নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেয়াল লিখন

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১০

অনেক কাল বহু ঘাটের জল খেয়ে শেষ পর্যন্ত হুঁশ ফিরেছে- না, এভাবে নয়। দোষী নির্দোষ মাপার মাপকাঠি থেকে গেছে অগোচরে। বিচারের দোহাই দিয়ে দুপক্ষের মিলমিশ কিংবা কিছু জরিমানার বিধান আর গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। মোড়লরা তারপরও নিশ্চুপ, কোন কথা বলে না, যেমন বিধি তেমন তার প্রয়োগ করেন, কাজের কাজ কিছুই হয় না। না আছে তার করুণ দৃষ্টান্ত, না আছে জনমানুষের প্রত্যাশার কোন জায়গা। এভাবেই চলছে ‍রাজত্ব। শত শত বছর আগেও যেমন শাসকের নিপীড়নে জর্জরিত হতো করুণ প্রাণ, আজও তেমনই হয়। দুর্বল যেন চিরকালের জন্য প্রতিবন্ধকতার শেকল পড়ে থাকে।

ভান্ডারের কোটি কোটি রত্ন গায়েব হয়ে গেলেও ‍পাহাড়াদার দাত বের করে হাসে। কি হয়েছে, এতো আর কারও ব্যক্তিগত জিনিস না, গেছে গেছে। লোপাট আর গায়েব হয়ে যায় সম্পদের পাহাড়। এতো বড় স্থলভাগে তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার অনেক দিন পর যখন তার সন্ধান হয়, তা আর ফেরত আসে না। এভাবেই কমতে থাকে সম্পদ, গরীবের, নিম্ন শ্রেণীর। আর, রাঘববোয়ালরা তখন ঠিক এর ফায়দা লুটে। অত্যাচার, নির্যাতন নেমে আসে ক‍াল হয়ে। বাতাস ঘনীভূত হয় অন্যায়ের মায়াজালে। রেহাই মেলে না। সাময়িক স্বস্তিতে কিছুটা সময় পার হয়, তাতে ইতিহাসে স্থান পাওয়ার মতো কিছু হয় না। আর যা কিছু পাতায় আসে, তাতে ভালো উদাহরণ সামান্য।

সামনে থেকে বুক পেতে দিয়ে পিছন থেকে ছুঁরি চালানোয় অভ্যাস আছে। সম্পদ আর ক্ষমতার লোভে যখন অন্ধত্ব কেড়ে নেয় বিবেককে, তখন ওদ্ধ্যত্বের সীমানা ভেঙে যায়। তখন বৃথা নীতি। সময়ের নিয়মে ক্ষমতা দখল করে শকুনের দল। রাজত্ব কায়েম করে শিকারের। যখন খুশি তখন তারা শিকারে নামে। সন্ধিতে ব্যর্থ হলেই কপালে দুর্ভোগ। নিখোঁজ কিংবা নিছক দুর্ঘটনা বলেই চালিয়ে দেওয়া যায়। তাছাড়া, নিত্যনতুন পথেরও শেষ নেই। রাস্তায় ছেড়ে দৌড় দিতে বলে সে শিকারী। পেছন থেকে ছুটে যায় মৃত্যুবান।

কতশত প্রাণ ঝড়েছে এভাবে, টনক নড়েনি শাসকের। ক্ষমতার পর্দায় ঢাকা পড়েছে বিবেকের আয়না। সেখানে আর মনুষ্যত্ব কিংবা মানবতা দেখা যায় না। সেখানে কার কি এলো গেল, তাতে কিছুই যায় আসে না। প্রত্যাশিত ভান্ডার পূর্ণ হলেই চলে। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ দিয়েও তাদের মধ্যে মানবতাকে জাগ্রত করা যায় না। বিপুল বিনিয়োগ, আর সময় নষ্টের বিনিময়ে জোটে না এক সুনাগরিক। অথচ, ঠিক তার লেবাস ধরে রাস্তায় নামে তারাই। দাবি করে, ভালো মানুষের, সৎ চরিত্রের। অথচ, দিন শেষে তারাই হিংস্র হয় কোন এক কোণে। মানুষের অবয়বে তার‍া ঠিক প্রাণ হরণের ফন্দি আঁটে। তাদের থামানো যায় না।

এসব দেখার চেয়ে বরং অন্ধত্ব ভালো। সোচ্চার হয়ে দু’চার দিন লুকিয়ে বেঁচে থাকার অর্থ কি! দ্বিধাবিভক্ত এই ধরণীতে কে কার দায় নেবে। রাস্তা ফাঁকা। মাথা নিচু করে হেটে যাওয়‍া পথিক ডানে বামে তাকায় না। তার শরীরে ঘাম। পাশেই পর্দা দেওয়া সুদৃশ্য যানে হিমেল সৌরভ। কিছুটা দূর যেতেই হারিয়ে যায় সব অতীত। আবার নতুন করে শুরু হয় কোন কার্যকারণ। এভাবেই চলতে থাকে। কেউ জয়ের সিড়িতে দাড়িয়ে হাসে, আবার কেউ হেরে মুখ লুকিয়ে কাঁদে। এই বিধান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.