![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন বয়ে চলে অজানা পথে
গেন্টিং ভ্রমন
ক্যাবলকার স্টেশনটি একটা বিরাট মার্কেটের ভিতরে গিয়ে শেষ হয়েছে, মার্কেটটি বিরাট, পর্যটকদের আকর্ষন করে বানিজ্য করার মানসেই তৈরী করা হয়েছে। অধিকাংশ দেয়াল এলইডি বাতির প্যানেল দিয়ে আচ্ছাদন করা এবং প্যানেলে রং বেরং এর বিজ্ঞাপন এবং মালয়েশিয়ার ঐতিহ্য এবং টুরিষ্ট স্পটগুলির কালারফুল ডিসপ্লে চলতে থাকে।
খ্রীষ্টমাস টাইম বলে মার্কেট জুড়ে তার নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, ছোটবড় বিভিন্ন আকারের খ্রীষ্টমাস ট্রী কালারফুল বাতি দিয়ে সাজানো। মেয়েদের গয়নাগাটি, মেকাপ আর সাজ পোষাকের দোকানের প্রাধান্যই সব জায়গায়। বাচ্চাদের জন্য রাইড আছে, আছে প্রচুর খাবারের দোকান, ব্র্যান্ডের ফাষ্টফুড আর কফি শপের ঘাটতি নেই, আছে ক্যাসিনো, মেম্বার না হলে ঢোকা যায়না।
মার্কেটের ভিতরের শপিং মলে উইন্ডো শপিং
দেয়াল জুড়ে সেট করা এলইডি ডিসপ্লে
খ্রীষ্টমাস ট্রী
প্রচুর পর্যটকের সমাগম
আন্ডা বাচ্চা সহ ভ্রমন পিয়াসী পর্যটক
স্ট্যাচু অব লিবারটি আপনাকে শপিং মলে স্বাগতম জানাচ্ছে এরপর আরো ঘোরঘুরি
এখানে ঢুকলে ভূতে ধরার ভয় আছে ভূতটা অবশ্য বাচ্চাদের টাটা দেয়।
সুন্দর করতে চাইলে কার পোর্টিকোর উপর নকশাদার গ্লাস লাগানো যায়
বাহিরে আছে কার পার্কিং বসে সময় পার করার জন্য সুন্দর আয়োজন। বাহিরে একটি এলইডি বোর্ডে বিজ্ঞাপনের ডিসপ্লে চলছে মজার ব্যাপার হলো মাঝে মাঝে তা হারিয়ে যাচ্ছে ঘন মেঘের আড়ালে। ৬০০০ ফিট উচুতেও উচু উচু কালারফুল বিল্ডিং তৈরী করে মালয়েশিয়া তাদের জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রসরতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
মলের বাহিরের দৃশ্য ক্ষণে ক্ষণে মেঘ এসে ঢেকে দেয় সব কিছু
বাহিরে বিরাট মনিটরে ডিসপ্লে চলছে কখনো হারিয়ে যাচ্ছে মেঘের আড়ালে
মলের বাহিরে মেঘের হানা দেওয়া
উচ্চতা ৬০০০ ফিট
এরপর আবার ক্যাবল কারে করে ফিরে আসি কুয়ালালামপুরে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১
পুলক ঢালী বলেছেন: খারাপ নয় তবে ওদের কাছে আকর্ষনীয় হলো ইউরোপ, আমেরিকা এবং এ্যারাবিয়ান টুরিষ্ট, কারন' ওদের খরচ করার ক্ষমতা অনেক বেশী । অনেককেই দেখেছি স্থানীয় মেয়েদের নিয়ে ঘুরতে, আর মেয়েরা চায় ওদের নিয়ে শপিং করতে হা হা হা।
পেট্রনাস টাওয়ারে একটা ব্র্যান্ডের দোকান থেকে স্যুটের কাপড় কিনলাম, কিনি আর না কিনি, দোকানদার খুব আন্তরিকতার সাথে কাপড় দেখাচ্ছিলেন, ইন্ডিয়ান এ্যাক্টর ঋষি কাপুর ওখান থেকে স্যুট বানিয়েছিলো দোকানের মালিকের সাথে উঠানো ছবি দেখালেন বললেন ওনার কাপড় আর স্যুটের কাটিং ডিজাইন খুব পছন্দ করেছিলেন তিনি (যদিও এটা বিজ্ঞাপন) আমার কাছে তা মনে হয়নি, উনি আগেই জেনে নিয়েছিলেন আমরা বাংলাদেশী, ইন্ডিয়ান নই। আমরা ফাইনালি কত দিতে হবে বলার পর তিনি বললেন আমি আগেই ৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে হিসেব করেছি, তারপরও মজা করার জন্য আমরা ঝোলাঝুলি শুরু করলাম, শেষে ভদ্রলোক পাশেই দাড়ানো তার স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে আরো ৫০ রিঙ্গিত কমালেন।
