নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালোবাসার পেছনে সবচেয়ে বড় যেই কারণটা আমার কাজ করে সেটা হচ্ছে লিখতে বসলেই আমার মনে হয় আমি পুরো ব্রহ্মান্ডের মাঝে ছড়িয়ে যাচ্ছি টুকরো টুকরো হয়ে, হা হয়ে থাকা শালিকের জলতেষ্টা থেকে শুরু করে একটি ঝড়ে পড়া শুকনো পাতার পতন বোধ করি বুকের ভেতর।

প্যারানরমাল পারসন

used to be Rakib Khan

প্যারানরমাল পারসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা- কুমড়ো ফুল

০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:০৪



এইসব বৃষ্টি-বাদল মেনে নেয়া
আজকাল একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যাচ্ছে বরং!
আমি তো কেবল একটু বাতাস পেলেই
দেড় ভাগে ভাগ হয়ে,
আধখানা মন রাখি আধখানা ডুবোচাঁদে।

তার মাঝে এইসব ঝড়-বাদল, বৃষ্টি-প্রপাত কিঞ্চিৎ বাড়াবাড়িই বটে!
ঝড় তবু মানা যায়,
ভীষণ দাপট, থম মেরে থাকে আকাশ,
একমুহূর্ত নিশ্চুপ থেকে পরমুহূর্তেই তার বুনো বেদনায় ফেটে চৌচির।
তার মাঝে ঝড়ের বেদনা বুঝতে চাওয়ার আকুলতা নিয়ে
একটা বটের তলায় ঠায় দাঁড়িয়ে পাতার আর্তনাদ সয়ে যায়।
কিংবা অপেক্ষায় কাটে প্রহর,
যেন এক্ষুণি একটা ডাল ভেঙে পড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেবে বুক।

কিন্তু! কিন্তু! কিন্তু!
এইভাবে জানালার ধারে ঝিরিঝিরি একটানা ... এই একটানা বৃষ্টিটা বড্ড বাড়াবাড়িই হয়ে যায়।

এই দাবি করছি না আমি যন্ত্রণা পাচ্ছি কিংবা লুকোচ্ছি,
কিংবা বৃষ্টিপাত আমার শুকনো বেদনাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে এই মৃদু বাতাসে,
কিংবা ভিজিয়ে দিচ্ছে, সেই ভয় পাচ্ছি।
কিংবা মৌসুম ফুরিয়ে ঝরে যাওয়া শুকনো পাতারা ভিজে গিয়ে মড়মড় থেমে যাবে, সেই ভয় পাচ্ছি।

আমি শুধু বলছি, এইসব বৃষ্টিপাত খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যায়,
আজকাল বড্ড বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে যায়।
যেমনটা আষাঢ়ের থম মেরে থাকা এই মনোক্রোমিক ভোরবেলায়,
কুমড়ো ফুলের হলুদাভ জীবন বড্ড বেশিই রঙিন দেখায়।


২৯-০৬-২০২১
লেখা ও ছবি- রাকিব খান

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ কবিতা। আপনার সাবলীলতায় মুগ্ধ হয়েছি। বেশকিছু বানান ভুল ও যতিচিহ্নের অসঠিক ব্যবহার আছে কবিতায়। সংশোধন করলে নীচের মতো দেখায়।

--

এইসব বৃষ্টি-বাদল মেনে নেয়া
আজকাল একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যাচ্ছে বরং!
আমি তো কেবল একটু বাতাস পেলেই
দেড় ভাগে ভাগ হয়ে,
আধখানা মন রাখি আধখানা ডুবোচাঁদে।

তার মাঝে এইসব ঝড়-বাদল, বৃষ্টি-প্রপাত কিঞ্চিৎ বাড়াবাড়িই বটে!
ঝড় তবু মানা যায়,
ভীষণ দাপট, থম মেরে থাকে আকাশ,
একমুহূর্ত নিশ্চুপ থেকে পরমুহূর্তেই তার বুনো বেদনায় ফেটে চৌচির।
তার মাঝে ঝড়ের বেদনা বুঝতে চাওয়ার আকুলতা নিয়ে
একটা বটের তলায় ঠায় দাঁড়িয়ে পাতার আর্তনাদ সয়ে যায়।
কিংবা অপেক্ষায় কাটে প্রহর,
যেন এক্ষুণি একটা ডাল ভেঙে পড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেবে বুক।

কিন্তু! কিন্তু! কিন্তু!
এইভাবে জানালার ধারে ঝিরিঝিরি একটানা ... এই একটানা বৃষ্টিটা বড্ড বাড়াবাড়িই হয়ে যায়।

এই দাবি করছি না আমি যন্ত্রণা পাচ্ছি কিংবা লুকোচ্ছি,
কিংবা বৃষ্টিপাত আমার শুকনো বেদনাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে এই মৃদু বাতাসে,
কিংবা ভিজিয়ে দিচ্ছে, সেই ভয় পাচ্ছি।
কিংবা মৌসুম ফুরিয়ে ঝরে যাওয়া শুকনো পাতারা ভিজে গিয়ে মড়মড় থেমে যাবে, সেই ভয় পাচ্ছি।

আমি শুধু বলছি, এইসব বৃষ্টিপাত খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যায়,
আজকাল বড্ড বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে যায়।
যেমনটা আষাঢ়ের থম মেরে থাকা এই মনোক্রোমিক ভোরবেলায়,
কুমড়ো ফুলের হলুদাভ জীবন বড্ড বেশিই রঙিন দেখায়।


২৯-০৬-২০২১
লেখা ও ছবি- রাকিব খান


০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১৬

প্যারানরমাল পারসন বলেছেন: ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে এত যত্ন নিয়ে সংশোধন করিয়ে দেয়ার জন্য কিভাবে ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো বুঝতে পারছিনা। ভুলগুলো শুধরে নেবো তো অবশ্যই। পরবর্তীতেও সতর্ক থাকার চেষ্টা করবো। ভালোবাসা জানবেন।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৬

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: কুমড়ো ফুল হলুদ, কাঁচা কুমড়ো সবুজ, পাকা কুমড়ো হলদেটে, কুমড়ো গাছ সবুজ।

কবিতা পড়লাম।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২৪

প্যারানরমাল পারসন বলেছেন:

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০১

অধীতি বলেছেন: কবিতাটা অতিমাত্রায় ভাল লেগেছে। বিশেষ করে প্রকাশে ক্ষেত্রে বাক্যের সাবলীলতার সাথে কবিতার রস।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৪

প্যারানরমাল পারসন বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন অনেক অনেক।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

অক্পটে বলেছেন: ফিদা!

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৩৫

প্যারানরমাল পারসন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.