![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ একটি সংবাদপত্রে পড়লাম ২৫ বছর সংসার করার পরে দম্পতি জানতে পেরেছেন তাঁরা ভাইবোন।
খবরটি পড়ে কর্মজীবনের একটি অভিজ্ঞ্রার কথা মনে পড়লো।
ব্রিটেনে ফস্টারিং এবং এডাপশন বেশ কমন। নানা কারণে বাচ্চারা ফস্টার প্যারেন্ট বা এডাপশনে যায়। এবোরশন করার সময় পেরিয়ে গেলে ডাক্তারদের কিছু করার থাকে না। এটা লম্বা প্রসেস সে কথা অন্য সময় লেখার ইচ্ছে রইলো।
কয়েক বছর আগে দেশ থেকে আসা একজন মা সামাজিক কারণে তার নবজাত বাচ্চাকে এডাপশনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। কেসটির সাথে আমাকে ক্লোজলি কাজ করতে হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডে নানা ষ্টেজে নানা নিয়ম বা আইন ফলো করতে হয়। এক পর্যায়ে আইন অনুসারে বাচ্চার মায়ের নাম, (অধিকাংশ সময় আমাদের সাবকন্টিনেটের মেয়েরা বাচ্চার বাবার নাম প্রকাশ না করে বলে রেপড কিন্তু এ দেশের মেয়েরা জানা থাকলে সাধারণত নির্দ্বিধায় বলে দেয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি একটা বাচ্চার তার বাবার নাম জানার অধিকার আছে) মায়ের ছবি এবং মায়ের পক্ষ থেকে দেয়া বাচ্চার জন্য একটি গিফট বা চিঠি এসব একটা বক্সে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। ঐ বাচ্চা যখন ১৮ বছর বয়স হয় ওটা তাকে হ্যান্ড ওভার করা হয় যাতে বাচ্চা চাইলে তার বাবা বা মাকে খুঁজে বের করতে পারে। আরেকটা বিশেষ কারণে এগুলো করা হয় যাতে বাচ্চা বড় হয়ে পরিচয়ের অভাবে রক্ত সম্পর্কের কারো সাথে সম্পর্ক বা বিয়ে না করে।এই ১৮ বছরের মধ্যে মায়ের সাথে সরাসরি দেখা না করতে দিলেও চাইলে বাচ্চার মা তার বাচ্চার খবর নিতে পারে সে বিধানও রয়েছে। ঐ বাচ্চাটির সময়েও আমরা তাই করেছিলাম। কাজের ক্ষেত্রে হলেও আমি সে সময় বেশ ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। আজকে সংবাদ পত্রে সৌদি আরবের ঘটনাটি পড়ে ওই বাচ্চাটির মুখ খুব মনে পড়ছে। এ দেশের নিয়মকে শ্রদ্ধা জানাই।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই জাহাঙ্গীর আলম৫২। আজকাল আর এজগতে আসা হয় না তাই রিপ্লাই করতে দেরি হলো। ক্ষমা চাইছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
বিচিত্র অভিজ্ঞতা ৷ ভাল থাকবেন ৷