![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
কলাবতি গ্রামের পাশে দিয়ে বয়ে গেছে এই করতোয়া নদী নদীর পূর্ব পাশে এই গ্রাম গ্রামের মানুষের ঘুম ভাঙ্গে পাখির মুখরিত কন্ঠে । এখান কার মানুষ অনেক অসহায় গরিব তারা নদীতে সবাই গোসল করে এবং গরু ছাগল থালাবাসন কাপর ধোয়া ইত্যাদি । কাজে তারা এই নদীকে আপন মনে করে চলে আসে নিতদিন ধরে তাদের বাবা মা ভাইবোন আত্নিয় স্বজন পারা পতিবেশি সকলে এই নদী কথা জানে । এই গ্রামে বাশ করে অনেক মানুষ তাদের মধ্যে আরিফ এই গ্রামের একজন অশিখিত মুর্খ মানুষ দিন মুজুর দিয়ে সংসার চলে। তার দুই মেয় দুই ছেলে ও তার স্তী নিয়ে বসবাস করে । বড় মেয়ে ঝুমা বয়স প্রায় ১৭ এর কাছাকাছি বড় ছেলে জয় গায়ের রং ফর্সা টিলা টালা নিরিহ শান্তশিষ্ট মানুষের সাথে খারাপ আচরন করেনা |কিন্তু ছোট ছেলে সোহাগ বদমেজাজি তিখ্ন রগচটা সারাক্ষণ পাড়ার ছেলেদের সাথে ঝগড়া ঝাটি লেগে থাকে|প্রতিদিন মায়ের কাছে কত রকম বিচার আসে যে মা মল্লিকা বিবি ছেলের এই বিচার মানুষের গাছের ফল পাড়া| আম কাঠাল লিচু পেয়ারা মানুষের বাগান থেকে পাড়ে বন্ধু দের নিয়ে মলা টিকা রাঘা তাদের নিয়ে মানুষকে বিরক্ত করে ঐটা তার স্বাভাব ওর ছোট মেয়ে রুমা ঝুমার মত টিলা টালা কিন্তু ঐকে বোকাদিলে খুব রাগানিত্ব হয়| এরই মাঝে মা মল্লিকা বিবি ছেলে মেয়েদের নিয়ে কোনভাবে সংসার চলে এরি মধ্যে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ যোগাতে বিষ্ন হয়|তবুও নিজে না খেয়ে ছেলে মেয়েদের খাওয়াই স্কুলে পাঠায়|স্কুলের নাম কাঠাল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়|স্কুলে বাবু স্যার খুব রগচটা মানুষ যে ছেলে মেয়েরা বেয়াদবি করলে খুব মার ধর করে|জয় ৫ম শ্রেনিতে এবং সোহাগ ২য় শ্রেনিতে|সোহাগ বাবুল স্যার এর ভয়ে স্কুলে যেতে চাইনা । তাই মা তাকে মারধর করে স্কুলে পাঠায় ।
দুই
কিন্তু এই বার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমাপনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তার বড় ছেলে জয় সমাপনী পরীক্ষা দিবে। তার অনেক বন্ধু বান্ধব পরীক্ষা দিবে তার দুই বন্ধু আবির ও নয়ন একই গ্রামে বাস করে তারা খুব ঘনিষ্ট বন্ধু বিপদে আপদে একে অপরকে সাহায্যে করে ।বান্ধবী সাথী, চম্পা, ঝরনা তারা সাথী। কলাবতী গ্রামের এক চেয়ারমেনের মেয়। সাথী তাই তার খুশিমত কাজ করেন । সাথী চেয়ারমেনের মেয় বলে সবাই তাকে ভয় পায়। এবং জয় সরল এবং মেধাবী ১ম শ্রেণী থেকে সে প্রথম স্তান অধিকার করে তাই সাথী তার আগে তার বান্ধবিদের বলে যে তাকে কিভাবে নিচে নামা যায়। কিন্তু সাথীর বান্ধবীরা বলে এটা খারাপ কাজ করান সে দুখি পরিবারের একজন ছেলে তাকে নিয়ে তার মা স্বপ্ন দেখে যে আমার ছেলে লেখাপড়া করে একজন শিক্ষিত মানুষ হবে যে সে আর পাঁচ জনের মতো খারাপ কাজে লিপ্ত না থাকে। লেখাপড়া করে একটা চাকরি জোগার করে আমাদের দুখি পরিবারের দঃখ দুর করে দেবে তার মার স্বপ্ন তুই ভেঙ্গে দিসনা । আমি তাকে নিজে নামাজ । আমি যেটা চাই সেটাই হবে তোরা তো জানিস আমি কি করি তোরা দেখ । পরের দিন জয় স্কুলে আসতে দেখে রাস্তায় সাথী এবং তার বান্ধবীরা সবাই বলে আরে জয় তুই আমাদের সাথে চলনা। তোরা যা আমি আবিরের বাসায় যাব জয় কে বলে সাথী তোর কাছে কিছু কথা আছে । আমার সাথে তোর কী কথা থাকতে পারে । কথা আছে তুই ছুটির পর দেখা করিস আমার সাথে আচ্ছা প্রথম প্রিয়ড গেলে সে ভাবে আমার সাথে কী কথা না সে বলে । স্কুল ছুটি হল সাথী গেটের সামনে দাড়িয়ে আছে তখন জয় আরে সাথী কী বলবে সাথী বলে তুইতো প্রতি ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার কর |তুমি অনেক মেধাবি ছাত্র তাই আমি মনে করি তুমি আমার বইটা নিয়ে সমাপনী পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে আমাদের কাঠাল পাড়া গ্রামের স্কুল এর মুখ উজ্জল করতে তুই পারিস একমাত্র না আমি এটা নিতে পারবনা তুমি কী চাও আমাদের স্কুলের মুখ উজ্জল না হোক তাহলে এটা আমার কাছে থাক না আমি চাই প্রতিটি ছাত্র এই স্কুলে মুখ উজ্জল করোক |তাহলে এটা নাও আচ্ছা ঠিক আছে দাও তাহলে এটা নাও | আচ্ছা কাল দেখা হবে যেতে যেতে ভাবে সাথীর মত মেয়ে হয়না এটা না হলে আমি ভালভাবে পরীক্ষা দিতে পারতামনা | রাস্তায় তার বন্ধু আবিরের দেখা কি দোস্ত কী খবর তুই এই গাইড কবে কিনলি ।
