নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাজল্‌ড ব্লগ

পাজল্‌ড ডক

বৃষ্টি ভাল লাগে,বৃষ্টি ভেজা কদম ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হই।সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের হাসিতেও মুগ্ধ হই।পৃথিবী জয়ের স্বপ্ন দেখি।

পাজল্‌ড ডক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বগালেক জার্নি-ছবিব্লগ-২(পদব্রজে)

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ৯:২১

২০১০ সালের মার্চের শেষে বান্দরবনের বগালেক গিয়েছিলাম।আমরা ৫ জন। চিম্বুক এর কাছাকাছি ওয়াই জাংশন এর কাছে একটা সেতুতে ওঠার জায়গার মাটি সরে গেছে আগের দিন বৃস্টিতে। রুমা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। সেতু ঠিক কখন হবে তা বলতে পারছে না কেও। মানুষ জনের সাথে কথা বলে হাটা শুরু করলাম। শুরু হলো এক ভয়ংকর সুন্দর যাত্রা।



নৌকা পাহাড়ের নীচে নদীর পাড়ে থামিয়ে ফটোসেশন









রূমা পৌছে চান্দের গাড়ি ঠিক করা হলো। কিন্তু গাড়ি বগালেক পর্যন্ত যাবে না,তার ৪-৫ কিলো আগে যে গ্রামটা আছে (পরে ঐ গ্রামে রাত কাটিয়েছিলাম) ঐ পর্যন্ত যাবে। গ্রামের আগে ভীষন খাড়া একটা ঢাল আছে। আগের দিনের বৃষ্টিতে ঢালের জায়গায় জায়গায় গর্ত হয়ে যাওয়ার গাড়ি আটকে যাবে।

এদিকে আর্মি চেক পোস্ট থেকে পারমিশন দিচ্ছিল না। ঘন্টা দেড়ক পর পাওয়া গেল যাওয়ার অনুমতি। রূমা বাজার শুকনো খাবার,পানি আর টর্ট কিনে রওনা হতে হতে আরও আধা ঘন্টা।

রূমা থেকে প্রায় ৩ কিলো দূরে যে কংক্রীটের সেতু টা ওটার গোড়ার মাটি সরে গেছে। গাড়ি ছেড়ে হেটে গ্রাম টাতে পৌছুব ঠিক করলাম। রাতে কেউ রূমা থেকে পায়ে হেটে বগালেক গিয়েছে এমন পাগল খুজে পাওয়া যাবে না মনে হয়।

মুনলাইপাড়া পার হয়ে ৩-৪ কিলো যাওয়ার পর আমরা ভূলটা বুঝতে পারলাম। সেই ওয়াই জাংশন থেকে ২২-২৫কিলো হেটে এখন এই অন্ধকার রাতে পাহাড়ে আরো ১০কিলো!! কিন্তু ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছে।



পাহাড়ের উপর রাতের আকাশ এক অপার্থিব সুন্দর,হাজার তারার ফুল ফুটে আছে যেন।আমাদের গাইড আমাদের এক লাইন ধরে হাটতে আর একটা চর্ট জ্বালাতে বলল। আর একটু পর পর আমাদের গুনতে লাগলো। ঘটনা বুঝতে পেরে আমাদের অবস্থা খারাপ ।সারাদিনের ক্লান্তি ভূলে কায়মনোবাক্যে হাটতে লাগলাম। পায়ের কোন বোধ পাচ্ছিলাম না।

অবশেষে দূরে একটা আলো দেখতে পেলাম,গ্রামটার আলো।মাটিতে পড়ে গেলাম প্রায় সাথে সাথে।

ঐ মুহূর্তে



পেছনের গ্রামটিতে রাত্রিযাপন করেছিলাম।বাসা গুলার নীচে এরা শূকর পালন করে। বিকট গন্ধ।সেই গন্ধেই কি শান্তির ঘুমই দিয়ে ছিলাম।



আবার হন্টন,পথে











ছবির বাম থেকে ২য় জন আমাদের গাইড,নাম ভূলে গেছি;





গ্রাম থেকে বর হওয়ার পথে একটা দোকান থেকে দুধ চা খাই। চা টা কেমন যেন লাগছিল। তখন কাউকে কিছু বলি নাই। আসার পথে সবাইকে জিঞ্গেস করায় সবাই বলল চা টার স্বাদ একটু অন্যরকম ছিল।তাইতো!ওরা দুধ পেল কোথায়,গরু,ছাগল তো নেই!! না জেনে খাইছি!!!

