নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

চন্দ্রপ্রভা ও গৌরিচৌরি

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৩



চন্দ্রপ্রভা ও গৌরিচৌরি ফুল ও ফুলের গাছ দেখতে প্রায় হুবহু একই রকমের। আমি শুধু জানি দুটি আলাদা গাছ, আলাদা ফুল। এবং ধারনা করি গৌরিচৌরি ফুল সম্ভবতো বড় বড় থোকায় ঘনসন্নিবিষ্ট হয়ে থাকে। আর চন্দ্রপ্রভা কিছুটা কম ঘনসন্নিবিষ্ট বা ছাড়া ছাড়া হয়ে সারা গাছ জুড়ে ফোটে। এরচেয়ে বেশি কোনো পার্থক্যের কথা আমার জানা নেই। আগামীতে জানতে পারলে পোস্টটি আপডেট করে দিবো।

অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : হলদে চন্দ্রপ্রভা, সোনাপাতি, স্বর্ণপাতি, গৌরিচৌরি, হৈমন্তী, ফাগুন বউ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), ঘন্টি ফুল (মারাঠী), ঘট পুষ্প (নেপাল)।
Common Name : Yellow bells, Yellow trumpet, Yellow-Elder, Yellow Trumpet Flower, yellow trumpetbush, Trovadora, Trumpet Flower.
Scientific Name : Tecoma stans or Tecoma gaudichaudi



চন্দ্রপ্রভা বা গৌরিচৌরি আধা-চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এরা দেখতে ঝোপালো আকৃতির হয়। এরা সাধারণত ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। কিছু কিছু গাছ আরো বেশী লম্বা হয়ে যেতে পারে। এদেরকে সেইপে রাখার জন্য ফুল ফোটার পরে প্রচুর পরিমাণে ছাঁটাই করা যেতে পারে। এদের পাতা সবুজ ও কিনার করাতের দাঁতের মতো খাঁজকাটা থাকে।

গাছের শাখার প্রান্তে গুচ্ছাকারে, থোকায় থোকায় হলুদ বা উজ্জ্বল সোনালি হলুদ রঙের ফুল ফোটে। চন্দ্রপ্রভা বা গৌরিচৌরি ফুল দেখতে ফানেল বা শিঙার মতো। অথবা ঘণ্টা আকৃতিরও বলা চলে। তাইতো এদের ঘন্টি ফুলও বলা হয়। ঘণ্টা বা ফানেল আকৃতির ফুলগুলিতে পাঁচটি যক্তপাপড়ি রয়েছে যাদের খুব লখ্যকরে না দেখলে আলাদা করে বুঝা যায় না।



বাংলাদেশ এই ফুল গুলি গ্রীষ্মের শুরু থেকে শরতের শেষ পর্যন্ত একটি খুব দীর্ঘ ফুলের ঋতু পায়। তবে কিছু কিছু গাছে প্রায় সারা বছরই কম-বেশি ফুল ফুটতে দেখা যায়। গাছে ফলু ফুটলে মৌমাছি, প্রজাপতি এবং হামিংবার্ডকেসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ ফুলের আর্ষণে ছুটে আসে। ফুল শেষে গাছে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা অনেকটা বরবটির মতো দেখতে ফল হয়। সেটির ভিতরে অনেকগুলি বীজ থাকে।

কান্ডের কাটিং দ্বারা সহজেই বংশবিস্তার করা যায়। তাছাড়া বীজ থেকেও চরা করা যায়। এই ফুলেগাছ গুলি দ্রুতবর্ধণশীল।
বাড়ি, স্কুল-কলেজ বা অফিসের আঙিনা, সদর দরজার পাশে, সড়কদ্বীপে চন্দ্রপ্রভা লাগানো যায়। কারন এদের জন্য খুব বেশী যায়গার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া ছাদে মাঝারি বা বড় আকারের টবেও অনায়াসেই এই গাছ জন্মতে ও ফুল ফোটাতে পারে। হলদে রঙোর থোকা থোকা ফুলের বাহার যেকোন ছাদ বা বাগানের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।



চন্দ্রপ্রভা আমেরিকার স্থানীয় প্রজাতী উদ্ভিদ। তবে বিশ্বের নানান দেশে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এটি একটি আকর্ষণীয় শোভাবর্ধণকারী উদ্ভিদ হিসাবে পৃথিবীর অনেক দেশেই রোপন করা হয়। এরা খরা-সহনশীল এবং উষ্ণ আবহাওয়ায় ভাল জন্মে। আফ্রিকার কোথাও কোথাও এই গাছটি প্রচুর পরিমানে জন্মে আগাছাতে পরিণত হয়েছে।

গাছের ডালপালা জ্বালানি কাঠ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করার উপায় নেই। তবে এটি একটি ঔষধি গাছ যা ডায়াবেটিসের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা আমার জানা নাউ। শুনেছি এই গাছ পাকিস্তানে কোবরা সাপের বিষের বিরুদ্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-ভেনম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই গাছের পাতার পেস্ট কোবরা সাপের কামড়ের উপরে প্রয়োগ করা হতো।



ছবি তোলার স্থান : হাতিরঝিল ও কার্জন হল, ঢাকা বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ০৮/০৩/২০১৭ ইং ও ২৯/০৪/২০১৮ ইং

=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী,
এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কালো বাদুড় ফুল, কাঁটামুকুট, কাঁটামুকুট
খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু
ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা)
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীল বনলতা, নীল লতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল,
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লালকাঞ্চন
শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সুখ মুরালি, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,


=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ১৪, ফুলের রাণী গোলাপ - ১৫

রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩, রাতের গোলাপ - ০৪, রাতের গোলাপ - ০৫

অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অর্কিড-৫, অর্কিড-৬, অর্কিড-৭
কচুরিপানা ফুল-২, কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কসমস-৭, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-৩, গোলাপি আমরুল-২,
জারবেরা-২
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
দাদমর্দন-২, দাদমর্দন-৩, দাদমর্দন-৪, দাদমর্দন-৫, দোলনচাঁপা-২
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪, পপী-৫
বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩, বোতল ব্রাশ-৪

শিমুল গাছে আগুন, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল

মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, বিষকাটালি
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি

=================================================================
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০২, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৩, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৪
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৫, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৬, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৭, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৮
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৯, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১০, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১২
=================================================================

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: চন্দ্রপ্রভা ও গৌরিচৌরি!
বাহ কী সুন্দর নাম!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- নাম যেমন সুন্দর, ফুলগুলি দেখেতে তেমনই সুন্দর।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

হলুদ ফুল টানে আমায়।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এই ফুল ঝরে পরে যখন গাছের তলে হলুদ চাদরের মতো বিছিয়ে থাকে তখন অসাধারণ লাগে।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: চন্দ্রপ্রভা ও গৌরিচৌরি

সুন্দর ফুল। সৌরভ হীন ফুল। তবে দেখতে সুন্দর।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গুণের ঘাটতি রূপদিয়ে পুষিয়ে দিয়েছে।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: গুণ থাকলে আর কিছু লাগে না। মানুষের বেলায়ও ঠিক তাই।
আমি একজন গুনহীন মানুষ। তাই আমাই ব্যর্থ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গুণের ঘাট ঢাকতে হলে মানুষের বুদ্ধী থাকতে হয়। আপনার বুদ্ধি আছে। আর বুদ্ধী থাকা মানেই গুণ থাকা। এটাই প্যারাডক্স।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.