নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিশ্চিত গন্তব্য

ভণ্ড সাধক

আমি কেউ না

ভণ্ড সাধক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুলে যাওয়া সেই গানের কলি, কলেজের করিডোরে দেখেছি।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০২



আশির দশকের মাঝামাঝি। বাংলাদেশে ব্যান্ডমিউজিকের একটা ভিত্তি গড়ে ওঠলেও অতোটা সার্বজনীন হয়ে ওঠেনি। ওই সময় সিংহভাগ ব্যান্ডই এলিট শ্রেণির জন্য অভিজাত হোটেলে জনপ্রিয় ইংরেজি গানই বেশি গাইতো। চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড সোলসের ঢাকায় এসে বাংলা গানের কম্পোজিশনে জোড় দেয়। ওয়েস্টার্ন ইন্সট্রুমেন্টে সোলসের রোমান্টিকধারার গানগুলো শ্রোতারা লুফে নেয়।


মুক্তিযোদ্ধা, সেতারবাদক ও ইউরোপিয়ান ব্যান্ড কিরওয়ানি অর্কেস্ট্রার সদস্য সাজেদ উল আলমের গড়া সোলস ব্যান্ডে যুগে যুগে যুক্ত হয়েছে দেশবরেন্য সব সঙ্গীতশিল্পী। যারা পরবর্তীতে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে সোনালি ফসল ফলান। নকীব খান, তপন চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ, আইয়ুব বাচ্চুর মতো বরেণ্য শিল্পীদের সূতিকাগার সোলস। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এই বান্ডটির নাটাই এখন শক্তভাবে ধরে রেখেছেন পার্থ বড়ুয়া, সোলসের জনপ্রিয়তার সুতো এখনও তিনি ঢিল হতে দেননি। দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে পথ চলা সোলস আজও দেশের শীর্ষ ব্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সোলসকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলে মূলত ব্যান্ডটির রোমান্টিক গানগুলোই। আশির দশকে তুমুল জনপ্রিয় দুটি গান হলো- মন শুধু মন ছুঁয়েছে ও কলেজের করিডোরে দেখেছি।

সোলস বিভিন্ন কনসার্টে এখনও ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’ গাইলেও গত দুই দশকে কালের ধূলোয় চাপা পড়ে গেছে ‘কলেজের করিডোরে’ গানটি। আর চাপা না পড়ার কোনো কারণ নেই, এ যুগের কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য গানটি সেকেলে মনে হতেই পারে। এখন তো হৃদয়ের আকুলতা প্রকাশের জন্য দুরু দুরু বুকে শিরিষ গাছের নিচে দাঁড়াতে হয় না। স্মার্ট ফোন আছে, ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জার-হোয়াটস আপে অভ্যস্থ জেনারেশন দুপুরের খর রোদে মনের মানুষের চোখের ভাষা পড়তে রাজি নয়। সেলফি আর ভিডিও চ্যাট থাকতে অতো কষ্ট কে করে! তবুও ব্যান্ডের গানের ভক্ত পুরনো বহু মানুষের কাছে ‘কলেজের করিডোরে দেখেছি’ আবেদন থাকবেই। এটি যেহেতু এখন আর গাওয়া হয় না, তাই তপন চৌধুরীর কণ্ঠের গানটিকে ধরে রাখতে একটা প্রচেষ্টা করা হলো।



কলেজের করিডোরে দেখেছি
ভোকাল: তপন চৌধুরী
ব্যান্ড : সোলস

কলেজের করিডোরে দেখেছি
চোখদুটি ছিলো যার সুন্দর
মোনালিসা হাসি দিয়ে বেঁধেছে
সে যে এই বিরহের অন্তর।

আলাপের প্রয়োজনে একদিন
শিরীষ গাছের নিচে দাড়িয়ে
নির্জনে একা পেয়ে বললাম
লজ্জার আবরন সরিয়ে
তুমি তো বোঝালে
জীবনের মানে কত সুন্দর।

দুপুরের খর রোদে সেই চোখ
দীঘির জলের মত শান্ত
দু’জনেই মুখোমুখি দাড়িয়ে
মুখে নেই নেই কোন শব্দ
তুমি তো হারালে
আমাকে দিয়ে কিছু রোদ্দুর।








মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: এই মেয়েটা ''তারে বলে দিও'' এই গান, দারুন গেয়েছে। সারেগামা অনূষ্ঠানে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.