তিন
আমাদের গরীব সংসারে এটা কিনার টাকা পাব কোথায় তাহলে যে এটা যে তোর হাতে এটা সাথী দিয়েছে আমাকে ভালভাবে পড়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ।আচ্ছা যাইরে পড়ে দেখা হবে । পরের দিন বাবুল স্যারে প্রথম প্রিয়ড ক্লাসে সাথি বলে স্যার গত কাল ছুটির পড়ে আমি বাড়ি যাই পড়তে বসে দেখি আমার গাইডটা খুজে পাচ্ছিনা । কে যেন স্কুল থেকে নিয়ে গেছে বাবুল স্যার বলেনযে কে বইটা নিয়ে গেছ বের করেদাও । জয় কিছু বলার আগে হাবীব বলেন যে স্যার বইটা জয় নিয়ে গেছে যে কেন বইটা আমাকে সাথী দিয়েছে । স্যার আমি তাকে কেন দিতে যাব আমার বইটা সে চুরি করে নিয়ে গিয়েছে এটা মিথ্যা কথা সাথী ।জয় কী সত্যি বলে সাথি স্যার আমি তাকে দেয়নি। স্যার জয় বাচার জন্য মিথ্যা কথা বলছে ।জয় এর বন্ধু আবির বলে তুই কী বই চুরি করে নিয়ে ছিসরে না আবির বইটা সাথি দিয়েছে। বাবুল স্যার বলে চুপ কর বদমাইস তুই বু চুরি করে আবার সাথি দিয়েছে বলছ৷ স্যার তখন তাকে স্কুল থেকে বাহির করে দিল ঋ ছুটির শেষে সাথীর বান্ধবীরি বলে সাথী তুই কী তাকে বই দিয়েছিলে হে তাহলে মিথ্য বললি কেন তাকে তারানোর জন্য ৷ এইদিক সন্ধা ঘনিয়ে এল জয় এখনো বারি ফিরেনি তাই জয় এর মা আবির এর বারিতে যাই জয় এসেছে কেন সে বারি যাইনি না কি হয়েছে জয়ের চেয়ারম্যানের মেয়ে তাকে বইটা দিয়ে চুরির অপরাধে ফাসিয়েছে ৷ তাই স্যার তাকে হের তরে দিযেছে ৷ আপনাা স্বপ্নপুরন করতে পারবেনাবলে সে বারি ফিরেনি জয় এর বাবামা এবং আবির জয় এর খোজে ছুটে ৷ আবির এর বাবার একটি লাইট আছে এই লাইটা আবির এর দাদার দেওয়া অনেক পুরাতন ওই লাইটা নিয়ে আবির ছুটে বন্ধুর খোজে অনেক খুজাখুজির পর জয় কে পাওয়া গেল নদীর ধারে সে একা বসে কাদছে এত অন্ধকার যে চোখ মেনে কিছু দেখা য়াই না ঝিঝি পেকার অওয়াজ ব্যঙ্গের শব্দ তবুও সে মনের দুঃখে সে খানে বসে ছিল।
চার
মা আমি চুরি করিনি মা আমি সব শুনেছি আবির এর কাছে এখন তুই বারি চল ৷পরের দিন সাথী বান্ধবীদের বলে আমি কী করতে পারি দেখলে আচ্ছা তূই কী করিস আমরা এর মর্ধে নেই ৷ জয় এর মা তাকে পাসের স্কুলে ভর্তি করে দেয ৷ জয় পাসের স্কুল থেকে সমাপনী পরিক্ষা দেয় এই দিকে সাথীও পরীক্ষা দেয় একই সেন্টার থেকে তাদের পরীক্ষা এবং সে খানে তাদের দেখা হয় তারা শুধু একে অপরের দিকে চেয়ে থাকে কী ছু বলেনা এই ভাবে চলে তাদের পরিক্ষার শেষের দিন সাথী তার বান্ধাবী চম্পার দারা জয় কে বলতে বলে যে আমার ভূল হযেছে আমাকে যেন মাফ করে দে | কিন্তু জয এর বন্ধু আবির বলে স্কুল থেকে তাড়ায আবার বলে ভূল হযে গেছে না সে মাফ করতে পারবেনা জয বলে আরে আবির থাক না সে কথা | পরিক্ষার কিছুদিন পর রেজাল্ট বের হল জয A+পেয়ে সুনাম অর্জন করে সাথী ও পাস করে | এবার জয উচ্চ মাধ্যামিক এ ভর্তি হবে সাথী ও জয একই কলেজে ভর্তি হয | কিন্তু জয জানেনা যে সাথী এই কলেজে ভর্তি হযেছে সাথী ও জানেনা | কিন্তু সাথী একদিন দেখে যে এক ছাত্রি অসুস্থ্য হযে ছে সবাই তাকে দেখতে যাই সাথীও যাই এবং সেখানে জয় কে দেখতে পাই | আরে জয় তুমি এই কলেজে গরিবের জন্য এইটাই ভাল কলেজ |তুমি কেন এই খানে ভর্তি হলে আমাকে গ্রাম ভাল লাগে শহরে যেন আমার দম বন্ধ হযে আসে শুধু ইট বালি আর দালান খোটাই তাই এই খানে | জয় আমাকে মাফ করে দাও কী জন্য সেই দিনের সেই ঘটনার জন্য আগে যা হযেছে আমরা সব ভূলে গিযে আবার বন্ধু হতে পারিনা | তা হয় না সাথী তুমি চেযারম্যানে এক মাত্র মেয়ে তুমি বন্ধু করবে তোমাদের লেবেলের ছেলে মেযে দের সাথে | এই ভাবে তারা কিছুদিন কতাবার্তা বলে এক সময সাথী আবির কে বলে আগামি কাল তুমি তোমার বন্ধু জয় কে আমাদের বাগান বাড়িতে আসতে বলো | তার সাথে কীছু কথা আছে আমি বিকাল ০৫ টায় তার জন্য অপেক্ষা করবে |
