নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তি সহজ নয়

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

অবশেষে নড়েচড়ে বসতে হয়েছে মানবজাতিকে। ‘নভেল করোনা’ নামক ভাইরাসের ছোবলে আজ সব জাতি মুমূর্ষু। দেশে দেশে নিহত মানুষের তালিকা বাড়ছে। কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যু হচ্ছে অনেকের। এ তালিকায় কেউ বাদ নেই। যেসব অঞ্চলে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে সেখানেই মৃতের তালিকায় যোগ হচ্ছে নতুন মুখ। এখনো বেশিরভাগ বয়স্ক হলেও ঝুঁকি থেকে বাদ যাচ্ছে শিশু-তরুণ যুবারা। অথচ, প্রতিদিন শুধুমাত করোনার কারণে পৃথিবী ত্যাগ করতে হচ্ছে অনেককেই।

প্রথম সারির দেশগুলোতে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে এই ভাইরাস। কাল্পনিক বিজ্ঞানধর্মী ছবিতে এ জাতীয় নমুনা মেলে। তবে, করোনা তেমন ভয়ংকর রূপ নিয়ে আসেনি। কিন্তু, সুদূর ভবিষ্যতে এটিই বা এর অন্য কোন গোত্র যে আরও কঠিন কিছু নিয়ে আসবে না তাও বলা যায় না। কালে কালে এই ভাইরাস অনেক রূপ ধারণ করেছে এসেছে। এবারের রোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিড ১৯’। কোভিড ১৯ থেকে মুক্তি মিললেও এরপর যে ‘কোভিড-২০’ বা তার চেয়ে খারাপ কিছু আসবে না তাও নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। বরং আশঙ্কা করা যেতে পারে আরও ভয়াবহ কিছু আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, সামর্থ্য থাকতে কে হাল ছেড়ে দেয়।

অনেক সময় প্রকৃতি ভয়ানক রূপ ধারণ করে জনজীবন এবং সে নিজেকেই ধ্বংস করে। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাস, ভূমিকম্প; ইত্যাদিতে যেমন সাধারণের ক্ষতি হয়, তেমনি প্রকৃতির রূপও বিকৃত হয়। সময় সময় পরিক্রমা অনুযায়ী দুর্যোগ দুর্ভোগ আসতেই থাকে। অর্থাৎ, দীর্ঘকাল নিরিবিলি, শান্তিতে, ঝামেলাহীন থাকার সুযোগ নেই। এ পরিচ্ছেদে জীবনযুদ্ধও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আসল কথা হচ্ছে, মুক্তি সহজ নয়।

মানুষ বার বার নানা কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে। বিপদগ্রস্ত হয়ে ঘুরেও দাড়িয়েছে সবাই। হাজার হাজার বছর বিবর্তনের ধারায় এখন মানুষ বুঝতে পারে, সে অনেক কিছু করতে সক্ষম। একসময় ঠিক প্রতিটি সমস্যার সমাধান হয়, হয়েছেও। করোনা ভাইরাসেরও প্রতিষেধক আসবে। কিন্তু, ততদিন অপেক্ষা করতে করতে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তা বলা মুশকিল। এমনও হতে পারে, বিজ্ঞানীদের মন্তব্য সত্যি হলো- এক বছর অথবা দুই বছর পর করোনার প্রতিষেধক আবিস্কার হলো। তখন করোনা নিয়ে আর দুঃশ্চিন্তা থাকলো না। কিন্তু, ততদিনে যদি প্রাণহানি ঘটতেই থাকে এবং তা চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়তে থাকে তাহলে আট শ’ কোটির কয় কোটি অবশিষ্ট থাকবে তা বলা মুশকিল। সত্য হচ্ছে কেউ এ যুদ্ধের বাইরে নেই।

সারা পৃথিবী যখন ধ্বংসের দারপ্রান্তে তখন সব ধরণের চিন্তা করা পরিত্যাগ করে টিকে থাকার উৎস আবিস্কার করাই মানুষের ধর্ম। এ যুদ্ধে অনেকবার আমাদের জয় হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জরা-ব্যাধি, বিপর্যয়ের কারণে অতীতে অনেক মানুষ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। এখনো দিচ্ছেন, সামনেও দেবেন। বসুমতি ভারাক্রান্ত হলে সেও টিকে থাকার লড়াই শুরু করে। বিপুল সংখ্যম মানুষ যখন পৃথিবীকে দগ্ধ করে তখন এর উত্তাপ বাড়ে। ফলে, পৃথিবীও ভয়ালরূপ ধারণ করে। মানুষ যে হারে বৃক্ষ নিধন করছে তাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে উত্তপ্ত হচ্ছে ভূপৃষ্ঠ। এর কারণে সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে অনেক মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকছে। কোনপ্রকার আভাস না দিয়ে যদি এই ঘটনা ঘটে তাহলে মানবজাতির আবারও বড় ক্ষতি হবে। এর সম্ভাবনাও অনেকখানি সত্যতা।

আপাতত বিপুল দাপট নিয়ে মানুষের ঘুম হারাম করেছে করোনা ভাইরাস। অনেকে বলাবলি করেন, এই ভাইরাস বানানো বা তৈরি করা হয়েছে। আবার অনেকেই ভাবছেন, এ প্রকৃতির লীলা। সেই যাই কোন এসময় সত্য প্রকাশ হবেই। কিন্তু, ততদিনে যদি ব্যাপক প্রাণহানি ঘটিয়ে এই ভাইরাস উন্নত মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করে দেয় তাহলে আবার অনেকটা পথ পিছিয়ে যেতে হবে এ জাতিকে। টিকে থাকার লড়াই জীবন বাজি রাখতেই হয়। কিন্তু, জীবন বাঁচাতে এবার করোনা মোকাবিলায় মূখ্য কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ, এখনো অজানা, মুক্তি কোথায়। মুক্তি সহজ নয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা ভাইরাস েরে যাবে। মানূষের জয় হবে মানুষের।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুক্তি হবেই ইনশাল্লাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.