![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন বয়ে চলে অজানা পথে
বোষ্টন সায়েন্স মিউজিয়ামের চত্তরে একদল শিক্ষার্থী
ম্যানঞ্চেষ্টার থেকে বোষ্টনের দুরত্ব ৬৫ মাইল/১০৪ কিলোমিটার গতিবেগে দুই ঘন্টার পথ। ওখানকার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করা এবং প্রাচীন স্থাপনাগুলি দেখার উদ্দেশ্যেই একদিনের ভ্রমন পরিকল্পনা। দ্রুত গতিতে ধাবমান অবস্থায় ছবি তোলা খুব দুরূহ তারপরও চড়াই উৎড়াই পাহাড়ী পথ ও টানেলের কিছু ছবি উঠিয়েছি কেমন হলো জানিনা।
বোষ্টনের পথে যাত্রা শুরু।
দুপাশেই পাহাড়।
চড়াই উৎড়াই বেয়ে চলা।
সামনে দূর দিগন্তে পাহাড়ের হাতছানি।
নীল আকাশের নীচে আমরা চলেছি -------দিগন্তের ছোঁয়া পেতে।
আবারও চড়াই---।
ক্রসরোড। আমেরিকার সব যায়গায় হাইওয়েতে উপর নীচে অসংখ্য ওভারপাস এবং আন্ডারপাস রয়েছে তাই সিগনালের কারনে জ্যাম কমই বাধে। গতিসীমা ৬৫ মাইলের নীচে চল্লিশ পয়তাল্লিশ হলেই ওদের ভাষায় জ্যাম সবাই অস্থির হয়ে যায় সময়মত গন্তব্যে পৌছঁতে পারবে কিনা এই চিন্তায়। আমাদের ঢাকা শহরে এত ব্যয় করে লম্বা লম্বা ফ্লাইওভার না বানিয়ে ওভারপাস আন্ডারপাস করে গাড়ীগুলি পার হওয়ার ব্যবস্থা যদি করা হত এবং একই সাথে কিছু রাস্তা ওয়ান ওয়ে করে দিলে মনে হয় এয়ারপোর্ট মোড়,কাকলী,মহাখালী,
মগবাজার,ফার্মগেট,শাহবাগ,সাইন্সল্যাব, নীলক্ষেত, মানিক মিঞাঁ এভিন্যুউ এরকম অসংখ্য মোড়ে তাহলে গাড়ী দাড়াতে হতো না। সেক্ষেত্রে কি এমন জ্যাম হতো? ফ্লাইওভারগুলি এক যায়গার জ্যাম অন্য যায়গায় ট্রান্সফার করেছে মাত্র জ্যাম কমায় নি।
রাস্তার পাশে সুন্দর দেওয়াল কিন্তু গতির কারনে তেমন সুন্দরভাবে ছবিতে উঠেনি।
বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত টানেলের (গুহা) ভিতর দিয়ে চলা।
রকপোর্ট গ্রুপের জুতার কারখানা নিউটন মেসাচুসেটস্।
পাহাড়কে দুভাগ করে দিয়ে চলে গেছে সর্পিল পথ। ওয়াল দিয়ে ধ্বস ঠেকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে পাশের ঢালে সযত্নে লালিত সবুজ ঘাস।
আবারও ক্রসরোড।
বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়।
ফ্যাকাল্টির একাংশ।
স্বাগতম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর বোষ্টন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মিলে মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৪৯ টি শিক্ষার্থী আছে প্রায় এক লক্ষ বায়ান্ন হাজার। বোষ্টন ব্যয়বহূল শহর। কিছু তথ্য গুগল থেকে নিলাম।
শহরের ভিতর রাস্তার পাশে নয়নাভিরাম ফুল।
অনেক উচু বিল্ডিং। ছবি তুলতে গিয়ে মানুষগুলি পিগমী হয়ে গেছে।
সুন্দর স্থাপনায় কর্মরত কিছু মানুষ।
রাস্তার পাশে কলেজটা পড়েছিলো ভাবলাম তুলে নেই।
প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক বোষ্টন অর্কিটেকচারাল কলেজ স্থাপিত ১৮৮৯ সালে।
এই বিল্ডিং এর আর্কিটেকচারাল ভিউ বেশ ভাল লেগেছে। প্রতিটি পিলার উপরে উঠে গম্বুজ হয়ে গেছে।
