নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝুমকো জবা

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫১



জবা আমাদের অতি পরিচিত একটি ফুল। এককালে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে এই জবা ফুলের গাছ দেখতে পাওয়া যেত। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে এই গাছ থাকতোই।

ঝুমকো জবা
জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে ঝুমকো জবা বা ঝুমকা জবা। এটি দেখতে অনেকটাই ঝুমকার মতো বলেই এই নামকরণ করা হয়েছে।



Common Name : Fringed Rosemallow, Japanese lantern, Coral hibiscus, Spider hibiscus ইত্যাদি।
Scientific Name : Hibiscus schizopetalus

সাধারণ জবা ফুল থেকে এই ঝুমবো জবা অনেকটাই ভিন্নতর হয় দেখতে। এটি ডালের আগায় ঝুলন্ত হয়ে ফুটে। ৫টি পাপড়ি থাকে প্রতিটি ফুলে। পাপড়িগুলি উপরের দিকে বাঁকা আর কিনার ঝালরের মতো কাটাকাটা থাকে। পরাগদন্ড বেশ লম্বা হয় এবং ফুলের নিচে ঝুলে থাকে।



জবা ফুলে নানান ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে। ফুল, পাপড়ি ও গাছের ছালও ঔষধি গুনসম্পন্ন। চোখ ওঠা রোগ দূর করতে, সর্দি ও কাশিতে, চুলের বৃদ্ধির জন্য, হাতের তালুতে চামড়া উঠা ইত্যাদি রোগের ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে।

জবা একটি চিরসবুজ গুল্ম বা ঝোপ জতীয় গাছ। সাধারণত: সাত আট ফুট উচ্চতায় হয় থাকে। এর পাতাগুলি চকচকে ও করাতের মত খাজকাটা হয়। জবা গাছের ডাল বর্ষা কালে সেঁত স্যাঁতে মাটিতে রোপন করে সহজেই বংশবিস্তার করা সম্ভব। জবা গাছ আবাদী ও অনাবাদী বনজ সব ধরনের হয়ে থাক।



ঝুমকো জবা : ফররুখ আহমদ
ঝুমকো জবা বনের দুল
উঠল ফুটে বনের ফুল।
সবুজ পাতা ঘোমটা খোলে,
ঝুমকো জবা হাওয়ায় দোলে।
সেই দুলুনির তালে তালে,
মন উড়ে যায় ডালে ডালে।




বিভিন্ন সময় এই ছবি গুলি আমি তুলেছি মোবাইল ক্যামেরায় আমার ছাদের গাছটিতে ফোটা ঝুমকো জবা ফুল গুলির।

=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী,
এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কালো বাদুড় ফুল
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, গামারি, গামার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু
ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা,
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীল বনলতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল,
রঙ্গন, রুক্সিনী, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া,
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ
শাপলা (সাদা), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত অকন্দ
সুলতান চাঁপা, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা,
হাতি জোলাপ,


=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩

রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩, রাতের গোলাপ - ০৪

অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অর্কিড-৫
কচুরিপানা ফুল-২, কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-৩, গোলাপি আমরুল-২,
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
দাদমর্দন-২, দাদমর্দন-৩, দাদমর্দন-৪, দোলনচাঁপা-২
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪, পপী-৫
বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩, বোতল ব্রাশ-৪

শিমুল গাছে আগুন, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল

মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল,
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি

=================================================================
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০২, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৩, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৪, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৫, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৬
=================================================================

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১২

কামাল৮০ বলেছেন: এতোদিন খেয়াল করিনি।আসলেই এটা ঝুমকোর মতো।

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই কারণেই এমন নামকরণ।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৫

অপ্‌সরা বলেছেন: জবাকুসুম তেলও হয়।

অনেক ভালো এবং নিদ ভালো হয় এবং চুলও ভালো থাকে।

ঝুমকো জবা রক্তজবা আর মরিচ জবা বেশি দেখা যায়।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এখন হাইব্রিড জবা বেশি দেখা যায়। টবেই হয়, গাছ হয় ছোট ফুল হয় বড়। ছাদ বাগানে বেশী দেখা মেলে।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্ট পড়ে পুরনো কথা মনে পড়ল। আমাদের কাচারি ঘর লাগোয়া একটা রক্ত জবা গাছ ছিল। মহিলারা বিকালে বাড়ির দরজায় ঘুরতে এলে দুচারটা খোপায় গুজে নিতেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
রক্ত জবা দেখতে বেশ সুন্দর হয়। আর ফুলের প্রতি মেয়েদের একটি আলাদা আকর্ষণতো থাকেই।
পুরনো স্মৃতি মন্তবে শেয়ার করার ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় লিটন ভাই।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এর সাইন্টেফিক নামটা খুবই সহজ, আমি প্রথম বার পড়েই উচ্চারণ করে ফেলেছি। :-P

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমাআর দাঁতের গোঢ়া আর স্মৃতি শক্তি দুইটাই খুব দূর্বল। তার আমি এই সব জিনিস উচ্চারণ বা মনে রাখার চেষ্ট কখনো করি না।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ঝুমকো" অনার্মেন্ট নাম এর থেকেই ধার করা নাকি?

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমার ঠিক জানা নেই।
ফুলের নাম গহনা থেকে হয়েছে নাকি গহনার নাম ফুলের থেকে হয়েছে আসলেই আমার জানা নেই।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: যথারীতি ভালো লিখেছেন।
আপনার টাইমলাইন ঘেটে দেখলাম জবা নিয়ে এটা আপনার চতুর্থ পোস্ট। জবাফুল নিয়ে আদিবাসী ঢাকাইয়া রমনীগণের একটা কুসংস্কার ছিলো.... নারীরা জবাফুল পায়ে মাড়ালে কঠিন রোকগ হয়....

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় জুল ভার্ন ভাই। জবা নিয়ে আমার বেশ কিছু পোস্ট আছে। তবে সেগুলি বেশ পুরনো বলে হয়তো আপনার নজরে আসেনি।
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা

ঢাকাইয়া রমনীগণের কুসংস্কারটির কথা আমার জানা ছিলো না। তবে জবা বিশেষ করে রক্ত ও পঞ্চমুখী জবাকে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকেরা পবিত্র ফুল হিসেবে বিবেচনা করে।

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ফুলটা সুন্দর কিন্তু ঘ্রাণ নেই। আফসোস।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কিছু কিছু ফুলে ঘ্রাণ না থাকলেও তার সৌন্দর্যতেই মন ভরে যায়।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ঝুমকোর মত ফুল। ♥️

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এইকারণে এর নাম ঝুমকো জবা।

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের গ্রামের বাড়িতে রক্ত জবা ফুল গাছ আছে। খেজুর গাছ আছে পথের পাশে। খেজুর গাছের ফুলের ছবি তুলেছেন?

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমার বাসায় এখনো একটা খেঁজুর গাছ আছে। দূর্বল-রুগ্ন গাছটি এবারই হয়তো মারা যাবে।
খেজুর গাছের ফুলের ছবি এখনো তোলা হয়নি হয়তো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.