম্মু, আমার অবুঝ মেয়ে, একজন মানুষ আমার জীবনে আসবে, আর আমি সেটা তোমার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখব, সেটা কি কখনো হয়?



আম্মুর গানের গলা খুবই চমৎকার ছিলো। সেসব দিনের কথা এখনো মনে পড়ে ভীষন, খুব ছোট বেলায় আমার যখন জ্বর হত তখন মামনি আমাকে নিয়ে রাতের বেলা আমাদের বাসার ছাদে বসে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিত আর আমাকে গান শুনাতো। মামনির কাঁধে মাথা রেখে খুব মন দিয়ে তাঁর গান শুনতাম। মোমের পুতুল মোমের দেশে, আমরা সবাই রাজা, আমাদের দেশটা সপ্নপুরী, বাবা বলে গেলো আর কোনদিন গান করনা, বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে----এইগান গুলো মামনির মুখ থেকে শুনে শুনে সব মুখস্ত করে ফেলেছি। শিশুতোষ সেই গানগুলো আমার কাছে ছিলো ঘুম পাড়ানি গান। মামনি, আমার যদি কখনো একটা দুষ্ট বুড়ি হয়, আমি তোমার কাছে ওকে গান শিখতে দিবো। তুমি তোমার জানা সব গান ওকে শিখাবে। তারপর তুমি যখন আকাশের তারা হয়ে যাবে, তখন ওই বুড়িটা তার এই বুড়ো ছেলেটাকে তোমার শেখানো ওই গানগুলো গেয়ে তামার মত করেই ঘুম পাড়াবে।

মা, তোমার খুব শখ ছিলো মা ডাক শোনার, কিন্তু জীবনে খুব কমই তোমার এই শখটা পূরন করতে পেরেছি। বন্ধুরা যখন মা বলে ডাকত, তখন মনে হত মা বুঝি খুব ভিন্ন কিছু, সে আমার চিরচেনা 'আম্মু' নন। প্রথম প্রথম কেমন যেন লজ্জা করত। তাই মামনি ডাকতাম। আরেকটু বড় হলে 'আম্মু।' এখন মা বলে ডাকতে ইচ্ছে হয় খুব, কিন্তু মা, আমার কি সেই যোগ্যতা আছে?

কতদিন রাতে ঘুমাই না। মা, আমার মা, এখন সারারাত নির্ঘুম কাটলেও কেউ আর আমাকে ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে শোনায় না।

প্লিজ তুমি এই লেখাটি পড়ো না মামনি, খুব কষ্ট পাবে। আর যদি কোন বকাঝকা দিতে ইচ্ছে করে তাহলে প্রিয়তিকে দিও। সেটা ওর প্রাপ্য। ওর কবিতাটা পড়েই তোমাকে নিয়ে খুব লিখতে ইচ্ছে করল।

লরার এই গানটি এখন শুনতে ইচ্ছে করছে খুব।



মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৩

ধ্রুব বলেছেন: লাকি ম্যান।

০২ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:০৬

কতবতবকতকত বলেছেন: সত্যিই আমি তাই।

এতদিন পর প্রাচীন এক স্মৃতিকাতরতা আমাকে যেন আকড়ে ধরেছে!

ধন্যবাদ ধ্রুব।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:০৭

~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: মা'কে নিয়ে আমিও লিখি। যখন খুব কষ্ট লাগে, তখন লিখি। বুকের মদ্ধে আবেগ যতটা থাকে, লিখায় তা আনতে পারিনা। আমার লিখার হাত ভালোনা, অথবা ...... ছেলেমানুষ বলে।

আপনার খুব সাধারন কিছু কথায় লিখা ব্লগটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সিডনীর সময় সকাল ৬টা'তে, সারা রাত না ঘুমিয়ে, হঠাৎ করে এই সাইটে ঢোকাটা আনন্দময় কষ্টের একটা অনুভূতি নিয়ে এলো।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:০২

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: একেই বলে মা

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:১৫

মানবী বলেছেন: চমৎকার! মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা, ধন্যবাদ কতবতবকতকত।

