![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বয়স সম্ভবত তেরো কি চৌদ্দ বছরের কিশোরের সবকিছুতেই আগ্রহ ও কৌতুহল থাকে বেশি, এর ব্যতিক্রম হয়নি আমার ক্ষেত্রেও। বাড়ির বিশাল পুকুরে বাড়ির সকল আবাল-বৃদ্ধ মাছ ধরার উৎসবে মেতেছিল সেদিন। প্রতি বছর রমজানের শেষের দিন ও হযরত আকবর শাহ (রা এর ওৗরশের দিন আমাদের সমাজ তথা বাড়ির সকলে মাছ ধরার উৎসব পালন করি। মাছ ধরার জাল থাকুক আর নাই থাকুক প্রয়োজনে অন্য এলাকা হতে জাল ভাড়া করে আমাদের সিনিয়ররেরা মাছ ধরত; পুকুরের মধ্যখানে গিয়ে মাছ ধরার জন্য কলাগাছ দিয়ে বা মুলীবাশ দিয়ে একধরনের ভেলা তৈরী করত। এই বিশেষ ভেলাতে উঠে পুকুরের মধ্যখানে গিয়ে জাল দিয়ে মাছ ধরার দারুন লোভ ছিল আমার, কিন্তু আমি যে ভালোমত জালটাই পানিতে ছুড়তে পারতাম না তারপর ও খুবই ইচ্ছে হতো পুকুরের মধ্যখানে গিয়ে জাল ফেলি। সিনিয়ররা ধমক দিতো, চোখ রাঙাতো ভেলায় উঠতে দিত না। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে বড় মাছ ধরার জন্য বিশেষ্ঘদের বিশেষ জাল থাকতো যেমন- বড়ফোটা ওয়ালা, মাঝারী ফোটাওয়ালা অর্থাৎ কৈ জাল, মইল্লে জাল, বোয়াল জাল ইত্যাদি ইত্যাদি নাম জালের। এতধরনের মাছধরার জাল থাকলেও আবার সবাই যে মাছ ধরতে পারে কিংবা সবার জালে যে মাছ লাগে তা সঠিক নয় এখানে প্রচলিত একটি কথা আছে- তা হলো মাচ্ছো ভাগ্য অর্থাৎ মাছে পাওয়ার ভাগ্য বা তকদির বলে। আমার এলাকায় সর্বজনবিদীত ও সবার জানামতে সবচেয়ে মাচ্ছো ভাগ্য হচ্ছে ভাতিজা কামাল-জামাল-জালাল ও ভাতিজা সামসু। এরা মাছ ধরতে নামা মানেই তাদের কাচা বা বালতি ভর্তি মাছ আর মাছ.......চলবে
©somewhere in net ltd.