![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃষ্টি ভাল লাগে,বৃষ্টি ভেজা কদম ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হই।সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের হাসিতেও মুগ্ধ হই।পৃথিবী জয়ের স্বপ্ন দেখি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ কে বলা হয় ইউরোপের সবচেয়ে কঠিন ও প্রতিদ্বন্দিতা পূর্ণ লীগ ,এটি সবচেয়ে টেলিভাইসড লীগও বটে।খুব বেশী ফিজিক্যালিটি এলাও করা আর ছোট দল গুলোর হার না মানা মনোভাবের কারনে ম্যাচ গুলো খুব প্রতিদ্বন্দিতা হয় । একারনে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই লীগ।ইউরো কোয়ালিফিকেশন আর প্রীতি ম্যাচের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ব্রেক চলছে এখন।আসুন এই ফাকে একটা প্লেব্যাক হয়ে যাক।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে সাতটি করে।শিরোপা প্রার্থী মেইন দল গুলোর অবস্থান কোথায় আর কেমন খেলল তা দেখে নেওয়া যাক।
চেলসি:
এখন পর্যন্ত হার না মানা দল,সাত ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে। সাতটি ম্যাচে চেলসির খেলা দেখে যে কেউ বলবেন শিরোপা জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছে না দলটি।প্রায় সব গুলো ম্যাচেই খেলেছে প্রবল আধিপত্য বজায় রেখে। একমাত্র ম্যান সিটি এর সাথে খেলায় দেখি কৌশল অবলম্বন করে কাউন্টারে খেলতে,হোসে মরিনিও কৌশল করবেন আর সেটা ফলবে না, এমনটা খুব কম হয়েছে। কিন্তু বিধিবাম,ক'দিন আগেই চেলসি থেকে চলে গিয়ে ধারে খেলতে আসা ক্লাব লিজেন্ড ফ্রাংক ল্যাম্পার্ড এর শেষ মুহূর্তের গোলে পয়েন্ট শেয়ার করে ম্যান সিটি। তা না হলে শতভাগ সাফল্য নিয়েই শীর্ষে থাকতো দলটি।
চেলসির এত অসাধারণ খেলার কারণ কি! মরিনিও কে বলা হয় মাস্টার টেকিশিয়ান , তিনি ঠিক জানেন দলটির কোথায় কোথায় রসদ দরকার। ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হওয়ার অনেক আগেই তাই কিনে ফেললেন ডিয়াগো কস্তা, সেস্ ফেব্রেগাস,ফিলিপে লুইস, এথলেটিকো মাদ্রিদ থেকে নিয়ে আসলেন অনেক দিন ধরে ধারে খেলতে থাকা তরুণ গোলকীপার কর্তোয়া কে। লাস্ট উইন্টারে দলে যোগ দেওয়া ম্যাটিচ, সব মিলিয়ে প্রিমিয়ার লীগ জেতার জন্য যা যা দরকার তাই করেছেন মরিনিও। সাত ম্যাচে নয় গোল করে কস্তা আছেন সুপার ফর্মে।সেস্ ফেব্রেগাস যেন ফিরে পেয়েছেন তার হারানো স্বাধীনতা,আর্সেনাল আর বার্সেোনার আফসোসের কারণ হবেন সেস্ সেটা এখনি বোঝা যাচ্ছে।
টেরি, কাহিলের জমাট ডিফেন্স,ম্যাটিচের বুদ্ধিদীপ্ত লিংক আপ প্লে, হ্যাজার্ডের ড্রিবলিং আর ক্ষীপ্রতা, সেসের মোহনীয় ডিফেন্স চেরা পাস আর কস্তার দূর্দান্ত ফিনিশিং এখন পর্যন্ত চেলসির হাইলাইটস্।
They are top favourite at this moment for sure.