আপনার মা কে আমার সালাম জানাবেন।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:২৩

কতবতবকতকত বলেছেন: really i am. @ ধ্রুব,

hmm thik bolesen vai, sob to ekhono lekhi e nai...@তাজুল

vaia apnakey onek onek onek dhonnobad. apnar likhar hath khubi valo. ami kogarah thaki, apni kothai thaken?@সপ্ন


apu, apnar likhar kache amarta nossi, ami to jani je asoley kisu e hoini, tobuo apnakey osongkho dhonnobad. ami apnar salam ammu k pouche dibo.@মানবী

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:২৪

প্রীটি সোনিয়া বলেছেন: ভালো লিখেছেন,আপনার মা কে আমার সালাম জানাবেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:০৮

কতবতবকতকত বলেছেন: হুমম, অনেক আগেই জানিয়ে ফেলেছি। তোমার মাকেও সালাম।

অনেক ধন্যবাদ প্রিটি।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৪৬

~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: ধন্যবাদ, আমি কাছাকাছি আছি, Tempe'তে। Sydenham স্টেশানের কাছে।

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:১৫

কতবতবকতকত বলেছেন: tai.... joss. amar ph no.ta rekhe dite paren. 0433806624.
ata 3's no. thanks for ur reply.

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:১৭

কতবতবকতকত বলেছেন: apnake onek onek dhonnobad, ami apnar salam o ammur kache k pouche dibo. apnar abbu ammu keo amar salam janaben. @প্রীতি।

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:১৮

উন্মনা রহমান বলেছেন: বাহ্‌!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:২৫

কতবতবকতকত বলেছেন: thanks a lot apu, apnara ato appreciate korchen, atar kichu ongsho kintu protiro prappo.looolz.

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:১৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: চমৎকার। মা'কে নিয়ে লিখতেও হৃদয়ের জোর লাগে।

০২ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:২৬

কতবতবকতকত বলেছেন: আমার সেটা আছে, কি বলেন?
অনেক ধন্যবাদ দাউদ ভাই।

১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:৩৬

অমিত আহমেদ বলেছেন: ভালো লেগেছে লেখাটা। মাকে সালাম!

০২ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:২৫

কতবতবকতকত বলেছেন: আপনার মাকেও সালাম।
অনেক ধন্যবাদ অমিত আহমেদ।
আপনার "গন্ধম" টা পড়ার ইচ্ছা আছে।

১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:৪৭

প্রিয়তি বলেছেন: 'আর যদি কোন বকাঝকা দিতে ইচ্ছে করে তাহলে প্রিয়তিকে দিও। সেটা ওর প্রাপ্য। ওর কবিতাটা পড়েই যে তোমাকে নিয়ে খুব লিখতে ইচ্ছে করল। '

এই অংশটুকু পড়ে খুব মজা পেয়েছি। ছোটবেলায় মা যখন বকা দিত, খুব মন খারাপ হতো। এখন বড় হয়ে গেছি, কিন্তু সেই দিন গুলোর কথা মনে পড়ে আর ভাবি, ইস কি মিষ্টি ছিল সেই বকাগুলো। আমি মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এমন কাজ করি যেন আমাকে বকা দেন উনি। সেরকমই আপনার মা আমাকে বকলেও কোন আপত্তি নেই, আমার বেশ ভালই লাগবে।

খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন, আপনার মায়ের ভালবাসা, উনি যে আপনাকে নি গর্বিত সেটা নি:সন্দেহে বলে দিতে পারি।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:১২

কতবতবকতকত বলেছেন: apnakey abaro dhonnobad janassi, asoley amar prosongsar onketa apnar prappo, tai lekhatate apnar nam ullekh kore kritoggota janalam arki, tobe ammu jodi sotti sotti apnakey boka diye apnakey dhonno(!) kore, tahole kintu sei dai amar na. lolz.

ar apnar sondeho purotai omulok, mom amakey niye moteo gorbito non. amak bivinno negative side niye uni amakey kochan, onner seleder valo dekle amakey seta niye kotu kotha bolen. potro potrikai ba web site a amar lekha publish hole sobai amar prosongsa koren ar ammu amar lekhar chorom somalochona koren. biyer por bou naota hobo boley bar bar amar baktitte aghat koren, er poro ki bolben se amakey niye gorbito?

