![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুন্দর হউক এই পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষ। মানব হউক মানবিক।আমি সাধারণ অর্ধেক শিক্ষিত মানুষ, কিছু নেই আমার পরিচয়। জীবনে চলার পথে শিখি অবস্থা দেখে বুঝি,আমার শখ লেখালেখি করা, তাই করতে চেষ্টা করি।
গুগল (Google), একটি ওয়েব সাইটের নাম বলেই আমরা সবাই জানি! কিন্তু কোথায় থেকে এই নাম এসেছে, তা সবাই না জানলেও অনেকেই জানি! এই নামটি আসলে একটি ম্যাথামেটিকাল নাম্বার কে বোঝায়! ১৯২০ সালে একজন গণিতবীদ, এডওয়ার্ড কেসনার (Edward Kasner) এই নাম্বারটা যখন ঠিক আবিষ্কার নয়, কিছু চিন্তা করছিলেন, তখন তিনি তার ভাতিজা নয় বছর বয়সী মিল্টন সিরোটাকে (Milton Sirota) জিজ্ঞেস করেছিলেন এই নাম্বারের কি নাম দেয়া যায়, সেই বাচ্চা মিল্টন দুষ্টামির ছলেই বলেছিলো, গুগল (Googol)!
এবার আসুন নাম্বারটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই! এটা সহজে বলতে গেলে, বলতে হয়, টেন টু দা পাওয়ার অপ হান্ড্রেড় (10100)! মানে, একের পর একশোটা শুন্য! এই নাম্বার যে কতো বড়ো, সেটা প্রথম দেখায় বোঝা যায় না! তাই আসুন একটু চিন্তা করে নেই কতো বড়ো নাম্বার এটা!
হিসেবটা এই রকম:
১০ টু দা পাওয়ার অপ ১ (101) =১ ০
১০ টু দা পাওয়ার অপ ২ (102)=১০০
১০ টু দা পাওয়ার অপ ৩ (103)=১০০০
………………………
গুগল (Googol) = 100000000000000000000000000000000000000000000000000000000000
00000000000000000000000000000000000000000!
সমুদ্র তীরে কখোনো গিয়েছেন? অথবা মরুভুমিতে? দেখেছেন সেখানে বালুয় ভরা! কখোনো গুনে শেষ করা যাবে সেখানে কতোটা বালু রয়েছে? একটা বালুর কণা কতো ছোট! এটম কিন্তু তার চেয়েও ছোট! খালি চোখে দেখাই যায় না! মাইক্রোস্কোপ লাগে দেখতে হলে! রাতের আকাশ দেখে কখোনো ভেবেছেন এই মহাকাশটা কতো বিশাল? কতো বিলিয়ন বিলিয়ন তারা রয়েছে ওই মহাকাশে!?
এবার ধরুন এই পুরো পৃথিবীকে শুধু বালু আর বালু হিসেবে ধরে নিন! মাটি, পাহাড়, গাছ, পালা, পশু, পাখি, মানুষ, ঘর, বাড়ি, নদী, সাগর, সব কিছু! তার সাথে ধরে নিন মহাকাশের সব গুলো তারা, গ্রহ, চাঁদ, উপগ্রহ, ধুলো, মানে সব কিছু যা দেখা যায় ও ছোয়া যায়, সব কিছুকেই বালুর কণাতে পরিবর্তন করুন! সব গুলো বালুর কণাকে এক সাথ করুন! এবার সেই বালুর কণা গুলোকে এটমে পরিবর্তন করুন (বালুর কণা খালি চোখে দেখা যায়, এটম কিন্তু খালি চোখে দেখাও যায় না!)! এবার বলুনতো কতোগুলো এটম হয়েছে?!
বলতে পারছেন না?! ম্যাথমেটিকালি সংখ্যাটা ধরা হয়েছে টেন টু দা পাওয়ার অপ সেভেন্টিএইট(1078)!! মানে ১ এর পর ৭৮টা শুন্য বসালে যেই নাম্বার হবে, ঠিক ততোটাই এটম পাবেন! আর সেখানে গুগল এর সংখ্যা হচ্ছে টেন টু দা পাওয়ার অপ হান্ড্রেড়! এটি মহাবিশ্বের সব গুলো এটমের সংখ্যার চেয়েও বড়ো! কল্পনা করা যায় ও না কতো বড়ো এই সংখ্যাটি!
এই সংখ্যাটি আসলে ধরা হয় যখন "ইনফিনিটি" টাইপের নাম্বারের প্রয়োজন হয়ে থাকে হাইয়ার ম্যাথ করতে গেলে, তখন!