পাঁচ
এই দিকে জয় এর বর বোন ঝুমার একটা পা ভেঙ্গে গেছে ভাদ্র মাসের ঝড়ে য়খন ঝুমা রান্না ঘড় থেকে পালাতে চেষ্টা করে রান্না ঘড়ের পাশের গাছ থেকে একটি বড় ডাল তার পায়ে এসে পড়ে এবং পা টা ভেঙ্গে যাই | তাই জয় তার মা বাবার সাথে হারাধন নগর হাসপাতালে গেছে তার বোন কে নিয়ে | বোনের কান্না দেখে জয় থাকতে পারেনা তাই সে ডাক্টারের সাথে তার রুমে যাই | ডাক্টার বলে তোমার বোনকে সুস্থ্যকরার জন্য অনেক টাকা লাগবে | তাই তাদের মা বলে আমাদের যে পালিত গাভিটা আছে সেটা দিয় আমরা তো নানা কাজে ব্যবহার করি লাঙ্গল টানা ধানমাড়াই এবং গাভি থেকে তারা যে দুধ পান তা বিক্রয করে তাদের সংস্বসার চলে কীন্তু এবার যে কী হবে গাভিটি বিক্রয় করলে তার মা নিজেও জানেনা তবুও মেযেকে সুস্বস্থ্য করার তার মা তার বাবাকে বিক্রয করার জন্য অনুমতি দেয | তার বাবা কৃসান বাজারা গরি বিক্রয় করে 5000 টাকা এবং সন্ধান বাড়ি ফিরে বোনের চিকিৎসা জন্য ব্যয় করে তাদের এই অভাবের সংসারে ঝুমার পা ভেংঙ্গে বোঝাস্বরুপ হযে যাই ঝুমা! তার পরিবার কে ছেরে জয় আসতে পারছেনা ! আবির কে দিয়ে সাথি তাদের বাগান বাড়িতে বিকাল 05 টাই আসতে বলেছে আবির জয কে বলে তোমাকে সাথী তাদের বাগান বাড়িতে বিকাল 05টাই যেতে বলেছে জয তার পরিবার কে ছাড়তে পারছেনা! পরদিন জয় স্বকুলে যাইনি এদিকে সাথী ভাবে জয় বুঝি আমার সাথে আর দেখা করবেনা ! জয় স্কুলে যাইনি বলে তার বান্ধবিরা বলে জে জয় যদিতোকে সত্তি ভালবাসে তাহলে সে আসবে যতই বাধা বিঘিন্ন আসোক না কেন সে আসবে ! এই দিকে জয় তার বাবার সাথে হাসপাতালে গেছে তার বোন এর জন্য ভাত নিয়ে আজ কয়দিন যাবত বাড়ি খাবার খাইনি তাই তারা খাবার নিয়ে গেছে ! এবং তার বোন খাবার খায় এবং তার বোন বলে যে ভাইয়া এখন কয়টা বাজে কেন বিকাল 05 টার সময় ডাক্টার আসবে।
ছয়
তখন জয় এর মনে হয় যে এদিকে সাথি বিকাল 05টায় দেখা করতে বলেছে তখন জয় বললো যে বাবা আমি বাড়ি গেলাম বাবা বলে কেন এ সাথে যাব আমার একটা কাজ আছে তাহলে যাও হাসপাতাল থেকে তাদের বাড়ি 04 কিলোমিটার দূরে তায় জয় তারাতারি হাটতে শুরু করে এদিকে বিকাল 05টা বেজে যাচ্ছে! সাথি বাগান বাড়িতে অপেক্ষা করছে এবং সে মনে মনে ভাবছে সে বদ হয় আর আসবেনা এদিকে বাড়ি ফিরতে জয এর 05টা বেজে যাই! এবং তার মা বলে বাবা মেয়েটা কেমন আছে! জয় বলে ও ভালআছে ডাক্টার বলেছে কিছু দিন পর নিয়ে যাওয়া যাবে! সাথী জয় এর দেখা করার জন্য দাড়িয়ে আছে! জয় সাথীর সাথে দেখা করার জন্য যাচ্ছে রাস্তায় আবির এর সাথ দেখা কীরে এখনো যাসনি জয় আরে হাসপাতাল গিযে ছিলাম বাবার সাথে বোন কে দেখার জন্য! তা এখন জলদি যা সাথী মনে হয চলে গেছে জয বাগান বাড়িতে এসে সাথী কে না দেখে বিচলিত হয়! সাথি নিচে বসে ছিল তখন জয় সামনে আসে সাথীকে দেখতে পেল এখনো আছো তুমি! আমি মনে করে ছিলাম তুমি চলে গেছ বোধহয় আমার আসতে দেড়ি হয়েছ তাই! তা কী জন্য ডেকে ছো তারা তারি বলে ফেল না হলে আবার মানুষ দেখে ফেলবে! তুমি বুঝোনা একটা মেয়ে একটা ছেলেকে কী জন্য নির্জন জায়গায় ডেকেছে! কেন ডাকতে পারে তোমার মত বড় লোকের মেয়রা আমাদের মত গরিবের ছলেদের নিয় মজা করা! না জয় আমি তোমাকে সত্তি ভালবাসি ভালবাসার মানে কী তুমি বুঝ ! যেদিন তুমি আমাকে বইটা দিয়ে ছিলে সেদিন ভেবেছিলাম তুমি আমাকে ভালবাস তোমার এ ভালবাসাতে আমাকে স্বকুল ছারতে হয়েছে|
সাত
আজ ভলবাসার নামে আবার কোন অভিনয় করবে তুমি ছিলে নারী আমি ছিলাম পুরুষ গরিবের ভালবাসা নিয়ে খেলছো ছিনিমিনি! তার জন্য শুধু তুমি দায়ি তুমি নিয়ছো আমার মন জানেনা কোন আপনজ্বন বীজ গনিতের সূত্র শিখয়ে প্রেমের অংক করিয়াছ যত এই সবই ছিল তোমার অভিনয় তোমার সঙ্গে সঙ্গি হয়ে করেছিলাম বিষপান হৃদয় কম্পিত হয় এখন কাদে অবলা প্রাণ! জানো আজ আমি বড় অসহায় মাটির প্রাত্রের মত মনটা আমার ভেঙ্গে চুরে হয়ে গেল ক্ষয়! তোমার প্রতারণায কেদে আমি শান্তনার পত চেয়ে রই!
