নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুলের নাম : রঙ্গণ

১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮



রঙ্গনের আদি নিবাস ক্রান্তীয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। শহর বা গ্রামে, বাগানে বা বাড়ির সামনে, এমনকি সড়কদ্বীপেও দেখা মেলে এই রূপসী রঙ্গনের। কতে রঙের বাহার এই রঙ্গনের। কমলা, কমলা লাল, গোলাপী, হলদে গোলাপী, লাল, হলুদ, সাদা ইত্যাদি রঙের রঙ্গন হরহামেসাই দেখা যায়।



ফুলের নাম : রঙ্গন
অন্যান্য নাম : রুক্সিনী, রক্তক, বন্ধুক, ঈশ্বর।
Common Name : Burning Love, Jungle Flame, Jungle Geranium, Flame of the woods, West Indian Jasmine.
Scientific Name : Ixora coccinea



রঙ্গন ঘন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। খুব বড় হয়না, সাধারণত এরা ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে সর্বচ্চ ১২ ফুটের মত লম্বা হতে পারে। বাগানে বা লনে এদেরকে প্রতিবছর ছেটে দিয়ে সুন্দর আকৃতিতে রাখা হয়। রঙ্গন কম বা ধীর বর্ধনশীল গাছ।
এই গাছে কোন কাঁটা নেই।

রঙ্গনের একক ফুল নলাকৃতি, চারটি পাপড়ির বিন্যাস তারার মতো। রঙ্গনের এক-একটি থোকায় প্রায় ১৫ থেকে ৫০ টির মত ফুল থাকে। কিছু কিছু থোকায় ফুলের সংখ্যা আরো বেশি হতে দেখা যায়। লাল রঙের থোকার মধ্যে হঠাত হঠাত সোনালী বা ঘিয়ে রঙের একটা দুটা ফুল ফুটে থোকার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। ফুল শেষে গাছে গোলগোল ফল হয়। ফল থেকে বীজ ও বীজ থেকে চারা করা সম্ভব। পরিপক্ক ডাল লাগালে বা কলম করেও চারা তৈরি করা যায়। নিজে নিজে এই গাছ জন্মে না।



রঙ্গন গাছের পাতা ঘন বিন্যাসের হয়। পাতা সরল, উপবৃত্তাকার প্রায় ৪ ইঞ্চির মত লম্বা হয়। কচি পাতা বাদামি রং আর পরিণত পাতা চকচকে, মসৃণ গাঢ় সবুজ রঙের। রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ। তেমন কোন যত্ন ছাড়াই বেড়ে উঠতে পারে।

রঙ্গন গাছে সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে ফুল ফুটলেও সারাবছরই কম বেশী ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে বর্ষায় রঙ্গন ফুল সবচেয়ে বেশী ফোটে। রঙ্গন ফুল দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং পর্যায়ক্রমে ফুটে।

রঙ্গনের অপর নাম রুক্সিনী হিন্দু দেবীর নামের থেকে এসেছে। রুক্মিণী হলেন শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম ও প্রধান। ইনি বিদর্ভরাজ মহারাজা ভীষ্মকের কন্যা ও রুক্মীর বোন ছিলেন।



বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে রঙ্গন ফুলের জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়। চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষে বৌদ্ধরা রঙ্গনের থোকা থোকা ফুল, ডাল, পাতা সংগ্রহ করে ঘরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখে। বৌদ্ধরা এই ফুলকে বিযু ফুল বলে জানে। (বিযু দেখতে প্রায় রঙ্গনের মতোই একটি পাহাড়ি প্রজাতি।) বৌদ্ধ মন্দিরে পুজার থালায় শোভা পায় রঙ্গন।

রঙ্গনের কোন ঘ্রাণ থাকে না, শুধু ব্যাতিক্রম সাদা রঙ্গনের বেলায়। এই সাদা রঙ্গণকে সুরভী রঙ্গনও বলা হয়। নাম থেকেই বঝা যাচ্ছে যে সাদা রঙ্গনের ঘ্রাণ আছে।




ছবি তোলার সময় ও স্থান : বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেড়াতে গিয়ে এই ছবিগুলি তুলেছি আমি।



=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অলকানন্দা, আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা,
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, গামারি, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি,
ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা,
জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা,
পপী, পুন্নাগ
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মধুমঞ্জরি
রঙ্গন, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধাচূড়া, রাণীচূড়া
লতা পারুল
শাপলা (সাদা), শিউলি, শিবজটা, শ্বেত অপরাজিতা, সুলতান চাঁপা, সোনাপাতি,
জবা - ১, জবা - ২, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, গোলাপী জবা


=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩
রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩, রাতের গোলাপ - ০৪

অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অর্কিড-৫, অলকানন্দা (বেগুনী)-২, অলকানন্দা (বেগুনী)-৩, আমরুল-২,
কচুরিপানা ফুল-২, কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-৩, গোলাপি আমরুল-২,
ঝুমকোলতা-২
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
তারাঝরা- ২
দাঁতরাঙ্গা-২, দাদমর্দন-২, দাদমর্দন-৩, দাদমর্দন-৪, দোলনচাঁপা-২
নাগেশ্বর-২, নাগলিঙ্গম-২, নাগলিঙ্গম-৩
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪, পপী-৫, ফাল্গুনমঞ্জরী-২,
বাগানবিলাস-২, বাগানবিলাস-৩, বাদুড় ফুল-২, বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩, বোতল ব্রাশ-৪, বিড়াল নখা-২, বোতল ব্রাশ-৪
মাধবীলতা-২, মাধবীলতা-৩
রুদ্রপলাশ-২, রুদ্রপলাশ-৩, রাজ অশোক-২, রাজ অশোক-৩, রাধাচূড়া-২, রাধাচূড়া-৩, রাধাচূড়া-৪, রাধাচূড়া-৫
লতা পারুল-২, লতা পারুল-৩, লতা পারুল-৪
শিউলি-২, সুলতান চাঁপা-২

গামারির হলুদ বন্যা, আরো কিছু গামারি, শিমুল গাছে আগুন, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল,
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি

=================================================================

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



এসব ফুলে মধু আছে নাকি?

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌
আছে মনে হয় মধু

২| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার অন্যান্য ফুল সংক্রান্ত পোস্টের তুলনায় এ পোস্টে বর্ণনা একটু বেশি। ভালো লেগছে। পাশাপাশি জোড়া গাছের ছবিটা বেশি ভালো লাগলো, যদিও লাইট একটু বেশি পড়েছে মনে হয়; ফটোশপে অটো কন্ট্রাস্ট বা অটো কালার দিলে ন্যাচারাল হয়ে যাবে।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কিছু কিছু ফুলের তথ্য খুবই কম থাকে। সেগুলিতে চাইলেও খুব বেশি বর্ননা দেয়ার থাকে না।

আমি ফটোশপের কাজ জানি না।
তাছাড়া ১টি ছবিতে আলোর কমবেশীতে খুব একটা কিছু যায় আসে না আমার। কারণ আমি কোনো ফটোগ্রাফার নই। গাছ-ফুল-প্রকৃতি ভালো লাগে বলে ছবি তুলি। বেরাবার সময় স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ছবি তুলি। এইটুকুই।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! রংগন নামে আমাদের ডিপার্টন্টে একজন ছাত্রী বন্ধু ছিলেন, আপনার পোস্টের শিরোনাম দেখে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের কথা মনে পরলো।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
রংগন নামে কাউকে কখনো শুনিনি নাম রাখতে। আইডিয়াটি মন্দ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.