নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুতুলেরআম্মু

পুতুলের আম্মু

পুতুলের আম্মু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার সন্তানটিকে যদি ভালবাসেন -

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

১) কাজের লোক থাকলেও, তাকে দিেয় ঘরের যাবতীয় সব কাজ, ঘরঝাড়ু, টয়লেট সাফ করা থেকে শুরু করে রান্নাবাড়া পর্যন্ত - করান। কাজকে ভালবাসতে শিখান। কাজের যে কোন শ্রেণিভাগ নেই, সব কাজই যে যার যার ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব বহন করে তা তাকে শেখান। এতে করে সে হবে সব কাজে পটু, শিখবে আত্মনির্ভরশীলতা, দায়িত্বশীলতা, আর সমাজের সকল পেশাজীবি মানুেষর প্রতি হবে শ্রদ্ধাশীল। অলসতা বর্জন করে কর্মস্পৃহা - এই হোক তার বাল্যশিক্ষা।
২) "না" শব্দটির সাথে তাকে বেশী বেশী পরিচিত করান। তার সব আবদার কখনোই পূরণ করবেন না, তা যতই আপনার সাধ্যের নাগালে থাকুক না কেন। ক্রমাগত আদরের "হাঁ" তাকে "আদরের বাঁদর" করে তুলবে। বেপরোয়া কিশোর বয়সে অনভ্যস্ত তাকে "না" আপনি কখনোই শোনাতে পারবেন না। এই বয়সে সে যত বেশী "না" শুনবে, পরবর্তীতে তত বেশী সুখকর "হাঁ" তার জীবনে বয়ে আসবে। "না" শোনার ছোট ছোট দুঃখগুলো তাকে আরও বড় বড় দুঃখ সহনশীল করে গড়ে তুলবে।
৩) তাকে সব ধরনের খাবারে অভ্যস্ত করে তুলুন। অপছন্দের খাবারগুলো খেতে জোড় করুন। অপছন্দের খাবারের তালিকা যত ছোট হবে, তার এবং আপনার জীবন ততই সহজ হবে। যে কোন পরিস্থিতিতে খাবারের অসুবিধা তার জীবনে যাতে কখনোই না আসে সে ব্যবস্থা করুন।
৪) অন্তত একটি পোষা প্রাণীর সাথে তাকে বড় হতে দিন। খেয়াল রাখুন যাতে সে অন্যান্য পোকামাকড়দের প্রতিও সদয় হয়। মানুষ ছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীদের প্রতি তার ভালবাসা গড়ে উঠুক। নিজস্ব বাগান থাকলে তা পরিচর্যায় তাকেও সাথে রাখুন।
৫) স্কুলের রিপোর্টকার্ডকে কখনোই গুরুত্ব দিবেন না। তার শেখার পদ্ধতি খেয়াল করুন, প্রায়োগিক ব্যবহার খেয়াল করুন, নিজে নিজে শিখতে উৎসাহিত করুন। মুখস্থ বিদ্যার তুলনায়, আত্মস্থ আর হৃদয়ঙ্গম, সর্বাপেক্ষা ব্যবহারিক বিদ্যা অনেক শ্রেয়। সারাজীবনই তাকে ক্রমাগত শিখে যেতে হবে। কোন কিছু হৃদয়ঙ্গম করার সঠিক পদ্ধতির শিক্ষা এক্ষেত্রে তার জীবন কিছুটা হলেও সহজ করে তুলবে।
৬) তাকে হিসাবী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। মাঝে মধ্যে আপনার আর্থিক হিসাবের খাতায় তার হস্তাক্ষরও থাকতে দিন। আপনার আর্থিক অবস্থার মিথ্যািচত্র তাকে উচ্চািভলাষী করে তুলতে পারে। তদুপরি, বেহিসাবী আগোছাল জীবন চলচিত্রেই মানানসই বাস্তব জীবনে নয়।
৭) সামান্য অভাব তাকে বুঝতে দিন। অভাবী মানুষ সবসময় সম্পত্তির প্রতি যত্নবান হয়, কারন তার হারানোর ভয় থাকে। আপনার কষ্টার্জিত সম্পত্তি রক্ষার দািয়ত্ব তাকেই নিতে হবে।
৮) সাংস্কৃতিক যে কোন একটি ক্ষেত্রে তাকে শেখার সুযোগ দিন, উদ্বুদ্ধ করুন। মানসিক সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে তার মানসিক পরিপক্কতা আসুক। মনের ভাব প্রকাশের চমৎকার মাধ্যমগুলো থেকে তাকে বঞ্চিত করবেন না।
৯) নৈতিক শিক্ষার জন্য তাকে "ঈশপের গল্পসমগ্র" বইটি উপহার দিন। গল্পচ্ছলে চমৎকার এই বইটি থেকে নেওয়া নীতিশিক্ষায় তার গোড়াপত্তন হোক।
১০) তাকে দৈনিক কমপক্ষে ১ ঘন্টার জন্য "Meditation" - এর দীক্ষা দিন। নিজেকে নিজে দেখার অভ্যাস আর আত্মদৃিষ্টর নয়ন তাকে রাগ, অহংকার, মিথ্যাচার ত্যাগ করে ধৈর্যশীল, চিন্তাশীল, অধ্যাবসায়ী, দূরদৃিষ্টসম্পন্ন আর মনযোগী করে তুলবে। মানবিক এইসব গুণাবলীই হবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্বল।
উপরের সবকিছুর সফলতা নির্ভর করবে একটি বিষয়ের উপর - আপনার নিজেরও আচার-অভ্যাস পরিবর্তন করুন। উপযুক্ত সুস্থ পরিবেশ তাকে উপহার দিন। বাইরের পরিবেশের প্রভাব হয়ত আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কিন্তু পারিবারিক পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে আপনার আয়ত্ত্বে। সন্তানকে যেরূপে দেখতে চান, নিজের মােঝও সেই গুণগুলো নিেয় আসুন। অনুকরণপ্রিয় শিশুটি আপনাকে দেখেই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাগুলো লাভ করুক!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব শিক্ষা দিতে মা বাবাকে শিক্ষিত (এম এ পাশ নয়) হতে হবে আর সন্তানকে সময় দেয়ার মত সময় থাকতে হবে। যার খুব অভাব!

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: তবুও পোস্টটি দারুণ। সবার চেষ্টা করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.