আমার মনে হয় বৈধ ভাবে ঘুরতে যাওয়া বাঙ্গালীদের সাথে ওদের আচরন খারাপ নয়।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মেয়েরা ইয়ার্কি টিয়ার্কি মারে নাকি!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
পুলক ঢালী বলেছেন: আপনি ফ্যামিলী ছাড়া গেলে বা বিয়ে না করে থাকলে মেয়েদের কাছে আকর্ষনীয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে, কারন' ওরা সব মঙ্গোলীয় চেহারা আমাদের কালার ব্রাউন হলেও চেহারা আর্য। ওরা সবাই ফর্সা, আই মিন ঘিয়ে কালার, স্কীন খুব সুন্দর, ফিগারও খুব ভাল, কিন্তু' সরি, বলতে বাধ্য হচ্ছি, চেহারা দেখলে আর ভাল লাগেনা। তবে মেয়েদের ইয়ার্কি করতে দেখিনি। ফ্ল্যার্ট করলে রেসপন্স করতে পারে, চিন্তা চেতনায় ওরা অনেক স্বাধীন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে, অনেষ্ট বলেও মনে হয়েছে। ভালভাবে বুঝতে গেলে নিশ্চয়ই অনেকদিন থাকা দরকার।হাসির ইমো হপে।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
কালীদাস বলেছেন: এ পোস্টের ছবিগুলো বেটার, এনজয় করলাম ভালই
ভুলে গিয়েছি প্রশ্ন করতে, আপনি কি বাংলাদেশ থেকে কোন প্যাকেজে গিয়েছিলেন নাকি নিজের মত সব প্ল্যান করে ঘুরেছেন?
পেট্রোনাস টাওয়ারের টপ থেকে ছবি দিয়েন করেসপন্ডিং পোস্টে, আমি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন কি এক কারণে ট্যুরিস্টদের জন্য বন্ধ ছিল, আর ওঠা হয়নি হাস্যকর শোনালেও বীরজারা টাইমস স্কয়ারের আশেপাশের এলাকা ছাড়া কিছুই দেখা হয়নি আমার কুয়ালালামপুরে। প্রচন্ড গরম আর অসময়ের বৃষ্টি একটা কারণ ছিল।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস ভাই। আমি কোন প্যাকেজে যাইনি, পরিবার পরিজন নিয়ে একাই গিয়েছিলাম, নিজের মত প্ল্যান করেই ঘুরেছি। পেট্রোনাস টাওয়ার নিয়ে পোস্ট দেবো তখন জানতে পারবেন। ওখানে যখন তখন বৃষ্টি হয়, ডিসেম্বরের শেষেও ওখানে বৃষ্টির কমতি ছিলনা আর গরমতো ছিলই।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৪
শুভ_ঢাকা বলেছেন: পুলক ভাই, মালয়েশিয়াতে মালয়, চাইনিজ ও ইন্ডিয়ান এই তিন ধরনের জাতীর মানুষ বসবাস করে। তাদের মধ্যে সখ্যতা কেমন দেখলেন। জাতিগত ডিস্ক্রিমিনেশন আছে কি। এই তিন ধরনের জাতীর কাজ কারবারে অর্থাৎ পেশাগত প্রকারভেদ চোখে পড়লো কি। শিক্ষাদীক্ষা ও চিকিৎসার মান দেখার সুযোগ হয়েছিল।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ শুভভাই । ওখানে বর্তমানে জাতিগত বিভেদ নেই । মালয়রা একটু পিছিয়ে থাকায় সরকারি অনুদান ওদের পক্ষে থাকে। না অন্যান্য বিষয়গুলো চোখে পড়েনি, গিয়েছিলাম ভ্রমন করতে, ঐ সময় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো, তবে খোলা থাকলেও গবেষনার জন্য যেতাম না। হা হা হা।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: আগামি মাসে পরিবার নিয়ে যাবো।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোজাহিদুর রহমান ব । যান ঘুরে আসুন, ভাল লাগবে নিশ্চয়ই। আচ্ছা! এত দেরী করে যাবেন কেন? পরশুদিন না হোয়াইট হাউজ ছাড়লেন! এখনই বেরিয়ে পড়ুন! হা হা হা।
৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
