নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এখানে নতুন,সবার সহযোগিতা চাই

ভালোবাসা দিয়ে,ভালোবাসা পেতে চাই

পুলক20

আমি নিজেকে খুব সাধারণ মনে করি।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পছন্দ করি।আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি,স্বপ্ন দেখি একদিন আসবে যেদিন আর কোনো শিশু রাস্তায় ভিক্ষা করবে না।

পুলক20 › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভ্যাট

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

১।
খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা এবং চিকিৎসা;৫ টা শব্দ কিন্তু এগুলোর প্রতিটিই কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝার জন্য রকেট সাইন্টিস্ট হয়া লাগে না,বেসিক রাইটস ফিলাপ করা একটা দেশের সরকারের দায়িত্ব।সেটা করতে তিনি সফল নাকি ব্যর্থ অথবা সফল হলে কতটুকু সফল সেটা বিবেচনা করার মত সামর্থ্য আশা করি সবার আছে।আর সেই সামর্থ্য থাকার পরেও একজন শিক্ষিত এবং সুস্থ মানুষ হয়ে যদি শুধুমাত্র প্রাইভেট ভার্সিটির ষ্টূডেন্ট না হওয়ার কারণে আপনি চুপ করে থাকেন তবে মন দিয়ে শুনুন,আপনার টিচাররা ব্যর্থ;simply failed to teach you anything.

২।
মাত্র ৭.৫%!হ্যা মাত্র ৭.৫% কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন? পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রতিষ্ঠান বানাতে পারেন নাই সেই ব্যর্থতা কার? যে কয়টা আছে সে কয়টার শিক্ষা ব্যবস্থা কতটুকু মানসম্মত? একটা ষ্টুডেন্ট তার বাবার কষ্টের টাকা দিয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেসে;যেটা রাষ্ট্রের করার কথা ছিল সেটা সে টিউশনি করে/জব করে করতেসে সেই টাকার উপরে আপনার ভ্যাট বসাতে লজ্জা লাগে না? হ্যা এটা ঠিক প্রাইভেট ভার্সিটির অনেক ষ্টুডেন্টের বাবার অঢেল টাকা আছে কিন্তু সেটা কত পার্সেন্ট?

৩।আমরা জানি আমরা তৃতীয় বিশ্বের একটা উন্নয়নশীল(!) দেশ;উন্নয়নের বৃষ্টিতে আমাদের ঢাকার রাজপথ পানির নীচে চলে যাচ্ছে।আমরা আপনাদের কাছে চাই না যে আপনারা বিনা পয়সায় আমাদের পড়ান।আমরা ২৭/৩৬ এর গেটে ঘন্টার পর ঘন্টা ঝুলে ঝুলে যেতে রাজী আছি;আমাদের ফ্রী ট্রান্সপোর্টের দরকার নাই।আমাদের বিশাল বড় ক্যাম্পাস আর আড্ডা মারার জায়গার দরকার নাই;মাথার উপরে ছাদ থাকলেই আমরা খুশি,আমরা শুধু শিক্ষার অধিকার চাই কোন ধরণের কর প্রদান করা ছাড়া।আমরা জানি আপনারা শিক্ষানুরাগী আর তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ,প্লিজ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্টূডেন্টদের টিউশন ফী'র উপরে কর বসিয়ে ষ্টুডেন্টদের শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


" খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা এবং চিকিৎসা;৫ টা শব্দ কিন্তু এগুলোর প্রতিটিই কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝার জন্য রকেট সাইন্টিস্ট হয়া লাগে না, "

-আমার মনে হয়, এগুলো বুঝতে হলে, রকেট সাইন্টিস্ট হতে হয়া

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৪

পুলক20 বলেছেন: হুম।প্রেক্ষাপট দেখে তাই মনে হচ্ছে :(

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৮

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: মাত্র ৭.৫%!হ্যা মাত্র ৭.৫% কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন? এটাই বুজা যাচ্ছে না।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৫

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"

উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?

উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?

উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।

-সংগ্রহ।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৫

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৮

পুলক20 বলেছেন: তাই মনে হইতেসে :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.