::::::::::::::::::::::::::::::;:::::::::::::: না জয় না আমি আর কোম অভিনয় করতে চাইনা! সাথি আমি তোমাকে খুূব ভালবাসি! না আমি বিশ্বাস করিনা এই বলে জয চলে যাই! তুমিযদি আমাকে এখানে রেখে চলে যাও আর তুমি না আসা পর্যন্ত আমি এখন থেকে যাবনা! যতই বাধা বাধা আসোক এই দিকে সন্ধা ঘনিযে এল সাথি বাড়ি ফিরেনি! সাথীর মা চিন্তায় অস্তির যে মেয়েটা আমার কোথায় গেল চিন্তায অস্থির! কোনদিন কোথায যাইনি সাথির মা চম্পার বাড়িতে খোজ করে সেখানে যাইনি! চম্পা তার মাকে বলে আপনি বাড়িতে যান আমি দেখছি চম্পা তকন রাতে জয এর বাড়িতে যাই এবং বলে যে সাথিকে খুজে পাওয়া যাইনা সে কী তোমার সাথে দেখা করেছিল তবে বাড়ি ফিরেনি না তখন জয় ও চম্পা তাদের বাগান বাড়িতে যাই তখন দেখে সে চুপ করে বসে আছে আর কাদছে! জয় বলে এই সাথি আমি জানতামনা তুমি আমাকে এত ভালবাস! চল এখন বাড়ি যাই! তোমার মা বাবা তোমাকে খুজছে আগে তুমি বল আমাকে ভালবাস কী না! আগে বাড়ি যাই পড়ে দেখা যাবে ওয়াদা কর তুমি আমাকে আরএই ভাবে কোন দিন কষ্ট দিবেনা! তখন তাকে বাড়িতে দিয়ে চম্পা ও জয় বাড়ি যাই! এবং জয় খাওয় দাওয়া ছেড়ে দিয়ে বিছানায় শুয় পড়ে এবং শুধু তাকে নিয়ে চিন্তা করে।
আট
আমাকে এত ভাসবাসে অথচো আমি বুঝতে না পেরে তাকে ফেলে আসি! পরে জয় চম্পাকে স্বকুলে জিজ্ঞাসা করে যে সাথী আসেনি না কেন সে অসুস্থ্য কাল রাতে যে কনকনে শীতের মর্ধে দাড়িয়ে ছিল তাই তার জ্বর ও মাথা ব্যাথা! স্কুল সেষে জয় এর বন্ধু আবীর ও চম্পা সাথীকে দেখতে যাই ! সাথী তখন তার রুমে ছিল তাদের গলার আওযাজ শুনে সে বারান্দায় আসে এবং একটা পুরনো কাঠের চেয়রে বসে এবং সবাই বসে! এমন সময় তার বাবা বাজার থেকে আসে এবং বলে আরে বাবা তোমরা কবে এলে এই যে স্কুল ছুটির পর ! মেয়ে টা যে আমার কী পাগলামি করে তাকে একটু বুঝিয়ে বল বাবা তোমরা সবাই মিলে একসাথে বলে আরে সাথী এখন কেমন লাগছে তোমার আমি ভাল আছি তোমরা অনেক চিন্তা করো আমার জন্য! তোমার এমন কষ্ট করতে হচ্ছে ামৈর জন্য এমন বলোনা জয়! আমি যদিএমন না করতাম তা হলে তুমি আজ আমার কাছ আসতেনা আমিও তোমাকে পাইতাম না! তখন সবাই বলে সাথী থাক আমরা এখন অাসি ! আজ আবার আমার বোন টাকে আনতে হাসপাতাল যেতে হবে! আবির তখন তাকে বলে তোকে কত ভালবাসে সে বড় লোকের মেযে হযে! জয বলে তুই কী কাওকে ভালবাসিস হ্য কে সে পড়ে বলবো সবাই বাড়ি ফিরে যাই জয়! আবির বাড়ি যাওযার সময় জয় এর বাড়িতে যাই যে জয় এর বেন কে তার বাবা গ্রামের কুদ্দুস এর ভ্যানে নিয়ে এসেছে হাসপাতাল থেকে! তার বোন এখন অনেক সুস্থ্য ডাক্টার বলেছে সে আগের মত চলতে পারবে কিন্তু কিছু দিন বিশ্রাম নিতে হবে! ঝুমা কিছুদিন হাসপাতালে ছিল বলে আজ তার জন্য তাদের বাড়িতে ভাল রান্না করা হয়েছে! এইদিগতো জয়ের চোখের ঘুম হারাম হয়েছে সাথীর জন্য! সাথী আমার জন্য অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে সে এখন কী করছে! এই বার জয় আবির এর বাড়িতে যাই দোস্ত আমি সাথীকে না দেখে ঘুমাতে পারবোনা .