কনভেন্ট সহ প্রাচীন গির্জা।
১৯১০ সালের তৈরী ব্রীজ ।
ইষ্টার্ন বাস কোম্পানীর বাস। আমাদের ঢাকার টাউন সার্ভিস বাসের মত সুন্দর নয়
ঢাকার বাসের বডিগুলি এবষ্ট্রাক্ট আর্ট দ্বারা অলঙ্কৃত থাকে যা এগুলোতে অনুপস্থিত।
সায়েন্স মিউজিয়াম।
মিঃ ব্রাড ওয়াশবার্ন এবং মিসেসঃ বারবারা ওয়াশবার্ন এর ম্যুরাল । মিঃ ব্রাড ছিলেন সায়েন্স মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টরদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একাধারে অভিযাত্রী,এরিয়াল ফটোগ্রাফার,পর্বতারোহী। তিনি মাউন্ট এভারেষ্ট এবং গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ডিটেইলড ম্যাপ তৈরী করেন।
মিসেস বারবারা ছিলেন একজন পর্বতারোহী এবং শিক্ষিকা। তিনিই প্রথম নারী যিনি আলাস্কার ডেনালীর মত দুর্গম পর্বতকে পদানত করেছিলেন।
যৌবনকালে ব্রাড দম্পতি।
বয়োবৃদ্ধ ব্রাড দম্পতি।
এই দম্পতিদের ছবিসূত্রঃ গুগল মামু।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
পুলক ঢালী বলেছেন: বাহ্ ! ছবি ব্লগের গুরু বলছেন সুন্দর হয়েছে এ আনন্দ রাখি কোথায়। ধন্যবাদ কামাল ভাই।
ভাল থাকুন।
নিন একটু চা খান।
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! খুব সুন্দর ছবি ব্লগ
আপনার ক্যামেরায় আম্রিকা দেখালাম
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ অনিক ভাই । মন্তব্যে খুশী হলাম । ভাল থাকুন।
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
ছবি গুলো দেখে মন ভরে গেল।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯
পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ স্রাঞ্জি সে। আপনার মন ভরে গেছে দেখে আমারও মন ভরে গেল । ভাল থাকুন।
৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি কত কষ্ট করে ঘুরেছেন
আর আমরা কয়েক পলকে মাউসে স্ক্রল করেই ঘোরাঘুরি শেষ করে ফেললাম
হা হা হা
দারুন ছবি আর শর্ট বর্ণনায় সুন্দর ভার্চূয়াল ভ্রমন হলো
আন্ডারপাস ওভার পাসের আইডিয়া নিয়ে দৌড়াড়ৌড়ি করেছিলাম
ওতে কমিশনবাজির সুয়োগ নাই- তাই গুরুত্ব নাই!
ফ্লাইওভারতো হাজারকোটি টাকার খেলা
পাবলীকের লাভ না হোক, কারো কারো তো লাভ হচ্ছে
পোষ্টে ++++
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাই। আপনাদের মত সাহিত্যে, কাব্যে দখল থাকলে নিশ্চয়ই আরো ভালো বর্ননা দিতে পারতাম।
আন্ডারপাস ওভার পাসের আইডিয়া নিয়ে দৌড়াড়ৌড়ি করেছিলাম
ওতে কমিশনবাজির সুয়োগ নাই- তাই গুরুত্ব নাই!
ফ্লাইওভারতো হাজারকোটি টাকার খেলা
পাবলীকের লাভ না হোক, কারো কারো তো লাভ হচ্ছে
আপনার সাথে কঠিনভাবে সহমত। আমজনতার সুবিধা করে লাভ কি তাতে তো পেট ভরবেনা।
এক কিলোমিটার চার লেনের রাস্তা বানাতে ভারতে প্রায় ১৩ লক্ষ ডলার লাগে ভূমি অধিগ্রহন সহ। একই ভূ-পরিমন্ডলে অবস্থিত
আমাদের লাগে (১০০+১৯) ১১৯ লক্ষ ডলার মাত্র। ১০০ লক্ষ ডলার মাত্র এক কিলোমিটারে হাওয়া । ঢাকা মাওয়া সড়ক কত কিলোমিটার। কয়শো লক্ষ ডলার হাওয়া হয় ?
