নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বস্তাপঁচা গন্ধ

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৭

রাজনৈতিক দর্শনের নিমজ্জিত রাষ্ট্র বিরোধীরা অনেক আগেই পালিয়েছে। এখানে বিরোধীদের কোন স্থান নেই যদি পক্ষে থাকেন তাহলে সঙ্গে চলেন আর যদি না পারেন দূর দেশে কোথাও পালিয়ে থাকেন। কারণ এখানে খাবার কেনার জন্য আপনার অর্থের অভাব হবে। বস্ত্রের জন্য আপনার খুঁজতে হবে কোন মানবতার দেয়াল। কাঠ-খড় পুড়িয়েও কোন জরুরী কাজ আপনি করতে পারবেন না। অক্সিজেনের অভাবে রাস্তাতেই মরতে হবে। এখানে আপনার মূল্যায়ন হয় না। রাষ্ট্রের নাগরিক হয়েও নাগরিকত্বের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রের চাকর হয়ে থাকবেন আপনি। শতশত দোহাই গালিগালাজ করে আপনার প্রয়োজনীয় স্বার্থসিদ্ধি হবে না এ নিশ্চয়তা দেওয়া যায়।
হাতে লেখার দিন অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন প্রযুক্তিগত কৌশলে সব লেখা যায়। ডিজিটাল শখের বশে দু'চারটে বিরোধী শব্দ ব্যবহার করলেই মামলা-হামলা এমনকি জান নিয়া টানাটানি হচ্ছে। কেন? এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত কেউ নেই। কারণ এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মত বিবেক বুদ্ধি থাকা লোকের যথেষ্ট অভাব।
খেয়াল করে দেখবেন এখানে কোন সহমর্মিতা নেই। না আছে বন্ধুত্ব না আছে মায়া। আজ লোকদেখানো কান্নায় অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে থাকে। মদের গ্লাস নিয়ে মিট মিট করে হাসে, আর ভাবে "এইতো মগের মুল্লুক"। এখানে যা চাওয়া যায় তাই পাওয়া যায়। রাস্তা জানা থাকলে টাকা কোন ব্যাপার না, ও এমনি এমনি আপনার পকেটে চলে আসবে। আর যদি না জানেন তবে দিতে দিতে জান শেষ। দিন শেষে চাল কেনার টাকা নেই।
দিন বদলে গেছে। আগে মানুষ আত্মীয়র বাড়ি যেতে দু'চার দিন থেকে বাড়ি ফিরতো। এখন আর মানুষ আত্মীয়ের বাড়ি যায় না। গেলেও বড়জোর দুইবেলা। তাই যথেষ্ট। সময় হয়ে উঠেনি। ব্যস্ততা বেড়েছে। খোঁজ নিন, জিজ্ঞাসা করুন, প্রশ্ন করুন, কেমন আছেন? ভালো আছি সহজ উত্তর। বোঝা যায় দেশের মানুষ সুখে আছে। অভাব অনটন দূর হয়ে গেছে। এখন কেউ না খেয়ে মরে না।
এমনটা কেউ ভাবেও না।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে মাথাব্যথা। যার পকেটে টাকা নেই তার পকেটেও বান্ডিল। বাজারে গিয়ে দেখুন জিনিসপত্রের কোন অভাব নেই তাহলে দ্রব্যমূল্য নিত্যপণ্যের দাম হেনতেন সাত সতের কেন?এ নিয়ে এত মাতামাতি করে লাভ কি? ৭০ টাকা কেজি চাল কিনতে পারছেন। তাহলে, ৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে সবজি। অসুবিধে কি টাকার অভাব নেই সম্পদের অভাব নেই। অভাব সুষ্ঠু বন্টনের। যে কারণে একজন ব্যবহার না করতে পেরে ফেলে দেয় অন্যজন তাকিয়ে দেখে।
দুর্নীতি-অনিয়ম বিশৃঙ্খলা থাকবে। ভালো-মন্দ মিলিয়ে যেমন মানুষ, তেমনি একটি রাষ্ট্র যত পরিষ্কারে থাকুক না কেন তার মধ্যে জঙ্গল থাকবেই। এক জায়গায় ৫০ জন মানুষ ধারণা থাকলে তার পঞ্চাশটা মানুষই ভালো হবে না। এরমধ্যে দু'চারটে ছেচরা চোর বাটপার অপরাধপ্রবণ মানুষ থাকবে। কিন্তু সেই সংখ্যাটা যদি ৪৫ ৪৭ হয় তাহলে মুশকিল। বাকি যে দু চারজন থাকছে তাদের থাকার থেকে না থাকাই ভালো। অর্থাৎ তাদের থাকার প্রয়োজন নেই। তারা চলে যাক। হয় পার্শ্ববর্তী কোন দেশে না হয় উপরের দেশে।
দেশের দু'চার জন মানুষকে নিয়ে এত মাতামাতি। অথচ যেখানে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ তাদের নিয়ে ভাবার সীমাবদ্ধতা আছে। সুপার থেকে যে গণহারে পণ্য কিনে তার নিশ্চয়ই লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। দশটা পনেরোটা ব্যাংকের কার্ড তার পাশে থাকে। তাতে কত টাকা তার কোন হিসেব নেই। গল্প নয়, পরীক্ষিত।লাইনে দাঁড়ালেই নিশ্চয়ই টের পাবেন। সঙ্গে থাকছে বস্তাপঁচা গন্ধ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রযুক্তির উন্নতির ফল।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কয়েকদিন পর আপনি কি চিন্তা করছেন তাও জেনে যাবে সরকার।সেই প্রযুক্তি চলে এসেছে।কোন কোন সরকার ব্যবহার করছে।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সব মিলিয়ে দেশ খারাপ চলছে না। চারপাশে ভালো করে তাকিয়ে দেখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.