নয়
এই তো বিকালে দেখা হল আমাদের সকলে একসাথে চল যাই একটু দেখে আসি এত রাতে ধরা পড়লে কি ন্তু খবর অছে তখন এবার আবির লাইট হাতে নিযে তারা অন্ধকারে যেতে লাগলো! এমন সময় তাদের সামনে আবিরের চাচার দেখা হল আরে আবির হ চাচা কোথায় যাবি কিষাণ বাজারে জুমার লাইগা ওষুদ আনতে মিথ্য কথা বলোচাচাকে! সাথীর বাজ়ির সামনে দাড়ালো তারা! জয় বললো আমি ভিতরে যাচ্ছি তুই বাইরে থাক আচ্ছা ! জয় পেছনের গেট দিয়ে রান্না ঘড়ে পাশ দিয়ে !সাথীর ঘড়ে যাই জয় সাথীকে ডাকে হট্যৎ জয়কে দেখে সাথী চিতৎকার করে ঊঠে আরে তুমি কখন এলে এই মাত্র ! এই দিকে সাথীর বাবা বলছে কী হযেছে মা কীছনা বাবা তার বাবা আসার আগে জয় কে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে! তার বাবা এসে দেকে মেয়েটা শুয়ে আছে আরে মা ভাম আছোতো হ্য বাবা আচ্ছা দরজাটা লাগিযে ঘুমাস! আমি পেছনের গেটটা বন্ধ করে দি এই দিকে জয়ের বুক ভয়ে ধরপর করছে যদি দেখে ফেলে কী হবে তার বাবা চলে গেলে সে বেড়িয়ে আসে! আমাকে দেখার জন্য এত রাতে আসলে তোমাকে না দেখলে আমার ঘুম আসেনা সাথী আবির যে গেটের সামনে আছে দাড়িযে তাবাবা কে গেটের দিকে আসতে দেখে ও খান থেকে আবির পালিয়ে যাই! সাথী তখন জয় কে ছেরে বাইরে আসে কী হয়েছে বাবা গেটের সামনে যে কে দাড়িযে আছে আচ্চা বাবা এখন গেট বন্ধ করে দাও আমি গুমাতে গেলাম! এই দিকে জয় তার ঘরে আছে সাথী ঘরে যাওয়ারপর তকন জয় কে বললো সাথী তুমি যাও ! বাইরে আবির দাড়িয়ে আছে জয় দেওয়াল টপকে বাইরে বেড়িযে আসে দেখ আবির এখানে নেই! জয় চিন্তায় পড়ে যে রাতে এই ভাবে একাই সে কখনো বাহির হয় নি! এমন সময় আবির বাশঝাড় থেকে বেড়িয়ে এল তখন জয় এ মনের ভয দুর হয় আরে দোস্ত আর একটু হলে আমি ধরা পড়ে যেতাম তার বাবা যে এই ভাবে গেট বন্ধ করবে কে জানে! আরে অনেক রাত হয়েছে এখন বাড়ি যাই! পরের দিন বাবুল বলে আজকে কী আলোচনা হবে স্যার! আজ বয়:সন্ধিকাল সমন্ধে আলোচনা হবে! যে এইসময়ে ছেলে মেয়েরা একে অন্যর প্রতি আকষন সৃষ্টি হয়!
দশ
স্যার জয়কে বলতে বলে কোন সময়ে ছেলে মেয়েরা একে অন্যর প্রতি আকষন সৃষ্টি হয় জয় বলতে পারলোনা স্যার বললো ,০১ থেকে ১২ বছর কে বলা হয বয়:সন্ধি কাল বলা হয় ! জয় বলতে পারলোনা কারন সে ক্লাসে অমনোযগি ছিল সে সমযে জয় শুধু সাথীর দিগে তাকিয়ে ছিল ______________________________________ তাই সে বলতে পারলোনা আরে স্যার বললো জয় তুই দেখি ক্লাসে মনোযোগ নাই তোর কী হয়েছে! আগে তে কোনদিন এই রকম ছিলেনা আজ কিছু দিন জাবত দেখি না স্যার কিছু হয় নি!আমি ঠিক আছি স্কুল ছুটির পড় সাথী বললো কী জন্য উত্তর দিতে পারলেনা তোমার দিকে তাকিযে ছিলাম তাই! আর কোন দিন ক্লাসে অমনোযগি হবে নাতো ঠিক আছে | তখন সবাই মিলে বাড়ি ফিরে |এই ভাবে কিছু দিন চলার পর সাথী এক দিন জয় কে বললো যে জয় তুমি কাল রাতে আমাদের বাড়ি আসবে | জয় বললো কী জন্য আরে আসনা তখন বলবো | আচ্ছা ঠিক আছে জাব |পড়ের দিন বিকালে জয় আবির এর বাড়িতে যাই এবং আবির কে বলে |সাথী রাতে যেতে বলেছে এমন সময় আবির এর বাবা বলে আরে আবির তোর ভাইয়ার সাথে অনেক দিন কথা হয় নি তাই তোর মজনু ভাই যের দোকানে গিয়ে একটা কল দিস আচ্ছা | আবির বলে সে দিন তো আমরা অল্প এর জন্য ধরা পড়িনি আজ তুই যা আরে আবির তুই তো কিষাণ বাজারে যাবি তোর ভাইকে কল করার জন্য আচ্ছা যাব | আমরা পোষ মাসের রাতে সেই ঘুট ঘুট অন্ধকার এর পথে আবার সেই পোষ মাসের কনকনে শীত ঠান্ডা তবুও জয় আবির এর বাসায় আসে বলে আবির তুই তো তোর ভাইকে কল করার জন্য কিষাণ বাজারে যাবি আমিও ওইদিকে একটু যাবো আবির | আবির তখন তার দাদার দেওয়া সেই পুরাতোন টর্চ লাইট হাতে নিয়ে |তারা দুই জনে এক সাথে হাটতে লাগলো | পৌস মাসের সেই কনকনে শীতে তারা দুজনে কাপছে তবুও সাথি যেতে বলেছে তাই তারা দুত্র হাটতে লাগলো | কুয়াশায় চার দিকে ঢেকে গেছে কিছু দেখা যাইনা | লাইটের আলো কুয়াষায় কাজ করেনা তবুও হাটে | সেই অন্ধকারের পথে হাটতে কতই না হোচট খেয়েছে |
এগার