১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:২৬

রাশেদ বলেছেন: ভাল লাগল। আপনার নিকের এই করুন দশা!

০২ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১০

কতবতবকতকত বলেছেন:
তোমার সাথে আমার প্রথম দিককার কথোপকথন। মনে আছে তোমার?

রাশুদা তোমাকে আজ এতো এতো মিস করছি কেন?

১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:২৭

রাশেদ বলেছেন: হায় হায়! আপনাকে মেয়ে মনে করেছিলাম। এখন দেখি নাম প্রলয়! হি হি!

০২ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১১

কতবতবকতকত বলেছেন: হি হি হি হি হি !!!! হতাশ হলে খুব?

১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:১৭

কতবতবকতকত বলেছেন: vai ki ar korbo, onek try koreo nickta change korte parlam na.
amar display pic sara amakey dekhe meye mone korar ar kono karon to dekhi na, apni ki dekhe money korlen? haire ajob duniya! sonen, oita amar dusto burir pic, amar na!

১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:১৯

মিরাজ বলেছেন: মন ছুয়ে গেল আপনার লেখাটি । মাকে নিয়েই আসলে এত আবেগ দিয়ে লেখা যায়।

আপনার মাকে সালাম জানাবেন ।

০২ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১৪

কতবতবকতকত বলেছেন: লেখাটি আসলেই অপরিসীম আবেগ দিয়ে লিখেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ মিরাজ।

১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:০৬

কতবতবকতকত বলেছেন: আমি আমার এই লেখাটিতে অনেক আপডেট করেছি। ইচ্ছে হলে আপনারা আপডেটগুলো দেখে নিতে পারেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০১

কতবতবকতকত বলেছেন: আপনার প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ 'মানুষ'।

১৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:৫২

মানুষ বলেছেন: ভাল লাগলো। প্লাস

০২ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১৬

কতবতবকতকত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মানুদা।

২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৩১

বায়েজীদ বলেছেন: আহারে!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০২

কতবতবকতকত বলেছেন: বায়েজিদ ভাই, সমব্যথী হবার জন্য আপনাকেও অনেক ন্যবাদ।

২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৩৬

ষড়যন্ত্রকারীদের জম বলেছেন: ফোন করার সময় আমি ফোন না করলে মায়ের কারনেই বাংলাদেশ থেকে ফোন আসে মেলবোর্নে। আপনার মাকে সালাম।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০৪

কতবতবকতকত বলেছেন: ষড়যন্ত্রকারীদের জম, আমরা একই মহাদেশে বাস করি জেনে ভাল লাগছে। আম্মুকে আপনার সালাম জানিয়ে দেব। আপনার মাকেও আমার সালাম।

২২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৫১

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আবেগাপ্লুত হয়ে গেলাম , কোথায় পেলেন এমন হৃদয়ছোঁয়া লেখনীশক্তি ? ধন্য আপনার মা ।

অশেষ শ্রদ্ধা রইলো আপনার মায়ের জন্য

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০৩

কতবতবকতকত বলেছেন: মেহরাব শাহরিয়ার ভাই, আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিব বুঝতে পারছি না। তবে আমার লেখা আপনাকে আবেগাপ্লুত করেছে জেনে খুবই ভাল লাগল। সবাই বলত আমি নাকি আম্মুর লেখা দ্বারা প্রভাবিত।আমার নিজের মধ্যে তো কোন গুন নেই। হবে হয়ত। আর আমি মনে করি আমার মা আমার বা আমার লেখার জন্য ধন্য নন বরং তিনিই আমার মা হয়ে আমাকে ধন্য করেছন। তবুও অশেষ ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য। আপনার মার প্রতিও অগাধ শ্রদ্ধা রইল।

