নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুতুলেরআম্মু

পুতুলের আম্মু

পুতুলের আম্মু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রযুক্তির ব্যবহার ও আমাদের দায়!

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

কিভাবে দেবেন এই প্রজন্মকে দায়? তারাতো কেবল উৎসুক ও জানার অদম্য আগ্রহই তাদেরকে দিনে দিনে যান্ত্রিক করে তুলেছে। অভিভাবকদের চিন্তা এখন ঐ এক জায়গায় ঘোরপাক খাচ্ছে- কি করছে তার সন্তান হাতের ঐ ছোট্র এনড্রয়েড দিয়ে - কি সার্চ করছে- কি যোগাযোগ করছে- কি রেফারেন্স নিচ্ছে- মধ্যরাতেও তাদের হাতের ফোন ডিভাইসটি সচল থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেকেই সন্তানের বায়নার জন্যই কিংবা তার সন্তান যুগোপযুগির জন্য মনে করে সন্তানকে এনড্রয়েড সেট দিচ্ছে কিংবা প্রয়োজনে। কিন্তু সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা ও অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য সবাই এখন নড়েচড়ে বসেছেন। সবচেয়ে মজার কথা সকলে এখন সন্তানদের দেখভাল ভাল করেই করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তানকে আগের মতই স্কুল ছাত্রের মতই দেখভাল করে চলছে এবঙ এই ধারা অব্যাহত থাকুক এটাই সমাজবিজ্ঞানি ও মনোবিদরা কামনা করেন। বিশ্ব ছুটে চলার এই দূর্বার সময়ে কেউ পিছিয়ে থাকতে নারাজ আর পিছিয়ে থাকা মানেই আপনি অসমাজিক এমনটাই সকলের ধারণা। কিছুদিন আগেও প্রতিদিন সকালে পত্রিকা হকারের অপেক্ষায় পরিবারের সবাই উম্মুখ থাকত। পত্রিকা পাওয়ার সাথে সাথেই গরম গরম খবর কার আগে কে পড়বে এই নিয়ে পরিবারে বড়-ছোট সবার মধ্যে একটি রীতিমত প্রতিযোগিতা হত। এই বুঝি কেউ আমার আগে সব জেনে গেল। এই মজা এখন ফিকে হয়ে আসছে কেবল এই গতির যন্ত্রে অর্থাৎ ইন্টারনেট ও মোবাইল ডিভাইস। মধ্যরাত পর্যন্ত ব্রেকিং নিউজ এর জন্য পরিবারের জ্যৈষ্ট লোকটি যেমন উদগ্রিব তেমনি ছোট্রমণিও উদগ্রিব তার নতুন কোন কার্টুন বা গেইমসের জন্য।
সবচেয়ে আশার কথা হলে নতুন প্রজন্ম এই ডিভাইস ও ইন্টারনেট শুধুমাত্র বিনোদন হিসাবে নেয়নি তারা এটা শেয়ারিং এর জন্য বেশি ব্যবহার করে। আগে যেমন ক্লাসের ফাকে অনেকেই গ্রুপ ডিসকাশন করতো কোন কঠিন সাবজেক্ট নিয়ে ঠিক এখন তা করে তারা নিজ নিজ ঘরে বসেই। সম্ভবত এটাই ইন্টারনেটের একটা পজেটিভ দিক। যার জন্য কোন সচেতন অভিভাবক তাদের সন্তানকে ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা দেয়না। পক্ষান্তরে, দুষ্কৃতকারীরা এই ইন্টারনেটকে তাদের কুকর্মের জন্য একটা উৎকৃষ্ট মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে। বর্তমান ফেইসবুক-ভাইভার-ইমো-হোয়াটসএ্যাপ-টুইটার-লিন্সডেন-কোয়াক-স্কাইপিসহ হাজারো এ্যাপ দিয়ে অত্যান্ত নিরাপদে মানুষ যোগাযোগ করে চলছে। যোগাযোগের মাধ্যম যতই আপগ্রেড হচ্ছে মানুষ ততই এগিয়ে যাচ্ছে। পুরো বিশ্ব হাতের মুঠোয় এখন। শিক্ষা-সংস্কৃতি-বাণিজ্য-অর্থনিতি কি নেই এই মাধ্যমে। দুরশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্বের শ্রেষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা ও রেফারেন্স এখন এই হাতের মুঠোয়। আমরাও আমাদের প্রজন্মকে বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে তাদের হাতে প্রযুক্তির দৌড়ে সওয়ার করে দিচ্ছি। কিন্তু কে নেবে এইটার অপব্যবহারের কিংবা সঠিক পরিচলনার দায়! বিশিষ্টজনেরা মনে করেন- তথ্যপ্রবাহ যতই উন্নত হোক না কেন যার যার অবস্থান হতে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মানবীয়দিকগুলোর নার্সিং করতে হবে। নচেৎ কেউ এই আগ্রাসন হতে দায় এড়াতে পারবেনা। কখনো এই তথ্যপ্রবাহকে দোষারুপ করে পিছিয়ে থাকা চলবেনা- ইহার দায় আমার-আপনার-সমাজের-রাষ্ট্রের সর্বপরি সবার বিবেককে নিতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.