এমন রাতে একটা গাড়ি তাদের সামনে দিয়ে চলে গেল তারা যেন কিছুই দেকতে পেলনা তারা সাথির বাড়ির গেটের সামনে এসে দাড়ালো |জয় বলে তুই আমাকে ঘাড়ে করে দেওয়াল পাড় করে দে আর তুই এখানে থাকিস আবির |আবির ঘাড়ে করে জযকে পাড় করে দে এবং সে বাইরে দাড়িযে থকে এবং পাহাড়া দে | জয় দেখ সাথি এখন হারিকেন জ্বালিয়ে বসে আছে | জয তার ঘড়ের দরজার মর্ধে আস্তে করে একটা বাড়ি দে | সাথী শুনতে পেয়ে দরজা খুলে দে এবং জয় ভিতরে আসে | সাথী আস্তে করে দরজা বন্ধ করে দে | জয মনে মনে ভাবে আজ বুঝি অর আমার রক্ষা নাই | সেই সময় সাথী বলে আরে জয় কী ভাবছো না কীছু ভাবিনা |সাথী বলে জয় বস |এই সময়ের মর্ধে জয় চারদিকে চেয় নে| যে খানে সে বসেছে তার পিছনে একটা টেবিল দুইটা চেয়ার টেবিলের উপড়ে কিছু বই পলকে সব দেখে ফেলে জয় | তার পর সাথী বলে আরে জয় আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি | কিন্তু আমার বাবা যদি তোমার হাতে না দে আমার খুব ভয় করে জয় | আরে ও সব নিয়ে পরে ভাবা যাবে | এত রাতে কী জন্য ডেকেছো এইটা বলো আগে |অনেক দিন ধরে দেখা হয়না কথা হয়না তাই | এইটা বলার জন্য তুমি এত রাতে ডাকলে | তখন সাথী জয কে জড়িয় ধরলো | হট্যৎ তার বাবার ঘুম ভেঙ্গে যাই এবং তাদের ঘরের জানালা দিয়ে সাথীর ঘরের আলো দেখা যাই | তার বাবা বলে মা তুমি এখনো ঘুমাও নি তার বাবার ডাক শুনে জয় এর বুক কেপে উঠে বুক দর পর করে | তখন সাথী হারিকেন বন্ধ করে দে | এবং সাথী জয় এর হাতের উপর হাত রেখে চোখের উপর চোক রেখ কিছু সময় কাটে | কিন্তু জয তকনো ভয় পাই জয় বলে সাথী তোমাকে ছাড়া এক মুহুর্ত আমার জীবন চলা কষ্ট কর হয়ে পড়ে | তুমি যদি কোন দিন আমাকে ছেড়েযাও তাহলে কিন্তু আমি বাচতে পারবোনা তুমি আমাকে কথা দাও | সাথী বলে আমি তোমাকে ছারা আর কোন মানুষ কে ভাবতে পারবোনা | তখন সাথী বলে সূর্য়ের আলোয় ঘুম ভাঙ্গাই ভোরের পাখি গান শোনায় | দূর আকাশে ঝাপসা আলে কানে কানে বলে গেল সকাল যে হয়ে গেল |
বারো
সাথীর এই কথা শুনে জয এর মনে পড়লো যে আবির বাইরে দাড়িয়ে আছে | তখন জয বলো যে এখন আমি যাই সাথী | এই দিকে ঘন কোয়াশা ঠান্ডার মর্ধে আবির একা দাড়িয়ে আছে সাথী | সাথি বলে আর একটু থাকনা |জয় বলে আমাদের আবার কৃষাণ বাজার যেতে হতে একটা কল করার জন্য | আবির এর ভাইকে এই বলে জয বের হযে গেল এবং দেখে যে এত কুয়াশা তারা কী ভাবে ফিরবে | তারা দুজনে সেই পৌষের ঘন কুয়াশায় আসতে লাগলো কিছু দুর পর এসে তারা থামলো | আবির প্রসাব করবে ঠিক সেই সময়ে তাদের পিছনে জোহর মল্লা উজান নগর গিযে ছিল মেযের বাড়িতে তার মেয়ের কী জেন হয়েছে ডাক্টার বলতে পারেনা অনেক ডাক্টার কবিরাজ দেখিয়েছে | শুযে থাকতে পারেনা দুই টা সন্তান এই বয়সে মেযে কে অল্প বযসে বিযে দে অভাবের তারনায় | মেযেকে দেকতে গিযে জোহর মল্লার ফিরতে রাত হয়| এই দিকে তারা দুই বন্ধু কথা বলতে লাগলো যে মজনু ভাই এর দোকানে কল করার জন্য তার দোকান খোলা আছে কী না | আবার তখন জোহর মোল্লা কান খাড়া করে শুনে যে তারা কী বলে সে কী ছু কীছু শুনতে পাই কল কথা শুন়তে পাই | তারা দেখে যে ব.াজারের সব দোকান বন্ধ দুই একটা দোকানে হারিকেনের আলো মিটমিট করে জ্বলে | মনজু ভাই দোকান বন্ধ করে চলে গেছে তারা দুই জনে বাড়ি ফিরলে |¢সকালে চার দিকে হৈই চই পড়ে গেছে যে কাটাল পাড়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের কল চুড়ি হয়েছে | গ্রামের মানুষ কৈউ বলতে পারেনা সাথীর বাবা গ্রামের চেযারম্যন বিচার টা তারকাছে দেওয়া হযেছে এবং তারা বলে এই বিচারা আপনাকে করতে হবে না হলে কাঠালপাড়া গ্রামে আরও চুরি হতে থাকবে| আজ দুপুরে বিচার হবে সবাইকে বিচারে আসতে হবে গ্রামের সবাই বিচারে এসেছে বিচার শুরু হল | যে কে কলটা চুরি করেছে কেউ কী দেখেছেন যে কে চুরি করেছে | আমরা দেখিনি তাহলে কী ভাবে বিচার হবে | জোহর মল্লা বাজারে যাওয়ার জন্য বের হযেছে রাস্তার পাশে দেখে অনেক মানুষের ভির কী হযেছে একজন বললো যে কাঠালপাড়া গ্রামের স্কুলের কল চুরি হযেছে |
তের