এবার আসুন গুগল সংখ্যাটির চেয়ে বড়ো কিছু আছে কি না, সেটা জেনে নেই! আছে! নাম গুগলপ্লেক্স (1010100)! এই সংখ্যাটি হচ্ছে টেন টু দা পাওয়ার অপ গুগল! মানে টেন টু দা পাওয়ার অপ টেন টু দা পাওয়ার অপ হান্ড্রেড়! এটির মান আসলে কল্পনা ও করা যায় না! তবুও একটু ধারনা করা হয়েছে! আর সেটি হচ্ছে এতোখন যেই মহাবিশ্বের কথা বলেছি, সেই মহাবিশ্বের যতো তারা, গ্রহ, উপগ্রহ, ধুলো, বালি, রয়েছে, আর যতোটুকু খালি জায়গা (মহাশুন্য) রয়েছে, সব কিছুই ধরে নিন মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে দখল করার জন্য! উপরেও মাটি, নিচেও মাটি! পুরোটা জায়গাই মাটি দিয়ে ভরা! এবার আসুন সেই মাটির ভেতরে যে খালি চোখে দেখা যায়না তেমন এটম রয়েছে, সেই সব গুলো এটমকে গোনা শুরু করি! সংখ্যাটা ধারনা করা হয়ে থাকে টেন টু দা পাওয়ার অপ ওয়ান হান্ড্রেড় এন্ড টুয়ান্টি এইট (10128) ! গুগলপ্লেক্স (1010100) তার চেয়েও অনেক বিশাল বড়ো নাম্বার বলেই ধারনা করা হয়ে থাকে!
এই পৃথিবীর সব কিছুই ম্যাথমেটিক্স দিয়ে হিসেব করা যায়! শুধু মাত্র মানুষের আত্মা ছাড়া! আর তাই ম্যাথমেটিক্সই আসলে সৃষ্টিকর্তার ভাষা!
সুত্রঃ এপেলো রানা
০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫০
প্রথমকথা বলেছেন: সত্যি অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। ভাললাগা জানবেন।
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: আর্সের স্টুডেন্ট হওয়াতে এতা মাথার উপর দিয়ে গেলো ;(
০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
প্রথমকথা বলেছেন: আর্টসের ছাত্র হলে কি সাধারণ জ্ঞান থাকেনা, থাকে বন্ধু । হয়তো আপনি ভাল ভাবে খেয়াল করেন নি/ সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
বিজন রয় বলেছেন: আমি কিছু বুঝিনাই।
০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
প্রথমকথা বলেছেন: দাদা পড়ে আমিও অবাক হয়েছি তাই কিছু অংশ ব্লগে শেয়ার করলাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
+।
০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
প্রথমকথা বলেছেন: দাদা অনেক বড় লেখা তার কিছু গুরুত্ব পূর্ণ অংশ উপস্থাপন করেছি, উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: তথ্য বহুল লেখা , যা এতদিন অজানা ছিল।
০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬
প্রথমকথা বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।
৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০০
তৃতীয় পক্ষ বলেছেন: দারুণ তথ্য দিলেন প্রিয় দিদি।
০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮
প্রথমকথা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় তৃতীয় পক্ষ দাদা/
৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৭
নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: ম্যাথমেটিকালি সংখ্যাটা ধরা হয়েছে টেন টু দা পাওয়ার অপ সেভেন্টিএইট(1078)
এই তথ্যটা মানুষ জানলো কি করে? মানুষ তো এখনও জানেনা আমাদের নিজস্ব গ্যালাক্সিতে কয়টি তারা আছে!
এমনকি মানুষ এটাও জানেনা সৌরজগতে আসলে কয়টি গ্রহ আছে।
০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪০
প্রথমকথা বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপনার তথ্য মূলক মন্তব্য। ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মাথায় ধরে না!!!!
ছেড়া তার জোড়া দিতে কথন যে তাঁর ছেড়া হয়ে গেছি বুঝতে পারিনি।
০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪১
প্রথমকথা বলেছেন: দাদা কয়েক বার পড়লে কিছুটা বুঝা যাবে। ভালথাকবেন।
৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৪
কল্লোল পথিক বলেছেন:
তথ্যমূলক পোস্ট,
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪২
প্রথমকথা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি ভাই। ঈদের শুভেচ্ছা।
১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:০২
কালনী নদী বলেছেন: গুগলের ব্যাপারটা আমার আগে জানা ছিল না, মেথ নিয়ে আপনার মিথটা সত্য কারণ পথিাগোরাস সংংখ্যাতে ইশ্বরকে বোঝতেন।
তার কাছে তিন সংক্যাটি ছিল ঈশ্বিরের অস্তিত্ব। আমি, তুমি ওসে।
গণীতের গুরুত্বপূর্ন তথ্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
প্রথমকথা বলেছেন: আমিও বিস্মিত হয়েছে প্রথমে পড়ে। তবে খুব জটিল , সাধারণে বুঝা সম্ভব না। ভাল থাকবেন ঈদ মোবারক ।
১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:০৪
কালনী নদী বলেছেন: সংখ্যাটি, ঈশ্বরের, পিথাগোরাস, সংখ্যাতে, গণিত *
১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট!!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৭
শিশির বলেছেন: দারুন তথ্য