ভাল থাকুন কবি ভাই।
৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আহ বোস্টন ! হার্ভাড আর এমআইটি এর শহর
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮
পুলক ঢালী বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন সোনালী ঈগল২৭৪। এমআইটির পাশ দিয়ে গিয়েছি ভিতরে ঢোকার সময় ছিলোনা তবে হার্বাডে গিয়েছিলাম পরের পোষ্টে আসবে।
পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন।
৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২১
এখওয়ানআখী বলেছেন: ছবিগুলো মন ভরিয়ে দিল। শুভকামনা রইল।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬
পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই এখওয়ানআখী । ভাল থাকুন।
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর++
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সনেট কবি ভাই। ভাল থাকুন।
৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
স্বপ্নের দেশটা আপনার ছবি ব্লগে স্বপ্নের মত লাগলো !!
ছবি ব্লগ ভালো হয়েছে।।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮
পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা ধন্যবাদ কবি শাহরিয়ার কবীর ভাই। আপনাকে কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখাতে পেরে ধন্য হলাম। ভাল থাকুন শুভেচ্ছা রইলো।
৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫১
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর। তবে সাইজ পরিবর্তন হয়েছে মনে হয়। সম্ভব হলে ৪:৩ অনুপাতে এডিট করে ছবি দেবেন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৬
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! পরবর্তিতে আপনার পরামর্শ অনুযায়ী চেষ্টা করে দেখবো । ভাল থাকবেন।
১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: বেশ অনেকগুলো গাড়ি ফটোগ্রাফি পুলক ভাই
আপনার চোখে আম্রিকা দেখে চোখ জুড়ালো
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে যাচ্ছিলাম তো যে কোন দৃশ্যই চোখে পড়ুকনা কেন চারিদিকে শুধু গাড়ী আর গাড়ী আগে দেখেছিলাম শুধু বাড়ী আর বাড়ী । একটা বাড়ী আপনার জন্য পছন্দ করে রেখেছি দোলনা আছে আর বাড়ীটাও পিচ্চী।
আপনাকে আজকাল কম দেখি কি নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত করে রেখেছেন ?
অনেক ভাল থাকুন।
১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯
কোলড বলেছেন: Looks like Mass-Pike (I-90)
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব কোলড। একদম ঠিক বলেছেন আমরা ৮৪ থেকে ৯০ তে ঢুকি। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬
চাঙ্কু বলেছেন: নিউ ইয়র্কের চেয়ে বস্টন হাজারগুন ভালো লাগে !! সাবার্বগুলো অনেক গোছানো!!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব চাঙ্কু। নিউইয়র্ক কে আমার বিরাট বিরাট বাক্সের (হাইরাইজ বিল্ডিং) শহর বলে মনে হয়েছে যদিও ওটাও একটা ঐতিহ্যবাহী শহর। ওখানে প্রথম গাড়ীর হর্ন শুনি।
এ বিষয়ে পরে লিখবো। পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ, আপনার লেখা থেকেও অনেক কপিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
ভাল থাকুন।
১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি ভালো লাগলো।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১
পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। ব্যস্ত মানুষ সময় করে পড়ে আবার মন্তব্য করলেন কৃথার্থ হলাম। ভাল থাকুন।
অঃটঃ একটি মেয়ে আপনার গায়ে বমি করে দেওয়ার সেই স্মৃতিপূর্ন লেখার কথা মনে পড়লে এখনও আমি পেট চেপে ধরে হাসতে থকি।
১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
সুমন কর বলেছেন: সব মিলিয়ে পোস্টটি ভালো হয়েছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৯
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি সুমন কর ভাই।
আপনার মন্তব্যে প্রেরনা পেলাম। ভাল থাকুন।
১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি গুলো দেখে অনেক ভাল লাগল পুলক ভাইয়া।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১০
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল ভাই। খুব খুশী হলাম । ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ, ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।