কেউ দেখেনি তাই চেয়ার ম্যান বিচার করতে সক্ষম নয় কে চুরি করেছে এই কল তখন জোহর মল্লা বলে যে আমি কালরাতে আমার অসুস্থ্যা মেয়ের বাড়ি থেকে যখন ফিরতে রাত হযেছে | এবং রাস্তাই জয় এবং আবির এ দেখা হয় এবং তারা কথা বলতেছিল যে আমি কিছু শুনতে পাই আর কল নিয়ে যে কী কথা বলছিল তা শুনতে পাই | চেযার ম্যান তখন চৌকিদার দিযে জয় এবং আবির কে ডেকে পাঠাই এবং তারা এসে দেখ যে অনেক লোকের ভিড় তখন চেযারম্যান বলে যে তোমরা এই কাঠলপাড়া গ্রামের কলটা চুরি করে কোথায় রেখে ছো বের করেদাও কে বল্ল আমরা কল চুরি করছে আমরা চুরি করিনি | কাল রাতে সেই বামন বাড়ির বট গাছের নিচে প্রস্বার করেছিলে আবির হ্য তাহলে তোমরা চুরি করেছো তোমাদের পিছনে যে জোহর মল্লা আসছিল তোরা কল চুরি করেছিস আমরা াসচিলাম কিন্তু কল চুরি করিনি | তাহলে এত রাতে কোথায গিয়েছিলে তারা বলতে পারেনা যে আমরা আপনাদের বাসায় গিযেছিলাম | জয় মনে মনে ভাবে জয় যদি ভরা মানুষের সামনে বলে যদি আমরা আপনার বাসায় গিয়ছিলাম সাতির সাতে দেখ করতে তাহলে সাথীর মান সম্মান থা কবেনা | আর সবাই বলবে যে চেযারম্যনের বাড়িতে একটা ছেলে এত রাতে কী জন্য গিয়ছিল আর সে যদি বলে আমি সাথীকে ভালবাসি তাহলে সারা গ্রামে কথাটা জেনে যাবে | আর সাথীকে নানা কথা বলাবলি করবে আমি চাইনা এটা | আমি চাইনা আমার জন্য সাথী কষ্ট পাওক| আমি যেখানে যাই যেন সাথী আর আমার ভালবাসা টিকে থাকে | জোহর মোল্লা তখন চেযারম্যানকে বলে কল এর কথা আমি শুনেছিলাম | তখন চেযারম্যান বলে কল কথাই রেখে ছিস বল তারা চুপ করে থাকে কিছুই বলেনা | যদি আমি বলি তোমাদের বাড়িতে সাথীর সাথীর কাছে গিয়েছলাম তাহলে সাথীর সমস্য হবে এই ভেবে জয় কীছু বলেনা জয় | চেয়ারম্যান বললো ওদের কী শাস্তি দেওয়া যাই | এরা ছোট ছেলে কিন্তু বড় রকমের কাজ করেছে তাই এদের শাস্তি কঠিন হওয়া দরকার গ্রামের মানুষ বলে | জয় এর ছোট বোন ঝুমা স্কুল শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তাই দেখে মানুষের ভিড়| কাছে এসে দেখে তার ভাইকে চোর হিসাবে ধরেছে গ্রামের মানুষ | ঝুমা তারা তারি বাড়িতে যাই এবং মাকে সব কথা বলে |
চৌদ্দ
তার মা মল্লিকা বিবি ছুটে আসে এবং বলে চেযারম্যান সাহেব আমার ছেলে চুরি করতে পারেনা | তোমার ছেলেকে বলো যে সে চুরি করেছে কী না | জয় কীছু বলেনা জয় এর মা তখন জযকে দুইটা চর মারে আর বলে তুই এমন কাজ করতে পারলি আমি চুরি করিনি মা | তখন তার মা চেয়ারম্যানের হাত ধরে বলে আমার ছেলেকে ছেড়ে দাও | তখন গ্রামের মানুষ বলে আপনার ছেলেকে ছেড়ে দিতে পারি তবে একটা সর্তে আপনাদের এই গ্রাম ছেরে চলে যেতে হতে | আগামি কাল সূর্য ওঠার আগে জয় বলে আমরা যাব না মা এই গ্রাম ছেড়ে | আমরা এই গ্রামে বড় হয়েছ তুই চুপ কর তখন তার মা বলে | আমরা যাব গ্রাম ছেরে পড়ের দিন সূর্য ওঠার আগে তারা গ্রাম ছেরে চলে যাই | জয় সাথীকে কিছু বলতে পারেনি | কারন তারা সকালে গেছে | সাথী চম্পার কাছ থেকে জানতে পারে যে জয় এর পরিবার সবাই গ্রাম ছেরে তাদের নানির বাড়িতে গেছে | জয় তখন তার নানির বাড়ি থেকে অন্য স্কুলে ভর্তি হয | এর মর্ধে জয় সাথীর সাথে অনেক দেখা করার চেষ্টা করেছে কী ন্তু দেখা করতে পারেনি | এই দিকে সাথী জয়এর কথা তার মনে নাই | ওনেক দিন যাবন দোখা নাই তাই| দুই বছর পর জয় এর এস এস সি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত জয় এখনো সাথীকে ভালবাসে তাই মনে মনে ভাবে আজ পরিক্ষার সেন্টারে দেখা হতে পারে যেহেতু ৫টা গ্রামের স্কুল পরিক্ষার সেন্টার একটা তাই জয মনে মনে ভাবে| তাই সে পরিক্ষা শুরু হওয়ার কিছু খন আগে সেন্টারে যাই এবং অপেক্ষা করে কিন্তু দেখা হলনা তখন সে রুমে যাই | পরিক্ষার শেসে আবিরএর দেখা আজ দুই বছর ত পর তাই তারা একে অন্যায়ের দিকে তাকিয়ে জরিয়ে কেদে ফেলে | তখন জয় বলে আবির বাড়িতে সবাই ভাল আছে হে কিন্তু তোমরা সবাই ভাল আছ হা আর ঝুমা কেমন আছে ভাল আছ অনেক দিন যাবত তাদের সাথে সাথে দেখা হয় নি | আবির বলে সাথির সাথ দেখা হয়েছ না তুই থাক আমি ডেকে আনছি | আবির সাথিকে আনতে দেখে তার বাবা তার সাথে তাই কিছু বলতে পারেনা আবির | সাথী তার বাবার সাথে চলে গেল আবির এসে বলে আমি আর তোর জন্য কিছু বলতে পারলামনা জয় | এই ভাবে পরিক্ষা শেষ হল রেজাল্ট বের হল সবাই পাশ করছে |
পনের
