নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘৃণা নয়, ভালোবাসা...

আল্লাহ আমাদের সহায় হোন...

প্রিয়ম ৭৫

সুদিন ফিরে আসবে-ই...

প্রিয়ম ৭৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশটির নাম-কানাডা

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

যারা কানাডায় বসবাস করছেন কিংবা যাদের এই দেশটি সম্পর্কে যথেষ্ঠ অভিজ্ঞতা আছে কেবল সেসব বন্ধুর কাছে আমার এই লিখা--

শুনেছি, কানাডায় ভিজিট ভিসায় গিয়ে থাকা যায়, কাজ করা যায়।
একপর্যায়ে বৈধ হবার সুযোগ আছে। বিষয়টি কতটুকুন সঠিক?
আর যদি সঠিক হয় তাহলে কি কি সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে
এবং বৈধ হবার সুযোগ কতখানি?
কাজের ধরন কীরকম হতে পারে?
কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি জটিলতা আছে?
অভিজ্ঞ বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করছি.....

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

কেএসরথি বলেছেন: আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আসেন, তাহলে ওয়ার্ক পারমিট যতদিন বৈধ থাকবে, ততদিন থাকতে পারবেন। ভিজিট ভিসার পূর্বশর্ত হচ্ছে, ভিজিট শেষ হবার পর আবেদনকারীকে নিজ দেশে ফেরত চলে যেতে হয়। এখন অনেকে যেটা করে, তাহলো ভিজিট ভিসা নিয়ে কানাডা আসে - এসেই ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করে। কিন্তু এখানে একটা ব্যাপার আছে। আপনি চাইলেই তারা আপনাকে পারমিট দেবেনা। কারন আপনি ভিজিটে এসেছেন, কাজের জন্য তো আসেন নাই। এই ধরনের পারমিট সাধারনত দেয়া হয়, যদি আপনার স্ত্রী/স্বামী কানাডাতে থাকে, আর আপনি কানাডা তে এসেছেন একই সাথে (বা পরে কোন সময়)।

কানাডাতে এখন ইমিগ্রেশন খুব ঝামেলার হয়ে গেছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, যারা ইমিগ্রেশনের জন্য উপযুক্ত, তাদের ইমিগ্রেশন হবেই। হয়ত ৪/৫ মাস বেশী সময় লাগবে, কিন্তু হবেই।

আর যদি ভিসা হয়ে যায়, তাহলে যেসব সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে:
১) কাজ: এখানে প্রায় ৯৯.৯% কাজে তারা আপনার বিভিন্ন কাগজ (ওয়ার্ক পারমিট, সোসাল ইন্সুরেন্স নম্বর, কানাডা গভর্নমেন্ট প্রদত্ত আইডি, ব্যাংক এ্যাকাউন্ট) দেখতে চাইবে। একজন ভিজিটর হিসাবে এসবের প্রায় কিছুই আপনার থাকবে না। ফলে ৯৯.৯% কাজই আপনি করতে পারবেন না। যদি কোন ভারতীয়/বাংলাদেশী মালিক আপনাকে কাজ দেয়, সে আপনাকে ক্যাশে বেতন দেবে, যেটার কোন রেকর্ড থাকবে না - আপনি ট্যাক্স দিতে পারবেন না - ট্যাক্সের কোন রেকর্ড না থাকায় কানাডা আপনার গ্রীন কার্ড (স্থায়ী বসবাসের আবেদন) মন্জুর করবে না। মানে হলো ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হবা মাত্রই আপনি অবৈধ হয়ে গেলেন।

২) বাসস্থান: প্রায় সব বাসার মালিকই আপনার উপরুক্ত সব কাগজ দেখতে চাবে, আবারো সেই একই ঝামেলা। উপায়? সেই একই ভারতীয়/বাংলাদেশী মালিক - যারা হয়ত ছোট একটা রুমের জন্য আপনার কাছ থেকে বেশী ভাড়া আদায় করবে।

৩) চিকিৎসা: কখনও কোন রোগে পড়লেন তো মনে করেন পকেট ফুটা হয়ে গেল - কানাডাতে প্রায় সব রকমের চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দেয়া হয় - (আপনার সন্তান হবে? হাসপাতালে থাকা থেকে শুরু করে, ডেলিভারী সবই ফ্রি - কিছু ওষুধ নিজের পয়সায় কিনতে হয়, কিন্তু ইনসুরেন্স আবার ওষুধের ৮০% দিয়ে দেয়, তো ১০০টাকার ওষুধ আপনি দেবেন ২০টাকা)। একজন ভিজিটর হিসেবে আপনাকে বারবার ক্লিনিকে যেতে হবে, সেখানে টাকা আপনার, খরচও আপনার।