শোভন১ বলেছেন: এখানে আপনি স্লো-ওয়ার্ল্ডের কথা লিখলেননা, মনে হয় মিস করেছেন। ওখানে কৃত্রিম স্নো-এর ব্যবস্থা আছে, আমরা যারা এমন দেশে থাকি যেখানে স্নো পড়েনা, তাদের জন্য ওটা অবশ্যই খুবই ইন্টারেস্টিং একটা জায়গা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৩
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শোভন১। হ্যা ঠিক বলেছেন। ব্যাপারটা কৃত্রিম বিধায় আকর্ষন জাগেনি। স্নো পড়া দার্জিলিং এ দেখেছিলাম । ভাল থাকুন ভাই।
৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
শুভ_ঢাকা বলেছেন: মজা লন কেন মিয়াঁ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৪
পুলক ঢালী বলেছেন: হেহ হেহ হেহ যেমুন পরশনো তেমুন উততর।হা হা হা। তয় আমনে কুব বুদধিমান। ভাইয়ো এত অল্পেতে ক্ষেপেন ক্যান??? হা হা হা।
৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
শুভ_ঢাকা বলেছেন: কষ্ট কইরা আপনার লেখা পড়ি। আবার ঝারি মারেন।
ভাল কইরা একটা পেগ বানান। একটু আরাম কইরা খাই।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১০
পুলক ঢালী বলেছেন: হে হে হে কষ্ট কইরা আমার লেখা পড়েন হেইর লাইগ্যা অনেক ধইন্যাপাতা। আমেরিকা থেকে পেটমোটা বোতলে একটা টাকিলা পাঠাইছে, ক্যামনে খাইতে হয় তরিকা জানিনা, কইছে ওইডার লাইগ্যা এক রকমের নাকি টাকিলা লবন আছে গেলাসের কান্দায় লাগাইয়া নাকি খাইতে হয়, তরিকা দ্যান পেগ বানাই। হা হা হা।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩
মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: (১) কুয়ালালামপুরে হোটেল কোন এলাকায় নিলে ভাল হবে
বুকিত বিনতাং ,পাসার সেনি অথবা মসজিদ জামেক এলাকায়
(২) লঙ্কাভিতে কোথাই হোটেল নিলে ভাল হবে
(৩) কোন বিমানে টিকেট করব / করচ কেমন
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪২
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোজাহিদ। কুয়ালালামপুরে যে কোন জায়গায় হোটেল নিতে পারেন। কারন কোথাও গেলে ট্যাক্সী লাগবে আর ওটার কোন অভাব নাই। জালান পোডুতে বাস স্ট্যান্ড, স্কাই ট্রেন স্টেশন, বাঙ্গালী খাওয়ার হোটেল (মান যাচ্ছেতাই) ইন্ডিয়ান খাওয়ার হোটেল আছে। আমরা ইন্ডিয়ান হোটেল আর নান্দোস,কেএফসি,ম্যাগডোনাল্ড এসব দোকানের ফাষ্টফুড খেয়ে দিন পার করেছি যাতে পেট ভাল থাকে।
লঙ্কাভীতে বীচের পাশেই অনেক হোটেল মোটেল আছে ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে যাওয়ার রাস্তার আশেপাশে, আমরা যখন গিয়েছি তখন খুব রাস ছিলো এখন তেমন হওয়ার কথা না।
আমাদের সিঙ্গাপু ভ্রমনের উদ্দেশ্য ছিলো তাই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসে গিয়েছিলাম, এতে খরচ বেশী হয়েছিলো, আপনি ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস বা মালিন্দ এয়ারে সরাসরি কুয়ালালামপুর যেতে পারেন, এতে খরচ কম হবে, ওগুলোর ফেয়ার আমার জানা নেই।
১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যাক ছবি দিতে কার্পন্য করেন নি।তাই পোষ্টে মন ভরেছে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা ছবি বেশী হয়ে গেছে। আসলে ছবি দেওয়ার কায়দা কানুন তখন জানতাম না এখন রপ্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালী টুরিস্টদের প্রতি মানুষের আচরণ কেমন?