ম্যানচেস্টার সিটি:
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটি আছে দুই নম্বর পজিশনে, ৭ ম্যাচে চার জয় ২ ড্র আর স্টোক সিটির সাথে একমাত্র পরাজয়ে পয়েন্ট ১৪, চেলসির চেয়ে পিছিয়ে ৫ পয়েন্ট। আর্সেনাল আর চেলসির সাথে ড্র ম্যাচে জয়ের অবস্থানে ছিলো বেশ কয়েক বার ই ,কপালে না থাকলে যা হয় আরকি।
এ পর্যন্ত সিটির খেলা দেখে ভক্তদের মন ভরেছে বলা যাবে না। ফিনেন্সিয়াল ফেয়ার প্লে এর জরিমানায় সিটি এবার হাত খুলে খরচ করতে পারেনি বরাবরের মতো,তবুও ৩২ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে পোর্তো থেকে নিয়ে এসেছে মাংগালাকে।একজন ডিফেন্ডারের জন্য এতো খরচ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও আমার কিন্তু ভালই লেগেছে এই ফ্রেন্চ ডিফেন্ডারের খেলা।এছাড়া ফ্রীতে এনেছে আর্সেনাল রাইট ব্যাক সেনিয়াকে,বাকি মেইন মেইন প্লেয়ার গুলো ধরে রেখেছে সিটি।
আমার কাছে এই সিজনে সিটি প্লেয়ার দের বেশ টায়ার্ড মনে হয়েছে,অবশ্য ওরা বেশ শক্ত একটা রান শেষ করলো, লিভারপুল,আর্সেনাল,বায়ার্ন মিউনিখ, চেলসি--ভাবা যায়! সিটির মেইন প্লেয়ার ইয়া ইয়া তোরে, এই সিজনে ওর খেলা এখনো জমে উঠেনি,ও খেলতে শুরু করলে আমার মনে অন্য এক ম্যান সিটিকে দেখতে পাবো;যার প্রমান দেখা যায় সর্বশেষ ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার সাথে, অসাধারণ এক ভলিতে ৮২ মিনিটে গোল করার পরেই মনে হল চ্যাম্পিয়ন টীমের খেলা দেখছি এখন।
তোরের পাশাপাশি সিলভা,আগুয়েরো কে অসাধারণ খেলতে হবে চেলসিকে টপকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। আগুয়েরো এক অসাধারণ প্লেয়ার,জিরো চান্স থেকে ডি বক্সের মধ্যে বল নিয়ে গোল প্রিমিয়ার লীগে ও ছাড়া আর কেউ করতে পারে কিনা সন্দেহ আছে।
কোচ ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনি যথেষ্ট একসপেরিয়েন্সড,পরবর্তি খেলা গুলোতে তাকে আরো কৌশলী হতে হবে মনে হয়।বিশেষ করে প্রতিযোগিতা যখন মরিনিও এর মতো কোচের সাথে। ডিফেন্স ঠিক ঠাকই আছে ,অ্যাটাকে আগুয়েরো,জেকো আর সিলভাদের জ্বলে উঠা ছাড়া উপায় নেই ম্যান সিটির।
আগামী পর্বে ইনশ্আল্লাহ ম্যান ইউনাইটেড, লিভারপুল এবং আর্সেনাল এর খেলা নিয়ে আলোচনা করব।
দ্বিতীয় পর্ব:
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ : সবচেয়ে জমজমাট লীগের শিরোপা প্রত্যাশীরা কেমন খেলছে! আসুন জেনে নেই-২
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
সামু'র এটা নতুন সমস্যা। আপনি যখন থেকে এই পোষ্ট লিখা শুরু করেছেন সেই সময়টাই পোষ্ট প্রকাশ সময় মনে করছে। এই ক্ষেত্রে আপনার যা করনীয় তা হলো নতুন ব্লগ লিখার জন্য খুলে সেখানে লিখা কপি পেষ্ট করে তবে প্রকাশ করবেন।
হোসে মরিন হো ভীষণ টেকনিক্যাল কোচ। তবে ফ্রাংক ল্যাম্পার্ডকে ধারে দেয়া মনে হয় ভুলই হয়েছে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৪৭
পাজল্ড ডক বলেছেন: অন্য কোথায় লিখে এখানে পেস্ট করবো?!
ল্যাম্পার্ড কে আসলে চেলসি ধারে দেয় নি।চেলসির সাথে ওর কন্ট্রাক শেষ,পরে ও নিউ ইয়র্ক সিটি এফ সি (এমেরিকান ক্লাব) এর সাথে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।এই ক্লাবটি আবার সিটির মালিকেরই,অর্থাৎ দুই ক্লাবের মালিক ই শেখ মানসুর,তিনিই নিউ ইয়র্ক কে বলে ফ্র্যাংক কে সিটিতে ছয় মাসের জন্য নিয়ে আসেন।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৪৯
পাজল্ড ডক বলেছেন: সরি, বুঝতে পারছি এবার ।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৯
এহসান সাবির বলেছেন: চলুক.....
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৩
পাজল্ড ডক বলেছেন: ধন্যবাদ,খেলা দেখুন
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
এইচ তালুকদার বলেছেন: আমি ম্যানসিটির একনিষ্ঠ সমর্থক।মনে হচ্ছে গত দুবারের মত এবারও শেষ দিনে শিরোপা নিশ্চিত করবে সিটি।কেন যেনো মনে হচ্ছে এই সিজনে জোভেটিচ কিছু একটা করে দেখাবে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২১
পাজল্ড ডক বলেছেন: জোভেটিচ খুব ভালো স্ট্রাইকার,অন্য কোন টীমে হয়তো ও ফার্স্ট চয়েছ স্ট্রাইকার হিসেবেই খেলতো,কিন্তু ম্যান সিটিতে ও ফোর্থ চয়েছ,নেগ্রেদো ইনজুরড বলেই এখন কিছুটা খেলার সুযোগ পাচ্ছে। খেলার সুযোগ পেলে টপ ক্লাস স্ট্রাইকার হয়ে উঠার মতো সব কিছুই ওর আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
পাজল্ড ডক বলেছেন: পোস্ট দিলাম রাত সাড়ে এগারোটায়,টাইম দেখায় ৪:৫০!!!আর ঐ টাইম লাইনই পোস্ট দেখাচ্ছে!!! কেমনে কি!