নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখনো হাতে সময় আছে

২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২০

সবাই অনেক কিছু করতে চায়। কেউ পারে না, আবার কারও দ্বারা হয় না। করোনা মহামারী নিয়ে সবাই বেশ চিন্তিত। এই দুর্যোগে এমন লোক আছেন যারা মৃত্যুভয় বাদ দিয়ে নিজের ঝোলা গোছানোর চেষ্টায় নেমেছেন। কি জিনিস! চাল, ডাল, তেল, নুন। চেয়ারম্যান মেম্বার। তারাই লুটপাট করছেন। আমার জ্ঞান বলে, সংসদের সদস্য আর চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পদটা ভীষণ আলাদা। দুপক্ষ জনপ্রতিনিধি। এক পক্ষ সংসদ অলংকৃত করেন, আরেকপক্ষ এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখের ভাগীদার হন। কিন্তু দেখুন, লুটপাটের এই রাজত্ব যেন মাৎস্যন্যায়ে পরিণত হয়েছে।
যার অভাব নেই তারই বেশি করোনা নিয়ে চিন্তা। আর যার আছে, তার কাছে করোনা ‘টরোনা’ কিছু না। পেটের জ্বালাই বড় জ্বালা। এই মুহুর্তে যখন সারা পৃথিবী স্নায়ুযুদ্ধ বাদ দিয়ে একত্রিত হয়েছে তখন লুটেরারা তাদের থাবা বন্ধ রাখছে না। এই নিয়ে বলতে গেলেই যত জ্বালা। ভালো মানুষ অবশ্যই আছে, কিন্তু, হিতাহিত জ্ঞানও তো সবার আছে। আজ যারা সাহায্য বাদ দিয়ে শোয়ার স্থান খাবারের ডুবিয়ে রাখছে, করোনা গেলে তাদের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে। আমার তো মনে হয় না, সে ক্ষমার যোগ্য।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের হাতে সময় থাকে। এই সময়ের মধ্যেই সুকর্ম-অপকর্ম করতে হয়। খেয়াল করে দেখুন, ‘মীরজাফর’ শব্দটিকে আজও অনেকেই গালি হিসেবে ব্যবহার করে। অন্যদিকে সেই নাইটিঙ্গেল আজও হাতে বাতি নিয়ে মানুষের মনে দাড়িয়ে আছে। কার চিন্তায় মানুষ খুশি হয়। অবশ্যই যে মানুষের উপকারে এগিয়ে আসে তাকে। আর যে অকৃতজ্ঞ হয়, পৃথিবীতে যতদিন তার নাম থাকে তাতে থু থু পড়তে থাকে। তাই প্রত্যেকের বোঝা উচিত, কোনটা চাই, থুথু নাকি অমর ভালোবাসা।
যেহেতু জীবিত তাই এটুকু নিশ্চিত, এখনো সময় আছে সুন্দর কিছু করার। জীবন নিয়ে যুধিষ্টিরই স্বর্গে গিয়েছিলেন অন্য কেউ নয়। ধর্ম করলে, মানুষের উপকার করলে তা বিফলে যায় না। আমার হাতে অর্থ সম্পদ কিংবা ক্ষমতা নেই বিধায় আমি এগিয়ে যেতে পারছি না। কিন্তু, বিশ্বাস করুন, যার আছে তার হয় মনটা তেমনভাবে বেড়ে ওঠেনি। তাই, এখনো রাস্তার পাশে অনেক মানুষ খাবারের অভাবে বসে আছে। তাদের কে দেখে? কারও একজনের অপেক্ষা বসে আছে মধুবাগের বজলুর মা। তার স্বামী পরলোকে গেছেন। বাসা বাড়িতে কাজ করে তার রোজগার হতো। বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তাদের পেট চলে কিভাবে। অথচ, গুদামে চালের অভাব নেই। কাড়ি কাড়ি টাকাও জমা পরেছে বিশ্বের নামি দামি ব্যাংকগুলোতে। আর আমাদের মায়েরা এখনো কষ্ট করে চলেছে। অক্ষম ছেলেটা এই চিন্তা করে চোখের জল ঝরায়। তার কিছু করার নেই।
শিল্পপতিরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন না। তাদের লোকসান হচ্ছে। হাজার কোটি টাকায় তাদের মন ভরে না। দেশবিদেশে বিপুল সম্পত্তি থাকলেও তাদের মনটা আজও শূণ্য। জানি, তা কোন পূর্ণ হবে না, কিংবা তার ধারেকাছেও যাবে না। অনেকের ভালোও হবে না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, কারখানা খোলাও ভীষণ জরুরি। না, শিল্পপতির জন্য নয়, আমাদের এমন অনেক ভাই-বোন আছেন যারা একদিন কাজ না করলে টেকা দুষ্কর হয়ে যায়। তারা করোনাভয় জয় করে, পেটের তাগিদে নামবে। এ যে নিছক সত্য। প্রশ্ন করছি, আপনার ঘরে যখন চাল-ডাল-তেল থাকবে না, সন্তান পরিজন না খেয়ে থাকবে’ তখন কি করবেন? আমার মনে হয়, এখনো হাতে সময় আছে। মানুষকে সাহায্য করুন।
বিশ্বাস রাখুন পূণ্য কর্মের ফল বিফলে যায় না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আস্তে আস্তে সব খুলতে হবে।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: এই সময়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো গুজবে কান দিলেই আমরা নিজেরা বিপদ ডেকে আনব। যে কোনো কিছু ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.