![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হচ্ছে সামাজিক জীব। আমরা মানুষ সামাজিক বলেই রাখালও একা একা থাকবে বলে জঙ্গলে গিয়েও পারেনি। প্রথমে যোগ হয় ইঁদুর। সেই ইঁদুরকে দূর করার জন্য বিড়াল। বিড়ালের জন্য গরু। গরুকে লালনের জন্য রাখাল। এই রাখালকে খাওয়ানোর জন্য শেষমেষ তার বউকে আনতে হয়েছিল। পারেনি সেই রাখাল তার একা একা বসবাসের মনোবাসনা পূরণ করতে। আমরা পরিবার, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, সহকর্মীদের দ্বারা ঘিরে আছি। মানে দিনের কোন না কোন সময় এই যেকোন একজনের সঙ্গ পাচ্ছি। সকালে পরিবার ছেড়ে অফিসে গিয়ে অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গ, অফিস শেষ করে আবার পরিবার কিংবা বন্ধু বান্ধবের সঙ্গ পাচ্ছি। মাসে একবার বা বছরে কয়েকবার আত্মীয় স্বজনের সংগ নিচ্ছি। একজন মানুষের সাথে আর একজন মানুষের সঙ্গ কিংবা ভাব তখনই গড়ে ওঠে যখন তার স্বভাবের সাথে কিংবা তার পছন্দের সাথে আর একটি মানূষের মিল হয়। খাপ খাওয়াতে পারে। প্রকৃতিও একা থাকতে পারে না বলে শীত সঙ্গে করে নিয়ে আসে শিশিরকে, বসন্ত সঙ্গে করে নিয়ে গাছের নতুন পাতাকে। কিন্তু আমরা এতো মানুষের সাথে থেকেও কি আমরা একা নই? আসলে আমরা সবাই একা। আর একা বলেই গাড়িতে যাবার সময় নিজে একা একা কিছু চিন্তা করা হয় অথবা রাতে ঘুমানোর সময় একা একা চিন্তা করে নিজের একাকিত্বকে দূর করার চেষ্টা করি। আর প্রতিটি মানুষের মাঝেই একটি করে শিশু বসবাস করে। সেই শিশুর আর এক নাম হতে পারে আবেগ। একটি শিশু যেমন কিছু বুঝুক আর না বুঝুক তার বায়না করা জিনিস চাই ই চাই। ঠিক প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষই লজিকের কথা চিন্তা না করে আজব আজব জিনিসের ‘বায়না’ ধরে ভগবানের কাছে বা আজব আজব কাজ করে লোক চক্ষুর আড়ালে। কিন্তু সেই ভিন্ন ধরনের বায়না ধরার মত কোন মানুষ যদি না থাকে, যদি সে কারো সাথেই বায়না করার মত কাউকে প্রতিস্থাপন করতে না পারে তাহলে মনের মধ্যে অনেক ঝড় বয়ে যায়। নিজেকে ভাবতে শুরু করে ভীষন একা।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: সেই ভিন্ন ধরনের বায়না ধরার মত কোন মানুষ যদি না থাকে, যদি সে কারো সাথেই বায়না করার মত কাউকে প্রতিস্থাপন করতে না পারে তাহলে মনের মধ্যে অনেক ঝড় বয়ে যায়। নিজেকে ভাবতে শুরু করে ভীষন একা।
শেষের লাইনগুলোর সাথে সহমত। ধন্যবাদ