বুঝতেই পারছেন, আপনি যদি সঠিক উপায়ে কানাডা আসেন, তাহলে আপনার উপর থেকে কতটুকু চাপ কমে যাচ্ছে - আর যদি অন্য উপায়ে আসেন, তাহলে অনেক যুদ্ধ করতে হবে। যুদ্ধ আপনাকে সঠিক উপায়ে আসলেও করতেই হবে, কিন্তু ২নম্বর রাস্তায় আসলে জীবনটাই দূর্বিষহ হয়ে উঠবে। তখন কানাডার নাম শুনলেও মনটা বিষিয়ে উঠবে।

কানাডায় যদি আসতে চান সঠিক রাস্তায় আসুন - পড়ালেখা, কাজ, দরকার হলে কানাডিয়ান পাত্র/পাত্রীকে বিয়ে করুন (শুধু কানাডায় আসার জন্য বিয়ে কইরেন না, তখন আবার আরেক ঝামেলা)।

লম্বা লেখা লিখলাম। ভূল মাফ করবেন।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৩

প্রিয়ম ৭৫ বলেছেন: ভাই আপনার এই চমৎকার লিখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন, ভিজিট ভিসায় গিয়ে কোনভাবেই বৈধ হবার সুযোগ নাই? অর্থাৎ ২/৩ বছর অবস্থান করে কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে কিংবা কোন কলেজে ভর্তির মাধ্যমে কি সম্ভব নয়?
নির্দিষ্ট সময় পার হবার পর অর্থ্যাৎ ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পর যেহেতু অবৈধ, তখন অ্যারেস্ট হবার সম্ভাবনা কেমন? নাকি সেরকম ঝামেলা নায়...?
আপনার যদি সময় হয় জানাবেন প্লিজ.....

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:৫২

কেএসরথি বলেছেন: ভিজিট ভিসায় এসে কলেজে ভর্তি হতে পারেন, সেক্ষেত্রে স্টাডি পারমিট লাগবে। যদি আবেদন করে স্টাডি পারমিট পেয়ে যান, তাহলে সমস্যা আর নেই। স্টাডি পারমিট আপনাকে কোর্স যতদিনের ততদিন (সাথে আর একটু বেশি কিছু সময়) থাকতে দিবে। ধরুন কোর্স ২ বছরের, পারমিট পাবেন ২ বছর ৬মাসের।

এই যে বাড়তি ৬ মাস পাচ্ছেন, এই সময়েই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে নিতে হবে। একবার ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে, আপনি স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে পারবেন। সাধারনত ওয়ার্ক পারমিট ৩ বছরের দেয়া হয়। তারমানে ৩ বছর আপনি কানাডাতে থাকতে পারবেন। ঐ পরবর্তী ৩ বছর কাজ করে, ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। ইমিগ্রেশন শেষ হতে প্রায় ১বছরের বেশী সময় লাগে। তাই যত তাড়াতাড়ি আবেদন করা যাবে, ততটাই ভালো।

তো এই চার্ট:
২ বছরের স্টাডি পারমিট > ৩ বছরের ওয়ার্ক পারমিট > গ্রীন কার্ড/পি.আর.

এ্যারেস্ট হবার সম্ভাবনা খুবই কম। এখানে আজ পর্যন্ত কোথাও পুলিশের ঝামেলা দেখি নাই। কিন্তু তাই বলে তারা যে কোন একদিন আপনার ঠিকানায় এসে হাজির হবে না - সেটা তো বলা যাচ্ছে না।

কিন্তু অবৈধ হয়ে গেলে আপনার জীবন-যাত্রার মানও অনেক কমে যাবে। কারন আপনি আর কখনও কানাডা থেকে বের হতে পারবেন না। সবসময় লুকিয়ে থাকতে হবে। আর একবার কানাডা থেকে বের হলে, তারা হয়ত আপনাকে আর কখনও কানাডাতে ঢুকতেও দেবে না (অথবা বিশাল ঝামেলা করবে)।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

প্রিয়ম ৭৫ বলেছেন: ভাই সত্যিই আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। চমৎকার কিছু পরামর্শ পেলাম। যদি কোন আপত্তি না থাকে আপনার ফেসবুক আইডি এবং মেইল ঠিকানা যদি দেন উপকৃত হব। আপনার মতো মানুষদের আমি খুবই পছন্দ করি, যাদের ব্রত মানুষের উপকার করা। আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.