এই পাহাড়টার উপরে বগালেক!







অবশেষে:D





























পুনশ্চ; হেটে যাওয়ার পথে দু পাশের প্রকৃতি কি অপার সৌ্ন্দর্য নিয়ে দাড়িয়ে আছে তা দেখে আমরা পাগল হইনি ঠিক কিন্তু অবাক বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়েছিলাম। আর হা এখানে প্রাকৃতিক দৃশ্যের তেমন কোন কিছুই তোলা হয়নি।

হূমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ,কোন সৌন্দর্যকে ক্যামরায় বন্দীকরে ফেললে তার প্রতি আবেদন কমে যায়। আমরা হয়তো সেটা চাইনি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:০৬

পংবাড়ী বলেছেন: সুন্দর, সুন্দর।

কত মাইল পায়ে হাঁটতে হয়?

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৩৮

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: গাড়ি দিয়ে যাওয়া যায়।
আমরা একটু বেকায়দায় পরে গিয়ে হেটে যাই। আমারা ওয়াই জাংশন থেকে বগালেক আবার বগালেক থেকে রুমা আনুমানিক ৫০ কিলোমিটার হেটেছিলাম।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পাহাড়ে যাওয়ার মজা হলো বর্ষায়, তখন পাহাড় এতো সবুজ থাকে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তখন অবশ্য জোঁক আর পিচ্ছিলতার ভয় অনেক বেশী, তবু ঐসময়টাতেই ভ্রমণ করা সব চেয়ে মজার, ধন্যবাদ, চালিয়ে যান।

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: একদম ঠিক বলেছে। আমরা যখন যাই তখন পুরোপুরি বর্ষা না কিন্তু বৃস্টি হয়েছিল আগের দুইদিন। নীলাচলে বসে সেই বৃস্টিতে ভিজেছিলাম। পাহাড়ে বৃস্টি কিন্তু ভয়ংকর হয়। এর পর আরো একবার গিয়েছিলাম বান্দরবন,কিন্তু বর্ষায় যাওয়া হয়নি কখনো।
রিপ্লাই দিতে দেরি হওয়ায় দুঃখিত।
আপনাকে অনুসরণে নিলাম।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল আপনার লেখা আর ছবি সহ এই অপুর্ব ভ্রমন কাহিনী। আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা। আজো আপনাদের মত মানসিকতার তরুন আছে ভেবে ভাল লাগল। আপনার সংখ্যায় আরো বাড়ুন। ভালো থাকুন আর ধন্যবাদ।

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: অসাধারণ কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পথে এক পুলিশ ফাড়িতে থেমে পানি চেয়ে খেয়েছিলাম,সাথে আনা পানি শেষ হয়ে গিয়েছিল।প্রায় ১-২ কিলোমিটার পাহাড় থেকে নেমে ওরা পানি সংগ্রহ করে ঝিরি থেকে,সেই পানি নিয়ে আবার পাহাড় বেয়ে ওঠতে হয়। অন্যরকম জীবন পাহাড়ে।

আপনিও অনেক ভাল থাকুন।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই জায়গায় যাইতে হবে একদিন। তখন আবার আপনার পোস্ট পড়তে আসবো।

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৩

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: হেটে না গেলেও পরামর্শ থাকবে গাড়ি থামিয়ে,একটু হাটবেন,অসাধারণ লাগবে।আর বগালেকের পাহাড় টা অন্তত হেটে ওঠবেন,হঠাৎ করে দেখবেন শান্ত সুন্দর এক জলাশয়,মনে মনে বলবেন,আরে পাহাড়ের উপর এতো পানি আইলো কইথ্থিকা।
ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: ৫০ কিলো মি হেঁটেছেন? শক্ত লোক আপনারা, ভালো লাগলো।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আসলে দূরত্বটা আরো বেশি হবে,হাটা ছাড়া উপায় ছিলো না

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.