২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬

ইকরাম বলেছেন: আপনাকে হুমায়ুন আহমদের উপান্যাসের শুভ্রর মত লাগে ঐ যে বললেন ব্যাগ ভর্তি চশমা।
ভাল লাগল!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০৩

কতবতবকতকত বলেছেন: ইকরাম ভাই, ধন্যবাদ আপনার মজার মন্তব্যের জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন, আম্মু আমাকে দারুচিনি দ্বীপের এই ঘটনাটা উল্লেখ করে প্রায়ই বলতেন, তুই যদি কখনো দূরে কোথাও বেড়াতে যাস, তাহলে আমাকেও এমনটা করতে হবে।
আপনার কথা শুনে তাই খানিকটা চমকে গিয়েছিলাম।

২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৩০

`হাসান বলেছেন:
হুম লেকা ভালৈছে

২৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৫২

কতবতবকতকত বলেছেন: ধন্যবাদ গন্ডু ভাই।

২৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৩৩

ইরাবতী বলেছেন: আন্টিকে নিয়ে এত জোসসসসস একটা লিখা দিছস আর আমারে এইটা বলছ নাই! রাতে ফোন দে....তোরে আইজ আমি খাইছি।

মা কে নিয়ে আমিও যে কবে তোর মত লিখতে পারব...!:(

২৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৫৬

কালপুরুষ বলেছেন: সত্যিই, খুব ভাল লিখেছেন। আপনার সৌভাগ্য অমন ভাল একজন মা পেয়েছেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৩

কতবতবকতকত বলেছেন: হুমায়ূন বাদশাহ ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সবার মা-ই তো এমন কিছু না কিছু ভাল, তাই নয় কি?

২৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:২৫

নিলা বলেছেন: মন ছোয়ে গেলো। আন্টিকে আমার সালাম দিবেন। মা ছেলে দুজনই খুব ভালো থাকুন।

২৯| ০৯ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:০২

ঝুমী বলেছেন: বাহ্ আপনিও তো দেখছি আমার মতো বেশ মা ভক্ত!!! লেখাটা খুব ভাল লেগেছে। + 8-|

৩০| ১১ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৩৭

ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: LOL....সুপার্ব + :)

এবার তো আপনার অভিযোগ আপনাকে ফেরত দিবো। আমার ব্লগে চোরের মতো আসেন, ভিজিটিং লিস্টে দেখলাম ! কমেন্ট কই !?

৩১| ১১ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৪০

ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: sorrryyyyyyyyyyyyyyyyyyy !!! i misunderstood u wid another 1 ! please erase my last comment ! :P

আপনার লেখাটা ভাল লাগলো ! +++++

৩২| ১১ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:৩৩

স্বাপ্নিক বলেছেন: চমৎকার ...

৩৩| ১২ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:৩৮

মুহিব বলেছেন: ছুয়ে যাওয়া অনুভূতি কেদে ফিরে ........................

৩৪| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:০০

একজন ব্লগার বলেছেন: নিলা, ঝুমী, ঝড়কন্যা, সাপ্নিক আর মুহিবকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। :)

৩৫| ১১ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:১৪

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: খালি "মা" বলে ডাকলেই বুকটা ভরে যায়, মনে কোথা থেকে এত জোর আসে জানিনা, তারউপর এই লেখা...
ধন্যবাদ স্বপ্নজয়-কে, তাঁর "প্রিয়" থেকেই এই লেখা পেয়ে পড়লাম...

আর লেখক কে বলবো উনি আমাদের সবার হয়ে যেন লিখে দিয়েছেন...বুকের মাঝে এরকম একটা আবেগ আমরা সবাই তো বয়ে বেড়াই মা-য়ের জন্য, কয়জন পারে এমন দরদ দিয়ে লিখতে?

৩৬| ১১ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সিনথিয়া জামান বলেছেন: সত্যিই!!! কি অদ্ভুত দরদ মাখানো প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে!! মা দিবসে পৃথিবীর সকল মাকে শুভেচ্ছা আর আন্টিকে সালাম! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.