এবার সাথি উচ্চ মাধ্যামিক এ ভর্তি হল এবং কিছু দিন পড় এক ছেলের সাথে পরিচয় হল যে তার বাবা অনেক ধনি ব্যাক্তি | এক সময়ে তারা একে অন্যাকে ভালবাসাতে শুরু করে এই ভাবে অনেক দিন যাই| এই দি জয় টাকার অভাবে ভর্তি উচ্চ মাধ্যামিক এ ভর্তি হতে পারেনি তাই কিছু দিন পড় জয় সিধান্ত নিল যে সে শহরে যাবে একটা চাকরির জন্য জ়য় শহরে যাওয়ার পথে বাসস্ট্যান্ডে সাথীর সাথে দেখা হয জয় বলে আরে সাথ তুই আমি ভাবিনি এই ভাবে আমাদের দেখা হবে | সাথী তুমি কী আমাকে ভূলে গেছ আমি পড়ের দিন যখন তোমাদের বাসা যাই তোমরা সবাই গ্রামছেরে চলে গেছ তাই আর দেখা হয নি | সাথী বলে জয় তুমি এখন কী কর এর মর্ধে বাস চলে আসে তারা দুজনে বাসে উঠে জয় এর আর কীছু বলাহযে উঠলেনা বাস কলেজের গেটের সামনে থামনে সাথী নেমে গেল জয় শুধু তাকিযে দেখলে কীছু বলতে পারলোনা | জয় শহরে গিয়ে একজন শাহেবের বাসাই কাজ করে এই ভাবে সে বাসার সব কাজ করে দুই থেকে তিন মাস যাই | এই বার সাহেবের মেযে দশম শ্রেণীতে উঠছে তাই সাহেব তার মেয়ের জন্য এক জন ভাল শিক্ষক খুজছে | জয় তার সাহেব কে বলে যদি কিচু মনেনা করেন তাহলে একটা কথা বলি মনে করার কী আছে বলো আপনার মেযেকে যদি আমি পড়াই তখন সাহেব বললো তুমি পড়া লেখা জান হে স্যার | তখন থেকে তার মেযেকে পড়া শুরু করে | এবং মেয়কে তার ভালভাবে পড়াযে দক্ষ করে | কিছু দিন পড় এস এস সি পরিক্ষা হল পরিক্ষায় A+ পেয়ে তার বাবার মুখ উজ্বল করে | তখন তার বাবা জযকে বলে তোমার মর্ধে এত মেধা তোমাকে আর এখন পড়াই তে হবেনা তুমি আমার কম্পানিতে এখন ম্যানেজার হিসাবে থকবে| তখন জয় এক বছর কাজ করার পড় অনেক টাকা হয | জয় তখন তার পরিবারে টাকা পাঠাই তখন আর তার পরিবারে অভাব থাকেনা | এই দিকে সাথীর বাবা মেযে বড় হযেছ তাই বিয়েদেওয়র জন্য মনেমনে ছেলেদেখে সাথীর মাকে মেয়েকে বিযেদিতে হবে তার মা সাথীকে বলে | সাথী যে কলেজের ফ্রেন্ডকে ভাল বাসতো তাকে বলে সে আবার এখন শহরে থাকে তার নাম সোহেল |
ষোল
এই দিকে জয় সাথীর সাথো যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করে কিন্তু জয় এর সাহেব এক্সিডেন্ট এ মারা যাই তাই সাহেবের পরিবারের সব দায় দায়িত্ব জয় এর উপর তাই আর গ্রামে আসা হয় সাথির সাথে যোগাযোগ হয নি | জয় তার সাহেবের মেযেকে ভাল ঘড় দেখে বিযে দে | এই দিকে সাথীর সোহেলের সাথে বিয়ে | আবির যখন জানতে পারে যে সাথির বিযে তাই আবির সাথীর বাড়িতে আসে এবং সাথীকে বলে সাথী তোমার সুখের কারনে জয় সেদিন গ্রামের মানুষের সাথে চোর বলে সাজা পেয়েছে | কারন সেদিন যদি জয় বলতো তোমার সােথ দেখা করতে গিয়েছিল এবং তুমি ডেকে ছো বলে তাহলে তোমার যে ক্ষতি হত তাই জয় সেদিন কিছু বলেলি | আজ তুমি তোমার খুশি মত বিয়ে করতে যাচ্ছ আমি তাকে ছড়া আর অন্য কাউকে বিয়ে করতে পরবোনা | আবির বলে তুই এটা ভাল করলিনা সাথী এখনো ভেবে দেখ তুই আমাকে জ্ঞান দিস না সে তোকে অনেক ভালবাসে | আরে আবির সেযে আমাকে থাপ্পড় দিয়ে ছিল তার জবাব দিলাম তাই বলে এই ভাবে হে| আমি ভাল বাসতে যাব কোন দুঃখে সে একটা কৃষকের ছেলে | সে আমাকে কী দিয়ে সুখি করতে পারবে তার কী আছে | আবির বললো তার কীছু না থাকতে পাড়ে তার সুন্দর একটা মোন আছে গরীবের মন চাইনা এই বলে চলে যাই| বিয়ের কিছু দিন পর সাথীর স্বামী তাকে শহরে নিয়ে যাই এবং একদিন বিকালে সাথী এবং তার স্বামী মার্কেটে যাই | সাথীর স্বামি সাথীকে বলে তুমি এখনে একটু থাকো আমি উপরে এক বন্ধুর সাথে দেখা করে আসি এই বলে সোহেল উপড়ে যাই | জয় তাদের সাহেবের মেয়ের সাথে আসে মার্কেট শেষে আসার সময সাথী জযকে দেখে যে জয় একটা মহিলার সাথে আসতেছ জয় তখন কোটওটাই পড়ে ছিল তা দেখ সাথী অবাক সাথী ডাকে আরে জয় সাথীকে দেখে জয অতকে উঠে | সাথী তুমি এখানে কেন যে আমি বিয়ে করেছি আমার স্বামী মাসে এক লক্ষ টাকা বেতন পাই মাসে | এই কথা শুনে জয় এর বুকটা ভেঙ্গে চুরে তচনজ হযে গেল |এমন সময তার স্বামী উপর থেকে আসে দেখে আরে স্যার আপনি মার্কেটে কী জন্য একটু দরকার ছিল তাই |
সতের
সাথীর স্বামী পরিচয় করে দে যে এনি আমার স্যার সাথী তখন মনে মনে ভাবে আমি এটা কী দেখছি তখন সে নিজের শরিলে চিমটি কাটে দেখে আমি স্বপ্ন নাকি সত্যি তখন সোহেল বলে তোমার কী হযেছে সাথী কী ছুনা | স্যার আমরা এখন যাই এই বলে তারা চলে গেল সাথী মনেমনে ভাবে আমি টাকার লোভে আমার ভালবাসাকে ভূলে গেছি |সোহেল বলে জান সাথী আমাদের স্যার একটা মেযেকে ভাল বাসে তাই আজ পর্জন্ত বিয়ে করেনি মেয়েটা কী ভাগ্যবতী তাই না | দাড়িয়ে আছে জয় এর সাহেবের মেয়ে জয় এদের সাথে চলে আসে এবং ভাবে যার জন্য এত কীছু তাকে পেলাম না তো জীবনে শুধু টাকা ইনকাম করবো আর গরীবের ভলবাসার জন্য ব্যয করবো
©somewhere in net ltd.